[MCQs]
1. বর্ণান্ধ মানুষ পৃথক করতে পারে না-
(i) লাল-হলদে বর্ণ
(ii) লাল- সবুজ বর্ণ
(iii) হলদে-সাদা বর্ণ
(iv) লাল-নীল বর্ণ |
উত্তর: (ii) লাল- সবুজ বর্ণ
2. সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত একটি বংশগত রোগ হল-
(i) বর্ণান্ধতা
(ii) রাতকানা
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) ম্যালেরিয়া
উত্তর: (i) বর্ণান্ধতা
3. বর্ণান্ধতা রোগটির অ্যালিল-
(i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
(ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iii) অটোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iv) অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
4. বর্ণান্ধতা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনটি অবস্থান করে-
(i) X ক্রোমোজোমে
(ii) Y ক্রোমোজোমে
(iii) z ক্রোমোজোমে
(iv) M ক্রোমোজোমে
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে
5. নীচের যেটি সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত বংশগত রোগ নয়, সেটি হল-
(i) অ্যানিমিয়া
(ii) স্কার্ভি
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) সবকটিই
উত্তর:
6. পিতা ও মাতা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে ওই দম্পতির যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তার ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কত?
(i) 100%
(ii) 25%
(iii) 75%
(iv) 50%
উত্তর: (ii) 25%
7. কোন্ রোগটি অটোজোমাল জিন দ্বারা সৃষ্ট নয়?
(i) সিক্স সেল অ্যানিমিয়া
(ii) হিমোফিলিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) অ্যালবিনিজম
উত্তর:
8. যে বংশগত রোগে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হল-
(i) লিউকেমিয়া
(ii) হিমোফিলিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) বর্ণান্ধতা
উত্তর (ii) হিমোফিলিয়া:
9. মানবদেহে হিমোফিলিয়া রোগের জন্য দায়ী জিনটি-
(i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রকট
(ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
(iii) অটোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রকট
(iv) অটোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
উত্তর: (ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত এবং এটি প্রচ্ছন্ন
10. অটোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন বংশগত রোগ হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) বর্ণান্ধতা
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) স্কার্ভি
উত্তর: (iii) থ্যালাসেমিয়া
11. মানুষের অটোজোমে থাকা জিন দ্বারা যে বৈশিষ্ট্যটি নিয়ন্ত্রিত হয়, সেটি হল-
(i) রোলার জিভ
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) কানের লতি
(iv) সবকটিই
উত্তর: (iii) কানের লতি
12. থ্যালাসেমিয়া রোগের একটি লক্ষণ হল-
(i) স্কার্ভি
(ii) অ্যানিমিয়া
(iii) রিকেট
(iv) ম্যালেরিয়া
উত্তর:
13. দেহে লোহা জমে হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের ক্ষতি হয় যে বংশগত রোগে তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) অ্যানিমিয়া
(iii) ব্লাড ক্যানসার
(iv) থ্যালাসেমিয়া
উত্তর: (iv) থ্যালাসেমিয়া
14. যে রোগে প্লিহা, যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) অ্যানিমিয়া
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ii) থ্যালাসেমিয়া
15. যে রোগের জন্য গ্লোবিন পেপটাইড শৃঙ্খলের অস্বাভাবিক গঠন দায়ী, তা হল-
(i) হিমোফিলিয়া
(ii) থ্যালাসেমিয়া
(iii) ম্যালেরিয়া
(iv) স্কার্ভি
উত্তর: (ii) থ্যালাসেমিয়া
16. লিঙ্গ নির্ধারণে কার ভূমিকা প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ?
(i) পিতার ভূমিকা
(ii) মাতার ভূমিকা
(iii) পিতা ও মাতার ভূমিকা
(iv) মাতার ভূমিকা 75%. পিতার ভূমিকা 25%
উত্তর: (i) পিতার ভূমিকা
17. তিনটি কন্যা আছে এমন ব্যক্তির চতুর্থ সন্তান কন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কত?
(i) 25%
(ii) 50%
(iii) 75%
(iv) 100%
উত্তর: (ii) 50%
18. যে প্রক্রিয়ায় পিতামাতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত। । হয়, তাকে বলে-
(i) অভিব্যক্তি
(ii) বংশগতি
(iii) অভিযোজন
(iv) জিনোম
উত্তর: (ii) বংশগতি
19. 'জেনেটিকস্' কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন-
(i) জোহানসেন
(ii) খোরানা
(iii) বেটসন
(iv) ডারউইন
উত্তর: (iii) বেটসন
20. আমাদের দেশে হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগের শতকরা ভাগ-
(i) 10
(ii) 20
(iii) 40
(iv) 80
উত্তর: (ii) 20
21. মানুষের জননকোশে অটোজোম সংখ্যা-
(i) 44টি
(ii) 22টি
(iii) 23টি
(iv) 46টি
উত্তর: (ii) 22টি
22. মানুষের দেহকোশে সেক্স ক্রোমোজোম সংখ্যা-
(i) 2টি
(ii) 4টি
(iii) 44টি
(iv) 46টি
উত্তর: (i) 2টি
23. মানুষের ক্ষেত্রে নীচের জিনোটাইপগুলির মধ্যে কোন্টি একজন স্বাভাবিক পুরুষের জন্য প্রযোজ্য?
(i) 44A + XX
(ii) 44A + XXY
(iii) 44A + XYY
(iv) 44A + XY
উত্তর: (ii) 44A + XXY
24.রক্ততঞ্চনে সাহায্যকারী ফ্যাক্টর XI-এর অপর নাম-
(i) AHF
(ii) HBA
(iii) HBB
(iv) PTA
উত্তর: (iv) PTA
25. পুরুষের যৌন ক্রোমোজোমগুলি হল-
(i) AX
(ii) BY
(iii) XY
(iv) XX
উত্তর: (iii) XY
26. মহিলাদের যৌন ক্রোমোজোমগুলি হল-
(i) AX
(ii) BY
(iii) XY
(iv) XX
উত্তর: (iv) XX
27. হিমোফিলিক পুরুষ ও হোমোজাইগাস স্বাভাবিক মহিলার বিবাহে হিমোফিলিক সন্তানের শতকরা সম্ভাবনা হল-
(i) 75%
(ii) 50%
(iii) 25%
(iv) 0%
উত্তর: (iv) 0%
28. হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ ও বাহক মহিলার সন্তানরা হবে-
(i) সকলেই হিমোফিলিক
(ii) 50% হিমোফিলিক
(iii) 33.3% হিমোফিলিক
(iv) 25% হিমোফিলিক
উত্তর: (ii) 50% হিমোফিলিক
29. যে রোগের ক্ষেত্রে জেনেটিক কাউন্সেলিং করা হয়, সেটি হল-
(i) থ্যালাসেমিয়া
(ii) ম্যালেরিয়া
(iii) ডায়ারিয়া
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (i) থ্যালাসেমিয়া
30. বিবাহপূর্ব রোগ-সম্ভাবনা নির্ণয়ে কোনো ব্যক্তি যার পরামর্শ গ্রহণ করবেন, তিনি হলেন-
(i) সাইকোলজিস্ট
(ii) জেনেটিক
(iii) কাউন্সিলার
(iv) মেয়র সার্জেন
উত্তর: (ii) জেনেটিক
31. বিবাহের পূর্বে জিনগত পরামর্শ গ্রহণ করে নীচের কোন্ রোগটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে তা স্থির করো-
(i) গয়টার
(ii) ম্যালেরিয়া
(iii) থ্যালাসেমিয়া
(iv) যক্ষ্মা
উত্তর: (iii) থ্যালাসেমিয়া
32. বর্ণান্ধ মানুষ পৃথক করতে পারে না-
(i) লাল-হলদে বর্ণ
(ii) লাল- সবুজ বর্ণ
(iii) হলদে-সাদা বর্ণ
(iv) লাল-নীল বর্ণ |
উত্তর: (ii) লাল- সবুজ বর্ণ
33. খর্ব মটর গাছ সবসময়ই হয়-
(i) হেটেরোজাইগাস
(ii) হোমোজাইগাস
(iii) সংকর দীর্ঘ
(iv) কোনোটিই নয়
উত্তর: (i) হেটেরোজাইগাস
34. বর্ণান্ধতা রোগটির অ্যালিল-
(i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
(ii) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iii) অটোজোমে অবস্থিত প্রকট
(iv) অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন
35. একসংকর জননে প্রথম F₁ জনুতে যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায়, তা হল-
