👉Paid Answer (For Membership User)
[ MCQ ]
1. পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করে, সেই অনুযায়ী জীবের সাড়া প্রদানের ক্ষমতাই হল-
(i) উপযোজন
(ii) উদ্দীপক
(iii) সংবেদনশীলতা
(iv) আত্তীকরণ
উত্তর: (iii) সংবেদনশীলতা
2. পরিবেশের যেসব পরিবর্তন শনাক্ত হয় এবং সাড়াপ্রদানে সাহায্য করে তাদের বলে-
(i) শক্তি
(ii) বল
(iii) উদ্দীপক
(iv) অভিযোজন
উত্তর: (iii) উদ্দীপক
3. উদ্দীপক হল এক ধরনের-
(i) সংবেদন
(ii) প্রত্যক্ষণ
(iii) সাড়া
(iv) শক্তি
উত্তর: (i) সংবেদন
4. সংবেদনশীলতা দেখা যায়-
(i) কেবল প্রাণীতে
(ii) কেবল উদ্ভিদে
(iii) প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়েই
(iv) এদের কোনোটিতেই নয়
উত্তর: (iii) প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়েই
5. একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনার উদাহরণ হল-
(i) কোশের রসস্ফীতিজনিত চাপের পরিবর্তন
(ii) আলোর তীব্রতার পরিবর্তন
(iii) অভিকর্ষ
(iv) স্পর্শ
উত্তর: (i) কোশের রসস্ফীতিজনিত চাপের পরিবর্তন
6. একটি জানালা দিয়ে ঘরে রোদ এসে ইনডোের প্ল্যান্ট-এ পড়েছে। ফলে গাছে ফুল ফুটেছে। এক্ষেত্রে উদ্ভিদটির ফুল ফোটাকে বলা যায়—
(i) উদ্দীপক
(ii) সাড়াপ্রদান
(iii) পরিবেশগত পরিবর্তন
(iv) উদ্দীপনা
উত্তর: (ii) সাড়াপ্রদান
7. উদ্ভিদের সাড়া পরিমাপক যন্ত্রটি হল-
(i) ক্রেসকোগ্রাফ
(ii) আর্কমিটার
(iii) সিসমোগ্রাফ
(iv) হাইগ্রোমিটার
উত্তর: (i) ক্রেসকোগ্রাফ
৪. জগদীশ চন্দ্র বসু ব্যবহৃত উদ্ভিদের চলন পরিমাপক যন্ত্রটির নাম-
(i) সিসমোগ্রাফ
(ii) থার্মোগ্রাফ
(iii) ক্রেসকোগ্রাফ
(iv) সেন্টিগ্রাফ
উত্তর: (iii) ক্রেসকোগ্রাফ
9. বনচাঁড়ালের পার্শ্বপত্রে দেখা যায়-
(i) জিওট্রপিক চলন
(ii) ফোটোন্যাস্টিক চলন
(iii) প্রকরণ চলন
(iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (iii) প্রকরণ চলন
10. ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ নামে পরিচিত-
(i) লজ্জাবতী
(ii) মটর
(iii) কুমারিকা
(iv) বনচাঁড়াল
উত্তর: (iv) বনচাঁড়াল
11.বহিস্থ উদ্দীপক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন বা গমনকে বলে-
(i) প্রকরণ চলন
(ii) ন্যাস্টিক চলন
(iii) ট্রপিক চলন
(iv) ট্যাকটিক চলন
উত্তর: (iv) ট্যাকটিক চলন
12. নীচের কোন্ উদ্ভিদে তুমি গমন লক্ষ করবে?
(i) প্যারামেসিয়াম
(ii) ইউপ্লিনা
(iii) ক্ল্যামাইডােমানাস
(iv) স্পঞ্জ
উত্তর: (iii) ক্ল্যামাইডােমানাস
13. ফোটোট্যাকটিক চলনের উদাহরণ হল-
(i) ভলভক্স
(ii) মসের শুক্রাণু
(iii) পাতাশ্যাওলা
(iv) সূর্যমুখী
উত্তর: (i) ভলভক্স
14. সূর্যোদয়ের পর ক্ল্যামাইডোমোনাস উদ্ভিদের জলের তলদেশ থেকে ওপরে উঠে আসা যে প্রকারের চলন তা হল-
(i) ফোটোট্রপিক
(ii) ফোটোন্যাস্টিক
(iii) থার্মোন্যাস্টিক
(iv) ফোটোট্যাকটিক
উত্তর: (iv) ফোটোট্যাকটিক
15. ম্যালিক অ্যাসিডের প্রভাবে ফার্নগাছের শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে ধাবিত হয়। এটি একপ্রকারেরー
(i) ট্যাকটিক চলন
(ii) কেমোট্রপিক চলন
(iii) কেমোন্যাস্টিক চলন
(iv) কেমোেট্যাকটিক চলন
উত্তর: (iv) কেমোেট্যাকটিক চলন
16. ট্রপিক চলন সম্পর্কিত নীচের কোন্ বক্তব্যটি সঠিক তা নির্বাচন করো।
(i) এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
(ii) উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ-অঙ্গের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়
(iii) ভলভক্স নামক শ্যাওলায় এই চলন দেখা যায়
(iv) এটি উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আবিষ্ট বক্র চলন
উত্তর: (iv) এটি উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আবিষ্ট বক্র চলন
17. উদ্ভিদের কাণ্ড আলোর দিকে বেঁকে যায়-এটি কাণ্ডের-
(i) হাইড্রোট্রপিক চলন
(ii) ফোটোট্রপিক চলন
(iii) ফোটোন্যাস্টিক চলন
(iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (ii) ফোটোট্রপিক চলন
18. সূর্যালোকের দ্বারা প্রভাবিত ট্রপিক চলনকে বলে-
(i) হাইড্রোট্রপিক চলন
(ii) কেমোট্রপিক চলন
(iii) জিওট্রপিক চলন
(iv) ফোটোট্রপিক চলন
উত্তর: (iv) ফোটোট্রপিক চলন
19. কোন্ প্রকার চলনকে হেলিওট্রপিক চলন বলে?
(i) ফোটোট্রপিক
(ii) জিওট্রপিক
(iii) কেমোেট্রপিক
(iv) থিগমোট্রপিক
উত্তর: (i) ফোটোট্রপিক
20. অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ-অঙ্গের চলনকে বলা হয়-
(i) হাইড্রোট্রপিক চলন
(ii) জিওট্রপিক চলন
(iii) ফোটোট্রপিক চলন
(iv) কেমোট্রপিক চলন
উত্তর: (ii) জিওট্রপিক চলন
21. উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত চলনকে বলা হয়-
(i) ট্রপিক চলন
(ii) ট্যাকটিক চলন
(iii) ন্যাস্টিক চলন
(iv) কেমোট্যাক্সিস
উত্তর: (iii) ন্যাস্টিক চলন
22. আলোক তীব্রতায় সংঘটিত উদ্ভিদের আবিষ্ট বক্রচলনটি হল-
(i) ফোটোট্যাকটিক
(ii) ফোটোট্রপিক
(iii) ফোটোন্যাস্টিক
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (iii) ফোটোন্যাস্টিক
23. নিম্নলিখিত কোন্টি ট্রপিক চলনের বৈশিষ্ট্য তা নির্বাচন করো-
(i) উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নির্দিষ্ট উদ্ভিদ অঙ্গের আবিষ্ট চলন
(ii) এটি এক ধরনের রসস্ফীতিজনিত চলন
(iii) উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের আবিষ্ট বক্রচলন
(iv) অক্সিনের প্রভাবে ঘটে না
উত্তর: (i) উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নির্দিষ্ট উদ্ভিদ অঙ্গের আবিষ্ট চলন
24. পদ্ম, সূর্যমুখীর প্রস্ফুটনে যে প্রকার চলন দেখা যায়, তা হল-
(i) কেমোন্যাস্টিক
(ii) ফোটোন্যাস্টিক
(iii) সিসমোন্যাস্টিক
(iv) থার্মোন্যাস্টিক
উত্তর: (ii) ফোটোন্যাস্টিক
25. সূর্যশিশির নামক পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতার কর্ষিকাগুলি পতঙ্গদেহের সংস্পর্শে আসামাত্র বেঁকে গিয়ে পতঙ্গকে চেপে ধরে। এটি হল-
(i) সিসমোন্যাস্টি
(ii) থার্মোন্যাস্টি
(iii) ফোটোন্যাস্টি
(iv) কেমোন্যাস্টি
উত্তর: (iv) কেমোন্যাস্টি
26. লজ্জাবতী-কে স্পর্শ করলে পাতার পত্রকগুলি তৎক্ষণাৎ মুড়ে যায়, একে বলে-
(i) নিক্সিন্যাস্টিক চলন
(ii) হাইপোন্যাস্টিক চলন
(iii) সিসমোন্যাস্টিক চলন
(iv) কেমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (iii) সিসমোন্যাস্টিক চলন
27. উদ্ভিদে রসস্ফীতিজনিত চলন যে ক্ষেত্রে দেখা যায়-
(i) ট্যাকটিক
(ii) ন্যাস্টিক
(iii) ট্রপিক
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ii) ন্যাস্টিক
28. জুঁই ফুলের পাপড়ি রাতের বেলায় প্রস্ফুটিত হয়—এটি কোন্ প্রকার চলন?
