অধ্যায় ১০

স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও সংগ্রহশালা
-------------------------------------


অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


১। একসময় বিষ্ণুপুরের নাম কী ছিল?


উত্তর: মল্লভূম।


২। কোনারকের কী বিখ্যাত?


উত্তর: সূর্যমন্দির।


৩। জামা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?


উত্তর: দিল্লি।


৪। টিপু সুলতান মসজিদ কোথায় অবস্থিত?


উত্তর: কলকাতা।


৫। ব্যান্ডেল চার্চ কোথায় অবস্থিত?


উত্তর: হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে।


৬। কত সাল নাগাদ ব্যান্ডেল চার্চ বানানো হয়েছিল?


উত্তর: ১৬৬০ সাল।


৭। বিরসা মুন্ডার নামে মিউজিয়াম কোথায় আছে?


উত্তর: রাঁচিতে অবস্থিত।


৮। ভারতীয় জাদুঘর কোথায় আছে?


উত্তর: কলকাতায় আছে।


৯। মমি তোমার কাছাকাছি কোথায় গেলে দেখতে পাবে?


 উত্তর: ভারতীয় জাদুঘরে দেখতে পাবে।


১০। ভুটানের রাজার সঙ্গে কোথাকার রাজার যুদ্ধ হয়েছিল?


উত্তর: কোচবিহারের রাজার যুদ্ধ হয়েছিল।


১১। পিংলা কোন্ জেলায় অবস্থিত?


উত্তর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত।


১২। ব্যারাকপুর কোন্ জেলায় অবস্থিত?


উত্তর: উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত।


১৩। বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মডেলে কোথাকার বিজ্ঞানকেন্দ্র আছে?


উত্তর: দিঘার।


১৪। বিড়লা কারিগরি শিল্প সংগ্রহশালা কোথায়


উত্তর: কলকাতায় অবস্থিত।


১৫। ব্রতচারী গ্রাম কোথায় আছে?


উত্তর: ঠাকুরপুকুরে অবস্থিত।


• শূন্যস্থান পূরণ করো:


১। লালমাটির জায়গা হল—-------------।


২। বিন্নুপুরে রাসমঞ্চ,------------------ গায়ে টেরাকোটার কাজ আছে।


৩ । সূর্যমন্দিরে—------------ জোড়া রথের চাকা আছে।


৪। টিপু সুলতান মসজিদে অনেকগুলো —---------------আছে।


৫। আজান শোনা যায় —---------------থেকে।


৬। লালমাটির জায়গা হলমমি তৈরি করা হত—-------------।


৭। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত—------------।


৮। কয়লাখনির আদলে নকল কয়লাখনি আছে—------------।


৯। লেপচা মিউজিয়াম অবস্থিত—---------------।


১০।—---------------- জেলাতে বিজ্ঞানকেন্দ্র আছে।


উত্তর: ১। বিষুপুর, ২। মন্দিরের, ৩। বারো, ৪। গম্বুজ, ৫। মসজিদ। ৬। মিশরে, ৭। রাজাভাতখাওয়াতে, ৮। বিড়লা শিল্প-কারিগরি সংগ্রহশালাতে,৯। কালিম্পং-এ, ১০। বর্ধমান।

• সঠিক উত্তরটি বেছে নাও:


১। মল্লভূম মানে (মল্লরাজাদের ভূমি/মল্লযোদ্ধা/ মল্লবীর)।


২। কোনারক (পালামৌ/ পুরী/সম্বলপুর) থেকে কাছে।


৩। জামা মসজিদ বানিয়েছিলেন (শাহজাহান/ ঔরঙ্গজেব/ বাবর)।


৪। চার্চকে (গির্জা/ মাইম/শ্রাইন) বলে।


৫। ব্যান্ডেল চার্চে যিশুর গল্প (পাতার/ পুতুলের/কাঠের কাজের) মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


৬। গ্রামের বহু পুরোনো মন্দিরটা হল (সৌধ/স্থাপত্য/ ভাস্কর্য)।


উত্তর: ১। মল্লরাজাদের ভূমি। ২। পুরী। ৩। শাহজাহান। ৪। গির্জা। ৫। পুতুলের, ৬। স্থাপত্য।



সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


১। বিষ্ণুপুরের নাম মল্লভূম ছিল কেন?অথবা, মল্লভূম কাকে বলে?


উত্তর: এককালে বিষুপুরে মল্লরাজারা বাস করতেন। তাঁদের বাসভূমি ছিল বলে এর নাম ছিল মল্লভূম।


২। বিছুপুরের কোথায় কোথায় টেরাকোটার কাজ রয়েছে?


উত্তর: বিয়ুপুরের রাসমঞ্চ, মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ রয়েছে।


৩। কোনারকের সূর্যমন্দিরটা কীরকম?


উত্তর: কোনারকের সূর্যমন্দিরটা দেখতে বড়ো রথের মতো। এর গায়ে বারো জোড়া রথের চাকা রয়েছে।


৪। জামা মসজিদ দেখতে কেমন?


উত্তর: জামা মসজিদ খুব বড়ো। এর মধ্যে বিশাল বিশাল গম্বুজ রয়েছে। সামনে আছে বিরাট বারান্দা।


৫। ব্যান্ডেল ও টিপু সুলতান মসজিদ সম্বন্দ্বে দু-চার কথা লেখো।


উত্তর: টিপু সুলতান মসজিদ কলকাতার বড়ো মসজিদগুলোর মধ্যে একটা। এর ভেতর অনেক গম্বুজ আছে। আর মিনার আছে।


৬। ব্যান্ডেল চার্চ সম্বন্ধে অল্প কথায় লেখো।


উত্তর: ব্যান্ডেল চার্চ পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে পুরোনো চার্চ। ১৬৬০ সাল নাগাদ এটা বানানো হয়েছিল। এখানে জিশুর জীবনের গল্পকে পুতুলের মাধ্যমে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।


৭। টেরাকোটা ও কোনারকের সুর্যমন্দির কেন নষ্ট হচ্ছে। 


উত্তব়: মন্দিরের টেরাকোটার গায়ে লোকে আঁচড় কাটে বলে নষ্ট হচ্ছে। আর বঙ্গোপসাগরের খুব কাছেই কোনারকের সূর্যমন্দির। তাই নোনা জল হাওয়ায় এটি নষ্ট হয়ে যা


স্থাপত্য, ভাস্কর্য, সৌধ (পাঠ্যবই পৃ-১৫৬)


পুরোনো দিনের বাড়ি, মন্দির ইত্যাদিকে স্থাপত্য বলে। যেমন- কোনারকের মন্দির। সৌধ হল সেই স্থাপত্য, যার সঙ্গে কোনো মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। যেমন- তাজমহল। পাথর বা অন্যকিছুর গায়ে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা নকশা হল ভাস্কর্য।


৮। বাতাসের কোন্ কোন্ জিনিস স্থাপত্যের ক্ষতি করে?


উত্তর: কলকারখানা, গাড়ি থেকে বেরোনো বাতাসে মেশা ধুলো, ধোঁয়া স্থাপত্য-ভাস্কর্যের ক্ষতি করে।


৯। তাজমহল ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কী ক্ষতি হয়েছে?


উত্তর: বাতাসের ধুলো, ধোঁয়া তাজমহল ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মার্বেলের ক্ষতি করেছে। সাদা মার্বেল আর সাদা নেই। সেখানে কোথাও কালচে, কোথাও হলদে ছাপ পড়েছে।


১০। মানুষ কীভাবে স্থাপত্য-ভাস্কর্যের ক্ষতি করে?


উত্তর: কোনো মানুষ টেরাকোটার কাজ মন্দিরের দেয়াল থেকে খুলে নিয়ে যায়। কেউ বা স্থাপত্য ভাস্কর্যের গায়ে আঁচড় কাটে, পানের পিক ফেলে, কেউ বা দেয়ালে নাম লেখে।


১১। গান্ধিজিকে কেন 'জাতির জনক' বলা হয়?


উত্তর: ভারতের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গান্ধিজি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পিছনে তাঁর বড়ো অবদান ছিল। তাই তাঁকে 'জাতির জনক' বলা হয়।


১২। গান্ধিজি ছোটোবেলায় কীরকম মানুষ ছিলেন?


উত্তর: ছোটোবেলা থেকেই গান্ধিজি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি পরীক্ষার সময় কারোর দেখে উত্তর লিখতেন না। ছোটোবেলা থেকেই সততা ও সত্যের ওপর তিনি আগ্রহী ছিলেন।


১৩। সত্যাগ্রহ কী?


উত্তব়: সত্যের উপর আগ্রহ থেকেই 'সত্যাগ্রহ' কথাটি এসেছে। গান্ধিজি মনে করতেন সত্য আচরণই মানুষের কাজ হওয়া উচিত। তাই সত্যের জন্য তাঁর আন্দোলনকে বা লড়াইকে সত্যাগ্রহ বলা হয়।


১৪। গান্ধিজির যে-কোনো দুটি/ তিনটি চিন্তাভাবনার কথা উল্লেখ করো।


উত্তর: গান্ধিজি- (১) সত্যি কথা বলা, সৎ ও সহজ-সরল জীবনযাপনের ওপর জোর দিতেন।

(২) মনে করতেন অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পথে চল উচিত।

(৩) বলতেন ধর্ম, সম্পদায়, জাতপাত, গায়ের রং দিয়ে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা উচিত নয়।


 
 
 👉Paid Answer (For Membership User)
 
 
 
Editing by-Lipi Medhi