অধ্যায়

পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ
----------------------------------------------------
 [MCQs]
 
1. ভারতবর্ষে সিংহ সংরক্ষিত হয়- 
 
(A) গির অরণ্যে  
(B) জিম করবেট জাতীয় অরণ্যে
(C) পশ্চিমঘাটের অরণ্যে 
(D) উদ্যানে জলদাপাড়া জাতীয়
 
2. IUCN ঘোষিত অতি সংকটাপন্ন বিপন্ন প্রজাতি হল- 
 
(A) বাঘ 
(B) ঘড়িয়াল  
(C) গন্ডার 
(D) হরিণ
 
3. টিকরপাড়া কী জন্য বিখ্যাত?
 
(A) লিও প্রোজেক্ট 
(B) ক্রোকোডাইল প্রোজেক্ট  
(C) রেড পান্ডা প্রোজেক্ট
(D) টাইগার প্রোজেক্ট 
 
4. পশ্চিমবঙ্গের যে সংরক্ষিত অঞ্চলে রেড পান্ডা পাওয়া যায়- 
 
(A) ময়ূর ঝরণা হাতি রিজার্ভ 
(B) সজনেখালি অভয়ারণ্য 
(C) সিঙ্গালিলা জাতীয় পার্ক  
(D) কোনোটিই নয়
 
5. সিঙ্গালিলা জাতীয় পার্ক যে জেলায় অবস্থিত- 
 
(A) কোচবিহার 
(B) দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা 
(C) দার্জিলিং  
(D) মালদা
 
6. পশ্চিমবঙ্গের যে জেলায় বেথুয়াডহরি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি অবস্থিত তা হল-
 
(A) উত্তর চব্বিশ পরগনা 
(B) নদিয়া  
(C) বীরভূম
(D) জলপাইগুড়ি
 
7. নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার সংরক্ষিত অঞ্চলটি অবস্থিত-
 
(A) কর্ণাটকের বনাঞ্চলে  
(B) সিকিমের বনাঞ্চলে
(C) ওড়িশার বনাঞ্চলে
(D) দার্জিলিং-এর বনাঞ্চলে
 
8. সংরক্ষণের একটি আধুনিক ব্যবস্থা হল-
 
(A) জাতীয় উদ্যান
(B) সংরক্ষিত অরণ্য 
(C) অভয়ারণ্য
(D) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ 
 
9. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে যে অংশগুলি দেখা যায়- 
 
(A) কোর অঞ্চল
(B) বাফার অঞ্চল
(C)  ট্রানসিট অঞ্চল
(D) সবগুলি সঠিক 
 
10. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের কেন্দ্রে যে অঞ্চলটি থাকেতাকে বলা হয়-
 
(A) রিজার্ভ অঞ্চল 
(B) কোর অঞ্চল  
(C) বাফার অঞ্চল 
(D) ট্রানজিশন অঞ্চল
 
21. সিমলিপালসুন্দরবনমানস হল- 
 
(A) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ 
(B) অভয়ারণ্য 
(C) জাতীয় উদ্যান
(D) কোল্ড স্পট
 
22. মূল প্রাকৃতিক বাসস্থানে অর্থাৎ নিজস্ব পরিবেশে কোনো প্রজাতিকে সংরক্ষণ করলেতাকে বলা হয়-
 
(A) ক্রায়োপ্রিজারভেশন 
(B) এক্স-সিটু কনজারভেশন
(C) ইন-সিটু কনজারভেশন 
(D) বায়োকনজারভেশন
 
23. আমাদের দেশের জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে-
 
(A) কেন্দ্রীয় সরকার 
(B) রাজ্য সরকার
(C) স্থানীয় সংস্থা
(D) রাষ্ট্রপুঞ্জ
 
24. পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান ভারতের যে রাজ্যে অবস্থিতসেটি হল- 
 
(A) উত্তরপ্রদেশ
(B) কেরল 
(C) পশ্চিমবঙ্গ
(D) অসম
 
25. গোরুমারা জাতীয় উদ্যান যে রাজ্যে অবস্থিততার নাম-
 
(A) মধ্যপ্রদেশ 
(B) উত্তরপ্রদেশ 
(C) কেরল
(D) পশ্চিমবঙ্গ 
 
26. ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান হল-
 
(A) বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান
(B) করবেট জাতীয় উদ্যান  
(C) কানহা জাতীয় উদ্যান
(D) পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান
 
Very Short Answer Question 
                                        
1. WWF-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
 
 ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (পূর্বনাম ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড)
 
2. VFC-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
 
 ভিলেজ ফরেস্ট কমিটি
 
3. NBA-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
 
 ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি অথোরিটি
 
4. IRV 2020-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
 
 ইন্ডিয়ান রাইনোভিশন 2020
 
5. IUCN-এর প্রধান কাজ কী?
 
 IUCN-এর প্রধান কাজ হল জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করা
 
6. ঘড়িয়ালের বৈজ্ঞানিক নাম লেখো
 
 Gavialis gangeticus (গ্যাভিয়ালিস গ্যানজেটিকাস)
 
7. লবণাক্ত জলের কুমিরের বৈজ্ঞানিক নাম লেখো
 
 Crocodilus porosus (ক্রোকোডাইলাস পোরোসাস)
 
8. একটি কুমির প্রকল্পের উদাহরণ দাও
 
 ভগবতপুর কুমির প্রকল্পপশ্চিমবঙ্গ
 
9. ওড়িশার কোন্ অঞ্চলে কুমির প্রকল্প রয়েছে?
 
 ভিতরকণিকা অভয়ারণ্য
 
10. বাউলা প্রজেক্ট কী?
 
