অধ্যায় 2
বায়ুমণ্ডল
MCQs
1. ঋতুপরিবর্তন দেখা যায় না-
a) ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুতে
b) নিরক্ষীয় জলবায়ুতে ✔
c) চিনদেশীয় জলবায়ুতে
d) উয়-মরু জলবায়ুতে
2. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে যে সময় বৃষ্টিপাত হয়, সেটি হল-
a) গ্রীষ্মকালে
b) বর্ষাকালে
c) শীতকালে ✔
d) বসন্তকালে
3. চিনদেশীয় জলবায়ু বিরাজ করে প্রদত্ত যে স্থানে-
a) মরক্কোতে
b) অস্ট্রেলিয়ার পার্থে
c) অস্ট্রেলিয়ার পূর্বভাগে ✔
d) ভারতে
4. যে লেখচিত্রের উয়তার নির্দেশক রেখাটি উত্তল, সেটি অবশ্যই যে গোলার্ধের হবে, তা হল-
a) উত্তর গোলার্ধ ✔
b) দক্ষিণ উত্তর
c) পূর্ব গোলার্ধ
d) পশ্চিম গোলার্ধ
5. সারাবছর উয়তা বেশি এবং সামান্য বৃষ্টিপাতের লেখচিত্র থেকে বোঝা যায় সেটি যে জলবায়ু অঞ্চলের লেখচিত্র, তা মরু জলবায়ু হল-
a) নিরক্ষীয় জলবায়ু
b) মরু জলবায়ু ✔
c) মৌসুমি জলবায়ু
6. নিরক্ষীয় অঞ্চলে যে ধরনের বৃষ্টিপাত হয়, তা হল-
a) পরিচলন বৃষ্টিপাত ✔
b) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত
c) ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত
d) কোনোটিই নয়
7. চেরাপুঞ্জিতে কোন্ ধরনের বৃষ্টিপাত হয়?
a) পরিচলন বৃষ্টিপাত
b) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ✔
c) ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত
d) শিলাবৃষ্টি
8. মানচিত্রে সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলিকে যে রেখার সাহায্যে দেখানো হয়, তাকে বলা হয়-
a) সমোয়রেখা
b) সমবর্ষণরেখা ✔
c) সমপ্রেষরেখা
d) সমোচ্চরেখা
9. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রকৃতি হল-
a) উয় নাতিশীতোয় শীতল ✔
b) শীতল নাতিশীতোয়
c) আর্দ্র নাতিশীতোয়
d) উয় মরু প্রকৃতির
10. পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় যে বৃষ্টিপাত হয়, তা হল একধরনের
a) পরিচলন বৃষ্টিপাত
b) ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত ✔
c) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত
11. বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে বাষ্পীভবনের হার
a) বেশি হয়
b) কমে যায় ✔
c) একই থাকে
d) কোনো প্রভাব ফেলে না
12. বায়ুর উয়তা বেড়ে গেলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণের ক্ষমতা
a) বেড়ে যায় ✔
b) কমে যায়
c) একই থাকে
d) মাঝারি হয়
Very Short Answer Question
1. একটি তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের নাম করো।
▶ গ্রিনল্যান্ডের উপকূলভাগ
2. আকাশ সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন হলে আমরা কেমন চিহ্ন দিয়ে বোঝাই?
► চিহ্ন দিয়ে
3. উয়তা নির্দেশক বক্ররেখাটি অবতল হলে তা কোন্ গোলার্ধকে নিত করে?
► দক্ষিণ গোলার্ধকে
4. ভারতের বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত কোন্ শ্রেণির?
► শৈলোৎক্ষেপ শ্রেণির
5. শুষ্ক গ্রীষ্ম ঋতু কোন্ জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য?
▶ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর
6. প্রতি একক ভর বায়ুতে কত ওজনের জলীয় বাষ্প রয়েছে তার পরিমাণকে কী বলে?
▶ বিশেষ আর্দ্রতা
7. আপেক্ষিক আর্দ্রতা কোন্ এককে প্রকাশ করা যায়?
