Chapter--12



অলৌকিক

----------------------------


MCQ

1.গুরু নানকের শিষ্যের নাম ছিল— 

(a) গোবিন্দ সিংহ

(b) তেগবাহাদুর

(c) মর্দানা  

(d) রামদাস


2. তৃয়ার্ত মর্দানার কোথাও জল না পাওয়ার ঘটনাকে নানক কী বলেছিলেন?

(b) ঈশ্বরের অভিশাপ 

(c) ভগবানের অভিপ্রায় 

(d) প্রকৃতির প্রতিশোধ 

(e) শত্রুর চক্রান্ত


3.বলী কাথারী ছিলেন একজন 

(a) তান্ত্রিক

(b) সুফিসাধক 

(c) ভক্তিবাদী 

(d) দরবেশ 


4. বলী কাঙ্খারীর জলের উৎস ছিল-

(a) কুয়ো 

(b) সমুদ্র

(c) ঝরনা

(d) সরোবর


5. নানক সম্পর্কে নীচের কোন বিশেষণটি গল্পে পাওয়া যায়?

(a) সাধু

(b) মহাত্যাগী

(c) ফকির

(d) লির 


 6. পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানোর জন্য কার কাছে আবেদন জানানো হয়? 

(a) স্টেশন মাস্টারের কাছে 

(b) ট্রেনের চালকের কাছে

(c) সরকারের কাছে 

(d) স্থানীয় প্রশাসনের কাছে


7.পাথর সরানোর পরে মর্দানা কী দেখতে পেয়েছিল। 

(a) জলের ঝরনা 

(b) গুপ্তধন

(c) বিষধর সাপ

(d) গুহামুখ


8. নানক অনুচর-সহ বসেছিলেন

(a) বাবলাতলায়   

(b) নদীর ধারে 

(c) পাথরের ওপরে 

(d) কুটির প্রাঙ্গণে


9. হাসান আব্দালের বর্তমান নাম

(a) হাসান সাহেব

(b) পাঞ্জা সাহেব 

(c) নানা সাহেব

(d) বশী সাহেব


10. বলী কান্ধারী মর্দানাকে কত বার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। 

(a) চার বার

(b) দুবার 

(c) এক বার

(d) তিন বার 


11. চারিদিক সুনসান। কোন স্থান। 

(a) হাসান আব্দালের জঙ্গল 

(b) শেখ হাসানের জলাল 

(c) শেখ আদালের জঙ্গল

(d) শেখ মহম্মদের জঙ্গল


12. 'কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।" তাঁর দুশ্চিন্তার কারণ

(a) মর্দানার অসুস্থতা

(b) মর্দানার খিদে পাওয়া

(c) মর্দানার জলতেষ্টা 

(d) মর্দানার আত্মহত্যার ইচ্ছা


13. 'সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।"-প্রশ্নটি কী।

(a) গড়িয়ে পড়া পাথর থামানো সম্ভব কি না

(b) নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর কারা গুলি চালালপ 

(c) মর্দানা কোথায় জল পাবে

(d) মদীনা কোথা থেকে এসেছে। 


14. 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানককে বলা হয়েছে-

(a) মহাপ্রভু

(b) স্বামীজি

(c) ঋষি

(d) সদ্‌গুর 


15. "এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।" কাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেছেন লেখক? 

(a) মর্দানার প্রবল জলতেষ্ট 

(b) বলী কান্ধারীর জলদান না করা

(c) বলী কান্ধারীর মর্দানার সাথে দুর্ব্যবহার করা

(d) বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল না থাকা


16. বলী কাম্বারী থাকতেন-

(a) পাহাড়তলিতে

(b) গুহার ভিতরে

(c) সমতলে

(d) পাহাড়চূড়ায় 


17. নানক শিষ্য মর্দানাকে জলের জন্য কোথায় যেতে বলেন?

(a) ঝরনার ধারে

(b) নদীর ধারে

(c) পাহাড়চূড়ায় 

(d) সমতলে


18. গুরু নানক তৃয়ার্ত মর্দানাকে বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বলেছিলেন কেন?