(i) প্রচ্ছন্ন
(ii) প্রকট
(iii) প্রকরণ
(iv) বংশগতি
উত্তর: (ii) প্রকট
36. একটি খাঁটি সাদা (প্রচ্ছন্ন) ফুলযুক্ত মটর গাছের সঙ্গে একটি খাঁটি বেগুনি (প্রকট) ফুলযুক্ত মটর গাছের সংকরায়ণ ঘটানো হল। এক্ষেত্রে প্রথম অপত্য বংশে প্রাপ্ত ফুলের বৈশিষ্ট্য হবে-
(i) 100% সাদা
(ii) সমস্তই বেগুনি
(iii) 50% সাদা এবং 50% বেগুনি
(iv) 75% বেগুনি এবং 25% সাদা
উত্তর: (ii) সমস্তই বেগুনি
37. মটর ফুলে স্বপরাগযোগ ঘটা সম্ভব, কারণ ফুলটি-
(i) পুংলিঙ্গ
(ii) স্ত্রীলিঙ্গ
(iii) একলিঙ্গ
(iv) উভলিঙ্গ
উত্তর: (iv) উভলিঙ্গ
38. কালো বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগের জিনোটাইপ শনাক্ত করো-
(i) BbRr, BBRr
(ii) BBrr, Bbrr
(iii) bbRR
(iv) bbRr
উত্তর: (i) BbRr, BBRr
39. নীচের কোন্ জিনোটাইপটি উভয় লোকাসের জন্য হোমোজাইগাস তা স্থির করো-
(i) BbRr
(ii) BBRr
(iii) BbRR
(iv) bbrr
উত্তর: (iv) bbrr
40. সাদা বর্ণ ও অমসৃণ লোমযুক্ত গিনিপিগের জিনোটাইপ শনাক্ত করো-
(i) bbRR, bbrr
(ii) BBRR, bbrr
(iii) bbRR, bbRr
(iv) BbRr
উত্তর: (iii) bbRR, bbRr
41. গিনিপিগের ক্ষেত্রে দ্বিসংকর জননের F₂ জনুতে উৎপন্ন BbRr ও BBRR জিনোটাইপ দুটির সংখ্যার অনুপাতটি কী?
(i) 2:1
(ii) 4:1
(iii) 1:2
(iv) 1:1
উত্তর: (ii) 4:1
42. বর্ণান্ধতা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনটি অবস্থান করে-
(i) X ক্রোমোজোমে
(ii) Y ক্রোমোজোমে
(iii) z ক্রোমোজোমে
(iv) M ক্রোমোজোমে
উত্তর: (i) X ক্রোমোজোমে
1.হিমোগ্লোবিন H ডিজিজ কাকে বলে?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া নির্ধারক 4টি অ্যালিলের মধ্যে 1টি মিউটেশনযুক্ত হলে বা 1টি অ্যালিলে মিউটেশন ঘটলে, হিমোগ্লোবিন H ডিজিজ দেখা যায়। এই হিমোগ্লোবিন H ডিজিজযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত রক্ত গ্রহণ করতে হয়।
2. আয়রন চিলেশন কী?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগের ক্ষেত্রে, দেহে অধিক মাত্রায় লোহা সঞ্চয়ের সমস্যা রোধে আয়রন দূরীকরণে যে চিকিৎসা করা হয়, তাকে আয়রন চিলেশন (iron chelation) বলে।
3. হাইড্রপ্স ফিটালিস কী?
4. মেন্ডেলীয় চরিত্র (Mendelian trait) ও অমেন্ডেলীয় চরিত্র (Non- mendelian trait) কাকে বলে উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: একটিমাত্র লোকাসে বিন্যস্ত একজোড়া অ্যালিল দ্বারা কোনো চরিত্র নিয়ন্ত্রিত হলে তাকে মেন্ডেলীয় চরিত্র বলে। যেমন-সিস্টিক ফাইব্রোসিস, সিক্স সেল অ্যানিমিয়া প্রভৃতি রোগগুলির জিন মেন্ডেলীয় চরিত্রের উদাহরণ। পক্ষান্তরে, যে চরিত্রগুলি একাধিক লোকাসে বিন্যস্ত একাধিক জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের অমেন্ডেলীয় চরিত্র বলে। যেমন- মানব গাত্রবর্ণ, মানব উচ্চতা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যগুলি হল অমেন্ডেলীয় চরিত্র।
5. মাল্টিপ্স অ্যালিল কাকে বলে?
উত্তর: একটি জিনের জন্য যদি দুইয়ের অধিক অ্যালিল থাকে তবে সেই ঘটনাকে মাল্টিপ্স অ্যালিল বলে। যেমন-মানুষের রক্তগ্রুপ নির্ধারক জিনটির তিনটি অ্যালিল থাকে। এগুলি হল-IA, IB ও 10। এটি মেন্ডেলের সূত্রের থেকে একটি বিচ্যুতি। মাল্টিপ্স অ্যালিলের ক্ষেত্রে বংশানুসরণে মেন্ডেলীয় জিনোটাইপিক ও ফিনোটাইপিক অনুপাত অনুসৃত হওয়া সম্ভব হয় না।
7. থ্যালাসেমিয়া কী? এর প্রকারভেদগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া: জিনগত ত্রুটির কারণে সৃষ্ট যে বংশগত রোগে হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন অংশে কোনো একটি পেপটাইড শৃঙ্খল সংশ্লেষিত হয় না অথবা স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় কম সংশ্লেষিত হয়, সেই বংশগত রোগকেই থ্যালাসেমিয়া বলে। এই রোগ হলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়, লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্র হয় এবং স্বল্পদিন বাঁচে। ফলস্বরূপ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
থ্যালাসেমিয়ার প্রকারভেদ: থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকারের হয়। যথা-৫ থ্যালাসেমিয়া ও ẞ থ্যালাসেমিয়া। আবার রোগের তীব্রতা অনুযায়ী দু-প্রকারের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়। যথা-থ্যালাসেমিয়া মেজর ও থ্যালাসেমিয়া মাইনর। ৫ ও ẞ উভয় থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রেই, থ্যালাসেমিয়া রোগটি মেজর ও মাইনর রূপে প্রকাশ পায়।
① আলফা (৫) থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনের আলফা পেপটাইড শৃঙ্খলের সংশ্লেষণ হ্রাস পেলে বা বন্ধ হলে, তাকে আলফা থ্যালাসেমিয়া বলা হয়। মানুষের 16 নং ক্রোমোজোম জোড়ার প্রতিটিতে দুটি করে মোট চারটি ৫ শৃঙ্খল উৎপাদনকারী অ্যালিল থাকে। এর মধ্যে দুটি অ্যালিলের মিউটেশন হলে ৫ থ্যালাসেমিয়া মাইনর ও চারটিতেই মিউটেশন ঘটলে ৫ থ্যালাসেমিয়া মেজর দেখা যায়।
② বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া: হিমোগ্লোবিনের বিটা পেপটাইড শৃঙ্খলের উৎপাদন বন্ধ হলে বা হ্রাস পেলে, তাকে বিটা থ্যালাসেমিয়া বলে। বিটা থ্যালাসেমিয়ার আবিষ্কর্তা আমেরিকান চিকিৎসক থমাস বেনটন কুলি (Thomas Benton Cooley, 1925)-র নামানুসারে একে কুলির অ্যানিমিয়া (Cooley's anaemia) বলে। এটিও মেজর এবং মাইনর দুই প্রকার হয়। 11 নং ক্রোমোজোম জোড়ায় অবস্থিত শৃঙ্খল সংশ্লেষকারী দুটি অ্যালিলের মিউটেশন ঘটলে B থ্যালাসেমিয়া মেজর ও একটির মিউটেশন ঘটলে ẞ থ্যালাসেমিয়া মাইনর ঘটে।
8. হিমোফিলিয়া কী? হিমোফিলিয়ার প্রকারভেদগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: হিমোফিলিয়া: মানুষের X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনঘটিত যে বংশগত রোগের ফলে দেহের আঘাতপ্রাপ্ত স্থান বা ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে ও তা সহজেই তঞ্চিত হয় না, বরং অবিরাম ক্ষরণ হতে থাকে, সেই রোগকে হিমোফিলিয়া বলে।
হিমোফিলিয়ার প্রকারভেদ: হিমোফিলিয়া প্রধানত তিন প্রকারের। যথা-① হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক হিমোফিলিয়া, ② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগ বা রয়্যাল হিমোফিলিয়া এবং ও হিমোফিলিয়া C।
① হিমোফিলিয়া A বা ক্লাসিক হিমোফিলিয়া: এইজাতীয় হিমোফিলিয়া রক্তের প্লাজমায় অবস্থিত রক্ততঞ্চনে সাহায্যকারী ফ্যাক্টর VIII বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর-এর অভাবের কারণে ঘটে। এইজাতীয় হিমোফিলিয়া মারাত্মক প্রকৃতির। আমাদের দেশের ৪০% হিমোফিলিয়াই এই ধরনের।
② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগ: এইজাতীয় হিমোফিলিয়া রক্তের প্লাজমায় অবস্থিত প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন কমপোনেন্ট (PTC) বা ফ্যাক্টর IX-এর অভাবের কারণে ঘটে। এটি অতটা মারাত্মক নয়। আমাদের দেশে 20% হিমোফিলিয়া এইজাতীয়। এটি ক্রিস্টমাস রোগ নামেও পরিচিত।
③ হিমোফিলিয়া C: এটি অটোজোমাল জিনঘটিত অসম্পূর্ণভাবে প্রচ্ছন্ন একটি রোগ। এই রোগটি সাধারণত রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর XI বা প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট বা PTA-এর অভাবে ঘটে।
9. হিমোফিলিয়ার কারণ লেখো। হিমোফিলিয়ার লক্ষণগুলি কী কী?
