Chapter 11
আন্তর্জাতিক সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য
খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন:
1) জাতিসংঘ কেন গঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- 1914 সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং চিরতরে যুদ্ধের অবসানের জন্য জাতিসংঘ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠিত হয়েছিল। কিন্তু 1939 সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আবার শুরু হয়। এটি বিশ্বের জাতিগুলির মধ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার দ্বারা অনুসরণ করা হয়। 24 অক্টোবর জাতিসংঘ গঠিত হয়
2. জাতিসংঘের দুটি উদ্দেশ্য বর্ণনা করুন।
উত্তরঃ- জাতিসংঘের দুটি উদ্দেশ্য হল 一
(ক) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
(খ) সমঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।
3. জাতিসংঘের অঙ্গগুলির নাম বল।
উত্তরঃ- জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গ রয়েছে। এই অঙ্গগুলি হল 6 -
(i) সাধারণ সভা
(ii) নিরাপত্তা পরিষদ
(iii) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
(iv) ট্রাস্টি কাউন্সিল
(v) আন্তর্জাতিক বিচার আদালত
(vi) সচিবালয়
4. জাতিসংঘের সাথে জড়িত দুটি সংস্থার নাম বলুন।
উত্তরঃ- জাতিসংঘে দুটি সংস্থা জড়িত
(i) আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (ILO)
(ii) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)
5. নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কিত দুটি চুক্তির নাম বলুন।
উত্তরঃ- নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি হল 一
(i) পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি
(ii) "বিস্তৃত পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তি/CTBT" 1996 সালে সমাপ্ত;
6. মানবাধিকার বলতে কি বোঝ?
উত্তর: বিশ্বের প্রতিটি মানুষের তার ব্যক্তিত্ব বিকাশ এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য কিছু অধিকারের প্রয়োজন। এই অধিকারগুলোকে মানবাধিকার বলে।
দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর:
1. জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য এবং এর নীতিগুলি আলোচনা কর।
উত্তরঃ- জাতিসংঘের সনদে মোট ১১১টি প্রবন্ধ রয়েছে। এর প্রথম প্রবন্ধে জাতিসংঘের চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্দেশ্যগুলো হলো-
(i) আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ।
(ii) সমঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।
(iii) আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যার সমাধান করা এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার ভোগ করে তা নিশ্চিত করা।
(iv) উপরোক্ত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
জাতিসংঘের মূল নীতি হল-
(i) জাতিসংঘ সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য সমান সার্বভৌম নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে।
(ii) সকল সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘের সনদে নির্ধারিত নিয়ম মেনে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
(iii) সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি কোনো পক্ষপাত ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করবে।
(iv) কোনো সদস্য রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে বলপ্রয়োগ করবে না।
(v) সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘকে চার্টারে প্রদত্ত যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে এবং জাতিসংঘ কোনো রাষ্ট্রকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে না।
(v) জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
2. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নোট লিখুন।
উত্তরঃ- নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জাতিসংঘ যখন প্রাথমিকভাবে গঠিত হয়, তখন নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং ছয়টি অস্থায়ী সদস্য ছিল। 1963 সালে, অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা দশে উন্নীত করার জন্য জাতিসংঘের সনদ সংশোধন করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা সাধারণ পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত হয়। স্থায়ী সদস্যরা হলো যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। স্থায়ী সদস্যদের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। অতএব, স্থায়ী সদস্য কোনো ইস্যুতে ভেটো দিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।
3. বিশ্ব শান্তির জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আলোচনা কর।
উত্তরঃ- যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 1945 সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থাটি আজ তার 70 তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
এই সময়কালে, জাতিসংঘ অস্থির বিশ্বে শান্তির পরিবেশ আনয়নে এবং আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
গত কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিবেশ দূর করতে চেয়েছে। 1952 সালের জানুয়ারিতে, জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। তারপর থেকে, জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় নিম্নলিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
(i) 1963 সালের আংশিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি;
(ii) 1967 সালে "বাহ্যিক মহাকাশ চুক্তি",
(iii) 1968 সালে "পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি",
(iv) "সমুদ্রভূমি নিয়ন্ত্রণ চুক্তি" সালে
(v) ১৯৭২ চনত “চল্ট-১”(SALT-1 or Strategic Arms Limitation Treaty)
