অধ্যায় - ২১
মন কেমনের গল্প
👉Paid Answer (For Membership User)
👉Download Books PDF
Short Question Answer
১.১
বৃষ্টির দিনগুলো রুবাইয়ের এত ভালো লাগে কেন?
উত্তরঃ বৃষ্টির দিনগুলোর পরিবেশ এত মিষ্টি
মিষ্টি লাগে, মেঘলা আকাশ তার মধ্যে অল্প আলো ছটা সব
মিলিয়ে রুবাইয়ের ভীষণ ভালো লাগে।
১.২
আমাদের জাতীয় সংগীত কোনটি?
উত্তরঃ ভারতের জাতীয় সংগীত বঙ্কিমচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় রচিত 'বন্দেমাতরম্' গান।
১.৩ ১৫
আগস্ট দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা তোলা হয় কেন?
উত্তরঃ ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ওই দিন
দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবসকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাবার জন্য জাতীয় পতাকা তুলে তাকে
অভিবাদন করা হয়।
১.৪
ইসকুল রুবাইয়ের কেমন লাগে?
উত্তরঃ ইসকুল রুবাইয়ের খারাপ লাগে না। শুধু
বৃষ্টিভেজা দিনগুলোয় তার ইস্কুলে যেতে ভালো লাগে না। তা না হলে ওদের ইস্কুলেতো
শুধু খেলা আর গান, গান
আর খেলা। আর টিফিন খাওয়া। এ রকম ইস্কুল কার না ভালো লাগে।
১.৫ 'বলাকা' বলতে কী
বোঝো?
উত্তরঃ ধবধবে সাদা বকের দলকে আকাশ পথে উড়ে
যাওয়াকে বলাকা বলে।
১.৬
শক্তশব্দের মানে রুবাইকে কে বলে দিতেন?
উত্তরঃ শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে তার দিদিমা
বলে দিতেন।
১.৭
রুবাইয়ের লেখার খাতা কে দিয়েছিলেন? খাতাটি
কেমন?
উত্তরঃ রুবাইকে লেখার খাতাটি দিয়েছিল তার ছোটো
মামা। খাতাটি সুন্দর এবং বাঁধানো।
১.৮
লেখার পাতায় রুবাই কোন দিনের কথা লিখেছিল?
উত্তরঃ লেখার পাতাটিতে রুবাই ১৫ আগস্ট
স্বাধীনতা দিবসের কথা লিখেছিল।
১.৯
আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় কটি রং আছে? সেগুলি
কী কী?
উত্তরঃ আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার তিনটি রং
আছে। সেগুলি হল গেরুয়া, সাদা
ও সবুজ।
2। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
2.১ এই
গল্পে 'মেঘের
কোলে রোদ হেসেছে' গানটির
নাচ রুবাই শিখেছে। গানটি কার লেখা?
উত্তরঃ 'মেঘের
কোলে রোদ হেসেছে' গানটি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
2.২
বৃষ্টির সময় চারদিকের পরিবেশ কেমন হয়ে যায় • কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উত্তরঃ বৃষ্টির সময় চারিদিকের পরিবেশ আমূল
পরিবর্তন হয়ে যায়। আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। রোদ্দুর চলে যায়।
তপ্ত রৌদ্রে শ্রান্ত গাছের পাতারা পুলকিত চিত্তে বৃষ্টির জল পান করতে থাকে। মাঠে
দাঁড়িয়ে গোরুগুলো ভিজতে থাকে। মাঠে জল জমে যায়। শুরু হয় ব্যাংদের কোলাহল। ঘন মেঘ
সূর্যকে ঢেকে রাখে বলে আলো কমে যায়। ফলে দিনের বেলাতেই ঘরের বাতি জ্বালতে হয়। চাতক
পাখিরা আকাশে উড়ে বৃষ্টির জল পান করে। অন্যান্য পাখিরাও বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
রাস্তায় লোকচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকে সকলকে চমকে দেয়।
2.৩ তোমরা
তোমাদের স্কুলে স্বাধীনতা দিবস কেমন করে পালন করো? কী কী
অনুষ্ঠান হয়? সকলে
মিলে তোমরা কোন গান গাও?
