Lesson 12
পিঁপড়ে অমিয় চক্রবর্তী
• দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১) পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা কী?
উত্তর:পরম সহানুভূতিতে পিঁপড়েদের জন্য কবির একান্ত প্রার্থনা হল- পিঁপড়েরা যেন আলোর গন্ধ ছুঁয়ে সারা ভুবন ভরিয়ে তোলে আর তাদের সর্বাঙ্গে যেন লেগে থাকে ধুলোর রেণু।
২) পিঁপড়েদের ক্ষেত্রে কবি কী চান না?
উত্তর:শৃঙ্খলাবদ্ধ পিঁপড়েদের কাউকে সরিয়ে দিয়ে, কবি তাদের দুঃখ দিতে চান না।
৩) পিঁপড়েরা কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: পিঁপড়েরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে, মাটির নীচে, গাছের ফাঁকা গর্তে বা উপযুক্ত কোনো স্থানে বাসা তৈরি করে একত্রে বসবাস করে।
৪) আর 'পিঁপড়ে' কবিতায় 'আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে' কথাটি কত বার ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর:'পিঁপড়ে' কবিতায় 'আহা পিঁপড়ে ছোটো পিঁপড়ে' কথাটি তিন বার ব্যবহৃত হয়েছে।
• নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
১)পিঁপড়ের ভাষাহীন চলাচলের মধ্যে বিনিময়ের ভঙ্গিটি কেমন?
উত্তর: পিঁপড়ের অবিরাম পথ চলাটা 'ব্যস্ত মধুর'। কাজের মধ্যেই সে খুঁজে পায় তার জীবনের ছন্দময় আনন্দ ও সৌন্দর্য। তার কর্মমুখর জীবনযাত্রা এবং চলার গতিই বুঝিয়ে দেয় যে, সে খুব ব্যস্ত। সেই চলাচলের মধ্যে তার ব্যস্ততার ছবি কবিতায় ফুটে উঠেছে। মানুষের মতো পিঁপড়েরা কথাবার্তার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ না-রাখলেও, তাদের চলার ছন্দে, গতির ছন্দের মধ্য দিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে ভাববিনিময়ের একটি মাধ্যম বা সূত্র গড়ে ওঠে।
২)"মাটির বুকে যারাই আছি এই দু-দিনের ঘরে”-'এই দু- দিনের ঘরে' বলতে কী বোঝো? কে সবাইকে কীভাবে এই 'দু-দিনের ঘরে' আদরে ঘিরে রাখে?
উত্তর:'দু-দিনের ঘর' বলতে জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষুদ্র সময়সীমার মধ্যে আমাদের যে-কর্মযাপন, তাকেই বোঝানো হয়েছে।
• নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১) অমিয় চক্রবর্তী কোথায় অধ্যাপনা করতেন?
উত্তর: অমিয় চক্রবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যু পলজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন।
২) তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর:তাঁর দুটি কবিতা বইয়ের নাম হল 'পারাপার', 'পালাবদল'।
• নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:
১) কবির কী দেখে 'কেমন যেন চেনা লাগে' মনে হয়েছে?
উত্তর: পিঁপড়ের ব্যস্ত মধুর চলা দেখে কবির 'কেমন যেন চেনা লাগে' বলে মনে হয়েছে।
২) 'কেমন যেন চেনা লাগে'- কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:ছোটো পিঁপড়ের ঘোরাফেরা, ব্যস্ততা, মধুর চলায় কবির মনে পরিচিত কোনো মানুষের কথা ও তাঁর অভিব্যক্তির স্মৃতি জেগে ওঠায় তিনি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
৩) কবি কাউকে দুঃখ দিতে চাননি কেন?
উত্তর: ছোটো পিঁপড়েরা সারাদিন তাদের নিজেদের কর্মব্যস্ততায় বুঁদ হয়ে থাকে। ছোটো ছোটো পায়ে তারা পথ চলতেই থাকে। তাদের এই পথচলা ব্যস্ত এবং মধুর। নিজেদের কাজে পিঁপড়েরা ভীষণভাবে
নিযুক্ত থাকে। সংবেদনশীল কবি তাদের এই নিয়মানুবর্তিতা ও ছন্দময় আচরণ দেখে মুগ্ধ হয়ে কাউকেই অহেতুক বিরক্ত করতে বা দুঃখ দিতে চাননি।
৪) 'সেই অতলে ডাকুক'-কে, কাকে এই ডাক দেয়?
উত্তর: ছোটো পিঁপড়ে সাধারণ মানুষ বা মাটির বুকে যারা দু-দিনের ঘরে আছে, তাদের ডাক দেয়।
৫) কবি আজ প্রাণের কোন্ পরিচয় পেয়েছেন?
উত্তর: ক্ষুদ্রাকার পিঁপড়েরাও তাদের কর্মব্যস্ত জীবন নিয়ে গাছের তলায় নীচের দিকে গভীর অতল প্রবেশ করে চলেছে। তাদের এই চলায় কবি মানবজীবনের জন্ম থেকে কর্মজীবন পার হয়ে মৃত্যুর পথে যাত্রা করার ধ্রুব সত্যটিকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। প্রাণের এই ধ্রুবসত্যই কবির কাছে প্রাণের পরিচয়রূপে ধরা দিয়েছে।
৬) 'দু-দিনের ঘর' বলতে কী বোঝো?
উত্তর:কবিতার 'দু-দিনের ঘর' শব্দটি অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। পৃথিবীতে কোনো প্রাণই অবিনশ্বর নয়। প্রত্যেক প্রাণেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবলুপ্তি অনিবার্য। মৃত্যু এসে একদিন জীবনকে ছিনিয়ে নেবেই।