Lesson 1 

ভরদুপুরে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

-------------------------



সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:


১ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যে-কাব্যের জন্য 'অকাদেমি পুরস্কার' পান-


(ক) 'নীল নির্জন'  


(খ) 'উলঙ্গ রাজা' 


(গ) 'অন্ধকার বারান্দা'


(ঘ) 'কলকাতার যীশু


উত্তর: উলঙ্গ রাজা


২. 'ভরদুপুরে' কবিতায় কবি প্রথমেই যে-গাছটির কথা বলেছেন সেটি হল-


(ক) বট গাছ  


(খ) তাল গাছ    


(গ) দেবদারু গাছ                     


(ঘ) অশথ গাছ 


উত্তর: অশথ গাছ


৩. "তলায় ঘাসের গালচেখানি" কীসের তলায়?


(ক) অশথ গাছের তলায়


(খ) বেল গাছের তলায়


(গ) মন্দিরের তলায়


(ঘ) ধর্মতলায়


উত্তর: অশথ গাছের তলায়


৪. "তলায় ঘাসের গালচেখানি" কেমন করে পাতা?


(ক) হাল্কা করে


(খ) পুরু করে


(গ) আদর করে


(ঘ) এলোমেলো করে


উত্তর: আদর করে


৫. "চরছে দূরে"- কী চরছে?


(ক) গোরু-ছাগল


(গ) গোরু-মোষ


(খ) গোরু- বিডাল


(ঘ) গোরু-বাছুর


উত্তর: গোরু-বাছুর


৬. "দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায়"- কীভাবে মেঘ গুলো যায়?


(ক) দ্রুতগতিতে


(খ) ধীরগতিতে


(গ) সারি বেঁধে


(ঘ) আকাশটাকে ছুঁয়ে


উত্তর: আকাশটাকে ছুঁয়ে


৭. জাল "খোলের মধ্যে”- কী আছে?


(ক) শুকনো খড়


(গ) শস্যবীজ


(খ) ধান


(ঘ) খাদ্যদ্রব্য


উত্তর: শুকনো খড়


৮. আল "খোলের মধ্যে বোঝাই করে"- কীসের খোল?


(ক) জাহাজের


(গ) লঞ্চের


(খ) স্টিমারের


(ঘ) নৌকার


উত্তর: নৌকার


৯. "কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায়"-কী ওড়ায়? 


( ক) মিহিন সাদা বালি 


(খ) রুক্ষ ধুলো


(গ) মিহিন সাদা ধুলো


(ঘ) শুকনো পাতা


উত্তর: মিহিন সাদা ধুলো


১০. আর "যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে লোকগুলো।" কোন্ সময়ে লোকে ঘুমোচ্ছে?


(ক) মাঝদুপুরে


(খ) ভরদুপুরে


(গ) দিনদুপুরে


(ঘ) বিকেলবেলায়


উত্তর:  ভরদুপুরে


১১. 'ভরদুপুরে' শুধুমাত্র কারা ঘুমোয় না?.


(ক) শিশু


(খ) মানুষ


(গ) বুড়ো


(ঘ) পশু


উত্তর: মানুষ


১২. "বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।" -কীভাবে ঘুমোচ্ছে?


(ক) শয্যা পেতে


(খ) মাদুর পেতে


(গ) আঁচল পেতে


(ঘ) গামছা পেতে


উত্তর: আঁচল পেতে।


একটি বাক্যে উত্তর দাও:


১. 'ভরদুপুরে' কবিতায় কবি কোন গাছকে, কাদের ছাতা বলেছেন?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 'ভরদুপুরে' কবিতায় অশথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলেছেন।


২. গালিচা সাধারণত কোথায় পাতা হয়?'