(vi) ১৯৭৯ চনত “চল্ট-২” (SALT-2)
(vii) 1993 "পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি"
(viii) ১৯৯১ আৰু ১৯৯৩ চনত START (Strategic Arms Reduction Treaty)-1 আৰু START-2
(ix) 158টি দেশের মধ্যে 1996 সালে "পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নিষেধাজ্ঞার চুক্তি" (CTBT বা ব্যাপক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার চুক্তি) সমাপ্ত হয়;
এই চুক্তির উপসংহারের মাধ্যমে, জাতিসংঘ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ǀ সম্ভবত জাতিসংঘের সুশাসনের ফলে আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে পেরেছি ǀ
4. ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি নোট লিখুন।
উত্তরঃ- জুন 1993 সালে, ভিয়েনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটি বিশেষ কনভেনশন তার প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে একটি মানবাধিকার কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছিল।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতে 12 অক্টোবর 1993 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মাত্র কয়েকদিন পর, রাষ্ট্রপতি 8 জানুয়ারী জাতীয় মানবাধিকার আইন অনুমোদন করেন এই আইনটি "মানবাধিকার সুরক্ষা আইন" নামে পরিচিত হয়, এই আইনটি রাজ্যগুলিতে মানবাধিকার কমিশনও প্রতিষ্ঠা করে।
কমিশনের চেয়ারম্যান হতে হবে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি। এর অন্যান্য সদস্যরা হলেন-
(i) সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক বা প্রাক্তন বিচারপতি
(ii) একজন বিচারপতি বা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি
(iii) দুই সদস্য হলেন মানবাধিকার বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি
এরা ছাড়াও সংখ্যালঘু কমিশনের সভাপতি, তফসিলি জাতি ও উপজাতির জাতীয় কমিশনের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের সভাপতি সদস্য। সকল সদস্যের কার্যকাল ৫ বছর।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে এবং যথাযথ পদক্ষেপের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
5. মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘে গৃহীত পদক্ষেপ আলোচনা কর।
উত্তরঃ- জাতিসংঘ যেমন বিশ্বের জাতিসমূহের মধ্যে শান্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি বিশ্বের প্রতিটি মানুষ যেন মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে এবং কিছু অধিকার রক্ষা করতে পারে সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিয়েছে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ 48টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে 10 ডিসেম্বর 1948 সালে মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়।
একটি প্রস্তাবনা এবং 30টি প্রবন্ধ সমন্বিত, ঘোষণাটি দুটি প্রধান উদ্দেশ্য পূরণ করে। প্রথমত, ঘোষণাপত্রটি বিশ্বের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় অধিকারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। দ্বিতীয়ত, এই ঘোষণায় নির্ধারিত অধিকারগুলি সদস্য রাষ্ট্রগুলি দ্বারা স্বীকৃত।
এই ঘোষণায় উল্লিখিত অধিকারগুলি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা ও কার্যাবলীকে সীমাবদ্ধ করে। নীতিগতভাবে, কেউ এই অধিকারগুলি উপেক্ষা করতে পারে না। জাতিসংঘের ঘোষণায় স্পষ্ট করা হয়েছে যে দেশের নাগরিকদের এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত করে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব নয়।
অতিরিক্ত এবং প্রশ্নব্যাংক প্রশ্ন উত্তর
1. জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে লেখ। [HSLC '16]
উত্তরঃ- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ হল জাতিসংঘের বৃহত্তম অঙ্গ, যেখানে সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এর কিছু প্রধান ক্ষমতা এবং ফাংশন হল:
নিয়ম এবং নীতি: সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।
বাজেট অনুমোদন: বৈঠকে জাতিসংঘের কার্যাবলীর জন্য বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
রাজ্য সদস্যপদ বিবেচনা: নতুন সদস্য রাষ্ট্রগুলির সদস্যতার জন্য আবেদনগুলি বিবেচনা করে এবং সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্ব সমস্যা নিয়ে আলোচনাঃ তারা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক সমস্যা, শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন।
পড়ুন বিশেষ প্রতিবেদন: সদস্য রাষ্ট্রগুলি থেকে প্রাপ্ত বিশেষ প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করে এবং সিদ্ধান্ত নেয়।
যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রেরিত প্রস্তাবে ভোট দেয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়।
2. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চারটি প্রধান কাজ বর্ণনা কর। [HSLC '15]
উত্তরঃ-জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চারটি প্রধান কাজ হল:
1. মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যালোচনা: কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে প্রতিবেদন চায়।
2. প্রতিবেদন জমা দেওয়া: কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকারের কাছে প্রতিবেদন তৈরি করে এবং জমা দেয়।
৩. জনসচেতনতা সৃষ্টি: কমিশন জনগণের মধ্যে মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করে।
4. সুপারিশ এবং পরামর্শ প্রদান: কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ ও সুপারিশ করে।
এই কার্যক্রমগুলি ভারতে মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৩.জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চারটি প্রধান কার্যের তালিকা কর। [HSLC '12]
