অধ্যায় 2
[শূন্যস্থান পূরণ করো]
1. প্রাণীদেহে বৃদ্ধি
--------------- সময়কাল পর্যন্ত ঘটে থাকে।
উত্তর: নির্দিষ্ট
2. জিন হল বৃদ্ধির একটি
------------------ শর্ত।
উত্তর: অভ্যন্তরীণ
3. সাধারণভাবে বৃদ্ধিকে
----------------------- টি সুস্পষ্ট দশায় বিভক্ত করা যায়।
উত্তর: তিন
4. নিষেকের পরে সৃষ্টি হয়
এককোশী ---------------------- ।
উত্তর: জাইগোট
5. উদ্ভিদের ক্ষেত্রে
---------------- কলার নীচের কোশস্তরে বৃদ্ধিকরণ দশা দেখা যায়।
উত্তর: ভাজক
6. বিভেদন দশায় উদ্ভিদের
ক্ষেত্রে ------------------------ কোশপ্রাচীর সৃষ্টি হয়।
উত্তর: গৌণ
7. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের
ভূণের পরিস্ফুরণ ও বৃদ্ধির সময় কোশ বিভাজন ঘটে।
উত্তর: মাইটোসিস
৪. বিকাশ জন্ম থেকে
--------------------------পর্যন্ত হতে পারে।
উত্তর: মৃত্যু
9. মানব বিকাশের
--------------------------টি দশা বর্তমান।
উত্তর: 5
10. সাধারণত জীবনের
দ্বিতীয় মাস থেকে ------------------------বয়স পর্যন্ত সময়কালকে শৈশব বলে।
উত্তর: 10 বছর
11. শিশুর চেষ্টীয়
ক্রিয়াগুলি বিকশিত হয় ---------------------- দশায়।
উত্তর: শৈশব
12. জীবনের 2 মাস থেকে 10 বছরের সময়কালকে -----------------------
বলে।
উত্তর: শৈশবকাল
13. কল্পনাপ্রবণ ও মেজাজি
হওয়া, মানব বিকাশের --------------------------- দশার
বৈশিষ্ট্য।
উত্তর: বয়ঃসন্ধি/কৈশোর
14. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি
আকর্ষণ দেখা যায় --------------------------------- কালে।
উত্তর: বয়ঃসন্ধি
15. 12-20 বছর বয়স
পর্যন্ত দশাকে -------------------------বলে।
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকাল বা মুখ্য বৃদ্ধিকাল
16. সধারনত 19 বছর থেকে --------------------- পর্যন্ত সময়কালকে পরিণত দশা বলে ।
উত্তর: 60 বছর
17. জীবদেহ গঠিত হয় একটি
মাত্র ------------------------ থেকেই।
উত্তর: কোশ
18. জীবদেহের বংশগত
বৈশিষ্ট্য একটি জনু থেকে পরবর্তী জনুতে বহন করে -------------------------
উত্তর: DNA
19. DNA-র কার্যকারী অংশ
হল --------------------- ।
উত্তর: জিন
20. ---------------------- অণুর ঘন কুণ্ডলীতে গঠনই হল ক্রোমোজোম।
উত্তর: DNA
21. ক্রোমোজোমের যে
নির্দিষ্ট বিন্দুতে জিন থাকে, তাকে ----------------------------বলে।
উত্তর: লোকাস
22. মানুষের প্রতিটি
দেহকোশে সেক্স ক্রোমোজোম থাকে ----------------------- টি।
উত্তর: 2
23. Y ক্রোমোজোমে
---------------------------- জিন থাকে।
উত্তর: হোলানড্রিক
24. লিঙ্গ নির্ধারণকারী সেক্স ক্রোমোজোমকে ------------------------- বলে।
উত্তর: অ্যালোজোম
25. জননকোশ
------------------------ প্রকৃতির হয়।
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড
26. দেহকোশ-------------------------
প্রকৃতির হয়।
উত্তর: ডিপ্লয়েড
27. দুটি ক্রোমাটিডের
সংযোগস্থলে --------------------------- অবস্থিত।
উত্তর: সেন্ট্রোমিয়ার
28. স্যাটেলাইটযুক্ত
ক্রোমোজোমকে --------------------------- বলে।
উত্তর: স্যাট ক্রোমোজোম
29. ক্রোমোজোমের
প্রান্তদ্বয়কে ----------------------- বলে।
উত্তর: টেলোমিয়ার
30. RNA-তে থাইমিনের
পরিবর্তে ----------------------- থাকে।
অথবা, শুধুমাত্র RNA-তে উপস্থিত নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারকটি হল
উত্তর: ইউরাসিল
অথবা, শুধুমাত্র RNA-তে উপস্থিত নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারকটি হল
31. ইউক্যারিওটিক
ক্রোমোজোমের উপাদানগুলি হল DNA, RNA এবং
-------------------- ।
উত্তর: হিস্টোন ও নন্-হিস্টোন প্রোটিন
32. অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন
বেসকে একত্রে ---------------------- ক্ষার বলে।
উত্তর: পিউরিন
33. নাইট্রোজেনযুক্ত
ক্ষার+ ফসফেট + পেন্টোজ শর্করা ------------------------ ।
উত্তর: নিউক্লিওটাইড
34. নিউক্লিওটাইড =
নিউক্লিওসাইড + —-------------------- ।
উত্তর: ফসফেট
35. পিরিমিডিন জাতীয়
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারকের উদাহরণ হল ---------------------।
উত্তর: ইউরাসিল/সাইটোসিন
26. RNA-তে পেন্টোজ
শর্করার —-------------------- প্রকৃতির।
উত্তর: রাইবোজ
27. নিউক্লিওসাইড ও
ফসফোরিক অ্যাসিড একত্রে -------------- গঠন করে।
উত্তর: নিউক্লিওটাইড
28. জিন দ্বারা গঠিত।
উত্তর: নিউক্লিওটাইড
29. DNA তন্ত্রীর একটি
প্রান্ত ---------------- (5 প্রাইম) হলে ওপর প্রান্তটি
হবে
উত্তর: 3'
40. DNA-র দুটি শৃঙ্খলের
দূরত্ব —--------------- ।
উত্তর: 10Å
41. নিউক্লিওপ্রোটিন ------------------------- ।
উত্তর: নিউক্লিক অ্যাসিড; হিস্টোন প্রোটিন
42. নন্-হিস্টোন প্রোটিনে
--------------------- অ্যামিনো অ্যাসিড বেশি থাকে।
উত্তর: আম্লিক
43. মানুষের জিনোমে
ইউক্রোমাটিনের পরিমাণ প্রায় —---------------- ।
উত্তর: 92%
44. ক্যারিওকাইনেসিসের
প্রথম দশাকে ------------------- বলে।
উত্তর: প্রোফেজ
45. ক্যারিওকাইনেসিসের
তৃতীয় দশা হল —------------------- ।
উত্তর: অ্যানাফেজ
46. ক্রোমোজোমগুলি
নিরক্ষীয়তলে অবস্থান করে ---------------- দশায়।
উত্তর: মেটাফেজ
47. সেন্ট্রোজোম ও
------------------ বেমতত্ত্ব গঠনে সাহায্য করে।
উত্তর: মাইক্রোটিউবিউল
48. ক্রোমোজোমীয় চলন দেখা
যায় —---------------- দশায়।
উত্তর: অ্যানাফেজ
49. ইনটারজোনাল তন্ডুর
আবির্ভাব ঘটে ----------------- দশায়।
উত্তর: অ্যানাফেজ
50. উদ্ভিদকোশের
সাইটোকাইনেসিস ------------------ গঠনের মাধ্যমে হয়।
উত্তর: কোশপাত
51. প্রাণীকোশে
----------------- পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস সম্পন্ন হয়।
উত্তর: ফারোয়িং/ক্লিভেজ
52. উদ্ভিদকোশের
সাইটোকাইনেসিস ------------------- কণিকার দ্বারা সংঘটিত হয়।
উত্তর: ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট
53. --------------- ও
------------- একত্রে ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট গঠন করে।
উত্তর: মাইক্রোফিলামেন্ট ও মাইক্রোটিউবিউল
54. গ্যামেট উৎপাদন হয়
--------------- বিভাজনের মাধ্যমে।
উত্তর: মিয়োসিস
55. মিয়োসিস I ও মিয়োসিস II-এর মধ্যবর্তী দশাকে ------------------ বলে।
উত্তর: ইনটার কাইনেসিস
56. প্রোফেজ I-এ জোড় বাঁধা সমসংস্থ ক্রোমোজোম দুটিকে ---------------- বলে।
উত্তর: বাইভ্যালেন্ট
57. প্রোফেজ I-এ পাশাপাশি বিন্যস্ত সমসংস্থ ক্রোমোজোম দুটির জোড় বাঁধাকে
-------------- বলে।
উত্তর: সাইন্যাপসিস
58. সমসংস্থ ক্রোমোজোমের
প্রতি বাইভ্যালেন্টে চারটি ক্রোমাটিড থাকে, এই গঠনকে
—------------- বলে।
উত্তর: টেট্রাড
59. ক্রোমোজোম সংখ্যা
হ্রাস পায় মিয়োসিস I-এর ----------------- দশায়।
উত্তর: অ্যানাফেজ
60. ক্রসিং ওভারের অপর
নাম ----------------- ।
উত্তর: রিকম্বিনেশন
61. ক্রসিং ওভার স্থানে
নন্-সিস্টার ক্রোমাটিড দুটির মধ্যে 'X' আকৃতির গঠন দেখা যায়
তা হল -------------------।
উত্তর: কায়াজমা
62. মিয়োসিস II-তে ------------------- এর পৃথকীকরণ ঘটে।
উত্তর: ক্রোমাটিড
63. ---------------- কোশ বিভাজন প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখে।
উত্তর: মিয়োসিস
64. ফুলকে উদ্ভিদের
------------------- অঙ্গ বলে।
উত্তর: জনন
65. ফুলকে গাছের শাখাপ্রশাখার
সঙ্গে যুক্ত রাখে ---------------।
উত্তর: পুষ্পবৃন্ত
66. বৃতি ও দলমণ্ডল হল
ফুলের ---------------- স্তবক।
উত্তর: সাহায্যকারী
67. পুংকেশর চক্র ও
গর্ভকেশর চক্র হল ফুলের --------------- স্তবক।
উত্তর: জনন
68. বৃতির পাতার মতো অংশকে
-------------- বলে।
উত্তর: বৃত্যংশ
69. দলমণ্ডলের প্রতিটি
অংশগুলিকে ------------------ বলে।
উত্তর: দলাংশ
70. পুংস্তবকের নীচের
দিকের দন্ডাকার অংশকে ------------------- বলে।
উত্তর: পুংদণ্ড
71. পুংদণ্ডের মাথায়
অবস্থিত অংশকে --------------- বলে।
উত্তর: পরাগধানী
72. পরাগরেণু বিভাজিত হয়ে
--------------- গঠন করে।
উত্তর: পুংগ্যামেট
73. স্ত্রীস্তবকের
প্রতিটি একক অংশকে ----------------- বলে।
উত্তর: গর্ভপত্র
74. গর্ভদণ্ডের মাথায়
সামান্য স্ফীত অংশকে -------------------- বলে।
উত্তর: গর্ভমুণ্ড
75. পরাগরেণু ফুলের
------------------ স্থাপিত হয়।
উত্তর: গর্ভমুণ্ডে
76. একই উদ্ভিদের দুটি
ফুলের মধ্যে পরাগযোগকে ------------------- বলে।
উত্তর: গেইটোনোগ্যামি
77. একলিঙ্গ ফুলের স্বপরাগযোগ
ঘটে যদি উদ্ভিদটি ------------------ হয়।
উত্তর: সহবাসী
78. -------------------- পরাগযোগে পরাগরেণুর স্থানান্তকরণের জন্য বাহকের প্রয়োজন আবশ্যিক।
উত্তর: ইতর
79. জেনোগ্যামি
-------------------- পরাগযোগের অন্তর্গত।
উত্তর: ইতর
80. বাদুড়ের দ্বারা
পরাগযোগকে বলা হয় ---------------------- ।
উত্তর: স্ব
81. ইতর পরাগযোগের জন্য
-------------------- ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হয়।
উত্তর: কাইরোপটেরোফিলি
82. বৈশিষ্ট্যের
বিশুদ্ধতা বজায় থাকে ------------------- পরাগযোগে।
উত্তর: বাহকের
83. দুটি হ্যাপ্লয়েড
গ্যামেটের মিলনে ডিপ্লয়েড ----------------- গঠিত হয়।
উত্তর: জাইগোট
84. পরাগনালী
ডিম্বকরন্দ্র পথে ডিম্বকে প্রবেশ করলে, তাকে
------------------ বলে।
উত্তর: পোরোগ্যামি
85. পরাগনালী ডিম্বকমূল
পথে প্রবেশ করলে, তাকে -------------- বলে।
উত্তর: চ্যালাজোগ্যামি
86. সপুষ্পক উদ্ভিদের
সক্রিয় ----------------- কোশ থেকে ভূণস্থলী গঠিত হয়।
উত্তর: সক্রিয় স্ত্রীরেণু
87. সক্রিয় স্ত্রীরেণু
মাইটোসিস পদ্ধতিতে ------------------- নিউক্লিয়াসযুক্ত ভূণস্থলী গঠন করে।
উত্তর: ৪টি
88. সপুষ্পক গুপ্তবীজী
উদ্ভিদের ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুর দু-পাশে ------------------ কোশ থাকে।
উত্তর: সহকারী
89. দুটি পোলার
নিউক্লিয়াস (n) ভূণস্থলীতে মিলিত হয়ে ------------------ নিউক্লিয়াস (2n) তৈরি করে।
উত্তর: নির্ণীত
90. পুং-জননকোশ ও
স্ত্রী-জননকোশের মিলনকে ------------------- বলে।
উত্তর: নিষেক
91. নিষিক্ত নির্ণীত
নিউক্লিয়াস থেকে ---------------- গঠিত হয়।
উত্তর: সস্য
92. নির্ণীত নিউক্লিয়াসের
ক্রোমোজোম সংখ্যা ----------------।
উত্তর: 2n
93. বীজপত্র, ভূণমুকুল --------------- ও ঘৃণমূল থেকে
গঠিত হয়।
উত্তর: ভ্রূণ
94. ডিম্বক নিষেকের পর
ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে -------------------- সৃষ্টি করে।
উত্তর: বীজ
95. --------------- মধ্যে ভবিষ্যতের গাছ বা ভ্রুণ অবস্থান করে।
উত্তর: বীজের
