Chapter 10 - 

তোতাকাহিনি

পাঠ্যপুথির প্রশ্নোত্তর (Textbook Questions & Answers):

প্রশ্ন ১: ‘তোতাকাহিনি’ গল্পের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর: 
এই গল্পের মূল বক্তব্য হলো—জোর করে শিক্ষা, শৃঙ্খলা বা নিয়ম চাপিয়ে দিলে স্বাধীনতা নষ্ট হয় এবং মনের বিকাশ ঘটে না। শিক্ষা হওয়া উচিত মুক্ত, সৃজনশীল ও আনন্দময়।

প্রশ্ন ২: রাজা তোতাকে শিক্ষিত করতে কী ব্যবস্থা নেয়?
উত্তর: রাজা তোতাকে শিক্ষিত করতে গুরুমশাই, পান্ডিত, কাব্যজ্ঞ, শাস্ত্রজ্ঞ, পণ্ডিতদের নিযুক্ত করে। তারা পাখিকে খাঁচায় বন্ধ করে রেখে শাস্ত্র মুখস্থ করাতে থাকে এবং একের পর এক বই詠স্তুপ করে।

প্রশ্ন ৩: পাখিটিকে খাঁচায় পুরে রাখা কী বোঝায়?
উত্তর: পাখিটিকে খাঁচায় পুরে রাখা মানে হলো শিক্ষাকে বাঁধা, নিয়ন্ত্রিত এবং দমনমূলক করে তোলা। এটি শিক্ষার প্রাকৃতিকতা ও স্বাধীনতাকে হত্যা করে।

প্রশ্ন ৪: গল্পে ‘পড়াশুনোর উন্নতি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: 
‘পড়াশুনোর উন্নতি’ বলতে বোঝানো হয়েছে বই মুখস্থ করানো, খাতা-পত্রে লেখালেখি, অথচ পাখিটির স্বাভাবিক জীবন ও চিন্তার স্বাধীনতা ধ্বংস হওয়া।

প্রশ্ন ৫: তোতাকাহিনি একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা কেন?
উত্তর: এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ কঠোর নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা ও অযৌক্তিক শিক্ষা-পদ্ধতির প্রতি ব্যঙ্গ করেছেন। মুখস্থ বিদ্যা, বইয়ের ভার এবং সৃজনশীলতাহীন শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে এটি এক তীব্র প্রতিবাদ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Questions & Answers):

প্রশ্ন ৬: রাজা তোতাকে শিক্ষিত করতে এত উৎসাহী কেন ছিল?
উত্তর: কারণ রাজা মনে করতেন শিক্ষা মানেই বই মুখস্থ করানো ও নিয়মে বেঁধে ফেলা। তাই তিনি পাখিটির স্বাধীনতা না ভেবে শুধুই বাহ্যিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেন।

প্রশ্ন ৭: গল্পটি আজকের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কতটা প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: গল্পটি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ এখনো অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষাকে মুখস্থ বিদ্যায় পরিণত করা হয়, যেখানে শিশুদের সৃজনশীলতা ও ভাবনাশক্তি বিকাশ পায় না।

প্রশ্ন ৮: খাঁচার ভেতরে পাখির মৃত্যু কী প্রতীক করে?
উত্তর: পাখির মৃত্যু প্রতীক করে শিক্ষার নামে স্বাধীনতা, চিন্তার শক্তি ও জীবনশক্তিকে হত্যা করা। এটি বোঝায় যে জোর করে শেখালে তা শিক্ষাই নয়, বরং বন্দিত্ব।

প্রশ্ন ৯: গল্পটির শৈলীর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: গল্পটি ব্যঙ্গাত্মক ও রূপকধর্মী। সহজ ভাষায় লেখা হলেও এর গভীরে রয়েছে সমাজ ও শিক্ষার তীব্র সমালোচনা। এটি প্রতীক ও চিত্রকল্পে ভরপুর।

প্রশ্ন ১০: আপনার মতে ‘তোতাকাহিনি’ থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর: 
এই গল্প থেকে শিখি—শিক্ষা মানে শুধু বই মুখস্থ করা নয়, বরং স্বাধীন চিন্তা, সৃজনশীলতা ও মানবিক বিকাশ ঘটানো। প্রকৃত শিক্ষা আনন্দদায়ক ও প্রাণবন্ত হওয়া উচিত।