উত্তরঃ- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চারটি প্রধান কাজ হল:
1. কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পায়।
2. কমিশন অভিযোগের বিষয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট চায়।
3. কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ ও সুপারিশ করে।
4. কমিশন জনসাধারণের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এই কার্যক্রমগুলি ভারতে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. বিশ্ব শান্তিতে জাতিসংঘের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা কর। [HSLC'22]
উত্তরঃ- বিশ্ব শান্তিতে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত জাতিসংঘ যুদ্ধের ভয়াবহতা দূর করতে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটি আলোচনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে চায়। জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেমন পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি। বিশ্বের জাতিগুলোর মধ্যে যুদ্ধের পরিবেশ দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘের এসব উদ্যোগ বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ অবদান রেখেছে।
5. ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠন ও কার্যকারিতা সংক্ষেপে বর্ণনা করুন। [HSLC'20]
উত্তরঃ- ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন 28 সেপ্টেম্বর 1993 তারিখে রাষ্ট্রপতির একটি অধ্যাদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কমিশনের উদ্দেশ্য মানবাধিকার রক্ষা করা। কমিশনের সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন। সদস্যদের পদের মেয়াদ পাঁচ বছর।
কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে প্রতিবেদন চায়। এটি সরকারকে মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দেয় এবং জাতীয় প্রশাসনকে পর্যবেক্ষণ করে। এইভাবে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতে মানবাধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. জাতিসংঘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? এর মূল লক্ষ্য কি? [HSLC'20]
উত্তরঃ- জাতিসংঘ 24 অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, সমঅধিকার এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যার সমাধান করা।
৭.জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। [HSLC'19]
উত্তরঃ-জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কাউন্সিলে পাঁচজন স্থায়ী সদস্য এবং দশটি অস্থায়ী সদস্য রয়েছে। স্থায়ী সদস্যরা হলো যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নিরাপত্তা পরিষদের নয় সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন। স্থায়ী সদস্যদের ভেটো পদ্ধতির কারণে তাদের সিদ্ধান্তের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এই কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
৮.জাতিসংঘের মহাসচিব কীভাবে নিযুক্ত হন? জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন? [HSLC'19]
উত্তরঃ- জাতিসংঘের মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত হন। মহাসচিবের পদের মেয়াদ 5 বছর, এবং তিনি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারেন। জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন নরওয়ের ত্রিভালদান লি।
9. ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি নোট লিখুন। [HSLC'18]
উত্তরঃ- ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন 12 অক্টোবর গঠিত হয়েছিল এর উদ্দেশ্য হল মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা। কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি। সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন এবং তাদের মেয়াদকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে রিপোর্ট করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
১০. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র কবে গ্রহণ করে? সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য কী? [HSLC '17]
উত্তরঃ-জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ 10 ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়
এই ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হল মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও সম্মান করা।
11. জাতিসংঘের তিনটি উদ্দেশ্য লেখ। [HSLC'06]
উত্তরঃ-জাতিসংঘের তিনটি উদ্দেশ্য হল: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য। সমান অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা।আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা সমাধান করা।
১২. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে কোন তিনটি ক্ষমতা লেখ। [HSLC '10]
উত্তরঃ-জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিনটি ক্ষমতা হল:
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া।
সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করা।
১৩।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুটি প্রধান ক্ষমতা লেখ। [HSLC '11]
উত্তরঃ- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুটি প্রধান ক্ষমতা হল:
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া।
সরকারের কাছে অধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা।
১৪. জাতিসংঘের চার/ছয়টি বিশেষ সংস্থা কী কী?
উত্তরঃ-জাতিসংঘের ছয়টি বিশেষায়িত সংস্থা হল:
১.সাধাৰণ সভা (General Assembly)
2. নিরাপত্তা পরিষদ
3. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
4. ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল
৫.আন্তর্জাতিক ন্যায়ালয় (International Court of Justice)
৬.সচিবালয় (Secretariat)