96. ভূণমূল থেকে
-------------- গঠিত হয়।
উত্তর: মূলতন্ত্র
97. ভূণমুকুল থেকে
----------------- গঠিত হয়।
উত্তর: বিটপ
98. যে জীব থেকে নতুন জীব
সৃষ্টি হয়, তাকে ------------------ জীব বলে।
উত্তর: জনিতৃ
99. মাতৃজনু থেকে সৃষ্ট
নতুন জীবটিকে ---------------- জীব বলে।
উত্তর: অপত্য
100. অযৌন
জননে---------------- মাত্র জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়।
উত্তর: একটি
[ সত্য/মিথ্যা নির্বাচন
করো ]
1. কোনো প্রজাতির নতুন
অপত্য উৎপাদনই হল জনন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল জনন।]
2. সিনগ্যামি উদ্ভিদ ও
প্রাণীদের সবচেয়ে সাধারণ যৌন জনন পদ্ধতি।
উত্তর: সত্য [সূত্র-জননের সময় দুটি গ্যামেটের একত্রিত হওয়াকে সিনগ্যামি বলে।]
3. অযৌন জননে দুটি জনিতৃ
জীবের প্রয়োজন হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-যৌন জননে দুটি জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়।]
4. প্যারামেসিয়াম
কোরকোদ্গমের সাহায্যে জনন সম্পন্ন করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-প্যারামেসিয়াম দ্বিবিভাজন দ্বারা জনন সম্পন্ন করে।]
5. আলুর স্ফীতকন্দ অঙ্গজ
জননে অংশ নেয়। [
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই দেহাংশ থেকে চারা উদ্ভিদ গঠিত হয়।]
6. একবীজপত্রী উদ্ভিদের
কলম করা হয় না কারণ তাদের ক্যামবিয়াম কলা থাকে না।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ক্যামবিয়াম কলা গৌণ বৃদ্ধি দ্বারা নতুন সংবহন কলা সৃষ্টি
করে।]
7. জোড়কলম পদ্ধতিতে স্টক
ও সিয়নকে জোড়া হয় জাইলেম থেকে জাইলেমে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-দুটি উদ্ভিদের ক্যামবিয়াম কলায় সংযোগ ঘটানো হয়।]
৪. স্টক সিয়নের থেকে উন্নত।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-সিয়ন উন্নত বলেই তা স্টকের ওপর স্থাপন করা হয়।]
9. জোড়কলমে স্টক ও সিয়ন
দেখা যায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-উন্নত উদ্ভিদরূপে সিয়ন ব্যবহার করা হয়।]
10. কলা কর্ষণের দ্বারা
অণুবিস্তারণ করা যায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে কম সময়ে অনেক অপত্য সৃষ্টি সম্ভব হয়।]
11. প্রজাতি ভেদে
কলাকর্ষণ মাধ্যমের উপাদানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র- প্রজাতি অনুযায়ী উপাদানের ঘনত্ব/অনুপাত পরিবর্তিত হয়।]
12. মাইক্রোপ্রোপাগেশন
পদ্ধতিতে উদ্ভিদের পছন্দমাফিক ভ্যারাইটির দ্রুত বংশবিস্তার সুনিশ্চিত করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এজন্য হর্টিকালচারে মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা
হয়।]
13. নিষেক ছাড়াই জীবদেহ
থেকে অপত্য সৃষ্টির পদ্ধতি হল অ্যাপোমিক্সিস।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি একটি অযৌন জনন পদ্ধতি। গৃহসজ্জার উদ্ভিদ বা আলংকারিক
উদ্ভিদ ও অর্কিডে এই পদ্ধতির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে।]
14. জনুক্রম দেখা যায়
প্রধানত প্রাণীদের দেহে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-মূলত উদ্ভিদে স্পষ্ট জনুক্রম লক্ষ করা যায়।]
15. রিকসিয়া-তে স্পষ্ট
জনুক্রম দেখা যায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটোফাইট ও ডিপ্লয়েড স্পোরোফাইট জনু স্পষ্ট
বোঝা যায় Riccia (রিকসিয়া) নামক ব্রায়োফাইটায়।]
16. জনুক্রমের হ্যাপ্লয়েড
দশাকে যৌন দশা বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই দশায় লিঙ্গধর জনু নিষেকে
অংশ নেয়।]
11. ফার্ন ও উন্নত
উদ্ভিদে রেণুধর উদ্ভিদটি আকারে বড়ো হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এদের লিঙ্গধর হ্যাপ্লয়েড জনুটি ছোটো হয়।]
18. জনুক্রমে ক্রোমোজোম
সংখ্যার স্থিরতা রাখে মিয়োসিস ও নিষেক।
উত্তর: সত্য [সূত্র-মিয়োসিসে হ্যাপ্লয়েড জনন কোশ তৈরি হয় যা নিষেকের ফলে মিলিত
হলে ডিপ্লয়েড জাইগোট সৃষ্টি হয়।]
19. বৃদ্ধির সময়ে
প্রত্যেক জীবের আকার ও আয়তনের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি জীবের জীবনধর্মের এটি
একটি বৈশিষ্ট্য।]
20. জীবের বৃদ্ধিতে
হরমোনের ভূমিকা আছে।
উত্তর: সত্য [ সূত্র-হরমোন ছাড়াও অন্য অনেক পরিপোষক জীবের বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ
শর্ত। ১০ রিয়ার
21. উদ্ভিদে মূলত ভাজক
কলার বিভাজনে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে, কিন্তু প্রাণীর সমস্ত কলাতেই
সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে থাকে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি উদ্ভিদ ও প্রাণী
বৃদ্ধির একটি বিশেষ পার্থক্য।]
22. ক্রমাগত জল গ্রহণ,
জৈববস্তুর সংশ্লেষের ফলে কোশের আকার বাড়ে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-কোশের সংখ্যাবৃদ্ধি ছাড়াও
তার আকার বৃদ্ধি হল বৃদ্ধির একটি পর্যায় বিশেষ।]
23. কোশীয় বিভেদন দশায়
অপত্য কোশগুলি নানাভাবে পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে কলা, অঙ্গ
ও তন্ত্র গঠন করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-কোশীয় বিভেদন দশায় বিভিন্ন
প্রভাবকের নির্দেশ অনুযায়ী স্টেম কোশ থেকে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত নির্দিষ্ট
আকৃতির বিশেষ কার্যক্ষম নানাপ্রকার কোশ তৈরি হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র গঠিত
হয়।]
24. বিকাশ বৃদ্ধি
নিরপেক্ষ নয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-বৃদ্ধি ঘটলেই বিকাশ ঘটতে পারে।]
25. বয়ঃসন্ধিকালে
জননাঙ্গে জননকোশ গঠিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পুরুষদেহে শুক্রাণু ও মহিলাদেহে ডিম্বাণু উৎপাদন শুরু হয়।]
26. বার্ধক্য দশায়
স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-একে ডিমেনশিয়া বলে।]
27. DNA হল একটি ক্ষুদ্র
জৈব অণু।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-DNA বৃহৎ জৈব অণু।]
28. নিউক্লিয়াসের মধ্যে DNA
সরলরৈখিকভাবে থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-ক্রোমাটিন জালিকায় DNA কুণ্ডলীত
অবস্থায় থাকে।]
29. ক্রোমাটিন জালিকা ও
ক্রোমোজোম হল প্রকৃতপক্ষে DNA অণুর কুণ্ডলীকরণের পৃথক পৃথক
অবস্থা।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ক্রোমাটিন জালিকা জলত্যাগ
করে কুণ্ডলীত হয়ে ক্রোমোজোম সৃষ্টি করে।]
30. প্রতিটি প্রজাতির
ক্রোমোজোম সংখ্যা অনির্দিষ্ট প্রকৃতির হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-ক্রোমোজোম সংখ্যা প্রতি প্রজাতির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট থাকে।]
31. মানুষের দেহকোশে
অটোজোমের সংখ্যা 44।
উত্তর: সত্য [সূত্র-অটোজোমের সংখ্যা 22 জোড়া বা 44।]
32. মানুষের দেহকোশে
সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা 2।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পুরুষদের XY(2) ও মহিলাদের XX(2)
নামক সেক্স ক্রোমোজোম থাকে।]
33. মানুষের শুক্রাণু
ডিপ্লয়েড প্রকৃতির।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-শুক্রাণুতে 1 সেট ক্রোমোজোম থাকে তাই
তা হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির।]
34. মানুষের ডিম্বাণু
হ্যাপ্লয়েড প্রকৃতির।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ডিম্বাণু । সেট ক্রোমোজোম
বিশিষ্ট, অর্থাৎ হ্যাপ্লয়েড
প্রকৃতির।]
35. সেন্ট্রোমিয়ারের DNA
নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র সেন্ট্রোমিয়ারের কাজ হল
মূলত বেম সংলগ্ন হওয়া।]
36. প্রতিটি
নিউক্লিওসাইডে নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক ও ফসফোরিক অ্যাসিড থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-প্রতিটি নিউক্লিওটাইডে
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক ও ফসফোরিক অ্যাসিড থাকে।]
36. ক্রোমোজোমের গঠনে
নন্-হিস্টোন প্রোটিনের কোনো ভূমিকা নেই।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-হিস্টোন ও নন্-হিস্টোন
প্রোটিন DNA সংলগ্ন হয়ে ক্রোমোজোম
গঠন করে।]
37. RNA ও DNA-উভয় গঠনেই নিউক্লিওটাইড থাকে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-RNA গঠনে রাইবোজ শর্করা
থাকে, তাই তা রাইবোনিউক্লিওটাইড একক দ্বারা গঠিত হয়।
পক্ষান্তরে DNA গঠনে ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা থাকে, তাই তা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিওটাইড একক দ্বারা গঠিত হয়।]
38. যে নাইট্রোজেন বেসটি RNA-তে থাকে না, সেটি হল সাইটোসিন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-RNA-তে থাইমিন বেসটি থাকে
না, পরিবর্তে ইউরাসিল থাকে।]
39. DNA-তে অ্যাডেনিন
হাইড্রোজেন বন্ধনী দিয়ে গুয়ানিনের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-অ্যাডেনিন হাইড্রোজেন
বন্ধনী দ্বারা থাইমিনের সঙ্গে যুক্ত থাকে।]
40. নন্-হিস্টোন প্রোটিনে
আর্জিনিন, হিস্টিডিন, লাইসিন প্রভৃতি অ্যামিনো
অ্যাসিড বেশি থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি
হিস্টোন প্রোটিনে বোশ থাকে।]
41. ক্রোমাটিনের
ইউক্রোমাটিন অংশটি ইনটারফেজ দশায় প্রসারিত থাকে ও হালকা রঙে রঞ্জিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই অংশে সক্রিয় জিন থাকে।]
42. হেটেরোক্রোমাটিন
অঞ্চলে ক্রসিং ওভার ঘটে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-ক্রসিং ওভার ইউক্রোমাটিন
অঞ্চলে ঘটে।]
43. বেমতন্তু গঠনে অংশ
নেয় মাইটোকনড্রিয়া ও প্লাসটিড।
উত্তর: মিথ্যা
[সূত্র-প্রাণীকোশে সেন্ট্রোজোম ও উদ্ভিদকোশে মাইক্রোটিউবিউল এই কাজ করে থাকে।]
44. রাইবোজোম প্রোটিন
সংশ্লেষে সাহায্য করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-কোশে নতুন অঙ্গাণু সৃষ্টি ও
হিস্টোন, নন্-হিস্টোন প্রোটিন
সংশ্লেষে এটি সাহায্য করে।]
45. কোশ বিভাজনের জন্য
প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয় মাইটোকনড্রিয়া।
উত্তর: সত্য [সূত্র-মাইটোকনড্রিয়াগুলি
সমন্বিত হয়ে একটি জালসংগঠন (network) তৈরি করে ও ATP-এর জোগান দেয়।]
46. অ্যামাইটোসিস কোশ
বিভাজন দেখা যায় স্নায়ুকোশে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-
এককোশী প্রোটোজোয়া ও ব্যাকটেরিয়াতে অ্যামাইটোসিস দেখা যায়।]
47. মাইটোসিসকে সমবিভাজন
বলে।
উত্তর: সত্য
[সূত্র-ক্রোমোজোম সংখ্যা এই বিভাজনে সমান থাকে, তাই একে
সমবিভাজন বলে।]
48. জননমাতৃকোশে মাইটোসিস
কোশ বিভাজন দেখা যায়।
