Chapter 18 - 

উজান গাঙ বাইয়া 

পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Questions & Answers):

প্রশ্ন ১: কবিতাটির নাম কী? কবি কে?
উত্তর: 
কবিতাটির নাম “উজান গাঙ বাইয়া”। কবি শঙ্খ ঘোষ একজন প্রখ্যাত আধুনিক কবি।

প্রশ্ন ২: ‘উজান গাঙ বাইয়া’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: 
উজান গাঙ বাইয়া’ কথাটির মাধ্যমে কবি জীবনের প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে চলার সংগ্রাম, সাহস এবং দৃঢ় প্রত্যয়কে বোঝাতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন ৩: কবি কেন বলেন “উজান গাঙ বাইতে হবে”?
উত্তর: কারণ, জীবনে সফল হতে হলে কষ্ট সহ্য করে, প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এই ভাবনাই কবি “উজান গাঙ বাইতে হবে” কথার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

প্রশ্ন ৪: কবিতাটির মূল ভাব কী?
উত্তর:

এই কবিতার মূল ভাব হল—জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা। এটি একটি আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী মনোভাবের প্রতিচ্ছবি।

প্রশ্ন ৫: কবিতায় ব্যবহৃত কোন প্রতীক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন?
উত্তর: 
“উজান গাঙ” এই প্রতীকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি জীবনের কঠিন পথ, সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জের প্রতীক। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই সাফল্য খুঁজে নিতে হয়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Questions & Answers):

প্রশ্ন ৬: কবিতাটি কোন ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে?
উত্তর: 
কবিতাটি আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম ও জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করে। এটি মানুষকে উৎসাহিত করে, যাতে সে দমে না গিয়ে উজান গাঙ বাইতে শেখে।

প্রশ্ন ৭: কবিতায় নদী বা গাঙের উল্লেখ কী বোঝায়?
উত্তর: 
নদী বা গাঙ মানুষের জীবনের পথের রূপক। কবি নদী বাইবার মাধ্যমে বোঝাতে চান যে, জীবনও একটি স্রোতের মতো, যেখানে কখনো সহায় স্রোত থাকে, কখনো প্রতিকূল।

প্রশ্ন ৮: এই কবিতাটি আমাদের জীবনে কী শিক্ষাদান করে?
উত্তর: 
এই কবিতা আমাদের শেখায়—পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, সাহস হারালে চলবে না। অনবরত চেষ্টা ও সাহসিকতা থাকলে জীবনের উজান গাঙও পার হওয়া যায়।

প্রশ্ন ৯: কবিতার ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: 
এই কবিতার ভাষা সহজ, ছন্দময় এবং প্রতীকধর্মী। এতে গভীর জীবনদর্শন আছে কিন্তু খুব সাধারণ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন ১০: কবি কোন ধরনের মানসিকতা তুলে ধরেছেন?
উত্তর: 
কবি একজন আত্মবিশ্বাসী, সংগ্রামী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষের মানসিকতা তুলে ধরেছেন, যে মানুষ দুঃখ-কষ্ট সয়ে জীবনের প্রতিকূলতা জয় করতে জানে।