(a) বলী কান্ধারী পথিকদের জলপান করাতেন 

(b) বলী কান্ধারীর আশ্রমে প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল থাকত 

(c) বলী কাশ্বারীর কুয়ো ছাড়া কাছে কোথাও জল ছিল না  

(d) অলৌকিক ক্ষমতাশালী বলী কান্ধারী মর্দানার জলতেষ্টা


19. গুরু নানক দ্বিতীয়বার বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানাকে কী বলতে বললেন? 

(a) সে নানক পিরের অনুচর

(b) সে নানক দরবেশের অনুচর 

(c) সে কাফেরের অনুচর 

(d) জয় নিরঙ্কার


20. গুরু নানক শেষবার বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে মর্দানাকে কী বলতে বললেন? 

(a) সে নানক পিরের অনুচর

(b) সে নানক দরবেশের অনুচর

(a) সে নানক কাফেরের অনুচর

(d) জয় নিরঙ্কার 


21. নানকের গল্প নিয়ে গল্পের কথক কার সঙ্গে তর্ক করেছিলেন। 

(a) ছোটোবোনের সঙ্গে 

(a) মা-এর সঙ্গে 

(a) বন্ধুর সঙ্গে 

(d) গুরু নানকের সঙ্গো


22.পাঞ্জাসাহেবে কী হয়েছিল।

 (a) অনশন

(b) সাকা 

(c) আন্দোলন

(d) র্মঘট


23. 'সাকা' হলেই অনিবার্য ছিল-

(a) উৎসব

(b) উপবাস 

(c) অরন্ধন 

(d) প্রার্থনা


24. নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপরে গুলি চালিয়েছিল কারা? 

(a) পুলিশরা

(b) ডাকাতরা

(c) ফিরিঙ্গিরা

(d) স্বদেশিরা


25. পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানোর জন্য কার কাছে আবেদন জানানো হয়? 

(a) স্টেশন মাস্টারের কাছে 

(b) ট্রেনের চালকের কাছে

(c) সরকারের কাছে 

(d) স্থানীয় প্রশাসনের কাছে


Short Question Answer


1. 'সাকা' হলে কী ঘটনা ঘটত?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্প অনুযায়ী 'সাকা' হলে বাড়িতে অরন্ধন ঘটত।


2. "চোখের জলটা তাদের জন্য।"-কাদের জন্য চোখের জল পড়েছিল?

উত্তব়ঃ দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে যাঁরা বন্দি ভারতীয়দের বুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল তাঁদের জন্য চোখের জল পড়েছিল।


3. "এ কি আদৌ সম্ভব?" কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে পাহাড় চূড়া থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড় নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে তার সম্ভাব্যতার কথাই বলা হয়েছে।


4. "গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।"-গল্পটা কী?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশে পাহাড় চুড়ো থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরকে নানকের হাত দিয়ে থামানোর গল্পের কথা বলা হয়েছে।


5. "গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।"-হাসি পাওয়ার কারণ কী?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর যে ঘটনার উল্লেখ আছে, তাতে যুক্তি ও বাস্তবতার অভাব থাকায় লেখকের হাসি পেত।


6. "যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না" বক্তা কে?

উত্তব়ঃ প্রশ্নোদ্ভূত অংশের বস্তা 'অলৌকিক' গল্পের লেখক কর্তার সিং দুগ্‌গালের স্কুলের মাস্টারমশাই।


7. "যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না"- কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর ঠেকানোর কথাটিই বলা হয়েছে।


8. "পাঞ্জাসাহেবে 'সাকা' হয়েছে।"-পাঞ্জাসাহেবের পূর্ব নাম কী ছিল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে উল্লেখিত পাঞ্জাসাহেবের পূর্ব নাম ছিল হাসান আব্দাল।


