Chapter 10 -
বীজাণু ও রোগ
পাঠ্যপুস্তকের প্ৰশ্নোত্তর (বঙ্গানুবাদ)
প্রশ্ন ১: বীজাণু কী?
উত্তর: বীজাণু হলো অতি ক্ষুদ্র জীব যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিছু বীজাণু রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ২: রোগ সৃষ্টিকারী বীজাণুর নাম লেখো।
উত্তর: রোগ সৃষ্টিকারী বীজাণুর মধ্যে রয়েছে:
-
ব্যাকটেরিয়া
-
ভাইরাস
-
ফাংগাস
-
প্রোটোজোয়া
প্রশ্ন ৩: বীজাণু কীভাবে ছড়ায়?
উত্তর:বীজাণু সাধারণত বাতাস, জল, খাদ্য, স্পর্শ ও মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রশ্ন ৪: বীজাণু থেকে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে পারি?
উত্তর: আমরা নিম্নলিখিত উপায়ে বীজাণু থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি—
-
নিয়মিত হাত ধোয়া
-
বিশুদ্ধ জল পান করা
-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
-
পচা ও নোংরা খাদ্য না খাওয়া
-
মশারি ব্যবহার করা
অতিরিক্ত প্ৰশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন ১: বীজাণু দেখতে কেমন?
উত্তর: বীজাণু এতটাই ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। সেগুলিকে দেখতে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে হয়।
প্রশ্ন ২: দুটি রোগের নাম লেখো যা বীজাণুর কারণে হয়।
উত্তর:
-
জ্বর (ভাইরাসজনিত)
-
আমাশয় (ব্যাকটেরিয়াজনিত)
প্রশ্ন ৩: ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
-
ব্যাকটেরিয়া একটি এককোষী জীব যা কখনও ভালো আবার কখনও খারাপ হতে পারে।
-
ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে পরজীবী এবং সবসময়ই জীবদেহে ঢুকে রোগ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ৪: বীজাণু ধ্বংস করার জন্য কী করা উচিত?
উত্তর:
-
খাবার ও জল ভালোভাবে ফুটিয়ে নেওয়া
-
সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া
-
টিকা নেওয়া
-
বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা
প্রশ্ন ৫: মশা কীভাবে রোগ ছড়ায়? একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: মশা কারো রক্ত চুষে সেই রক্তে উপস্থিত বীজাণু অন্য ব্যক্তির শরীরে স্থানান্তর করে। যেমন: ডেঙ্গু রোগ ভাইরাসের মাধ্যমে মশার কামড়ে ছড়ায়।