উত্তর: মিথ্যা
[সূত্র-জননমাতৃকোশে মিয়োসিস ঘটে, ফলে জননকোশ সৃষ্টি হয়।]
49. মিয়োসিস কোশ বিভাজনে
অপত্য কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পায়।
উত্তর: সত্য
[সূত্র-হোমোলোগাস ক্রোমোজোমগুলি দুটি অপত্য কোশে বণ্টিত হয়।]
50. Go দশা দেখা যায়
সমস্ত দেহকোশে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-কোশ বিভাজনের জন্য কোশ
প্রস্তুত না হলে Go দশায় প্রবেশ করে।]\
51. G₁ উপদশাকে পোস্ট-মাইটোটিক
ফেজ বলে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-মাইটোটিক দশা শেষ হওয়ার পর
কোশে G₁ উপদশা শুরু হয় বলে একে পোস্ট- মাইটোটিক ফেজ বলে।]
52. কোশচক্রের সবচেয়ে
দীর্ঘস্থায়ী দশাটি হল ইনটারফেজ।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই
দশায় কোশ বিভাজনের জন্য কোশটি নানা উপাদান সংশ্লেষ করে।]
53. মানুষের ক্ষেত্রে
কোশচক্রের সময়কাল প্রায় 24 ঘণ্টা।
উত্তর: সত্য [সূত্র-প্রায় 95% সময়কালই হল ইনটারফেজ
সময়কাল।]
54. অনিয়ন্ত্রিত কোশ
বিভাজনের ফলে অনেক সময় ক্যানসার রোগ হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে ম্যালিগন্যান্ট
টিউমার সৃষ্টি হয়। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যানসারধর্মী হয়ে থাকে।]
55. চেকপয়েন্টগুলোর কাজ
বিঘ্নিত হলে কোশ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-কোশ বিভাজনে বিভিন্ন ত্রুটি
এড়াবার জন্য কোশচক্রের বিভিন্ন স্থানে কোশ বিভাজন নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্তই হল চেক
পয়েন্ট, তাই চেক পয়েন্টের কাজ
বিঘ্নিত হলে কোশ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়।]
নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি
বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখো।
1. অযৌন জনন, রেণু উৎপাদন, খণ্ডীভবন, কোরকোদ্গম
উত্তর: অযৌন জনন। [সূত্র-বাকি সবকটি অযৌন জননের
প্রকারভেদ।]
2. বিভাজন, অ্যামিবা, প্লাসমোডিয়াম, বহুবিভাজন
উত্তর: বিভাজন। [সূত্র-অযৌন জননের অন্তর্গত
বিভাজন ও বহুবিভাজন পদ্ধতি দুটি উক্ত প্রোেটাজোয়াগুলিতে দেখা যায়।]
3. কোরকোদ্গম, খণ্ডীভবন, পুনরুৎপাদন, অযৌন
জনন
উত্তর: অযৌন জনন। [সূত্র-নানাপ্রকার অযৌন জননের
কথা বলা হয়েছে।]
4. রেণু, কনিডিয়া, স্পোরানজিওস্পোর, ওইডিয়া
উত্তর: রেণু। [সূত্র-উদ্ভিদ অযৌন জননে সৃষ্ট
নানা প্রকার রেণু বা স্পোরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।]
5. কাটিং, কৃত্রিম অঙ্গজ জনন, গ্রাফটিং, মাইক্রোপ্রোপাগেশন
উত্তর: কৃত্রিম অঙ্গজ জনন। [সূত্র-বাকি সবকটিই
মানব দ্বারা সংঘটিত উদ্ভিদের নানা ধরনের কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার পদ্ধতি।]
6. লিঙ্গধর জনু, রেণুধর জনু, নিষেক, জনুক্রম
উত্তর: জনুক্রম। [সূত্র-জনুক্রমের নানা পর্যায়
উল্লেখ করা হয়েছে।]
7. শাখাকলম, জোড়কলম, অঙ্গজ বিস্তার, অণুবিস্তারণ
উত্তর: অঙ্গজ বিস্তার। [সূত্র-সবগুলি কৃত্রিম
অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতি।]
8. সেন্ট্রোমিয়ার,
ক্রোমোজোম, প্রাথমিক খাঁজ, গৌণ খাঁজ
উত্তর: ক্রোমোজোম। [সূত্র-ক্রোমোজোমের নানা
গঠনগত অংশের কথা বলা হয়েছে।]
9. ক্রোমোজোম,
DNA, হিস্টোন প্রোটিন, নন্-হিস্টোন প্রোটিন
উত্তর: ক্রোমোজোম। [সূত্র-ক্রোমোজোমের গঠনে
বাকিগুলি অংশগ্রহণ করে।]
10. পিরিমিডিন, নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষার, অ্যাডেনিন, গুয়ানিন
উত্তর: নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষার। [সূত্র-নানা
প্রকার নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।]
11. পিরিমিডিন, সাইটোসিন, থাইমিন, ইউরাসিল
উত্তর: পিরিমিডিন। [সূত্র-নানা প্রকার
পিরিমিডিন ক্ষারের উল্লেখ করা হয়েছে।]
12. নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষার,
DNA, ফসফেট, ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার
উত্তর: DNA। [সূত্র-DNA, বাকি উপাদানগুলি নিয়ে গঠিত।]
13. রাইবোজ শর্করা,
ফসফেট মূলক, নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষার, RNA
উত্তর: RNA। [সূত্র-RNA-র গঠনগত উপাদানগুলি উল্লেখ করা হয়েছে।]
14. mRNA, rRNA, RNA, tRNA
উত্তর: RNA। [সূত্র-নানা প্রকার RNA-র কথা উল্লেখ করা
হয়েছে।]
15. H2A, H2B, H4, হিস্টোন
উত্তর: হিস্টোন। [সূত্র-ক্রোমোজোমে উপস্থিত
নানা প্রকার হিস্টোন প্রোটিনের উল্লেখ করা হয়েছে।]
16. কোশ বিভাজনে
অংশগ্রহণকারী অঙ্গাণু, সেন্ট্রোজোম, রাইবোজোম,
মাইটোকনড্রিয়া
উত্তর: কোশ বিভাজনে অংশগ্রহণকারী অঙ্গাণু।
[সূত্র-কোশ বিভাজনে সাহায্যকারী অঙ্গাণুসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।]
17. ঈস্ট, প্যারামেসিয়াম, অ্যামাইটোসিস, ব্যাকটেরিয়া
উত্তর: অ্যামাইটোসিস। [সূত্র-অ্যামাইটোসিস কোশ
বিভাজন দেখা যায় এরকম জীবের উল্লেখ করা হয়েছে।]
18. ভূণের বৃদ্ধি, রেণুমাতৃকোশ সৃষ্টি, মাইটোসিস, মানবদেহের বৃদ্ধি
উত্তর: মাইটোসিস। [সূত্র-মাইটোসিস কোশ বিভাজনের
বিভিন্ন স্থানগুলির কথা বলা হয়েছে।]
19. শুক্রাণু উৎপাদন,
হ্রাসকরণ বিভাজন, ডিম্বাণু উৎপাদন, পরাগরেণু উৎপাদন
উত্তর: হ্রাসকরণ বিভাজন। [সূত্র-মিয়োসিস নামক
হ্রাসকরণ বিভাজন দ্বারা নানা প্রকার জননকোশ সৃষ্টি হয়।]
20. G₁ দশা, ইনটারফেজ, S দশা, G₂ দশা
উত্তর: ইনটারফেজ। [সূত্র-ইনটারফেজ-এর নানা
উপদশাগুলির কথা বলা হয়েছে।]
21. মাইটোটিক ফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ, টেলোফেজ
উত্তর: মাইটোটিক ফেজ। [সূত্র-মাইটোসিসের
উপদশাগুলির উল্লেখ করা হয়েছে।]
22. পুনরুৎপাদন, বৃদ্ধি, মাইটোসিসের গুরুত্ব, ক্ষয়পূরণ
উত্তর: মাইটোসিসের গুরুত্ব। [সূত্র-মাইটোসিসের
প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।]
23. ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট গঠন,
সেলপ্লেট তৈরি, উদ্ভিদ সাইটোকাইনেসিস, প্রাথমিক কোশপ্রাচীর
উত্তর: উদ্ভিদ সাইটোকাইনেসিস।
[সূত্র-উদ্ভিদকোশে কোশপ্রাচীর সৃষ্টি দ্বারা সাইটোকাইনেসিসের পদ্ধতিগুলি উল্লেখ
করা যায়।]
24. বাইভ্যালেন্ট, টেট্রাড, ক্রসিং ওভার, মিয়োসিস
উত্তর: মিয়োসিস। [সূত্র-মিয়োসিস কোশ বিভাজনে
ক্রোমোজোমের বিভিন্ন অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।]
25. কায়াজমা গঠন, সাইন্যাপ্স, প্রোফেজ Ⅰ, ক্রসিং ওভার
উত্তর: প্রোফেজ I। [সূত্র-মিয়োসিসের প্রোফেজ I-এর নানা বৈশিষ্ট্যের
কথা বলা হয়েছে।]
26 . জিনগত প্রকরণ সৃষ্টি,
গ্যামেট উৎপাদন, ক্রোমোজোম সংখ্যার স্থিরতা,
মিয়োসিসের গুরুত্ব
উত্তর: মিয়োসিসের গুরুত্ব। [সূত্র-মিয়োসিস কোশ
বিভাজনের নানা প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।]
27. বৃদ্ধির দশা, কোশ বিভাজন দশা, কোশীয় আকার বৃদ্ধিকরণ, কোশীয় বিভেদন দশা
উত্তর: বৃদ্ধির দশা। [সূত্র-জীবের বৃদ্ধির নানা
দশাগুলি উল্লেখ করা হয়েছে।]
28. ফ্লোয়েম কলা সৃষ্টি,
পেশিকলার সৃষ্টি, কোশীয় বিভেদন, কোশপ্রাচীর স্থূলীকরণ
উত্তর: কোশীয় বিভেদন। [সূত্র-কোশের নির্দিষ্ট
কাজের জন্য পরিণত হওয়াই হল কোশীয় বিভেদন।]
29. ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা,
যৌন চেতনার বহিঃপ্রকাশ, বয়ঃসন্ধি, মনোযোগ ও স্মৃতির বিকাশ
উত্তর: বয়ঃসন্ধি [সূত্র-বয়ঃসন্ধিকালে মানবদেহে
যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা বলা হয়েছে।]
30. অস্থিসন্ধির ক্ষয়,
অবসাদ, বার্ধক্য, দৃষ্টিশক্তির
হ্রাস
উত্তর: বার্ধক্য। [সূত্র-নানা বার্ধক্যজনিত
বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।]
বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো
1. ক্রোমাটিড, সেন্ট্রোমিয়ার, সেন্ট্রোজোম, টেলোমিয়ার
উত্তর: সেন্ট্রোজোম। [সূত্র-সেন্ট্রোজোম ছাড়া
বাকিগুলি ক্রোমোজোমের গঠনগত অংশ]
2. গৌণ খাঁজ, কাইনেটোকোর, মাইটোকনড্রিয়া, ক্রোমাটিড
উত্তর: মাইটোকনড্রিয়া। [সূত্র-বাকিগুলি
ক্রোমোজোমের গঠনগত অংশ।]
3. গৌণ খাঁজ, প্রাথমিক খাঁজ, NOR, রাইবোজোম জিন সৃষ্টি
উত্তর: প্রাথমিক খাঁজ। [সূত্র-বাকিগুলি গৌণ
খাঁজ, তার নাম ও তার
গুরুত্ববিশেষ।]
4. টেলোসেন্ট্রিক,
অ্যাক্রোসেন্ট্রিক, সেন্ট্রিওল, মেটাসেন্ট্রিক
উত্তর: ন্ট্রিওল। [সূত্র-সেন্ট্রিওল ছাড়া বাকিগুলি সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান
অনুযায়ী ক্রোমোজোমের বিভাগ।]
5. অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, থাইমিন, ভিটামিন
উত্তর: ভিটামিন। [সূত্র-বাকিগুলি DNA গঠনকারী
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারক।]
6. পেন্টোজ শর্করা,
ফসফেট, নাইট্রোজেনঘটিত ক্ষার, অক্সিন
উত্তর:অক্সিন। [সূত্র-বাকিগুলি DNA গঠনকারী বা
ডিঅক্সিরাইবো-নিউক্লিওটাইড গঠনকারী উপাদান।]
7. হিস্টোন, পিউরিন ক্ষার, হেক্সোজ শর্করা, ফসফোরিক অ্যাসিড
উত্তর: হেক্সোজ শর্করা। [সূত্র-বাকিগুলি
ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোম গঠনের [Rahara
RKM Boys' Home] রাসায়নিক উপাদান।]
৪. পিরিমিডিন, সাইটোসিন, থাইমিন, অ্যাডেনিন
উত্তর: অ্যাডেনিন। [সূত্র-অ্যাডেনিন একটি
পিউরিন ক্ষার।]
9. ইউরাসিল, অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন
[WBBSE Sample Paper]
উত্তর: ইউরাসিল। [সূত্র-ইউরাসিল ছাড়া বাকিগুলি DNA এবং RNA উভয়তেই উপস্থিত।]
10. সক্রিয় জিন,
RNA উৎপাদন, হেটেরোক্রোমাটিন, কম কুণ্ডলীত অংশ
উত্তর: হেটেরোক্রোমাটিন। [সূত্র-বাকিগুলি
ইউক্রোমাটিনের বৈশিষ্ট্য।]
11. বৃতি, পুংকেশর, গর্ভকেশর, মূল
উত্তর: মূল। [সূত্র-বাকিগুলি জনন অঙ্গের
অংশসমূহ।]
12. ডিম্বাশয়, গর্ভদণ্ড, পুংদণ্ড, গর্ভমুণ্ড
উত্তর: পুংদণ্ড। [সূত্র-পুংদণ্ড ছাড়া বাকিগুলি
স্ত্রীস্তবকের অংশ।]
13. পরাগরেণু, ডিম্বাণু, নিষেক, গ্রাফটিং
উত্তর: গ্রাফটিং। [সূত্র-বাকিগুলি যৌন জননের
উপাদান বা সেই সংক্রান্ত ঘটনা।]
14. স্বপরাগযোগ, ইতর পরাগযোগ, গেইটোনোগ্যামি, অটোগ্যামি
উত্তর: ইতর পরাগযোগ। [সূত্র-বাকিগুলি
স্বপরাগযোগ ও তার প্রকারভেদ।]
15. সহকারী কোশ, নির্ণীত নিউক্লিয়াস, প্রতিপাদ কোশ, নালিকা নিউক্লিয়াস
উত্তর: নালিকা নিউক্লিয়াস। [সূত্র-এটি পুংজনন
অঙ্গের অংশ। বাকিগুলি ভূণস্থলী, তথা স্ত্রীজনন অঙ্গের অংশ।]
16. পোরোগ্যামি, চ্যালাজোগ্যামি, মেসোেগ্যামি, আইসোগ্যামি
উত্তর: আইসোগ্যামি। [সূত্র- আইসোগ্যামি ছাড়া
বাকিগুলি নিষেকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।]
17. প্রতিপাদ কোশ, সহকারী কোশ, নির্ণীত নিউক্লিয়াস, কোরক
উত্তর: কোরক। [সূত্র-বাকিগুলি উদ্ভিদের
ডিম্বকের সঙ্গে সম্পর্কিত।]
18. ইতর পরাগযোগ, বাহক, নতুন বৈশিষ্ট্য, স্বপরাগযোগ