11. "পাঞ্জা সাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।"-খবরটা কী ছিল?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে ক্ষুধা-তৃয়ায় কাতর বন্দি ভারতীয়দের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানোর সময়ে কোথাও ট্রেন না থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখানে এই খবরের কথাই বলা হয়েছে।


10. "... ব্যাপারটা মেজাজ বিগড়ে দিল।"-কোন্ ব্যাপারটা?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্প অনুযায়ী নানক হাত দিয়ে পাহাড় চূড়া থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়কে থামিয়ে দিয়েছেন-এই আজগুবি ব্যাপারটা লেখকের মেজাজ বিগড়ে দিয়েছিল।


11. "...মা চুপ করে গেলেন।"-মায়ের চুপ করার কারণ কী?

উত্তব়ঃ মায়ের বলা নানাকের গল্পে নানক যে গড়িয়ে-পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, সে-কথা লেখক বিশ্বাস করেননি। তাঁর মুখ দেখে তা বুঝতে পেরেই মা চুপ করে গিয়েছিলেন।


12. “কিন্তু এই ব্যাপারটাতে সবসময়েই মাথা বাঁকিয়েছি।”-কোন ব্যাপারে লেখক সর্বদা মাথা বাঁকিয়েছেন?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পানুযায়ী নানক যে হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়েছিলেন, সেই ব্যাপারটাতে লেখক সবসময় মাথা বাঁকিয়েছিলেন।


13"...বলে উনি আমাকে চুপ করিয়ে দিলেন।"-কী বলে?

উত্তব়ঃ যারা পারে, তাদের পক্ষে কোনোভাবেই অসম্ভব নয়-এমন কথা বলে মাস্টারমশাই লেখককে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন।


14. 'সাকা' হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই গল্পকথকের মা কী করেছিলেন?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পানুযায়ী 'সাকা' হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই গল্পকথকের মা পাঞ্জাসাহেবের দিকে রওনা দিয়েছিলেন।


15. "ঠিক হল, ট্রেনটা থামানো হবে"-এখানে কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? 

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পানুযায়ী যে ট্রেনে করে নিরস্ত্র ভারতীয়দের বন্দী করে দূরের শহরের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই ট্রেনের কথা বলা হয়েছে।


16. ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছোনোর ফলে কী হয়েছিল?

উত্তব়ঃ ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছোনোর ফলে লাশগুলি কেটে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল।


17. "স্বচক্ষে দেখেছি।"-বক্তা স্বচক্ষে কী দেখেছেন?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পানুযায়ী পাঞ্জাসাহেবের রেললাইনের পাশে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত বয়ে যেতে স্বচক্ষে দেখেছেন গল্পকথকের মায়ের বান্ধবী।


18. "সারাদিন একফোঁটা জলও মুখে দিতে পারিনি।"-কেন?

উত্তব়ঃ খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশপ্রেমিকে বোঝাই ট্রেনটি থামানোর জন্যে সাধারণ মানুষের আত্মবলিদানের কথা শুনে গল্পকথক সারাদিন এক ফোঁটা জলও মুখে দিতে পারেননি।


19. 'সাকা' কী?

উত্তব়ঃ কোনো ন্যায়সংগত অধিকারের জন্য বা কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে মৃত্যুবরণের ঘটনাকে পাঞ্জাবি ভাষায় বলা হত 'সাকা'।


20. 'অলৌকিক' গল্পে রক্তের স্রোত কোন্ দিকে প্রবাহিত হয়েছিল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়েছিল।


21. "পাঞ্জা সাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।"-খবরটি কী?

উত্তব়ঃ খবরটি হল-ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি নিক্ষেপ করছে বাকিদের অন্য শহরের জেলে পাঠানো হচ্ছে। হুকুম হয়েছে খিদে-তেষ্টায়-কাতর, মৃতপ্রায় কয়েদিতে ভরা ট্রেনটি কোথাও থামবে না।


22. "হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ অবধি অনেক কষ্টে উঠতে পারল।"-অনেক কষ্ট হওয়ার কারণ কী?