উত্তর: গালিচা সাধারণত ঘরের মেঝেতে পাতা হয়।


৩. 'ভরদুপুরে' কবিতায় গাছের তলায় কী পাতা আছে বলে কবি উল্লেখ করেছেন?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 'ভরদুপুরে' কবিতায় গাছের তলায় ঘাসের গালিচা পাতা আছে বলে উল্লেখ করেছেন।


৪. 'ভরদুপুরে' কবিতায় রাখাল কোথা থেকে, কী দেখছে?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'ভরদুপুরে' কবিতায় রাখাল অশথ গাছের নীচে শুয়ে মেঘেদের আকাশকে ছুঁয়ে যাওয়া দেখছে।


৫. অত 'ভরদুপুরে' কবিতায় নৌকোর খোলে কী বোঝাই করা আছে?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'ভরদুপুরে' কবিতায় নৌকোর খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করা আছে।


৬. অত 'ভরদুপুরে' কবিতায় নৌকো কোথায় বাঁধা আছে?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'ভরদুপুরে' কবিতায় নৌকো নদীর ধারে অর্থাৎ, কিনারায় বাঁধা আছে।


৭. এর 'ভরদুপুরে' কবিতায় বাতাস কী ওড়াচ্ছে?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'ভরদুপুরে' কবিতায় বাতাস মিহি সাদা ধুলো ওড়াচ্ছে।


৮. 'ভরদুপুরে' কবিতায় বিশ্বভুবন কীভাবে ঘুমোয়?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'ভরদুপুরে' কবিতায় বিশ্বভুবন আঁচল পেতে ঘুমোয়।


৯. দিনকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়?


উত্তর: দিনকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়-সকাল, দুপুর, বিকাল।


১০. কোন্ সময়কে ভরদুপুর বলে?


উত্তর:  সাধারণভাবে সূর্য যখন মাথার ওপর সোজাসুজি অবস্থান করে, তখন খুব বেশি সূর্যের তাপ অনুভূত হয়। এই সময়কেই ভরদুপুর বলে।


১১. অশথ গাছের মতো আরও কয়েকটি গাছের নাম লেখো, যেসব গাছের ছায়া পাওয়া যায়।


উত্তর:  বট গাছ, আম গাছ, নিম গাছ, ছাতিম গাছ প্রভৃতি গাছ থেকে ছায়া পাওয়া যায় ।


১২. মেঘ ছাড়া আর কাকে আকাশকে ছুঁয়ে যেতে দেখা যায়?


উত্তর:  মেঘ ছাড়াও উড়োজাহাজকে আকাশকে ছুঁয়ে যেতে দেখা যায়।


১৩. গালচেকে আর কী নামে তুমি চেনো?


উত্তর: গালচেকে কখনও আমরা কার্পেট বলি, কখনও বলি ফরাশ।


১৪ ঘাসের গালচেকে কবি 'আদর করে পাতা' বলেছেন কেন?


উত্তর:  আদরের মধ্যে আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকে। নরম ঘাসের গালচের মধ্যে একইরকম আন্তরিকতা দেখে, কবি এমনটা বলেছেন।


১৫ 'ভরদুপুরে' কবিতায় রাখাল শুয়ে শুয়ে কী দেখছে?


উত্তর:  'ভরদুপুরে' কবিতায় রাখাল শুয়ে শুয়ে দেখছে, ভাসমান মেঘগুলি আকাশকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।


১৬  'কেউ কোথা নেই' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?


উত্তর:  'কেউ কোথা নেই' বলতে কবি ভরদুপুরে রাস্তাঘাট যে ফাঁকা থাকে, সেই কথাই বুঝিয়েছেন।


১৭ 'ভর' শব্দটি পরে বসিয়ে তিনটি শব্দ লেখো।


উত্তর: জীবনভর, রাতভর, দিনভর।


১৮ 'ভরদুপুর' শব্দটি উচ্চারণ করতে বাগ্যন্ত্র ক-বার বিশ্রাম নেয়?


উত্তর:  'ভরদুপুর' শব্দটি উচ্চারণ করতে বাগ্যন্ত্র তিনবার বিশ্রাম নেয় — ভর-দু-পুর। 


এককথায় উত্তর দাও:        


২.১ রাখাল কী দেখছে?