(i) ফোটোন্যাস্টিক চলন
(ii) কেমোন্যাস্টিক চলন
(iii) থার্মোন্যাস্টিক চলন
(iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (i) ফোটোন্যাস্টিক চলন
29. কিছু ফুল সূর্যোদয়ের পরে ফোটে। কিন্তু সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বুজে যায়, এটি হল-
(i) ফোটোন্যাস্টি
(ii) সিসমোন্যাস্টি
(iii) কেমোন্যাস্টি
(iv) থার্মোন্যাস্টি
উত্তর: (i) ফোটোন্যাস্টি
30. স্পর্শ, ঘর্ষণ প্রভৃতি বাহ্যিক উদ্দীপক দ্বারা প্রভাবিত উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন হল-
(i) থার্মোন্যাস্টি
(ii) নিক্টিন্যাস্টি
(iii) কেমোন্যাস্টি
(iv) সিসমোন্যাস্টি
উত্তর: (iv) সিসমোন্যাস্টি
31. আমরুলের পাতায় যে চলন দেখা যায়-
(i) ফোটোন্যাস্টি
(ii) নিক্সিন্যাস্টি
(iii) থার্মোন্যাস্টি
(iv) সিসমোন্যাস্টি [Hare School]
উত্তর: (ii) নিক্সিন্যাস্টি
32. নিদ্রাচলন (sleeping movement) হল-
(i) ফোটোন্যাস্টিক চলন
(ii) থার্মোন্যাস্টিক
(iii) নিক্সিন্যাস্টিক চলন
(iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (iii) নিক্সিন্যাস্টিক চলন
33. ক্রকাস এবং টিউলিপ ফুলের উন্মোচন হল একপ্রকার-
(i) ফোটোন্যাস্টিক চলন
(ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন
(iii) নিক্সিন্যাস্টিক চলন
(iv) কেমোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন
34. ক্ল্যামাইডোমোনাস বা ভলভক্স-এর আলোর দিকে দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন বা গমনকে বলে-
(i) জিওট্রপিক চলন
(ii) ফোটোট্যাকটিক চলন
(iii) ফোটোট্রপিক চলন
(iv) ফোটোন্যাস্টিক চলন
উত্তর: (ii) ফোটোট্যাকটিক চলন
35. যে জোড়টি সঠিক নয়, তা শনাক্ত করো-
(i) কেমোন্যাস্টিক চলন-
(ii) সূর্যশিশির ফোটোন্যাস্টিক চলন
(iii) সূর্যমুখী থার্মোন্যাস্টিক চলন-
(iv) টিউলিপ সিসমোন্যাস্টিক চলন—পদ্ম
উত্তর: (iv) টিউলিপ সিসমোন্যাস্টিক চলন—পদ্ম
36. 'হরমোন' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(i) বেলিস ও স্টারলিং
(ii) কুরোসাওয়া
(iii) ওয়েন্ট
(iv) জগদীশ চন্দ্র বসু
উত্তর: (i) বেলিস ও স্টারলিং
37. হরমোন হল একটি-
(i) উৎসেচক
(ii) গ্রাহক
(iii) ভৌত সমন্বয়কারী
(iv) রাসায়নিক সমন্বয়কারী
উত্তর: (iv) রাসায়নিক সমন্বয়কারী
38. অক্সিন হল একটিー
(i) উৎসেচক
(ii) প্রাণী হরমোন
(iii) রেচন পদার্থ
(iv) উদ্ভিদ হরমোন
উত্তর: (iv) উদ্ভিদ হরমোন
39. অক্সিন আবিষ্কার করেন-
(i) ওয়েন্ট
(ii) জগদীশ চন্দ্র বসু
(iii) প্যাভলভ
(iv) সোয়ান
উত্তর: (i) ওয়েন্ট
40. অক্সিন সম্বন্ধে প্রথম যে উদ্ভিদে পরীক্ষা হয়, সেটি হল-
(i) মটর
(ii) গম
(iii) ধান
(iv) যই
উত্তর: (iv) যই
41. উদ্ভিদের অগ্রস্থ প্রকটতার জন্য দায়ী উপাদান হল-
(i) জিব্বেরেলিন
(ii) সাইটোকাইনিন
(iii) অক্সিন
(iv) উৎসেচক
উত্তর: (iii) অক্সিন
42. উদ্ভিদের ট্রপিক চলন ও নিয়ন্ত্রণ করে-
(i) সাইটোকাইনিন
(ii) ইথিলিন
(iii) ফ্লোরিজেন
(iv) অক্সিন
উত্তর: (iii) ফ্লোরিজেন
43. অক্সিনের প্রবাহ-
(i) র্ধ্বমুখী
(ii) নিম্নমুখী
(iii) পার্শ্বমুখী
(iv) সর্বত্র
উত্তর: (ii) নিম্নমুখী
44. সাইটোকাইনিন যে হরমোনটির উপস্থিতিতে ভালো কাজ করে, সেটি হল-
(i) জিব্বেরেলিন
(ii) ইথিলিন
(iii) অক্সিন
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (iii) অক্সিন
45. ভূণমুকুলাবরণীতে পাওয়া যায়-
(i) জিব্বেরেলিন
(ii) অক্সিন
(iii) সাইটোকাইনিন
(iv) ফ্লোরিজেন
উত্তর: (ii) অক্সিন
46. জিব্বেরেলিন প্রথম পৃথক্করণ এবং নামকরণ করেন-
(i) এইচি কুরোসাওয়া
(ii) তেইজিরো ইয়াবুটা
(iii) কাওয়াসাকি
(iv) বেলিস ও স্টারলিং
উত্তর: (ii) তেইজিরো ইয়াবুটা
47. মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙতে সাহায্য করে যে হরমোন, সেটি হল-
(i) অক্সিন
(ii) জিব্বেরেলিন
(iii) সাইটোকাইনিন
(iv) ইথিলিন
উত্তর: (ii) জিব্বেরেলিন
48. বীজের অঙ্কুরোদ্গম ঘটায় কোন্ হরমোন?
(i) ফ্লোরিজেন
(ii) ইথিলিন
(iii) অ্যাবসিসিক
(iv) অ্যাসিড জিব্বেরেলিন
উত্তর: (iv) অ্যাসিড জিব্বেরেলিন
49. আলফা অ্যামাইলেজ উৎসেচকটির সংশ্লেষে সাহায্য করে-
(i) সাইটোকাইনিন
(ii) অক্সিন
(iii) জিব্বেরেলিন
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (iii) জিব্বেরেলিন
50. উদ্ভিদের বংশগত খর্বতা দূর করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী হরমোনটি হল-
(i) অক্সিন
(ii) জিব্বেরেলিন
(iii) সাইটোকাইনিন
(iv) ফ্লোরিজেন
উত্তর: (ii) জিব্বেরেলিন
নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।
1. ইউপ্লিনা: ফ্ল্যাজেলা :: প্যারামেসিয়াম:-------------------
উত্তর: সিলিয়া।
2. বক্ষপাখনা : একজোড়া :: পৃষ্ঠপাখনা :-----------------
উত্তর: একটি।
3. মানুষ: বাইসেপ্স:: মাছ:------------------
উত্তর: মায়োটম পেশি।
4. ডানার পালক: রেমিজেস :: পুচ্ছ পালক :------------------
উত্তর: রেক্ট্রিসেস।
5. রেমিজেস: 23 :: রেক্ট্রিসেস:-------------------
উত্তর: 12
6. কোমরের সন্ধি: বল ও সকেট:: কনুইয়ের সন্ধি:-----------------
উত্তর: কবজা সন্ধি।
7. বাইসেপ্স পেশি: ফ্লেক্সন:: ট্রাইসেপ্স পেশি:--------------------
উত্তর: এক্সটেনশন।
৪. ডেলটয়েড পেশি: অ্যাবডাকটর পেশি :: ল্যাটিসিমাস ডরসি:---------------------
উত্তর: অ্যাডাকটর পেশি।
9. মৃদু আলো: রড কোশ :: তীব্র আলো :----------------------
উত্তর: কোন কোশ।
10. অগ্রপ্রকোষ্ঠ: অ্যাকুয়াস হিউমর :: পশ্চাদ্রকোষ্ঠ:----------------
উত্তর: ভিট্রিয়াস হিউমর।
11. অক্ষিপল্লব: চোখ প্রতিরক্ষা :: রেটিনা :------------------------
উত্তর: দর্শন।
12. মানুষ : দ্বিনেত্র দৃষ্টি :: গোরু :-------------------
উত্তর: একনেত্র দৃষ্টি।
13. মায়োপিয়া : অবতল লেন্স:: হাইপেরাপিয়া:------------------
উত্তর: উত্তল লেন্স।
14. হাইপেরোপিয়া: দূরবদ্ধ দৃষ্টি :: মায়োপিয়া :-------------------
উত্তর: নিকটবদ্ধ দৃষ্টি।
15. নিউরোনের ক্ষুদ্র প্রবর্ধক: ডেনড্রন :: নিউরোনের দীর্ঘ প্রবর্ধক :-------------
উত্তর: অ্যাক্সন।
16. অ্যাক্সনের সাইটোপ্লাজম: অ্যাক্সোপ্লাজম :: স্নায়ুকোশদেহের সাইটোপ্লাজম :-------------
উত্তর: নিউরোপ্লাজম।
17. উদ্দীপনা গ্রহণ: ডেনড্রন :: উদ্দীপনা প্রেরণ :----------------
উত্তর: অ্যাক্সন।
18. স্নায়ুকোশদেহ সমন্বয়: গ্যাংলিয়ন :: অ্যাক্সন সমন্বয় :--------------
উত্তর: নার্ভ/স্নায়ু।
19. অপটিক : অন্তর্বাহী স্নায়ু :: অকিউলোমোটর :----------------
উত্তর: বহির্বাহী স্নায়ু।
20. নিউরোট্রান্সমিটার: অ্যাসিটাইলকোলিন :: নিউরোহরমোন :---------------
উত্তর: ভ্যাসোপ্রেসিন
21. মিশ্র স্নায়ু: ভেগাস :: সংজ্ঞাবহ স্নায়ু :-----------------
উত্তর: অপটিক স্নায়ু
22. সুষুম্নাকাণ্ড: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র :: সুষুম্না স্নায়ু :-------------
উত্তর: প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র।
23. টেলেনসেফালন: অগ্রমস্তিষ্ক :: মেটেনসেফালন:--------------
উত্তর: পশ্চাদদ্মস্তিষ্ক।
24. করপাস ক্যালোসাম: গুরুমস্তিষ্ক :: ভারমিস:--------------
উত্তর: লঘুমস্তিষ্ক।
25. মানুষের করোটি স্নায়ু: 12 জোড়া:: মানুষের সুষুম্না স্নায়ু :-----------
উত্তর: 31 জোড়া।
26. বুদ্ধি ও স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ: সেরিব্রাম:: তৃয়া ও খিদে নিয়ন্ত্রণ:--------------
উত্তর: হাইপোথ্যালামাস।
27. শ্বাসকার্য নিয়ন্ত্রণ: পন্স:: দেহ ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ:-------------------
উত্তর: সেরিবেলাম/লঘুমস্তিষ্ক।
28. সনাল গ্রন্থি: উৎসেচক:: অনাল গ্রন্থি:-----------------------।
উত্তর: হরমোন।
29. উৎসেচক: বহিঃক্ষরা গ্রন্থি:: হরমোন:--------------।
উত্তর: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।
30. প্রভুগ্রন্থি: পিটুইটারি গ্রন্থি :: প্রভুগ্রন্থির প্রভু :----------।
উত্তর: হাইপোথ্যালামাস।
31. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি: ACTH :: থাইরয়েড গ্রন্থি:--------।
উত্তর: TSH
32. BMR বৃদ্ধি: থাইরক্সিন :: নেফ্রনে জলের পুনঃশোষণ:---------------।
উত্তর: ভ্যাসোপ্রেসিন বা ADH।
33. অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোশ: ইনসুলিন :: অগ্ন্যাশয়ের আলফা কোশ:------------।
উত্তর: গ্লুকাগন।
34. ইস্ট্রোজেন: ডিম্বাশয় :এপিনেফ্রিন :----------- ।
উত্তর: অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি।
35. ADH: ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস :: ইনসুলিন :----------।
উত্তর: ডায়াবেটিস মেলিটাস।
36. ডিম্বাণু নিঃসরণ: LH :: টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ :-----------।
উত্তর: ICSH
37. প্রোজেস্টেরন: ডিম্বাশয় :: টেস্টোস্টেরন:---------------।
উত্তর: শুক্রাশয়।
38. কুশিং সিনড্রোম: ACTH :: অ্যাক্রোমেগালি :-----------।
উত্তর: GH (গ্রোথ হরমোন)।
[শূন্যস্থান পূরণ করো]
1. সকল জীবই কোনো না কোনো উদ্দীপনায় ---------দেয়।
উত্তর: সাড়া
2. লজ্জাবতী -----------উদ্দীপনায় সাড়া দেয়।
উত্তর: স্পর্শ
3. বনচাঁড়াল উদ্ভিদে চলন দেখা যায়। [Berhampore JN Academy)
উত্তর: প্রকরণ
4. নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদে সামগ্রিক চলন বা দেখা যায়।
উত্তর: গমন
5. বাহ্যিক উদ্দীপক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের বক্রচলনকে ----------বলে।
উত্তর: ট্রপিক চলন
6. আলোক উৎসের বিপরীত দিকে উদ্ভিদের প্রধানমূলের আলোকবৃত্তি চলন দেখা যায়।
উত্তর: প্রতিকূল
7. অক্সিন হরমোন দ্বারা ------------- চলন নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: ট্রপিক
৪. ট্রপিক চলন বাহ্যিক উদ্দীপকের অনুসারে ঘটে।
উত্তর: গতিপথ
9. চলনের ফলে উদ্ভিদ-অঙ্গের স্থায়ী বৃদ্ধি ঘটে।
উত্তর: ট্রপিক
10. সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলের চলন হল ---------- ।
উত্তর: নেগেটিভ জিওট্রপিক চলন
11. উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বজ্রচলনকে ----------- চলন বলা হয়।
উত্তর: ন্যাস্টিক
12. ফোটোন্যাস্টিক ও ফোটোট্যাকটিক উভয়ক্ষেত্রে বাহ্যিক উদ্দীপক হল -------------- ।
উত্তর: আলো
13. ন্যাস্টিক চলন বহিঃস্থ উদ্দীপকের ------------- দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
উত্তর: তীব্রতা
14. শিমগাছের পাতা অধিক ------------ বুজে যায়।
উত্তর:
15. আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু লজ্জাবতী এবং বনচাঁড়াল উদ্ভিদে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা পাঠিয়ে উদ্ভিদের ------------ ধর্মটি প্রমাণ করেন। সংবেদনশীলতা
উত্তর: তাপমাত্রায়
16. উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক ও সহায়ক পদার্থ হল ----- ।
উত্তর: হরমোন
17. উদ্ভিদের ক্ষেত্রে প্রধান রাসায়নিক সমন্বয়কারী হল ------------- ।
উত্তর: হরমোন
18. প্রথম আবিষ্কৃত উদ্ভিদ হরমোনটি হল —-------- ।
উত্তর: অক্সিন
19. ------------ হল একটি নাইট্রোজেনঘটিত হরমোন।
উত্তর: অক্সিন
20. ---------------হল উদ্ভিদের প্রধান বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন।
উত্তর: অক্সিন
21. অক্সিনের স্বল্প ঘনত্বে বেশি বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: মূল