উত্তর: হিমোফিলিয়ার কারণ
① ক্লাসিক হিমোফিলিয়া বা হিমোফিলিয়া A-এর কারণ: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় তঞ্চন ফ্যাক্টর VIII বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টরের অনুপস্থিতি বা অভাব।
② হিমোফিলিয়া B বা ক্রিস্টমাস রোগের কারণ: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন কমপোনেন্ট (PTC) বা ফ্যাক্টর IX-এর অনুপস্থিতি বা অভাব।
| ③ হিমোফিলিয়া C রোগের কারণ: রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর XI বা প্লাজমা থ্রম্বোপ্লাস্টিন অ্যান্টিসিডেন্ট (PTA)-এর অভাবে এই রোগ হয়।
হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের লক্ষণগুলি, রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। তীব্রতা অনুযায়ী রোগটি তিন প্রকার। মৃদু হিমোফিলিয়া, মধ্যম হিমোফিলিয়া ও তীব্র হিমোফিলিয়া। বিভিন্ন তীব্রতায় এর লক্ষণগুলি নিম্নরূপ।
① মৃদু হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: মৃদু হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে বহুদিন পর্যন্ত আক্রান্তের মধ্যে এর লক্ষণ বোঝা যায় না। তবে বয়স বাড়লে রক্ততঞ্চনে সমস্যা দেখা যায়। বিশেষত শল্যচিকিৎসার সময়ে দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণের সমস্যা দেখা যায়।
② মধ্যম হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া এই রোগে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ দেখা যায়। এর
হিমোফিলিয়ার ফলে অস্থিসন্ধির স্ফীত অবস্থা ফলে অস্থিসন্ধিতে শক্তভাব, ফুলে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা যায়।
③ তীব্র হিমোফিলিয়ার লক্ষণ: এই রোগের ক্ষেত্রে দেহ থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ, অস্থিসন্ধিতে ঘনঘন রক্তক্ষরণ ও অস্থিসন্ধির বিকৃতি (হিমারথ্রোসিস) লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া এই রোগে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ও করোটির মধ্যেও রক্তক্ষরণ হয়, ফলে প্যারালাইসিস এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
10. একটি ক্রস দ্বারা দেখাও যে, X ক্রোমোজোম বাহিত রোগগুলির দ্বারা পুরুষদের অধিক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উত্তর: পুরুষদের ক্ষেত্রে X ক্রোমোজোম একটি থাকে বলে X ক্রোমোজোম বাহিত জিনগুলির পরিপূরণ (complementation) হয় না। অর্থাৎ, X ক্রোমোজোমে কোনো রোগের জন্য দায়ী জিন থাকলে তা রোগকে প্রকাশিত করে দেয়। যেমন-হিমোফিলিয়া বা বর্ণান্ধতা রোগগ্রস্ত কোনো মহিলার সঙ্গে একজন স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহ হলে সমস্ত পুত্রসন্তানই হিমোফিলিক বা বর্ণান্ধ হয়।
[12 নং প্রশ্নের ক্রসটি দ্রষ্টব্য।]
এক্ষেত্রে পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ জিনযুক্ত X ক্রোমোজোমটি মা-র থেকে সবসময়ই পাবে এবং তা পরিপূরণের অভাবে (অর্থাৎ অন্য X ক্রোমোজোমের অবর্তমানে) প্রকাশিত হবে। কিন্তু কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে মা-র থেকে প্রাপ্ত বর্ণান্ধ জিনযুক্ত X ক্রোমোজোমটির বাবার থেকে প্রাপ্ত স্বাভাবিক জিন দ্বারা পরিপূরণ ঘটে। তাই কন্যারা বাহক হলেও বর্ণান্ধ রোগের প্রকাশ এক্ষেত্রে ঘটে না।
11. প্রকরণ কাকে বলে?
মানবদেহে বংশানুক্রমিকভাবে সঞ্চারিত প্রকরণ, দুটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রকরণ: যৌন জনন ও পরিব্যক্তির ফলে, কোনো জীবপ্রজাতিতে যে বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্য দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বা ভেদ বা ভ্যারিয়েশন বলা হয়।
মানুষের ক্ষেত্রে প্রকরণের উদাহরণ: মানুষের ক্ষেত্রে পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্য বা প্রকরণ দেখা যায়। তার উদাহরণ নিম্নরূপ-
① মুক্ত ও সংযুক্ত কানের লতি: মানুষের কানের লতির নীচের ভাগ মুখমণ্ডলে সংযুক্ত অথবা মুক্ত প্রকৃতির হয়। দেখা গেছে যে, একজোড়া প্রকট জিন মুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে। পক্ষান্তরে একজোড়া মিউটেশনযুক্ত জিন সংযুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, প্রকরণ বা ভ্যারিয়েশনের কারণেই মানুষের কানের লতিতে এই বাহ্যিক বৈচিত্র্য দেখা যায়।
② রোলার ও স্বাভাবিক জিভ: 65-81% মানুষ তার জিভকে পার্শ্বীয়ভাবে গোটাতে বা রোল করতে পারে। পক্ষান্তরে বাকি ব্যক্তিরা জিভ গোটাতে অক্ষম হয়। জিভ গোটানোটি (রোলার জিভ) একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য, যা দুটি প্রকট জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অপরপক্ষে জিভ গোটাতে অক্ষম হওয়া (স্বাভাবিক জিভ) হল প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য, যা নিয়ন্ত্রণ করে একজোড়া মিউটেশনযুক্ত প্রচ্ছন্ন জিন। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও বৈচিত্র্যের কারণ হল প্রকরণ।
12. হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড সেট কাকে বলে?