উত্তর: আমাদের স্কুলে আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার
সঙ্গে ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস প্রতিবৎসর পালন করি। সাধারণত সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের
সকল শিক্ষক ছাত্র মাঠের মাঝখানে সমবেত হয়। আমাদের খেলার স্যার ছাত্রদের
সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক মহাশয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি
ধ্বনি তোলেন জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম্।
সকল শিক্ষক ও ছাত্র একসঙ্গে ধ্বনির সঙ্গে গলা মেলান। তারপর প্রধান শিক্ষক মহাশয় ও
দু-একজন বর্ষীয়ান শিক্ষক স্বাধীনতা
দিবসের
তাৎপর্য সম্বন্ধে বক্তৃতা দেন। আমাদের ছাত্রদের পক্ষ থেকেই অন্তত দুজন বক্তৃতা
দেন। তারপর শুরু হয় গান। আমরা 'ধনধান্যে
পুষ্পে ভরা' এবং 'কদম
কদম বাড়ায়ে যা'-এই
গানদুটো সমবেত । কন্ঠে গেয়ে থাকি। তারপর জাতীয় সংগীত জনগণমন গান গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ
হয়। ছাত্ররা এরপর লাইন করে জিলিপি ও সিঙ্গাড়া ঠোঙা করে নিয়ে খাওয়া শেষ করে যে যার
বাড়ি চলে যায়।
2.৪
বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেদের খুশি খুশি দেখায় কেন? (উত্তরপাড়া
রাষ্ট্রীয় উচ্চবিদ্যালয়)
উত্তরঃ বৃষ্টির দিনে সব গাছগুলিই, সে
রাস্তার ধারেই হোক, বা
মাঠের ধারেই হোক সবাই খুশি হয়ে ওঠে। শিশু রাস্তার ধারের গাছগুলো বেশি খুশি হয়ে ওঠে
এই জন্য যে তারা বৃষ্টিতে তাদের ধূলিধূসরিত সমস্ত | পাতাগুলো
ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলে। ধুলো খেতে। খেতে রাস্তার ধারের গাছগুলো ক্লান্তিতে ভেঙে
পড়ে। তাদের চেহারাটা হয়ে ওঠে মন খারাপ করার মতো। তাই বৃষ্টি এলে তারা সমস্ত অঙ্গ
দিয়ে বৃষ্টিকে উপভোগ করে, আনন্দে
দিশাহারা হয়ে যায়।
2.৫ এমন
একটা দিনের কথা লেখো যে দিন খুব বৃষ্টির জন্য তোমার স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর: গত সোমবার সকাল থেকে অঝোর বৃষ্টি। মা
বললেন, খোকা, আজ
বড্ড বৃষ্টি, রাস্তায় জল জমে যাবে। আজ আর স্কুলে যাস
নে।' আমি তো এই রকম দিনেই স্কুলে যেতে বেশি
ভালোবাসি। আমি জানি আজ বৃষ্টিতে বেশির ভাগ ছেলেই স্কুলে যাবে না। আর যারাও স্কুলে
গিয়ে পৌঁছোবে, তারাও ভিজে একেবারে ন্যাতা হয়ে। যাবে।
হেডস্যার উপস্থিত ছাত্রদের অবস্থা দেখে তৎক্ষণাৎ সত্যদা বেয়ারাকে বলবেন ছুটির
ঘণ্টা দিয়ে দিতে। ব্যস, মহা
আনন্দ! তাই আজ মার নিষেধ
