অধ্যায় 5
ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ
--------------------------------------------
[MCQs]
a) গাঙ্গেয় বদ্বীপ
অঞ্চলে
b) উপকূল অঞ্চলে
c) হিমালয় পার্বত্য অনঞ্চলে ✔
d) দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চলে
2. পান্থপাদপ গাছ বেশি দেখা যায়-
a) থর মরুভূমিতে ✔
b) হিমালয় পর্বতে
c) সুন্দরবনে
d) মধ্যপ্রদেশে
a) সুন্দরবন
b) ডুয়ার্স
c) ভিতরকণিকা ✔
d) সিমলা
4. ভারতীয় সাভানা বলা হয়-
a) শুষ্ক পর্ণমোচী উদ্ভিদকে ✔
b) আর্দ্র পর্ণমোচী উদ্ভিদকে
c) ক্রান্তীয় মর্ উদ্ভিদকে
d) চিরসবুজ উদ্ভিদকে
5. যে অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছ দেখা যায়, সেখানে সারাবছর মাটি
a) শুষ্ক থাকে
b) আর্দ্র থাকে ✔
c) বালিপূর্ণ থাকে
d) লবণাক্ত থাকে
a) দেরাদুনে ✔
b) যোধপুরে
c) পরেশনাথে
d) নাগপুরে
b) ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
c) পাতাঝরা উদ্ভিদ ✔
d) সরলবর্গীয় উদ্ভিদ
8. ভারতে লম্বা ও ছুঁচোলো প্রকৃতির গাছ দেখা যায়-
a) সুন্দরবনে
b) রাজস্থানের মরু অঞ্চলে
c) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে ✔
d) দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চলে
9. জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম দেখা যায়-
a) সরলবর্গীয় উদ্ভিদে
b) মরু উদ্ভিদে
c) ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদে ✔
d) পর্ণমোচী উদ্ভিদে
10. চন্দন গাছ জন্মায়-
a) চিরহরিৎ অরণ্যে
b) সরলবর্গীয় অরণ্যে
c) পর্ণমোচী অরণ্যে ✔
d) ম্যানগ্রোভ অরণ্যে
11. পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে বেশিরভাগ জায়গায় লক্ষ করা যায়
a) চিরহরিৎ উদ্ভিদ
b) পর্ণমোচী উদ্ভিদ ✔
c) ক্যাকটাস
d) ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
▶ 4000 মিটারের বেশি উচ্চতায়
▶ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ
3. ভারতে কোন্ সালে জাতীয় বননীতি গ্রহণ করা হয়?
▶ 1952 সালে
4. রডোডেনড্রন কোন্ প্রকার অরণ্যের উদ্ভিদ?
▶ আল্পীয় উদ্ভিদ
5. পাইন, ফার কী প্রকার উদ্ভিদ?
▶ সরলবর্গীয় উদ্ভিদ
6. ভারতের কেন্দ্রীয় অরণ্য গবেষণাগারটি কোথায় অবস্থিত?
▶ দেরাদুনে
7. পৃথিবীর মোট ভূমিভাগের কত শতাংশ ভারতে আছে?
▶ প্রায় এক শতাংশ
8. সুন্দরলাল বহুগুণা কোন্ পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত?
▶ চিপকো আন্দোলন
10. কৃষির সাথে বনভূমি গড়ে তোলাকে কী বলে?
▶ কৃষি বনসৃজন
উত্তর: ভারতের শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যের বৈশিষ্ট্য: শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য হল-① ঘাস, গুল্ম এবং ছড়ানো ছিটানো কিছু পাতাঝরা গাছ, যেমন-পলাশ, কুল, শিরীষ প্রভৃতি নিয়ে তৈরি হয়েছে শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য অর্থাৎ এই অরণ্য হালকা প্রকৃতির হয়। শীতকালে বৃক্ষ-জাতীয় গাছগুলির পাতা ঝরে যায় এবং অধিকাংশ তৃণ-জাতীয় উদ্ভিদ শুকিয়ে যায় বলে অরণ্য হালকা ও ফাঁকা হয়ে যায়। ② অরণ্যের গাছগুলির উচ্চতা কম, সাধারণত 10 মিটারের বেশি উঁচু হয় না এবং সেগুলি এলোমেলোভাবে বাড়ে।
2. জলবায়ু কীভাবে ভারতের ক্রান্তীয় চিরসবুজ উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: ভারতের ক্রান্তীয় চিরসবুজ অরণ্যের ওপর জলবায়ুর প্রভাব: ① ভারতের যেসব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 200 সেমির বেশি, গড় উন্নতা 27 °সে এবং বছরে 8-9 মাস বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি থাকে, সেখানে চিরসবুজ উদ্ভিদের গভীর অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে। ② বেশি বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার জন্য মাটি সবসময় ভিজে থাকে বলে গাছের কখনও জলের অভাব হয় না। তাই গাছের পাতাগুলিও সব একসঙ্গে ঝরে পড়ে না অর্থাৎ গাছে সবসময় সবুজ পাতা থাকে এবং তাই এই বনভূমি চিরসবুজ