উত্তর: হ্যাপ্লয়েড সেট: জননকোশের জেনেটিক বস্তুতে ওই জীবের সমস্ত অ্যালিল একক মাত্রায় থাকলে তাকে হ্যাপ্লয়েড সেট বলে। হ্যাপ্লয়েড সেটে অটোজোমাল অ্যালিল এবং X বা Y ক্রোমোজোমের অ্যালিল একক মাত্রায় থাকে।
ডিপ্লেয়েড সেট: দেহকোশের জেনেটিক বস্তুতে দুটি হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের দ্বিগুণ মাত্রায় সমস্ত অ্যালিল থাকে। একে ডিপ্লয়েড সেট বলে। ডিপ্লয়েড সেটে অটোজোমাল অ্যালিল দ্বিগুণ মাত্রায় থাকে, সঙ্গে দ্বিগুণ মাত্রায় X ক্রোমোজোমীয় অ্যালিল অথবা X ও Y ক্রোমোজোমীয় অ্যালিল উভয়েই একক মাত্রায় থাকে।
13. জিনোম কাকে বলে?
উত্তর: ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোমসম্পন্ন (2n) জীবের প্রতিটি হ্যাপ্লয়েড (n) ক্রোমোজোম সেটে বিন্যস্ত জিনগুলিকে একত্রে জিনোম বলে। অর্থাৎ, জননকোশের বা গ্যামেটের হ্যাপ্লয়েড ক্রোমোজোমের সমস্ত জিনকে একত্রে জিনোম বলে। এগুলি গ্যামেটের মাধ্যমে জনিতৃ জীব থেকে অপত্যের দেহে সঞ্চারিত হয়।
14. বংশপঞ্জিকা থেকে কীভাবে X ক্রোমোজোম বাহিত বংশগত রোগটি শনাক্ত করা যায়?
উত্তর: ① প্রথমত রোগটির ক্রিস-ক্রস বংশানুসরণ দেখা যাবে। অর্থাৎ মায়ের থেকে ছেলেতে এবং ছেলের থেকে নাতনিতে সঞ্চারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ② মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে রোগটির প্রকাশ বেশি হয়। কারণ তাদের একটি মাত্র X ক্রোমোজোম থাকে। ও পিতা স্বাভাবিক হবে পুত্র স্বাভাবিক হবে। কিন্তু কন্যা সন্তান বাহিকা বা আক্রান্ত হবে।
15. একজন বর্ণান্ধ কন্যার পিতার ফিনোটাইপ কী হবে?
অনুরূপ প্রশ্ন, একজন হিমোফিলিক কন্যার পিতার ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: বর্ণান্ধ কন্যার দুটি X ক্রোমোজোমেই বর্ণান্ধতার অ্যালিল থাকবে। যেহেতু সে একটি X ক্রোমোজোম বাবার থেকে পায় তাই বাবার জিনোটাইপ হবে X ^ c * Y বা, অর্থাৎ বাবা বর্ণান্ধ ফিনোটাইপবিশিষ্ট হবে।
16. 'মা বর্ণান্ধ হলে পুত্র বর্ণান্ধ হয়'-কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: মা বর্ণান্ধ হলে, তার জিনোটাইপ হয় X ^ C * X ^ C এবং এক্ষেত্রে ধরে নেওয়াই যায়, পিতা স্বাভাবিক। যেহেতু পুত্রেরা Y ক্রোমোজোম পিতার থেকে ও X ক্রোমোজোম মাতার থেকে পেয়ে থাকে তাই এক্ষেত্রে তারা সর্বদা বর্ণান্ধতার জিনবহনকারী X ক্রোমোজোমটি পায় ফলে সব পুত্র বর্ণান্ধ (X ^ c * Y) হয়। তাই বলা হয়, মা বর্ণান্ধ হলে পুত্র বর্ণান্ধ হয়। এক্ষেত্রে যদিও কন্যারা সর্বদাই বাহক (X^ c+ X ^ c ) হয় কারণ তারা একটি X ক্রোমোজোম মাতার থেকে ও অপরটি পিতার থেকে পাওয়ায়, মাতা বর্ণান্ধ হলেও যদি পিতা স্বাভাবিক হয়, তবে কন্যারা বর্ণান্ধ না হয়ে বাহক হয়। শুধু পুত্ররাই বর্ণান্ধ হয়।
17. পরিব্যক্তি বা মিউটেশন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর: পরিব্যক্তি বা মিউটেশন: ক্রোমোজোম বা জিনের সংখ্যা ও গঠনের পরিবর্তনের ফলে জীবের চরিত্রের পরিবর্তনকে পরিব্যক্তি বা মিউটেশন বলে।
[ উদাহরণ: থ্যালাসেমিয়া, বর্ণান্ধতা, হিমোফিলিয়া প্রভৃতি রোগ পরিব্যক্তির ফলে সৃষ্টি হয়।
18. থ্যালাসেমিয়া মেজর বলতে কী বোঝ?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের এবং ẞ শৃঙ্খল দুটির প্রত্যেকটিই মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মেজর বলে।
19. থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলতে কী বোঝ?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের a বা শৃঙ্খল দুটির মধ্যে যে-কোনো একটি শৃঙ্খল মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে।
20. থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহে কোন্ তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগে মানব দেহের যে তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলি হল-① যকৃৎ② হৃৎপিণ্ড এবং প্লিহা। যকৃৎ ও প্লিহা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং জন্ডিস দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে অধিক পরিমাণ লোহা সঞ্চিত হওয়ার কারণে হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক সংকোচন- প্রসারণ ক্ষমতা ব্যাহত হয়।
21. কোনো জীবের বৈশিষ্ট্য বা প্রলক্ষণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীবের বাহ্যিক বিশেষত্ব বা গুণকে বলে বৈশিষ্ট্য বা প্রলক্ষণ। প্রতিটি বৈশিষ্ট্য একটি অ্যালিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন-মটর গাছের লম্বা হওয়াটি একটি বৈশিষ্ট্য। একইভাবে মটরের বীজপত্রের সবুজ বর্ণ, ফুলের বেগুনি বর্ণ প্রভৃতি হল পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য।
22. কোনো জীবের চরিত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীবের চরিত্র বলতে বোঝায় জিন নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে। যেমন-মটর গাছের উচ্চতা হল একটি চরিত্র। এই চরিত্রের অন্তর্গত দুটি বৈশিষ্ট্য হল লম্বা ও বেঁটে। একইভাবে বীজপত্রের রং চরিত্রটির অন্তর্গত দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্য হল হলদে ও সবুজ।
23. অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ কী?
উত্তর: সমসংস্থ ক্রোমোজোমের একই লোকাসে অবস্থিত কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী একটি জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ বলা হয়। এককথায়, অ্যালিল হল একই জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। যেমন-লম্বা ও খর্বাকার; সাদা ও কালো ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য নির্ধারক জিন জোড়ার একটি জিন অপরটির অ্যালিল।
24. মনোহাইব্রিড ক্রস বা একসংকর জনন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রজাতির একটি চরিত্রের অন্তর্গত একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে, তাকে মনোহাইব্রিড ক্রস বা একসংকর জনন বলে। যেমন-মটর গাছের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে এই দুই বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ঘটা সংকরায়ণ হল একসংকর জননের উদাহরণ।
25. পৃথকীভবন সূত্রের সীমাবদ্ধতাগুলি চিহ্নিত করো।
উত্তর: পৃথকীভবন সূত্রের সীমাবদ্ধতাগুলি হল-① একটি বৈশিষ্ট্য যখন একাধিক জিন জোড়া নিয়ন্ত্রণ করে তখন পৃথকীভবন ঘটলেও একসংকর জননের সূত্রের অনুপাত অনুযায়ী তা নাও হতে পারে। ② অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে পৃথকীভবন ঘটলেও জিনের চরিত্র মেন্ডেলের চরিত্র থেকে আলাদা হওয়ায় একসংকর জননের অনুপাতে অপত্য পাওয়া যায় না।
26. চেকার বোর্ড বলতে কী বোঝ? এর অপর নাম কী?