22. ফুলের ডিম্বাশয়ে -------------- হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা ফলে পরিণত হয়।
উত্তর: অক্সিন
23. অক্সিন ----------- কলা গঠনের মাধ্যমে উদ্ভিদের গৌণ বৃদ্ধি ঘটায়।
উত্তর: ক্যামবিয়াম
24. হরমোন প্রাণীদেহে ----------- সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে।
উত্তর: রাসায়নিক
25. প্রাণীদেহে রাসায়নিক বার্তাবাহক হল --------------।
উত্তর: হরমোন
26. হরমোন যে গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয় তাদের ------------ গ্রন্থি বলে।
উত্তর: অন্তঃক্ষরা
27. হরমোনের ক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় ---------- পদ্ধতির দ্বারা।
উত্তর: ফিডব্যাক
28. অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা-উভয় অংশ বর্তমান থাকলে তাকে ----------- গ্রন্থি বলা হয়।
উত্তর: মিশ্র
29. পিটুইটারি গ্রন্থির সুপ্রিম কমান্ডার (প্রভুগ্রন্থির প্রভু) হল ---------- ।
উত্তর: হাইপোথ্যালামাস
30. হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত হরমোনগুলিকে বলা হয় -------------- ।
উত্তর: নিউরোহরমোন
31. পিটুইটারি গ্রন্থির ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে -------------------- ।
উত্তর: হাইপোথ্যালামাস
32. দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হল ----------।
উত্তর: গ্রোথ হরমোন
33. কর্টিকোট্রপিন রিলিজিং হরমোন --------------- হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উত্তর: অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক
34. পুরুষদেহে LH নামক বার্তাবাহকের অপর নাম হল -------------- ।
উত্তর: ICSH
35. দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন হল ------------------।
উত্তর: গ্রোথ হরমোন
36. বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণে সাহায্য করে -------------- ।
উত্তর: ADH
37. ------------ রক্তনালীর সংকোচনে সাহায্য করে।
উত্তর: ভ্যাসোপ্রেসিন
38. প্রসবকালে জরায়ুগাত্রের পেশির সংকোচন ঘটে ----------- হরমোনের প্রভাবে।
উত্তর: অক্সিটোসিন
39. থাইরয়েড গ্রন্থির দুটি খন্ডকের মধ্যবর্তী সংযোজককে ------------- বলে।
উত্তর: ইস্থমাস
40. থাইরক্সিন —--------- ধর্মী হরমোন।
উত্তর: প্রোটিন
41. আয়োডিনের অভাবে -----------হরমোনের সংশ্লেষে ব্যাহত হয়।
উত্তর: থাইরক্সিন
42. BMR নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনটি হল ----------।
উত্তর: থাইরক্সিন
43. থাইরক্সিনের মূল অধাতু উপাদানটি হল ----------- ।
উত্তর: আয়োডিন
44. ------------ হরমোন অস্ত্রে গ্লুকোজের শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উত্তর: ইনসুলিন
45. রক্তে PP শর্করার মাত্রা বজায় রাখে ----------ধর্মী ইনসুলিন হরমোন।
উত্তর: প্রোটিন
46. ইনসুলিন ফ্যাটের জারণে বাধা তৈরি করে-------------- প্রস্তুতি বন্ধ রাখে।
উত্তর: গ্লুকোজ
47. সুপ্রারেনাল গ্রন্থি হল--------- গ্রন্থির অপর নাম।
উত্তর: অ্যাড্রেনাল
48. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির ------------ অংশ থেকে অ্যাড্রেনালিন ক্ষরিত হয়।
উত্তর: মেডালা
49. ------------- হরমোন হৃদ্গতি ও হার্দ উৎপাদ বাড়িয়ে দেয়।
উত্তর: অ্যাড্রেনালিন
50. 'Fight or flight' প্রতিক্রিয়ার জন্য ---------- হরমোনটি দায়ী।
উত্তর: অ্যাড্রেনালিন
51.--------- হরমোনের প্রভাবে বিপদকালে ত্বকের লোম খাড়া হয়ে যায়।
উত্তর: অ্যাড্রেনালিন
52. পরিণত ডিম্বথলি থেকে ক্ষরিত হরমোনটি হল -------------।
উত্তর: ইস্ট্রোজেন
53. GH-এর অধিক ক্ষরণে প্রাপ্তবয়স্কদের -------------- রোগ হয়।
উত্তর: অ্যাক্রোমেগালি
54. শৈশবে GH-এর অধিক ক্ষরণে -------- রোগ হয়।
উত্তর: জাইগ্যানটিজম
55. শৈশবে ------ -এর কম ক্ষরণে বামনত্ব রোগ হয়।
উত্তর: GH
সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো
1. একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ক্ষরিত উপাদান হল পাচক রস।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ক্ষরিত উপাদান হল হরমোন।]
2. হাইপোথ্যালামাসের নিউরোসিক্রেটরি কোশ থেকে ভ্যাসোপ্রেসিন ক্ষরিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ক্ষরিত হরমোন পশ্চাৎ পিটুইটারি গ্রন্থি অংশে জমা হয়।]
3. হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত GnRH অগ্র পিটুইটারির GH-এর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-GnRH, GTH হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।]
4. সোমাটোট্রপিক হরমোনের বেশি ক্ষরণে পরিণত মানুষের উচ্চতা খুব কম হয়। [Model Activity
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-সোমাটোট্রপিক হরমোনের বেশি ক্ষরণে পরিণত মানুষের উচ্চতা খুব বেশি হয়।]
5. ADH ছাড়া পশ্চাৎ পিটুইটারি থেকে নির্গত অপর হরমোনটি হল অক্সিটোসিন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-হরমোন দুটি সৃষ্টি হয় হাইপোথ্যালামাসে, পরে তা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আসে।]
6. ব্যাঙাচির রূপান্তরে থাইরক্সিন সাহায্য করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-থাইরয়েড গ্রন্থির অনুপস্থিতিতে ব্যাঙাচির রূপান্তর ঘটে না।]
7. গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-গ্লাইকোজেনোলাইসিস ও নিওগ্লুকোজেনেসিস বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্লুকাগন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।]
৪. রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়, এরূপ একটি হরমোন হল ইনসুলিন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি গ্লুকোজ ও অন্যান্য শর্করা বিপাকে সাহায্য করে।]
9. বৃক্কের ওপরে অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি অবস্থান করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-দুটি বৃক্কের ওপরে একটি করে অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি টুপির মতো অবস্থান করে।]
10. অ্যাড্রেনালিনকে আপৎকালীন হরমোন বলা হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি বিপদ-আপদে দেহকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে বলে এরকম নাম।]
11. ডিম্বাশয় একটি মিশ্র গ্রন্থি।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ডিম্বাশয় থেকে হরমোন ও ডিম্বাণু উৎপাদন হয়, তাই এটি মিশ্রগ্রন্থি।]
12. ডিম্বাশয় নিঃসৃত একটি হরমোন হল অ্যান্ড্রোজেন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-অ্যান্ড্রোজেন শুক্রাশয় ও অ্যাড্রেনাল কর্টেক্স থেকে ক্ষরিত হরমোন বিশেষ।]
13. মাতৃদেহে স্তনদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে প্রোল্যাকটিন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-সন্তান প্রসবের পর হরমোনটি ক্ষরিত হয়।]
14. গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেনের প্রভাবে ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-গর্ভধারণ কালে প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে ডিম্বাণু উৎপাদন ও রজঃক্ষরণ বন্ধ থাকে।]
15. প্রোজেস্টেরন ডিম্বাশয়ের পীতগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-গ্রাফিয়ান ফলিক্স থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের পরে তা পীতগ্রন্থিতে পরিণত হয়, যা প্রোজেস্টেরন সংশ্লেষ করে।]
16. বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির অত্যাধিক পরিমাণ লঘু মূত্র নির্গত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র- এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ADH ক্ষরণ কমে যায়, ফলস্বরূপ মূত্রে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও অত্যধিক পরিমাণে লঘু মূত্রে নির্গত হয়।]
17. বহিঃচক্ষু গলগণ্ড হয় থাইরক্সিনের অধিক ক্ষরণে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-থাইরক্সিনের কম ক্ষরণে সাধারণ গলগন্ড রোগটি হয়ে থাকে।]
18. প্রতি 100 ml রক্তে শর্করার পরিমাণ 140 mg-এর বেশি হলে মূত্রে শর্করা নির্গত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-রক্তে শর্করার পরিমাণ 160-190 mg/100ml হলে তবে মূত্র দিয়ে গ্লুকোজ নির্গত হয়। একে গ্লাইকোসুরিয়া বলে।]
19. জগদীশ চন্দ্র বসু বনচাঁড়াল উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করেছিলেন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-তিনি বনচাঁড়াল ও লজ্জাবতী উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করে দেখান যে উদ্ভিদ উদ্দীপনা ও চাপের প্রভাবে সাড়া দেয়।]
20. উদ্দীপনা বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ হতে পারে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-যেমন, আলো হল বাহ্যিক উদ্দীপনা, হরমোন হল অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা।]
21. প্রকরণ চলন একপ্রকার রসস্ফীতিজনিত চলন। [Paramanandapur Jagannath Institution)
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই প্রকার চলন রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য ঘটে থাকে।]
22. ট্যাকটিক চলন একপ্রকার বৃদ্ধিজ চলন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি একপ্রকার আবিষ্ট ও সামগ্রিক চলন।]
23. ভেনাস ফ্লাই ট্র্যাপে কেমোট্যাকটিক চলন দেখা যায়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটিতে কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়। কেমোট্যাকটিক চলন ফার্নের শুক্রাণুতে দেখা যায়।]
24. আলোর প্রভাবে ট্যাকটিক, ন্যাস্টিক ও ট্রপিক চলন-সবগুলিই ঘটে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এদের যথাক্রমে ফোটোট্যাকটিক, ফোটোন্যাস্টিক ও ফোটোট্রপিক চলন বলে।]
25. ট্রপিক চলন (আলোকবর্তী বক্রচলন) হল উদ্ভিদের বৃদ্ধিজ চলন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-ট্রপিক চলনে হরমোনের প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে, তাই একে বৃদ্ধিজনিত আবিষ্ট বক্রচলন বলা হয়।]
26. উদ্ভিদের গতিপথ অনুযায়ী চলনকে ন্যাস্টিক চলন বলে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটিকে ট্রপিক চলন বলে।]
27. উদ্ভিদের কাণ্ডে জল অনুকূলবর্তী চলন দেখা যায়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-মূলে জল অনুকূলবর্তী ও কাণ্ডে জল প্রতিকূলবর্তী ট্রপিক চলন দেখা যায়।]
28. পার্শ্বীয়মূলের তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন দেখা যায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-অভিকর্ষবলের সঙ্গে তির্যকভাবে এদের বৃদ্ধি তথা চলন ঘটে বলে, একে তির্যক অভিকর্ষবর্তী বলে।]
29. সন্ধ্যামালতী ফুলের ফোটোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-আলোক তীব্রতা হ্রাস পেলে ফুলটি ফোটে, অর্থাৎ ঋণাত্মক ফোটোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়।]
30. কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদ হল সূর্যশিশির।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পতঙ্গ প্রোটিনের সংস্পর্শে এলে উদ্ভিদের কর্ষিকাগুলি তাকে ঘিরে ফেলে।]
