২৫। বাঘাযতীন

Very Short Question Answer

১. পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কার পৌত্র?

উ: পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বাঘাযতীন ওরফে যতীন্দ্রনাথ

মুখোপাধ্যায়ের পৌত্র।


২. তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উ: পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের লেখা একটি বইয়ের নাম হল 'আলোর চকোর।


১০.১ জ্য়োতিব় মায়েব় নাম কী ?

উ:জ্য়োতিব় মায়েব় নাম শব়ৎশশী ।


৩. মা জ্যোতিকে কোন্ নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন?

উ: জ্যোতির মা জ্যোতিকে গড়ুই নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন।


৪. রবি ঠাকুরের ভাইপো কে?

উ: রবি ঠাকুরের ভাইপোর নাম সুরেন ওরফে সুরেন্দ্রনাথ।


৫. জ্যোতির ন' মামার নাম কী?

উ: জ্যোতির ন' মামার নাম ছিল অনাথ।


৬. ফেরাজ খাঁ-এর বাড়ি কোথায় ছিল?

উ: ফেরাজ খাঁ-এর বাড়ি ছিল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ।


৭. জ্যোতির বড়ো মামার পেশা কী ছিল?

উ: জ্যোতির বড়ো মামার পেশা ছিল ওকালতি করা।


৮. 'পরদিন হেডমাস্টারের কাছে নালিশ গেল' এখানে কোন্ স্কুলের হেডমাস্টারের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে অ্যাংলো ভার্নাকুলার হাইস্কুলের হেডমাস্টারের কথা বলা হয়েছে।


৯. বাঘাযতীনের পুরো নাম কী?

উত্তর: বাঘাযতীনের পুরো নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।


১০. ফেরাজ খাঁ কে ছিলেন?

উত্তর: ফেরাজ খাঁ ছিলেন চাটুজ্যে বাড়ির পাহারাদার।


১১. জ্যোতির দিদির নাম কী ছিল?

উত্তর: জ্যোতির দিদির নাম ছিল বিনোদবালা।


Short Question Answer


১..'জ্যোতি যে যে চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসে সেগুলির নাম লেখো।

উ: জ্যোতি যে যে চরিত্রে অভিনয়ে করতে ভালোবাসে সেগুলি হল-ভক্ত হনুমান, লক্ষ্মণ, রাজা হরিশচন্দ্র, বীর প্রতাপাদিত্য।


২. এ গল্পটি পড়ে জ্যোতির যে কাজগুলিকে দুঃসাহসিক বলে মনে হয়েছে সেগুলি বর্ণনা করো।

উ: গল্পটি পড়ে জ্যোতির যে কাজগুলি দুঃসাহসিক বলে মনে হয়। সেগুলি হল-লাগামছাড়া ঘোড়ার পিঠে চড়ে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া, পাগলা ঘোড়ার পিঠে চেপে তাকে শান্ত করা, নারকোল বুকে চেপে অন্য কাউকে কাজও না দেওয়া।


৩. জ্যোতি কীভাবে সাঁতার শিখেছিল?

উ: জ্যোতির মা প্রতিদিন তাকে গড়ুই নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন। নদীর ধারে পৌঁছে শরৎশশী শাড়ির এক প্রান্ত জ্যোতির কোমরে বেঁধে তাকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। জোয়ারের প্রবল ঢেউ-এ জ্যোতি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ত, তখন মা তাকে নদী থেকে তুলে নিতেন। এইভাবে প্রতিদিন অনুশীলনের ফলে জ্যোতি সাঁতার শেখে।


৪. কৃল্পনগর স্কুলে জ্যোতির কাঁঠাল পাড়ার কাহিনিটি বর্ণনা করো।

উ: কয়নগরে স্কুলে জ্যোতি পড়বার সময় সেখানকার কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল পাকে। ইচ্ছা থাকলেও তা পেড়ে খাবার সাহস পাচ্ছিল না। একদিন জ্যোতি স্কুলের শেষে বন্ধুদের নিয়ে কাঁঠাল পেড়ে মহা আনন্দে খেয়েছিল। হেডমাস্টার মশাই সে খবর জানতে পেরে সকলকে তলব করলে জ্যোতি এসে বলে সে, নিজের স্কুলের গাছ থেকে পেড়ে কাঁঠাল খাওয়াকে সে চুরি বলে মনে করে না। তার এই সহজ যুক্তি শুনে হেডমাস্টার মশাই অবাক হয়ে যান।