উত্তর: চেকার বোর্ড: যে-কোনো ধরনের ক্রস লিখে প্রকাশ করার সবচেয়ে প্রচলিত, সুবিধাজনক, বিজ্ঞানসম্মত ও নিয়মনিষ্ঠ পদ্ধতিকে চেকার বোর্ড বলা হয়। অপর নাম: বিজ্ঞানী রেজিনাল্ড ক্রামডাল পানেট এই পদ্ধতিটি প্রবর্তন করেন বলে একে পানেট স্কোয়ার বা পানেট বর্গ-ও বলা হয়। এক্ষেত্রে, একটি বক্সের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের গ্যামেটের সকলপ্রকার সমন্বয় প্রকাশ করা যায়।
27. ব্যাক ক্রস (back cross) কী?
উত্তর: প্রথম অপত্য জনুর (F₁ জনু) সংকর জীবের সঙ্গে যে-কোনো জনিতৃ জীবের (P জনু) সংকরায়ণ ঘটানোর পরীক্ষাকে ব্যাক ক্রস বলে। যেমন-সংকর লম্বা মটর উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ লম্বা বা বিশুদ্ধ বেঁটে মটর উদ্ভিদের সংকরায়ণ (Ttx TT বা Ttxtt)|
28. টেস্ট ব্রুস (test cross) কী? এর প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর: টেস্ট ক্রস: প্রথম অপত্য জনুর (F, জনু) সংকর জীবের সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রচ্ছন্ন জিনোটাইপযুক্ত জনিতৃ জীবের (P জনু) সংকরায়ণ ঘটানোর পরীক্ষাকে টেস্ট ক্রস বলে। যেমন- মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষায় F₁ -এ প্রাপ্ত সংকর লম্বা মটর উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ বেঁটে মটর উদ্ভিদের সংকরায়ণ (Ttxtt) |
[+ প্রয়োজনীয়তা: কোনো বিশেষ অপত্য জীবের জিনোটাইপ নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে এই টেস্ট ব্রুস করা হয়ে থাকে।
29. 'টেস্ট ক্রস একপ্রকার ব্যাক ক্রস'-ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রথম অপত্য জনুর জীবের সঙ্গে যে-কোনো একটি জনিতৃ জীবের ক্রস করানো হলে, তাকে ব্যাক ক্রস বলে। যেমন-মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংকর লম্বা গাছের সাথে বিশুদ্ধ লম্বা অথবা বিশুদ্ধ বেঁটে গাছের সংকরায়ণ (TtxTT বা Ttxtt)। ব্যাক ক্রসে যখন প্রচ্ছন্ন জীব ব্যবহৃত হয় কেবল তখন সেই ক্রসকে বলে টেস্ট ক্রস। এক্ষেত্রে সংকর লম্বা গাছের সাথে বিশুদ্ধ বেঁটে গাছের সংকরায়ণ (Ttxtt) ঘটে। তাই বলা যায় যে, টেস্ট ব্রুস প্রকৃতপক্ষে হল একপ্রকার ব্যাক ক্রস।
30. ডাইহাইব্রিড ক্রস বা দ্বিসংকর জনন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো প্রজাতির দুই জোড়া বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে, তাকে ডাইহাইব্রিড ক্রস বা দ্বিসংকর জনন বলে। যেমন-হলদে বীজপত্র এবং গোলাকার বীজসম্পন্ন মটর গাছের সঙ্গে সবুজ বীজপত্র এবং কুঞ্চিত বীজসম্পন্ন মটর গাছের সংকরায়ণ হল দ্বিসংকর জননের উদাহরণ।
31. হোমোজাইগাস জীব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো জীবের দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমে একটি নির্দিষ্ট চরিত্রের জন্য দায়ী অ্যালিল দুটি একইরকম হলে, ওই নির্দিষ্ট চরিত্রের
32. ফিনোটাইপ কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: ফিনোটাইপ: কোনো জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বাহ্যিক প্রকাশকে ফিনোটাইপ বলে।
উদাহরণ: মটর গাছের দৈর্ঘ্য চরিত্রটির বাহ্যিক প্রকাশ বা ফিনোটাইপ হল লম্বা ও বেঁটে।
স্বাধীন বিন্যাসের সূত্রের সীমাবদ্ধতাগুলি হল-① একই ক্রোমোজোমের জিনগুলির অনেকসময় একই সঙ্গে গ্যামেট তথা অপত্যে বাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। একে লিংকেজ বলে। এক্ষেত্রে দুটি জিনের অ্যালিল জোড়া মেন্ডেলীয় অনুপাতে অর্থাৎ, স্বাধীনভাবে সঞ্চারিত হতে পারে না। গ্যামেট গঠনের সময় সমসংস্থ ক্রোমোজোমগুলি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে একই গ্যামেটে চলে যেতে পারে। একে নন-ডিসজাংশন বলে। এক্ষেত্রে স্বাধীন সঞ্চারণ দ্বারা ঘটনাটির ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।
33. সংকরায়ণ কাকে বলে?
অথবা, সংকরায়ণ কী?
উত্তর: কোনো চরিত্রের সাপেক্ষে বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে যৌন জননকে সংকরায়ণ বলে। যেমন-বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের মিলনে সংকর লম্বা মটর গাছ সৃষ্টি করার পদ্ধতি।
34. বিশুদ্ধ জীব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীব যদি বংশানুক্রমে কোনো বৈশিষ্ট্য হুবহু একইরকমভাবে বজায় রাখে, তখন সেই বৈশিষ্ট্যের জন্য জীবটিকে বিশুদ্ধ বা খাঁটি জীব বলা হয়। যেমন-একসংকর জনন পরীক্ষায় জনিতৃ জনুর লম্বা (TT) ও বেঁটে (tt) মটর গাছ বিশুদ্ধ উদ্ভিদ।
35. সংকর জীব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের যৌন জনন বা পরনিষেকের ফলে উৎপন্ন জীবটিকে সংকর জীব বলা হয়। যেমন-বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলযুক্ত (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলযুক্ত (vv) মটর গাছের সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট বেগুনি ফুলযুক্ত মটর গাছ হল সংকর উদ্ভিদ।
36. জনিতৃ জনু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় শুরুতে যে দুটি জীব নিয়ে প্রজনন করানো হয়, তাদের জনিতৃ জনু বা P জনু (P=parental) বলা হয়। যেমন-একটি একসংকর জনন পরীক্ষায় জনিতৃ জনু হল বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলবিশিষ্ট মটর গাছ (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলবিশিষ্ট মটর গাছ (vv)।
37. প্রথম অপত্য জনু বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সংকরায়ণ পরীক্ষায় জনিতৃ জনু থেকে উৎপন্ন নতুন জীবগুলিকে প্রথম অপত্য জনু বা F₁ জনু (F₁ =first filial) বলা হয়। যেমন-বিশুদ্ধ বেগুনি ফুলবিশিষ্ট (VV) ও বিশুদ্ধ সাদা ফুলবিশিষ্ট (vv) জনিতৃ জনু থেকে উৎপন্ন সংকর বেগুনি ফুলবিশিষ্ট (Vv) সমস্ত মটর গাছই হল প্রথম অপত্য জনু।
38. হেটেরোজাইগাস জীব কাকে বলে?
উত্তর: কোনো জীবের দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট চরিত্রের অ্যালিল দুটি ভিন্ন প্রকৃতির হলে, ওই নির্দিষ্ট চরিত্রের সাপেক্ষে সেই জীবকে হেটেরোজাইগাস জীব বা বিষমসংকর জীব বলে। যেমন-সংকর লম্বা (Tt) মটর উদ্ভিদ হেটেরোজাইগাস প্রকৃতির। কারণ, এক্ষেত্রে একই লোকাসে দুটি ভিন্ন অ্যালিল থাকে।
39. সংকরায়ণ কাকে বলে?