প্রকৃতির। (3) এ ছাড়া, উয় ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য এই অরণ্যের গাছগুলি দ্রুত বাড়ে, গাছের পাতাগুলি বড়ো হয় এবং চারপাশে শাখাপ্রশাখা এমনভাবে প্রসারিত হয় যে সেগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে চাঁদোয়ার আকার ধারণ করে, যার মধ্যে দিয়ে ভূমিতে সূর্যের আলো এসে পৌঁছাতে পারে না। ফলে অরণ্যের অভ্যন্তরে একটা অন্ধকারময় পরিবেশ বিরাজ করে।
উত্তর: ধারণা: মধ্য এবং দক্ষিণ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে 1500 মিটারের বেশি উচ্চতায় আর্দ্র নাতিশীতোয় উদ্ভিদ জন্মায়। এই বনাঞ্চলকে স্থানীয়ভাবে শোলা বনভূমি বলে। এই বনভূমিতে সিঙ্কোনা, এলম, বার্চ, লরেল প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
উত্তর: ভারতের অরণ্য গবেষণাগার: ভারতের প্রধান অরণ্য গবেষণাগারটি রয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। এ ছাড়া, রাজস্থানের যোধপুর, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে অরণ্য গবেষণাগার রয়েছে। আর হিমালয় পার্বত্য বনভূমি গবেষণা কেন্দ্র আছে হিমাচল প্রদেশের সিমলায়।
উত্তর: ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শ্বাসমূল সৃষ্টির কারণ: ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৃক্ষগুলি নদী মোহানার সূক্ষ্ম কাদাযুক্ত পলিমাটিতে জন্মায়। এই মাটিতে ৭ সচ্ছিদ্রতার পরিমাণ খুব কম। এ ছাড়া, এই মাটি বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের লবণাক্ত জলে প্লাবিত থাকে। তাই বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণের জন্য উদ্ভিদের মূলগুলি মাটির ওপরে শ্বাসমূল হিসেবে উঠে আসে।
6. স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংজ্ঞা: কোনো স্থানের নির্দিষ্ট বৃষ্টিপাত, উন্নতা ও মৃত্তিকার প্রভাবে কোনোরূপ পরিচর্যা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে যে উদ্ভিদ জন্মায় ও বড়ো হয়, তাকেই বলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ। এই স্বাভাবিক উদ্ভিদই বনভূমি বা অরণ্য তৈরি করে।
উত্তর: হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভিদের বৈচিত্র্য বেশি হওয়ার কারণ: হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমিতে উন্নতা এবং উচ্চতা উভয়েরই প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। যেহেতু উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উয়তা এবং বৃষ্টিপাত কমে যায়, তাই হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভিদের চারিত্রিক পরিবর্তন দেখা যায়।
উত্তর: ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৈশিষ্ট্য: Topic-F-র দীর্ঘ উত্তরধর্মী 1নং প্রশ্নের উত্তরের 'ম্যানগ্রোভ অরণ্য'র 'বৈশিষ্ট্য' শীর্ষক অংশের যে-কোনো দুটি পয়েন্ট লেখো।
উত্তর: ধারণা: প্রধানত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের প্রয়োজনীয় কাঠ, ফলমূল, পশুখাদ্য ও অন্যান্য বনজ দ্রব্যের চাহিদা পূরণ করতে যখন নির্ধারিত অরণ্যসীমার বাইরে, অব্যবহৃত জমি বা পতিত জমিতে (যেমন-খাল ও নদী পাড়ের জমি, বিদ্যালয়, অফিস, ধর্মস্থান প্রভৃতির উন্মুক্ত জায়গা, রেল ও সড়কপথের দু-পাশের ফাঁকা জমি প্রভৃতি স্থানে) অরণ্য সৃষ্টি করা হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
উত্তর: ভারতের নাতিশীতোয় পর্ণমোচী অরণ্যের অবস্থান: পূর্ব হিমালয়ের 1000-2500 মিটার উচ্চতায় ও পশ্চিম হিমালয়ের 500-2000 মিটার উচ্চতায় পার্বত্য ঢালে নাতিশীতোয় পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায়। এই অরণ্যের প্রধান উদ্ভিদগুলি হল ওক, ম্যাপল, সিডার, ওয়ালনাট প্রভৃতি।
11. অরণ্য সংরক্ষণ কাকে বলে?
উত্তর: ধারণা: অরণ্য সংরক্ষণ বলতে বোঝায়, যথেচ্ছভাবে ও নির্বিচারে গাছ না কেটে এমনভাবে বিচারবিবেচনা করে ও সংযতভাবে অরণ্য ব্যবহার করা যাতে অরণ্যের সম্ভাব্য বিকাশ পরিপূর্ণ হয় এবং তার ফলে যেমন বর্তমানে অরণ্য সম্পদের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, তেমন ভবিষ্যতেও প্রয়োজনমতো অরণ্যজাত দ্রব্যগুলি পাওয়া যাবে।
Editing By- Lipi Medhi