▶ আপেক্ষিক আদ্রতা শতকরা হারে প্রকাশ করা হলেও এটি এককবিহীন
9. পৃথিবীর সর্বাধিক বিশেষ আর্দ্রতা রয়েছে কোথায়?
▶ নিরক্ষীয় অঞ্চলে
10. শিলং শহর পাহাড়ের কোন্ ঢালে অবস্থিত?
▶ অনুবাত ঢালে
11. বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদন প্রক্রিয়াকে একত্রে কী বলে?
▶ বাষ্পীয় প্রস্বেদন
12. মাটির ভিতরে সঞ্চিত জলকে কী বলে?
▶ভৌমজল
13. বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকলে বাষ্পীভবনের হার কেমন হ
▶ বেড়ে যায়
14. বায়ুর ঘনীভবনের একটি উদাহরণ দাও।
▶ শিশির
Short Answer Question
1. সম্পৃক্ত বায়ু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প গ্রহণ করতে পারে। যখন কোনো নির্দিষ্ট উন্নতার বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছোয়, তখন সেই বায়ুকে সম্পৃক্ত বা পরিপৃক্ত বায়ু বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য: (i) উন্নতা হ্রাস ও জলীয় বাষ্প ধারণা ক্ষমতা: পরিপৃক্ত বায়ুর উন্নতা কমে গেলে ওই বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তখন অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ সৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত ঘটে।
(ii) উয়তা বৃদ্ধি ও জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা: সম্পৃক্ত অবস্থায় বায়ুর উন্নতা বৃদ্ধি পেলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
2. শিশিরাঙ্ক কী?
উত্তর: ধারণা: যে উন্নতায় আর্দ্র বায়ুর জলীয় বাষ্প জলকণায় পরিণত হয়, ওই উন্নতাকে শিশিরাঙ্ক বলে। অর্থাৎ যে বিশেষ উয়তায় বায়ু সম্পৃক্ত অবস্থায় পৌঁছোয় বা বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা হয় 100% সেই উন্নতাকে বলা হয় শিশিরাঙ্ক।
বৈশিষ্ট্য: (i) সম্পৃক্ততা: এই উয়তায় জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সম্পৃক্ত হয়।
(ii) শিশিরের উৎপত্তি: বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে পৌঁছোলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশিরে পরিণত হয়।
3. আপেক্ষিক আর্দ্রতার গুরুত্ব কী?
3. আপেক্ষিক আর্দ্রতার গুরুত্ব কী?
উত্তর: আপেক্ষিক আর্দ্রতার গুরুত্ব: বায়ুতে আপেক্ষিক আর্দ্রতার বিশেষ গুরুত্ব আছে, যেমন-
(i) অধঃক্ষেপণ বুঝতে: তুষারপাত, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির সম্ভাবনা বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা থেকে বোঝা যায়।
(ii) তাপ বিকিরণের হার জানতে: ভূপৃষ্ঠের তাপ বিকিরণের হারও আপেক্ষিক আর্দ্রতা থেকে জানা সম্ভব। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হলে তাপ বিকিরণ হ্রাস পায়।
(iii) বাষ্পীভবনের হার নির্ণয়ে: বাষ্পীভবনের হারও আপেক্ষিক আর্দ্রতার ওপর নির্ভর করে।
4. অধঃক্ষেপণ কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: বায়ুমণ্ডলে ঊর্ধ্বগামী বায়ুমধ্যস্থ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তরল (জলকণা) ও কঠিন (তুষার বা বরফ) হিসেবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির - টানে পৃথিবীপৃষ্ঠে পতিত হলে, তাকে অধঃক্ষেপণ বলা হয়।
প্রকারভেদ: (i) তরলরূপে অধঃক্ষেপণ-বৃষ্টিপাত ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি,
(ii) কঠিনরূপে -অধঃক্ষেপণ- তুষারপাত, শিলাবৃষ্টি, স্লিট প্রভৃতি।
5. বায়ুর আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর:ধারণা: জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বলে আর্দ্র বায়ু। আর্দ্র বায়ুর সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা সম্পূর্ণ হলে, তাকে সম্পৃক্ত বায়ু এবং অসম্পূর্ণ থাকলে, তাকে অসম্পৃক্ত বায়ু বলা হয়। বায়ুর এই আর্দ্রতা তিনভাবে প্রকাশ করা হয়-
