অ্যাসিড, ক্ষার ও লবণ
👉Paid Answer (For Membership User)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
প্রশ্নঃ টি.এন.টি. বিস্ফোরক প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়-
(a) HCI
(b) HNO3✓
© H₂SO₄
(d) NaOH.
প্রশ্নঃ নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়-
(a) খাবার সোডা
(b) লেবুর
রস
© মিথাইল অরেঞ্জ
(d) পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট।
প্রশ্নঃ বলয় পরীক্ষার সাহায্যে শনাক্ত করা হয়-
(a) HCI
(b) H₂SO₄
© HNO3
(d) NaOH.
প্রশ্নঃ যেসমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে OH- আয়ন দেয়, তাদের বলে-
(a) ক্ষার
(b) অ্যাসিড
© লবণ
(d) কোনোটিই নয়।
প্রশ্নঃ আম্লিক অক্সাইড জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন করে-
(a) ক্ষার
(b) অ্যাসিড
© লবণ
(d) হাইড্রোজেন গ্যাস।
প্রশ্নঃ পেট্রোলিয়াম শোধনে ব্যবহৃত হয়-
(a) NaOH✓
(b) HCI
© Ca(OH)2
(d) ΗΝO3
প্রশ্নঃ প্রশম দ্রবণে pH মান-
(a) 4
(b) 9
© 7
(d) 10.
প্রশ্নঃ পাচক রসের একটি উপাদান হলো-
(a) H₂SO₄
(b) HCI
© HNO3
(d) HСООН.
প্রশ্নঃ ক্ষার দ্রবণে মিথাইল অরেঞ্জের বর্ণ হয়-
(a) কমলা
(b) হলুদ✓
© লাল
(d) বেগুনি।
প্রশ্নঃ একটি ক্ষারকীয় লবণ হলো-
(a) NaHSO4
(b) Na₂SO₄
© CaCl₂
(d) Pb(OH)Cl.✓
প্রশ্নঃ অ্যাসিড দ্রবণে লিটমাসের বর্ণ হয়-
(a) বেগুনি
(b) হলুদ
© নীল
(d) লাল।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ সোনাকে খাদমুক্ত করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)।
প্রশ্নঃ অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [A/(OH)3] ক্ষারক হলেও ক্ষার নয় কেন?
উত্তর: অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড জলে অদ্রাব্য। তাই এটি ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।
প্রশ্নঃ বায়ুতে প্রধানত কোন কোন গ্যাসের উপস্থিতির জন্য অ্যাসিড বৃষ্টি হয়?
উত্তর: CO2, SO4,
প্রশ্নঃ TNT নামক বিস্ফোরক প্রস্তুত করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)।
প্রশ্নঃ আরহেনিয়াসের তত্ত্ব অনুযায়ী অ্যাসিড-এর সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: যেসমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আংশিক বা সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়ে H+ আয়ন উৎপন্ন করে তাকে অ্যাসিড বসে। যেমন Hc/, HNO3, CH3COOH – ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ জলের pH কত?
উত্তর: 7.
প্রশ্নঃ মানবশরীরে উৎপন্ন হয় এমন একটি অজৈব অ্যাসিডের নাম লেখো।
উত্তর: হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCI)।
প্রশ্নঃ আরহেনিয়াসের তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষারকের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: যেসমস্ত যৌগ জলীয় দ্রবণে আংশিক বা সম্পূর্ণ বিয়োজিত হয়ে OH- আয়ন উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে।
প্রশ্নঃ কোনো জলীয় দ্রবণের pH = 7 হলে দ্রবণটি কী প্রকৃতির?
উত্তর: প্রশম।
প্রশ্নঃ কোনো জলীয় দ্রবণের pH = 11 হলে দ্রবণটি কী প্রকৃতির?
উত্তর: ক্ষারীয়।
প্রশ্নঃ কোনো জলীয় দ্রবণের pH = 3 হলে দ্রবণটি কী প্রকৃতির?