উত্তব়ঃ  'অলৌকিক' গল্পে মর্দানা তেষ্টায় অত্যন্ত কাতর ছিল। তাই অত্যধিক গরমে পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরে পৌঁছোতে তার অনেক কষ্ট হয়েছিল


23. "সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।"-'সে' বলতে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের 'অলৌকিক' গল্পের প্রশ্নোদৃত অংশে 'সে' বলতে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার কথা বলা হয়েছে।


24. "সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।"-কার মনে প্রশ্ন জাগল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে মর্দানা কুয়োর দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বলী কান্ধারীর মনে প্রশ্ন জাগল।


25. "সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।"-প্রশ্নটা কী ছিল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে বলী কান্ধারীর মনে যে প্রশ্নটি জেগেছিল সেটি হল, মর্দানা কোথা থেকে এসেছে।


26. "সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।"-প্রশ্নের উত্তরে 'সে' কী বলেছিল?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে বলী কান্ধারীর প্রশ্নের উত্তরে মর্দানা জানিয়েছিল যে, সে পির নানকের সঙ্গী, ঘুরতে ঘুরতে সেখানে এসে পড়েছে।


27. "...বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।"- 'বলী' কে?

উত্তব়ঃ  কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশে 'বলী' হলেন পাহাড় চুড়োয় কুটির বেঁধে থাকা দরবেশ বলী কান্ধারী।


28. "...বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।" বলী রেগে গেলেন কেন?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে মর্দানা নানকের শিষ্য হওয়ায় বলী কান্ধারী রেগে গিয়েছিলেন।


29. "...বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।" বলী কাকে তাড়িয়ে দিলেন?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে মর্দানাকে তাড়িয়ে দিলেন।


30. "নেমে সে নালিশ জানাল।"-কে, কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে পাহাড় চুড়ো থেকে নেমে এসে মর্দানা গুরু নানকের কাছে নালিশ জানিয়েছিল।


31. "নেমে সে নালিশ জানাল।"-যাঁর কাছে নালিশ জানাল তিনি কী বললেন?

উত্তব়ঃ মর্দানা নালিশ জানালে নানক তাকে আবার বলী কান্ধারীর কাছে গিয়ে নিজেকে নানক দরবেশের অনুচর হিসেবে পরিচয় দিতে বললেন।


32. "ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।"-কে, কোথায় আবার গিয়েছিল?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে মর্দানা আবার পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারীর কুটিরে গিয়েছিল।


33. "ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।"-তার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ কী ছিল?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে তৃয়ার্ত মর্দানাকে বলী কান্ধারীর বারবার তাড়িয়ে দেওয়াই ছিল মর্দানার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ।


34. "আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না" বক্তা কে?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের 'অলৌকিক' গল্পের প্রশ্নোদৃত অংশের বক্তা হলেন দরবেশ বলী কান্ধারী।


35. "আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।"-কে, কার আদেশ অমান্য করতে পারল না?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে শিষ্য মর্দানা গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে পারল না।


36. "আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।"-আদেশ অমান্য করতে পারল না কেন?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানকের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের কারণেই মর্দানা তাঁর আদেশ অমান্য করতে পারল না।


37. "আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল"-সে কোথায় রওনা দিয়েছিল?

উত্তব়ঃ দুগালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরের উদ্দেশ্যে পুনরায় রওনা দিয়েছিল।


38. "আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।"-উদ্দিষ্ট স্থানে গিয়ে সে কী করল?

উত্তব়ঃ দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরে অতি কষ্টে পৌঁছে তার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়লেন।


39. "... নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ..."-বক্তা কে?

