২২। আমার মা-র বাপের বাড়ি
Very Short Question Answer
১. রাণী চন্দের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ রাণী চন্দ প্রণীত দুটি বই হল- 'ঘরোয়া', 'পূর্ণকুম্ভ'।
২. তিনি কী কী সাম্মানিক উপাধি পেয়েছিলেন?
উঃ তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক' ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'সাম্মানিক ডক্টরেট' উপাধি লাভ করেন।
৩. পাঠ্যাংশে কাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে?
উ: পাঠ্যাংশে লেখিকা রাণী চন্দের মাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
৪. 'ছই' বলতে কী বোঝো?
উ: ছই বলতে বোঝায় নৌকোর ওপরের ছাউনিকে।
৫. কাদের সঙ্গে ছই-এর বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়?
উ: ছই-এর বাইরে লেখিকাকে দাদা ও মায়ের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়।
৬. কাদের 'বদর বদর হৈ' বলে চিৎকার করতে দেখা যায়?
উ: নৌকোর মাঝিদের 'বদর বদর হৈ' বলে চিৎকার করতে দেখা যায়।
৭. কোন্ নদীকে 'খ্যাপা নদী' বলা হয়েছে?
উঃ খ্যাপা নদী বলতে ধলেশ্বরী নদীকে বোঝানো হয়েছে।
৮. খালের বাঁকে বাঁকে কাদের কাদের বাড়ি চোখে পড়ে?
উঃ খালের বাঁকে বাঁকে যাওয়ার সময় জোলা, ভুঁই মালী ও শেখ মামাদের বাড়ি চোখে পড়ে।
৯. গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটিতে মামাবাড়িতে আসার পথ বদলে যায় কেন?
উ: বর্ষার জল জমে থাকার দরুণ পুজোর ছুটি ও গরমো ছুটিতে মামার বাড়ি আসার পথ পরিবর্তিত হয়।
Short Question Answer
১. লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার কী? সেখানে যাওয়ার যাত্রাপথটি বর্ণনা করো।
উ: লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার মামার বাড়ি। নদীপথে নৌকোয় চড়ে লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি যেতে হয়। মাঝে পড়ে ধলেশ্বরী ও ইছামতী। ধলেশ্বরী নদী খুব চঞ্চল। নদীর ঢেউ নৌকোয় আছড়ে পড়ত। ফলে এ নদীতে মাঝিরা খুব সাবধানে থাকত, কেন না যদি নৌকোর গতিপথ বদলে যায়। তুলনায় ইছামতী শান্ত। গুণ টেনে বা লগি বেয়ে পার হতে হত। নদীর পথে নৌকো থেকে দেখা যায় অসংখ্য গাঙচিল, শুশুক। বর্ষার পরে গেলে লেখিকাদের মামার বাড়ি যাবার পথ বদলে যেত।
২. পাঠটির অনুসরণে 'ধলেশ্বরী' নদীর পরিচয় দাও।
উঃ ধলেশ্বরী নদীটি বিশাল ও ভয়ংকর। এ নদী পার হওয়া মাঝিদের ও মাল্লাদের কাছে অত্যন্ত ভয়ের ব্যাপার। নদীর বিশাল বুকে নদীর স্রোত তালে বেতালে চলত। ঘোলা জল আছাড় মারত নৌকোয়। যদি নৌকোর গতিপথ বদলে যায়, সেই ভয়ে মাঝিরা অত্যন্ত সাবধান থাকত।
৩. নৌকোয় রান্নাবান্না ও খাওয়া-দাওয়ার বিশদ বিবরণ দাও।
উঃ ধলেশ্বরী পার হবার সময় মাঝিরা নৌকোর পাটাতনের তলায় উনুন ধরায়। মাটির মালসায় চাল ধুয়ে, চাল জল জ্বলন্ত উনানে বসিয়ে দেয়। ভাত হবার পর মাটির কড়াই-এ ইলিশ মাঝের ঝোল রান্না হয়। নুন-হলুদ আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে তাদের রান্না হয়। রান্না শেষে লাল লাল মোটা চালের ভাত আর ইলিশ মাঝের ঝোল দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারে। সবশেষে নদীর জলে মাটির বাসনপত্র ধুয়ে নেয়।
৪. পাঠ্যাংশ অনুসারে 'ইছামতী' নদী সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উ: ইছামতী শান্ত নদী। চলার গতি বেশ ধীর। তীরের দিকে এলে এ নদীতে জল কম। এ নদীর বাম দিকে আছে উঁচু পাড়। সেই পাড় থেকে একটি খাল এসে পড়েছে নদীর বুকে।
৫. লেখিকার দাদামশায়ের পরিবারের সঙ্গে বাবন খাঁ-দের পরিবারের সম্পর্ক কেমন ছিল? বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উ: লেখিকার দাদামশাইয়ের পরিবারের সঙ্গে বাবন খাঁয়ের পারিবারিক সম্পর্ক ভালো ছিল।
বাবন খাঁ ছিলেন লেখিকার দাদামশায়ের বন্ধু। শুধু তাই নয় বাবান খাঁ দাদামশাইকে বড়ো ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করতেন। লেখিকার মা তাঁকে বাবনচাচা বলে ডাকতেন। বাবনচাচার বড়ো ছেলে হোসেনকে লেখিকা মামা বলে ডাকতেন। লেখিকার মা তাকে হোসেন ভাই বলে ডাকতেন আর তিনিও আদর করে তাঁকে পুণি বলে ডাকতেন। লেখিকাদের আসতে দেখে হোসেন খাঁ এক কাদি কলা আর দুটো কাঁঠাল উপহার দেন।
৬. লেখিকার মাকে কেন জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে?