উত্তর: আম্লিক।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ বিলীয়মান রং কী?
উত্তর: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইডের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ফেনলপথ্যালিন মিশালে যে লালচে-বেগুনি বর্ণ ধারণ করে তাকে বিলীয়মান রং বলে। এটি সাদা কাপড়ে লাগালে লালচে বেগুনি হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে অ্যামোনিয়া উবে গেলে আবার সাদা হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ প্রশমন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর: তুল্য পরিমাণ অ্যাসিডের সাথে তুল্য পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যাসিড ও ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণ লোপ পেয়ে লবণ ও জল উৎপন্ন করে। অ্যাসিড-ক্ষারের এই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্নঃ আম্লিক অক্সাইড কাকে বলে?
উত্তর: যেসমস্ত অধাতব অক্সাইড ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাকে আম্লিক অক্সাইড বলা হয়। যেমন CO2, SO2, SiO2
প্রশ্নঃ অ্যাসিড লবণ বা বাই লবণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা ধাতুসদৃশ মূলক দ্বারা আংশিক প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে অ্যাসিড লবণ বা বাই লবণ বলে।
যেমন - NaHSO4, NaHCO3
প্রশ্নঃ ক্ষারকীয় অক্সাইড কাকে বলে?
উত্তর: যেসমস্ত ধাতব অক্সাইড অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারকীয় অক্সাইড বলা হয়।
যেমন CaO, K₂O, Na₂O, Feo, Mgo, Cuo
প্রশ্নঃ উভধর্মী অক্সাইড কাকে বলে?
উত্তর: যেসমস্ত ধাতব অক্সাইড অ্যাসিড ও ক্ষার উভয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের উভধর্মী অক্সাইড বলে।
উদাহরণ- ZnO, A/₂O₃
প্রশ্নঃ চাষের জমি আম্লিক হয় কেন? চাষের জমি আম্লিক হলে কী হবে?
উত্তর: চাষের জমিতে অতিরিক্ত অ্যামোনিয়াম সালফেট ব্যবহার করলে মাটি আম্লিক হয়। চাষের জমির মাটি আম্লিক হয়ে গেলে সেই জমিতে চাষ করলে ভালো ফসল পাওয়া যায় না।
প্রশ্নঃ শমিত লবণ বা প্রশম লবণ বা নর্মাল লবণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: অ্যাসিডের সমস্ত প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা ধাতু সদৃশ মূলক দ্বারা সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে শমিত লবণ বলা হয়। যেমন- NaCl, KCl, MgSO₄
প্রশ্নঃ নির্দেশক কী?
উত্তর: যে পদার্থ অ্যাসিড, ক্ষার ও প্রশম দ্রবণে তার বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনটি অ্যাসিড, কোনটি ক্ষার ও কোনটি প্রশম দ্রবণ তা চিহ্নিত করতে পারে তাকে বলা হয় নির্দেশক।
প্রশ্নঃ অ্যাসিডের ক্ষারগ্রাহিতা বলতে কী বোঝো?
উত্তর: কোনো
অ্যাসিডে সর্বাধিক যত সংখ্যক প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে সেই
সংখ্যাকে বলা হয় অ্যাসিডের ক্ষারগ্রাহিতা।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ দাঁতের ক্ষয়ের উপর pH-এর প্রভাব লেখো।
উত্তর: দাঁতের এনামেল ক্যালশিয়াম ফসফেট দিয়ে তৈরি। এটি খুব শক্ত। এমনিতে এটি ক্ষয় হয় না। কিন্তু pH-এর মাত্রা 5.5-এর কম হলে এর ক্ষয় ঘটে। দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে গেলে তাতে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পচন সৃষ্টি হয় এবং অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। মুখে টকভাব অনুভূত হয়। এর ফলে pH-এর মাত্রা 5.5-এর থেকে কমে যায়। ফলে দাঁতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যাকে বলা হয় "দাঁতে পোকা লেগেছে”।
প্রশ্নঃ অ্যান্টাসিড কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যেসমস্ত মৃদু ক্ষারক মানবশরীরে কোনো বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে না কিন্তু পাকস্থলীতে অতিরিক্ত পরিমাণে HC/ উৎপন্ন হলে তা প্রশমিত করে তাদের অ্যান্টাসিড বলে। যেমন- সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা খাবার সোডা (NaHCO3), ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Mg(OH)2], অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Al(OH)2] ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ বিভিন্ন বিক্রিয়ার প্রশমন ক্ষণ নির্ণয়ে ব্যবহৃত নির্দেশকসমূহ লেখো।
উত্তর:
প্রশ্নঃ pH স্কেল কী?
উত্তর: কোনো দ্রবণে H+ আয়নের গাঢ়ত্ব মাপার জন্য একটি স্কেল তৈরি করা হয়েছে। তাকে বলা হয় pH স্কেল। এই স্কেল অনুযায়ী pH =7 হলে দ্রবণটি প্রশম এবং pH 7-এর থেকে যত কম হবে দ্রবণটি তত আম্লিক হবে এবং pH 7-এর থেকে যত বেশি হবে দ্রবণটি তত ক্ষারীয় হবে।
প্রশ্নঃ কৃষি ও মৎস্যচাষে pH-এর গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য মাটির pH-এর মান নির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে কৃষিজমিতে অধিক রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং অম্লবৃষ্টির ফলে মাটি আম্লিক হয়ে যাচ্ছে। মাটিতে অম্লত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে চুন প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জলের pH জানা প্রয়োজন। জলের আম্লিকতার পরিমাণ মাছের সহ্যসীমা অতিক্রম করলে মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফলে উৎপাদন কম হয়। তাই চুন প্রয়োগ করে আম্লিকতা প্রশমন করা প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ ক্ষারকীয় লবণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: কোনো ক্ষারকের সমস্ত হাইড্রোক্সিল মূলক অ্যাসিড দ্বারা আংশিক প্রশমিত হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারকীয় লবণ বা বেসিক লবণ বলে। উদাহরণ লেড নাইট্রেট Pb(OH)NO₃, বেসিক লেড ক্লোরাইড Pb(OH)C/ ইত্যাদি। বেসিক
প্রশ্নঃ অম্লবৃষ্টি বা অ্যাসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত CO₂, SO, বৃষ্টির জলের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বনিক অ্যাসিড (H2 CO3) এবং সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে জলকে আম্লিক করে তোলে। এই বৃষ্টিকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।
প্রশ্নঃ অ্যাসিড ও ক্ষার ব্যবহারের সময় কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন তা বর্ণনা করো।
উত্তর: গাঢ় অ্যাসিড ও ক্ষার নিয়ে কাজ করার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। H₂SO₄ এবং HNO, জামাকাপড়ে পড়লে জামাকাপড় পুড়ে যায়। তাই ল্যাবরেটরিতে 4 কাজ করার সময় অ্যাপ্রন পরতে হবে। গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের গন্ধ তীব্র ঝাঁঝালো ও অ্যাসিড থেকে নির্গত বাষ্প শ্বাসরোধী। তাই লক্ষ রাখতে হবে যাতে অ্যাসিডের বাষ্প নাকে প্রবেশ না করে।
তীব্র অ্যাসিড ও ক্ষার শরীরের কোনো অংশে লাগলে ত্বক পুড়ে যায়। অসাবধানতাবশত যদি কোনো কারণে অ্যাসিড বা ক্ষার দেহের কোনো অংশে পড়ে তা হলে সঙ্গে সঙ্গে ঐ অংশ ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং অ্যাসিড পড়লে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট দ্রবণ দিয়ে এবং ক্ষার পড়লে লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।
সালফিউরিক অ্যাসিডে জল ঢাললে প্রচুর তাপের সৃষ্টি হয়। ফলে অ্যাসিড ফুটতে আরম্ভ করে এবং চারিদিকে ছিটকে পড়ে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সালফিউরিক অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ তৈরি করতে গাঢ় অ্যাসিডের মধ্যে জল না ঢেলে জলের মধ্যে অল্প অল্প গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড যোগ করে নাড়াতে হয়।
ঘরে চুনকাম করার সময় খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। চোখে অ্যাসিড বা ক্ষার পড়লে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্নঃ বিভিন্ন দ্রবণে বিভিন্ন নির্দেশকের বর্ণ
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ অম্লবৃষ্টি কীভাবে পরিবেশের
ক্ষতি করে?
উত্তরঃ (1) অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মাটি আম্লিক হয়ে পড়ে। ফলে উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। (2) জলাশয়ের জল আম্লিক হয়ে যায়। ফলে মাছের বৃদ্ধি ও প্রজনন হ্রাস পায়। অন্যান্য জীবের জীবনচক্র ব্যাহত হয়। (3) মানুষের বিভিন্ন চর্মরোগের সৃষ্টি হয়। (4) মার্বেল পাথরের ইমারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্নঃ ধাতব অক্সাইড এবং অধাতব অক্সাইড সাধারণত কোনটি কী ধরনের হয়ে থাকে?
উত্তরঃ ধাতব অক্সাইডের প্রকৃতি: ধাতব অক্সাইড সাধারণত ক্ষারকীয় হয়। কারণ ধাতব অক্সাইড জলীয় দ্রবণে ক্ষার উৎপন্ন করে।
উদাহরণ: CaO + H₂O → Ca(OH)2 (ক্ষার)।
অধাতব অক্সাইডের প্রকৃতি: অধাতব অক্সাইড সাধারণত আম্লিক হয়। কারণ অধাতব অক্সাইড জলীয় দ্রবণে অ্যাসিড উৎপন্ন করে।
উদাহরণ: CO₂ + H₂O → H₂CO₃ (অ্যাসিড)।
প্রশ্নঃ অম্বল হওয়া কী?
উত্তরঃ আমরা যেসব খাবার খাই তা আমাদের পাকস্থলীতে গিয়ে জমা হয় এবং বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন প্রকার পাচক রস দ্বারা তা হজম হয়। পাচক রসের একটি উপাদান হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl)। এর pH মান 2-3। খাবার হজমে যার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বেশি মশলাযুক্ত খাবার খেলে বা অসুখজনিত কারণে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়। তখন আমরা নানারকম অস্বস্তি অনুভব করি। বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেঁকুর ওঠা, বমি-বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায় যাকে আমরা বলি অম্বল হয়েছে।
প্রশ্নঃ তোমাকে তিনটি টেস্টটিউব দেওয়া হলো, যার একটিতে Hcl, একটিতে HNO3 ও অপরটিতে H₂SO₄ আছে- তুমি তাদের কীভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তরঃ (1) প্রদত্ত দ্রবণ তিনটিতে সিলভার নাইট্রেট (AgNO3) যোগ করলে যেটিতে সিলভার ক্লোবাইডের (AgCI) সাদা (চকের গুঁড়ার মতো) অধঃক্ষেপ পড়বে সেটি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCI)
HCI + AgNO3= AgCI (সাদা অধঃক্ষেপ) +HNO3
(2) প্রদত্ত দ্রবণ তিনটিতে কয়েক টুকুরো কপার ছিবড়া যোগ করে উত্তপ্ত করলে যেটিতে গাঢ় বাদামি রঙের ধোঁয়া উৎপন্ন হবে সেটি নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3)
Cu + 4HNO3 = Cu (NO3)2 + 2NO2 (বাদাম ধোঁবা) + 2H2O
(3) প্রদত্ত দ্রবণ তিনটিতে বেরিয়াম ক্লোরাইড (BaCI2) যোগ করলে যেটিতে বেরিয়াম সালফেটের (BaSO4) সাদা অধঃক্ষেপ পড়বে সেটি সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4)।
BaCI2
+ H2SO4 = BaSO4 (সাদা অধঃক্ষেপ) + 2HCI