31. ন্যাস্টিক চলন বৃদ্ধিজ চলন নয়। [Patha Bhavan]
উত্তর: সত্য [সূত্র-এগুলি মূলত রসস্ফীতি নির্ভর চলন।]
32. ন্যাস্টিক চলন হল একপ্রকার সামগ্রিক চলন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-ট্যাকটিক চলন একটি সামগ্রিক চলন।]
33. নিক্টিন্যাস্টি হল ফোটোন্যাস্টিক ও কেমোন্যাস্টিক চলনের সমন্বয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-নিক্টিন্যাস্টিক চলন আসলে ফোটোন্যাস্টিক ও থার্মোন্যাস্টিক চলনের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এক বিশেষ ধরনের চলন।]
34. টিউলিপ ফুলে থার্মোন্যাস্টি দেখা যায়। [Sakhawat Memorial Govt. Girls' High School]
উত্তর: সত্য [সূত্র-স্বাভাবিক উন্নতায় টিউলিপ ফুল ফোটে কিন্তু তাপমাত্রা কমে গেলে পাপড়ি বন্ধ হয়ে যায়।]
35. অক্সিন হরমোন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে এবং কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-অক্সিন হরমোন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি রোধ করে।]
36. অক্সিন একমাত্র বৃদ্ধি সহায়ক উদ্ভিদ হরমোন।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-জিব্বেরেলিন নামক উদ্ভিদ হরমোনও বৃদ্ধি ঘটায়।]
37. অক্সিন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে উদ্ভিদ উল্লম্বভাবে বৃদ্ধি পায়।]
38. ক্রিয়ার পর হরমোন বিনষ্ট হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-উৎসেচকের ক্রিয়ায় তা বিনষ্ট হয়।]
39. প্রধান প্রাকৃতিক অক্সিন হল IPA।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-প্রধান প্রাকৃতিক অক্সিন হল ইন্ডোল-ও-অ্যাসিটিক অ্যাসিড, IAA]
40. জিব্বেরেলা ফুজিকুরোই নামক ছত্রাক থেকে ইথিলিন নামক হরমোন আবিষ্কৃত হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এই ছত্রাক জিব্বেরেলিন হরমোনের সংশ্লেষ ঘটায়।]
41. অক্সিন বীজের সুপ্তাবস্থা কাটিয়ে অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-বীজের অঙ্কুরোদ্গমে জিব্বেরেলিন সাহায্য করে।]
42. GA₃ হল প্রধান প্রাকৃতিক জিব্বেরেলিন হরমোন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য জিব্বেরেলিন হল GA,, GA₁ ।]
43. জিব্বেরেলিন হরমোন উদ্ভিদের অকাল পত্রমোচন রোধ করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-সাইটোকাইনিন উদ্ভিদের অকাল পত্রমোচন রোধ করে।]
44. জিব্বেরেলিক অ্যাসিড আলফা অ্যামাইলেজ উৎসেচককে সক্রিয় করে বীজের অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে। [Ramkrishna Mission Vidyapith, Narendrapur]
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে নতুন চারা উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।]
45. সাইটোকাইনিন হরমোন পত্রমোচন বিলম্বিত করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি উদ্ভিদের জরা প্রতিরোধ করে, তাই এটি ABA-র বিপরীত কার্যকরী হরমোন।]
46. সাইটোকাইনিনের অপর নাম কাইনিন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এ ছাড়াও ফাইটোকাইনিন, কাইনেটিন প্রভৃতি হল এর অন্য নাম।]
47. সাইটোকাইনিন হরমোন উদ্ভিদের পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-সাইটোকাইনিন পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।]
48. প্রধান সাইটোকাইনিনটি হল 2,4-D।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-2, 4-D একটি কৃত্রিম অক্সিন, প্রধান সাইটোকাইনিন হল জিয়াটিন।]
49. শাখাকলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে সাহায্য করে কৃত্রিম অক্সিন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এইজন্য হরটিকালচারে উদ্ভিদ প্রজননে কৃত্রিম অক্সিন ব্যবহৃত হয়।]
50. কৃত্রিম ফাইটোহরমোনকে প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটর-ও বলা হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এগুলি উদ্ভিদ প্রজনন ও বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।]
51. ফ্লোরিজেন নামক হরমোনটি ফল গঠনে সাহায্য করে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি ফুল ফুটতে সাহায্যকারী প্রকল্পিত হরমোন।]
52. কৃত্রিম অক্সিন কৃষিক্ষেত্রে আগাছা দমনে সাহায্য করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-2, 4-D, NAA প্রভৃতি কৃত্রিম অক্সিন এই কাজে ব্যবহৃত হয়।]
53. কৃত্রিম অক্সিন ফলমোচন রোধ করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এজন্য হরটিকালচারে ব্যবহৃত হয়।]
54. MCPA হল একটি আগাছানাশক কৃত্রিম হরমোন।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর পূর্ণ নাম মিথাইল ক্লোরোফেনক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড।]
55. 2, 4-D আগাছা দমনে সাহায্য করে।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এটি একটি কৃত্রিম অক্সিন।]
56. সহযোগী নিউরোন কেবলমাত্র প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রে থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-সহযোগী বা ইনটারনিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশ।]
57. আন্তরযন্ত্রের পেশির ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-আন্তরযন্ত্রের পেশির ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।]
Short Answer Question
1. মস্তিষ্কের কোন্ অঞ্চল কথা বলা নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর: গুরুমস্তিষ্কের ব্রোকাস অঞ্চল।
2. ইনটারনিউরোন কোথায় থাকে?
উত্তর: সুষুম্নাকান্ডে থাকে ও প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
3. CNS-এর পুরো কথাটি কী?
উত্তর: সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম।
4. PNS-এর পূর্ণ নাম লেখো।
উত্তর: পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম।
5. ANS-এর সম্পূর্ণ নাম লেখো।
উত্তর: অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম।
6. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কী কী অংশ নিয়ে গঠিত?
উত্তর: মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড।
7. মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উৎপন্ন স্নায়ুগুলি নিয়ে কোন্ প্রকার স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়?
উত্তর: প্রান্তস্থ বা প্রান্তীয় বা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র।
৪. দেহের বিভিন্ন আন্তরযন্ত্র, অনৈচ্ছিক পেশির ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ প্রকার স্নায়ুতন্ত্র?
উত্তর: স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।
9. মানবমস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশগুলি কী কী?
উত্তর: অগ্রমস্তিষ্ক, মধ্যমস্তিষ্ক এবং পশ্চাদ্মস্তিষ্ক।
10. মধ্যমস্তিষ্কের প্রধান অংশ দুটি কী কী?
উত্তর: সেরিব্রাল পেডাংক্স ও টেকটাম।
11. পশ্চাদ্মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশগুলি কী কী?
উত্তর: লঘুমস্তিষ্ক, পন্স ও মেডালা অবলংগাটা।
12. গুরুমস্তিষ্কের কোথায় ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তু থাকে?
উত্তর: গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে ধূসর বস্তু ও অন্তর্ভাগে শ্বেত বস্তু থাকে।
13. মস্তিষ্কের গহ্বরগুলিকে কী বলে?
উত্তর: ভেন্ট্রিকল বা মস্তিষ্ক নিলয়।
14. সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরকে কী বলে?
উত্তর: নিউরোসিল।
15. সালকাস ও জাইরাস কী?
উত্তর: গুরুমস্তিষ্কের বহির্ভাগে অবস্থিত নীচু খাঁজগুলিকে সালকাস এবং উঁচু ভাঁজগুলিকে জাইরাস বলে।
16. দেহের উয়তা নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: দেহের উয়তা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র হাইপোথ্যালামাস-এ অবস্থিত।
17. হাঁচি, কাশি, বমি নিয়ন্ত্রণকারী পশ্চাদ্মস্তিষ্কের অংশটি কী?
উত্তর: মেডালা অবলংগাটা।
18. সেরিব্রাল পেডাংক্স কী?
উত্তর: মধ্যমস্তিষ্কের যে অংশ থ্যালামাসের সাথে পশ্চাদ্মস্তিষ্ক ও মধ্যমস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের স্নায়বিক উদ্দীপনা প্রেরণের মাধ্যমে সংযোগ রক্ষা করে, তাকে সেরিব্রাল পেডাংক্স বলে।
19. সুষুম্নাকাণ্ডের ধূসর বস্তু ও শ্বেত বস্তুর অবস্থান লেখো।
উত্তর: সুষুম্নাকান্ডের ভিতর দিকে ধূসর বস্তু ও বাইরের দিকে শ্বেত বস্তু থাকে।
20. কোন্ বিজ্ঞানী সহজাত ও অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী ইভান প্যাভলভ।
21. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের চারপাশে যে রক্ষণমূলক আবরণ থাকে তার নাম কী?
উত্তর: মেনিনজেস।
22. মেনিনজেস গঠনকারী স্তরগুলির নাম লেখো।
উত্তর: ডুরামেটার, অ্যারাক্সয়েড মেটার ও পিয়ামেটার।
23. মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডের গহ্বরে যে রস থাকে তার নাম কী?
উত্তর: মস্তিষ্ক-সুষুম্না রস বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF)।
24. প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা reflex action কথাটি কোন্ বিজ্ঞানী প্রথম ব্যবহার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী শেরিংটন।
25. আন্তরযন্ত্রীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: পৌষ্টিকনালীর বিচলন।
26. হাঁচি ও কাশি কোন্ প্রকারের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?
উত্তর: সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
27. হাঁটু ঝাঁকুনি (knee jerk) ও সাইকেল চালানো কোন্ ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?
উত্তর: হাঁটু ঝাঁকুনি একটি সহজাত প্রতিবর্ত, সাইকেল চালানো একটি অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
28. ক্রিকেট খেলা, শিশুর হাঁটতে শেখা কী ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া?
উত্তর: অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
29. পরিবেশের বা বাহ্যিক উত্তেজনায় জীবের সাড়া দেওয়ার ধর্মকে কী বলে?
উত্তর: উত্তেজিতা।
30. পরিবেশের যে অবস্থাগত পার্থক্য জীবদেহে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তাকে কী বলে?
উত্তর: উদ্দীপক।
31. উদ্দীপক কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: উদ্দীপক দুই প্রকার-বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ।
32. একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের নাম লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদকোশে জলের ঘাটতি।
33. বাহ্যিক উদ্দীপকের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: আলো।
34. প্রাণীর দুটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের নাম লেখো।
উত্তর: খিদে ও তৃয়া।
35. দুটি উদ্ভিদের নাম লেখো যাদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার প্রকাশ ভালোভাবে ঘটে।
উত্তর: বনচাঁড়াল ও লজ্জাবতী।
36. বাহ্যিক উদ্দীপকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ-অঙ্গের বক্রচলনকে কী বলে?
উত্তর: আবিষ্ট বক্রচলন।
37. মাটিতে আবদ্ধ অবস্থায় উদ্ভিদের অঙ্গ সঞ্চালনকে কী বলে?
উত্তর: বক্রচলন।
38. প্রকরণ চলন কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায়?
উত্তর: বনচাঁড়াল উদ্ভিদের উপপত্রকে প্রকরণ চলন দেখা যায়।
39. ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ উদ্ভিদে কী ধরনের চলন দেখা যায়?
অথবা, ডেসমোডিয়াম গাইর্যান্স উদ্ভিদের উপপত্রকে কোন্ চলন দেখা যায়?
উত্তর: প্রকরণ চলন।
40. বনচাঁড়ালের পার্শ্বীয় উপপত্রকের বোঁটার গোড়ার কোন্ কোশের রসস্ফীতি তারতম্যে উপপত্রকের চলন ঘটে থাকে?
উত্তর: পালভিনি বা পালভিনাস (একবচন) কোশের রসস্ফীতির তারতম্যে।
41. কোন্ বিজ্ঞানী প্রথম প্রমাণ করেন যে, বিনা আঘাতেও উদ্ভিদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়?
উত্তর: বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
42. বাহ্যিক স্পর্শ, ঠান্ডা, পটাশিয়াম সায়ানাইড-জাতীয় বিষের প্রভাবে উদ্ভিদের সাড়াদান প্রথম কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু।
43. রেজোন্যান্ট রেকর্ডার কী?
উত্তর: বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু নির্মিত যে যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদদেহের প্রতিবর্ত পথের সন্ধান করা যায়, তাকে রেজোন্যান্ট রেকর্ডার বলে।
44. প্রোটোপ্লাজমের আবর্তনজনিত গতি বা সারকুলেশন প্রথম কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: প্রোটোপ্লাজমের আবর্তনজনিত গতি বা সারকুলেশন প্রথম দেখা যায় Tradescantia (ট্রাডেসক্যানশিয়া) নামক উদ্ভিদের পাতায়।
45. উদ্ভিদের ক্ষেত্রে উদ্দীপক নিয়ন্ত্রিত চলন প্রধানত কয় প্রকারের হয় ও কী কী?
উত্তর: উদ্ভিদের ক্ষেত্রে উদ্দীপক নিয়ন্ত্রিত চলন প্রধানত তিন প্রকারের হয়। এগুলি হল ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন এবং ন্যাস্টিক চলন।
46. সপুষ্পক উদ্ভিদের ডিম্বাশয়ের অভিমুখে পরাগনালিকার চলন কী প্রকার চলন?
উত্তর: কেমোট্যাকটিক চলন।
47. সামগ্রিক চলন বা গমনে সক্ষম দুটি উদ্ভিদের নাম লেখো। অথবা, ট্যাকটিক চলন দেখা যায় এমন দুটি উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডােমানাস) ও Volvox (ভলভক্স)।
48. ফার্ন উদ্ভিদের শুক্রাণু ম্যালিক অ্যাসিডের প্রভাবে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয়। এটি কোন্ প্রকার সাড়া প্রদান বলে তুমি মনে করো? [Bishnupur High School]
উত্তর: কেমোট্যাকটিক চলন।
49. জলস্রোতের অভিমুখে উদ্ভিদের সামগ্রিক চলনকে কী বলে? [Begum Rokeya Smriti Balika Vidyalaya]
উত্তর: রিওট্যাকটিক চলন।
50. গাছের কান্ডের আলোর দিকে অগ্রসর হওয়া কোন্ প্রকার চলনের উদাহরণ?
উত্তর: গাছের কাণ্ডের আলোর দিকে অগ্রসর হওয়া ফোটোট্রপিক চলনের একটি উদাহরণ।
51. উদ্ভিদের পাতায় কোন্ প্রকার চলন দেখা যায়?
উত্তর: তির্যক আলোকবর্তী চলন।
52. অভিকর্ষ-প্রতিকূলবর্তী বা নেগেটিভ জিওট্রপিক চলন কোন্ গাছের মূলে দেখা যায়?
উত্তর: লবণাম্বু গাছের শ্বাসমূলে।
53. উদ্ভিদের পার্শ্বীয় মূল ও পার্শ্বীয় শাখা অভিকর্ষের গতিপথের সমকোণে বর্ধিত হয়, এটি কী ধরনের চলন?
উত্তর: তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন।
54. উদ্ভিদের দেহের কোন্ অংশে নেগেটিভ জিওট্রপিক চলন দেখা যায়?
উত্তর: কাণ্ড।
55. 'মূল মাটির মধ্যে জলের উৎসের অভিমুখে বাড়তে থাকে'-এটি কী ধরনের চলন?
উত্তর: জল অনুকূলবর্তী চলন।
56. আলোর তীব্রতার প্রভাবে যে চলন ঘটে তাকে কী বলে?
উত্তর: ফোটোন্যাস্টিক চলন।
57. লক্ষ করে দেখেছো কি কৃষ্ণচূড়া, শিরীষ পাতা বা তেঁতুলপাতার পত্রকগুলি প্রখর আলো ও অধিক উয়তায় খুলে যায় এবং কম আলো ও কম তাপে মুদে যায়। এটি কী প্রকার চলন বলে তুমি মনে করো? [Debra Harimati Saraswat Vidya Mandir]
উত্তর: নিক্সিন্যাস্টি।
58. মটরজাতীয় লেগুমিনাস উদ্ভিদের পাতায় কোন্ চলন দেখা যায়?
উত্তর: তাপব্যাপ্তি বা থার্মোন্যাস্টি।
বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো
1. পন্স, সেরিবেলাম, সেরিব্রাম, মেডালা
উত্তর: সেরিব্রাম। [সূত্র-বাকিগুলি পশ্চাদ্মস্তিষ্কের অংশ।]
2. ফাইলাম টারমিনেল, কোনাস মেডুলারিস, কেন্দ্রীয় নালী, মস্তিষ্ক
উত্তর: মস্তিষ্ক। [সূত্র-বাকিগুলি সুষুম্নাকাণ্ডের অংশ।]
3. শিশুর হাঁটতে শেখা, সাঁতার কাটা, হাঁটুর ঝাঁকুনি, সাইকেল চালানো
উত্তর: হাঁটুর ঝাঁকুনি। [সূত্র-বাকিগুলি অভ্যাসগত প্রতিবর্ত।]
4. গুরুমস্তিষ্ক, হাইপোথ্যালামাস, পন্স, থ্যালামাস [Madhyamik '20]
উত্তর: পন্স। [সূত্র-পল্স পশ্চাদ্ মস্তিষ্কের অংশ, বাকিগুলি অগ্রমস্তিষ্কের অংশ।]
1. প্রাথমিক বার্তাবাহক, পাচক রস, ধনাত্মক ফিডব্যাক, অন্তঃক্ষরা ক্রিয়া
উত্তর: পাচক রস। [সূত্র-বাকিগুলি হরমোন-সংক্রান্ত বিষয়।]
2. অক্সিটোসিন, অক্সিন, অ্যাড্রেনালিন, থাইরক্সিন
উত্তর: অক্সিন। [সূত্র-অক্সিন ছাড়া বাকিগুলি প্রাণী হরমোন।]
3. লালাগ্রন্থি, পিটুইটারি গ্রন্থি, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি
উত্তর: লালাগ্রন্থি। [সূত্র-লালাগ্রন্থি ছাড়া বাকিগুলি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।]
4. LTH, LH, FSH, TSH
উত্তর: TSH। [সূত্র-TSH ছাড়া বাকিগুলি গোনাডোট্রপিক হরমোনের অন্তর্গত।]
5. টেস্টোস্টেরন, ইনসুলিন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন
উত্তর: ইনসুলিন। [সূত্র-ইনসুলিন ছাড়া বাকিগুলি জননগ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন।]
6. ADH, গ্লুকোজ বিপাক, রক্তবাহ সংকোচন, বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ
উত্তর: গ্লুকোজ বিপাক। [সূত্র-গ্লুকোজ বিপাক ছাড়া বাকিগুলি, যথা-রক্তবাহ সংকোচন ও বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ ADH হরমোনের কাজ।]
7. বামনত্ব, অতিকায়ত্ব, অ্যাক্রোমেগালি, কুশিং সিনড্রোম
উত্তর: কুশিং সিনড্রোম। [সূত্র-কুশিং সিনড্রোম ছাড়া বাকিগুলি গ্রোথ হরমোনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।]
8. TSH, ACTH, GTH, CSF
উত্তর: CSF। [সূত্র-CSF হল স্বচ্ছ বর্ণহীন দেহতরল যা মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডে পাওয়া যায় বাকিগুলি হরমোন।]
9. বামনত্ব, গলগণ্ড, থ্যালসেমিয়া, মধুমেহ
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া। [সূত্র-থ্যালেসেমিয়া অটোজোম-বাহিত জিনঘটিত রোগ, বাকিগুলি হরমোনঘটিত রোগসমূহ]
10. প্রাণীদেহ, উদ্ভিদদেহ, স্নায়ুকোশ, নিউরোগ্লিয়া
উত্তর: উদ্ভিদদেহ। [সূত্র-উদ্ভিদদেহ ছাড়া বাকিগুলি সম্পর্কযুক্ত। স্নায়ুকোশ ও নিউরোগ্লিয়া প্রাণীদেহে পাওয়া যায়।]
11. অ্যাক্সোলেমা, নিউরিলেমা, নিউরোপ্লাজম, র্যানভিয়ারের পর্ব
উত্তর: নিউরোপ্লাজম। [সূত্র-নিউরোপ্লাজম ছাড়া বাকিগুলি অ্যাক্সনের অংশ।]
12. নিউরোফ্রাইব্রিল, নিউরোপ্লাজম, নিউরোসাইটন, নিউরোগ্লিয়া
উত্তর: নিউরোগ্লিয়া। [সূত্র-নিউরোগ্লিয়া ছাড়া বাকিগুলি নিউরোনের অংশ।]
13. নিম্ন দানা, সক্রিয় সেন্ট্রোজোম, নিউরোফাইব্রিল, নিউক্লিয়াস
উত্তর: সক্রিয় সেন্ট্রোজোম। [সূত্র-বাকিগুলি স্নায়ুকোশের গঠনগত বৈশিষ্ট্য।]
14. র্যানভিয়ারের পর্ব, মায়েলিন আবরণী, অ্যাক্সোলেমা, ডেনড্রন
উত্তর: ডেনড্রন। [সূত্র-বাকিগুলি অ্যাক্সন-সংক্রান্ত বিষয়।]
15. ভেগাস নার্ভ, ফেসিয়াল নার্ভ, গ্লসোফ্যারেঞ্জিয়াল নার্ভ, অপটিক নার্ভ
উত্তর: অপটিক নার্ভ। [সূত্র-অপটিক নার্ভ ছাড়া বাকিগুলি মিশ্র স্নায়ু।]
16. অ্যাক্সোলেমা, নিউরিলেমা, পেরিনিউরিয়াম, মায়েলিন সিদ্
উত্তর: পেরিনিউরিয়াম। [সূত্র-বাকিগুলি নিউরোনের আবরণ, পেরিনিউরিয়াম স্নায়ু গঠনকারী স্তর।]
17. গ্লসোফ্যারেঞ্জিয়াল, অকুলামোটর, ট্রাইজেমিনাল, অক্সিটোসিন
উত্তর: অক্সিটোসিন। [সূত্র-অক্সিটোসিন হল হরমোন, বাকিগুলি স্নায়ু।]
18. অলফ্যাক্টরি স্নায়ু, ভেগাস স্নায়ু, অপটিক স্নায়ু, অডিটরি স্নায়ু
উত্তর: ভেগাস স্নায়ু। [সূত্র-ভেগাস স্নায়ু মিশ্র প্রকৃতির, বাকিগুলি সংজ্ঞাবহ স্নায়ু।]
নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখো।