উত্তব়ঃ  কর্তার সিং দুগালের 'অলৌকিক' গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশটির বক্তা দরবেশ বলী কান্ধারী।


40. "... নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ..."-কে নিজেকে পির বলে জাহির করে?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে বলী কান্ধারীর মতে, গুরু নানক নিজেকে পির বলে জাহির করেন।


Long Question Answer


প্রশ্ন.1 "হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল।"-তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তাঁর তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানকের কথামতো এক প্রবল গরমের দিনে তৃয়ার্ত মর্দানা জলের জন্য তিন বার দরবেশ বলী কান্ধারীর কুটিরে যান। পাহাড়চূড়ায় আশ্রমে অনেক কষ্টে পৌঁছোনোর পরে প্রত্যেকবারই তাঁর প্রাপ্তি ছিল শুধু প্রত্যাখ্যান আর উপেক্ষা। প্রথমবার বলী কান্ধারী কুয়োর দিকে ইঙ্গিত করলেও মর্দানা পির নানকের সঙ্গী শুনে তিনি তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেন। ক্ষোভে, দুঃখে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করা সত্ত্বেও মর্দানা নানকের কথা মেনে আবার বলী কান্ধারীর কাছে যান। কিন্তু এবারও মর্দানাকে 'কাফেরের শিষা' বলে বলী কান্ধারী তাড়িয়ে দেন। অত্যন্ত করুণ অবস্থায় নানকের কাছে ফিরে আসার পর মৃতপ্রায় মর্দানাকে 'জয় নিরঙ্কার' বলে আবারও বলী তাম্বারীর কাছে যেতে বলেন নানক। গুরুর আদেশকে মেনে নিয়ে মর্দানা আবারও দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে বলী কাম্বারীর কাছে যান। কিন্তু পির হওয়া সত্ত্বেও নানক তাঁর শিষ্যের জন্য জল জোগাড় করতে পারছেন না, এই কটাক্ষ করে মর্দানাকে ফের ফিরিয়ে দেন বলী কান্ধারী। ফিরে এসে মর্দানা তৃয়ার্ত গুরু নানকের পায়ের কাছে মূর্ছিত হয়ে পড়েন।


প্রায় মূর্ছিত মর্দানাকে গুরু নানক পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন। আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। চারদিক জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর তাতেই মর্দানার তৃয়া নিবারিত হয়।


প্রশ্ন.2 মর্দানা কীভাবে বলী কাম্বারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলোচনা করো।

উত্তব়ঃ প্রেক্ষাপট: কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে দেখা যায়, গুরু নানক একবার ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছেছিলেন হাসান আব্দালের জঙ্গলে। চারপাশে তখন প্রবল রোদ এবং ভয়ানক গরম ছিল। জনশূন্য পথঘাটের চারদিকে শুধু পাথরের চাঁই, ধু-ধু বালি আর ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালার দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। এরকম পরিস্থিতিতেও গুরু নানক যখন আত্মমগ্ন হয়ে


হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর সঙ্গী শির্য্য মর্দানার তীব্র জল তেষ্টা পায়। নানক তাঁকে অপেক্ষা করতে বললেও মর্দানার জলের জন্য কাতরতা বাড়তেই থাকে। গুরু নানক তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, এই জলের অভাব আসলে ঈশ্বরেরই অভিপ্রায়। কিন্তু তৃয়ার্ত মর্দানা আর এগোতে রাজি না হওয়ায় নানক গভীর সমস্যায় পড়ে যান। মর্দানার এই একগুঁয়েমি একইসঙ্গে তাঁর হাসি আর বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এরপর মর্দানার তৃয়া আরও বেড়ে যেতে দেখে নানক তাঁকে বলেন যে, পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন এবং তার কুয়ো ছাড়া সেখানে আর কোথাও জল নেই। নানকের এই কথা শুনেই মর্দানা সেদিকে ছুটে যায়। শেষপর্যন্ত তৃষ্ণার্ত মর্দানা মাথায় গনগনে রোদ নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে পাহাড়ে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছোয়।