উত্তর: স্বপরাগযোগ। [সূত্র-বাহক ও নতুন
বৈশিষ্ট্য ইতর পরাগযোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।]
19. বেমগঠন, শক্তির জোগান, প্রোটিন উৎপাদন, অক্সিজেন পরিবহণ
উত্তর: অক্সিজেন পরিবহণ। [সূত্র-বাকিগুলি কোশের
বিভাজনে সহায়তাকারী অঙ্গাণুর কাজ।]
20. অ্যামাইটোসিস, প্রত্যক্ষ বিভাজন, অ্যামিবা, মেটাফেজ
প্লেট।
উত্তর: মেটাফেজ প্লেট। [সূত্র-মেটাফেজ প্লেট
ছাড়া বাকিগুলি অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন সংক্রান্ত বিষয়।]
21. ভূণের পরিস্ফুরণ,
মাইটোসিস, শুক্রাণু সৃষ্টি, উদ্ভিদের মুকুলের বৃদ্ধি
উত্তর: শুক্রাণু সৃষ্টি। [সূত্র-মাইটোসিস ও তার
স্থানগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রাণু মিয়োসিস দ্বারা সৃষ্টি হয়।]
22. হ্রাস বিভাজন,
2n→n, জননমাতৃকোশ উৎপাদন, জননকোশ সৃষ্টি
উত্তর: জননমাতৃকোশ উৎপাদন। [সূত্র-বাকিগুলি
মিয়োসিস সংক্রান্ত, জননমাতৃকোশ
সৃষ্টিতে মিয়োসিস ঘটে না।]
23. ইনটারফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ, প্রোফেজ
উত্তর: ইনটারফেজ। [সূত্র-বাকিগুলি মাইটোটিক
দশার অন্তর্গত।]
24. G1, G2, S, M
উত্তর: M। [সূত্র-বাকিগুলি ইনটারফেজের উপদশাসমূহ।]
25. G₁ দশা, S দশা, S₁ দশা, G₂ দশা
উত্তর: S₁ দশা। [সূত্র-S₁ দশা ছাড়া বাকিগুলি ইনটারফেজ দশার অন্তর্গত।]
26. অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন, টিউমার সৃষ্টি,
RBC সৃষ্টি, ক্যানসার
উত্তর: RBC সৃষ্টি।
[সূত্র-বাকিগুলি কোশচক্রের অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা-সংক্রান্ত বিষয়।]
[MCQ]
1. ক্রোমোজোম শব্দটি
প্রথম প্রবর্তন করেন-
(i) ফ্লেমিং
(ii) ওয়াটসন ও ক্রিক
(iii) ওয়ালডেয়ার
(iv) ল্যামার্ক
উত্তর: (iii)
ওয়ালডেয়ার
2. বংশগতির ধারক ও বাহক
হল-
(i) মেসোজোম
(ii) পলিজোম
(iii) ক্রোমোজোম
(iv) রাইবোজোম
উত্তর: (iii)
ক্রোমোজোম
3. 1909 খ্রিস্টাব্দে
সর্বপ্রথম 'জিন' শব্দটির প্রচলন করেন
বিজ্ঞানী-
(i) রিম্যাক
(ii) ফারমার
(iii) জোহানসেন
(iv) পাস্তুর
উত্তর: (iii)
জোহানসেন
4. DNA-তে অবস্থিত
প্রোটিন সংশ্লেষের সংকেত বহনকারী উপাদান হল-
(i) ক্রোমোজোম
(ii) লোকাস
(iii) জিন
(iv) অ্যালোজোম
উত্তর: (iii)
জিন
(ii) ওয়াটসন ও ক্রিক
(iii) ওয়ালডেয়ার
(iv) ল্যামার্ক
(ii) পলিজোম
(iii) ক্রোমোজোম
(iv) রাইবোজোম
(ii) ফারমার
(iii) জোহানসেন
(iv) পাস্তুর
(ii) লোকাস
(iii) জিন
(iv) অ্যালোজোম
5. মানব দেহকোশে
ক্রোমোজোম থাকে-
(i) 4n
(ii) 3n
(iii) 2n
(iv) n
উত্তর: (iii)
2n
6. স্ত্রীলোকের দেহকোশে
অটোজোম ও X ক্রোমোজোমের অনুপাত-
(i) 44:1
(ii) 44:2
(iii) 23:1
(iv) 23:0
উত্তর:(ii)
44:2
7. স্ত্রীলোকের দেহকোশে
অটোজোম ও Y ক্রোমোজোমের অনুপাত-
(i) 44:0
(ii) 44:1
(iii) 44:2
(iv) 23:1
উত্তর: (i)
44:0
৪. পুরুষের দেহকোশে অটোজোম ও X ক্রোমোজোমের অনুপাত-
(i) 44:0
(ii) 44:1
(iii) 44:2
(iv) 23:1
উত্তর: (ii)
44:1
9. মানুষের দেহকোশে
অটোজোমের সংখ্যা-
(i) 44
(ii) 46
(iii) 23
(iv) 22
উত্তর: (i)
44
10. মানুষের জননকোশে
অটোজোম সংখ্যা-
(i) 44
(ii) 23
(iii) 22
(iv) 46
উত্তর: (iii)
22
(ii) 3n
(iii) 2n
(iv) n
(ii) 44:2
(iii) 23:1
(iv) 23:0
(ii) 44:1
(iii) 44:2
(iv) 23:1
(ii) 44:1
(iii) 44:2
(iv) 23:1
(ii) 46
(iii) 23
(iv) 22
(ii) 23
(iii) 22
(iv) 46
11. মানুষের জননকোশে
ক্রোমোজোম সংখ্যা-
(i) 46
(ii) 50
(iii) 23
(iv) 10
উত্তর:(iii)
23
12. মানুষের ক্ষেত্রে
নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোন্ট্রি একজন স্বাভাবিক পুরুষের পক্ষে প্রযোজ্য?
(i) 44A + XX
(ii) 44A + XY
(iii) 44A + XXY
(iv) 44A + XYY
উত্তর: (ii)
44A + XY
13. মানুষের জননক্রোমোজোম
হল-
(i) XX-XO
(ii) XX-YY
(iii) XX-XY
(iv) XO-XY
উত্তর: (iii)
XX-XY
14. মানুষের ক্ষেত্রে
সঠিক জোড়টি নির্বাচন করো-
(i) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক
ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + XX
(ii) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + Y
(iii) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + Y
(iv) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + XY
উত্তর: (iii)
ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + Y
15. ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য
বরাবর অবস্থিত তন্তু দুটির প্রত্যেকটিকে বলে-
(i) ক্রোমাটিড
(ii) ক্রোমোজোম
(iii) ক্রোমোনিমা
(iv) ক্রোমোমিয়ার
উত্তর: (i) ক্রোমাটিড
16. প্রতিটি ক্রোমোজোমে
ক্রোমাটিডের সংখ্যা-
(i) 4
(ii) 2
(iii) 6
(iv) 8
উত্তর: (ii)
2
17. প্রতিটি ক্রোমাটিড
লম্বালম্বিভাবে বিস্তৃত যে সূক্ষ্ম তন্তু দ্বারা গঠিত, তাকে
বলে-
(i) ক্রোমাটিড
(ii) ক্রোমোজোম
(iii) ক্রোমোনিমা
(iv) ক্রোমোমিয়ার
উত্তর: (iii)
ক্রোমোনিমা
18. সেন্ট্রোমিয়ার ক্রোমোজোমের
যে অংশে থাকে তা হল-
(i) মুখ্য খাঁজে
(ii) গৌণ খাঁজে
(iii) টেলোমিয়ারে
(iv) স্যাটেলাইটে
উত্তর: (i) মুখ্য খাঁজে
19. ক্রোমোজোমের অধিক
ঘনত্বযুক্ত, পুঁতির মতো অংশগুলিকে বলে-
(i) ক্রোমোনিমা
(ii) ক্রোমোমিয়ার
(iii) ক্রোমাটিড
(iv) সেন্ট্রোমিয়ার
উত্তর: (ii) ক্রোমোমিয়ার
20. স্যাটেলাইট থাকে
ক্রোমোজোমের –
(i) ক্রোমাটিডে
(ii) গৌণ খাঁজে
(iii) সেন্ট্রোমিয়ারে
(iv) মুখ্য খাঁজে
উত্তর: (iv) মুখ্য খাঁজে
(ii) 50
(iii) 23
(iv) 10
(ii) 44A + XY
(iii) 44A + XXY
(iv) 44A + XYY
(ii) XX-YY
(iii) XX-XY
(iv) XO-XY
(ii) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + Y
(iii) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + Y
(iv) ডিম্বাণুর স্বাভাবিক ক্রোমোজোম বিন্যাস 22A + XY
(ii) ক্রোমোজোম
(iii) ক্রোমোনিমা
(iv) ক্রোমোমিয়ার
(ii) 2
(iii) 6
(iv) 8
(ii) ক্রোমোজোম
(iii) ক্রোমোনিমা
(iv) ক্রোমোমিয়ার
(ii) গৌণ খাঁজে
(iii) টেলোমিয়ারে
(iv) স্যাটেলাইটে
(ii) ক্রোমোমিয়ার
(iii) ক্রোমাটিড
(iv) সেন্ট্রোমিয়ার
(ii) গৌণ খাঁজে
(iii) সেন্ট্রোমিয়ারে
(iv) মুখ্য খাঁজে
21. কোশ বিভাজনের সময়ে
ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজস্থিত যে অংশের সঙ্গে বেমতন্ডু যুক্ত হয়, তা হল-
(i) ক্রোমোমিয়ার
(ii) সেন্ট্রোমিয়ার
(iii) ক্রোমাটিড
(iv) সেন্ট্রোজোম
উত্তর:(ii) সেন্ট্রোমিয়ার
22. যে ক্রোমোজোমের
মাঝখানে সেন্ট্রোমিয়ার অবস্থিত সেটি হল-
(i) টেলোসেন্ট্রিক
(ii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iii) মেটাসেন্ট্রিক
(iv) সাবমেটাসেন্ট্রিক
উত্তর: (iii)
মেটাসেন্ট্রিক
23. ইংরেজি 'V' আকৃতির ক্রোমোজোমকে বলে-
(i) মেটাসেন্ট্রিক
(ii) টেলোসেন্ট্রিক
(iii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iv) সাবমেটাসেন্ট্রিক
উত্তর: (i) মেটাসেন্ট্রিক
24. 'J' আকৃতির
ক্রোমোজোমকে বলা হয়-
(i) টেলোসেন্ট্রিক
(ii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iii) সাবমেটাসেন্ট্রিক
(iv) মেটাসেন্ট্রিক
উত্তর: (ii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
25. যে ক্রোমোজোমের
শেষপ্রান্তে সেন্ট্রোমিয়ার থাকে, তাকে বলে-
(i) মেটাসেন্ট্রিক
ক্রোমোজোম
(ii) সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iv) টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
উত্তর: (iv) টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
26. যে ক্রোমোজোমে
সেন্ট্রোমিয়ার থাকে না, তাকে বলে-
(i) মেটাসেন্ট্রিক
ক্রোমোজোম
(ii) সাব-মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iii) আসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iv) টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
উত্তর:(iii)
আসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
27. সেন্ট্রোমিয়ারের
উপস্থিতি অনুসারে ক্রোমোজোমের বিভিন্ন গঠন দেখা যায় যে দশায়, তা হল-
(i) প্রোফেজ
(ii) মেটাফেজ
(iii) টেলোফেজ
(iv) অ্যানাফেজ
উত্তর: (ii) মেটাফেজ
28. সেন্ট্রোমিয়ারযুক্ত
মুখ্য খাঁজ ছাড়া ক্রোমোজোমে অন্য যে-কোনো খাঁজ থাকলে তাকে বলে-
(i) গৌণ খাঁজ
(ii) প্রথম খাঁজ
(iii) প্রাথমিক খাঁজ
(iv) দ্বিতীয় খাঁজ
উত্তর:(i) গৌণ খাঁজ
29. গৌণ খাঁজ বা NOR
পরবর্তী ক্রোমোজোমীয় অংশকে বলে-
(i) স্টেম বডি
(ii) সেন্ট্রোমিয়ার
(iii) SAT-বডি
(iv) সেন্ট্রোজোম
উত্তর: (iii)
SAT-বডি
30. ক্রোমোজোমের
প্রান্তদ্বয়ের নাম হল-
(i) সেন্ট্রোমিয়ার
(ii) টেলোমিয়ার
(iii) নিউক্লিওলার অর্গানাইজার
(iv) স্যাটেলাইট
উত্তর: (ii) টেলোমিয়ার
(ii) সেন্ট্রোমিয়ার
(iii) ক্রোমাটিড
(iv) সেন্ট্রোজোম
(ii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iii) মেটাসেন্ট্রিক
(iv) সাবমেটাসেন্ট্রিক
(ii) টেলোসেন্ট্রিক
(iii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iv) সাবমেটাসেন্ট্রিক
(ii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক
(iii) সাবমেটাসেন্ট্রিক
(iv) মেটাসেন্ট্রিক
(ii) সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iii) অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iv) টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(ii) সাব-মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iii) আসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(iv) টেলোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম
(ii) মেটাফেজ
(iii) টেলোফেজ
(iv) অ্যানাফেজ
(ii) প্রথম খাঁজ
(iii) প্রাথমিক খাঁজ
(iv) দ্বিতীয় খাঁজ
(ii) সেন্ট্রোমিয়ার
(iii) SAT-বডি
(iv) সেন্ট্রোজোম
(ii) টেলোমিয়ার
(iii) নিউক্লিওলার অর্গানাইজার
(iv) স্যাটেলাইট
31. NOR ক্রোমোজোমের যে
অংশে বিন্যস্ত থাকে-
(i) প্রাথমিক খাঁজ
(ii) গৌণ খাঁজ
(iii) নিউক্লিওলাস
(iv) নিউক্লিওপ্লাজম
উত্তর:(ii) গৌণ খাঁজ
32. কাইনেটোকোর যা দিয়ে
গঠিত তা হল-
(i) ফ্যাট
(ii) শর্করা
(iii) ফসফরাস
(iv) প্রোটিন
উত্তর: (iv) প্রোটিন
33. ক্রোমোজোমে DNA-র শতকরা মাত্রা-
(i) 50
(ii) 90
(iii) 33.3
(iv) 100
উত্তর: (iii)
33.3
34. প্রতিটি
রাইবোনিউক্লিক ও ডি-অক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড অণু বহু- সংখ্যক যে উপাদানটি
দ্বারা তৈরি, তা হল-
(i) ফসফেট
(ii) N₂-ক্ষারক
(iii) নিউক্লিওসাইড
(iv) নিউক্লিওটাইড
উত্তর: (iv) নিউক্লিওটাইড
35. DNA ও RNA-এর গঠনগত এককটি হল-
(i) পেন্টোজ শর্করা
(ii) ফসফেট
(iii) অ্যামিনো অ্যাসিড
(iv) নিউক্লিওটাইড
উত্তর: (iv) নিউক্লিওটাইড
36. নীচের কোন্টি DNA-এর গঠনগত উপাদান নয়?