1. মস্তিষ্ক, সেরিব্রাল, সেরিবেলাম, পন্স
উত্তর: মস্তিষ্ক। [সূত্র-বাকিগুলি মস্তিষ্কের নানা অংশ।]
2. থ্যালামাস, সেরিব্রাল কর্টেক্স, অগ্রমস্তিষ্ক, হাইপোথ্যালামাস
উত্তর: অগ্রমস্তিষ্ক। [সূত্র-বাকিগুলি অগ্রমস্তিষ্কের গঠনগত অংশসমূহ।]
3. পল্স, লঘুমস্তিষ্ক, সুষুম্নাশীর্ষক, পশ্চাদ্মস্তিষ্ক
উত্তর: পশ্চাদ্মস্তিষ্ক।
4. প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, শ্বাসকার্য নিয়ন্ত্রণ, সুষুম্নাশীর্ষকের কাজ, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ
উত্তর: সুষুম্নাশীর্ষকের কাজ। [সূত্র-বাকিগুলি সুষুম্নাশীর্ষকের বিভিন্ন কাজসমূহ।]
5. মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র, সুষুম্নাকাণ্ড, করোটি স্নায়ু
উত্তর: স্নায়ুতন্ত্র। [সূত্র-বাকিগুলি স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত অংশসমূহ।]
6. ডুরামেটার, মেনিনজেস, পিয়ামেটার, অ্যারাকনয়েড মেটার
উত্তর: মেনিনজেস। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে মেনিনজেস পর্দার গঠনগত স্তরগুলি উল্লিখিত হয়েছে।]
7. তীব্র আলোতে চোখ বোজা, আগুন থেকে হাত সরিয়ে নেওয়া, জন্মগত প্রতিবর্ত, পিন ফুটলে পা সরিয়ে নেওয়া
উত্তর: জন্মগত প্রতিবর্ত। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে নানা প্রকার জন্মগত বা সহজাত প্রতিবর্তের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।]
8. রিফ্লেক্স আর্ক, সেনসরি নিউরোন, মোটর নিউরোন, অ্যাডজাস্টর নিউরোন
উত্তর: রিফ্লেক্স আর্ক। [সূত্র-বাকিগুলি রিফ্লেক্স আর্ক-এর উপাদানসমূহ।]
9. পিটুইটারি গ্রন্থি, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি
উত্তর: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। [সূত্র-অপর তিনটি হল নানা প্রকার হরমোন ক্ষরণকারী অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।]
10. অগ্ন্যাশয়, মিশ্র গ্রন্থি, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়
উত্তর: মিশ্র গ্রন্থি। [সূত্র-অপর তিনটি গ্রন্থিই মিশ্র গ্রন্থি, অর্থাৎ এদের অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা কাজ রয়েছে।]
11. ইনসুলিন, গ্লুকাগন, অগ্ন্যাশয়, সোমাটোস্ট্যাটিন
উত্তর: অগ্ন্যাশয়। [সূত্র-আবার তিনটি হল হরমোন যা অগ্ন্যাশয় থেকে ক্ষরিত হয়।]
12. BMR বৃদ্ধি, তারারন্ধ্রের প্রসারণ, অ্যাড্রেনালিনের প্রভাব, গায়ের লোম খাড়া হওয়া
উত্তর: অ্যাড্রেনালিনের প্রভাব। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে অ্যাড্রেনালিনের নানা কাজ উল্লেখ করা হয়েছে।]
13. হাইপারগ্লাইসেমিয়া, গ্লাইকোসুরিয়া, গ্লুকোজ জারণ, ইনসুলিন
উত্তর: ইনসুলিন। [সূত্র-ইনসুলিনের কাজ ও অভাবজনিত সমস্যার কথা বলা হয়েছে।]
14. টেস্টোস্টেরন, স্টেরয়েড হরমোন, প্রোজেস্টেরন, ইস্ট্রোজেন
উত্তর: স্টেরয়েড হরমোন। [সূত্র-অপর তিনটি হল হরমোন যাদের রাসায়নিক প্রকৃতি স্টেরয়েড।]
15. মৌল বিপাকীয় হার বৃদ্ধি, থাইরক্সিন, লোহিত রক্তকণিকার ক্রম পরিণতি, এক্সঅপথ্যালমিক গয়টার
উত্তর: থাইরক্সিন। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে থাইরক্সিনের প্রভাব রয়েছে।]
16. স্নায়ু, গ্রাহক, কারক, স্নায়বিক পথ
উত্তর: স্নায়বিক পথ। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে স্নায়ু উদ্দীপনা যে পথে প্রবাহিত হয় তার অংশসমূহ উল্লিখিত হয়েছে।]
17. অ্যাক্সন, নিউরোন, সোমা, ডেনড্রন
উত্তর: নিউরোন। [সূত্র-বাকিগুলি নিউরোন বা স্নায়ুকোশ গঠনকারী অংশসমূহ।]
18. নিউরোফাইব্রিল, কোশদেহ, নিউরোপ্লাজম, নিম্ন দানা
উত্তর: কোশদেহ। [সূত্র-বাকিগুলি নিউরোনের কোশদেহে উপস্থিত থাকে।]
19. অ্যাস্ট্রোসাইট, অলিগোডেনড্রোসাহট, নিউরোগ্লিয়া, এপেনডাইমাল কোশ
উত্তর: নিউরোগ্লিয়া। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে নানাপ্রকার নিউরোগ্লিয়া বা গ্লিয়াল
20. প্রি-সাইন্যাপটিক নব, পোস্ট-সাইন্যাপটিক নব, সাইন্যাপটিক ক্লেফ্ট, সাইন্যাপস্
উত্তর: কোশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।] সাইন্যাপস্। [সূত্র-অপর তিনটি ক্ষেত্রে সাইন্যাপস্ গঠনকারী নানা অংশের কথা বলা হয়েছে।]
21. সুষুম্নাকাণ্ড, নিউরোসিল, প্রতিবর্ত ক্রিয়া, সুষুম্না স্নায়ু
উত্তর: প্রতিবর্ত ক্রিয়া। [সূত্র-অপর তিনটি প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী অংশ।]
বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. জ্ঞানেন্দ্রিয় কাকে বলে?
উত্তর: বিশেষ ধরনের কিছু গ্রাহক অঙ্গ পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরণ করে, এদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বলা হয়। যেমন- চোখ, কান ইত্যাদি।
2. মানুষের চোখের প্রধান অংশগুলি কী কী?
উত্তর: চোখের প্রধান অংশগুলি হল-অক্ষিগোলক (আবরক ও প্রতিসারক মাধ্যম), রক্ষণমূলক অংশ ও অক্ষিপেশি।
3. স্ক্লেরা কী? এর কাজ লেখো। 1+1
উত্তর: জেরা: অক্ষিগোলকের বাইরের তনুময় আবরণটিকে ফাইব্রাস কোট বলে। এর পিছন দিকের অংশকে শ্বেতমণ্ডল বা স্ক্লেরা বলে। এই স্তরটি সাদা বর্ণের কোলাজেন তনু দ্বারা গঠিত।
► কাজ: এটি অক্ষিগোলককে নির্দিষ্ট আকৃতি দান করে এবং চোখের অন্যান্য স্তরকে রক্ষা করে।
4. কর্নিয়া কী? এর কাজ লেখো।
উত্তর: কর্নিয়া: কর্নিয়া হল অক্ষিগোলকের সম্মুখভাগে বিন্যস্ত ও তনুময় বহিঃস্তরের অংশ। এটি একটি উত্তল স্বচ্ছ প্রতিসারক স্তর। 6
► কাজ: কর্নিয়া অক্ষিগোলকে আলো প্রবেশের প্রথম প্রতিসারক মাধ্যমরূপে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে এটি আলোকরশ্মিকে প্রতিসৃত করে লেন্সে কেন্দ্রীভূত করে।
5. আইরিস বা কনীনিকা কী? এর কাজ কী? 1+1
উত্তর: আইরিস বা কনীনিকা: লেন্সের সামনে ও কর্নিয়ার ঠিক পিছনে অবস্থিত বৃত্তাকার রঙ্গকযুক্ত গঠনকে আইরিস বলে।
[⇨ কাজ: গোলাকার আইরিস, পেশি সংকোচনের দ্বারা তারারন্ধ্রকে ছোটো ও বড়ো করে। ফলে চোখে আলোর প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয়।
6. কোরয়েড বা কৃষ্ণমণ্ডল বলতে কী বোঝ? এর কাজ কী? 1+1
উত্তর: কৃষ্ণমণ্ডল: অক্ষিগোলকের তিনস্তরবিশিষ্ট প্রাচীরে মধ্যভাগের মেলানিন সমৃদ্ধ স্তরটি হল কোরয়েড বা কৃষ্ণমণ্ডল। [⇨ কাজ: কোরয়েডের কাজ হল চোখের আবরণী স্তরগুলির পুষ্টি জোগানো এবং অক্ষিগোলকের ভিতরে আলোর প্রতিফলনে বাধা দেওয়া ও অবাঞ্ছিত আলোকে শোষণ করা।
7. রেটিনা কোথায় অবস্থিত এবং এর কাজ কী?
উত্তর: অবস্থান: রেটিনা অক্ষিগোলকের পশ্চাদ্ভাগে অবস্থিত।
[⇨ কাজ: রেটিনা বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে এবং গঠিত প্রতিবিম্বকে স্নায়ু উদ্দীপনায় পরিবর্তিত করে অপটিক স্নায়ুতে প্রেরণ করে।
৪. রেটিনায় কী কী গ্রাহক কোশ থাকে? এদের কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: রেটিনায় উপস্থিত গ্রাহক কোশ: রেটিনায় গ্রাহক কোশরূপে রড কোশ ও কোন কোশ থাকে।
[ কাজ: রড কোশ মৃদু আলো শোষণ করে এবং কোন কোশ উজ্জ্বল রঙীন আলো শোষণ করে। উভয়েই দৃষ্টি সংবেদ উৎপাদন করে।
9. পীতবিন্দু বা ম্যাকুলা লুটিয়া কাকে বলে? এর কাজ উল্লেখ করো। 1+1
উত্তর: পীতবিন্দু ম্যাকুলা বা লুটিয়া: চোখে পিউপিল বা তারারন্ধ্রের বিপরীত দিকে রেটিনার ওপরে অবস্থিত যে হালকা হলদে বর্ণের বিন্দুতে বস্তুর প্রতিবিম্ব সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্টভাবে গঠিত হয়, তাকে পীতবিন্দু বা ম্যাকুলা লুটিয়া বলে।
[ কাজ: পীতবিন্দু রেটিনার সর্বাধিক আলোকসুবেদী অংশ। এখানে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
10. ফোভিয়া সেন্ট্রালিস কী? এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: ফোভিয়া সেন্ট্রান্সিস: তারারন্দ্রের বিপরীতে রেটিনাতে পীতবিন্দুর কেন্দ্রে যে সামান্য অবতল স্থানে কেবলমাত্র কোন কোশ থাকে, সেই স্থানকে ফোভিয়া সেন্ট্রালিস বলে।
[⇨ গুরুত্ব: গাড়ি চালানো, পড়াশোনার সময় প্রখর দৃষ্টি এই অঞ্চলেই তৈরি হয়।
11. অন্ধবিন্দু বা ব্লাইন্ড স্পট কাকে বলে?
