ভাঙার গান
👉Paid Answer (For Membership User)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
প্রশ্নঃ 'ভাঙার গান' কবিতায় কবি কাদের ডাক দিয়েছেন?
(a) দেশবাসীকে
(b) রাজনৈতিক কর্মীদের
© তরুণ যুবকদের
(d) আইনজীবীদের।
উত্তরঃ © তরুণ যুবকদের
প্রশ্নঃ "সর্বনাশী শিখায়”- সর্বনাশী কী শেখায়?
(a) হীন তথ্য
(b) স্বাধীন সত্য
© প্রলয় বিষাণ
(d) মিথ্যা।
উত্তরঃ (a) হীন তথ্য
প্রশ্নঃ "কে দেয় সাজা"- কাকে সাজা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?
(a) সত্যকে
(b) মিথ্যাকে
© নেতাকে
(d) বিপ্লবীকে।
উত্তরঃ (a) সত্যকে
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম এই কবিতায় কী ভেঙে ফেলার কথা বলেছেন?
(a) কারার ধ্বংস নিশানা
(b) কারার ঐ লৌহকপাট
© অট্টালিকা
(d) প্রাচীন প্রাচীর।
উত্তরঃ (a) কারার ঐ লৌহকপাট
প্রশ্নঃ শিকল পূজার পাষাণ বেদী কী?
(a) ফাঁসিমঞ্চ
(b) পরাধীন ভারতবর্ষ
© উভয়ই সত্য
(d) একটিও সত্য নয়।
উত্তরঃ ফাঁসিমঞ্চ
প্রশ্নঃ "দে রে দে প্রলয় দোলা" কে প্রলয় দোলা দেবে?
(a) কালবৈশাখী
(b) ভূমিকম্প
© পাগলা ভোলা
(d) তরুণ ঈশান।
উত্তরঃ পাগলা ভোলা
প্রশ্নঃ "কারার ঐ লৌহকপাট" বলতে কবিতায় কবি কীসের উত্তর ভিত নড়ে যাওয়া দেখতে চেয়েছেন?
(a) ভীমকারার
(b) বন্দিশালার
© প্রাচীন প্রাচীরের
(d) লৌহকপাট।
উত্তরঃ (a) ভীমকারার
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ "হা হা হা পায় যে হাসি" - হাসি পাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ ব্রিটিশ শাসক ভগবানতুল্য বিপ্লবীদের ফাঁসি দিতে চায়। এটাই হাসি পাওয়ার কারণ।
প্রশ্নঃ "মৃত্যুকে ডাক" - মৃত্যুকে কোথায় ডাকা হচ্ছে?
উত্তরঃবিদ্রোহী কবি নজরুল তরুণকে বিপ্লবমন্ত্রে দীক্ষিত করে মৃত্যুকে জীবনপানে ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ "ভগবান পরবে ফাঁসি" এখানে ভগবান কে বা কারা?
উত্তরঃ এখানে ভগবান হলেন যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছেন অর্থাৎ বিপ্লবীরা।
প্রশ্নঃ কবি নজরুল 'ভাঙার গান' কবিতায় তরুণ ঈশানদের কী করতে বলেছেন?
উত্তরঃ তরুণরা যৌবনশক্তির প্রতীক। তরুণরূপী শিবরাই তাদের প্রলয় বিষাণ অর্থাৎ সংগ্রামী বল দিয়ে বাধার প্রাচীর ভেঙে ফেলতে পারে। কবি ভাঙার গানে তাদের আহ্বান করেছেন।
প্রশ্নঃ "কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে"-'মুক্ত স্বাধীন সত্য' কী?
উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম 'ভাঙার গান' কবিতায় 'মুক্ত স্বাধীন সত্য' বলতে বুঝিয়েছেন, স্বাধীনতা ভারতবাসীর জন্মগত অধিকার এবং ভারতবাসী সেই স্বাধীনতা যেকোনো মূল্যে অর্জন করবেই।
প্রশ্নঃ "শিকল পূজার পাষাণ বেদী"-তে কাদের রক্ত জমাট বেঁধে গেছে?
উত্তরঃ অত্যাচারী শাসকের দমনপীড়নের ফলে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেহনিঃসৃত রক্ত জমাট বেঁধে গেছে।
ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ "বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ" কে, কাকে, কেন প্রলয় বিষাণ বাজাতে বলেছেন?
উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি ইংরেজদের কারাগারে বন্দি ভারতীয় বিপ্লবীদের 'তরুণ ঈশান' সম্বোধন করে বিষাণ বাজাতে বলেছেন।
তরুণ ঈশানের প্রবল ধ্বনিতে পৃথিবীতে নেমে আসবে প্রলয়, ধ্বংস হবে ব্রিটিশ কারাগার, কুসংস্কার, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি।
প্রশ্নঃ "ওরে ও পাগলা ভোলা"- পাগলা ভোলা কে? তাকে উল্লেখ করে কবি কী বলেছেন।
উত্তরঃ এখানে মহেশ্বররূপী নবীন যুবককে 'পাগলা ভোলা' বলে সম্বোধন করেছেন কবি।
'পাগলা ভোলা'-কে উদ্দেশ্য করে কবি বলেছেন, পাগলা ভোলারূপী স্বাধীনতা সংগ্রামীর যেন প্রলয় দোলা দেয় এবং ভীমকারার গারদগুলোকে জোরসে ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে ধ্বংস করে।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ "কারার ঐ লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট..." - কার লেখা, কোন কবিতার অংশ এটি। লৌহকপাট কী? কেন এমন উক্তি?
উত্তরঃ এটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা 'ভাঙার গান' কবিতার অন্তর্গত। 'লৌহকপাট' হলো ব্রিটিশ কারাগারের লোহার দরজা।
কবি নজরুল পরাধীন ভারতকে একটি কারাগার বলে মনে করতেন। সেই কারাগারের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এই কারাগার ভেঙে মুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণদের তিনি ক্রুদ্ধ কণ্ঠে আহ্বান জানিয়েছেন। সর্বপ্রকার বন্ধনকে অস্বীকার করার মাধ্যমেই ফুটে উঠেছে অবাধ স্বাধীনতা। পরাধীন ভারতের দুঃসহ জ্বালা ও সীমাহীন অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলামের ক্ষোভ, রোষ, বেদনা বিদ্রোহের আগুনে প্রতিফলিত হয়েছে। ইংরেজদের অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি বজ্রকণ্ঠে গর্জে উঠেছেন। তাই তিনি ইংরেজদের তৈরি কারাগারকে ভেঙে দিতে চেয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'ভাঙার গান' কবিতাটিতে কবি নজরুলের কবি মানসিকতার যে পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে- তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্র-সমকালীন বাংলা কবিতায় এনেছিলেন বিদ্রোহের বার্তা। সমকালীন রাজনৈতিক অসহিষ্কৃতা এখানে মূর্ত হয়েছে। রোমান্টিকতার বিমুগ্ধ জগতে পদচারণা নয়, উল্লসিত ভোগবাদের আরস্ত সংরাগ নয় জীবনের ঊষর মরুক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে, ইংরেজদের অত্যাচার, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে উদ্গীত কবিকণ্ঠ আশ্রয় গ্রহণ করল বিপ্লবী জীবনাদর্শে। এই মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা গেল 'ভাঙার গান' কবিতায়।
কবি ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থার সমূলে বিনাশ ঘটাতে কামনা করেছেন নতুন করে দেবাদিদেব মহাদেবের আগমনের। ইংরেজরা যেভাবে ভারতবর্ষে শাসনজাল বিস্তার করেছে- অচিরেই তার বিনাশসাধন প্রয়োজন। তাই তিনি দৃপ্তকণ্ঠে তরুণদের আহ্বান জানান- ইংরেজদের নির্মিত কারাগারের 'লৌহকপাট'-কে ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে; যাতে অকারণে, অন্যায়ভাবে বিপ্লবীদের তারা আটক করতে না পারে। তাই মহাদেবরূপী নবীন বিপ্লবীদের 'প্রলয় বিষাণ' বাজিয়ে ধ্বংসের পতাকাকে কবি উড়িয়ে দিতে বলেছেন। বসে বসে সময় নষ্ট না করে পদাঘাতে ইংরেজদের তৈরি লোহার কারাগারের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে, তালা ভেঙে আগুনে পুড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। এইভাবেই কবি ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন।