১৯। অ্যাডভেঞ্চার: বর্ষায়

Very Short question Answer

১. মণীন্দ্র গুপ্ত কোন্ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?

উ: মণীন্দ্র গুপ্ত 'পরমা' নামের একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।


২. তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উ: তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম হল চাঁদের ওপিঠে।


৩. এই গল্পের কথক কী সূত্রে বাড়ি এসেছিল?

উ: এই গল্পের কথক গরমের ছুটি উপলক্ষে বাড়ি এসেছিল।


৪. খবর পেয়ে কারা কারা এল?

উ: কথকের আসার খবর পেয়ে ছোটোপিসিমা, সেজোপিসিমার চার ছেলেমেয়ের দল।


৫. 'টমবয়' শব্দের অর্থ কী?

উ: 'টমবয়' কথাটির অর্থ দুরন্ত বা ডানপিটে ছেলে।


৬. কার নাকে নোলক ছিল?

উ: সেজোপিসিমার মেয়ের নাকে নোলক ছিল।


৭. ভাই-বোনেরা মিলে কী ঠিক করল?

উ: ভাইবোন মিলে ঠিক করেছিল ছোটোপিসির বাড়ি হয়ে তারা সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে।


Short Question Answer

১. ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা করো।

উ: ছোটোপিসির বাড়ি যাবার পথটি ছিল মাটির। পথের দুপাশে ছিল নানা উচ্চতার পাটখেত। সেই উচ্চতা ভেদ করে গ্রীষ্মের রোদ প্রবেশ করতে পারত না। ওই পথেই পড়ত অশ্বিনী কুমার দত্তের গ্রাম বাটাজোড়।


২. সেজোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে ঝড়-বৃষ্টি এবং কইমাছ ধরার বিবরণ দাও।

উ: সেজোপিসিমার বাড়ি যাবার পথে হঠাৎই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে কথকেরা গাছের তলায় দাঁড়ান। খানিকবাদে দেখেন দূরের মাঠে জল জমেছে। আর সেই জলে পুকুর থেকে উঠে আসতে থাকে মাছ। কথকেরা সেই মাছগুলো তাদের উলটানো ছাতায় ভরে নেন।


৩. বড়োপিসিমার বাড়ি থেকে ফেরার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ফাঁকা মাঠে কথকের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা লেখো।

উ: কথকেরা সেজোপিসিমার বাড়ি থেকে ফেরার পথে তুমুল ঝড়-বৃষ্টির মাঝে পড়ে। বাতাসের বেগে জলকে ধোঁয়ার মতো মনে হচ্ছিল। খোলা মাঠে বাড়ন্ত বাধাহীনভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। আর তীক্ষ্ণ জলের ফোঁটা পিঠে পেরেকের মতো পড়ে যেন থ্যাবড়া হাতে চড়ের পর চড় মেরে চলছিল। ঝড়ের বেগ কথককে তিনগুণ সামনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।


৪. পাঠ্যাংশের নামকরণে 'অ্যাডভেঞ্চার' শব্দটি ব্যবহার কতটা যথাযথ হয়েছে, মতামত দাও।

উ: অ্যাডভেঞ্চার একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ দুঃসাহসিক কাজ। কথক তার ভাইবোনদের সঙ্গে পিসিমাদের বাড়ি গিয়েছিলেন। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে জনহীন প্রান্তর পেরিয়ে তারা গন্তব্যে পৌঁছায়। কমবয়সী ছেলেদের কাছে কাজটি খুবই কঠিন। এটা অবশ্যই তাদের সাহসের পরিচয় দেয়। তাই বর্ষায় তাদের পথচলা সত্যিই এক 'অ্যাডভেঞ্চার'।


৫. কোনো একটি বৃষ্টিমুখর দিনের কথা লেখো।

উ:আমি তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। সেবারে বর্ষায় একদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। একবার ভাবলাম স্কুলে যাব না। কিন্তু পাড়ার থেকে বেশি দূরে না হওয়ায় স্কুলে যেতেই হল।

স্কুল যাবার পর বৃষ্টি শুরু হল। সেদিন বেশি ছেলেমেয়ে স্কুলে আসেনি। স্যারেরাও আমরা গুটিকয়েক ছেলেমেয়ে। বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছেই। প্রধান শিক্ষক এমন দিনে মিড-ডে মিলে খিচুড়ি ও ডিমভাজা করার আদেশ দিলেন। এটা আমার অত্যন্ত প্রিয় খাবার। অঙ্কের স্যার তাঁর ছেলেবেলার এমনই এক বর্ষার দিনের গল্প আমাদের বললেন। একসময় খিচুড়ি তৈরি হল, ডিমভাজা হল। কিন্তু বৃষ্টি থামার নাম নেই। শেষে আমরা আমাদের রুমেই খেতে বসলাম। সবাই মিলে হইহই করে খেলাম। অনেক পরে বৃষ্টি থামলে যে যার বাড়ি ফিরে গেলাম। সেইদিনটির কথা আমরা আজও মনে আছে।


৬. নীচের দুটি ছবির মধ্যে ছয়টি অমিল খুঁজে বের করো: 

উ: পাঠ্যবইয়ের ৯৬ নং পৃষ্ঠার ছবিটি দেখে নিজে করো।


Fill in The Blanks

১. সেজোপিসিমার গ্রামের নাম—------------------।

উ: সেজোপিসিমার গ্রামের নাম চন্দ্রহার।


২. বাড়িতে যখন পৌঁছোলাম তখন—-------------------- শেষ সূর্যাস্তলেখা।

উ: বাড়িতে যখন পৌঁছোলাম তখন মেঘলোকে রক্তহীন শেষ সূর্যাস্তলেখা।


৩. —--------------মেয়ে একটি পাক্কা টমবয়।

উ: সেজোপিসিমার মেয়ে একটি পাক্কা টমবয়। একা একা ভিটে আগলান। ১


৪. —-------------একা একা ভিটে আগলান ।

উ: ছোটোপিসিমা একা একা ভিটে আগলান।


৫. পথঘাট জলে ভেজা, বাতাসে জলকণা।

উ: পথঘাট জলে ভেজা, বাতাসে জলকণা।



Editing By- Lipi Medhi