পরিবেশের
উপাদান : জড়বস্তুর জগৎ
----------------------------------------------------
👉Download Books PDF
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১।বস্তু কাকে বলে?
উত্তব়: আমরা চারদিকে যা কিছু দেখতে পাই তাকে বস্তু
২। বস্তু কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর: পদার্থ দিয়ে তৈরি।
৩। প্লাস্টিকের বোতল কি বস্তু?
উত্তর: বস্তু যা দিয়ে তৈরি তাকে পদার্থ বলে।
৪। প্লাস্টিকের বোতল প্লাস্টিক
দিয়ে তৈরি। তাই প্লাস্টিককে কী বলা হবে?
উত্তর: পদার্থ বলা হবে।
৫। পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: হ্যাঁ, প্লাস্টিকের বোতল বস্তু।
৬। পদার্থ কী কোনো জায়গা দখল
করে রাখে?
উত্তর: হ্যাঁ।
৭। বেলুনে কী থাকে?
উত্তর: বেলুনে গ্যাস থাকে।
৮। বেলুনে গ্যাস কোথা থেকে আসে?
উত্তর: বেলুন ফোলানোর সময় গ্যাস
ঢোকানো হয়?
৯। মশার ধূপ থেকে যে গ্যাস
বেরোয় তা কী করে বোঝা যায়?
উত্তর: মশার ধূপের গ্যাস নাক দিয়ে বুকে ঢুকলে কাশি পায়। তাই বোঝা
যায়।
১০। ব্লিচিং পাউডারের
গ্যাসেরগন্ধে কী অসুবিধা হয়?
উত্তর: ব্লিচিং পাউডারের গ্যাসে নাক, চোখ খুব জ্বালা করে।
১১। ধোঁয়ার মধ্যে কী মিশে থাকে?
উত্তর: অনেক গ্যাস ও কিছু গুঁড়ো গুঁড়ো জিনিস মিশে থাকে।
১২। হাওয়াকে আমরা কখন বুঝতে
পারি?
উত্তর: যখন গাছের পাতা দুলিয়ে দেয়।
১৩। হাওয়ায় কি গ্যাস থাকে?
উত্তর: হ্যাঁ, হাওয়ায় অনেক রকম গ্যাস মিশে থাকে।
১৪। গ্যাসকে কি খোলা জায়গায় ধরে
রাখা যায়?
উত্তর: না, গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
১৫। কোন পদার্থের কোনো আকার নেই?
উত্তর: জল এবং যে-কোনো তরলের কোনো আকার নেই।
১৬। কোন পদার্থ গড়িয়ে যেতে পারে?
উত্তর: তরল যথা- জল, দুধ, কেরোসিন প্রভৃতি গড়িয়ে যেতে পারে।
১৭। কঠিন কাকে বলে?
উত্তর: যাদের নিজস্ব আকার আছে তাদের কঠিন বসে যেমন-বই।
১৮। কয়েকটি কঠিন পদার্থের
উদাহরণ দাও।
উত্তর: ইট, কাঠ, মাটি, প্লাস্টিক, কাচ প্রভৃতি।
১৯। কয়েকটি তরল পদার্থের উদাহরণ
দাও।
উত্তর: জল, দুধ, পেট্রোল ইত্যাদি হল তরল পদার্থ।
২০। কয়েকটি গ্যাসীয় পদার্থের
উদাহরর দাও।
উত্তর: অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি হল। গ্যসেীয় পদার্থ।
২১। কোনো জিনিস ভাব়ী আব় কোনো
জিনিস হালকা তা কী কব়ে বোঝ যাব়ে ?.
উত্তৰ: জিনিস দুটোকে
দাঁড়িপাল্লায় মেপে বোঝা যাবে ।
২২। দাঁড়িপাল্লায় ওজনের জন্য
কীসের প্রয়োজন?
উত্তর: দাঁড়িপাল্লায় ওজনের জন্য বাটখারা প্রয়োজন।
২৩। যদি কোনো জিনিস ভারী হয় তবে
দাঁড়িপাল্লায় কী দেখা যাবে?
উত্তর: দাঁড়িপাল্লাটির যেদিকে
ভারী জিনিস রয়েছে সে দিকটাকে হেলে থাকতে দেখা যাবে।
২৪। বাটখারা দিয়ে কী মাপা হয়?
উত্তর: বাটখারা দিয়ে জিনিসের ভর মাপা হয়।
২৫। জলের কী ভর আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, জলের ভর আছে।
২৬। কোন্ কোন্ জিনিসের ভর আছে?
উত্তর: কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় জিনিসের ভর আছে।
২৭। কোনো জিনিস ভারী বা হালকা
তা দাঁড়িপাল্লা ছাড়া কীভাবে বুঝবে?
উত্তর: হাতে নিলে কোন্ জিনিস ভারী আর কোন্ জিনিস হালকা তা বোঝা যায়।
২৮। পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যার কিছু ওজন আছে এবং যে কিছু জায়গা নেয় তাকে পদার্থ (Matter) বলে।
২৯। পদার্থের কয়টি অবস্থা ও কী
কী?
উত্তর: পদার্থের তিনটি অবস্থা- কঠিন, তরল ও গ্যাস।
৩০। গ্যাস সিলিন্ডারের ওজন কখন
কমতে থাকে?
উত্তর: যখন পাইপের সাহায্যে
রান্নার কাজে সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তখন সিলিন্ডারের গ্যাস
কমতে থাকে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর
:
• শূন্যস্থান পূরণ করো:
১। বস্তু—-------------- দিয়ে
তৈরি।
২। আমরা দেখতে পাচ্ছি
সবই—--------------------।
৩। বস্তু রাখার
জন্য—--------------- চাই।
৪। বেলুনকে বাতাসে ফুলিয়ে নিয়ে ওটা রাখতে —-----------------জায়গা নেবে।
৫।—-----------------------
চোখে দেখা যায় না।
৬।- —-----------------এর গন্ধে
নাক-চোখ জ্বালা করে।
৭। বাতাসে
গাছের—--------------- নড়ে।
৮।—-------------- আকার আছে।
উত্তর: (১) পদার্থ, (২) বস্তু, (৩) জায়গা, (৪) বেশি (৫) গ্যাসকে, (৬) ব্লিচিং পাউডার, (৭) পাতা, (৮) কঠিনের।
• সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১। বালতি- (বস্তু/পদার্থ/মাছ) দিয়ে তৈরি।
২। (লোহা/পেরেক/গাড়ি)– পদার্থ।
৩। প্রত্যেক বস্তু অবস্থানের
জন্য-(পদার্থ/জায়গা/ভর) চাই।
৪। জলে ভরতি কোনো গ্লাসে আঙুল
ডোবালে জল (পড়ে/বয়ে/উপচে) যাবে।
৫। লোহা-(বস্তু/পদার্থ)
.
উত্তর: (১) পদার্থ, (২) লোহা, (৩) জায়গা, (৪) পড়ে (৫)পদাৰ্থ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১। পদার্থ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: পদার্থ তিন প্রকার-কঠিন পদার্থ, তরল পদার্থ, গ্যাসীয় পদার্থ।
২। কঠিন পদার্থের ১টি বৈশিষ্ট্য
লেখো এবং ১টি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে। একটি কঠিন পদার্থের
উদাহরণ-কাঠ।
৩। তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের একটি
সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখো এবং উদাহরণ দাও।
উত্তব়: তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার নেই। একটি তরল
পদার্থ হল দুধ। একটি গ্যাসীয় পদার্থ হল-বায়ু।
৪। কঠিন পদার্থের সঙ্গে তরল
পদার্থের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার থাকলেও তরল পদার্থের তা থাকে
না।
৫। কার ভর বেশি এবং তা বোঝার
উপায় কী?
উত্তর: যে জিনিস যত ভারী তার ওজন তত বেশি। তাই জিনিসের ওজন করে তা
বোঝা যায়। অর্থাৎ বাটখারা দিয়ে জিনিসের ভর মাপা হয়।
৬। দুটি জিনিসের ভর সমান তা
বোঝার উপর কী?
উত্তর: দাঁড়িপাল্লায় দুটি জিনিস দুদিকে রেখে যদি দেখা যায়
পাল্লা যে পাল্লা দুটি কোনো দিকেই হেলে নেই বুঝতে হবে জিনিস
দুটির ভর সমান।
৭। দাঁড়িপাল্লা কীভাবে তৈরি
করবে?
উত্তর: একটা একহাত মাপের শক্ত কাঠি দিয়ে তা মাঝামাঝি জায়গায় একটা
ফুটো করতে হয় ফুটোতে দড়ি বাঁধতে হবে। এবার দুটি সমান মাপেব় ঢাকনা নিয়ে তাতে দড়ি
পব়িয়ে কাঠিব় দুদিকেব় প্ৰান্তদেশে ওই দড়ি দিতে হবে , যাতে ঢাকনা দুটি দুদিকেব়
পাল্লা হিসেবে নীচেব় দিকে সমান ব়েসায়
অবস্থান কব়ে । এবাব় মাঝেব় দড়ি ধব়ে পাল্লাকে জিনিস
ওজনেব় কাজে ব্যবহাব় কব়া যাবে ।
৮। গ্লাসের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জল
কোথা থেকে এল?
উত্তর: বাতাসের জলীয় বাষ্প ঠান্ডার সংস্পর্শে আসায় ওই গ্লাসের গায়ে
জলের ফোঁটা দেখা দিয়েছে।
৯। গ্লাসের ওপরে খোঁয়াটা কী?
উত্তর: গ্লাসের ওপরে ধোঁয়াটা জলীয় বাষ্প। ঠান্ডা বরফের সংস্পর্শে
খুব ছোটো জলকণা তৈরি করেছে ও হাওয়ায় ভাসছে। তাদের গায়ে লেগে আলো ঠিকরাচ্ছে। ওই
ছোটো ছোটো জলকণাগুলিই ধোঁয়ার মতো দেখায়।
১০। গ্লাস থেকে একটু উঁচুতে
ধোঁয়া দেসা না যাওয়াব় কাব়ণ কী।
উত্তর: ছোটো ছোটো জলকণাগুলি উবে
গিয়ে হাওয়ায় মিশে যায়, তাই আর দেখা যায় না।
দলে করি বলাবলি, তারপরে লিখে ফেলি.
১১। জলের কয় রকম অবস্থা?
উত্তর: জলের তিন রকমের অবস্থা, যথা- কঠিন অবস্থা হল বরফ, তরল অবস্থায় হল জল, আর ফোটানে। জল থেকে বাষ্প
অবস্থা দেখা যায়।
১২। আমরা কখন বলি মিশ্রণ তৈরি
হয়েছে?
উত্তর: একের বেশি রকমের জিনিস
একসঙ্গে মিশে গেলে আমরা বলি মিশ্রণ তৈরি হয়েছে।
১৩। কয়েকটি মিশ্রণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: চালের সঙ্গে কাঁকরের মিশ্রণ, জলে চিনি ও নুনের মিশ্রণ, মুড়িতে মুড়ির গুঁড়োর
মিশ্রণ, বালি, সিমেন্ট ও জল দিয়ে সিমেন্ট
মিশ্রণ।
১৪। চাল ও কাঁকরের মিশ্রণ থেকে
কীভাবে চাল ও কাঁকর আলাদা করবে?
উত্তর: হাতে করে আলাদা করার পদ্ধতিতে কুলোতে মিশ্রণ রেখে চাল ঝেড়ে
নিয়ে কাঁকর আলাদা করে হাতে করে তুলে ফেলে দিতে হবে।
১৫। মিশ্রণ থেকে হাতে করে বস্তু
আলাদা করার পদ্ধতিটি কখন কার্যকরী হয়?
উত্তর: যখন মিশ্রণের মধ্যে জিনিসগুলিকে চোখে স্পষ্ট দেখা যায় তখন
হাতে করে মিশ্রণের জিনিসগুলো আলাদা করার পদ্ধতি কার্যকরী হয়।
১৬। তুষ কী? তুষের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: ধানের খোসাকে তুষ বলে। তুষ হাওয়ায় ভাসে।
১৭। চাল থেকে ধানের খোসা কীভাবে
আলাদা করা যায়?
উত্তর: মাঠে নিয়ে গিয়ে যেখানে হাওয়া দিচ্ছে সেখানে দাঁড়াতে হবে।
তারপর তুষসুদ্ধ ধান হাওয়ায় ভাসিয়ে দিতে থাকলে তা আলাদা হয়ে যাবে।
১৮। তুষ হাওয়ায় দূরে পড়ে যায়
কেন?
উত্তর: তুষ ধানের চেয়ে হালকা বলে বাতাসে উড়ে একটু দূরে পড়ে যায়।
১৯। ছাঁকনি দিয়ে কী করা যায়?
উত্তর : ছাঁকনি দিয়ে চায়ের লিকার নিয়ে পাতাকে আলাদা করা যায়। কারণ
ছাঁকনির ফুটোটা দিয়ে লিকার চা বেরিয়ে যাবে, চা পাতা আটকে থাকবে। ফলে চা পান করার উপযুক্ত হবে।
২০। মুড়ি থেকে মুড়ির গুঁড়োকে
কীভাবে আলাদা করা যাবে?
উত্তর: চালুনি দিয়ে চেলে আলাদা
করা যাবে। চালুনির ফুটো দিয়ে গুঁড়ো বেরিয়ে যাবে। কিন্তু মুড়ি চালুনিতে থেকে যাবে।
২১। কোন্ মিশ্রণ থেকে কীভাবে
জিনিসকে থিতানোর মাধ্যমে আলাদা করা যাবে?
উত্তর: যদি বালি ও চিনির মিশ্রণ হয় তবে ওই মিশ্রণকে জলে গুলে নিতে
হবে। এবার কিছুক্ষণ পাত্রটাকে ওইভাবে রেখে দিলে দেখা যাবে বালি নীচে বসে গেছে এবং
জল উপরে রয়েছে। ওই জল আস্তে করে ঢেলে নিলে চিনির জল পাওয়া যাবে। এরপর জল ফোঁটানো
শুষে যাবে এবং চিনি তলায় পড়ে থাকবে।
২২। চাল থেকে ধুলো বা তুষের কণা
কীভাবে পৃথক করবে?
উত্তর: চালকে জলে হাত দিয়ে নাড়ালে ওই ধুলো এবং তৃষকণা জলে ভেসে
উঠবে আর চাল তলায় থিতিয়ে পড়বে। জল গড়িয়ে দিলে চাল আলাদা হয়ে যায় থিতিয়ে ফেলা
পদ্ধতির মাধ্যমে।
২৩। পলিমাটি কীসের ফল?
উত্তর: পলিমাটি বন্যার জলে বাহিত
মাটি ও নানান পুষ্টিকণা সমৃদ্ধের জমিতে থিতিয়ে জমা হওয়া মাটি। থিতিয়ে আলাদা হওয়ার
পদ্ধতিতে জল থেকে ওই মাটি মাটিতে জমে। এই মাটি উর্বরতা বৃদ্ধি করে তাই চাষের
উপযোগী।
২৪। জলে নুন মিশিয়ে গুলিয়ে
নেওয়ার পর নুনকে ডি জল থেকে পৃথক করা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, যাবে, একটা বড়ো থালায় নুনগোলা
জলকে ২দি রোদে বসিয়ে রাখা যায়, তবে জল বাষ্প হয়ে বেরিয়ে যাবে। আর নুন দানা দানা হয়ে থালার
নীচের পড়ে থাকবে।
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing
By:- Lipi Medhi