উত্তর: রাখাল বালক শুয়ে শুয়ে আকাশছোঁয়া মেঘেদের আনাগোনা দেখছে। 


২.২নৌকার খোলে কী বোঝাই করা আছে?


উত্তর: নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করা আছে।  


২.৩যাতে নৌকা কোথায় বাঁধা আছে?


উত্তর: নৌকা বাঁধা আছে নদীর ধারে অর্থাৎ, নদীর কিনারায়। 


২.৪ মানুষজন কোথায় ঘুমোচ্ছে?


উত্তর:  মানুষজন সকলে নিজেদের ঘরে ঘুমোচ্ছে।


২.৫ গাছের তলায় কী পাতা আছে?


উত্তর: গাছের তলায় নরম ঘাসের গালিচা পাতা আছে।  


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :    


১. অশথ গাছ-কে 'পথিকজনের ছাতা' বলার কারণ কী ?


উত্তর: হাতেকলমে' অংশের  ২.১ নং-এর প্রশ্নোত্তরটি দ্যাখো। 


২. বিশ্বভুবন কীভাবে আঁচল পেতে ঘুমোয় ?


উত্তর: 'হাতেকলমে' অংশের ১২.১ নং প্রশ্নের অনুকরণে লেখো।


৩'.গালচেখানি আদর করে পাতা' বলতে কী বোঝো ?


উত্তর:  'অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর' অংশের ৩.১৪ নং প্রশ্নের অনুসরণে লেখো।



নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:


১) "আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে"-কবির এমন ভাবনার কারণ কী?


উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর 'ভরদুপুরে' কবিতায় এক অলস দুপুরের চিত্র এঁকেছেন। দুপুরবেলা চারিদিক নিস্তব্ধ, জনমানবহীন। সকলে যে-যার ঘরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমনকি সূর্যের প্রচন্ড তাপে জীবজন্তু, পশুপাখিরাও নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। পৃথিবীও যেন তার কর্মচাঞ্চল্য হারিয়েছে। শুধু বাতাস এসে মিহি সাদা ধুলো ওড়াচ্ছে। এমন দুপুরে মানুষজন, পশুপাখি, গাছপালা- সহ প্রকৃতির এই স্তব্ধ, নিশ্চল হয়ে থাকা দেখেই কবির মনে হয়েছে, সমস্ত বিশ্বভুবন যেন সব কিছুকে ভুলে নিজেই 'আঁচল পেতে' গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রকৃতির এই স্তব্ধ, নিশ্চল রূপই কবির এমন ভাবনার কারণ।


২) 'ভরদুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায় ফুটে ওঠা সেই ছবিটা কেমন লেখো।


উত্তর: আধুনিক বাংলা কাব্যজগতের অন্যতম বিশিষ্ট কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর 'ভরদুপুরে' কবিতায় একটি অলস ও শান্ত দুপুরের ছবি তুলে ধরেছেন। অশথ গাছের নীচে প্রকৃতির পাতা সবুজ ঘাসের গালিচা যেন অলস দুপুরের সুখশয্যা। গোরু- বাছুরগুলিকে চরতে দিয়ে রাখাল সেই নরম ঘাসের গালিচায় শুয়ে তার মাথার ওপরের দিগন্তজোড়া নীল আকাশটিকে দেখছে। টুকরো টুকরো ভেসে-বেড়ানো মেঘ দেখে তার মনে হয়, মেঘগুলি যেন আকাশটিকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। নদীর ধারে বাঁধা রয়েছে খড় বোঝাই করা একটি নৌকা। চারিদিক জনমানবশূন্য। কেবল বাতাস এসে মিহিমিহি সাদা ধুলো উড়িয়ে যাচ্ছে। দুপুরের এই নিস্তব্ধতা দেখে কবির মনে হয়েছে, শুধুমাত্র মানুষজনই নয়, এমন নিস্তব্ধ দুপুরে সমগ্র বিশ্বপ্রকৃতিও যেন আঁচল পেতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ।



                                       

উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন


    👉Download Books PDF