(i) চরম আর্দ্রতা, (ii) আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং (iii) বিশেষ আর্দ্রতা।
6. বিশেষ আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: নির্দিষ্ট ভরের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত উপস্থিতির ভরকে বিশেষ আর্দ্রতা বা আর্দ্রতার গুণাঙ্ক বলে।
বৈশিষ্ট্য:① বিশেষ আর্দ্রতার মাধ্যমে জলীয় বাষ্পের ভর (গ্রাম) ও বায়ুর ভরের (কিলোগ্রাম) ২য় সম্পর্ককে প্রকাশ করা হয়।
② প্রতি কিলোগ্রাম বায়ুতে যত গ্রাম জলীয় আজাব বাষ্প থাকে তার ওজনের দ্বারা বিশেষ আর্দ্রতা প্রকাশ করা হয়। যেমন-দিনের কোনো এক বিশেষ সময়ে 1000 গ্রাম বা 1 কিলোগ্রাম বায়ুতে বিদ্যমান জলীয় বাষ্পের ওজন 15 গ্রাম হলে, সেই সময়ের ওই বায়ুর - বিশেষ আর্দ্রতা হল 15 গ্রাম/কিলোগ্রাম। বায়ুতে বিদ্যমান জলীয় বাষ্পের ওজন 15 গ্রাম হলে, সেই সময়ের ওই বায়ুর - বিশেষ আর্দ্রতা হল 15 গ্রাম/কিলোগ্রাম।
7. অপরিপূক্ত বা অসম্পৃক্ত বায়ু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে তার ধারণ ক্ষমতার তুলনায় কম জলীয় বাষ্প থাকলে, সেই বায়ুকে অপরিপৃক্ত বা অসম্পৃক্ত বায়ু বলা হয়। পরিপৃক্ত বা সম্পৃক্ত বায়ুর উন্নতা হঠাৎ বেড়ে গেলে তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও বেড়ে যায়, ফলে ওই বায়ু তখন অপরিপৃক্ত বা অসম্পৃক্ত হয়ে যায়।
৪. মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: মেঘ সৃষ্টির পদ্ধতি: জলীয় বাষ্প হালকা বলে সহজেই ওপরে উঠে যায়। ওপরে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয় এবং ধূলিকণা, কয়লার কণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়ে বায়ুতে ভেসে বেড়ায়। বায়ুতে ভাসমান এই জলকণা ও তুষারকণার সমষ্টির নাম মেঘ। মেঘ সৃষ্টিকারী এইসব জলকণা বা তুষারকণা অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয়, যাদের গড় ব্যাস মাত্র মিলিমিটার বা 100 0.01 মিলিমিটার। তাই এগুলি অতি সহজেই মেঘ হিসেবে ভেসে বেড়ায়।
9. তুষারপাত বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: ঊর্ধ্বাকাশে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার সময় যদি বায়ুর উন্নতা হিমাঙ্কের (০°সে) নীচে নেমে যায়, তাহলে জলকণাসমূহ তুষারে পরিণত হয়। মাধ্যাকর্ষণের টানে এই তুষার ভূপৃষ্ঠে নেমে এলে তুষারপাত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তুষার নীচে পড়ার সময় উয় বায়ুর সংস্পর্শে আসে বলে গলে যায় এবং বৃষ্টি হিসেবেই মাটিতে পড়ে। তবে উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে বা শীতপ্রধান অঞ্চলের বায়ু খুব শীতল বলে ওপরের তুষার পেঁজাতুলোর মতো ঝিরঝির করে পড়ে।
10. শিলাবৃষ্টি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: ঊর্ধ্বাকাশে প্রবল ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর মাধ্যমে মেঘ বা বৃষ্টির জলকণাসমূহ অনেক উঁচুতে খুব শীতল স্থানে উঠে যায়। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ওই জলকণাসমূহ জমাট বেঁধে ছোটো ছোটো বরফের টুকরোয় পরিণত হয়। বরফের টুকরোগুলি আয়তনে বেশ বড়ো হলে বা বায়ুর বেগ কমলে ওই বরফের টুকরোগুলি আরও জলকণা সংগ্রহ করে আয়তনে বেড়ে যায় এবং বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে ঝরে পড়ে। একেই বলা হয় শিলাবৃষ্টি।