উত্তর: রেটিনার যে স্থানে সমস্ত নার্ভগুলি গুচ্ছাকারে অপটিক স্নায়ুরূপে নির্গত হয়, সেইস্থানে কোনো আলোকসুবেদী কোশ না থাকায় প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। এই স্থানটিকে অন্ধবিন্দু (blind spot) বলে। এর অপর নাম অপটিক ডিস্ক।
12. চক্ষুর লেন্স অংশের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ও কাজ লেখো। 1+1
উত্তর: বিবরণ: চোখের লেন্সটি আইরিসের পিছনে অবস্থিত, স্থিতিস্থাপক ও দ্বি-উত্তল। এটি সাস্পেনসরি লিগামেন্টের সাহায্যে চোখের পিউপিলের পিছনে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে।
[ কাজ: চোখের লেন্স আলোর প্রতিসরণ ঘটিয়ে রেটিনাতে প্রতিবিম্ব গঠন করতে সাহায্য করে।
13. অক্ষিগোলকের বিভিন্ন প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম ক্রমানুসারে লেখো। [Madhyamik '19] অথবা, চোখের প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম লেখো।
উত্তর: অক্ষিগোলকের বাইরে থেকে ভিতরের দিকে বিভিন্ন প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল-কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমর, লেন্স ও ভিট্রিয়াস হিউমর বা ভিট্রিয়াস বডি।
14. অ্যাকুয়াস হিউমর কাকে বলে? এর কাজ কী? 1+1
উত্তর: অ্যাকুয়াস হিউমর: লেন্স এবং কর্নিয়ার মাঝখানে অবস্থিত গহ্বরটি যে জলীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাকে অ্যাকুয়াস হিউমর বলে। [⇒ কাজ: এটি আলোর প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং চোখের বিভিন্ন অংশের পরিপোষকরূপে কাজ করে।
15. ভিট্রিয়াস হিউমর কাকে বলে? এর কাজ কী?
উত্তর: ভিট্রিয়াস হিউমর: লেন্সের ঠিক পশ্চাৎ অংশে অবস্থিত গহ্বরটি যে স্বচ্ছ, সান্দ্র পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে তাকে ভিট্রিয়াস হিউমর বা ভিট্রিয়াস বডি বলে।
[⇨ কাজ: এটি আলোর প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং অক্ষিগোলকের আকৃতি ও চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
16. অক্ষিগোলকের বিভিন্ন প্রতিসারক মাধ্যমগুলির নাম ক্রমানুসারে লেখো।
উত্তর: অক্ষিগোলকের বিভিন্ন প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল- কর্নিয়া, ② অ্যাকুয়াস হিউমর, ③ লেন্স, ④ ভিট্রিয়াস হিউমর।
17. চোখের আনুষঙ্গিক অংশগুলি কী কী?
উত্তর: চোখের আনুষঙ্গিক অংশগুলি হল-অক্ষিকোটর, অক্ষিপেশি, অক্ষিপল্লব, অক্ষিপক্ষ, কনজাংটিভা ও অশ্রুগ্রন্থি বা ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি।
18. অক্ষিপেশি বা চক্ষুপেশি কাকে বলে?
উত্তর: বিভিন্ন অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা অক্ষিগোলক অক্ষিকোটরের প্রাচীরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাদের অক্ষিপেশি বা চক্ষুপেশি বলে। যেমন-রেকটাস পেশি।
19. চক্ষুর রক্ষণমূলক অংশগুলি কী কী? এদের মধ্যে কোন্টি অক্ষিগোলকের সাথে যুক্ত? 1+1
উত্তর: চক্ষুর রক্ষণমূলক অংশগুলি হল-কনজাংটিভা বা নেত্রবর্থকলা, অক্ষিপল্লব ও অশ্রুগ্রন্থি।
[⇨ নেত্রবর্ম্মকলা অক্ষিগোলকের সাথে যুক্ত থাকে।
20. অশ্রুগ্রন্থির অবস্থান উল্লেখ করো।
উত্তর: প্রতিটি চোখের ওপরের দিকে এবং ঊর্ধ্ব নেত্রপল্লবের নীচে অশ্রুগ্রন্থি অবস্থিত। অশ্রুগ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা সূক্ষ্ম নালী দিয়ে অক্ষিগোলকের ওপর অশ্রু ছড়িয়ে পড়ে।
21. অশ্রুর কাজগুলি লেখো।
উত্তর: অশ্রুর কাজগুলি হল-① অক্ষিগোলক সিক্ত রাখা এবং তার চলন স্বাভাবিক রাখে। ② অক্ষিগোলকের উন্মুক্ত অংশকে ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখে। ও লাইসোজাইম উৎসেচক ও অ্যান্টিবডি দ্বারা জীবাণু নাশ করে।
22. অশ্রুগ্রন্থির ক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেলে কী ঘটবে?
উত্তর: অশ্রুগ্রন্থি থেকে অশ্রু ক্ষরিত হয়। চোখকে আর্দ্র রাখা অশ্রুর প্রধান কাজ। অক্ষিগোলকের উপরিভাগে ধুলোবালি পড়লে অশ্রু সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়। এ ছাড়াও অশ্রু জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে। অশ্রুগ্রন্থির ক্ষরণ হঠাৎ বন্ধ হলে উপরিলিখিত কাজগুলি বন্ধ হয়ে যাবে।
23. নেত্রবত্মকলা (কনজাংটিভা)-র অবস্থান ও কাজ লেখো।
উত্তর: কর্নিয়ার বাইরে স্বচ্ছ পাতলা পর্দা নেত্রবাকলা বা কনজাংটিভা অবস্থিত। কনজাংটিভা কর্নিয়াকে ধুলোবালির হাত থেকে ও ঘর্ষণজনিত আঘাত থেকে রক্ষা করে।
24. একনেত্র দৃষ্টি কাকে বলে? কোন্ কোন্ প্রাণীর দৃষ্টি এই প্রকারের হয়? 1+1 [Govt. Sponsd. Multipurpose School (Boys') Taki House]
উত্তর: একনেত্র দৃষ্টি: একই সঙ্গে দুটি চোখে দুটি পৃথক বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হলে, অর্থাৎ দুটি চোখে দুটি আলাদা বস্তুকে দেখা গেলে, সেই ধরনের দৃষ্টিকে একনেত্র দৃষ্টি বলে।
► উদাহরণ: ব্যাং, মাছ, গোরু প্রভৃতি প্রাণীর দৃষ্টি।
25. দ্বিনেত্র দৃষ্টি কাকে বলে? কোন্ প্রাণীদের তা দেখা যায়?
উত্তর: দ্বিনেত্র দৃষ্টি: একই সঙ্গে দুটি চোখে একই বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হলে, অর্থাৎ দুটি চোখের সাহায্যে একই বস্তুকে সুস্পষ্টভাবে দেখা গেলে, সেই ধরনের দৃষ্টিকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে।.
• উদাহরণ: মানুষ, বানর, বাঘ, প্যাঁচা প্রভৃতি প্রাণীর দৃষ্টি।
14. উদ্ভিদ হরমোনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদ হরমোনের বৈশিষ্ট্য: উদ্ভিদ হরমোনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ।
উৎস: উদ্ভিদের কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগে উপস্থিত ভাজক কলার কোশগুলি উদ্ভিদ হরমোনের অন্যতম প্রধান উৎসস্থল। এ ছাড়া বীজপত্র, মুকুলিত কচি পাতা, ভ্রূণমূল, ভ্রূণমুকুল, বর্ধনশীল পাতার কোশ থেকেও হরমোন ক্ষরিত হয়।
পরিবহণের ধরন: উদ্ভিদ হরমোনগুলি উৎপত্তি স্থানের নিকটবর্তী ও দূরবর্তী স্থান উভয় অঞ্চলেই কার্যকরী হয়। উদ্ভিদ হরমোন উৎসস্থল থেকে প্রধানত ব্যাপন প্রক্রিয়ায় সংবহন কলার মাধ্যমে কার্যস্থলে পরিবাহিত হয়।
কাজ: অগ্র ও পার্শ্বীয় বৃদ্ধি, ফুলের পরিস্ফুটন, বীজের অঙ্কুরোদ্গম, মুকুলোদ্গম, সংবেদনশীলতা, জরারোধ প্রভৃতিতে হরমোন সাহায্য করে।
পরিণতি: কাজের পর উদ্ভিদ হরমোনগুলি বিনষ্ট হয়। বিভিন্ন হরমোন বিভিন্ন উৎসেচক বা অন্য কোনো শর্তের প্রভাবে বিনষ্ট হয়। যেমন, অক্সিন হরমোনটি আলোর প্রভাবে বা ইনডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড অক্সিডেজ নামক উৎসেচকের ক্রিয়ায় বিনষ্ট হয়। জিব্বেরেলিন, জিব্বেরেলিন অক্সিডেজের ক্রিয়ায় ও সাইটোকাইনিন, সাইটোকাইনিন অক্সিডেজের ক্রিয়ায় বিনষ্ট হয়।
15. অক্সিনের সংজ্ঞা লেখো। অক্সিনের বৈশিষ্ট্যগুলি কী? 2+3
উত্তর: অক্সিন: উদ্ভিদের অগ্রস্থ ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন নাইট্রোজেনযুক্ত (ইনডোল বর্গযুক্ত) অম্লধর্মী বৃদ্ধি সহায়ক যে উদ্ভিদ হরমোন, মূলত নিম্নাভিমুখে পরিবাহিত হয় এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, তাকে অক্সিন বলে।
অক্সিনের বৈশিষ্ট্য: অক্সিন হরমোনের বৈশিষ্ট্যগুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
① অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী একপ্রকার হরমোন। ② এটি প্রধানত কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন নিয়ে গঠিত একপ্রকার জৈব অ্যাসিড। ③ ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে অক্সিন সংশ্লেষিত হয়। ④ এটি উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গ, প্রধানত ভূণমুকুলাবরণী, কাণ্ড ও মূলের অগ্রস্থ ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন হয়ে ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে সাধারণত নিম্নাভিমুখে পরিবাহিত হয়। তবে মূলের অগ্রভাগে উৎপন্ন অক্সিন নীচ থেকে কিছুটা ওপরের দিকে পরিবাহিত হয়। ⑤ এই হরমোনের সংশ্লেষ সাধারণত আলোক উৎসের বিপরীতে হয়। ⑥ এর ক্রিয়া প্রধানত মেরুবর্তী এবং এটি ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ⑦ এটি জলে দ্রবণীয় হওয়ার ফলে ব্যাপন ক্রিয়ার মাধ্যমে সহজেই পরিবাহিত হয়। ⑧ আলোকের উৎসের বিপরীতে অর্থাৎ অন্ধকারে অক্সিনের ক্রিয়া সর্বাধিক। মূলের ক্ষেত্রে স্বল্প ঘনত্বে এবং কাণ্ডের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অধিক ঘনত্বে অক্সিন কাজ করে।
16. উদ্ভিদদেহে অক্সিনের ভূমিকা লেখো। অনুরূপ প্রশ্ন,① অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখো। ② উদ্ভিদের বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোন্ কোন্ কাজ অক্সিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তার একটি তালিকা তৈরি করো। [Madhyamik '22]
উত্তর: অক্সিনের ভূমিকা: উদ্ভিদদেহে অক্সিন নিম্নলিখিত ভূমিকাগুলি পালন করে।
অগ্রস্থ প্রকটতা ও পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি হ্রাস: অক্সিনের প্রভাবে উদ্ভিদের কান্ডের অগ্রমুকুল বৃদ্ধি পায় ও পার্শ্বীয় বা কাক্ষিক মুকুলগুলির বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পার্শ্বীয় মুকুলের ওপর অগ্রমুকুলের এই প্রাধান্যকে অগ্রস্থ প্রকটতা বলে। এর ফলে কান্ড দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু, যদি অগ্রমুকুল কেটে ফেলা হয় সেক্ষেত্রে কাক্ষিক মুকুল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে গাছটিকে ঝোপের আকৃতি দেয়।
কোশ বিভাজন ও কোশের আকার বৃদ্ধি: অক্সিন কোশে DNA-র পরিমাণ বৃদ্ধি করে কোশের বিভাজনে সাহায্য করে এবং কোশ বিভাজনের দ্বারা কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া অক্সিন
কোশপ্রাচীরকে নমনীয় করে কোশের আকার ও আয়তন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হরমোনের প্রভাবে পরিণত কোশে কোশ গহ্বরের সৃষ্টি হয় যার ফলে কোশ আয়তনে বৃদ্ধি পায়।
