Chapter 22 -
গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
1. 1. উত্তর লেখো-
(ক)
শ্রমের সমতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তৰঃ শ্রমের
সমান মর্যাদা হল লিঙ্গ নির্বিশেষে ব্যক্তি দ্বারা সম্পন্ন কাজের স্বীকৃতি।
(খ)
শ্রমের সমান মূল্য কী নির্দেশ করে?
উত্তৰঃ শ্রমের
সমান মূল্য হল লিঙ্গ নির্বিশেষে একজন ব্যক্তির দ্বারা করা কাজের জন্য ন্যায্য
মূল্য প্রদান।
(c) প্রতিভা
দেবী সিং পাতিল কীভাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন?
উত্তৰঃ প্রতিভা
দেবী সিং পাতিল একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
(d) মামনি
রায়সম গোস্বামী কত বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন?
উত্তৰঃ মামনি
রায়সোম গোস্বামী তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন বয়সে
(ঙ)
কল্পনা চাওলা কোন বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন?
উত্তৰঃ কল্পনা
চাওলা অ্যারোনটিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি।
(f) বাচেন্দ্রী
তার কলেজ জীবনে কোন খেলায় প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন?
উত্তৰঃ কলেজে, বাচেন্দ্রী রাইফেল শুটিংয়ে
প্রথম পুরস্কার জিতেছিলেন।
2. 2। উত্তর লেখো-
(ক) নারী
ও পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক সমতা এবং সহযোগিতা কীভাবে একটি সমাজের উন্নয়নে অবদান
রাখে?
উত্তৰঃ সাম্য
গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ভারতের সংবিধান সমতার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে
স্বীকৃতি দেয়। এই সমতা শব্দটি আমাদের দেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল বিষয়ে সকল মানুষের
সমান অধিকারকে নির্দেশ করে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি নারী-পুরুষের সমতা আমাদের
দেশে তেমন গুরুত্ব পায়নি। আমাদের সমাজের বেশির ভাগই এখনও লিঙ্গ বৈষম্যে নিমজ্জিত।
তবে একটি সমাজ বা দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হলে এ ধরনের বৈষম্যের অবসান
ঘটাতে হবে। সমাজের সকল মেয়ে ও নারী যদি পুরুষের সাথে সমানভাবে তাদের দক্ষতা
প্রকাশের সুযোগ পায় তাহলে সমাজ বা দেশের উন্নতি হবে। রাজনীতি, সামরিক, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, খেলাধুলা সব ক্ষেত্রেই দেশকে
নেতৃত্ব দিয়ে নারীরা আজ তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। নারীর শক্তিকে উপেক্ষা করে
কোনো সমাজই স্বাবলম্বী হতে পারে না। নারী-পুরুষের সমতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা
উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে। দেশ ও দশের কল্যাণে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই
সমানভাবে দায়ী। তাই নারীকে পুরুষের তুলনায় দুর্বল ভাবা উচিত নয়।
(খ)
কীভাবে আমাদের সমাজের বেশিরভাগ অংশ এখনও লিঙ্গ বৈষম্যে নিমজ্জিত?
উত্তৰঃ এটা সত্য
যে আমাদের সমাজের বেশিরভাগ অংশ এখনও লিঙ্গ বৈষম্যে নিমজ্জিত। একটি গৃহে একটি
মেয়ের লেখাপড়া এবং খেলাধুলার উপর আরোপিত বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয় যখন শিশুটি
ছেলে হয়। প্রায়শই, সমাজে
নারীরা যা করে তার জন্য স্বীকৃত হয় না বা তারা যা করে তার ন্যায্য মূল্য দেওয়া
হয় না। আমাদের সমাজে এখনও একটি প্রথা রয়েছে যে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের
গৃহস্থালির কাজে বেশি জড়িত হওয়া উচিত। অন্যদিকে, বাড়ির বাইরের কাজকে আরও শ্রমসাধ্য বলে মনে করা হয়
এবং নারীদের এটির জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না। এছাড়া নারীদের করা কাজের ভাতা
বা মজুরি পুরুষদের তুলনায় কম।
(গ)
সমাজের উন্নয়নে নারীর ভূমিকা কেন অপরিহার্য?
উত্তৰঃ সমাজের
উন্নয়নে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঐতিহ্যগতভাবে, নারীরা সমাজে গৃহস্থালির কাজে
সীমাবদ্ধ ছিল। যাইহোক, সময়ের
সাথে সাথে, শিক্ষা
ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং নারীর সাথে জড়িত সমাজের অনেক ঐতিহ্য পরিবর্তন
হয়েছে। পুরুষদের মতো নারীরাও আজ কৃষি, শিল্প ও সেবায় নিপুণ ভূমিকা পালন করছে। মহিলারা
সাধারণত বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী হয়। তাদের আত্মশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে, তারা তাদের প্রতিভা বিকাশ করতে
পারে এবং সমস্ত বাধা সত্ত্বেও সমাজের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারে।
3. 3. 3. শূন্যস্থান
পূরণ করুন:
(ক) নারী
ও পুরুষ শ্রমের তা
ছাড়া সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
উত্তৰঃ নারী ও
পুরুষের শ্রমের সমমর্যাদা তা ছাড়া
সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
(খ)
সমাজৰ পুরুষের
পাশাপাশি নারীর অবদান অনস্বীকার্য।
উত্তৰঃ সমাজের উন্নতি পুরুষের
মতো নারীর অবদান অনস্বীকার্য।
(গ) গণতন্ত্র
এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
উত্তরঃ
সমতা গণতন্ত্র
অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(d) নারী
সকল পুরুষের সমান এবং
দায়িত্বশীল।
উত্তৰঃ নারী সকল
পুরুষের সমান স্বপ্নদর্শী এবং
দায়িত্বশীল।
(ঙ)
আমাদের সমাজে মেয়েরা ছেলেদের মতোই পরিশ্রমী এবং ।
উত্তৰঃ আমাদের
সমাজে মেয়েরাও ছেলেদের মতোই পরিশ্রমী বুদ্ধিদীপ্ত।