11. গুড়িগুড়ি বৃষ্টি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংজ্ঞা: অনেকসময় সমান আয়তনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা (ব্যাস 0.5 মিলিমিটারেরও কম) বিরামহীনভাবে নিম্বো্যাটাস ও স্ট্র্যাটোকিউমুলাস মেঘ থেকে ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়ে। দেখলে যেন মনে হয় জলকণাগুলি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। একেই বলা হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
বৈশিষ্ট্য: ① বর্ষাকালে মাঝে মাঝে এই ধরনের বৃষ্টি হয়। ② জলকণাগুলি ময়দাকণার মতো বাতাসে ভেসে বেড়ায়।
12. অতিপৃক্ত বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: ধারণা: কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় সম্পৃক্ত বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকা প্রয়োজন, কোনো বিশেষ অবস্থায় যদি ওই বায়ুতে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে, তাহলে সেই বায়ুকে অতিপৃক্ত বায়ু বলে। বায়ুতে যথেষ্ট পরিমাণে কঠিন পদার্থ বা অ্যারোসল না থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
13. বৃষ্টিপাত কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর: বৃষ্টিপাতের প্রকারভেদ: আকাশের মেঘ ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি অনুযায়ী একে তিনভাগে ভাগ করা যায়- ① পরিচলন বৃষ্টিপাত, ② শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং ও) ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত।
14.উয়তা হ্রাসের স্বাভাবিক হার কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: সূর্যতাপে প্রথমে ভূপৃষ্ঠ উয় হয় এবং তারপর ওই ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপে বায়ুমণ্ডল উন্ন হয়। এজন্য ভূপৃষ্ঠ থেকে ক্রমশ ওপরের দিকে অর্থাৎ উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উয়তা হ্রাস পায়। বায়ুমণ্ডলের একেবারে - নীচের অংশ অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে উচ্চতা বাড়ার সাথে উন্নতা হ্রাসের এই হার প্রতি কিমিতে 6.4°সে উন্নতা কমতে থাকে। একে স্বাভাবিক উন্নতা হ্রাসের হার বলে।
15. ওজোনস্তর ধ্বংসকারী গ্যাসগুলির নাম লেখো।
উত্তর: ওজোনন্তর ধ্বংসকারী গ্যাস: ওজোনস্তর ধ্বংসকারী গ্যাসগুলি । হল- ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC), হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড (CCI), মিথাইল ব্রোমাইড (CH₃Br), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), মিথেন (CH₄) প্রভৃতি।
16. সমতাপ অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: থার্মোস্ফিয়ারের ওপরের স্তরে তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় সমান থাকে বা স্থির থাকে। অর্থাৎ এই স্তরে তাপমাত্রার বিশেষ কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তাই এই অঞ্চলকে সমতাপ অঞ্চল বলে। এ ছাড়া, ট্রপোপজ, স্ট্র্যাটোপজ, মেসোপজ স্তরগুলিতেও সমান তাপমাত্রা বিরাজ করে।
17. উয় এবং শীতল সীমান্ত কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: নাতিশীতোয়মণ্ডলে দুটি ভিন্নধর্মী বায়ুপুঞ্জ যখন পরস্পরের দিকে মুখোমুখি এগিয়ে আসে, তখন উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং সংঘর্ষ সীমান্তে উয় বায়ু যেখানে শীতল বায়ুর মধ্যে বেঁকে প্রবেশ করে সেই সীমান্তকে উয় সীমান্ত বলে। আর উয় বায়ুপুঞ্জের পিছনে যেখানে শীতল বায়ু এসে উন্ন বায়ুকে আঘাত করে সেই সীমান্তকে শীতল সীমান্ত বলে।
