২। নরহরি দাস


Very Short Question Answer


১. 'আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে'। কে, কাকে একথা বলেছে?

উ: নরহরি দাস গল্পে ছাগলছানা ষাঁড়কে একথা বলেছে।


২. ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে বনে কেন গিয়েছিল? (নবাব বাহাদুরস ইনস্টিটিউশন)

উ: ভালো ঘাস খেতে ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল।


৩. 'ছাগলছানা নিজের নাম কী দিয়েছিল? (হেয়ার স্কুল)

উ: ছাগলছানা নিজের নাম দিয়েছিল নরসিংহ দাস।


৪. তাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি কোন্ সিনেমা তুমি দেখেছ?

উ: তাঁর লেখা গল্প অবলম্বনে 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' সিনেমা আমি দেখেছি।


৫. ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে কেন বনে গিয়েছিল?

উ: ছাগলছানা ষাঁড়ের সঙ্গে ভালো ঘাস খাবার জন্য বনে গিয়েছিল।


৬. গল্পে বাঘ হল শিয়ালের মামা, আর 'নরহরি দাস' নিজেকে কার মামা দাবি করল?

উঃ 'নরহরি দাস' নিজেকে সিংহের মামা দাবি করল।


৭. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম লেখো।

উ: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা আমার একটি প্রিয় বই হল- 'টুনটুনির বই'।


৮. অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে কী মনে করেছিল?

উ: অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে রাক্ষস ভেবেছিল।


Short Question Answer


১. ছাগলছানাকে শিয়াল ভয় পেল কেন?

উ:গর্তের অন্ধকারে কালো ছাগলছানার শুধু চোখগুলো দেখে শিয়াল প্রথমে তাকে রাক্ষস ভাবে। তার পরিচয় জানতে চায়। ছাগলছানা তখন উত্তর দেয় সে সিংহের মামা নরহরি দাস। পঞ্চাশটি বাঘ তার এক এক গ্রাস। একথা শুনেই শিয়াল প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যায়।


২. 'হ্যাঁগা, তুমি কী খাও'? - ছাগলছানা ষাঁড়কে কী ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল?

উ: ছাগলছানা ষাঁড়ের মতো এতবড়ো জন্তু এর আগে কখনো দেখেনি। সে ভেবেছিল ষাঁড় খুব ভালো জিনিস খেয়ে এতো বড়ো হয়েছে। তাই সে ষাঁড়কে এমন প্রশ্ন করেছিল।


৩. ছাগলছানা সেদিন রাতে কেন বাড়ি ফিরতে পারেনি?

উ: বাঁকুড়া জিলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ষাঁড়ের সঙ্গে বনে গিয়ে ছাগলছানা প্রচুর ঘাস খেয়েছিল। তার পেট এত ভারী হয়েছিল যে সে আর নড়তে পারেনি তাই সে বাড়ি ফিরতে পারেনি।


৪. বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল কেন? (দমদম মতিঝিল গার্লস হাইস্কুল)

উঃ শিয়াল খানিক আগেই বাঘের কাছ থেকে এসেছিল। তাই বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল।


৫. শিয়াল কোন্ শর্তে বাঘের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল?

উ: বাঘ তার লেজের সঙ্গে শিয়ালের লেজ বাঁধতে সম্মত হয়েছিল। এই শর্তেই সে বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল।


৬.  ছাগলের বুদ্ধির কাছে বাঘ কীভাবে হার মানল?

উ: বাঘ ও শিয়ালকে ফিরে আসতে দেখে ছাগলছানা বুদ্ধি করে শিয়ালের উদ্দেশ্যে বলেছিল তাকে দশটা বাঘ আনার পয়সা দিয়েছিল। সে এক বাঘ নিয়ে এল কেন। এতেই বাঘ ভয় পেয়েছিল ও হার মেনে পালিয়ে গিয়েছিল।



Long Question Answer


১. এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

উ: এই গল্পে আমার ছাগলছানাকে বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। তার কারণগুলি- (ক) ছাগলছানা না জেনে শিয়ালের গর্তে রাত কাটিয়েছে শিয়াল তখন সেখানে এসেছে সে বুদ্ধি করে নিজেকে নরহরি দাস বলেছে যাতে শিয়াল ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়।


২. এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

উ: এই গল্পে আমার ছাগলছানাকে বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। তার কারণগুলি- (ক) ছাগলছানা না জেনে শিয়ালের গর্তে রাত কাটিয়েছে শিয়াল তখন সেখানে এসেছে সে বুদ্ধি করে নিজেকে নরহরি দাস বলেছে যাতে শিয়াল ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

(খ) ছাগলছানা শিয়ালের সঙ্গে বাঘকে দেখেও ভয় পায়নি। সে শিয়ালের উদ্দেশ্যে দশ বাঘ আনার পয়সা নিয়ে ফেরার কথা বলেছে। এতেও শিয়াল ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে। সে বেঁচেও গেছে। গল্পে এভাবেই সে তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।


৩. 'বুদ্ধি যার বল তার'- এই কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এই গল্পে। এরকম অন্য কোনো গল্প তোমার জানা থাকলে লেখো। 

উ:এই গল্পের মতো অন্য আরেকটি গল্প হল- তৃষ্ণার্ত কাক। এক গ্রীষ্মের দুপুরে এক কাকের খুব তেষ্টা পেয়েছিল। এখানে সেখানে ঘুরেও কোথাও জলের খোঁজ পায়নি।। শেষে সে একটি মাঠে একটি কলসি দেখতে পেল। আশায় আশায় কাছে গিয়ে দেখল কলসিতে খুব কম জল আছে। অনেক চেষ্টা করেও সে জলের নাগাল পেল না। কিন্তু তেষ্টায় তার বুকের ছাতি একেবারে ফেটে যাচ্ছিল। তাই সে কী করা যায় ভাবতে লাগল। একটু পরে সে ছোটো ছোটো নুড়ি নিয়ে কলসির ভেতর ফেলতে লাগল। কলসির জল একটু করে উপরে উঠে আসতে লাগল। এমনিভাবে এক সময় সে জলের নাগাল পেল এবং নিজের তেষ্টা মেটাল। এভাবেই সে বুদ্ধি খাটিয়ে উপায় বের করল। নীতি: বুদ্ধি থাকলে উপায় হয়। বুদ্ধি যার বল তার।


৪. ছাগলছানাকে শিয়াল ভয় পেল কেন?

উ:গর্তের অন্ধকারে কালো ছাগলছানার শুধু চোখগুলো দেখে শিয়াল প্রথমে তাকে রাক্ষস ভাবে। তার পরিচয় জানতে চায়। ছাগলছানা তখন উত্তর দেয় সে সিংহের মামা নরহরি দাস। পঞ্চাশটি বাঘ তার এক এক গ্রাস। একথা শুনেই শিয়াল প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যায়।



Fill in The Blanks


১. সেখানে মাঠের পাশে বন আছে,------------ ।

উ: সেখানে মাঠের পাশে বন আছে, তার ধারে আছে মস্ত পাহাড়।


২. সেই বনের ভিতরে —------- ।

উ: সেই বনের ভিতরে খুব ভালো ঘাস ছিল।


৩. ছাগলছানাটা —------ ।

উ: ছাগলছানাটা কালো ছিল।


৪. বাঘ শিয়ালকে —------- ।

উ: বাঘ শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।


৫. বাঘ ভাবে —------- ।

উ: বাঘ ভাবে বুঝি সেই নরহরি দাস এল।


৬. সেই গর্তটা ছিল এক —----- ।

উ: সেই গর্তটা ছিল এক শিয়ালের।


৭. সে তার —----- বাঘের বাড়ি—---খেতে গিয়েছিল।

উ: সে তার মামা, বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল।


৮. —----একটি গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতরে—------ রইল।

উ: ছাগলছানা একটি গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতরে ঢুকে রইল।


৯. —------বাঘে মোর এক এক গ্রাস।

উ: পঞ্চাশ বাঘে মোর এক এক গ্রাস।


১০. তোকে দিলুম দশ বাঘের—-----

উ: তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি।



True And False 


১. ছাগলছানা বাস করত- (পাহাড়ের গর্তে/মাঠের ধারে/ ঝোপে/ বনের মাঝে)।

উ: পাহাড়ের গর্তে।


২. মা চলে যাবার পর ছাগলছানা যে প্রাণী দেখেছিল- (গোরু/সিংহ/ষাঁড়/ভালুক)।

উ: ষাঁড়।


৩. ছাগলছানা বনের মাঝে কার গর্তে ছিল- (বাঘের/ শিয়ালের/নেউলের/সিংহের)।

উ: শিয়ালের।


৪. শিয়ালের মামা হল- (সিংহ/বাঘ/ভালুক/হাতি)।

উ: বাঘ।


৫. নরহরি দাস ছিল সিংহের- (বাবা/কাকা/মামা/ছেলে)

উ: মামা।


৬. নরহরি দাস একগ্রাসে বাঘ খায় (৪০/৫০/৬০/৭০)।

উ: ৫০টি।


৭. নরহরি দাস শিয়ালকে যতগুলো বাঘের কড়ি দিয়েছিল (১০/১৫/২০/২৫)।

উ: ১০টি।


৮. বাঘ যত হাতলম্বা লাফ দিয়েছিল- (১০/১৫/২০/২৫)

উ: ২৫।





Editing By- Lipi Medhi