Chapter 9 -

ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা


1. 1. সঠিক/ভুল খুঁজে বের করা:

(a) ভারতে দুই ধরনের মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।

উত্তৰঃ শুদ্ধ।

(b) জনসংখ্যার আকারের দিক থেকে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ।

উত্তৰঃ অশুদ্ধ।

(c) কর্কট বিষুব প্রায় ভারতের মধ্য দিয়ে যায়।

উত্তৰঃ শুদ্ধ।

(d) চা চাষের জন্য দক্ষিণ ভারতের কালো মাটির এলাকা উপযোগী।

উত্তৰঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) চিরসবুজ উদ্ভিদ মরুভূমি অঞ্চলে পাওয়া যায়।

উত্তৰঃ অশুদ্ধ।

2. 2. সঠিক উত্তর চয়ন করুন এবং লিখুন:

 

() দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রশান্ত মহাসাগর/আরব সাগর/লোহিত সাগরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

উত্তৰঃ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আৰৱ সাগৰৰ মাথার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

 

(খ) ভারতের 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল 380/382/324 জন প্রতি বর্গ কিমি।

 

উত্তৰঃ 2011 সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারতের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটার ৩৮২ জন।

(c) পাঞ্জাব/জম্মু-কাশ্মীর/হিমাচল প্রদেশ ফল উৎপাদনে ভারতে প্রথম স্থানে রয়েছে।

উত্তৰঃ ফল উৎপাদনে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতে প্রথম।

(d) চিরহরিৎ/কাঁটাযুক্ত/ভেষজ উদ্ভিদ মরুভূমি অঞ্চলে পাওয়া যায়।

উত্তৰঃ মরুভূমি এলাকায় কাঁটাযুক্ত  গাছপালা পাওয়া যায়।

(ঙ) ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ/মহারাষ্ট্র/উত্তর প্রদেশ।

উত্তৰঃ এটি ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশ

 

3. 3. 3. অংশ A এর সাথে পার্ট B মেলান

‘ক’ অংশ

‘খ’ অংশ


1) মৌসুমী উদ্ভিদ-

1) 200 সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

2. ভেষজ উদ্ভিদ

2. প্রতি বছর 50 সেন্টিমিটারের কম বৃষ্টিপাত।

3. কাঁটাযুক্ত মরুভূমির উদ্ভিদ

3. বার্ষিক বৃষ্টিপাত 50 সেমি থেকে 100 সেমি।

4. চিরসবুজ উদ্ভিদ 

4. বার্ষিক বৃষ্টিপাত 100

4. একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর লিখুন (প্রায় 40 শব্দের মধ্যে)

(ক) জনসংখ্যা হ্রাস ও বৃদ্ধির কারণ কী?

উত্তৰঃ একটি স্থানের জনসংখ্যা সবসময় একই থাকে না। জনসংখ্যা কমে বা বৃদ্ধি পায়। জনসংখ্যার এরূপ হ্রাস বা বৃদ্ধিকে জনসংখ্যা পরিবর্তন বলে। সাধারণত, একটি স্থানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। যাইহোক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ, যুদ্ধ, মহামারী, স্থায়ী বাস্তুচ্যুতি ইত্যাদির কারণে কোনো স্থানের জনসংখ্যা সাময়িকভাবে হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে, কোনো স্থানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি মূলত জন্মহার, মৃত্যুহার এবং অভিবাসনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত জন্মহার মৃত্যুর হারের চেয়ে বেশি হলে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে।

(খ) ভারতের জলবায়ু নির্ধারণের কারণগুলি কী কী?

উত্তৰঃ ভারতের জলবায়ু দেশের বিশালতা, বিভিন্ন ভূগোল, বিষুব রেখা থেকে দূরত্ব, উচ্চতার পার্থক্য, মৌসুমি বায়ু ইত্যাদি দ্বারা নির্ধারিত হয়।

(গ) ভারতে চিরসবুজ উদ্ভিদ কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তৰঃ চিরসবুজ উদ্ভিদ সাধারণত এমন এলাকায় পাওয়া যায় যেখানে বৃষ্টিপাত 200 সেন্টিমিটারের বেশি এবং তাপমাত্রা 25°-27°C এর মধ্যে থাকে। এই বংশের উদ্ভিদগুলি পশ্চিমঘাটের পশ্চিম ঢালে, দক্ষিণ আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, হিমালয়ের দক্ষিণ অংশ, মণিপুর ও মিজোরামের পাহাড়ি অঞ্চল এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে পাওয়া যায়।

(d) ভারতে তুলা চাষের এলাকাগুলি কী কী?