18. অকুসান বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: নাতিশীতোয় অঞ্চলে ঘূর্ণবাতের এমন একটি পর্যায় যখন শীতল সীমান্ত, উয় সীমান্তের চেয়ে বেশি দ্রুত এগোতে থাকে এবং শীতল সীমান্ত খুব তাড়াতাড়ি উয় সীমান্তকে ধরে ফেলে। এই সময় মধ্যবর্তী উন্ন বায়ু ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠে যায়। এই অবস্থাকে অক্রুসান বলে।
19. দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি উয় মরুভূমির নাম বলো।
উত্তর: দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি উয় মরুভূমি: দক্ষিণ গোলার্ধের দুটি উন্ন মরুভূমি হল-পেরু-চিলির আটাকামা মরুভূমি ও অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অস্ট্রেলীয় মরুভূমি।
20. আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও উয়তার সম্পর্ক কী?
উত্তর: আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও উয়তার সম্পর্ক: আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও উয়তার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ যদি বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্থির থাকে তাহলে, বায়ুর উয়তা বাড়লে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। তাই আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে যায়। আবার বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্থির থেকে বায়ুর উয়তা কমে গেলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে। ফলে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ে। যেমন-ভোরবেলায় যখন বায়ুর উয়তা সবথেকে কম হয় তখন আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ হয়। অন্যদিকে, দিনের মধ্যভাগে ও বিকালবেলা যখন উয়তা সর্বোচ্চ হয়
তখন আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বনিম্ন হয়।
21. বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতিগুলি বলো।
উত্তর: বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতিসমূহ: Topic-B-র দীর্ঘ উত্তরধর্মী 3 নং প্রশ্নের উত্তরটি সংক্ষেপে লেখো।
22. ইনসোলেশন কী?
উত্তর: ধারণা: ইংরেজিতে incoming solar radiation-কে সংক্ষেপে ইনসোলেশন (insolation) বলে। সূর্য থেকে বিকিরিত শক্তির প্রায় 200 কোটি ভাগের এক ভাগ ক্ষুদ্র আলোকতরঙ্গরূপে পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয়। এই ক্ষুদ্র আলোকতরঙ্গকে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বা আগত সৌর বিকিরণ বা ইনসোলেশন বলে।
23. অ্যালবেডো কী?
উত্তর: সংজ্ঞা: সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত মোট সৌর বিকিরণের উ শতকরা 35 ভাগ (ভিন্ন মতে 34 ভাগ) বৃহৎ তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় এবং এর দ্বারা ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে না। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে।
24. অ্যালবেডোর 35% সৌরকিরণ কার মাধ্যমে, কত পরিমাণে প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়?
উত্তর: পৃথিবীর অ্যালবেডোর বিভাজন: পৃথিবীর 35 শতাংশ হ অ্যালবেডোর মধ্যে 27 শতাংশ মেঘপুঞ্জ থেকে, 6 শতাংশ বায়ুমণ্ডল থেকে এবং 2 শতাংশ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়।
25. মেঘাচ্ছন্নতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: মেঘাচ্ছন্নতা বলতে আকাশে মেঘের আবরণের পরিমাণকে বোঝায়। একক: মেঘাচ্ছন্নতা হিসাব করা হয় অক্টাস (oktas) নামক এককে। বিভিন্ন প্রতীকচিহ্নের সাহায্যে আকাশে মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাণ প্রকাশ করা হয়।
26. আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ণয়ের সূত্রটি কী?