উ: লেখিকার মায়ের বাপের বাড়ি যেতে গেলেই নৌকায় করে যেতে হয়। পেরোতে হয় ধলেশ্বরী আর ইছামতী নদী। এছাড়াও আছে অসংখ্য খাল-বিল-নদী-নালা। বর্ষাকালে সেখানে জল জমে থাকে। তার মধ্য দিয়ে সবাই নৌকায় চলাচল করে। এ কারণেই তাঁকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
৭. পাঠ্যাংশে বাংলার পল্লিজীবনের বিভিন্ন ধরনের মানুষের মিলেমিশে একসঙ্গে থাকার যে ছবি ফুটে উঠেছে তা নানা ঘটনা উল্লেখ করে লেখো।
উ: লেখিকাদের নৌকো তাঁদের মামাবাড়ির ঘাটে ঢোকা মাত্র জোলা, ভূঁইমালী, শেখ প্রভৃতি বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে আসে। ভ্রাতৃ স্থানীয় হোসেন খাঁ অত্যন্ত খুশি হয়ে এক কাঁদি পাকা কলা ও কাঁঠাল উপহার দেন। আনন্দ সহকারে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় হয়। মেয়ে বাপেরবাড়ি আসায় সবাই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। এই চিত্র গ্রামজীবনে সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে এক প্রীতিপূর্ণ সামাজিক চিত্র তুলে ধরে।
৮. তোমার নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। যারা নৌকা চড়েনি তার একটি কাল্পনিক নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লেখো।
উ: আমার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে রূপনারায়ণ নদী। আর তাতে দেখি মাঝে মাঝে ভেসে চলে নানান ধরনের নৌকা। আমার খুব ইচ্ছে নৌকো চড়ি।
গত বৈশাখ মাসে হঠাৎ করে মামা ও তাঁর ছেলেমেয়েরা আমাদের বাড়িতে এলেন। উদ্দেশ্য নদীর ওপারে কোলাঘাটে বেড়াতে যাবেন। মনটা খুশিতে নেচে উঠল। বিকালের দিকে রোদের তাপ কমে এলে আমরা সকলে মিলে বেরিয়ে পড়লাম। উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠায় আমার বুক দূরদূর করছিল। যাই হোক মায়ের হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাঝ নদীতে এসে মনটা কেমন উদাস হয়ে গেল। নদীর বুক থেকে ভেসে আসছিল ঠান্ডা হাওয়া। চারদিকে কেমন একটা শান্ত শান্ত ভাব। ঝুঁকে একে অপরকে নদীর জল ছিটাতে লাগছিলাম। ফেরার সময় রাত হয়ে গিয়েছিল। পূর্ণ চাঁদের আলোয় জল চক চক করছিল। সে দৃশ্য আমি জীবনেও ভুলব না। নৌকোযাত্রা শেষ হওয়ার পর মন কেমন করছিল।
Fill in The Blanks
১. লাল লাল মোটা মোটা চাল দেখতে দেখতে —----------------করে ফুটতে আরম্ভ করে।
উ: লাল লাল মোটা মোটা চাল দেখতে দেখতে টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে।
২. ঢালু জমিতে—------------- জল।
উঃ ঢালু জমিতে থই থই জল।
৩. নন্দীদের বাঁধানো ঘাট থেকে —-------------- বিল দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত।
উঃ নন্দীদের বাঁধানো ঘাট থেকে ধু ধু বিল দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত।
৪. নৌকোও এগিয়ে চলে—---------- করে।
উ: নৌকোও এগিয়ে চলে তরতর করে।
৫. মাঝিরা জলের গতির উপরে—-----------।
উ: মাঝিরা জলের গতির উপরে নজর রাখে।
৬. ধলেশ্বরী নদী—--------------।
উঃ ধলেশ্বরী নদী তালে বেতালে চলে।
৭. হইচই উচ্ছ্বাস আনন্দে বাকি বেলাটুকু—-----------।
উ: হইচই উচ্ছ্বাস আনন্দে বাকি বেলাটুকু কেটে যায়।
৮. মুখে মুখে বার্তা—-----------------।
উ: মুখে মুখে বার্তা চলতে থাকে।
৯. মা আর দিদি নৌকোর ভিতরে—----------------।
উ: মা আর দিদি নৌকোর ভিতরে শুয়ে পড়েন।
১০. 'রাম' নাম—--------------।
উ: 'রাম' নাম বলো।