(i) ডিঅক্সিরাইবোজ
শর্করা
(ii) উরাসিল ক্ষারক
(iii) থাইমিন ক্ষারক
(iv) ফসফোরিক অ্যাসিড
উত্তর: (ii) উরাসিল ক্ষারক
37. নাইট্রোজেনযুক্ত
ক্ষার + পেন্টোজ শর্করা হল-
(i) RNA
(ii) নিউক্লিওটাইড
(iii) নিউক্লিওসাইড
(iv) DNA
উত্তর: (iv)
DNA
38. নিউক্লিওটাইডের
রাসায়নিক উপাদান সংক্রান্ত নীচের কোন্টি সঠিক-
(i) 5-C যুক্ত শর্করা +
ফসফরিক অ্যাসিড = নিউক্লিওটাইড
(ii) N₂ যুক্ত শর্করা + ফসফরিক অ্যাসিড = নিউক্লিওটাইড
(iii) 5-C যুক্ত শর্করা + N2 যুক্ত ক্ষারক = নিউক্লিওটাইড
(iv) 5-C যুক্ত শর্করা + N2 যুক্ত ক্ষারক + ফসফরিক অ্যাসিড
উত্তর: (iii)
5-C যুক্ত শর্করা + N2 যুক্ত ক্ষারক =
নিউক্লিওটাইড
39. DNA-তে গুয়ানিনের
পরিপূরক ক্ষার মূলকটি হল-
(i) ইউরাসিল
(ii) অ্যাডেনিন
(iii) সাইটোসিন
(iv) থাইমিন
উত্তর: (iii)
সাইটোসিন
40. DNA-র শর্করাটির নাম-
(i) ইবোজ
(ii) গ্যাল্যাকটোজ
(iii) ডিঅক্সিরাইবোজ
(iv) গ্লুকোজ
উত্তর: (iii)
ডিঅক্সিরাইবোজ
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও
(ii) গৌণ খাঁজ
(iii) নিউক্লিওলাস
(iv) নিউক্লিওপ্লাজম
(ii) শর্করা
(iii) ফসফরাস
(iv) প্রোটিন
(ii) 90
(iii) 33.3
(iv) 100
(ii) N₂-ক্ষারক
(iii) নিউক্লিওসাইড
(iv) নিউক্লিওটাইড
(ii) ফসফেট
(iii) অ্যামিনো অ্যাসিড
(iv) নিউক্লিওটাইড
(ii) উরাসিল ক্ষারক
(iii) থাইমিন ক্ষারক
(iv) ফসফোরিক অ্যাসিড
(ii) নিউক্লিওটাইড
(iii) নিউক্লিওসাইড
(iv) DNA
(ii) N₂ যুক্ত শর্করা + ফসফরিক অ্যাসিড = নিউক্লিওটাইড
(iii) 5-C যুক্ত শর্করা + N2 যুক্ত ক্ষারক = নিউক্লিওটাইড
(iv) 5-C যুক্ত শর্করা + N2 যুক্ত ক্ষারক + ফসফরিক অ্যাসিড
(ii) অ্যাডেনিন
(iii) সাইটোসিন
(iv) থাইমিন
(ii) গ্যাল্যাকটোজ
(iii) ডিঅক্সিরাইবোজ
(iv) গ্লুকোজ
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও
1. প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো একটি প্রজাতির নতুন অপত্য বংশ উৎপাদনকে প্রজনন বলে।
2. প্রজননের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: প্রজননের মূল উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে কোনো জীবপ্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা।
3. উদ্ভিদের অযৌন জননে
রেণু কোন্ অঙ্গে তৈরি হয়?
উত্তর: উদ্ভিদের অযৌন জননে রেণু থলির মতো আকৃতির রেণুস্থলীতে বা স্পোরানজিয়ামে তৈরি হয়।
4. অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনুর প্রকৃতি কেমন তা লেখো।
উত্তর: অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনু জিনগতভাবে জনিতৃ জনুর অনুরূপ হয়, অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনো প্রকরণ ঘটে না।
5. অযৌন জনন কী ধরনের কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: অযৌন জনন প্রধানত মাইটোসিস ও কিছুক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল।
6. যৌন জননের একটি গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: যৌন জননে অপত্যের দেহে নতুন বৈশিষ্ট্য প্রকাশের সম্ভাবনা থাকে।
7. যৌন জনন আরও কী কী নামে পরিচিত?
উত্তর: যৌন জনন অ্যাম্ফিমিক্সিস, সিনজেনেসিস প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৪. যৌন জননের একক কী?
উত্তর: গ্যামেট।
9. গ্যামেটের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড (n)।
10. গ্যামেট গঠনের প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর: গ্যামেটোজেনেসিস।
11. শুক্রাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে শুক্রাণু উৎপন্ন হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: স্পার্মাটোজেনেসিস।
12. ডিম্বাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় তাকে কী বলে?
উত্তর:উজেনেসিস।
উত্তর: উদ্ভিদের অযৌন জননে রেণু থলির মতো আকৃতির রেণুস্থলীতে বা স্পোরানজিয়ামে তৈরি হয়।
4. অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনুর প্রকৃতি কেমন তা লেখো।
উত্তর: অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনু জিনগতভাবে জনিতৃ জনুর অনুরূপ হয়, অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনো প্রকরণ ঘটে না।
5. অযৌন জনন কী ধরনের কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: অযৌন জনন প্রধানত মাইটোসিস ও কিছুক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল।
6. যৌন জননের একটি গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: যৌন জননে অপত্যের দেহে নতুন বৈশিষ্ট্য প্রকাশের সম্ভাবনা থাকে।
7. যৌন জনন আরও কী কী নামে পরিচিত?
উত্তর: যৌন জনন অ্যাম্ফিমিক্সিস, সিনজেনেসিস প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৪. যৌন জননের একক কী?
উত্তর: গ্যামেট।
9. গ্যামেটের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড (n)।
10. গ্যামেট গঠনের প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর: গ্যামেটোজেনেসিস।
11. শুক্রাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে শুক্রাণু উৎপন্ন হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: স্পার্মাটোজেনেসিস।
12. ডিম্বাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় তাকে কী বলে?
উত্তর:উজেনেসিস।
13. একই জীবদেহে উৎপন্ন
গ্যামেটের মধ্যে নিষেক প্রক্রিয়াটির কী নাম?
উত্তর: স্বনিষেক।
14. ভিন্ন জীবদেহে উৎপন্ন গ্যামেটের মধ্যে নিষেক প্রক্রিয়াটির কী নাম?
উত্তর: পরনিষেক।
15. অন্তঃনিষেক কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: পাখি, গোরু ইত্যাদি প্রাণীর দেহে অন্তঃনিষেক দেখা যায়।
16. জীবদেহের বাইরে, উন্মুক্ত পরিবেশে নিষেক ঘটলে তাকে কী বলে?
উত্তর: বহিঃনিষেক।
17. জননাঙ্গ ছাড়া অন্যান্য বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য দেখে একলিঙ্গ প্রাণীর পুরুষ ও স্ত্রীকে আলাদা করা যায়। একে কী বলে?
উত্তর: যৌন দ্বিরূপতা।
18. যৌন জননে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর: জাইগোট বা ভ্রুণাণু।
19. কোন্ প্রকার জনন প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে?
উত্তর: যৌন জনন।
20. হেটেরোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: স্বনিষেক।
14. ভিন্ন জীবদেহে উৎপন্ন গ্যামেটের মধ্যে নিষেক প্রক্রিয়াটির কী নাম?
উত্তর: পরনিষেক।
15. অন্তঃনিষেক কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: পাখি, গোরু ইত্যাদি প্রাণীর দেহে অন্তঃনিষেক দেখা যায়।
16. জীবদেহের বাইরে, উন্মুক্ত পরিবেশে নিষেক ঘটলে তাকে কী বলে?
উত্তর: বহিঃনিষেক।
17. জননাঙ্গ ছাড়া অন্যান্য বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য দেখে একলিঙ্গ প্রাণীর পুরুষ ও স্ত্রীকে আলাদা করা যায়। একে কী বলে?
উত্তর: যৌন দ্বিরূপতা।
18. যৌন জননে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর: জাইগোট বা ভ্রুণাণু।
19. কোন্ প্রকার জনন প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে?
উত্তর: যৌন জনন।
20. হেটেরোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: দুটি ভিন্ন আকার, আয়তন ও স্বভাববিশিষ্ট
পুং এবং স্ত্রীগ্যামেটের মিলনকে হেটেরোগ্যামি বলে।
21. দুটি গ্যামেটের
সম্পূর্ণ ও স্থায়ী মিলনকে কী বলে?
উত্তর: সিনগ্যামি।
22. সংযুক্তি পদ্ধতিতে জনন সম্পাদন করে, এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর: প্যারামেসিয়াম।
23. স্পাইরোগাইরা নামক শৈবাল কোন্ প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: খণ্ডীভবন (অযৌন জনন), সংযুক্তি (যৌন জনন)।
24. কোন্ আদ্যপ্রাণীর অযৌন ও যৌন জনন দেখা যায়?
উত্তর: প্যারামেসিয়াম, এরা দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন ও কনজুগেশন পদ্ধতিতে যৌন জনন সম্পন্ন করে।
25. অ্যামিবা-তে কী ধরনের জনন সংঘটিত হয়?
উত্তর: অযৌন জনন (দ্বিবিভাজন)।
26. দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে জনন করে এমন একটি আদ্যপ্রাণীর নাম বলো।
উত্তর: অ্যামিবা।
27. ম্যালেরিয়া রোগসৃষ্টিকারী প্রোটোজোয়ার দেহে কোন্ কোন্ ধরনের অযৌন জনন দেখা যায়?
উত্তর: বহুবিভাজন।
28. কোরকোদ্গম হয় এমন একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: হাইড্রা।
29. কোরকের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে কোন্ ছত্রাকের?
উত্তর: ঈস্ট।
30. গেমিউল কী?
উত্তর: স্পঞ্জের দেহাভ্যন্তরে অবস্থিত যে কোরক অযৌন জননে সাহায্য করে তাকে গেমিউল বলা হয় (এটি থেকে সম্পূর্ণ নতুন অপত্য স্পঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে)।
31. টরুলা দশা কী?
উত্তর: ঈস্টের কোরকের গঠন টরুলা প্রাণীর মতো দেখায় যায় বলে, এই দশাকে টবুলা দশা বলে।
32. প্ল্যানেরিয়া-র ক্ষেত্রে যে খন্ডীভবন ঘটে, তাকে কী বলে?
উত্তর: পুনরুৎপাদন।
33. পুনরুৎপাদন ঘটে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: হাইড্রা।
34. জীবদেহের কোনো খণ্ডিত অংশ থেকে পূর্ণাঙ্গ অপত্য জীবের উৎপত্তিকে কী বলে?
উত্তর:পুনরুৎপাদন।
35. চলরেণুর সাহায্যে অযৌন জনন দেখা যায় কোন্ জীবে?
উত্তর:ক্ল্যামাইডোমোনাস।
36. অচলরেণু দেখা যায় এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর: মিউকর।
37. কনিডিয়ার সাহায্যে বংশবিস্তার করে কোন্ ছত্রাক?
উত্তর: পেনিসিলিয়াম।
38. একটি রসালো মূলের নাম করো যা অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে।
উত্তর: রাঙা আলু।
39. উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ দাও।
উত্তর: উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ হল- রাঙা আলুর রসালো মূল দ্বারা বংশবিস্তার।
40. সুসনি যে পরিবর্তিত কাণ্ডের উদাহরণ তাকে কী বলে?
উত্তর: ধাবক বা রানার।
উত্তর: সিনগ্যামি।
22. সংযুক্তি পদ্ধতিতে জনন সম্পাদন করে, এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর: প্যারামেসিয়াম।
23. স্পাইরোগাইরা নামক শৈবাল কোন্ প্রক্রিয়ায় জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: খণ্ডীভবন (অযৌন জনন), সংযুক্তি (যৌন জনন)।
24. কোন্ আদ্যপ্রাণীর অযৌন ও যৌন জনন দেখা যায়?
উত্তর: প্যারামেসিয়াম, এরা দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন ও কনজুগেশন পদ্ধতিতে যৌন জনন সম্পন্ন করে।
25. অ্যামিবা-তে কী ধরনের জনন সংঘটিত হয়?
উত্তর: অযৌন জনন (দ্বিবিভাজন)।
26. দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে জনন করে এমন একটি আদ্যপ্রাণীর নাম বলো।
উত্তর: অ্যামিবা।
27. ম্যালেরিয়া রোগসৃষ্টিকারী প্রোটোজোয়ার দেহে কোন্ কোন্ ধরনের অযৌন জনন দেখা যায়?
উত্তর: বহুবিভাজন।
28. কোরকোদ্গম হয় এমন একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: হাইড্রা।
29. কোরকের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে কোন্ ছত্রাকের?
উত্তর: ঈস্ট।
30. গেমিউল কী?
উত্তর: স্পঞ্জের দেহাভ্যন্তরে অবস্থিত যে কোরক অযৌন জননে সাহায্য করে তাকে গেমিউল বলা হয় (এটি থেকে সম্পূর্ণ নতুন অপত্য স্পঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে)।
31. টরুলা দশা কী?
উত্তর: ঈস্টের কোরকের গঠন টরুলা প্রাণীর মতো দেখায় যায় বলে, এই দশাকে টবুলা দশা বলে।
32. প্ল্যানেরিয়া-র ক্ষেত্রে যে খন্ডীভবন ঘটে, তাকে কী বলে?
উত্তর: পুনরুৎপাদন।
33. পুনরুৎপাদন ঘটে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: হাইড্রা।
34. জীবদেহের কোনো খণ্ডিত অংশ থেকে পূর্ণাঙ্গ অপত্য জীবের উৎপত্তিকে কী বলে?
উত্তর:পুনরুৎপাদন।
35. চলরেণুর সাহায্যে অযৌন জনন দেখা যায় কোন্ জীবে?
উত্তর:ক্ল্যামাইডোমোনাস।
36. অচলরেণু দেখা যায় এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর: মিউকর।
37. কনিডিয়ার সাহায্যে বংশবিস্তার করে কোন্ ছত্রাক?
উত্তর: পেনিসিলিয়াম।
38. একটি রসালো মূলের নাম করো যা অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে।
উত্তর: রাঙা আলু।
39. উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ দাও।
উত্তর: উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ হল- রাঙা আলুর রসালো মূল দ্বারা বংশবিস্তার।
40. সুসনি যে পরিবর্তিত কাণ্ডের উদাহরণ তাকে কী বলে?
উত্তর: ধাবক বা রানার।
41. খর্বধাবকের সাহায্যে
অঙ্গজ জনন হয় কোন্ উদ্ভিদে?
উত্তর: কচুরিপানা।
42. স্টোলন কোন্ উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে?
উত্তর:মেন্থা।
43. 'টেরর অফ বেঙ্গল' বা 'বাংলার আতঙ্ক' কোন্ উদ্ভিদকে বলে ও কেন?
উত্তর: কচুরিপানা খর্বধাবক দ্বারা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে জলাশয়ের ভারসাম্য বিনষ্ট করে, তাই কচুরিপানাকে এই নামে অভিহিত করা হয়।
44. পাতার সাহায্যে অঙ্গজ জনন হয় কোন্ উদ্ভিদে?
উত্তর: পাথরকুচি।
45. কোন্ প্রাণীতে অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন তিন প্রকারের জনন প্রক্রিয়া ঘটে?
উত্তর: হাইড্রা।
46. দুটি কৃত্রিম অঙ্গজ জননের নাম ও উদাহরণ লেখো।
উত্তর:শাখাকলম, যেমন-গোলাপের কান্ড ও জোড়কলম, যেমন-আম।
47. গ্রাফটিং নির্বাচিত উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ শাখাকে কী বলে?
উত্তর: সিয়ন।
48. যে পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া দেওয়া হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: গ্রাফটিং বা জোড়কলম।
49. মাইক্রোপ্রোপাগেশন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: মাইক্রোপ্রোপাগেশন আবিষ্কার করেন ফ্রেডেরিক ক্যামপিয়ন স্টিউয়ার্ড নামক উদ্ভিদবিদ্।
50. উদ্ভিদ কলাকর্ষণে কোন্ কলা অংশ ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে?
উত্তর: উদ্ভিদ কলাকর্ষণে ভাজক কলা সমৃদ্ধ অংশ, যেমন-কাণ্ড, মূলপ্রান্ত ও মুকুল অংশের ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে।
51. অণুবিস্তারণ কোন্ কোশধর্মের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: টোটিপোটেন্সি।
52. কর্ষণ মাধ্যমের কাজ কী?
উত্তর: এক্সপ্ল্যান্টগুলি থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টির সময় পুষ্টি উপাদানের জোগান দেওয়া কর্ষণ মাধ্যমের কাজ।
53. কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় কোন্ উপাদান?
উত্তর: কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় সুক্রোজ-নামক শর্করা।
[ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
]
1. ফুল কাকে বলে?
উত্তর: উদ্ভিদের যৌন জননে সাহায্যকারী বিশেষভাবে পরিবর্তিত ও সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন পরিবর্তিত বিটপকে ফুল বা পুষ্প বলে।
2. ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① ফুল বিটপের পরিবর্তিত
রূপ। ② ফুল সাধারণত কাক্ষিক বা অগ্রমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়। ③ ফুলের প্রধান চারটি স্তবক হল-বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র।
3. ফুলের কাজ কী?
উত্তর: ফুলের কাজ হল-① সপুষ্পক উদ্ভিদে ফুল যৌন জনন সম্পাদন করে থাকে। ফুল থেকে ফল উৎপাদন হলে ফলের বীজ জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটায়। ② ফুলের সবুজ অংশ (বৃতি) সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করে।
4. পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: পুষ্পাক্ষ: বৃত্তের অগ্রভাগে যে স্ফীত অক্ষে পুষ্পস্তবকগুলি পরপর আবর্তাকারে বা সর্পিলাকারে বিন্যস্ত থাকে, তাকে পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস বলে।
উত্তর: কচুরিপানা।
42. স্টোলন কোন্ উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে?
উত্তর:মেন্থা।
43. 'টেরর অফ বেঙ্গল' বা 'বাংলার আতঙ্ক' কোন্ উদ্ভিদকে বলে ও কেন?
উত্তর: কচুরিপানা খর্বধাবক দ্বারা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে জলাশয়ের ভারসাম্য বিনষ্ট করে, তাই কচুরিপানাকে এই নামে অভিহিত করা হয়।
44. পাতার সাহায্যে অঙ্গজ জনন হয় কোন্ উদ্ভিদে?
উত্তর: পাথরকুচি।
45. কোন্ প্রাণীতে অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন তিন প্রকারের জনন প্রক্রিয়া ঘটে?
উত্তর: হাইড্রা।
46. দুটি কৃত্রিম অঙ্গজ জননের নাম ও উদাহরণ লেখো।
উত্তর:শাখাকলম, যেমন-গোলাপের কান্ড ও জোড়কলম, যেমন-আম।
47. গ্রাফটিং নির্বাচিত উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ শাখাকে কী বলে?
উত্তর: সিয়ন।
48. যে পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া দেওয়া হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: গ্রাফটিং বা জোড়কলম।
49. মাইক্রোপ্রোপাগেশন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: মাইক্রোপ্রোপাগেশন আবিষ্কার করেন ফ্রেডেরিক ক্যামপিয়ন স্টিউয়ার্ড নামক উদ্ভিদবিদ্।
50. উদ্ভিদ কলাকর্ষণে কোন্ কলা অংশ ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে?
উত্তর: উদ্ভিদ কলাকর্ষণে ভাজক কলা সমৃদ্ধ অংশ, যেমন-কাণ্ড, মূলপ্রান্ত ও মুকুল অংশের ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে।
51. অণুবিস্তারণ কোন্ কোশধর্মের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: টোটিপোটেন্সি।
52. কর্ষণ মাধ্যমের কাজ কী?
উত্তর: এক্সপ্ল্যান্টগুলি থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টির সময় পুষ্টি উপাদানের জোগান দেওয়া কর্ষণ মাধ্যমের কাজ।
53. কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় কোন্ উপাদান?
উত্তর: কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় সুক্রোজ-নামক শর্করা।
1. ফুল কাকে বলে?
উত্তর: উদ্ভিদের যৌন জননে সাহায্যকারী বিশেষভাবে পরিবর্তিত ও সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন পরিবর্তিত বিটপকে ফুল বা পুষ্প বলে।
2. ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① ফুল বিটপের পরিবর্তিত
রূপ। ② ফুল সাধারণত কাক্ষিক বা অগ্রমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়। ③ ফুলের প্রধান চারটি স্তবক হল-বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র।
3. ফুলের কাজ কী?
উত্তর: ফুলের কাজ হল-① সপুষ্পক উদ্ভিদে ফুল যৌন জনন সম্পাদন করে থাকে। ফুল থেকে ফল উৎপাদন হলে ফলের বীজ জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটায়। ② ফুলের সবুজ অংশ (বৃতি) সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করে।
4. পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: পুষ্পাক্ষ: বৃত্তের অগ্রভাগে যে স্ফীত অক্ষে পুষ্পস্তবকগুলি পরপর আবর্তাকারে বা সর্পিলাকারে বিন্যস্ত থাকে, তাকে পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস বলে।
[* পুষ্পাক্ষের কাজ:
ফুলের বিভিন্ন স্তবককে ধারণ করা।
5. পুষ্পাক্ষের ওপর পরপর সজ্জিত চারটি স্তবকের নাম কী?
উত্তর: পুষ্পাক্ষের ওপর যে চারটি স্তবক পরপর সাজানো থাকে, তাদের নাম-① বৃতি, ② দলমণ্ডল, ③ পুংস্তবক, ④ স্ত্রীস্তবক।
6. আদর্শ ফুল কাকে বলে?
উত্তর: যে ফুলের পুষ্পাক্ষের ওপরে চারটি স্তবক পরপর স্বাভাবিক রীতিতে সজ্জিত থাকে, তাকে আদর্শ ফুল বলে। যেমন-জবা ফুল।
7. নগ্ন ফুল কাকে বলে?
উত্তর: যেসব ফুলে সাহায্যকারী স্তবক অর্থাৎ বৃতি এবং দলমণ্ডল থাকে না, তাদের নগ্ন ফুল বলে। যেমন-লালপাতা ফুল।
৪. পুষ্পবৃত্ত কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: পুষ্পবৃত্ত: আদর্শ পুষ্পের পুষ্পাক্ষটি যে সরু অংশ দ্বারা কাণ্ডের বা শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে পুষ্পবৃন্ত বলে।
[ পুষ্পবৃত্তের কাজ: ফুলকে কাণ্ডের শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত রাখা।
9. সবৃন্তক ফুল ও অবৃন্তক ফুল কাকে বলে?
উত্তর: সবৃন্তক ফুল: যেসব ফুলের পুষ্পবৃত্ত বা বোঁটা থাকে, তাদের সবৃন্তক ফুল বলে। যেমন-জবাফুল, গোলাপ ফুল ইত্যাদি। [+ অবৃত্তক ফুল: যেসব ফুলের পুষ্পবৃন্ত বা বোঁটা থাকে না, তাদের অবৃন্তক ফুল বলে। যেমন-রজনিগন্ধা।
10. সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: সম্পূর্ণ ফুল: যেসব ফুলে বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক-এই চারটি স্তবকই বর্তমান তাদের সম্পূর্ণ ফুল বলে।
উদাহরণ: জবা, মটর, অপরাজিতা, সরষে ইত্যাদি।
11. অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: অসম্পূর্ণ ফুল: যেসব ফুলে চারটি স্তবকের (বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র) মধ্যে এক বা একাধিক স্তবক অনুপস্থিত, তাদের অসম্পূর্ণ ফুল বলে।
[ উদাহরণ: কুমড়ো, পেঁপে, বনতুলসী, মুক্তঝুরি ইত্যাদি।
12. বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বন্ধ্যা বা ক্লীব ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবকের কোনোটিই থাকে না, তাদের বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল বলে।
[ উদাহরণ: সূর্যমুখীর প্রান্ত পুষ্পিকা, ওল।
13. একলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: একলিঙ্গ ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবকের মধ্যে যে-
কোনো একটি উপস্থিত থাকে, তাদের একলিঙ্গ ফুল বলে। শুধুমাত্র পুংস্তবক থাকলে তাকে পুরুষ ফুল বলে এবং শুধুমাত্র স্ত্রীস্তবক থাকলে তাকে স্ত্রী ফুল বলে।
[ উদাহরণ: কুমড়ো ফুল।
14. দ্বিলিঙ্গ ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তর: উভলিঙ্গ ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক উভয়ই থাকে, তাদের দ্বিলিঙ্গ (বাইসেক্সুয়াল) ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলে।
[ উদাহরণ: জবা ফুল, ধুতরো ফুল।
15. সহবাসী উদ্ভিদ (monoecious plant) কাকে বলে?
উত্তর: যে উদ্ভিদে পুরুষ ফুল এবং স্ত্রী ফুল পৃথকভাবে কিন্তু একই উদ্ভিদে জন্মায়, তাকে সহবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন-লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি।
16. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ (dioecious plant) কাকে বলে?
উত্তর: যে উদ্ভিদে পুরুষ অথবা স্ত্রী যে-কোনো একপ্রকারের ফুল জন্মায় তাকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন- পেঁপে, তাল প্রভৃতি।
5. পুষ্পাক্ষের ওপর পরপর সজ্জিত চারটি স্তবকের নাম কী?
উত্তর: পুষ্পাক্ষের ওপর যে চারটি স্তবক পরপর সাজানো থাকে, তাদের নাম-① বৃতি, ② দলমণ্ডল, ③ পুংস্তবক, ④ স্ত্রীস্তবক।
6. আদর্শ ফুল কাকে বলে?
উত্তর: যে ফুলের পুষ্পাক্ষের ওপরে চারটি স্তবক পরপর স্বাভাবিক রীতিতে সজ্জিত থাকে, তাকে আদর্শ ফুল বলে। যেমন-জবা ফুল।
7. নগ্ন ফুল কাকে বলে?
উত্তর: যেসব ফুলে সাহায্যকারী স্তবক অর্থাৎ বৃতি এবং দলমণ্ডল থাকে না, তাদের নগ্ন ফুল বলে। যেমন-লালপাতা ফুল।
৪. পুষ্পবৃত্ত কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: পুষ্পবৃত্ত: আদর্শ পুষ্পের পুষ্পাক্ষটি যে সরু অংশ দ্বারা কাণ্ডের বা শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে পুষ্পবৃন্ত বলে।
[ পুষ্পবৃত্তের কাজ: ফুলকে কাণ্ডের শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত রাখা।
9. সবৃন্তক ফুল ও অবৃন্তক ফুল কাকে বলে?
উত্তর: সবৃন্তক ফুল: যেসব ফুলের পুষ্পবৃত্ত বা বোঁটা থাকে, তাদের সবৃন্তক ফুল বলে। যেমন-জবাফুল, গোলাপ ফুল ইত্যাদি। [+ অবৃত্তক ফুল: যেসব ফুলের পুষ্পবৃন্ত বা বোঁটা থাকে না, তাদের অবৃন্তক ফুল বলে। যেমন-রজনিগন্ধা।
10. সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: সম্পূর্ণ ফুল: যেসব ফুলে বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক-এই চারটি স্তবকই বর্তমান তাদের সম্পূর্ণ ফুল বলে।
উদাহরণ: জবা, মটর, অপরাজিতা, সরষে ইত্যাদি।
11. অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: অসম্পূর্ণ ফুল: যেসব ফুলে চারটি স্তবকের (বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র) মধ্যে এক বা একাধিক স্তবক অনুপস্থিত, তাদের অসম্পূর্ণ ফুল বলে।
[ উদাহরণ: কুমড়ো, পেঁপে, বনতুলসী, মুক্তঝুরি ইত্যাদি।
12. বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: বন্ধ্যা বা ক্লীব ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবকের কোনোটিই থাকে না, তাদের বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল বলে।
[ উদাহরণ: সূর্যমুখীর প্রান্ত পুষ্পিকা, ওল।
13. একলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: একলিঙ্গ ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবকের মধ্যে যে-
কোনো একটি উপস্থিত থাকে, তাদের একলিঙ্গ ফুল বলে। শুধুমাত্র পুংস্তবক থাকলে তাকে পুরুষ ফুল বলে এবং শুধুমাত্র স্ত্রীস্তবক থাকলে তাকে স্ত্রী ফুল বলে।
[ উদাহরণ: কুমড়ো ফুল।
14. দ্বিলিঙ্গ ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তর: উভলিঙ্গ ফুল: যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক উভয়ই থাকে, তাদের দ্বিলিঙ্গ (বাইসেক্সুয়াল) ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলে।
[ উদাহরণ: জবা ফুল, ধুতরো ফুল।
15. সহবাসী উদ্ভিদ (monoecious plant) কাকে বলে?
উত্তর: যে উদ্ভিদে পুরুষ ফুল এবং স্ত্রী ফুল পৃথকভাবে কিন্তু একই উদ্ভিদে জন্মায়, তাকে সহবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন-লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি।
16. ভিন্নবাসী উদ্ভিদ (dioecious plant) কাকে বলে?
উত্তর: যে উদ্ভিদে পুরুষ অথবা স্ত্রী যে-কোনো একপ্রকারের ফুল জন্মায় তাকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন- পেঁপে, তাল প্রভৃতি।
17. বৃতি ও দলমণ্ডলকে
ফুলের সাহায্যকারী স্তবক বলে কেন?
উত্তর: বৃতি ও দলমণ্ডলকে ফুলের সাহায্যকারী স্তবক বলে কারণ, এরা সপুষ্পক উদ্ভিদের জননে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ না করলেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যেমন-পরাগযোগের জন্য বিভিন্ন বাহকদের আকৃষ্ট করা।
18. বৃতি কাকে বলে?
উত্তর: ফুলের সর্বাপেক্ষা বাইরের বা নীচের দিকে অবস্থিত স্তবক যা ফুলকে কুঁড়ি অবস্থায় ঢেকে রাখে এবং তাকে রক্ষা করে, তাকে বৃতি বা ক্যালিক্স বলে। বৃতির প্রতিটি একককে বৃত্যংশ বলা হয়। কিছুকিছু ফুলে বৃতির ঠিক নীচে উপবৃতি থাকে। পরাগমারী
19. পুংকেশর চক্র গর্ভকেশর চক্র কাকে বলে?
উত্তর: পুংকেশর চক্র পুংদণ্ড ও পরাগধানী সমন্বিত পুংকেশর নিয়ে গঠিত, দলমণ্ডলের ভিতরের দিকে
অবস্থিত, ফুলের তৃতীয় এবং অপরিহার্য স্তবককে পুংকেশর - | চক্র বা অ্যান্ড্রোসিয়াম বলে। গর্ভকেশর চক্র: গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড এবং গর্ভমুণ্ড নিয়ে গঠিত, ফুলের সব থেকে ভিতরে অবস্থিত, ফুলের চতুর্থ এবং অপরিহার্য স্তবককে গর্ভকেশর চক্র বা গাইনোসিয়াম বলে।
20. পরাগযোগ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু একই ফুলের বা একই গাছের অন্য কোনো ফুলের বা একই প্রজাতির অন্য গাছের কোনো ফুলের গর্ভকেশরের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরাগযোগ বলে।
21. পরাগযোগ কয়প্রকার ও কী কী তা চার্টের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর:
22. গেইটোনোগ্যামি কাকে বলে? এটি একলিঙ্গ উদ্ভিদে সম্ভব কি?
উত্তর: যে স্বপরাগযোগ পদ্ধতিতে কোনো উদ্ভিদের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটে, তাকে গেইটোনোগ্যামি বলে। যেমন-ভুট্টা-জাতীয় উভলিঙ্গ উদ্ভিদে গেইটোনোগ্যামি দেখা যায়।
[একলিঙ্গ উদ্ভিদে কেবলমাত্র একপ্রকার পুরুষ অথবা স্ত্রী ফুল ফোটায়, গেইটোনোগ্যামি সম্ভব হয় না।
23. পরাগযোগের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদের জননের জন্য পরাগযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরাগমিলন হলে ফল তৈরি হয় এবং ফলের বীজ থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরি সম্ভব হয়। ② অধিকাংশ খাদ্যশস্য ও ফল উৎপাদন পরাগযোগের ওপর নির্ভর করে।
24. 'স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক'- ব্যাখ্যা করো। অনুরূপ প্রশ্ন, ইতর পরাগযোগ স্বপরাগযোগ অপেক্ষা উন্নততর কেন?
উত্তর: স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক, কারণ-① ইতর পরাগযোগে দুটি পৃথক উদ্ভিদের জিনগত উপাদানের সমন্বয় ঘটে বলে অধিক প্রকরণ সৃষ্টি হয়। ফলে অপত্য উদ্ভিদ উন্নত গুণমান সম্পন্ন হয়ে থাকে। এগুলির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, কষ্টসহিষুতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হয়। স্বপরাগযোগে সেই সুবিধা নেই। ② জিনগত প্রকরণ ঘটে বলে উদ্ভিদটি প্রজাতিটির অভিব্যক্তিতেও সাহায্য করে।
25. 'ইতর পরাগযোগ একটি অনিশ্চিত প্রক্রিয়া'-বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো।
উত্তর: ইতর পরাগযোগের ক্ষেত্রে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগরেণুর স্থানান্তরনের জন্য জল, বায়ু, পতঙ্গ, পাখি প্রভৃতি বাহকের প্রয়োজন হয়। উপযুক্ত বাহকের অনুপস্থিতি ঘটলে, ইতর পরাগযোগ সম্পন্ন হতে পারে না। তাই 'ইতর পরাগযোগ একটি অনিশ্চিত প্রক্রিয়া'-বক্তব্যটি যুক্তিসঙ্গত ও যথার্থ।
26. সাধারণত একলিঙ্গ ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে-কথাটির সত্যতা বিচার করো।
উত্তর: যেসব ফুলের দুটি জনন স্তবকের মধ্যে একটি উপস্থিত তাকে একলিঙ্গ ফুল বলে। একলিঙ্গ ফুলে যেহেতু পুং এবং স্ত্রী জনন স্তবক দুটি একসঙ্গে থাকে না, তাই এতে স্বপরাগযোগ ঘটবার কোনো অবকাশ থাকে না। তাই 'সাধারণত একলিঙ্গ ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে'- কথাটি সত্য ও যুক্তিপূর্ণ।
27. বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: বায়ুপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-① বায়ুপরাগী ফুল সাধারণত সাদা, অনুজ্জ্বল এবং ক্ষুদ্রাকার হয়। এইজাতীয় ফুল দৃষ্টি আকর্ষী হয় না।② পরাগরেণু যাতে বাতাসে সহজে উড়তে পারে, তার জন্য পরাগ খুবই হালকা হয়। উদাহরণ-ধান। ও দীর্ঘ পুংদণ্ডের উপস্থিতির জন্য দোদুল্যমান পরাগধানী দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে আসে। ④ বায়ু দ্বারা বাহিত হওয়ার সময় পরাগরেণু অপচয় হয়, তাই অধিক পরিমাণে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। ⑤ এই জাতীয় ফুলে মকরন্দ সঞ্চিত হয় না এবং ফুল সাধারণত গন্ধহীন হয়।
28. বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড কেমন হয়?
উত্তর: বায়ুপরাগী ফুলের পরাগরেণু: বর্ণহীন, গন্ধহীন, অনুজ্জ্বল ও ক্ষুদ্র হয়। বায়ুপরাগী ফুলের গর্ভমুণ্ড: শাখান্বিত, রোমশ ও আঠালো প্রকৃতির হয় ও তা দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে থাকে।
উত্তর: বৃতি ও দলমণ্ডলকে ফুলের সাহায্যকারী স্তবক বলে কারণ, এরা সপুষ্পক উদ্ভিদের জননে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ না করলেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যেমন-পরাগযোগের জন্য বিভিন্ন বাহকদের আকৃষ্ট করা।
18. বৃতি কাকে বলে?
উত্তর: ফুলের সর্বাপেক্ষা বাইরের বা নীচের দিকে অবস্থিত স্তবক যা ফুলকে কুঁড়ি অবস্থায় ঢেকে রাখে এবং তাকে রক্ষা করে, তাকে বৃতি বা ক্যালিক্স বলে। বৃতির প্রতিটি একককে বৃত্যংশ বলা হয়। কিছুকিছু ফুলে বৃতির ঠিক নীচে উপবৃতি থাকে। পরাগমারী
19. পুংকেশর চক্র গর্ভকেশর চক্র কাকে বলে?
উত্তর: পুংকেশর চক্র পুংদণ্ড ও পরাগধানী সমন্বিত পুংকেশর নিয়ে গঠিত, দলমণ্ডলের ভিতরের দিকে
অবস্থিত, ফুলের তৃতীয় এবং অপরিহার্য স্তবককে পুংকেশর - | চক্র বা অ্যান্ড্রোসিয়াম বলে। গর্ভকেশর চক্র: গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড এবং গর্ভমুণ্ড নিয়ে গঠিত, ফুলের সব থেকে ভিতরে অবস্থিত, ফুলের চতুর্থ এবং অপরিহার্য স্তবককে গর্ভকেশর চক্র বা গাইনোসিয়াম বলে।
20. পরাগযোগ কাকে বলে?
উত্তর: যে পদ্ধতিতে ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু একই ফুলের বা একই গাছের অন্য কোনো ফুলের বা একই প্রজাতির অন্য গাছের কোনো ফুলের গর্ভকেশরের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরাগযোগ বলে।
21. পরাগযোগ কয়প্রকার ও কী কী তা চার্টের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর:
22. গেইটোনোগ্যামি কাকে বলে? এটি একলিঙ্গ উদ্ভিদে সম্ভব কি?
উত্তর: যে স্বপরাগযোগ পদ্ধতিতে কোনো উদ্ভিদের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটে, তাকে গেইটোনোগ্যামি বলে। যেমন-ভুট্টা-জাতীয় উভলিঙ্গ উদ্ভিদে গেইটোনোগ্যামি দেখা যায়।
[একলিঙ্গ উদ্ভিদে কেবলমাত্র একপ্রকার পুরুষ অথবা স্ত্রী ফুল ফোটায়, গেইটোনোগ্যামি সম্ভব হয় না।
23. পরাগযোগের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদের জননের জন্য পরাগযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরাগমিলন হলে ফল তৈরি হয় এবং ফলের বীজ থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরি সম্ভব হয়। ② অধিকাংশ খাদ্যশস্য ও ফল উৎপাদন পরাগযোগের ওপর নির্ভর করে।
24. 'স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক'- ব্যাখ্যা করো। অনুরূপ প্রশ্ন, ইতর পরাগযোগ স্বপরাগযোগ অপেক্ষা উন্নততর কেন?
