Chapter 14 -
হে ভারতের শ্রমজীবি
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: কবিতাটির মূল ভাব কী?
উত্তর: কবিতাটি ভারতের শ্রমজীবী মানুষদের সংগ্রাম, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এতে শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২: কবি শ্রমজীবীদের প্রতি কী বার্তা দিতে চান?
উত্তর: কবি শ্রমজীবীদের উদ্দেশ্যে বলতে চান যে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের ফলেই সমাজ ও দেশ গড়ে উঠেছে। তারা যেন কখনো হতাশ না হন এবং নিজেদের শ্রমের মর্যাদা বোঝেন।
প্রশ্ন ৩: শ্রমজীবীদের কঠোর পরিশ্রমের কয়েকটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:
-
কৃষকরা মাঠে কাজ করে আমাদের খাদ্যের যোগান দেন।
-
কলকারখানার শ্রমিকেরা দিনরাত পরিশ্রম করে শিল্প উৎপাদন করেন।
-
নির্মাণ শ্রমিকরা বহুতল ভবন, সেতু, রাস্তা তৈরি করেন।
-
মজুররা দৈনিক কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
প্রশ্ন ৪: সমাজের উন্নয়নে শ্রমজীবীদের ভূমিকা কী?
উত্তর: শ্রমজীবীরা সমাজের উন্নয়নের প্রধান স্তম্ভ। তাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কৃষি, শিল্প, পরিবহন, নির্মাণ, বাণিজ্য, এবং অন্যান্য ক্ষেত্র অচল হয়ে পড়বে। তাদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যায়।
প্রশ্ন ৫: শ্রমের মর্যাদা কেন রক্ষা করা উচিত?
উত্তর: শ্রমিকদের সম্মান না দিলে সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়। তারা দিনরাত কাজ করে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই শ্রমিকদের সঠিক মজুরি, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামাজিক মর্যাদা দেওয়া জরুরি।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ৬: "হে ভারতের শ্রমজীবী" কবিতার ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: কবিতার ভাষা শক্তিশালী, অনুপ্রেরণামূলক ও সংগ্রামী চেতনা জাগ্রতকারী। এতে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৭: শ্রমিকদের কষ্ট কমাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে?
উত্তর:
-
ন্যায্য মজুরি প্রদান করা।
-
কাজের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
-
স্বাস্থ্যসেবা ও বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া।
-
শিশু শ্রম বন্ধ করা।
-
শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
প্রশ্ন ৮: তুমি শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি কীভাবে সম্মান দেখাতে পারো?
উত্তর:
-
তাদের প্রতি সদয় আচরণ করে।
-
তাদের পরিশ্রমের গুরুত্ব বুঝে।
-
তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করে।
-
তাদের সুবিধার জন্য সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন ৯: শ্রমজীবী মানুষের অবদান ছাড়া সমাজের অবস্থা কেমন হতো?
উত্তর: শ্রমজীবী মানুষের অবদান ছাড়া সমাজ অচল হয়ে পড়ত। কৃষকরা ফসল ফলাতেন না, নির্মাণ শ্রমিকেরা রাস্তা, সেতু বানাতেন না, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যেত এবং সভ্যতার অগ্রগতি থমকে যেত।
প্রশ্ন ১০: কবিতাটি পড়ে তোমার কী অনুভূতি হয়েছে?
উত্তর: কবিতাটি পড়ে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জন্মায়। এটি আমাদের তাদের কঠোর পরিশ্রমের মর্যাদা দিতে শেখায় এবং সমাজে তাদের অবদান উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।