অথবা, সংকরায়ণ কী?
উত্তর: কোনো চরিত্রের সাপেক্ষে বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে যৌন জননকে সংকরায়ণ বলে। যেমন-বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের মিলনে সংকর লম্বা মটর গাছ সৃষ্টি করার পদ্ধতি।
40. বিশুদ্ধ জীব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো জীব যদি বংশানুক্রমে কোনো বৈশিষ্ট্য হুবহু একইরকমভাবে বজায় রাখে, তখন সেই বৈশিষ্ট্যের জন্য জীবটিকে বিশুদ্ধ বা খাঁটি জীব বলা হয়। যেমন-একসংকর জনন পরীক্ষায় জনিতৃ জনুর লম্বা (TT) ও বেঁটে (tt) মটর গাছ বিশুদ্ধ উদ্ভিদ।
41. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে 'Y' ক্রোমোজোমের ভূমিকা কী?
উত্তর:কোনো ভ্রুণে সেক্স ক্রোমোজোম-রূপে Y ক্রোমোজোম থাকলে (44A + XY) সেটি পুরুষরূপে বিকশিত হয়। Y ক্রোমোজোম না থাকলে, অর্থাৎ দুটি X ক্রোমোজোম থাকলে ভ্রূণটি (44A+XX) কন্যারূপে বিকশিত হয়। অর্থাৎ, শুক্রাণুতে সেক্স ক্রোমোজোম-রূপে Y ক্রোমোজোম থাকলে তার দ্বারা নিষিক্ত ডিম্বাণু পুরুষরূপে বিকশিত হয়। সুতরাং, মানুষের ক্ষেত্রে Y ক্রোমোজোম (তথা শুক্রাণু/পুরুষ) লিঙ্গ নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা নেয়।
42. TDF জিন কী?
উত্তর: পুরুষের দেহে Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত টেস্টিস ডিটারমাইনিং ফ্যাক্টর (TDF) নামক জিন ভ্রুণকে পুত্রসন্তান রূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, পুরুষ লিঙ্গ নির্ধারণে এই জিন গুরুত্বপূর্ণ। এর অপর নাম SRY (সেক্স ডিটারমাইনিং রিজিয়ন Y) জিন।
43. মহিলাদের কেন হোমোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয়?
অথবা, স্ত্রী দেহকে হোমোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয় কেন?
উত্তর:মহিলাদের জিনোটাইপ XX বলে কেবলমাত্র একপ্রকার গ্যামেট বা ডিম্বাণু (X ক্রোমোজোম বহনকারী) উৎপন্ন হতে পারে। এই কারণে মহিলাদের হোমোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয়।
44. পুরুষদের কেন হেটেরোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয়?
উত্তর:পুরুষের জিনোটাইপ XY বলে তাদের দেহে দুই প্রকার গ্যামেট বা শুক্রাণু তৈরি হয়। যেমন-X ও Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু। এই কারণে পুরুষদের হেটেরোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয়।
45. লিঙ্গ সংযোজিত জিন কাকে বলে?
উত্তর: জীবের যৌন ক্রোমোজোমে অবস্থিত দেহজ বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিন যা গ্যামেটের মাধ্যমে এক জনু থেকে পরবর্তী জনুতে সঞ্চারিত হয়, তাদের লিঙ্গ সংযোজিত জিন বলে। এগুলি দুই প্রকারের হয়। X ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলিকে বলে X-সংযোজিত জিন এবং Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনসমূহকে বলে Y-সংযোজিত বা হোলানড্রিক জিন।
46. XX ও XY পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণের পদ্ধতিকে XX ও XY পদ্ধতি বলে। কোনো ভ্রূণে দুটি X ক্রোমোজোম থাকলে (XX) সেটি কন্যারূপে এবং একটি X ও একটি Y ক্রোমোজোম থাকলে (XY) সেটি পুত্ররূপে বিকশিত হয়। এক্ষেত্রে দেহের অটোজোমগুলির কোনো ভূমিকা থাকে না।
Short Answer Question
1. একজন বর্ণান্ধ মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে তাদের পুত্রসন্তানের ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: একজন বর্ণান্ধ মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে তাদের পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ হবে।
2. বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী জিনটি 'X' ক্রোমোজোমে অবস্থান করে।
3. বিবাহের পূর্বে জিনগত পরামর্শকে কী বলে?
উত্তর: জেনেটিক কাউন্সেলিং।
4. যে পদ্ধতিতে জনিতৃর বৈশিষ্ট্য অপত্যে সঞ্চারিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: বংশগতি।
5. জেনেটিক্স কাকে বলে?
উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিন ও বংশগতি-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যা বা সুপ্রজননবিদ্যা বলে।
6. মেন্ডেল কী কারণে বিখ্যাত?
উত্তর: মেন্ডেল হলেন জেনেটিক্স-এর জনক। তিনি 'পৃথকীভবন সূত্র' এবং 'স্বাধীন বিন্যাস সূত্র' আবিষ্কার করেন।
7. মেন্ডেলকে সুপ্রজননবিদ্যার জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: গ্রেগর জোহান মেন্ডেলই সর্বপ্রথম জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বংশগত অনুসরণের প্রাথমিক সূত্র প্রণয়ন করেন। এই কারণে তাঁকে সুপ্রজননবিদ্যার জনক বলা হয়।
8. মেন্ডেলবাদ বা মেন্ডেলিজম কী?
উত্তর: মেন্ডেল আবিষ্কৃত বংশগতি-সংক্রান্ত মৌলিক সূত্র সমন্বিত তত্ত্বকে মেন্ডেলবাদ বা মেন্ডেলিজম বলে।
9. জিন কী?
উত্তর: জিন হল DNA-এর বিশেষ অংশ যা বংশগতির ধারক ও বাহক।
10. জিন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: জিন ক্রোমোজোমে অবস্থিত।
11. 'জিন' কথাটি সর্বপ্রথম কে, কত সালে ব্যবহার করেন?
উত্তর: 'জিন' কথাটি সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী জোহানসেন, 1909 সালে ব্যবহার করেন।
12. জীবদেহের প্রধান জেনেটিক পদার্থ কী?
উত্তর: DNA বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড।
13. মানুষের দুটি প্রকরণের উদাহরণ দাও।
অথবা, মানুষের মধ্যে বংশানুক্রমে সঞ্চারিত একটি প্রকরণের উদাহরণ দাও।
অথবা, সুস্থ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, এমন একটি সঞ্চারিত প্রকরণের উদাহরণ দাও।
বংশানুক্রমিকভাবে
উত্তর: মুক্ত ও যুক্ত কানের লতি, রোলার ও স্বাভাবিক বা নন্-রোলার জিভ।
14. গিনিপিগের একটি চরিত্র ও তাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: গিনিপিগের একটি চরিত্র হল লোমের বর্ণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য হল কালো ও সাদা।
15. কোনো হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের একটি লোকাসে অবস্থিত জিনের রূপভেদগুলিকে কী বলে?
উত্তর: অ্যালিল।
16. লোকাস কাকে বলে?
উত্তর: ক্রোমোজোমের যে নির্দিষ্ট স্থানে জিন অবস্থিত, তাকে লোকাস বলে।
17. দুটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সংকরায়ণ পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
উত্তর: একসংকর জনন।
18. বংশগতিতে 'Tt' থেকে তুমি কী বোঝ?
উত্তর: বংশগতিতে 'TT' দ্বারা একটি সংকর জীবের জিনোটাইপকে বোঝায়, যেখানে 'T' একটি প্রকট অ্যালিল এবং 't' একটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিলকে নির্দেশ করে।
19. সংকরায়ণের সময়ে নির্বাচিত বিশুদ্ধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব দুটিকে কী বলে?
উত্তর: জনিতৃ জনু।
20. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় প্রথম অপত্য জনু (F₁ জনু)- তে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রকট বৈশিষ্ট্য।
21. মটর গাছের ফুলের রঙের প্রকট বৈশিষ্ট্য কোন্টি?