সত্ত্বেও
স্কুলে ভিজতে ভিজতে গেলাম। আর ভাবনামতো ছুটিও পেয়ে গেলাম। তারপর তো মজা। স্কুল
থেকে বাড়ি ফেরার রাস্তার অনেকটাই জলে ডুবে গেছে। হাঁটু জল ঠেঙিয়ে হাঁটতে কী মজাই
না লাগে। সারা পথ তো হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরলাম। মা তখন সবে খেতে বসেছেন। আমি
জামাটামা ছেড়ে মার পাশে এমন ভাবে বসে গেলাম যাতে মা-র আর বকুনি দেওয়ার সুযোগই হল
না।
3। সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো:
৩.১
রুবাইয়ের ভালো লাগে যে দিনগুলি- (শরতের/ রোদ ঝলমলে/মেঘলা/বৃষ্টির)
উত্তর: রুবাইয়ের ভালো লাগে বৃষ্টির সে দিনগুলি।
৩.২
চারিদিকের ভাবটা- (হাসিহাসি/কান্নাকান্না/ মিষ্টিমিষ্টি/গুমোট)।
উত্তরঃ চারিদিকের ভাবটা মিষ্টিমিষ্টি।
৩.৩
সুন্দর বাঁধানো খাতাটা বুবাইকে যে দিয়েছিল- (বড়োমামা/মেজোমামা/ছোটোমামা/সেজোমামা)।
উত্তরঃ সুন্দর বাঁধানো খাতাটা রুবাইকে দিয়েছিল
বড়োমামা।
৩.৪
স্কুলে ফ্ল্যাগ তোলা হবে- ১২ই আগস্ট/১৩ই আগস্ট/ ১৪ই আগস্ট/১৫ই আগস্ট)।
উত্তরঃ স্কুলে ফ্ল্যাগ তোলা হবে ১৫ই আগস্ট।
৪। শূন্যস্থান পূরণ করো:
৪.১
—----------গুলো সব কানখাড়া
করে রেডি হয়ে আছে।
উত্তরঃ গাছগুলো সব কানখাড়া করে রেডি হয়ে আছে।
৪.২—--------
এখানে. কেমন ভারী ভারী।
উত্তরঃ এখানে আকাশটা কেমন ভারী ভারী।।
৪.৩ ওরা
তো—------------- তৈরি করতে পারবে না।
উত্তরঃ ওরা তো ক্লোরোফিল তৈরি করতে পারবে না।
৪.৪
মেঘের কোলে টুটি। হেসেছে গেছে
উত্তরঃ মেঘের কোলে—--------- রোদ
হেসেছে—--------- বাদল গেছে টুটি
৪.৫
প্রথম যেদিন —----------মুখ দেখা যায়, সে
দিনটা খুব—-------------
উত্তরঃ প্রথম যেদিন রোদের মুখ দেখা যায়, সে
দিনটা খুব আনন্দের।
৫। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
৫.১ 'গাছগুলো
সব কানখাড়া করে রেডি হয়ে আছে।'- কেন?
উত্তরঃ গাছগুলো সব কানখাড়া করে রেডি হয়ে আছে
বৃষ্টির পায়ের শব্দ শুনবে বলে।
৫.২ 'এমন
দিনে একটুও পড়ায় মন বসে না।' দিনে
পড়ায় মন বসে না?
উত্তরঃ 'বৃষ্টি
বৃষ্টি' মেঘলা দিনে পড়ায় মন বসে না।
৫.৩ 'পাতাও
সবুজ হবে না।'- কেন
পাতা সবুজ হবে না।
উত্তরঃ ক্লোরোফিল তৈরি করতে না পারলে গাছের
পাতা সবুজ হবে না।
৫.৪
"সেই যে গানটার সঙ্গে মা নাচ শিখিয়েছিলেন।' - মা কোন্
গানের সঙ্গে নাচ শিখিয়েছিলেন?
উত্তরঃ মা 'মেঘের
কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি' গানের
সঙ্গে নাচ শিখিয়েছিলেন।
Paid Answer (For Membership User)
Editing By- Lipi Medhi