  উড়িয়া ভাষায় বাউলা হল কুমির। কুমির সংরক্ষণে ভিতরকণিকার ডাঙ্গমল অঞ্চলের কুমির প্রকল্পকে বাউলা প্রজেক্ট বলে
 
11. রেড পান্ডার বৈজ্ঞানিক নাম লেখো
 
 Ailurus fulgens (অ্যায়লিউরাস ফালজেন্স)
 
12. সুন্দরবন কোন্ প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত?
 
 রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার
 
13. ভারতের বাঘ সংরক্ষক অরণ্যের নাম লেখো
 
 সুন্দরবন
 
14. স্থানীয় মানুষ ও সরকারের কোন্ পরিচালন ব্যবস্থা জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে সাফল্য পেয়েছে?
 
 JFMI
 
15. PBR-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
 
 পিপলস্ বায়োডাইভারসিটি রেজিস্টার
 
16. কোন্ আইন বলে PBR তৈরি করা হয়?
 
 ভারতে বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি আইন, 2002-এ প্রতিটি স্থানীয় পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটিতে বায়োডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি (BMC), গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই আইন অনুযায়ী স্থানীয় লোকেদের সহায়তায় প্রতিটি অঞ্চলে পিপলস্ বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার বা PBR তৈরি করা হয়
 
17. কোন্ কমিটি PBR তৈরি করে?
 
 বায়োডাইভারসিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা BMC
 
18. BMC-কে PBR তৈরিতে সাহায্য করে কোন্ সংস্থা?
 
 স্টেট বায়োডাইভারসিটি বোর্ড (SBB) এবং ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি অথোরিটি (NBA), BMC-কে PBR তৈরির জন্য পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে
 
19. ভারতের তিনটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র কী কী?
 
 ভারতের তিনটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের নামগুলি হল-পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনউত্তরাখণ্ডের করবেট টাইগার রিজার্ভ ও মধ্যপ্রদেশের কানহা
 
20. ওড়িশার সাতকোশিয়া কোন্ বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত?
 
 ভারতীয় বাঘ
 
21. পশ্চিমঘাট ও শ্রীলঙ্কা হটস্পটে সংরক্ষিত একটি বিপন্ন প্রাণীর নাম লেখো
 
 ভারতীয় বাঘ
 
22. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে সংস্থাগুলি এগিয়ে এসেছে তাদের যে-কোনো দুটির নাম উল্লেখ করো
 
উত্তর:  জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে সংস্থাগুলি এগিয়ে এসেছেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি সংস্থা হল- WWF বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার এবং   IUCN বা ইনটারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার
 
23. 'গ্রিন ডাটা বুককী?
 
উত্তর: এটি একটি ছোটো পরিবেশসংক্রান্ত তথ্য-সমৃদ্ধ পকেটবুক যাতে 200টিরও বেশি দেশের কৃষিবনজসম্পদজীববৈচিত্র্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়। এটি প্রতিবছর বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশ করে থাকে
 
24. গঙ্গা নদীতে ঘড়িয়ালের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ লেখো
উত্তর: ঘড়িয়ালের সংখ্যা কমার কারণগুলি হল- ঘড়িয়ালের খাদ্য হল মাছগঙ্গা নদীতে দূষণের কারণে মাছের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ফলে প্রাণীটি খাদ্যের অভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে।  মাছধরার জালে ধরা পড়লে তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে  চাষে অতিরিক্ত জল ব্যবহারবাঁধ নির্মাণ প্রমুখ কারণে এদের বাসস্থান কমে আসছে
 
25. গির অরণ্যে সিংহ সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ প্রস্তাব করো
অথবাসিংহ সংরক্ষণের জন্য ভারতবর্ষের গির জাতীয় উদ্যানে যে যে ইন- সিটু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করো
 
উত্তর:   গির অরণ্যে বন্য উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা। এর ফলে সিংহের বাসস্থান ও খাদ্যের জোগান বজায় থাকে।  চোরাশিকার বন্ধ করা  কৃষিজমি রক্ষার্থে যে বৈদ্যুতিক বেড়া ব্যবহার করা হয়তা বন্ধ করা। উন্মুক্ত কুয়োতে পড়ে যাতে সিংহের আর মৃত্যু না হয়তার ব্যবস্থা করা।  প্রজনন কেন্দ্রে প্রজনন প্রকল্প পরিচালনা করা
 
26. রেড পান্ডা কোন্ কোন্ ভারতীয় জাতীয় পার্কে দেখা যায়?
 
উত্তর:  রেড পান্ডা দেখা যায়- সিঙ্গালিলা জাতীয় পার্কদার্জিলিং (পশ্চিমবঙ্গ)  নকরেক জাতীয় পার্কমেঘালয় ও নেওরাভ্যালি জাতীয় পার্কদার্জিলিং (পশ্চিমবঙ্গ)।  কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় পার্ক (সিকিম)  নামদাফা জাতীয় পার্ক (অরুণাচল প্রদেশ)
 
27.'ক্যাপটিভ ব্রিডিংকাকে বলে?
 
উত্তর:  নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলচিড়িয়াখানা বা অন্য কোনো সংরক্ষণ সুবিধা সমন্বিত স্থানে প্রাণী প্রজনন দ্বারা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদ্ধতিকে 'ক্যাপটিভ ব্রিডিংবলে। কুমিরগন্ডাররেড পান্ডা প্রভৃতি বিপন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে 'ক্যাপটিভ ব্রিডিং'-এর সাহায্য নেওয়া হয়
 
28. রেড ডাটা বুক কাকে বলে?
 
উত্তর:  IUCN নামক বিশ্বসংস্থা পৃথিবীর বিপদগ্রস্ত জীবগুলির সংরক্ষণের স্বার্থে ওই জীবগুলির একটি তালিকা বা লিস্ট প্রকাশ করে। একে রেড লিস্ট বা রেড ডাটা বুক বলে। সমস্ত জীবকে এই লিস্টে মোট ৭টি শ্রেণিতে বিভক্ত করে শ্রেণি ভাগ করা হয়। যেমন-অবলুপ্ত (extinct), বিপন্ন (endangered), সংকটাপন্ন (vulnerable) প্রভৃতি।
 
29. সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণের জন্য কোন্ বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ?
 
উত্তর:  ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচানো।  স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণ জরুরি কারণ বাঘের স্বাভাবিক খাদ্যের জোগান অত্যন্ত জরুরি  স্বাদুজলের জলাশয় সংরক্ষণ যাতে বাঘকে লবণাক্ত সামুদ্রিক জল পান করতে না হয়  চোরাশিকারির অনুপ্রবেশ  বাঘ-হত্যা বন্ধ করা
 
30. 'প্রজেক্ট টাইগারকী?
 
উত্তর: 'প্রজেক্ট টাইগারহল ভারতীয় সরকার দ্বারা 1973 সালে প্রণীত একটি বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি (NTCA) দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বর্তমানেও তা রূপায়িত হয়ে চলেছে। এটি জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে প্রথম পরিচালিত হয়
 
31. প্রজেক্ট টাইগারের উদ্দেশ্য কী ছিল?
 
উত্তর: বাঘের বাসস্থান কমার কারণগুলি দূর করা।  বাঘের পপুলেশন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা প্রজেক্ট টাইগার একটি সফল উদ্যোগ 1970 নাগাদ ভারতীয় বাঘের সংখ্যা ছিল 1200 যা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় 2226 হয়েছে (2014 সেনসাস)
 
32. ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দুটি সংরক্ষণ- সংক্রান্ত পদক্ষেপ প্রস্তাব করো
 
উত্তর: গন্ডার সংরক্ষণে গৃহীত ব্যবস্থাগুলি হল-① গন্ডারের জন্য বাসস্থান সুনিশ্চিত করা ও তাদের খাদ্য ও পানীয়ের যথেষ্ট জোগানের ব্যবস্থা করা। ② গন্ডারের প্রজননের ব্যবস্থা করা, সম্ভব হলে 'ক্যাপটিভ ব্রিডিং'-এর মাধ্যমে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করা। ও জনগণের মধ্যে গন্ডার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
 
33. অবলুপ্ত (extinct) জীব বলতে কী বোঝ?
 
উত্তর: যেসব প্রাণী ও উদ্ভিদকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সংরক্ষণাগারেও আর দেখা যায় না, তাদের অবলুপ্ত জীব বলে। যেমন- ডাইনোসর, ডোডো পাখি, প্যাসেঞ্জার পিজিয়ন, ক্যারোলিনা প্যারাকিট ইত্যাদি।
 
34. JFM প্রথম কোথায় ও কীভাবে গঠিত হয়?
 
উত্তর: 1971 খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরের (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর) আরাবারি অরণ্যে JFM উদ্যোগের প্রথম প্রচেষ্টা দেখা যায়। স্থানীয় মানুষদের গোচারণ ও গাছ কেটে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার শ্রী অজিত কুমার ব্যানার্জিস্থানীয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বন সুরক্ষা কমিটি গঠন করেন এবং নতুনভাবে শালগাছ রোপণ ও পরিচালনের ব্যবস্থা করেন। এর ফলে প্রায় 12.6 মিলিয়ন মূল্যের শালবৃক্ষ সৃষ্টি সম্ভব হয় (1988) এই ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত সরকারের পরিবেশমন্ত্রক স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বন উন্নয়নের পরিচালন নীতি প্রণয়ন করেন
 
35. 'PBR শুধু একটি প্রামাণ্য নথি নয়এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ'-ব্যাখ্যা করো
উত্তরPBR-এ স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের মাত্রাব্যবহার প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত হয়। কিন্তু এটি শুধু তথ্যপূর্ণ নথি নয়এর মূল উদ্দেশ্য হল স্থানীয়ভাবে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশদে জেনে সেই অনুযায়ী তার যথাযথ পরিচালন। অর্থাৎজীববৈচিত্র্যের প্রয়োজনভিত্তিক ব্যবহারসংরক্ষণ প্রভৃতি সক্রিয়তামূলক কাজ PBR-এর উদ্দেশ্যতাই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এটি গুরুত্বপূর্ণ
 
36. পিপলস্ বায়োডাইভার্সিটি রেজিস্টার (PBR)-এ জীববৈচিত্র্য- সংক্রান্ত যে প্রধান বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করা হয় তা লেখো
 
উত্তরPBR-এ যে সমস্ত বিষয়ে তথ্য মজুত করা থাকে তা হল-  সমস্ত স্থানীয় প্রজাতি সম্পর্কে সামগ্রিক তথ্য  প্রজাতির বাসস্থান  প্রজাতির থেকে প্রাপ্ত জৈবিক উৎপাদন (বা সম্পদ) সম্বন্ধে ধারণাতাদের বাজারমূল্যসংগ্রহের সময়সংগ্রহের নিয়ম ও তাদের পরিবহণ পদ্ধতি।  প্রজাতিজাত উৎপাদনের প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তি  প্রজাতিজাত সম্পদের স্থানীয় ব্যবহার এবং পরিচালন পদ্ধতি  স্থানীয় ভৌগোলিক তথ্য  বিপন্ন প্রজাতি নির্ণয়  স্থানীয় মানুষদের
তরফ থেকে প্রজাতি সংরক্ষণের ধারণা ও উদ্যোগ।  স্থানীয় প্রজাতিগুলি সম্বন্ধে ঐতিহ্যবাহীপরম্পরাগত ও বিশ্বাস-সংক্রান্ত তথ্য
 
37. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট (JFM) এবং পিপলস্ বায়োডাইভারসিটি রেজিস্টার (PBR)-এর একটি করে ভূমিকা লেখো
 
উত্তর: JMF কমিটির একটি ভূমিকা হল-বনে চোরাশিকারের ঘটনা তাৎক্ষণিক বনদপ্তরকে জানানো।

PBR-এর একটি ভূমিকা হল-স্থানীয় মানুষকে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের ব্যাপারে সজাগ করে, সংরক্ষণে অংশীদার হতে অনুপ্রাণিত করে।

 
38. বিপন্ন (endangered) প্রজাতি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: যেসব প্রাণীর অচিরেই লুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের বিপন্ন হওয়ার কারণ যদি সমান মাত্রায় বজায় থাকে এবং তাদের পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা কম থাকে তবে সেই ধরনের প্রাণীদের বিপন্ন প্রজাতি বলে। IUCN রেডলিস্টে এটি সংকটগ্রস্ত ক্যাটাগোরির অন্তর্গত একটি উপবিভাগ। এইজাতীয় প্রাণীদের সংরক্ষণ ভীষণভাবে আবশ্যক। যেমন-ভারতীয় বাঘ, গন্ডার ও সিংহ।
 
39. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের কেন্দ্রে যে অঞ্চল থাকে তাকে কী বলে?
 
 কোর অঞ্চল
 
40. ভারতের প্রথম বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কোন্টি?
 
 নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ (তামিলনাড়ুর নীলগিরি অঞ্চলটি 1986 সালে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে ঘোষিত হয়)
 
41. কোন্ ইন-সিটু সংরক্ষণ ব্যবস্থায় অণুজীববন্যপ্রাণী ও বন্য উদ্ভিদসহ মানুষের বৈচিত্র্যকৃষ্টি ও জীবনযাত্রা সংরক্ষণ হয়
 
 বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ সংরক্ষণ ব্যবস্থায়
 
42. জীবগোষ্ঠীকে তার নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের বাইরে কৃত্রিম পরিবেশে সংরক্ষণ করাকে কী বলে?
 
 এক্স-সিটু সংরক্ষণ
 
43. চিড়িয়াখানায় বাঘের সংরক্ষণ কী ধরনের সংরক্ষণ
 
 এক্স-সিটু সংরক্ষণ
 
44. পশ্চিমবঙ্গের একটি চিড়িয়াখানার নাম লেখো
 
 জুলজিক্যাল গার্ডেনআলিপুর
 
45. পশ্চিমবঙ্গের একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন-এর নাম লেখো
 
 আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভারতীয় বোটানিক গার্ডেন
 
46. সাধারণত কত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ক্রায়োপ্রিজারভেশন করা হয়?
 
 সাধারণত -196°C তাপমাত্রায় ক্রায়োপ্রিজারভেশন করা হয়
 
47. কোন্ প্রাণীতে ক্রায়োপ্রোটেকটান্ট পাওয়া যায়?
 
 সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের পতঙ্গমাছ ও উভচরে ক্রায়োপ্রোটেকটান্ট বা অ্যান্টিফ্রিজিং প্রোটিন কম্পাউন্ড পাওয়া যায়
 
48. ক্রায়োপ্রোটেকটান্ট কীভাবে কোশে বরফ স্ফটিক তৈরি প্রতিরোধ করে?
 ক্রায়োপ্রোটেকটান্ট কোশের জল অণুগুলির সঙ্গে কোশীয় উপাদানের হাইড্রোজেন বন্ধন সৃষ্টি হতে দেয় না ও স্ফটিক সৃষ্টি প্রতিরোধ করে
 
49. ক্রায়োসংরক্ষণের মাধ্যমে কী কী সংরক্ষিত হয়?
 গ্যামেটভ্রুণবীজপরাগরেণু ও কণা
 
50. জীবগোষ্ঠীকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ করার পদ্ধতির নাম কী?
 
 ইন-সিটু সংরক্ষণ
 
51. পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান (1982) কোন্ রাজ্যে অবস্থিত?
 
 কেরল
 
52. বনমন্ত্রক 2013-এর তথ্য অনুযায়ীভারতে কয়টি জাতীয় উদ্যান সরকারিভাবে স্বীকৃত?
 
 102টি
 
53. বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে বসবাসকারী জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বৈচিত্র্য দেখা যায়তাকে কী বলে?
 
 জীববৈচিত্র্য
 
54. পৃথিবীর কোথায় সবথেকে বেশি জীববৈচিত্র্য দেখা যায়?
 
 ক্রান্তীয় বর্ষা অরণ্য অঞ্চলগুলিতে পৃথিবীর সবথেকে বেশি জীববৈচিত্র্য দেখা যায়
 
55. সুস্থ ও কার্যকর বাস্তুতন্ত্রের ভিত্তি কী?
 
 জীববৈচিত্র্য
 
56. একই প্রজাতির মধ্যে জিনের বিভিন্ন প্রকরণ ও সমন্বয়কে কী বলে?
 
 জিনগত বৈচিত্র্য
 
57. কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির জীবের আপেক্ষিক প্রাচুর্যকে কী বলে?
 
 প্রজাতিগত বৈচিত্র্য
 
58. বাস্তুরীতি ও জীবসম্প্রদায়গত বৈচিত্র্যকে কী বলে?
 
 বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য
 
59. পূর্ব হিমালয় হটস্পটের একটি বিলুপ্তপ্রায় স্তন্যপায়ী প্রাণীর নাম লেখো
 
 একশৃঙ্গ গন্ডার
 
60. পৃথিবীর সমগ্র জীবপ্রজাতির কত শতাংশ অতিবৈচিত্র্যশালী দেশে অবস্থিত?
 
 70%
 
61. ক্রায়োসংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
 
উত্তর: ক্রায়োসংরক্ষণ হল একটি এক্স-সিটু সংরক্ষণ প্রক্রিয়া যাতে কোশকলা বা অন্য কোনো সজীব দেহাংশ তরল নাইট্রোজেনে প্রায়-196°C তাপমাত্রায় রেখে দীর্ঘদিন সজীব রাখা হয়
 
62. ক্রায়োপ্রিজারভেশন করার ক্ষেত্রে প্রধান দুটি সমস্যা উল্লেখ করো
 
উত্তর: ক্রায়োপ্রিজারভেশনের সমস্যাগুলি হল- দ্রুত তাপমাত্রা হ্রাসে কোশে বরফ জমে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে একে 'ক্রায়োইনজুরিবলে।  ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস করলে কোশীয় অভিস্রবণ পদ্ধতি বিনষ্ট হয়
 
63.ক্রায়োসংরক্ষণের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো এবং একটি উদাহরণ দাও
 
উত্তর: ক্রায়োসংরক্ষণের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- এইজাতীয় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়  সাধারণত -196°C তাপমাত্রায় বিভিন্ন ধরনের পরাগরেণুগ্যামেটকলাকোশবীজ ইত্যাদি ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়
 
64. বাফার জোন কী?
 
উত্তর: বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের প্রধান তিনটি অঞ্চলের মধ্যে কেন্দ্রীয় কোর অঞ্চলকে পরিবেষ্টন করে যে অঞ্চলটি থাকেতাকে বাফার জোন বলে। এটি কোর জোন ও ট্রানজিশন জোনের মাঝের অংশ। বাফার জোন হল বায়োস্ফিয়ার রির্জাভের সেই অংশ যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারগবেষণা ও শিক্ষামূলক কাজকর্ম সীমিতভাবে অনুমোদিত
 
65. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ স্থাপনের দুটি উদ্দেশ্য লেখো
উত্তর: বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ স্থাপনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল-  বায়োস্ফিয়ারে থাকা জীবসমূহকে প্রজাতিগত  জিনগত বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা  মানুষ  প্রকৃতির আন্তঃসম্পর্কের উন্নতিসাধনের ব্যবস্থা করা
 
66. বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কাকে বলেউদাহরণ দাও
 
উত্তর: বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ
 
 যে বিশেষ বনাঞ্চলে জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের জন্য বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী জমি অঞ্চলভিত্তিক ও নির্দিষ্ট ক্রিয়াকর্মভিত্তিক কতকগুলি নির্দিষ্ট অংশে ভাগ করা হয়তাকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বলে
 
67. অভয়ারণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো
 
উত্তর: অভয়ারণ্যের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী শিকার রাজ্য সরকার কর্তৃক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়  এই ধরনের বনাঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধতবে মুখ্য বন আধিকারিক বা কর্তব্যরত সরকারি কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়
 
 68. অভয়ারণ্য স্থাপনের যে-কোনো দুটি উদ্দেশ্য লেখো
 
উত্তর: অভয়ারণ্য স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি উদ্দেশ্য হল-  চোরাশিকারির হাত থেকে প্রাণী বৈচিত্র্যকে রক্ষা করা  স্বাভাবিক পরিবেশে সংকটাপন্ন জীবপ্রজাতির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা
 
69. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অভয়ারণ্যের ভূমিকা লেখো
 
উত্তর:  অভয়ারণ্যগুলি স্থানীয় বা এনডেমিক প্রজাতিগুলি রক্ষা করতে সাহায্য করে।  স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখাজীবের প্রজননে স্থান প্রদান করে জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে অভয়ারণ্য সাহায্য করে।  অভয়ারণ্য ইকোপর্যটন দ্বারা মানুষকে আনন্দ প্রদান করে থাকে প্রকৃতি  জীব সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞানলাভেও এগুলি সাহায্য করে
 
70. বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে অভয়ারণ্যে যে যে কাজ নিষিদ্ধ তার যে- কোনো চারটি তালিকাভুক্ত করো
 
উত্তর: বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে অভয়ারণ্যে যে যে কাজ নিষিদ্ধসেগুলি- বন্যপ্রাণী হত্যা নিষিদ্ধএমনকি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বনে প্রবেশ করাও নিষিদ্ধ।  বন্যপ্রাণী শিকার  বেআইনিভাবে বনভূমির জমি দখল নিষিদ্ধ  জনসাধারণের তথা পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ  ইচ্ছেমতো বন্যপ্রাণী নিয়ে গবেষণা করা নিষিদ্ধ
 
71. সংরক্ষিত অরণ্য বা সংরক্ষিত বনাঞ্চল কাকে বলেউদাহরণ দাও

উত্তর: সংরক্ষিত অরণ্য: ভারতীয় বন আইন, 1927 অনুযায়ী রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন যেসব অরণ্যে সাধারণের প্রবেশের অধিকার থাকে নাকিন্তু অনুমতি নিয়ে গবেষকরা প্রবেশ করতে পারে সেইসব বনভূমিকে সংরক্ষিত অরণ্য বলে
 
72 অভয়ারণ্য বা স্যাংচুয়ারি কাকে বলেদুটি উদাহরণ দাও
 
উত্তর: অভয়ারণ্য: রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এমন একটি বনাঞ্চল যেখানে আইনের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী হত্যা বা শিকার করা এবং জনসাধারণের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ, তাকে অভয়ারণ্য বলে। কিন্তু গবেষণার স্বার্থে অনুমতি সাপেক্ষে অভয়ারণ্যে প্রবেশাধিকার লাভ করা যায়।
 
73. ইন সিটু সংরক্ষণ বলতে কী বোঝ?
 
উত্তর: কোনো জীবকে তার নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকার ও বংশবিস্তার করার সমস্ত সুবিধা প্রদান করে সংরক্ষণ করাকে ইন-সিটু সংরক্ষণ বা স্বস্থানিক সংরক্ষণ বলে। যেমন-সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানে বাঘ সংরক্ষণ
 
74. ইন-সিটু সংরক্ষণের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী?
 
উত্তর: ইন-সিটু সংরক্ষণের সুবিধা হল- প্রাকৃতিক পরিবেশে কম খরচে সংরক্ষণ করা যায়  জীবের মুক্ত প্রজনন সম্ভব হয় বলে জীববৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়
ইন-সিটু সংরক্ষণের অসুবিধা হল- বৃহৎ আয়তন স্থানের প্রয়োজন হয়  অসুস্থ জীবের চিকিৎসা সম্ভব হয় না
 
75. এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলতে কী বোঝউদাহরণ দাও
 
উত্তর: এক্স-সিটু সংরক্ষণ: কোনো জীবকে সংরক্ষণের জন্য বিশেষ সুরক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হয়যা তার নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে সম্ভব নয়তখন সেই জীবকে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এই ধরনের সংরক্ষণকে এক্স-সিটু সংরক্ষণ বলে
 
উদাহরণ: বোটানিক্যাল গার্ডেন-এ উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা
 
76. এক্স-সিটু সংরক্ষণের সুবিধা কী কী?
 
উত্তর: এক্স-সিটু সংরক্ষণের সুবিধাগুলি হল- কোনো প্রজাতি বিপন্ন হলে তার সুচিকিৎসাসংরক্ষণ ও প্রজনন এক্স-সিটু সংরক্ষণ দ্বারা সম্ভব হয়।  কোনো প্রজাতি বিলুপ্তপ্রায় হলে সম্পূর্ণ বিলুপ্তির আগে তার জনন উপাদান (জননকোশ বা রেণু) ক্রায়োসংরক্ষণ দ্বারা সংরক্ষিত করে ভবিষ্যতে জীব তৈরি সম্ভব হয়
 
77. এক্স-সিটু সংরক্ষণের অসুবিধা কী কী?
 
উত্তর:এক্স-সিটু সংরক্ষণের অসুবিধাগুলি হল- এক্স-সিটু সংরক্ষণে সীমিত সংখ্যক জীবের প্রজনন সম্ভব হয় বলে জিনগত বৈচিত্র্য হ্রাস পায়  এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি
 
Long Answer Question
 
প্রশ্ন 1 একটি রেখাচিত্রের বা পর্যায়চিত্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা দাও
অথবা, নাইট্রোজেন চক্রের ধাপগুলি একটি পর্যায় চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো
 
উত্তর: নাইট্রোজেন চক্র: বাতাসে নাইট্রোজেনের পরিমাণ শতকরা 78.09 ভাগ। এ ছাড়াও মাটির মধ্যে নাইট্রেট, নাইট্রাইট এবং অন্য যৌগ হিসেবে নাইট্রোজেন আবদ্ধ থাকে। প্রকৃতিতে নাইট্রোজেন চক্র যে পর্যায়গুলির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, সেগুলি হল-নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ, মাটির নাইট্রোজেনের জীবদেহে প্রবেশ, জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ এবং নাইট্রোজেনের মুক্তি নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ: যে পদ্ধতিতে বায়ুর নাইট্রোজেন মাটিতে মেশে এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে পরিণত হয়, তাকে নাইট্রোজেন সংযোজন বা স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ বলে। এই স্থিতিকরণ প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে ঘটে থাকে। এগুলি হল- [i] প্রাকৃতিক আবদ্ধকরণ: বজ্রপাত ও অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে বাতাসের নাইট্রোজেন গ্যাস অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) গঠন করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয় ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড NO2) গঠন করে। নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রাস অ্যাসিড (HNO2) ও নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) ^ - 9 পরিণত হয় এবং তা মাটিতে নেমে আসে

N2+ O 2NO ; 2NO +  O 2NO ;
2NO + H2O HO HNO
 
এই দু-প্রকার অ্যাসিড মাটির ধাতব লবণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাইট্রেটল যৌগ (পটাশিয়াম নাইট্রেট, ক্যালশিয়াম নাইট্রেট প্রভৃতি) গঠন করে [ii] জীবজ আবদ্ধকরণ: [a] বিভিন্নপ্রকার অণুজীব, যেফরে। Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর), Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম) প্রভৃতি, বাতাসের মুক্ত নাইট্রোজেনকে নিজদেহে আবদ্ধ করে। মৃত্যুর পরে এদের দেহের নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া বলে। [৮] বিভিন্ন প্রকার নীলাভ-সবুজ শৈবাল সরাসরি বাতাসের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে মাটির নাইট্রোজেন যৌগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যেমন-Anabaena (অ্যানাবিনা), Nostoc (নস্টক) ইত্যাদি। [c] মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া, যেমন-Rhizobium (রাইজোবিয়াম) ছোলা, মটর প্রভৃতি শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে অর্বুদ (nodule) গঠন করে বসবাস করে এবং বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন শোষণ করে নানাপ্রকার নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ উৎপাদন করে। এইসব ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যুর পরে তাদের দেহের নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায় ও নাইট্রোজেনের আবদ্ধকরণ ঘটে। [iii] শিল্পজাত আবদ্ধকরণ: কলকারখানায় বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ সার তৈরি হয়। যেমন-হ্যাবার বস (Haber-Bosch) পদ্ধতিতে 300 - 400 deg * C তাপমাত্রায় এবং 35-100 MPa চাপে (MPa = মেগাপাসকাল, চাপের মেট্রিক বা SI একক) N_{2} H_{2} যুক্ত হয়ে NH_{3} উৎপন্ন হয়। NH_{3} ও অন্যান্য N_{2} -যুক্ত সার প্রয়োগের ফলে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন ঘটে
 
N_{2} + 3H_{2} * (300 - 400 deg * C)/(35 - 100MPa) * 2N*H_{3}
 
মাটির নাইট্রোজেন জীবদেহে প্রবেশ: উদ্ভিদ, মাটিতে আবদ্ধ নাইট্রোজেনঘটিত লবণ শোষণ করে এবং নিজদেহের চাহিদাপূরণ করে। এই নাইট্রোজেন উদ্ভিদদেহে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনরূপে অবস্থান করে। প্রাণীরা খাদ্যের মাধ্যমে তা গ্রহণ করে নিজদেহে প্রবেশ করায় এবং তা প্রাণীদেহে প্রাণীজ প্রোটিনরূপে অবস্থান করে
 
(3) জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ: জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ ঘটে দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। এই পদ্ধতি দুটি হল-[i] অ্যামোনিফিকেশন: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ এবং প্রাণীর নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ বিভিন্ন বিয়োজক দ্বারা বিয়োজিত হয়ে মাটিতে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগের পরিমাণ বাড়ায়। এরপর এই যৌগগুলি অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) ও Micrococcus (মাইক্রোকক্কাস)-র দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়ে যে প্রক্রিয়ায় অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়, তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে। [ii] নাইট্রিফিকেশন: যে প্রক্রিয়ায় মাটির অ্যামোনিয়া বিভিন্নপ্রকার নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বিশ্লিষ্ট ও হয়ে নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হয়, তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে। নাইট্রিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে অ্যামোনিয়া বা অ্যামোনিয়াম
আয়নগুলি মাটিতে Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস) নামক
 
ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় নাইট্রাইট যৌগে পরিণত হয় (নাইট্রাইটেশন)
 
তারপর মাটিতে বসবাসকারী Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) নামক
 
ব্যাকটেরিয়া নাইট্রাইট যৌগকে নাইট্রেটে পরিণত করে (নাইট্রেটেশন)
 
2NH4+302 4NO2 + 2H+ + 2H2O;
 
2NO2 + O2 2NO
 
নাইট্রোজেনের মুক্তি বা মোচন বা ডিনাইট্রিফিকেশন: যে প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকাস্থিত নাইট্রাইট ও নাইট্রেট যৌগ থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে, তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বা নাইট্রোজেন মোচন বলে। এতে সাহায্য করে Thiobacillus (থায়োব্যাসিলাস), (সিউডোমোনাস) ইত্যাদি ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া। Pseudomonas
 
NO3 NO2 NO + N2O N2
 
[Note: N চক্রের প্রতিটি ধাপ পৃথক প্রশ্ন হিসেবে আসতে পারে।]
 
প্রশ্ন 2 নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে? নাইট্রোজেন চক্রের যে-কোনো তিনটি ধাপে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা বিশ্লেষণ করো
 
উত্তর: নাইট্রোজেন চক্র: যে সুনির্দিষ্ট চক্রাকার পথে পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন জীবদেহে প্রবেশ করে ও দেহ থেকে আবার পরিবেশে ফিরে এসে পরিবেশে নাইট্রোজেনের সাম্য বজায় রাখে, তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে
 
নাইট্রোজেন চক্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা: নাইট্রোজেন চক্রের বিভিন্ন ধাপে ব্যাকটেরিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম
 
নাইট্রোজেনের জীবজ আবদ্ধকরণে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা: Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম), Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর) প্রভৃতি স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে, নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ গঠন করে
 
জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুন:  প্রবেশে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ অথবা প্রাণীর নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থগুলি অ্যামোনিফিকেশন নামক প্রক্রিয়ার দ্বারা, Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) প্রভৃতি অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় অ্যামোনিয়াতে পরিণত হয়। মাটির অ্যামোনিয়া আবার নাইট্রিফিকেশন নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্লিষ্ট হয়ে নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হয়। নাইট্রিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে অ্যামোনিয়া বা অ্যামোনিয়াম আয়নগুলি মাটিতে Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস) নামক ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় নাইট্রাইট যৌগে পরিণত হয় (নাইট্রাইটেশন)। তারপর মাটিতে বসবাসকারী Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) নামক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রাইট যৌগকে নাইট্রেটে পরিণত করে (নাইট্রেটেশন)
2NH+30₂→ 2NO + 4H+ + 2H O; 2NO + O22NO3
 
নাইট্রোজেনের মুক্তি বা ডিনাইট্রিফিকেশনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা: ডিনাইট্রিফিকেশন নামক আরেকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটির নাইট্রাইট ও নাইট্রেট যৌগ থেকে Pseudomonas (সিউডোমোনাস), Thiobacillus (থায়োব্যাসিলাস) প্রভৃতি নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। NO3 NO2NO + N2ON2
 
প্রশ্ন 3 নাইট্রোজেন চক্রে, বায়ুর N অণুজীব দ্বারা কীভাবে আবদ্ধ হয় তা আলোচনা করো
 
উত্তর: বায়ুর নাইট্রোজেন অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: কিছুকিছু অণুজীব বায়ুর নাইট্রোজেনকে, নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে রূপান্তরিত করে মাটিতে আবদ্ধ করে। অণুজীব দ্বারা নাইট্রোজেন স্থিতিকরণকে জীবজ আবদ্ধকরণ বলে। দুই ধরনের অণুজীব দ্বারা এই পদ্ধতিটি সম্পন্ন হয়। এখানে সেগুলি আলোচনা করা হল
 
স্বাধীনজীবী অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: কিছু স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া, যেমন-Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম), Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর) প্রভৃতি ও Nostoc (নস্টক), Anabaena (অ্যানাবিনা) প্রভৃতি সায়ানোব্যাকটেরিয়া (নীলাভ-সবুজ শৈবাল) বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে নাইট্রোজেন- ঘটিত যৌগ গঠন করে। এদের মৃত্যুর পরে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায়
 
মিথোজীবী অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: ছোলা, মশুর, সিম প্রভৃতি শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে যে অর্বুদ বা নডিউল থাকে, তাতে Rhizobium (রাইজোবিয়াম) নামক ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। এই ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন শোষণ করে, তার কিছুটা ভাগ আশ্রয়দাতা উদ্ভিদকে সরবরাহ করে তাকে সাহায্য করে ও বাকি অংশ নিজের দেহে সঞ্চিত রেখে পরবর্তীকালে ব্যবহার করে। ব্যাকটেরিয়া ও উদ্ভিদটির মৃত্যুর পরে তাদের দেহের নাইট্রোজেন যৌগ মাটিতে মিশে যায়
 
প্রশ্ন 4 মানব ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নাইট্রোজেন চক্রকে প্রভাবিত করে এবং মানব ক্রিয়াকলাপে মুক্ত অধিক নাইট্রোজেনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো
অংশ প্রশ্ন, নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার ফলে যেসব ঘটনা ঘটছে তার যে-কোনো প্রধান তিনটি ঘটনা ব্যাখ্যা করো।অংশ প্রশ্ন, "মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হচ্ছে"-দুটি ঘটনা উল্লেখ করে এর যথার্থতা প্রমাণ করো
অথবা, 'মানব ক্রিয়াকলাপের ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হচ্ছে'-ব্যাখ্যা করো। [
 
উত্তর: নাইট্রোজেন চক্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী মানব ক্রিয়াকলাপ
 
নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার: জমির ফসল বৃদ্ধির জন্য জমিতে নাইট্রোজেন (নাইট্রেট, N-P-K সার প্রভৃতি) সারের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পরিবেশে NO, NO প্রভৃতি গ্যাসগুলির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে
 
নাইট্রোজেন স্থিতিকারী উদ্ভিদ চাষ: শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদ, যেমন- বিন, মটর, ডাল, বাদাম, ছোলা, রাজমা, সয়াবিন প্রভৃতি কৃষিজ উদ্ভিদগুলি প্রোটিনের জোগানদার বলে তাদের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বায়ুর নাইট্রোজেন অধিকমাত্রায় মাটিতে আবদ্ধ হচ্ছে
 
জীবাশ্ম জ্বালানির দহন: খনিজ তেল, কয়লার দহনে নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রাস অক্সাইড (NO) ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO) গ্যাসের মুক্তি ঘটে। ফলে পরিবেশে নাইট্রোজেনের জোগান বৃদ্ধি পায়
 
মানব ক্রিয়াকলাপে মুক্ত অধিক নাইট্রোজেনের ক্ষতিকর প্রভাব
 
অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের প্রভাবে পরিবেশের প্রদত্ত ক্ষতিকর পরিবর্তনগুলি ঘটে থাকে
 
বিশ্ব উন্নায়ন: নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসটি তাপশোষী গ্রিনহাউস গ্যাস বা সূর্যালোকের প্রতিফলনে সৃষ্ট অবলোহিত আলো বা উত্তাপ শোষণ করে গ্রিনহাউস প্রভাব তথা বিশ্ব উয়ায়ন ঘটায়
 
আলোক-রাসায়নিক ধোঁয়াশা বা ফোটোকেমিকাল স্মগ: পেট্রোলিয়াম দহনজাত নাইট্রিক অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন ও আলোকের উপস্থিতিতে PAN (পারঅক্সি-অ্যাসিটাইল নাইট্রেট) উৎপন্ন করে যা আলোক- রাসায়নিক ধোঁয়াশা উৎপন্ন করে। এটি দৃশ্যদূষণ ও শ্বাসনালীর প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে
 
অম্লীকরণ: নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি বৃষ্টির জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে, যা অম্লবৃষ্টির অন্যতম উপাদান। অম্লবৃষ্টি জলজ জীব ও উদ্ভিদ ধ্বংস করে নদী, হ্রদ, পুকুর প্রভৃতির বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে। এ ছাড়া অম্লবৃষ্টির প্রভাবে বনজ সম্পদের বিনাশ ঘটে, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়
 
প্রশ্ন 5 শব্দচিত্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন চক্রটি বর্ণনা করো। নাইট্রোজেন চক্রটি ব্যাহত হলে যে যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, তার দুটি বিশ্লেষণ করো
 
উত্তর: প্রথম অংশের উত্তরের জন্য রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরের । নং দ্যাখো। দ্বিতীয় অংশের উত্তরের জন্য রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরের 4 নং-এর দ্বিতীয় অংশ দ্যাখো
 


Editing By:- Lipi Medhi