Chapter 15 -
মালেগড়
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১: মালেগড় গল্পের মূল ভাব কী?
উত্তর: মালেগড় গল্পটি সামাজিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের উপর ভিত্তি করে রচিত। এতে দেখানো হয়েছে কিভাবে মানুষ ধর্ম, জাতি বা বর্ণভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গে মিলে-মিশে থাকতে পারে।
প্রশ্ন ২: মালেগড় কী এবং এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: মালেগড় একটি পুরনো দুর্গ, যা গ্রামের কাছে অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং গ্রামের মানুষদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।
প্রশ্ন ৩: গল্পের প্রধান চরিত্রদের নাম লেখো।
উত্তর:
গল্পের প্রধান চরিত্রগুলি হলো—
-
রামু
-
আব্দুল
-
গ্রামের অন্যান্য ছেলেমেয়েরা
প্রশ্ন ৪: মালেগড় দুর্গ সম্পর্কে গ্রামের মানুষ কী বিশ্বাস করত?
উত্তর: গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করত যে মালেগড় দুর্গটি অভিশপ্ত এবং সেখানে অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি রয়েছে। অনেকেই এটি ভয়ের চোখে দেখত এবং সেখানে যেতে সাহস করত না।
প্রশ্ন ৫: গল্পটি আমাদের কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর:
-
কুসংস্কার থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দেয়।
-
সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার গুরুত্ব বোঝায়।
-
যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা ও অনুসন্ধিৎসু মনোভাব গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ৬: গল্পের ছেলেরা কেন মালেগড়ে যেতে চেয়েছিল?
উত্তর: গল্পের ছেলেরা কৌতূহলবশত মালেগড়ে যেতে চেয়েছিল, কারণ তারা এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে চেয়েছিল এবং জানতে চেয়েছিল দুর্গটি আসলে কেমন।
প্রশ্ন ৭: মালেগড় গল্পে বন্ধুত্বের কী গুরুত্ব রয়েছে?
উত্তর: গল্পে বন্ধুত্বের বড় ভূমিকা রয়েছে। রামু ও আব্দুল একসঙ্গে দল বেঁধে দুর্গটি দেখার পরিকল্পনা করে, যা তাদের ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক বিশ্বাসের পরিচয় দেয়।
প্রশ্ন ৮: মালেগড় দুর্গকে ঘিরে কুসংস্কার কীভাবে দূর করা যায়?
উত্তর:
-
বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে।
-
যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
-
শিক্ষার প্রচার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলে।
প্রশ্ন ৯: তুমি কি মনে করো, মালেগড় দুর্গের অলৌকিক শক্তির গল্প সত্যি? কেন?
উত্তর: না, এটি শুধুমাত্র মানুষের কুসংস্কার এবং অজ্ঞতার ফল। প্রকৃতপক্ষে, মালেগড় একটি পুরনো দুর্গ যা সময়ের সাথে সাথে ভৌতিক গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
প্রশ্ন ১০: গল্পটি সমাজের জন্য কী বার্তা বহন করে?
উত্তর: গল্পটি আমাদের যুক্তিবাদী হতে শেখায়, অন্ধবিশ্বাস থেকে দূরে থাকতে বলে এবং প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা ও অনুসন্ধানের গুরুত্ব বোঝায়।