উত্তর: আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্ণয়ের সূত্র: আপেক্ষিক আর্দ্রতা নির্দিষ্ট উয়তায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের মোট পরিমাণ (চরম আর্দ্রতা)সম উয়তায় সমপরিমাণ বায়ুতে সর্বাধিক জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা× 100
27. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: ধারণা: আর্দ্র বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে প্রচুর পরিমাণে। (শৈলোৎক্ষেপ) বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছোয় তখন সেখানে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। পর্বতের অনুবাত ঢালে অবস্থিত ওই স্বল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত এলাকাকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
পর্বতের অনুবাত চালে বৃষ্টিচ্ছায় অল্প গড়ে ওঠার কারণ: অনুবাত ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল সৃষ্টি হওয়ার কারণ-
(i) জলীয় বাষ্পের অভাব: পর্বত অতিক্রম করে বায়ু যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছোয় তার মধ্যে জলীয় বাষ্প কমে যায়, ফলে বৃষ্টিপাত হয় না।
(ii) আপেক্ষিক আর্দ্রতার হ্রাস: পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচে নামে বলে ওই বায়ুর উন্নতা ও জলীয় বাষ্প ধারণক্ষমতা উভয়ই বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ক্রমশ হ্রাস পায়।
28. তুহিন কাকে বলে?
28. তুহিন কাকে বলে?
উত্তর: ধারণা: ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর অতিরিক্ত শীতল হয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছোলে বায়ুতে ভাসমান জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয় এবং ঘাস, পাতা প্রভৃতির ওপর জলবিন্দু বা শিশিরের আকারে সঞ্চিত হয়। কিন্তু শীতপ্রধান দেশে তীব্র ঠান্ডা পড়লে ওই বায়ুর উয়তা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায় এবং তখন ঘাসপাতার ওপর শিশিরের আকারে সঞ্চিত জলবিন্দুগুলি কঠিন হয়ে তুষার বা বরফ কণায় পরিণত হয়। ঘাস, গাছপালার ওপর সঞ্চিত ওই তুষার বা বরফ কণাকে তুহিন বলে।
29. লেখচিত্র দেখে কীভাবে গোলার্ধ শনাক্ত করা যায়?
উত্তর: লেখচিত্র দেখে গোলার্ধ শনাক্ত করার পদ্ধতি: লেখচিত্রে যদি দেখা যায় উন্নতা নির্দেশক বক্ররেখাটি উত্তল তবে স্থানটি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং উয়তা নির্দেশক বক্ররেখাটি যদি অবতল হয় তবে সেটি দক্ষিণ গোলার্ধকে বোঝায়।
30. তুন্দ্রা জলবায়ুকে কীভাবে উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রের সাহায্যে শনাক্ত করা যাবে?
উত্তর: উন্নতা ও বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রের সাহায্যে তুন্দ্রা জলবায়ু শনাক্তকরণ: লেখচিত্র অনুসারে যদি উন্নতা 8-9 মাস হিমাঙ্কের নীচে থাকে এবং উয়তার প্রসর বেশি হয় তাহলে বলা যায় যে লেখচিত্রটিতে তুন্দ্রা জলবায়ু দেখানো হয়েছে।
31. চিনদেশীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: চিনদেশীয় জলবায়ুর অবস্থান:
(i) অক্ষাংশগত অবস্থান: উভয় গোলার্ধে 24 ° - 38 ° অক্ষাংশের মধ্যে মহাদেশসমূহের পূর্বভাগে এই জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।
(ii) মহাদেশগত অবস্থান: [i] মধ্য চিন, [ii] দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাংশ, [iii] দক্ষিণ জাপান, [iv] আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাংশ, [v] ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব ভাগ, [vi] অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল প্রভৃতি অঞ্চল চিনদেশীয় জলবায়ুর অন্তর্গত।
চিনদেশীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য: চিনদেশীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(i) প্রকৃতি: কিছুটা ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর মতো চিনদেশীয় জলবায়ুতে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক হলেও এখানে উয়তার আধিক্য কম।
(ii) উয়তা: এখানে গ্রীষ্মকালে উন্নতা থাকে গড়ে 27 ° সে এবং শীতকালে 4 ° সে থেকে 12 ° সে।
(iii) বৃষ্টিপাত: সামুদ্রিক প্রভাবে এখানে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 100 থেকে 150 সেমি।
(iv) তুষারপাত: শীতকালে মাঝে মাঝে উয়তা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায় এবং তখন তুষারপাত হয়। [Topic D-এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক 14নং প্রশ্নের উত্তরের মানচিত্রটি দ্যাখো।]
32. অ্যাডভেকশন কী?
