Chapter 4

এতোয়া মুন্ডার কাহিনি

----------------------

    👉Text Book PDF
    👉MCQ Online Exam
    👉MCQ Answer
    👉Paid Answer (For Membership User    

১। ঠিক শব্দটি বাছাই করো:

১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগাড়া/হাতিঘর/ হাতিবাড়ি/ শালগেড়িয়া।

উত্তরঃ গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগেড়িয়া।

১.২ মোতিবাবু ছিলেন গ্রামের-আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/ মাস্টার।

উত্তরঃ মোতিবাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার।

১.৩ 'এতোয়া' শব্দটির অর্থ-রবিবার/সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন।

উত্তরঃ  'এতোয়া' শব্দটির অর্থ রবিবার।

১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন-সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী।

উত্তরঃ শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা।

১.৫ ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি-পাহাড়ের/ঝরনার/নদীর/ গাঙের।

উত্তরঃ  ভুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি নদীর।


২। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্য সম্পূর্ণ করো:

২.১ আর হাতিশালাটা ছিল—-------------------।

উত্তরঃ  আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।

২.২ এতোয়ার দাদু বলে একসময় এটা ছিল—------------------- গ্রাম।

উত্তরঃ  এতোয়ার দাদু বলে একসময় এটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।

২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার—------------------- নাতিটার দিকে তাকায়।

উত্তরঃ  গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।

২.৪ তবে জঙ্গল তো—------------------- । 

উত্তরঃ তবে জঙ্গল তো মা।

২.৫ —--------------------- স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।

উত্তরঃ  প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।


৩। ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও:

৩.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

উত্তরঃ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।

৩.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?

উত্তরঃ  এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে?

৩.৩ ছোটনাগপুর ছাড়লাম।

উত্তরঃ  ছোটনাগপুর ছাড়লাম।

৩.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

উত্তরঃ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।

৩.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?

উত্তরঃ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?


৪। দুটি বাক্যে ভেঙে লেখা হল:

৪.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।

উত্তরঃ  গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।

৪.২ হাতিশালাটায় দেওয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।

উত্তরঃ  হাতিশালার দেওয়াল তোলা হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।

৪.৩ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।

উত্তরঃ  আমাদের কালে সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত। তারপর পাঠশালা পড়ত

৪.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!

উত্তরঃ এখনও সে লাফায়। নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ।

৪.৫ ভুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।

উত্তরঃ  ভুলং হেসে চলে যায়, বয়ে যায়। সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।


৫। বাক্যের ধরন:

৫.১ স্রোত কী জোরালো!

উত্তরঃ  বিস্ময়বোধক বাক্য।

৫.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।

উত্তরঃ নির্দেশক বাক্য।

৫.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।

উত্তরঃ সন্দেহদ্যোতক বাক্য।

৫.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?

উত্তরঃ  প্রশ্নবোধক বাক্য।

৫.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!

উত্তরঃ  বিস্ময়বোধক বাক্য।


৬। নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখো। (একটি করে দেওয়া হল):

৬.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো!

উত্তরঃ দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!

৬.২ এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।

উত্তরঃ এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে রে!

৬.৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না।

উত্তরঃ তুই এত বকিস এতোয়া যে তোর বাপেরও এত কথা শুধাবার সাহস হতো না।

৬.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।

উত্তরঃ বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।

৬.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।

উত্তরঃ  যত আদিবাসী আসছে তত মানুষ বাড়ছে।


৭। এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো:

৭.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।

উত্তরঃ  ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।

৭.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।

উত্তরঃ  তারা তখন শনশন তির ছোঁড়ে।

৭.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।

উত্তরঃ হাজার হাজার চাঁদ আগে।

৭.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।

উত্তরঃ আর ছিল পাথরের হাতিশালাটা।

৭.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।

উত্তরঃ গ্রামে প্রতি সপ্তাহে হাট বসে তো।


৮। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

৮.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন?

উত্তরঃ  লেখালেখি ছাড়াও মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের উপকারে জীবন সঁপে দিয়েছিলেন।

৮.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ  মহাশ্বেতা দেবী আদিবাসীদের জীবন নিয়ে অনেকগুলি বই লিখেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল 'অরণ্যের অধিকার'।

৮.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ  ছোটোদের জন্যও মহাশ্বেতা দেবী বেশ কিছু বই লিখেছেন। তার মধ্যে 'গল্পের গরু ন্যাদোশ' বিখ্যাত।


৯। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।

৯.১ "সেও এক ভীষণ যুদ্ধ”- কোন্ যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সিধু-কানুর নেতৃত্বে ১৮৫৭-৫৮ খ্রি. সাঁওতালেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছিল এখানে সেই যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। 

৯.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?

উত্তরঃ মোতিবাবুদের পূর্বপুরুষদের একটা মস্ত হাতিশালা ছিল। হাতিশালাটা ছিল পাথরের। তাতে ছিল তিরিশটা ঘর। সেই বিশাল হাতিশালাটা থেকে গ্রামের নাম হয়ে গেল হাতিঘর। 

৯.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?

উত্তরঃ  ভজন ভুক্তা অন্ধ মানুষ। অনেক গল্প জানে সে। সে এতোয়াকে আদিবাসী রাজার গল্প বলেছিল। তার পাশাপাশি জানিয়েছিল। এতোয়া খুব ভালো ছেলে। কিন্তু সে স্কুলে যায় না বলে। তার দুঃখ। গরিবদের ছেলেরা বাবুদের গোরু চরাবে, বন থেকে কাঠ আনবে, স্কুলে যেতে পারে না। পেটের জ্বালায়। গরিবরা এতোয়ার মতো ছোটো ছেলেদের বাবুদের কাজে। লাগিয়ে দেয়, স্কুলে পাঠায় না। অথচ এখন গ্রামেই স্কুল।। স্কুলের সাঁওতাল মাস্টাররা ঘরে ঘরে গিয়ে সকলকে বলেন ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে। অথচ এতোয়ারা স্কুলে যেতে পারে না। অন্ধ ভজন ভুক্তা দুঃখ করে এতোয়াকে সেই কথাই বলে।

৯.৪ হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ কলকাতা থেকে হাতিঘর যেতে গেলে হাওড়া রেলস্টেশন থেকে রেলগাড়ি চেপে যেতে হবে খঙ্গাপুর। সেখানে থেকে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরের সামনে নামতে হবে। গুপ্তমণি থেকে রোহিণী যাওয়ার বাস পেলে ভালো, না পেলে সাত - আট মাইল হেঁটে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে যেতে হবে। যেতে । যেতে ছোট্ট নদী পার হতে হবে। রোহিণী গ্রাম পেরিয়ে। আরও দক্ষিণে যেতে যেতে পড়বে ডুলং নদী। সেই নদী। পার হয়ে আরও খানিকটা হেঁটে যেতে যেতে যেই আকাশ। ছোঁয়া শাল আর একটা অর্জুন গাছ দেখা যাবে তখনই বুঝে নিতে হবে পৌঁছে গেছি হাতিঘর-এতোয়াদের গ্রামে।

৯.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল? অনুরূপ প্রশ্ন: এতোয়া নামটি কে, কেন দিয়েছিল?

উত্তরঃ আদিবাসীরা জন্মবারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখে। এতোয়া মানে রবিবার। এতোয়া রবিবারে জন্মেছিল বলে ওর বাবা ছেলের নাম রেখেছিল এতোয়া।

৯.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ  দশ বছরের বালক এতোয়া গ্রামের মোতিবাবুর কাছে কাজ। করে। ওর কাজ গোরু-ছাগল চরানো। সে গোরু-ছাগল। চরানোর সঙ্গে জ্বালানির জন্য কাঠকুটা, শুকনো পাতা কুড়িয়ে নেয়। হাটে গিয়ে একটা বস্তায় যা কিছু পায় পুরে নেয়। মজা পুকুরের পাড় থেকে শাক তোলে। তারপর গোরু নিয়ে ভুলং পেরিয়ে সে চরে ওঠে। ঘন সবুজ ঘাসবনে গোরু-মোষ ছেড়ে দেয়। তারপর ছুটে যায় সুবর্ণরেখার চরে। বাঁশেবোনা জালটা পাতে সেখানে। ধরা মাছ, তোলা শাক এইসব খাওয়ার কথা ভাবে। নদীর চরে, বনের মধ্যে বাগান এতোয়া নিজেকে মনে করে নদী, আকাশ, চরের রাজা। তাছাড়া মাস্টারের কাছে গল্পশোনা, অন্ধ ভজন ভুক্তাকে। হাত ধরে এগিয়ে দেওয়া এইসব তার রোজকার কাজ। শুধু সে স্কুলে যাওয়ার সময় আর সুযোগ পায় না।

৯.৭ "এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু..."- বক্তা কে? আগে কী ছিল? 

উত্তরঃ উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা অন্ধ ভজন ভুক্তা। আগে স্কুল ছিল অনেক দূরে। জঙ্গলের পথ ধরে চার মাইলহেঁটে গেলে তবে পাঠশালা ছিল।

৯.৮ সংকেতটি অনুসরণ করে একটি গল্প রচনা করো:

নদীর পাড়ে সূর্য অস্ত গেল। কোনো গ্রামে মাদল বাজছে। পরব এসে গেল। এখানে সব স্কুলে ছুটি পড়ে গেছে। এবারের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে...

উত্তরঃ অগ্রহায়ণ মাস শেষ হয় হয়। পরীক্ষার পালাও শেষ। এখন খাতা দেখা, ফল তৈরির পালা চলছে। স্কুলের ক্লাস বন্ধ। আমাদের ছুটি। এই ছুটিটাকে আমরা মজার ছুটি বলি। এই জন্য বলি, এই সময় স্কুল নেই, পড়া নেই। শুধুই খেলা, শুধুই মজা। অন্তত পনেরোটা দিন।

     মাঠের ধানকাটা প্রায় শেষ। ধান মাঠ ফাঁকা। কোনো কোনো মাঠে সরষে গাছ বেশ লম্বা হয়ে উঠেছে। হাওয়ায় দুলছে। পরিষ্কার আকাশ। উজ্জ্বল সূর্যালোক। মাঝারি শীত। আমরা ক'জন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম সুবর্ণরেখা নদীর চরে গিয়ে বনভোজন করব। সারাদিন বনে মাঠে চরায় চরে বেড়াব।

     বড়োরা আপত্তি করল না। বরং ছোটকা, মানে শ্যামুর ছোটোকাকা বলল, আমি তোদের রান্না করে দেব। তোরা ঘুরবি ফিরবি আর শুকনো কাঠ জড়ো করে আনবি।

      হারাধনের দশটা ছেলের মতো আমরা দশবন্ধু মালপত্তর নিয়ে ছোট্‌স্কার নেতৃত্বে গ্রাম থেকে ভোরবেলায় বেরিয়ে পড়লাম। বনপথ গ্রাম্যপথ পেরিয়ে নদীর চরে পৌঁছোলাম প্রায় দেড়ঘণ্টা পর। টানা চার মাইল হাঁটা হল। একটু দেরি হল-হাঁটতে হাঁটতে গান হল, কথা হল, আর হল হরেক রকমের পাখির গান শোনা।

     জলখাবার খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম নদীর চরায় ঘোরার জন্য। তার আগে শুকনো ডালপালা কুড়িয়ে ছোট্টাকে দিয়ে আসা হয়েছে। রান্নাটাতো করতে হবে।

      চরার নীচে জল, কোথাও হাঁটু জল, কোথাও বুকজল। পাথরও জেগে আছে অনেক জায়গায়। নদীর ওপরে ঘন বন। বড়ো বড়ো গাছ। শাল, সাবু, অর্জুন যেমন আছে, পলাশ, মহুয়াও কম নেই। আর কত যে পাখি আর তাদের কলকাকলি শুধু মানুষজন নেই বললেই হয়।

    হঠাৎ বল্লা জলে ঝাঁপ দিল। এই ঠান্ডায়! ওর শীত করে না। বুক জলে সাঁতার দেয়। একজন জাল ফেলে মাছ ধরছিল। বল্লা তার কাছ থেকে চাঁদা পুঁটি খয়রা এসব অনেক মাছ নিয়ে পারে উঠে এল। 

    দুপুরে পেট ভর্তি খাওয়া হল। ছোটকা না থাকলে এ সব হত না। ছায়াটা ক্রমশ লম্বা হয়ে যাচ্ছিল। ছোেট্টা বলল, Iশীতের বেলা বড্ড ছোটো। এখনই হাঁটা না দিলে পথে অন্ধকার নেমে আসবে। সারা পথটা গান গাইতে গাইতে চলা হল। গ্রামের মধ্যে ঢুকেও গান থামতে চায় না। এমন দিন কেন রোজ হয় না!

১০। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১০.১ গ্রামটার নাম-হাতিয়াড়া/হাতিঘর/হাতিগোড়া/হাতিবাড়ি।

উত্তরঃ  গ্রামটার নাম হাতিঘর।

১০.২ হাতিশালাটা ছিল-মাটির/পাথরের/ইটের/দরমার।

উত্তরঃ হাতিশালাটা ছিল পাথরের।

১০.৩ হাতিঘর গ্রামের আগের নাম ছিল- শালগাড়া/ শালগেড়িয়া/শালতোড়া/শালঘেরা।

উত্তরঃ হাতিঘর গ্রামের আগের নাম ছিল শালগেড়িয়া।

১০.৪ এতোয়ার দাদুর নাম হল-মঙ্গল/সোমরা/বুধুয়া/সোমাই।

উত্তরঃ এতোয়ার দাদুর নাম হল মঙ্গল।

১০.৫ এতোয়ার বয়স-আট/নয়/দশ/এগারো বছর।

উত্তরঃ এতোয়ার বয়স দশ বছর।

১০.৬ এতোয়া ছিল মোতিবাবুর-চাকর/বাগাল/ পাহারাদার/ পালোয়ান।

উত্তরঃ এতোয়া ছিল মোতিবাবুর বাগাল।

১০.৭ এতোয়ার নামটি দিয়েছিল-দাদু/বাবা/মা/ঠাকুমা।

উত্তরঃ  এতোয়ার নামটি দিয়েছিল দাদু।

১০.৮ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে গল্প বলেছিল-আদিবাসী রাজার/বনের রাজার/সিপাহি বিদ্রোহের/সাঁওতাল বিদ্রোহের।

উত্তরঃ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে গল্প বলেছিল আদিবাসী রাজার।

১০.৯ এতোয়ার পদবি হল-সরেন/মুন্ডা/টুডু/লোধা/

উত্তরঃ  এতোয়ার পদবি হল মুন্ডা।

১০.১০ ভুলুং নদীর আদিবাসী নাম-দরংগাড়া/বড়ো ঝোরা/গৌতম ধারা/দুয়ার সিনি।

উত্তরঃ  ডুলুং নদীর আদিবাসী নাম হাতিঘর।

১০.১১ "এতোয়া ওর প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে চলে যায় গেরুয়া সমুদ্দুর পেরিয়ে কত সময়-" গেড়ুয়া সমুদ্দুরটি হল ভুলং/ সুবর্ণরেখা/ভুলং এবং সুবর্ণরেখা যেখানে মিশেছে/ কংসাবতী (পর্ষদ নমুনা)

উত্তরঃ সুবর্ণরেখা।

১০.১২ সোমে জন্মালে সাঁওতালরা ছেলের নাম রাখে-সোমরা, সোমাই/মঙ্গল/এতোয়া/বীরসা  (বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজিয়েট স্কুল)

উত্তরঃ  সোমরা, সোমাই।

১০.১৩ আদিবাসী মানুষরা গ্রামদেবতার পূজা দেয় পোড়ামাটির হাতি ও—----------- দিয়ে।- (চাকদহ পূর্বাচল বালিকা বিদ্যালয়)

উত্তরঃ  ঘোড়া।


১১। শূন্যস্থান পূরণ করো।

১১.১ মোতিবাবুর পূর্ব পুরুষেরা মস্ত—------------------- ছিলেন।

উত্তরঃ  মোতিবাবুর পূর্বপুরুষেরা মস্ত জমিদার ছিলেন।

১১.২ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার —---------------------- নাতিটির দিকে  তাকায়।

উত্তরঃ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটির দিকে তাকায়।

১১.৩ হাঁটতে হাঁটতে—---------------------- পার হলাম।

উত্তরঃ হাঁটতে হাঁটতে সুবর্ণরেখা পার হলাম।

১১.৪—--------------------- হল গ্রামের ঠাকুর, দেবতা।

উত্তরঃ মোতিবাবু হল গ্রামের ঠাকুর, দেবতা।

১১.৫ ভুলুং নদী খানিক বাদেই মিলেছে

উত্তরঃ ডুলুং নদী খানিক বাদেই মিলেছে সুবর্ণরেখায়।

১১.৬ সবাই—---------------------- মন্দিরে প্রণামী দেয়।

উত্তরঃ  সবাই গুপ্তমণির মন্দিরে প্রণামী দেয়।

১১.৭—------------------------- জলে নাকি এখনো সোনার রেণু পাওয়া যায়।

উত্তরঃ  সুবর্ণরেখার জলে নাকি এখনো সোনার রেণু পাওয়া যায়।

১১.৮ ভজন ভুক্তা—---------------------------- মানুষ।

উত্তরঃ  ভজন ভুক্তা অন্ধ মানুষ।।


১২। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১২.১ 'এতোয়া' শব্দটির অর্থ কী? 

উত্তরঃ  'এতোয়া' শব্দটির অর্থ রবিবার।

১২.২ এতোয়াদের গ্রামের আগের নাম কী ছিল?

উত্তরঃ  এতোয়াদের গ্রামের নাম আগে ছিল শালগেড়িয়া।

১২.৩ এতোয়ার দাদুরা নিজেদের বাস ছেড়ে এখানে কত বছর আগে এসেছিল?

উত্তরঃ এতোয়ার দাদুরা হাজার হাজার চাঁদের আগে এখানে এসেছিল।

১২.৪ হাতিশালায় কতগুলো ঘর ছিল?

উত্তরঃ  হাতিশালায় তিরিশটা ঘর ছিল।

১২.৫ কারা বনজীবী?

উত্তরঃ গ্রামের লোধারা বনজীবী।

১২.৬ এতোয়া কীভাবে সুবর্ণরেখা নদী পার হয়?

উত্তরঃ এতোয়া মোষের পিঠে চড়ে সুবর্ণরেখা নদী পার হয়।

১২.৭ 'গড়াম' শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ  'গড়াম' শব্দের অর্থ হল গ্রাম দেবতা।

১২.৮ গুপ্তমণি মন্দিরে কারা প্রণামি দেয়?

উত্তরঃ বোম্বে রোডে যত ট্রাক বাস চলে সবাই গুপ্তমণির মন্দিরে প্রণামি দেয়।

১২.৯ এতোয়াকে দেখলে কী মনে হয়?

উত্তরঃ এতোয়াকে দেখলে মনে হয় এক ক্লান্ত বাচ্চা ঘোড়া।

১২.১০ এতোয়া কোথায় যাত্রা দেখেছে?

উত্তরঃ এতোয়া রোহিনি গ্রামে যাত্রা দেখেছে।

১২.১১ অন্ধ ভজন ভুক্তা হাটবারে কী করে? 

উত্তরঃ অন্ধ ভজন ভুক্তা হাটতলায় গল্প বলে গান গায়।

১২.১২ কোন্ কোন্ নদী বয়ে যাওয়ার কথা এতোয়ার গল্পে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ডুলং ও সুবর্ণরেখা নদীর বয়ে যাওয়ার কথা এতোয়ার গল্পে বলা হয়েছে।

 

👉Download Books PDF

Paid Answer (For Membership User)

 Editing By:- Lipi Medhi