Chapter 9


আমাদের সামাজিক সমস্যা

১. উত্তরটি লেখো—

(ক) সামাজিক সমস্যা কী?

উত্তর: সামাজিক সমস্যা হলো একটি সমাজের মধ্যে এক বা একাধিক সমস্যার সমষ্টি যা সমাজের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। এই সমস্যাগুলি সমাজের বিভিন্ন অংশে ঘটে এবং আর্থিক, নৈতিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক হতে পারে।

(খ) সমাজে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য কোন গুণাবলীর প্রয়োজন?

উত্তর: সমাজে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী হল:

ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সমাজের প্রত্যেকেরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। এই গুণাবলী মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি এবং বিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে।

১️| সহানুভূতি

২️| সহনশীলতা

৩️| ভ্রাতৃত্ব (ভ্রাতৃত্ব)

৪️ |সততা

৫️ |ন্যায়বিচার ও সমতা

৬️ |সহযোগিতা

৭️ |ঐক্য (ঐক্য)

৮️ |দেশপ্রেম

৯️ |মূল্যবোধ ও নীতিশাস্ত্র

১০| শান্তি

(গ) সামাজিক সমস্যাগুলো কী কী?

উত্তর: সামাজিক সমস্যা হলো সমাজের অভ্যন্তরে এমন ত্রুটি যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং সমাজের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। সমাজের দিক অনুসারে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সমস্যা রয়েছে।

🔹 প্রধান সামাজিক সমস্যা:

১️| দারিদ্র্য (দারিদ্র্য)

২️| বেকারত্ব

৩️| শিক্ষার অভাব

৪️ |লিঙ্গ বৈষম্য

৫️ |শিশুশ্রম

৬️ |যৌতুক প্রথা

৭️ |আসক্তি (মাদক ও মদ্যপানের আসক্তি)

৮️ |ধর্মীয় ও বর্ণ বৈষম্য

৯️ |কন্যাভ্রূণহত্যা –

১০| পারিবারিক সহিংসতা (ঘরোয়া সহিংসতা)

১️১️ |অর্থনৈতিক বৈষম্য

১️২️ |পরিবেশ দূষণ

১️৩️ |মানব পাচার

১️৪️ |রাজনৈতিক দুর্নীতি

১️৫️ |প্রযুক্তির অপব্যবহার

(ঘ) সামাজিক সমস্যায় কোন কোন কারণ অবদান রাখে?

উত্তর: সামাজিক সমস্যার মূল কারণগুলি হল:

সামাজিক সমস্যা কখনোই হঠাৎ করে তৈরি হয় না, এর পেছনে বিভিন্ন কারণ বা কারণ থাকে। এই কারণগুলি মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সমাজের কাঠামো এবং বিকাশকে ব্যাহত করে।

১️| শিক্ষার অভাব

২️| দারিদ্র্য (দারিদ্র্য)

৩️| বেকারত্ব

৪️ |লিঙ্গ বৈষম্য

৫️ |কুসংস্কার এবং সামাজিক মানসিকতা

৬️ |ধর্মীয় ও বর্ণ বৈষম্য

৭️ |মাদক ও অ্যালকোহলের প্রতি আসক্তি

৮️ |অতিরিক্ত জনসংখ্যা

৯️ |অপরাধ ও দুর্নীতি

১০| সরকারি নীতিমালা এবং দুর্বল পরিকল্পনা

২. ২. শূন্যস্থান পূরণ করো—

(ক) আমরা সবাই একসাথে থাকি।

(খ) কুসংস্কার হল সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের ভুল ধারণা।

(গ) সমস্যাটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে, এটি সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে।

(ঘ) জনগণের সচেতনতা এবং সহযোগিতা ছাড়া কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

(ঙ) যারা পড়তে বা লিখতে পারে না তাদের মানুষ বলা হয়।

৩. ৩. 'ক' অংশ 'খ' অংশের সাথে মেলাও –

কোন কুসংস্কার নয়               পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে


অন্ধবিশ্বাস, লিংগ-বৈষম্য     শিশুশ্রম তৈরি হয়।

শিশু-শ্রমিক আদি ।

সামাজিক সমস্যা।               এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

উত্তর:

কুসংস্কারের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

কুসংস্কার, লিঙ্গ বৈষম্য, শিশুশ্রম ইত্যাদি। ➝ সামাজিক সমস্যা।

➝ পরিবারের আর্থিক বঞ্চনার কারণে শিশুশ্রমের সৃষ্টি হয়।

৪. ভুল বাক্যগুলো সঠিকভাবে লিখো—

(ক) গাঁও পঞ্চায়েত এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।

উত্তর: ভুল বাক্য

(খ) কুসংস্কার সমাজের ক্ষতি করে।

উত্তর: সঠিক বাক্য

(গ) লিঙ্গ বৈষম্য সমাজের একটি সমস্যা।

উত্তর: সঠিক বাক্য

(ঘ) নিরক্ষরতা সমাজ থেকে কুসংস্কার এবং স্টেরিওটাইপ দূর করতে পারে।

উত্তর: ভুল বাক্য

(ঙ) অর্থের অভাব হলে, শিশুদের অর্থ উপার্জনের জন্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।

উত্তর: ভুল বাক্য

৫. ৫. একটি সংক্ষিপ্তসার লিখুন –

(ক) কুসংস্কার

উত্তর: কুসংস্কার: কুসংস্কার হল এমন একটি বিশ্বাস যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, যা মূলত ভুল ধারণা, কুসংস্কার এবং অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি সাধারণত শিক্ষার অভাব, প্রচলিত সামাজিক ধারণা এবং গোঁড়ামির কারণে ঘটে। কুসংস্কার সমাজের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং কখনও কখনও ক্ষতিকারকও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কালো বিড়াল দেখা অশুভ, গৃহকর্তার দরজায় ধারালো লাঠি রাখলে ভূতের আগমন রোধ করা যায়, ইত্যাদি। শিক্ষার প্রসার এবং বিজ্ঞানমনস্ক মনোভাব কুসংস্কার দূর করতে পারে।

(খ) স্টেরিওটাইপস

উত্তর: কুসংস্কার: কুসংস্কার হলো সমাজে প্রচলিত অআধুনিক, অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক ধারণা বা বিশ্বাস। এটি সাধারণত অশিক্ষা, অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার থেকে জন্মগ্রহণ করে। কুসংস্কার সমাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করে এবং মানুষকে মিথ্যা বিশ্বাসের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রাখে।

🔹 উদাহরণ:

কালো বিড়াল দেখা অশুভ।

গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় এটি বাইরে নেওয়া উচিত নয়।

রাতে বাইরে গেলে ভূত ইত্যাদির কবলে পড়বে।

স্টেরিওটাইপগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

(গ) যৌতুক।

উত্তর: যৌতুক: যৌতুক হল বিয়ের সময় বর-কনের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না, জিনিসপত্র ইত্যাদি দাবি করার একটি প্রথা। এই প্রথা সমাজের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা, যা বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন এবং বৈষম্য তৈরি করে।

🔹 যৌতুকের পরিণতি:

এতে কনের পরিবারের অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে যায়।

নারীরাই নির্যাতন এবং পারিবারিক সহিংসতার কারণ।

কন্যারা অবহেলিত।

যৌতুক অবৈধ, এবং ভারতে ১৯৬১ সালের "যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন" অনুসারে, যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া উভয়ই অপরাধ। সমাজে এই কুপ্রথা বন্ধে সচেতনতা এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

৬. ৬. সামাজিক সমস্যা সমাধানে ঐক্যের ভূমিকা সম্পর্কে লেখ।

উত্তর: সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা যেমন দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, বেকারত্ব, লিঙ্গ বৈষম্য, স্টেরিওটাইপ এবং শিশুশ্রম সমাধানের জন্য ঐক্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ শক্তিশালী এবং সমস্যা মোকাবেলায় আরও সক্ষম।

🔹 ঐক্যের ভূমিকা:

সচেতনতা বৃদ্ধি: একতা সমাজের সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সাহায্য করে।

সহযোগিতা এবং সহানুভূতি: মানুষ যখন একসাথে কাজ করে তখন যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম: দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্য সংগ্রামের সাহস জোগায়।

উন্নয়ন কর্মসূচি সফল করা: ঐক্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্যানিটেশনের মতো সামাজিক উদ্যোগগুলিকে সফল করে তোলে।

শান্তি ও স্থিতিশীলতা: সমাজে ঐক্য থাকলে দ্বন্দ্ব, বৈষম্য এবং বিশৃঙ্খলা হ্রাস পায়।