উত্তর: বেগুনি রং।
22. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় F₁ জনুতে যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয় না, তাকে কী বলে?
উত্তর: প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য।
23. সংকরায়ণ পরীক্ষায় অপত্য জনুর বাহ্যিক লক্ষণের অনুপাতকে কী বলে?
উত্তর: ফিনোটাইপিক অনুপাত।
24. সংকরায়ণ পরীক্ষায় অপত্য জনুর জিনগত লক্ষণের অনুপাতকে কী বলে?
উত্তর: জিনোটাইপিক অনুপাত।
25. একটি জীব একটি চরিত্রের জন্য বিশুদ্ধ হলেও আর একটি চরিত্রের জন্য অন্য কী হতে পারে?
উত্তর: একটি জীব একটি চরিত্রের জন্য বিশুদ্ধ হলে, অর্থাৎ বিশুদ্ধ লম্বা (TT) বা বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) হলে অন্য চরিত্রের জন্য সংকর (Tt) হতে পারে। বংশগতিতে Tr দ্বারা সংকর জীবের জিনোটাইপকে বোঝায়, যেখানে 'T' একটি প্রকট অ্যালিল ও'।' হল একটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিল।
26. লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তর: যে প্রক্রিয়ার দ্বারা ভ্রূণের যৌনতা নির্ধারিত হয়, তাকে লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতি বলে।
27. মানুষের দেহকোশে কী কী প্রকারের যৌন ক্রোমোজোম দেখা যায়?
উত্তর: মানুষের দেহকোশে X ও Y নামক দু-প্রকার যৌন ক্রোমোজোম দেখা যায়।
28. একটি শুক্রাণু 22A + Y হলে, নিষেকের পরে ভ্রূণের লিঙ্গ কী হবে?
উত্তর: একটি শুক্রাণু 22A + Y হলে, নিষেকের পরে ভ্রূণ পুরুষ লিঙ্গের হবে।
29. কন্যাসন্তান সৃষ্টির জন্য পিতার শুক্রাণুতে কোন্ প্রকৃতির সেক্স ক্রোমোজোম থাকা উচিত?
উত্তর: X ক্রোমোজোম।
30. Y ক্রোমোজোম বাহিত একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: Y ক্রোমোজোম বাহিত একটি বৈশিষ্ট্য হল পুরুষের কানের লতিতে চুল বা অরিকুলার হাইপারট্রাইকোসিস Y ক্রোমোজোমের মাধ্যমে এই বৈশিষ্ট্য পিতা থেকে একমাত্র পুত্রেই সঞ্চারিত হতে পারে।
31. হোলানড্রিক জিন কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল জিন কেবল Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত, তাদের হোলানড্রিক
32. মটর গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখো।
উত্তর: Pisum sativum (পাইসাম স্যাটিভাম)।
33. গিনিপিগের বংশগতিতে একটি প্রকট বৈশিষ্ট্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: লোমের কালো রং-এর বৈশিষ্ট্য।
34. একসংকর জননে F₂ জনুতে জিনোটাইপের অনুপাত কত?
অথবা, মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্বিতীয় অপত্য জনুর জিনোটাইপিক অনুপাতটি লেখো।
উত্তর: একসংকর জননে F₂ জনুতে অর্থাৎ, দ্বিতীয় অপত্য জনুতে জিনোটাইপের অনুপাত হল বিশুদ্ধ প্রকট: সংকর প্রকট: বিশুদ্ধ প্রচ্ছন্ন = 1:2:11
35. বংশগতিতে 1:2:1-কে কী অনুপাত বলে?
উত্তর: একসংকর জননের F₂ জনুর জিনোটাইপিক অনুপাত।
36. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় ফিনোটাইপ অনুপাত কী ছিল?
উত্তর: মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষায় ফিনোটাইপ অনুপাত হল- 3 (লম্বা): 1 (বেঁটে)।
37. বংশগতিতে 3:1-কে কী অনুপাত বলে?
উত্তর: একসংকর জননের F₂ জনুর ফিনোটাইপিক অনুপাত।
38. মেন্ডেলের একসংকর জননের পরীক্ষা থেকে পাওয়া সূত্রটি কী?
উত্তর: পৃথকীভবন সূত্র।
39. মটর গাছের ক্ষেত্রে পৃথকীভবন সূত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তোমাকে বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করতে বলা হল। এরকম বিপরীত গুণসহ দুটি বৈশিষ্ট্যের নাম লেখো।
উত্তর: পৃথকীভবন সূত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিপরীত গুণসহ দুটি বৈশিষ্ট্যের নাম হল-① কাণ্ডের দৈর্ঘ্য-লম্বা ও বেঁটে এবং ② বীজের আকার-গোল ও কুণ্ঠিত।
40. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননের পরীক্ষায় F₂ জনুতে প্রাপ্ত ফিনোটাইপিক অনুপাতটি লেখো।
উত্তর: মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননের পরীক্ষায় F₂ জনুতে প্রাপ্ত ফিনোটাইপিক অনুপাত হল 9:3:3:11
41. চেকার বোর্ড আবিষ্কার করেন কোন্ বিজ্ঞানী?
উত্তর: ব্রিটিশ বংশগতিবিদ রেজিনাল্ড ক্রামডাল পানেট।
42. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননের পরীক্ষা থেকে পাওয়া সূত্রটি কী? অথবা, মেন্ডেল তার দ্বিসংকর জনন পরীক্ষা থেকে কোন্ সূত্রে উপনীত হয়েছিলেন?
উত্তর: স্বাধীন বিন্যাস সূত্র বা মুক্ত সঞ্চালন সূত্র।
44. ttRr-এর ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: অ্যালিলটি (প্রচ্ছন্ন) মটর গাছের বেঁটে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ করে। R (প্রকট) এবং (প্রচ্ছন্ন) অ্যালিল দুটি মটর বীজের যথাক্রমে গোল ও কুঞ্চিত বৈশিষ্ট্যগুলি প্রকাশ করে। সুতরাং, ttRr জিনোটাইপ-বিশিষ্ট মটর উদ্ভিদের ফিনোটাইপ হবে বেঁটে এবং গোল বীজ।
45. BbRr-এর ফিনোটাইপ কী হবে?
উত্তর: BbRr-এর ফিনোটাইপ হবে কালো-কর্কশ লোম।
46. গিনিপিগের ক্ষেত্রে bbRR এবং bbRr জিনোটাইপ দুটির ফিনোটাইপ কি একই?
উত্তর: হ্যাঁ, একই। কারণ, RRবা Rr উভয়ক্ষেত্রেই ফিনোটাইপ R অ্যালিলটি অনুযায়ী হবে।
47. কোনো একসংকর জনন পরীক্ষায় ফিনোটাইপিক অনুপাত 3:1-এর স্থানে 1:2:1 পাওয়া গেলে তা কোন্ ঘটনাকে নির্দেশ করে?
উত্তর: একসংকর জনন পরীক্ষায় ফিনোটাইপিক অনুপাত 3:1-এর স্থানে 1: 2:1 পাওয়া গেলে তা অসম্পূর্ণ প্রকটতাকে নির্দেশ করে।
48. একই ক্রোমোজোমে অবস্থিত অসংখ্য জিনের একসঙ্গে উত্তরাধিকার প্রাপ্তিকে কী বলে?
উত্তর: লিংকেজ।
49. বংশগতির কোন্ প্রকার ঘটনায় F_{2} জনুর জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ | অনুপাত সমান হয়?
উত্তর: অসম্পূর্ণ প্রকটতার ক্ষেত্রে F_{2} জনুতে জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপের অনুপাত সমান হয়।
40. এক সংকর টেস্ট ক্রস অনুপাত ও দ্বিসংকর টেস্ট ক্রস অনুপাত উল্লেখ করো
উত্তর: এক সংকর টেস্ট ব্রুস অনুপাত 1:1 এবং দ্বিসংকর টেস্ট ক্রস অনুপাত 1:1:1:1 ।
41. কে, কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন?
