অধ্যায় ৫

আমাদের আকাশ

----------------------------------------




অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:



১। চাঁদের নিজের কি কোনো আলো আছে?


উত্তর: না, চাঁদের নিজের কোনো আলো নেই।


২। চাঁদ কীভাবে আলো ছড়ায়?


উত্তর: সূর্যের আলো চাঁদের ওপর পড়ায় তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।


৩। চাঁদের গায়ে কালো কালো দাগগুলিকে কী বলে?


উত্তর:কলঙ্ক।


৪। আমরা চাঁদকে কি পুরো দেখতে পাই?


উত্তর: না, চাঁদের আমরা একটা পিঠকে দেখতে পাই।


৫। চাঁদের কলঙ্ক আমরা সারাবছর দেখতে পাই কেন?


উত্তর: চাঁদের একটা পিঠই আমরা দেখতে পাই বলে চাঁদের ওই দিকে থাকা কলঙ্কের ছবি চোখে পড়ে।


৬। চাঁদ কী?


উত্তর: চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ। এটি পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।


৭। চাঁদ সরে সরে যায় কেন?


উত্তর: চাঁদ অনবরত পৃথিবীর চারদিকে পশ্চিম থেকে পৃ দিকে ঘুরছে।


৮। চাঁদকে কোন্ কোন্ রকম আকারে দেখা যায়?


উত্তর: চাঁদকে কখনো গোল রুপোলি থালার মতো, কখনো কাস্তের মতো আবার কখনো কমলালেবুর কোয়ার মতো দেখা যায়।


৯। পূর্ণিমার সময় আমরা চাঁদটাকে গোল থালার ময়ে দেখি কেনা?


উত্তর: চাঁদের যে দিকটা সূর্যের সম্পূর্ণ আলো পায়, তার পুরোটাই আমরা দেখতে পাই। তখন চাঁদকে ওরকম গোল দেখায়।


১০। রাতের আকাশে কী থাকে?


উত্তর:রাতের আকাশে তারা থাকে।


১১। সপ্তর্ষিমণ্ডল কোন আকাশে থাকে?


উত্তর:উত্তর-পূর্ব আকাশে সপ্তর্ষিমণ্ডল থাকে।


১২। সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখতে কেমন?


উত্তর: সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখতে প্রশ্ন চিহ্নের মতো।


১৩। সপ্তর্ষিমণ্ডলে কয়টা তারা রয়েছে?


উত্তর: সপ্তর্ষিমণ্ডলে সাতটি তারা রয়েছে।


১৪। সপ্তর্ষিমণ্ডলে যে সাতটি তারা রয়েছে তাদের নাম লেখো।


উত্তর: সপ্তর্ষিমণ্ডলে যে সাতটি তারা হল- ক্রতু, পুলহ, পুলস্ত্য, অত্রি, অঙ্গিরা, বশিষ্ঠ ও মরীচি।


১৫। অরুন্ধতী কোন্ তারার গায়ে গায়ে রয়েছে?


উত্তর: অরুন্ধতী বশিষ্ঠ তারার গায়ে গায়ে রয়েছে।


১৬। অরুন্ধতী কে?


উত্তর: অরুন্ধতী বশিষ্ঠের স্ত্রী।


১৭। ধ্রুবতারা কোথায় দেখা যায়?


উত্তর: ধ্রুবতারা পুলহ আর ক্রতুর মধ্যে সরলরেখায় সংযোগকারী পথে সোজা উত্তর আকাশে মিটমিট করতে দেখা যায়।


১৮। কোন তারা কখনও নড়ে না?


উত্তর: ধ্রুবতারা কখনও নড়ে না।


১৯। আকাশের কোন্ কোন্ তারা নড়ে?


উত্তর: আকাশে ধ্রুবতারা ছাড়া আর সব তারা নড়ে।


২০। কোন্ তারাকে সারাবছর আকাশে দেখা যায়? 


উত্তর: ধ্রুবতারাকে।


২১ কম্পিউটারে ছবি দেখে কী বোঝা যায়?


 উত্তর: আগামী কয়েকদিনে আবহাওয়া কেমন যাবে বোঝা


২২। ঝড় আসার কতদিন আগো কম্পিউটারে বোঝা যাযায়।


উত্তর: ঝড় আসার অন্তত পনেরো দিন আগে কম্পিউটা বোঝা যায়।


২৩। কম্পিউটারে ছবি দেখে কী করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যায়?


উত্তর: কম্পিউটারের পর্দায় পৃথিবীর বাইরে থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি দেখে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া যায়।


২৪। মহাকাশে বিজ্ঞানীরা কী পাঠিয়েছেন?


উত্তর: মহাকাশে বিজ্ঞানীরা ক্যামেরা বসানো একটা যন্ত্র পাঠিয়েছেন।


২৫। কৃত্রিম উপগ্রহকে কীসের ন্যায় পৃথিবীর চারদিকে ঘোরানো সম্ভব?


উত্তর: কৃত্রিম উপগ্রহকে চাঁদের ন্যায় পৃথিবীর চারদিকে ঘোরানো সম্ভব।


২৬। মহাকাশে যন্ত্রপাতি পাঠাতে কী ব্যবহার করা হয়?


উত্তর: মহাকাশে যন্ত্রপাতি পাঠাতে রকেট ব্যবহার করা হয়।


২৭। কত বছর আগে আর্যভট্ট জেনেছিলেন যে পৃথিবী নিজের চারপাশে পাক খায়?


উত্তর: দেড়হাজার বছর আগে আর্যভট্ট জেনেছিলেন যে পৃথিবী নিজের চারপাশে পাক খায়।


২৮। কত বছর আগে দূরবিন আবিষ্কার হয়?


উত্তর: মাত্র চারশো বছর আগে দূরবিন আবিষ্কার করা হয়।


২৯। কোন্ বিজ্ঞানী নিজে দূরবিন তৈরি করে ফেললেন?


উত্তর: বিজ্ঞানী গ্যালিলিও নিজে দূরবিন তৈরি করে ফেললেন।


৩০। গ্যালিলিও তাঁর দূরবিনে কোন্ গ্রহকে দেখেছিলেন?


উত্তর: গ্যালিলিও তাঁর দূরবিনে বৃহস্পতি গ্রহকে দেখেছিলে


৩১। গ্যালিলিও কয়টি উপগ্রহ দেখতে পান?


উত্তর: গ্যালিলিও দূরবীনের সাহায্যে বৃহস্পতি গ্রহের পাশে থাকা বারোটা উপগ্রহের মধ্যে চারটে উপগ্রহকে দেখেছিলেন।


৩২। গ্যালিলিও চাঁদের সম্পর্কে কী ধারণা প্রদান করেন?


উত্তর: গ্যালিলিও বলেন পৃথিবীর মতোই চাঁদও অসমান, গভীর খাদে ভরা একটা পাথুরে কঠিন বস্তু।


৩৩। আমাদের পৃথিবী কার অংশ?


উত্তর: আমাদের পৃথিবী সৌরজগতের একটা অংশ।


৩৪। প্রথমে মহাকাশে কাকে পাঠানো হয়েছিল?


উত্তর: প্রথমে মহাকাশে লাইকা নামক কুকুরকে পাঠানো হয়েছিল।


৩৫। চাঁদের বুকে প্রথম কোন্ মানুষ পা দেন?


উত্তর: চাঁদের বুকে নীল আর্মস্ট্রং প্রথম পা দেন।




সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


১। দিনরাত্রি কীভাবে হয়?


উত্তর: পৃথিবী নিজের চারদিকে পাক খেতে খেতে যখন তার অর্ধেকটা সূর্যের দিকে থাকে তখন ওই জায়গায় সূর্যের আলো পড়ে এবং দিন হয়। ঠিক সেই সময় পৃথিবীর বাকি অর্ধাংশ সূর্যালোক না থাকায় সেখানে অন্ধকার হয়। অর্থাৎ রাত হয়।


২। স্কুলের মাঠে পাক খেয়ে ঘোরার মাধ্যমে দিদিমণি তোমাদের কী বোঝালেন?


উত্তর: দিদিমণি বোঝালেন যে পাক খেয়ে ঘোরার সময় যখন আমরা স্কুলের দিকে মুখ করছি তখন আমরা স্কুল দেখতে পাই। অন্য সময় নয়। অর্থাৎ পৃথিবী

পাক খেয়ে ঘুরতে ঘুরতে যখন সূর্যের দিকে তা অংশকে নিয়ে যায়, তখন দিন হয় আর তার বিপরী অংশে রাত হয়।


৩। বল ও টর্চের পরীক্ষা থেকে কী প্রমাণিত হয়?


উত্তর: বল ও টর্চের পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয় যে দিনরা হয়ে থাকে পৃথিবী নিজের চারিদিকে পাক খায় এক পাক খাওয়ার সময় যে অর্ধেক অংশ সূর্যের দিয়ে আসে সেই অংশে দিন হয়। আর তার বিপরী অংশে রাত হয়। ঠিক যেমন টর্চের আলোর বিপরী দিকে চলে যাওয়া অংশ অন্ধকার। অর্থাৎ ওই আ রাতের সমতুল্য। আর যে অংশে টর্চের আলো পা সেই অংশ দিনের সমতুল্য।


৪। চাঁদের বিভিন্ন আকার বোঝাতে দিদিমণি কী পরীক্ষা করে দেখালেন ?


উত্তর: দিদিমনি একটা বড়ো বল টেবিলের ওপর রেখে দূরে একটা চর্ট জ্বালিয়ে রাখতে বললেন। তারপর ওই বলটাকে লক্ষ করে দেখতে বললেন চর্টের আলো পড়েছে কি না তার ওপর। ঘর অন্ধকার করা হল। এবার বলটার চার দিক দেখতে বললেন এবং কোথায় কেমন আলো পড়েছে তা লক্ষ্য করে ছবি আঁকতে বললেন। চাঁদের সরে সরে যাওয়ার কারণে আমরা চাঁদের একটা অংশই দেখতে পাই। আর এর ফলে আলোকিত অংশও বদলে যায়। তাই কখনো আমরা গোল, কখনো কাস্তের মতো আবার কখনোকমলালেবুর কোয়ার মতো দেখতে পাই।


৫। অমাবস্যায় চাঁদকে দেখা যায় না কেন?


উত্তর: চাঁদের দিকে তাকালে যে পিঠটা আমরা দেখতে পাই অমাবস্যায় সূর্যের আলো সেই পিঠে পড়ে না। আলোর অভাবে ওই পিঠ আমরা দেখতে পাই না। যদিও ওই সময় চাঁদের অপর পিঠে সূর্যের আলো পড়ে। কিন্তু ওই পিঠ আমরা দেখতে পাই না। তাই অমাবস্যায় চাঁদকে দেখা যায় না।



শূন্যস্থান পূরণ করো:


১। আমাদের---------------- যেদিকে পড়ে তার উলটোদিকে থাকে সূর্য।


২। দুপুর বারোটার সময়------------------ সবচেয়ে ছোটো।


৩। সূর্যকে এক এক সময় এক এক-------------- দেখা যায়।


৪। পৃথিবীর কোনো অংশ সূর্যের সামনে এলে---------------- হয়।


উত্তর: ১। ছায়া, ২। ছায়া, ৩। দিকে। ৪। দিন।



     

ঠিক বাক্যের পাশে '✓' চিহ্ন, ভুল বাক্যের পাশে 'x চিহ্ন দাও।


১. সূর্য উঠবার আগে হালকা আলোযুক্ত সময়রে গোধূলি বলে।


২. সূর্য মাথার ওপরে থাকলে ছায়া পায়ের গোড়ায় পড়ে ৩. রাতের আকাশে সূর্য থাকে না।


৪. সূর্যের আলোয় পৃথিবীর সবদিক একসঙ্গে আলোকিত হয়।


উত্তর: ১।'x', ২।'✓',। ৩।'✓', ।৪।'x'।





   

                             👉Paid Answer (For Membership User)


Editing By- Lipi Medhi