উত্তর: স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক, কারণ-① ইতর পরাগযোগে দুটি পৃথক উদ্ভিদের জিনগত উপাদানের সমন্বয় ঘটে বলে অধিক প্রকরণ সৃষ্টি হয়। ফলে অপত্য উদ্ভিদ উন্নত গুণমান সম্পন্ন হয়ে থাকে। এগুলির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, কষ্টসহিষুতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হয়। স্বপরাগযোগে সেই সুবিধা নেই। ② জিনগত প্রকরণ ঘটে বলে উদ্ভিদটি প্রজাতিটির অভিব্যক্তিতেও সাহায্য করে।
25. 'ইতর পরাগযোগ একটি অনিশ্চিত প্রক্রিয়া'-বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো।
উত্তর: ইতর পরাগযোগের ক্ষেত্রে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগরেণুর স্থানান্তরনের জন্য জল, বায়ু, পতঙ্গ, পাখি প্রভৃতি বাহকের প্রয়োজন হয়। উপযুক্ত বাহকের অনুপস্থিতি ঘটলে, ইতর পরাগযোগ সম্পন্ন হতে পারে না। তাই 'ইতর পরাগযোগ একটি অনিশ্চিত প্রক্রিয়া'-বক্তব্যটি যুক্তিসঙ্গত ও যথার্থ।
26. সাধারণত একলিঙ্গ ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে-কথাটির সত্যতা বিচার করো।
উত্তর: যেসব ফুলের দুটি জনন স্তবকের মধ্যে একটি উপস্থিত তাকে একলিঙ্গ ফুল বলে। একলিঙ্গ ফুলে যেহেতু পুং এবং স্ত্রী জনন স্তবক দুটি একসঙ্গে থাকে না, তাই এতে স্বপরাগযোগ ঘটবার কোনো অবকাশ থাকে না। তাই 'সাধারণত একলিঙ্গ ফুলে ইতর পরাগযোগ ঘটে'- কথাটি সত্য ও যুক্তিপূর্ণ।
27. বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: বায়ুপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-① বায়ুপরাগী ফুল সাধারণত সাদা, অনুজ্জ্বল এবং ক্ষুদ্রাকার হয়। এইজাতীয় ফুল দৃষ্টি আকর্ষী হয় না।② পরাগরেণু যাতে বাতাসে সহজে উড়তে পারে, তার জন্য পরাগ খুবই হালকা হয়। উদাহরণ-ধান। ও দীর্ঘ পুংদণ্ডের উপস্থিতির জন্য দোদুল্যমান পরাগধানী দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে আসে। ④ বায়ু দ্বারা বাহিত হওয়ার সময় পরাগরেণু অপচয় হয়, তাই অধিক পরিমাণে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। ⑤ এই জাতীয় ফুলে মকরন্দ সঞ্চিত হয় না এবং ফুল সাধারণত গন্ধহীন হয়।
28. বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড কেমন হয়?
উত্তর: বায়ুপরাগী ফুলের পরাগরেণু: বর্ণহীন, গন্ধহীন, অনুজ্জ্বল ও ক্ষুদ্র হয়। বায়ুপরাগী ফুলের গর্ভমুণ্ড: শাখান্বিত, রোমশ ও আঠালো প্রকৃতির হয় ও তা দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে থাকে।
29. জলপরাগী বা
হাইড্রোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: জলপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-(1) জলপরাগ। ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র হয় এবং ফুলগুলি অনুজ্জ্বল প্রকৃতির। ② জলের তলায় যে ফুলের পরাগযোগ সম্পন্ন হয়, সেই ফুলের পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত ভারী হয়। ও রেণুগুলির বাইরের ত্বকে - মোমজাতীয় পদার্থের আস্তরণ থাকে। ④ কিছুসংখ্যক জলপরাগী ফুলের গর্ভকেশর এবং পুংকেশর দলাংশ দিয়ে ঢাকা থাকে না। ⑤ পরাগরেণুগুলি ক্ষুদ্র ন হয় এবং সহজে জলের মাধ্যমে জলপরাগী ফুল-পাতাঝাঁঝি • একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে। উদাহরণ- পাতাঝাঁঝি।
30. পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
অনুরূপ প্রশ্ন, পতঙ্গপরাগী ফুল চিনবে কী করে?
উত্তর: পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য- গুলি হল- পতঙ্গপরাগী ফুলগুলি সাধারণত বড়ো ও উজ্জ্বল বর্ণের হয়। ② ফুলগুলি সুগন্ধযুক্ত হয় এবং ফুলে অনেক সময় মকরন্দ সঞ্চিত থাকে। ③ এইজাতীয় ফুলে পরাগরেণুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়। ④ পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত বড়ো, আঠালো এবং খসখসে হয়, যাতে সহজে পতঙ্গের গায়ে আটকে যেতে পারে। ⑤ এইপ্রকার ফুলের গর্ভমুণ্ড সাধারণত ক্ষুদ্রাকার, আঠালো এবং খসখসে হয়। উদাহরণ-আম।
31. পাখিপরাগী বা অরনিথোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: পাখিপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① এই ধরনের ফুলগুলি আকারে বেশ বড়ো হয়। ② এই ফুলগুলির বর্ণ উজ্জ্বল প্রকৃতির হয়, এতে পাখিরা সহজে আকৃষ্ট হয়। ③ এইজাতীয় ফুলে যথেষ্ট পরিমাণে মকরন্দ সঞ্চিত থাকে। ④ অনেকক্ষেত্রে এই ফুলের পরাগধানীগুলি পাখির খাদ্য হিসেবে গৃহীত হয়। উদাহরণ-শিমুল।
32. ফুলের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রাণীদের আকৃষ্ট করে পরাগযোগে সাহায্য করে?
উত্তর: ফুলের যে সকল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রাণীদের আকৃষ্ট করে, পরাগযোগে সাহায্য করে, সেগুলি হল-① ফুলগুলি আকারে বেশ বড়ো হবে। ② ফুলের বর্ণ বেশ উজ্জ্বল হবে। ও ফুলগুলি মিষ্ট রস সমৃদ্ধ ও গন্ধযুক্ত হবে। ④ ফুলের মধ্যে মকরন্দ থাকবে।
33. সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি কী কী?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি হল- ① পরাগযোগ: পুংকেশর থেকে গর্ভমুণ্ডে পরাগরেণুর স্থানান্তর। ② নিষেক ও জাইগোট গঠন: পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটর মিলনে ভ্রুণাণু বা জাইগোট সৃষ্টি। ও ফল ও বীজ গঠন: ভূণাণুর বৃদ্ধির ফলে বীজ তৈরি হয়, একই সঙ্গে তাকে ঘিরে ফলও গঠিত হয়। ④ বীজের অঙ্কুরোদ্গম: বীজ বিস্তারলাভ করলে অনুকূল পরিবেশে তার অঙ্কুরোদ্গম ঘটে। ফলে নতুন অপত্য উদ্ভিদ তৈরি হয়।
34. নিষেকের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: নিষেকের গুরুত্বগুলি হল-① পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন বা নিষেক না হলে যৌন জননে জাইগোট সৃষ্টি হতে পারবে না। ② দ্বিনিষেকে উৎপন্ন সস্যতে ভ্রুণের জন্য সস্য সঞ্চিত থাকে। ③ নিষেকের ফলে জাইগোট তৈরি হলে তা থেকে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। ফলে যৌন জননের উদ্দেশ্য সাধিত হয়।
35. মেসোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকত্বক ভেদ করে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে মেসোগ্যামি বলে। যেমন-কুমড়ো।
36. পোরোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকরন্দ্রের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক সম্পন্ন করলে, তাকে পোরোগ্যামি বলে। যেমন-লিলি।
37. চ্যালাজোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকমূলের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে চ্যালাজোগ্যামি বলে। যেমন- Casuarina (ক্যাসুয়ারিনা)।
38. গর্ভযন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ভ্রূণস্থলীর ভিতর ৪টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস-এর ভিতর 3 টি ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত। এই 3 টির মধ্যে একটি ডিম্বাণু ও বাকি দুটি হল সহকারী কোশ। এই তিনটি কোশকে একত্রে গর্ভযন্ত্র (egg apparatus) বলে।
39. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের নিষেকের পূর্বে ভূণস্থলীর মধ্যে আটটি কোশের বিন্যাস লেখো।
উত্তর: দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের নিষেকের পূর্বে ভূণস্থলীর মধ্যে একটি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস অবস্থান করে। এই নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস কোশ বিভাজনের দ্বারা বারবার বিভাজিত হয় এবং ৪টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস গঠন করে। এদের মধ্যে ওটি নিউক্লিয়াস ভূণস্থলীর এক মেরুতে একত্রে তিনটি প্রতিপাদ কোশ সমষ্টি হিসেবে সজ্জিত হয়। অপর 3টি নিউক্লিয়াস ভূণস্থলীর বিপরীত মেরুতে আসে। এদের মধ্যে দুটি নিউক্লিয়াস - সহকারী কোশরূপে ও একটি নিউক্লিয়াস ডিম্বাণু বা স্ত্রী জননকোশ-রূপে অবস্থান করে। অবশিষ্ট ২টি নিউক্লিয়াস পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নির্ণীত - নিউক্লিয়াস (2n) গঠন করে এবং ভূণস্থলীর কেন্দ্রে অবস্থান করে।
Editing By:- Lipi
Medhi
উত্তর: জলপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-(1) জলপরাগ। ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র হয় এবং ফুলগুলি অনুজ্জ্বল প্রকৃতির। ② জলের তলায় যে ফুলের পরাগযোগ সম্পন্ন হয়, সেই ফুলের পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত ভারী হয়। ও রেণুগুলির বাইরের ত্বকে - মোমজাতীয় পদার্থের আস্তরণ থাকে। ④ কিছুসংখ্যক জলপরাগী ফুলের গর্ভকেশর এবং পুংকেশর দলাংশ দিয়ে ঢাকা থাকে না। ⑤ পরাগরেণুগুলি ক্ষুদ্র ন হয় এবং সহজে জলের মাধ্যমে জলপরাগী ফুল-পাতাঝাঁঝি • একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে। উদাহরণ- পাতাঝাঁঝি।
30. পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
অনুরূপ প্রশ্ন, পতঙ্গপরাগী ফুল চিনবে কী করে?
উত্তর: পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য- গুলি হল- পতঙ্গপরাগী ফুলগুলি সাধারণত বড়ো ও উজ্জ্বল বর্ণের হয়। ② ফুলগুলি সুগন্ধযুক্ত হয় এবং ফুলে অনেক সময় মকরন্দ সঞ্চিত থাকে। ③ এইজাতীয় ফুলে পরাগরেণুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়। ④ পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত বড়ো, আঠালো এবং খসখসে হয়, যাতে সহজে পতঙ্গের গায়ে আটকে যেতে পারে। ⑤ এইপ্রকার ফুলের গর্ভমুণ্ড সাধারণত ক্ষুদ্রাকার, আঠালো এবং খসখসে হয়। উদাহরণ-আম।
31. পাখিপরাগী বা অরনিথোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: পাখিপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-① এই ধরনের ফুলগুলি আকারে বেশ বড়ো হয়। ② এই ফুলগুলির বর্ণ উজ্জ্বল প্রকৃতির হয়, এতে পাখিরা সহজে আকৃষ্ট হয়। ③ এইজাতীয় ফুলে যথেষ্ট পরিমাণে মকরন্দ সঞ্চিত থাকে। ④ অনেকক্ষেত্রে এই ফুলের পরাগধানীগুলি পাখির খাদ্য হিসেবে গৃহীত হয়। উদাহরণ-শিমুল।
32. ফুলের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রাণীদের আকৃষ্ট করে পরাগযোগে সাহায্য করে?
উত্তর: ফুলের যে সকল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রাণীদের আকৃষ্ট করে, পরাগযোগে সাহায্য করে, সেগুলি হল-① ফুলগুলি আকারে বেশ বড়ো হবে। ② ফুলের বর্ণ বেশ উজ্জ্বল হবে। ও ফুলগুলি মিষ্ট রস সমৃদ্ধ ও গন্ধযুক্ত হবে। ④ ফুলের মধ্যে মকরন্দ থাকবে।
33. সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি কী কী?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি হল- ① পরাগযোগ: পুংকেশর থেকে গর্ভমুণ্ডে পরাগরেণুর স্থানান্তর। ② নিষেক ও জাইগোট গঠন: পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটর মিলনে ভ্রুণাণু বা জাইগোট সৃষ্টি। ও ফল ও বীজ গঠন: ভূণাণুর বৃদ্ধির ফলে বীজ তৈরি হয়, একই সঙ্গে তাকে ঘিরে ফলও গঠিত হয়। ④ বীজের অঙ্কুরোদ্গম: বীজ বিস্তারলাভ করলে অনুকূল পরিবেশে তার অঙ্কুরোদ্গম ঘটে। ফলে নতুন অপত্য উদ্ভিদ তৈরি হয়।
34. নিষেকের গুরুত্ব লেখো।
উত্তর: নিষেকের গুরুত্বগুলি হল-① পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন বা নিষেক না হলে যৌন জননে জাইগোট সৃষ্টি হতে পারবে না। ② দ্বিনিষেকে উৎপন্ন সস্যতে ভ্রুণের জন্য সস্য সঞ্চিত থাকে। ③ নিষেকের ফলে জাইগোট তৈরি হলে তা থেকে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। ফলে যৌন জননের উদ্দেশ্য সাধিত হয়।
35. মেসোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকত্বক ভেদ করে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে মেসোগ্যামি বলে। যেমন-কুমড়ো।
36. পোরোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকরন্দ্রের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক সম্পন্ন করলে, তাকে পোরোগ্যামি বলে। যেমন-লিলি।
37. চ্যালাজোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকমূলের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে চ্যালাজোগ্যামি বলে। যেমন- Casuarina (ক্যাসুয়ারিনা)।
38. গর্ভযন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর: সপুষ্পক উদ্ভিদে ভ্রূণস্থলীর ভিতর ৪টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস-এর ভিতর 3 টি ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত। এই 3 টির মধ্যে একটি ডিম্বাণু ও বাকি দুটি হল সহকারী কোশ। এই তিনটি কোশকে একত্রে গর্ভযন্ত্র (egg apparatus) বলে।
39. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের নিষেকের পূর্বে ভূণস্থলীর মধ্যে আটটি কোশের বিন্যাস লেখো।
উত্তর: দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের নিষেকের পূর্বে ভূণস্থলীর মধ্যে একটি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস অবস্থান করে। এই নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস কোশ বিভাজনের দ্বারা বারবার বিভাজিত হয় এবং ৪টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস গঠন করে। এদের মধ্যে ওটি নিউক্লিয়াস ভূণস্থলীর এক মেরুতে একত্রে তিনটি প্রতিপাদ কোশ সমষ্টি হিসেবে সজ্জিত হয়। অপর 3টি নিউক্লিয়াস ভূণস্থলীর বিপরীত মেরুতে আসে। এদের মধ্যে দুটি নিউক্লিয়াস - সহকারী কোশরূপে ও একটি নিউক্লিয়াস ডিম্বাণু বা স্ত্রী জননকোশ-রূপে অবস্থান করে। অবশিষ্ট ২টি নিউক্লিয়াস পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নির্ণীত - নিউক্লিয়াস (2n) গঠন করে এবং ভূণস্থলীর কেন্দ্রে অবস্থান করে।