প্রশ্ন.3 বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ করো।

উত্তব়ঃ বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার অভিজ্ঞতা: কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানকের কথামতো এক প্রবল গরমের দিনে তৃষ্ণার্ত মর্দানা জলের জন্য তিন বার দরবেশ বলী কান্ধারীর কুটিরে যায়। পাহাড় চূড়ার আশ্রমে অনেক কষ্টে পৌঁছোনোর পরেও প্রত্যেকবারই তাঁর প্রাপ্তি ছিল শুধু প্রত্যাখ্যান আর উপেক্ষা। প্রথমবার বলী কান্ধারী কুয়োর দিকে ইঙ্গিত করলেও মর্দানা পির নানকের সঙ্গী শুনে তিনি তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেন। ক্ষোভে, দুঃখে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করা সত্ত্বেও মর্দানা নানকের কথা মেনে আবার বলী কান্ধারীর কাছে যান। কিন্তু এবারও মর্দানাকে 'কাফেরের শিষ্য' বলে বলী কান্ধারী তাড়িয়ে দেন। অত্যন্ত করুণ অবস্থায় নানকের কাছে ফিরে আসার পর মৃতপ্রায় মর্দানাকে 'জয় নিরঙ্কার' বলে আবারও বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বলেন নানক। গুরুর আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা আবারও দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে বলী কান্ধারীর কাছে যায়। কিন্তু পির হওয়া সত্ত্বেও নানক তাঁর শিষ্যের জন্য জল জোগাড় করতে পারছেন না, এই কটাক্ষ করে মর্দানাকে ফের ফিরিয়ে দেন বলী কান্ধারী। ফিরে এসে মর্দানা তৃয়ার্ত গুরু নানকের পায়ের কাছে মূর্ছিত হয়ে পড়ে। এইভাবে বলী কান্ধারীর সঙ্গে প্রতিবার সাক্ষাতেই অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় মর্দানা।


প্রশ্ন.4 "হাসান আন্দালে এখন যার নাম 'পাস্তা সাহেব', গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে।"-এই ঘটনাটি উল্লেখ করো।

উত্তব়ঃ ঘটনার বিবরণ: কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে দেখা যায়, পুর নানকের সঙ্গী তৃয়ার্ত মর্দানা নানকের নির্দেশমতো জলের জন্য মোট তিন বার পাহাড় চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে যায়। কিন্তু বলী কান্ধারী নানকের নাম শুনেই তাকে তাড়িয়ে দেন। তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে মর্দানা যখন প্রায় মূর্ছিত, সেই সময় নানক তার পিঠে হাত বুলিয়ে, সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন। আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। চারিদিক যখন জলে থইথই, ঠিক সেই সময়েই বলী কান্ধারীর জলের দরকার হয়। তখন তিনি দেখেন যে, তাঁর কুয়োয় একটুও জল নেই, অথচ নীচে বয়ে চলেছে জলের স্রোত। একইসঙ্গে গুরু নানককে বাবলাতলায় নিজের অনুচরকে সঙ্গে নিয়ে বসে থাকতেও দেখেন তিনি। ক্ষিপ্ত বলী কান্ধারী তখন পাথরের একটা চাঙড় নীচের দিকে গড়িয়ে দেন। এই দৃশ্য দেখে মদীনা ভয়ে চিৎকার করে উঠলেও 'জয় নিরঙ্কার' ধ্বনি দিয়ে গুরু নানক শান্ত স্বরে হাত দিয়ে পাথরটা থামিয়ে দেন। ফলে পাথরে নানকের হাতের ছাপ সৃষ্টি হয়, যা আজও লেগে রয়েছে। এখন থেকেই হাসান আব্দালের নাম হয় 'পাঞ্জা সাহেব'।


প্রশ্ন.5"এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।"-কোন্ প্রসঙ্গে কে মন্তব্যটি করেছিলেন? বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনো কাজ হয়েছিল? এই বিষয়ে বক্তাকে এরপরে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল?

উত্তব়ঃ বক্তা এবং প্রসঙ্গ: কর্তার সিং দুগ্‌গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানক যখন ঘুরতে ঘুরতে হাসান আব্দালের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সেই সময়ে অসহ্য গরমে শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পায়। নানক তাকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং জানান যে, পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানার কাকুতিমিনতিতে পুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়েন। কারণ মর্দানা না যেতে চাইলে তাদের যাত্রাই বিঘ্নিত হবে। তখনই গুরু নানক মর্দানাকে বোঝাতে গিয়ে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।

মন্তব্যের ফলশ্রুতি: গুরু নানকের এই মন্তব্যে বিশেষ কোনো কাজ হয়নি, কারণ মর্দানা সেখান থেকে নড়তে রাজি হয়নি, বরং সে সেখানেই বসে পড়েছিল।

বক্তার পরবর্তী ভূমিকা: পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গুরু নানক ধ্যানে বসেন। ধ্যানের শেষে চোখ খুলে দেখেন মর্দানা তৃয়ায় জল ছাড়া মাছের মতো ছটফ করছে। সদগুরু নানক তখন মৃদু হাসি হেসে তাকে বলেন যে, পাহাড় চুড়োয় বলী। করছে। নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। তাঁর কাছেই একমাত্র জঙ্গ পাওয়া যেতে পারে। এইভাবে গুরু নানক তৃষ্ণার্ত মর্দানার উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সদগুরুর ভূমিকা নিয়েছিলেন।


প্রশ্ন.6" উনি রীতিমত হতভম্ব।"- 'উনি' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর হতভম্ব হওয়ার কারণ কী ছিল? 

উত্তব়ঃ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: কর্তার সিং দুগ্‌গাল-এর লেখা 'অলৌকিক' গল্পের উল্লিখিত অংশে 'উনি' বলতে বলী কান্ধারীর কথা বলা হয়েছে।

হতভম্ব হওয়ার কারণ: হাসান আব্দালের জঙ্গলে গুরুনানকের সঙ্গে পরিক্রমারত মর্দানা তৃয়ার্ত হয়ে পড়লে নানকের কথামতো পাহাড় চুড়োয় বলী কান্ধারীর কাছে যায় জল প্রার্থনা করতে। কিন্তু নানকের শিষ্য হওয়ার কারণে মর্দানা তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেন। একাদিক্রমে তিনবার একই ঘটনা ঘটে। শেষবার ফিরে এসে মর্দানা মৃতপ্রায় অবস্থায় নানকের পায়ের কাছে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়ে। নানক তাঁর প্রিয় শিষ্যকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন। আর তা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই যেখান থেকে বেরিয়ে আসে জলের ঝরনা। চারদিক জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মর্দানার তৃষ্ণা নিবারিত হয়। সেই সময়েই পাহাড় চুড়োয় বলী কান্ধারীর জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু তিনি দেখেন তাঁর কুয়োয় সামান্যমাত্র জলও নেই। এদিকে নীচে জলস্রোত বয়ে যাচ্ছে। এই ঘঠনাতেই বলী কান্ধারী হতভম্ব হয়ে যান।


প্রশ্ন.7" গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।"-গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উত্তব়ঃগল্পের বিষয়বস্তু: কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে দেখা যায়, গুরু নানকের সঙ্গী তৃষ্ণার্ত মর্দানা নানকের নির্দেশমতো জলের জন্য মোট তিনবার পাহাড় চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে যান। কিন্তু বলী কাম্বারী নানকের নাম শুনেই তাকে তাড়িয়ে দেন। তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে মর্দানা যখন প্রায় মূর্ছিত, সেই সময় নানক তার পিঠে হাত বুলিয়ে, সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন। আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এদিকে বলী কান্ধারী দেখেন যে, তাঁর কুয়োয় একটুও জল অবশিষ্ট নেই, অথচ নীচে বয়ে চলেছে জলের স্রোত। একইসঙ্গে গুরু নানককে বাবলাতলায় অনুচর-সহ বসে থাকতেও দেখেন তিনি। ক্ষিপ্ত বলী - কাশ্বারী তখন পাথরের একটা চাঙড় নীচের দিকে গড়িয়ে দেন। এই দৃশ্য দেখে মর্দানা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেও 'জয় নিরঙ্কার' ধ্বনি দিয়ে গুরু নানক শাশ্চ স্বরো হাত দিয়ে পাথরটা থামিয়ে দেন। এটাই হল প্রশ্নোশ্বত গল্পটা।

লেখকের প্রতিক্রিয়া: স্কুলে গল্পটা শুনে বিশ্বাস-না-করা লেখক মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। মাস্টারমশাইয়ের কথাতেও তাঁর মনে বিশ্বাস জন্মালো না। তাই তাঁর এরপর থেকে রাগে মাঝে মাঝেই চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছা করত।


প্রশ্ন.8” অলৌকিক' গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেননি কেন? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল?

উত্তব়ঃ কর্তার সিং দুগ্‌গালের 'অলৌকিক' গল্পে আমরা দেখি যে, দরবেশ বলী কাম্বারীর নিকট তৃয়ার জল বারংবার প্রার্থনা করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নানক-শিষ্য মানা যখন তৃষ্ণায় মূর্ছিতপ্রায়, তখন নানকের কথায় সামনের পাথরটা তুলে তিনি জলের ঝরনা দেখতে পান। এ দৃশ্য দেখে পাহাড়চূড়াবাসী কান্ধারী কৃদ্ধ ও ঈর্ষান্বিত হয়ে পাথরের একটা চাঙড় নীচে গড়িয়ে দিলে অন্যদের ভয়ার্ত চিৎকারের মধ্যে নানক 'জয় নিরঙ্কার' ধ্বনি দিয়ে হাত দিয়ে সেই পাথরটা থামিয়ে দেন। এই গল্প মার কাছে শুনে বালক লেখক প্রথমে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেননি। যুক্তিবাদী বালক-লেখক তা বিশ্বাস করেননি একজন মানুষের পক্ষে হাত দিয়ে পাথরের বড়ো চাঙড় থামিয়ে দেওয়া অসম্ভব বলেই।

সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক ৩ নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয়াংশ দ্যাখো।


প্রশ্ন.9" অবাক-বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।"-মুখে কথা নেই কেন?

উত্তব়ঃ 'অলৌকিক' গল্পে লেখক কর্তার সিং দুগ্‌গাল পাঞ্জাসাহেবে গিয়ে মায়ের বান্ধবীর কাছে নিম্নলিখিত গল্পটি শুনেছিলেন। কোনো-এক দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা একবার নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপরে গুলি চালানোয় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বাকিদের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েদিরা খিদে-তেষ্টায় মৃতপ্রায় ছিল, তা সত্ত্বেও ট্রেন কোথাও না থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই খবর পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছোলে উত্তেজিত জনতা সিদ্ধান্ত নেয় যে, খিদে-তেষ্টায় কাতর কয়েদিদের নিয়ে ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হবে না। এরপর ট্রেন আটকানোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে বাড়ির মেয়ে, বাচ্চা-সহ পুরুষেরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তীক্ষ্ণ হুইসেল দিয়ে ট্রেন এসে গতি কমালেও তার চাকা চলে যায় অনেকের বুকের ওপর দিয়ে। যার মধ্যে সেই মহিলার স্বামীও ছিলেন। ট্রেনের চাকায় লাশগুলি কেটে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। খালপাড়ের সেতুর দিকে বয়ে গিয়েছিল রক্তের স্রোত। লেখকের মায়ের বান্ধবী শুধু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীই ছিলেন না, তিনি অবরোধে অংশগ্রহণও করেছিলেন।

গল্পটি শুনে লেখক প্রাথমিকভাবে অবাক এবং বিহ্বল হয়ে যান। পরে তিনি উপলব্ধি করেন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনায় তাঁর মনে যে অবিশ্বাস জন্মেছিল তা এই গল্পের মাধ্যমে বিশ্বাসে পরিণত হয়।



EDITING BY--- Liza Mahanta