উত্তৰঃ দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের কালো মাটির অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা জন্মে।

 

5. 5. উত্তরটি লিখ: (প্রায় 80টি শব্দে)

(ক) ভারতের জলবায়ুর উপর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব মানচিত্র সহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তৰঃ গ্রীষ্মকালে, সূর্যের রশ্মি বিষুবরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে। এখানে বায়ু উত্তপ্ত হয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। জলীয় বাষ্প ভারী বায়ু ভারত মহাসাগর থেকে এই অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এই বাতাসের একটি স্রোত অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। আরেকটি স্রোত বাংলাদেশের উপর দিয়ে আসামে প্রবেশ করেছে। করমন্ডল, আসাম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আরব সাগরের উপর দিয়ে উত্তরমুখী বায়ুপ্রবাহ পশ্চিমঘাটে আঘাত হানে। এই বায়ু দক্ষিণ ভারতের মালাবার উপকূল, কাঙ্কন উপকূল এবং গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত ঘটায়।

 

(খ) বিভিন্ন ফসলের জন্য বিভিন্ন জলবায়ুর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তৰঃ জলবায়ু বৈশিষ্ট্য এবং মাটির বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ফসল জন্মে। গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর উপত্যকায়, গ্রীষ্মকালে বাতাসের তাপমাত্রা 25 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। বৃষ্টিপাতও 100 সেন্টিমিটারের বেশি। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং আসাম এই অঞ্চলের অন্তর্গত। ধান এই অঞ্চলের প্রধান কৃষিপণ্য। তুলনামূলকভাবে কম বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা সেচের অধীনে প্রচুর ধান উৎপাদন করে। এছাড়াও, উড়িষ্যার মহানদী উপত্যকা, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর মোহনা এবং কেরালায় ধান প্রচুর পরিমাণে জন্মে।

       শুষ্ক জলবায়ু এবং কম বৃষ্টিপাতের কারণে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশে গম প্রধান ফসল। মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গেও গম হয়।

      দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের কালো মাটির অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা জন্মে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশের কিছু অংশে জোড় ও বাজরা জন্মে। দক্ষিণ ভারতের নীলগিরির মাটিতে কফি এবং চা জন্মে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব আসাম, পশ্চিমবঙ্গ এবং দার্জিলিং এর উঁচু ঢালে চা জন্মে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের কিছু অংশে ভুট্টা জন্মে। পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং আসামে ধান ছাড়াও তুলা চাষ হয়। এছাড়াও, মধ্য ভারতের সমস্ত রাজ্যে বিভিন্ন ধরণের ডাল এবং মশলা জন্মে। কমলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি ফল জম্মু ও কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল জুড়ে নারকেল ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।

 

(গ) মৌসুমী উদ্ভিদের কী ধরনের জলবায়ু প্রয়োজন? মৌসুমী উদ্ভিদের উদাহরণ লেখ এবং ভারতে কোথায় পাওয়া যায় তা উল্লেখ কর।

উত্তৰঃ মৌসুমি গাছপালা এমন এলাকায় পাওয়া যায় যেখানে বার্ষিক 100 সেমি থেকে 200 সেমি বৃষ্টিপাত হয় এবং গড় তাপমাত্রা প্রায় 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির কারণে বর্ষাকালেও এই উদ্ভিদ জন্মে। বর্ষাকালে কম বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার কারণে শীতকালে মাটি শুকিয়ে যায় এবং পাতা ঝরে যায়। মৌসুমী উদ্ভিদের উদাহরণ হল শাল, সেগুন, শিম, শিশু, অর্জুন ইত্যাদি।

     এটি আসাম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পূর্ব ঘাট এবং পশ্চিম ঘাট সহ দক্ষিণ মালভূমির পূর্ব অংশে পাওয়া যায়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে কিছু মৌসুমী গাছপালা আছে।

 

(d) ধান চাষের জন্য কী ধরনের জলবায়ুর প্রয়োজন? ভারতের প্রধান ধান চাষকারী রাজ্যগুলির নাম লেখ।

উত্তৰঃ ধান চাষের জন্য, গ্রীষ্মে বাতাসের তাপমাত্রা 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে হওয়া উচিত। বৃষ্টিপাতও 100 সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া উচিত। ভারতের প্রধান ধান উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, আসাম, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উড়িষ্যার মহানদী উপত্যকা, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী মোহনা, কেরালা।

 

(ঙ) ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো আলোচনা কর।

উত্তৰঃ অতিরিক্ত জনসংখ্যা বর্তমান সময়ের একটি জ্বলন্ত সমস্যা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বসতি সমস্যা, বন ও কৃষি জমি হ্রাস, খাদ্য সমস্যা, বেকার সমস্যা, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সমস্যা ইত্যাদি সহ অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।