ফলের বৃদ্ধি: নিষেকের পর ডিম্বাশয়ে অক্সিনের পরিমাণ বাড়ে। এর প্রভাবে ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। অনেকসময় নিষেকের পূর্বেই ডিম্বাশয়ে অক্সিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তখন ডিম্বাশয় নিষেক ছাড়াই ফলে পরিণত হয়। কিন্তু নিষেক না হওয়ায় ডিম্বক বীজে পরিণত হয় না, ফলে বীজবিহীন ফল উৎপন্ন হয়। এইভাবে নিষেক ছাড়া ফল উৎপাদনকে পার্থেনোকার্পি বলা হয়। পার্থেনোকার্পিক ফল উৎপাদনে অক্সিনের ভূমিকা আছে।
মূলের বৃদ্ধি: অক্সিন উদ্ভিদের মূলের সৃষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। উদ্ভিদের মূল স্বল্প পরিমাণ অক্সিনে অধিক সংবেদনশীল, অর্থাৎ অক্সিনের স্বল্প ঘনত্বে মূলের বৃদ্ধি অধিক হয়। বেশি ঘনত্বে অক্সিন মূলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। যে ঘনত্বের অক্সিনে মূলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, সেই ঘনত্বের অক্সিনে কান্ডের পর্ব ও গোড়া থেকে অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয়।
ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ: উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক চলন এবং জিওট্রপিক চলন অক্সিনের অসম বণ্টনের ফলে সম্পন্ন হয়।
17. উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক চলন এবং জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিনের ভূমিকা চিত্রসহ আলোচনা করো। [WBBSE Sample Paper] অথবা, উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিন হরমোনের ভূমিকা লেখো।
উত্তর: ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিনের ভূমিকা: উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক চলন এবং জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধানত আলোক ও অভিকর্ষের প্রভাবে অক্সিনের অসম বণ্টনের দ্বারাই ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রিত হয়। বিজ্ঞানী ওয়েন্ট ও কোলোনি পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করেছেন, আলোর প্রভাবে অক্সিনের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। অর্থাৎ অক্সিন আলোক-সংবেদনশীল। এই কারণে সর্বদা আলোর উৎসের বিপরীতে বা অন্ধকারের দিকে অক্সিনের ঘনত্ব বেশি হয়। কাণ্ডের ক্ষেত্রে বেশি ঘনত্বের অক্সিনে, আলোর বিপরীত দিকে বৃদ্ধি অর্থাৎ অন্ধকারের দিকে কোশের বিভাজন বেশি হয়। ফলে কান্ড আলোর দিকে এবং অভিকর্ষের বিপরীতে বেঁকে যায়। অর্থাৎ কাণ্ডে আলোক-অনুকূলবর্তী ও অভিকর্ষ-প্রতিকূলবর্তী চলন ঘটে। মূল অক্সিনের স্বল্প ঘনত্বে অধিক সংবেদনশীল। ফলে মূলের ক্ষেত্রে অক্সিনের কম ঘনত্বের দিকে, অর্থাৎ আলোর দিকে কোশ বিভাজন হার বেশি হয়। তাই মূল আলোর বিপরীত দিকে তথা অভিকর্ষের দিকে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ মূলে আলোক- প্রতিকূলবর্তী ও অভিকর্ষ-অনুকূলবর্তী চলন দেখা যায়। এইভাবে অক্সিনের অসম বণ্টনের দ্বারা উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক বা আলোকবৃত্তি চলন এবং জিওট্রপিক বা অভিকর্ষবৃত্তি চলন নিয়ন্ত্রিত হয়।
18. জিব্বেরেলিনের সংজ্ঞা ও উৎস লেখো। এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
উত্তর: জিব্বেরেলিনের সংজ্ঞা ও উৎস
সংজ্ঞা: বীজের পরিণত বীজপত্র থেকে উৎপন্ন টারপিনয়েড গোষ্ঠীভুক্ত, নাইট্রোজেনবিহীন, অম্লধর্মী উদ্ভিদ হরমোন যা বীজের সুপ্ত দশা ভঙ্গ করতে ও অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে তাকে জিব্বেরেলিন বলে।
উৎস: অঙ্কুরিত বীজ, পরিণত বীজপত্র, মুকুল, পাতার বর্ধিষ্ণু অঞ্চল প্রভৃতি থেকে জিব্বেরেলিন উৎপন্ন হয়।
জিব্বেরেলিনের বৈশিষ্ট্য: জিব্বেরেলিন হরমোনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি এখানে সংক্ষেপে আলোচিত হল-① এটি কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত একপ্রকার নাইট্রোজেনবিহীন উদ্ভিদ হরমোন। ② এটি টারপিনয়েড গোষ্ঠীভুক্ত আম্লিক প্রকৃতির জৈবরাসায়নিক পদার্থ। ③ এটি জাইলেম ও ফ্লোয়েম-উভয় কলার মাধ্যমে প্রবাহিত হতে পারে। এই কারণে জিব্বেরেলিনের প্রবাহ উভমুখী। ④ এটি জলে দ্রবণীয়। তাই অতি সহজেই ব্যাপন ক্রিয়ার দ্বারা পরিবাহিত হয়। ⑤ বীজপত্রে জিব্বেরেলিন সঞ্চয়ের হার সবথেকে বেশি।
19. জিব্বেরেলিনের কয়েকটি প্রকারভেদের নাম লেখো। উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিনের ভূমিকা উল্লেখ করো। 2+3 অংশ প্রশ্ন, জিব্বেরেলিন হরমোন কীভাবে বীজের অঙ্কুরোদ্গ ঘটায় ও উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে? [Madhyamik '23]
উত্তর: জিবেরেলিনের প্রকারভেদ: জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক নাম জিব্বেরেলিক অ্যাসিড। বিভিন্নপ্রকার উদ্ভিদ থেকে প্রায় 40 প্রকার জিব্বেরেলিন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল GA₁, GA3, GA,। [* জিব্বেরেলিনের ভূমিকা: উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিনের ভূমিকাগুলি নিম্নরূপ।
মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ: প্রতিটি বীজের একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। বীজের এই দশাকে সুপ্তাবস্থা বলে। জিব্বেরেলিন মুকুলের এই সুপ্তাবস্থা দূর করে। বীজের সুপ্তাবস্থায় এর মধ্যে জিব্বেরেলিনের পরিমাণ কম থাকে। অঙ্কুরোদ্গমের আগে বীজে এই হরমোনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর ফলে বীজ মধ্যস্থ ৫-অ্যামাইলেজ, প্রোটিয়েজ প্রভৃতি
উৎসেচকের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, যা বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করে এবং অঙ্কুরোদ্গম ঘটায়।
পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের কান্ডের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে সঠিকভাবে কান্ডের দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন উদ্ভিদের নিবেশিত ভাজক কলাকোশের বিভাজন ঘটায়। ফলে পর্বমধ্য অংশের বৃদ্ধি ঘটে ও উদ্ভিদের দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটে।
ফলের বৃদ্ধি: জিব্বেরেলিন অধিক সংখ্যক ফল উৎপাদনে এবং ফলের আকার বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। আপেল, নাসপাতি, আঙুর প্রভৃতির ফুলের গর্ভাশয়ের কোশ বিভাজন ঘটিয়ে বীজবিহীন বা পার্থেনোকার্পিক ফল তৈরিতেও জিব্বেরেলিনের প্রয়োগ করা হয়।
④ পাতা ও ফুলের আয়তন বৃদ্ধি: গাছের পাতা ও ফুলের আয়তন বৃদ্ধিতেও জিব্বেরেলিন সাহায্য করে।
20. সাইটোকাইনিনের সংজ্ঞা লেখো। এর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। 2+3
উত্তর: সাইটোকাইনিন: উদ্ভিদের ফল ও সস্যে উৎপন্ন নাইট্রোজেনযুক্ত পিউরিন বর্গভুক্ত ক্ষারীয় যে জৈব যৌগ মূলত উদ্ভিদের কোশ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে, তাকে সাইটোকাইনিন বলে।
সাইটোকাইনিনের বৈশিষ্ট্য: সাইটোকাইনিন হরমোনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল-① সাইটোকাইনিন প্রধানত নাইট্রোজেনধর্মী ক্ষারীয় প্রকৃতির জৈব যৌগ। ② এটি পিউরিন বর্গভুক্ত রাসায়নিক উপাদান। ও অক্সিনের সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করে থাকে। ④ এটির পরিবহণ সবদিকে হয়। তবে উৎপত্তিস্থলে কাজ করতেও সাইটোকাইনিন সক্ষম। ⑤ এই হরমোনটি জলে দ্রবণীয়। তাই ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজে পরিবাহিত হতে পারে। ⑥ হরমোনটি উদ্ভিদকোশের সাইটোকাইনেসিসে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এই কারণে এর নাম সাইটোকাইনিন।
21. সাইটোকাইনিনের উৎসগুলি লেখো। উদ্ভিদদেহে সাইটোকাইনিনের ভূমিকা লেখো। 2+3
উত্তর: সাইটোকাইনিনের উৎস: সাইটোকাইনিনের উৎসগুলি হল প্রধানত উদ্ভিদের সস্য (যেমন-ডাবের জল) ও ফল। এ ছাড়া কিছু উদ্ভিদের ফল ও ফুলের নির্যাসেও সাইটোকাইনিন পাওয়া যায় (যেমন- টম্যাটো, পিচ)। সাইটোকাইনিনের ভূমিকা: উদ্ভিদদেহে সাইটোকাইনিনের ভূমিকা- গুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
কোশ বিভাজন ঘটানো: সাইটোকাইনিনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লাজমের বিভাজনে বা সাইটোকাইনেসিসে সাহায্য করা। এই হরমোন অক্সিনের সহায়তায় কোশচক্রের ১ দশায় DNA সংশ্লেষের মাধ্যমে মাইটোসিস কোশ বিভাজনে সাহায্য করে। নবজাত কোশের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতেও এর বিশেষ ভূমিকা আছে।
পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটানো: সাইটোকাইনিনের অপর একটি কাজ হল পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এই হরমোন পার্শ্বীয় মুকুল বা কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ও পরিস্ফুরণে সাহায্য করে এবং অসংখ্য শাখাপ্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্ভিদটিকে ঝোপের মতো আকৃতি দান করে।
পত্রমোচন বিলম্বিত করা: পাতার পত্রমূলের গোড়ার কোশগুলির কোশপ্রাচীরের ক্ষয়ের কারণে পত্রমোচন হয়। সাইটোকাইনিন এই কোশগুলির কোশপ্রাচীরকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, ফলে পত্রমোচন বিলম্বিত হয়।
জরা বিলম্বিতকরণ: সাইটোকাইনিন উদ্ভিদের বার্ধক্য বা জরা বিলম্বিত করে। মূলত নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিনের বিনাশ বিলম্বিত করে এবং নতুন প্রোটিন উৎপাদনের দ্বারা পরিপোষণে সহায়তার মাধ্যমে হরমোনটি এই কাজ করে থাকে। এই কারণে ফুলদানিতে রাখা ফুল বা পাতাবাহার গাছের শাখায় সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করা হলে তা অনেকদিন সতেজ থাকে।
অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি রোধ করা: সাইটোকাইনিন, অগ্রমুকুলের অবাধ বৃদ্ধি রোধ করে এবং উদ্ভিদের দৈর্ঘ্যবৃদ্ধি বিলম্বিত করে উদ্ভিদকে ঝোপে পরিণত করে।
Editing By:- Lipi Medhi