৫. কৃষ্ণনগরে জ্যোতি কীভাবে একটি শিশুকে বাঁচিয়েছিল সেই কাহিনিটি লেখো।

উ: কৃষ্ণনগরে থাকাকালীন একদিন জ্যোতি বাজারে দেখে একটি পাগলা ঘোড়া ছুটে আসছে। তার সামনে আছে একটি শিশু। যে-কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা, সবাই ভয় পেয়েছিল। জ্যোতি একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে ঘোড়াটির উপর চেপে বসে এবং কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাকে বশে আনে। এভাবেই এলাকায় জ্যোতির নাম ছড়িয়ে পড়ে।


৬. জ্যোতির জীবনে তাঁর মা ও দিদির ভূমিকার কথা লেখো।

উ: জ্যোতির জীবনে তার মা ও দিদির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মা জ্যোতিকে সাঁতার শেখাতেন। দিদির সঙ্গে রাত্রিবেলা মায়ের কোলে শুয়ে তিনি ভারতীয় পুরাণ ও ইতিহাসের গল্প শুনতেন।


৭. পাঠ্যাংশে জ্যোতির জীবনে তাঁর মামাদের প্রভাব কেমন ছিল?

উ: ভোরবেলায় জ্যোতি মামাদের সঙ্গে কুস্তির আখড়ায় যেত। কুস্তির প্যাঁচ অভ্যাসের ফলে তার শরীরে এসেছিল কাঠিন্য। জ্যোতির ন' মামা ঘোড়ায় চড়া, শিকার, দৌড়ঝাঁপ ইত্যাদি জ্যোতিকে শিখিয়েছিলেন। বড়োমামা পেশায় উকিল ভাগনেকে ইংরেজি স্কুলে ভরতি করেছিলেন। ছোটো মামা ললিতের সঙ্গে জ্যোতি শখের থিয়েটারেও অভিনয় করত। দুর্গোৎসবে ছোটোমামা জ্যোতির অনুরোধে প্রজাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করত। এভাবেই মামারা জ্যোতির জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল।


৮. পাঠ্যাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে জ্যোতির শিশুসুলভ/ কিশোরসুলভ চাপল্যের উদাহরণ দাও।

উ: জ্যোতির শিশুসুলভ বিকাশের সুলভ চাপলোর উদাহরণ হল- লাগামছাড়া টাট্টুঘোড়ার পিঠে চড়ে গ্রামের কাদামাঠ পার হয়ে যাওয়া, স্কুলের ছেলেদের নিয়ে গাছ থেকে কাঁঠাল পেড়ে খাওয়া, শখের থিয়েটারে অভিনয় করা, মামার পাগড়ি চুরি করে হনুমানের লেজ বানানো ইত্যাদি।

কৃষ্ণনগর বাজারে জ্যোতি একবার এক পাগলা ঘোড়ার কবল থেকে একটি বাচ্চাকে রক্ষা করে। উন্মত্ত ঘোড়ার থেকে নিজেকে বাঁচাতে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন জ্যোতি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশুটিকে রক্ষা করে। ঘোড়াটাকে শান্ত করে। তারপর কিছুই হয়নি এমনভাবে সে তার নিজের পথে চলে যায়।


৯. জাতপাতের ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ছোটোবয়েসেই কীভাবে জ্যোতি অতিক্রম করতে পেরেছিল? 

উ: দুর্গাপূজার সময় জ্যোতির মামাবাড়িতে প্রজাদের ভাত রাঁধা হত। ভদ্রজনেদের জন্য সাদা ভাত থাকলেও সাধারণদের জন্য ছিল মোটা লাল চালের ভাত। একবার এক জেলে প্রজা জ্যোতির কাছে সাদা ভাত খেতে চায়। জ্যোতি তার ছোটোমামাকে ধরে সবার জন্য সাদা ভাতের ব্যবস্থা করে।


Fill in The Blanks

১. গ্রামের পাঠ এবার শেষ হলে---------------।

উত্তর: গ্রামের পাঠ এবার শেষ হল জ্যোতির


২. জ্যোতির ন'মামার নাম ছিল------------------।

উত্তর: জ্যোতির ন'মামার নাম ছিল অনাথ


৩. জ্যোতি বন্ধুদের সঙ্গে----------------- পেড়ে খেল

উত্তর: জ্যোতি বন্ধুদের সঙ্গে কাঁঠাল পেড়ে খেল।


৪. পাঁচু ফকির---------------- ফকিরের শিষ্য ছিল।

উত্তর: পাঁচু ফকির লালন ফকিরের শিষ্য ছিল।


৫. আট-দশটা --------------প্রজা মিলেও তার কাছ থেকে ফলটা কেড়ে নিতে পারত না।

উত্তর: আট-দশটা সাজোয়ান প্রজা মিলেও তার কাছ থেকে ফলটা কেড়ে নিতে পারত না।



    👉Paid Answer (90% Common)

Editing By- Lipi Medhi