উত্তর: হুইপল এবং ব্রাডফোর্ড (Whipple and Bradford) 1932 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন।
42. a. থ্যালাসেমিয়া কী?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনের α শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির জন্য যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে a α থ্যালাসেমিয়া বলা হয়।
43. থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে a বা ẞ শৃঙ্খল কোন্ কারণের জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে a বা ẞ শৃঙ্খল পরিব্যক্তির জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না, ফলে RBC-র সংখ্যা হ্রাস পায়।
44. মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনে a থ্যালাসেমিয়া হয়?
উত্তর: মানুষের 16 নং ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনের ফলে a থ্যালাসেমিয়া হয়।
7. ẞ থ্যালাসেমিয়া কী?
উত্তর: হিমোগ্লোবিনের ৪ শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির ফলে যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে ẞ থ্যালাসেমিয়া বলে।
8. X ক্রোমোজোম, Y ক্রোমোজোম, অ্যালোজোম, জননগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ
উত্তর: অ্যালোজোম। [সূত্র-অ্যালোজোম বা সেক্স ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ ও কাজ উল্লেখ করা হয়েছে।]
9. ডিম্বাণু, 22A + X, মহিলা, হোমোগ্যামেটিক সেক্স
উত্তর: মহিলা। [সূত্র-মহিলার দেহে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়, মহিলাদের জননকোশের ক্রোমোজোমীয় প্রকৃতি 22A + X, মহিলাদের হোমোগ্যামেটিক সেক্স বলা হয়।]
10. পুরুষ, শুক্রাণু, 22A + Y, হেটেরোেগ্যামেটিক সেক্স
উত্তর: পুরুষ। [সূত্র-পুরুষের নানা বৈশিষ্ট্য, যেমন-শুক্রাণু সৃষ্টি, শুক্রাণুর জিনোটাইপ, পুরুষের জননগত নাম উল্লেখ করা হয়েছে।]
11. বংশগতিবিদ্যা, একসংকর জনন, দ্বিসংকর জনন, সমসংকর জীব
উত্তর: বংশগতিবিদ্যা। [সূত্র-একসংকর জনন, দ্বিসংকর জনন, সমসংকর জীব সবই বংশগতিবিদ্যায় আলোচিত হয়।]
Fil in the Blanks
1. মেন্ডেলের P জনুর ক্রস: ইতর পরাগরোগ :: মেন্ডেলের F₁ জনুর ক্রস :-------------------- ।
উত্তর: স্বপরাগযোগ।
2. মেন্ডেলের প্রথম সূত্র: পৃথকীভবন সূত্র :: মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র:-------------------------- ।
উত্তর: স্বাধীন বিন্যাস সূত্র।
3. সবুজ শুঁটি × হলদে শুঁটি: একসংকর জনন :: বেগুনি ফুলযুক্ত লম্বা মটর উদ্ভিদ × সাদা ফুলযুক্ত বেঁটে মটর উদ্ভিদ :-------------------------------- ।
উত্তর: দ্বিসংসকর জনন।
4. একসংকর ফিনোটাইপিক অনুপাত: 3:1 :: দ্বিসংকর ফিনোটাইপিক অনুপাত :-------------------------- ।
উত্তর: 9:3:3:11
5. একসংকর জনন: পৃথকীভবন সূত্র :: দ্বিসংকর জনন :------------------------------- ।
উত্তর: স্বাধীন বিন্যাস সূত্র।
6. মেন্ডেলীয় বংশানুসরণ: মটর :: মেন্ডেল সূত্রের বিচ্যুতি:--------------------------- ।
উত্তর: সন্ধ্যামালতী।
7. জিনের রূপভেদ: অ্যালিল:: জিনের অবস্থান:-------------
উত্তর: লোকাস।
8. সেক্স ক্রোমোজোমের অপর নাম হল —-------
উত্তর: অ্যালোজোম
9. Y ক্রোমোজোমকে বলে। —----------
উত্তর: অ্যান্ড্রোজোম
10. পুরুষদেহে বর্তমান অ্যালোজোম স্ত্রীদেহে অনুপস্থিত —----- ।
উত্তর: Y
11. স্ত্রীলোকের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোমটি হল —-------
উত্তর: X
12. গৌণ লিঙ্গ নির্ধারণে হরমোন সাহায্য করে, আর প্রাথমিক লিঙ্গ নির্ধারণ করে —---------
উত্তর: সেক্স ক্রোমোজোম
13. SRY অবস্থান করে মানুষের ক্রোমোজোমে —------ ।
উত্তর: Y
14. বংশগতির গঠনগত ও কার্যগত একক হল
উত্তর: জিন
15. ক্রোমোজোম বা জিনের সংখ্যা অথবা গঠনের স্থায়ী পরিবর্তনকে বলে —-- ।
উত্তর: পরিব্যক্তি/ মিউটেশন
16. পরিব্যক্তি বা মিউটেশনের ফলে সৃষ্টি হয় —--- ।
উত্তর: প্রকরণ
17. একজোড়া জিন মুক্ত কানের লতি সৃষ্টি করে —-----।
উত্তর: প্রকট
উত্তর: অটোজোমীয় প্রকট
সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো
3. হিমোফিলিয়া মানুষের অটোজোম বাহিত রোগ।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-এটি X ক্রোমোজোম বাহিত রোগ।]
4. হিমোফিলিয়া রোগের ক্ষেত্রে পুরুষরা সর্বদা বাহক হয়।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-পুরুষদের একটিমাত্র X ক্রোমোজোম থাকে, তাই ওই ক্রোমোজোমে হিমোফিলিয়ার অ্যালিলটি থাকলে তা প্রকাশিত হয়ে যায়, সেজন্য বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।]
5. তীব্র হিমোফিলিয়া-র ক্ষেত্রে রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর স্বাভাবিকের 1%-এর বেশি থাকে।
উত্তর: মিথ্যা [সূত্র-রক্ত তঞ্চনকারী ফ্যাক্টর 50% -এর নীচে নেমে যায়।]
6. ফ্যাক্টর VIII-এর উৎপাদন ব্যাহত হলে হিমোফিলিয়া A রোগ হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এই ফ্যাক্টরের অপর নাম AHF বা অ্যান্টিহিমোফিলিক ফ্যাক্টর।]
7. হিমোফিলিয়া রোগের জিনটি প্রচ্ছন্ন ও X-ক্রোমোজোমস্থিত হয়।
উত্তর: সত্য [সূত্র-পুরুষদের রোগটি বেশি প্রকাশিত হয়।]
8. IX নম্বর ফ্যাক্টরটি ক্রিস্টমাস রোগের জন্য দায়ী।
উত্তর: সত্য [সূত্র-এর ফলে হিমোফিলিয়া B রোগ হয়।
শূন্যস্থান পূরণ করো
1. হিমোফিলিয়ার জন্য দায়ী জিনটি প্রচ্ছন্ন হওয়ায় একমাত্র —-----------------অবস্থায় এই রোগের লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়।
উত্তর: হোমোজাইগাস
2. বর্ণান্ধতা বা হিমোফিলিয়া বেশি দেখা যায়—---------------------।
উত্তর: পুরুষে
3. বর্ণান্ধতা একপ্রকার —-----------------বংশগত রোগ।
উত্তর: X-লিংকড
4. প্রোটানোপিয়ায় —--------------------বর্ণ চিনতে পারা যায় না।
উত্তর: লাল
5. সবুজ বর্ণান্ধতাকে —-------------বলে।
6. পিতামাতার যে বৈশিষ্ট্যটি অপত্যে প্রকাশিত হয়, তাকে বৈশিষ্ট্য বলে—------।
উত্তর: প্রকট
7. পিতামাতার যে বৈশিষ্ট্যটি অপত্যে অপ্রকাশিত থাকে, তাকে বৈশিষ্ট্য বলে—-----।
উত্তর: প্রাচ্ছন্ন
8. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন উভয় অ্যালিলযুক্ত জীবকে জীব বলে—----।
উত্তর: সংকর
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi