৩২। মায়াদ্বীপ
Very Short Question Answer
১. 'মায়াদ্বীপ' গল্পের কথকের নাম কী?
উত্তর: 'মায়াদ্বীপ' গল্পের কথকের নাম নীলু।
২. কোন্ ঋতুতে তার মামাবাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা গল্পে রয়েছে?
উত্তর: বর্ষা ঋতুতে মামাবাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা আছে।
৩. কথকের মামাবাড়ি যেতে হলে কোন্ কোন্ নদী পেরিয়ে যেতে হবে?
উত্তর: কথকের মামাবাড়ি যেতে হলে বাতাসি ও পিংলা নদী পেরিয়ে যেতে হবে।
৪. গল্পে উল্লিখিত বানভাসি দ্বীপটির নাম কী ছিল?
উত্তর: গল্পে উল্লিখিত বানভাসি দ্বীপটির নাম-মায়াদ্বীপ।
৫. কথকের মায়ের অনেক শুশুক দেখা হয়ে ওঠে না কেন?
উত্তর: কথকের মায়ের চশমা খুঁজে পেতে দেরি হয় বলে অনেক শুশুক দেখা হয় না।
৬. নাদের আলির চেহারার কীরূপ বিবরণ গল্পে রয়েছে?
উত্তর: নাদের আলির মাথায় ঝাঁকড়া চুল, গালে কাঁচা পাকা দাড়ি এবং তার ঠোঁটে সবসময় হাসি লেগে থাকে।
৭. পিংলা নদীর মাঝের সেই দ্বীপে সবচেয়ে লম্বা গাছটি কী ছিল?
উত্তর: পিংলা নদীর মাঝের সেই দ্বীপে সবচেয়ে লম্বা গাছ শিমুল।
৮. ছোটোকাকা কথককে মারমেডদের সম্পর্কে কী জানিয়েছিল?
উত্তর: ছোটোকাকা কথককে মারমেডদের সম্পর্কে জানিয়ে ছিল যে, মানুষের দৃষ্টি ওরা সহ্য করতে পারে না। ওদের কষ্ট হয়।
৯. হঠাৎ হঠাৎ হুস করে মাথা তুলেই আবার ডুবে যায় জলে।
উত্তর: হঠাৎ হুস করে মাথা তোলে আবার ডুবে যায় জলে।
১০. নদীর মধ্যেও যে দ্বীপ থাকে, তা অনেকেই জানে না।
উত্তর: নদীর মধ্যেও দ্বীপ থাকে। এটা অনেকেই জানে না।
১১. নাদের আলি আবার চোখ খোলার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম।
উত্তর: নাদের আলি আবার চোখ খুলল। তারপরে আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
১২. মায়াদ্বীপের বর্তমান কোন্ পরিস্থিতির কথা গল্পে রয়েছে?
উত্তর: গল্পে উল্লিখিত মায়াদ্বীপটি বর্তমানে জলের তলায় চলে গেছে।
১৩. এই গল্পে কী কী গাছের নাম পেয়েছ তার একটি তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: এই গল্পে যে সব গাছের নাম পাওয়া গেছে-শিমূল, কলা।
Short Question Answer
৪.১ গল্পকথকের কাছে গাড়ি, ট্রেন বা এরোপ্লেনের চেয়েও নৌকোয় যাওয়া অনেক আরামের মনে হয়েছে কেন?
উত্তর: নৌকায় চেপে কোথাও গেলে সেখানে জলের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমের একটা আবেশ আসে। আর তাতে অনেক স্বপ্নও দেখা যায়। সে কারণে গাড়ি বা প্লেনে যাওয়া অপেক্ষা নৌকায় যাওয়া কথকের অনেক বেশি আরামের মনে হয়েছে।
৪.২ 'প্রত্যেক বাড়িতে থাকত নিজস্ব নৌকো।'- এমন বন্দোবস্তের কারণ কী ছিল?
উত্তর: গল্প কথকের মামাবাড়ি রাস্তাঘাট প্রায় সারাবছরই জলের তলায় ডুবে থাকত। ফলে নৌকা ছাড়া অন্য কিছুতে যাতাযাতের উপায় ছিল না। সে কারণে প্রত্যেকের বাড়িতে নিজস্ব নৌকা থাকত।
৪.৩ 'সেখানে সবসময় অনেক নৌকোর ভিড়।'- কোন স্থানের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: কথকের বাড়ি থেকে নদী ঘাট পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। সে নদী ছোটো হলেও তার ঘাটের পাশে বাজার বসত বলে সেখানে সবসময় অনেক নৌকার কিছু লেগে থাকত।
৪.৪ গল্পকথকের মামাবাড়ি থেকে কোনে আসত, সেটির কথা তিনি কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর: গল্পকথকের মামাবাড়ি থেকে যে নৌকা নিলে বাসের সেটি ছিল আকারে বড়ো। তার পাল ছিল রঙের। সেই নৌকায় মোট তিনজন মাঝি ছিল। তার মধে প্রধান মাঝির নাম ছিল নাদের আলি। সে কথকদের বিভিন্ন গল্প শোনাত।
৪.৫ 'বাতাসি' নদীতে নৌকো চড়ে যেতে যেতে আক্স শপাশের কীরূপ দৃশ্য দেখা যেত?
উত্তর: বাতাসি নদীতে নৌকায় চড়ে যেতে যেতে দুদিকের পাড় দেখা যেত। অনেক রকমের মানুষ, পুরোনো গাছ, মন্দির, মসজিদ, জমিদার বাড়ি এমন কি ঘাট বাঁধানো শ্মশানও দেখা যেত।
৩.৯ কথকের মামাবাড়িতে পৌছে ছোটোখাকা অম্লান বদনে কী বলেছিলেন?
উত্তর: কথকের মামাবাড়ি পৌঁছে ছোটোভাকা অম্লান বদনে বলেছিলেন যে, মারমেড বলে কিছু নেই। তিনি আরও বলেছিলেন যে, মায়াদ্বীপে তিনি মারমেড দেখেননি। আর নীলু বোধ হয় কলা গাছ দেখে ভুলবশত সেটিকে মারমেড ভেবেছে।