উত্তর: সংজ্ঞা: ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে অনুভূমিকভাবে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে উয় অঞ্চল থেকে শীতল অঞ্চলের দিকে তাপ সঞ্চলিত হয়। এই পদ্ধতিকে অ্যাডভেকশন বলে। একইভাবে শীতল অঞ্চলের বায়ু উয় অঞ্চলে এলে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রা কমে যায়। বৈশিষ্ট্য: এই পদ্ধতির মাধ্যমে la নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে তাপ পরিবাহিত হয়ে থাকে।
33. উয়তার নিয়ন্ত্রক বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ধারণা: পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সর্বত্র সমান নয়। অনেকগুলি বিষয়ের ওপর পৃথিবীর নানা স্থানের তাপমাত্রা নির্ভরশীল। এইসব বিষয়গুলিকে একত্রে উয়তার নিয়ন্ত্রক বলে। উয়তার বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক: অক্ষাংশ, ভূমির উচ্চতা, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের উয়তার নিয়ন্ত্রক।
34. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান এবং জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
উত্তর: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান আলোচনা করা হল-
অক্ষাংশগত অবস্থান: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের 30°-40° অক্ষাংশের মধ্যে মহাদেশসমূহের পশ্চিমভাগে পরিলক্ষিত হয়।
মহাদেশগত অবস্থান: এই জলবায়ুর অন্তর্গত দেশ বা অঞ্চলগুলি হল-
(i) ইউরোপ: পোর্তুগাল, স্পেন, ইটালি, গ্রিস প্রভৃতি দেশের ভূমধ্যসাগরসংলগ্ন অঞ্চলসমূহ।
(ii) এশিয়া: পশ্চিম তুরস্ক, লেবানন, ইজরায়েল, সিরিয়া প্রভৃতি দেশ।
(iii) আফ্রিকা: মিশর, লিবিয়া, মরক্কো, আলজিরিয়া প্রভৃতি দেশের ভূমধ্যসাগরসংলগ্ন অঞ্চলসমূহ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ উপকূল।
(iv) উত্তর আমেরিকা: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া।
(v) দক্ষিণ আমেরিকা: মধ্য চিলি।
(vi) ওশিয়ানিয়া: অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এবং নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপ।
ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(i) জলবায়ু: সারাবছর মাঝারি উয়তা এবং সমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে।
(ii) উল্লতা: গ্রীষ্মকালে এখানে 20° সেলসিয়াস থেকে 27 °সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। শীতকালে এই অঞ্চলে উয়তা থাকে 5° সেলসিয়াস থেকে 15 °সেলসিয়াস।
(iii) বার্ষিক উন্নতার প্রসর: এখানে বার্ষিক উন্নতার প্রসর হয় 15 °সেলসিয়াস থেকে 17° সেলসিয়াস।
(iv) আকাশের অবস্থা: গ্রীষ্মকাল এখানে শুষ্ক এবং এইসময় এখানকার আকাশ পরিষ্কার থাকে। এখানে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত হয়।
(v) বৃষ্টিপাত: শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 35 থেকে 65 সেমি।
(vi) তুষারপাত: শীতকালে কোনো কোনো স্থানে তুষারপাত হয়।
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi