Chapter 10 -
মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
1. 1. উত্তর:
(ক) শুঙ্গ রাজবংশের পরে উত্তর ভারতে কোন রাজবংশ শাসন করেছিল?
উত্তৰঃ শুঙ্গ রাজবংশের পর উত্তর ভারতে কানব নামক একটি রাজবংশ রাজত্ব করত।
(খ) সাতবাহনরা ভারতের কোন অংশে রাজত্ব করেছিল?
উত্তৰঃ সাতবাহনরা দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করত।
(গ) কলিঙ্গ রাজ্য এখন কি নামে পরিচিত?
উত্তর কলিঙ্গ রাজ্য এখন উড়িষ্যা নামে পরিচিত।
(d) তিনটি রাজ্য কি কি?
উত্তর চোল, চেরা ও পান্ড্য এই তিনটি রাজ্যকে বলা হয় 'ত্রিরাজ্য'।
(ঙ) কুষাণ রাজবংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন?
উত্তর কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা।
2. 2. উত্তর লিখ:
(ক) সাতবাহনদের রাজত্বকালে কার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক হয়েছিল?
উত্তৰঃ সাতবাহনদের শাসনামলে তারা রোমান সাম্রাজ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
(খ) কনিষ্কের রাজত্বকালে বৌদ্ধধর্মের বিভাজন কি কি ছিল? দুটি নাম উল্লেখ করুন?
উত্তর কনিষ্কের রাজত্বকালে বৌদ্ধধর্ম দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। দুটি বিভাগ রয়েছে: হীনযান এবং মহাযান।
(গ) যৌন সাহিত্যের অন্যান্য ধরনের কি কি?
উত্তৰঃ সঙ্গম সাহিত্য দুই প্রকার এবং সেগুলি হল- নৈতিক ও বর্ণনামূলক।
(d) কুষাণ যুগের দুটি শিল্প ও কারুশিল্পের নাম।
উত্তৰঃ কুষাণ যুগের দুটি শিল্পরূপ রয়েছে: মথুরা শিল্প এবং অমরাবতী শিল্প।
(ঙ) পরবর্তী মৌর্য যুগে ব্যবহৃত দুটি সেচ ব্যবস্থার নাম বল।
উত্তৰঃ মৌর্য-পরবর্তী সময়ে ব্যবহৃত সেচের দুটি ব্যবস্থা ছিল পুকুর এবং কৃত্রিম জলাধার।
(চ) মৌর্যদের পরে গ্রামে কোন পেশার বসবাস ছিল? দুটি পেশার নাম বলুন।
উত্তৰঃ কুমোর, কামার, ছুতোর, কারিগর ইত্যাদি।
3. 3. 3. অংশ A এর সাথে পার্ট B一 মেলান
উত্তৰঃ
4. সঠিক উত্তর চয়ন করুন -
(ক) সাতবাহন রাজ্য জয়দ্রথ / সিমুকে / বাসুদেব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
উত্তৰঃ সিমুকে।
(খ) যবনদের বলা হত শুঙ্গা/ ইন্দো-গ্রীক/ কানবাস।
উত্তৰঃ ইন্দো-গ্রীক।
(গ) গান্ধার শিল্পের প্রধান বিষয় ছিল হিন্দুধর্ম/বৌদ্ধধর্ম/জৈনধর্ম।
উত্তরঃ বৌদ্ধধর্ম।
(d) গন্ডোফর্নিস ছিলেন কুশান/পহলব/শাক রাজবংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা।
উত্তৰঃ পহ্লৱ।
(ঙ) জাতক হৈছে গল্প / কবিতা / উপন্যাস।
উত্তৰঃ গল্প।
5. 5. সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করা
(ক) কাতন্ত্র ছিল সাতবাহনদের আমলের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা।
উত্তৰঃ সত্য।
(b) অশ্বঘোষ শাক রাজদরবারে একজন পণ্ডিত ছিলেন।
উত্তৰঃ অসত্য।
(গ) সঙ্গম সাহিত্য সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল।
উত্তরঃ অসত্য।
(d) মিনান্দার হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
উত্তৰঃ অসত্য।
(ঙ) সোনা রোমান সাম্রাজ্য থেকে প্রাচীন ভারতে আমদানি করা হয়েছিল।
উত্তৰঃ সত্য।
6. 6. নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর সংক্ষিপ্ত নোট লিখুন। (50 শব্দের মধ্যে)
(ক) অর্থনীতি, সমাজ-রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রসঙ্গে কনিষ্কের রাজত্ব বর্ণনা কর।
উত্তৰঃ কুষাণ রাজবংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা কনিষ্ক ছিলেন একজন সাম্রাজ্য বিজেতা। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য কনিষ্ক ভারতের ইতিহাসে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
কণিষ্ক যুগ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় বাণিজ্যে সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছেছিল। ভারতীয় মসলা, গোলমরিচ, চন্দন, হাতির দাঁত এবং হীরা বিদেশে রপ্তানি করা হত। অন্যদিকে সোনা রোমান সাম্রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কনিষ্ক সিন্ধু অঞ্চলে উচ্চমানের রৌপ্য মুদ্রা প্রবর্তন করেন। কুষাণদের বীরত্ব, শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদান এবং জনগণের প্রতি তাদের উদারতার জন্য ভারতের মানুষ বহু বছর ধরে স্মরণ করেছিল।
সাহিত্যে, অশ্বঘোষ, নাগার্জুন, বাসুমিত্র এবং চরকের মতো পণ্ডিতরা কনিষ্কের দরবারকে সুশোভিত করেছিলেন। চরক সংহিতা এই সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা গ্রন্থ। পতঞ্জলির মহাভাষ্য শব্দ, ভাষা ও ব্যাকরণ সংক্রান্ত একটি মূল্যবান গ্রন্থ। গ্রীক, রোমান এবং বৌদ্ধ শিল্পের সমন্বয়ে সম্পূর্ণ ভারতীয় শৈলীতে গড়ে ওঠা গান্ধার শিল্পের প্রতি কনিষ্কের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কনিষ্কের রাজত্বকালে মথুরা ও অমরাবতীর শিল্পও উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিল। কনিষ্ক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন এবং ধর্ম প্রচারের ব্যবস্থা নেন। তার শাসনামলে বৌদ্ধধর্ম দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল, হীনযান এবং মহাযান। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলেও কনিষ্ক অন্যান্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।
(খ) মৌর্য যুগের পর সাধারণ মানুষের জীবনধারা বর্ণনা কর।
উত্তৰঃ মৌর্য-পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে কৃষির প্রসার, নতুন শহর গঠন, শিল্প উৎপাদন ও বাণিজ্য।
সমৃদ্ধ গ্রাম অর্থনীতি এবং শিল্প ও সংস্কৃতির ভিত্তি। গ্রামের সাধারণ মানুষই শুধু কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষিতেও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। নতুন যন্ত্রপাতি ব্যবহার, উন্নত রোপণ পদ্ধতি এবং সেচের মাধ্যমে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, সেচের জন্য নর্দমা, কূপ, পুকুর এবং কৃত্রিম জলাধার ব্যবহার করা হত।
সে সময় দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের গ্রামে গ্রামে অন্তত তিন শ্রেণীর মানুষ বাস করত। দক্ষিণাঞ্চলে তিন শ্রেণীর মানুষ রয়েছে: জমিদার, কৃষক, শ্রমিক বা চাকর। উত্তর ভারতেও তিন শ্রেণীর লোক বাস করত তারা বংশগত গ্রামের প্রধান, তাদের নিজস্ব কৃষি জমি সহ ক্ষুদ্র স্বাধীন কৃষক এবং ভূমিহীন শ্রমিক। গ্রামের প্রধান একজন শক্তিশালী জমিদার ছিলেন। তিনি কখনো বিচারক ও শান্তিরক্ষীর ভূমিকা পালন করেছেন। গ্রামের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বও ছিল তার।
গ্রামের অধিকাংশই কুমোর (কুমোর), কামার (কামার), ছুতোর (ছুতোর), এবং কারিগরদের মতো পেশায় বসবাস করত।