Lesson 18
এক ভূতুড়ে কাণ্ড শিবরাম চক্রবর্তী
-----------------------------------------
১. নীচের
প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. শিবরাম
চক্রবর্তীর পোশাকি নাম কী?
উত্তরঃ শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম
হল চঞ্চল চক্রবর্তী।
২. তাঁর
লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা দুটি
বিখ্যাত বইয়ের নাম হল-'হাসির টেক্কা', 'হর্ষবর্ধন' ও 'গোবর্ধন'।
নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.
"সাইকেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে!"- লেখকের গন্তব্য কোথায়? সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ
এসেছে কেন?
উত্তরঃ লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর
গন্তব্যস্থল হল হুডু।
লেখক শিবরাম চক্রবর্তী একবার অন্যের একটি সাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন হুডুর
দিকে। রাঁচির রাজপথ না-হলেও রাস্তাটি ছিল বেশ চওড়া। কিন্তু, মাইল সাতেক যেতে-না-যেতেই তাঁর
সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়। একে জনমানবহীন জংলি পথ, তার ওপর রাস্তার পাশের জঙ্গলে ছিল ভয়ংকর বাঘের উপদ্রব। এমন
অবস্থায় লেখক কী করবেন ভাবতে থাকেন। সামনে মাইল পাঁচেক যেতে পারলে হয়তো গ্রামের
নাগাল পাওয়া যেত, কিন্তু যেতে গেলে সাইকেল কাঁধে
করে নিয়ে যেতে হবে। এ কথা বুঝতে পেরেই সাইকেল ঘাড়ে করে চলার প্রসঙ্গ এসেছে।
২.
"যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়"-প্রবাদটির মর্মার্থ কী? একই ভাব বোঝাতে তুমি আর-একটি
প্রবাদ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ 'যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে
হয়' -প্রবাদটির মর্মার্থ হল- যেখানে
বিপদসংকুল স্থান সেখানেই যত বিপত্তি দেখা দেয়।
একই ভাব বোঝায়, এরকম আর-একটি প্রবাদ বাক্য হল- 'যেদিকে যমালয় সেদিকের পথ অল্প
হয়'
৩.
"চিরদিনই আমি আশাবাদী"-এই আশাবাদের গুণে লেখক কীভাবে পুরস্কৃত হলেন?
উত্তরঃ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার
ব্যাপারে শিবরাম চক্রবর্তী চিরকালই আশাবাদী ছিলেন। তিনি এ ধরনের নানা বিপদমুক্তির
ঘটনা বিভিন্ন গল্পে লক্ষ্য করেছেন এবং তাঁর নিজের লেখা গল্পেও তার ব্যতিক্রম
ঘটেনি। বাস্তবেও তাই ঘটতে পারে বলে কথক আশা করেছেন। হলও তাই। কিছুক্ষণ পরে একটি অস্টিন
কোম্পানির ছোট্ট গাড়ি এগিয়ে এসেছিল মন্থরগতিতে। ফলে নির্জন রাস্তায় কথক কালক্ষেপ
না-করে সেই গাড়ির দরজা খুলে তাতে চড়ে বসেন। এভাবেই, লেখক আশাবাদের গুণে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
৪. গল্প অনুসরণে সেই নির্জন বনপথে
লেখকের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তরঃ কথক যখন অন্ধকারময় ও জনমানবহীন
জংলি পথে একাকী অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আত্মরক্ষার কথা ভাবছেন, তখন তাঁর মনে আশা জাগে যে
নিশ্চয়ই কোনো-না-কোনো ব্যবস্থা হয়তো হবে। কারণ তাঁরই অনেক গল্পে এমন বিপদ থেকে
উদ্ধার লাভের কথা তিনি লিখেছিলেন এবং এই ধরনের অনেক গল্পও তিনি পড়েছেন। খানিক বাদে
হঠাৎ দেখা যায়, একটি লরি মধ্যমগতিতে রাঁচির
দিকে চলেছে। লেখক প্রাণপণে টর্চের আলো ঘোরান, কিন্তু সেই লরিটিকে দাঁড় করাতে ব্যর্থ হন। তারপর তাঁর
দুশ্চিন্তা শুরু হয় নিজের প্রাণরক্ষার বিষয়ে। কিছুক্ষণ পরে দুটি হলুদ রঙের চোখকে
কুয়াশা ভেদ করে আসতে দেখে প্রথমে লেখক ভাবেন হয়তো-বা বাঘ আসছে। পরে বোঝা যায় সেটি
বাঘ নয়, এটি একটি অস্টিন কোম্পানির গাড়ি
যেটি মন্থরগতিতে এগিয়ে চলেছে। লেখক কালক্ষেপ না-করে ছুটে গিয়ে দরজা খুলে তাতে চড়ে
বসেন। তারপর ড্রাইভারকে তাঁর গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়েই তাঁর কণ্ঠস্বর আটকে
যায়। কারণ, গাড়ির ইঞ্জিনও চলছে না এবং
ড্রাইভারও তার জায়গাতে নেই, অথচ গাড়ি চলছে। কথকের মনে হয়, তাহলে ভূতেই গাড়ি চালাচ্ছে। ভয়ে
তাঁর সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে থাকে। ঘণ্টাদুয়েক এভাবে চলার পর একটি লেভেল
ক্রসিংয়ের মুখে গাড়িটি পৌঁছোতেই কথকের হুঁশ ফেরে। কারণ তখন হুস হুস শব্দে একটি
রেলগাড়ি তেড়ে আসছিল। রেলগাড়ির চাকায় নিশ্চিত মৃত্যুর কথা ভেবে কথক কোনোরকমে গাড়ির
দরজা খুলে লাফিয়ে পড়ে বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান। এমনই একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার
সম্মুখীন হয়েছিলেন লেখক তথা কথক শিবরাম চক্রবর্তী।
৫.
"বাঘের দৃষ্টিভঙ্গি ওরকম উদার হতে পারে না।"- কোন্ উদার দৃষ্টিভঙ্গির
কথা বলা হয়েছে? লেখকের কাছে সেই 'দৃষ্টিভঙ্গি' কতটা উদারতা নিয়ে এসেছিল, তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ লেখক শিবরাম চক্রবর্তী
অন্ধকারময় জংলিপথে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে যখন আত্মরক্ষার কথা ভাবছিলেন, ঠিক তখনই দুটি হলুদ রঙের চোখ
কুয়াশা ভেদ করে রাঁচির জংলি-পথে ধীর মন্থরগতিতে এগিয়ে আসতে থাকে। কথকের মনে হয়, বোধহয় বাঘ আসছে। কিন্তু দুটি
হলুদ চোখের মধ্যে যে ব্যবধান বা দূরত্ব দেখা যাচ্ছিল তাতে বোঝা যায়, সেটি বাঘ নয়- কোনো গাড়ি। আলোচ্য
প্রসঙ্গেই এই দুটি চোখের দূরত্বকেই উদার দৃষ্টিভঙ্গি বলা হয়েছে।
সেই 'দৃষ্টিভঙ্গি' যথার্থ উদারতা নিয়েই লেখকের
কাছে দেখা দিয়েছিল। জনমানবহীন অন্ধকারময় জংলিপথে কথক যখন আত্মরক্ষার ব্যাপারে
যথেষ্ট চিন্তিত হয়েছিল, তখনই গাড়িটি ধীর মন্থরগতিতে
এগিয়ে এসেছিল লেখকের দিকে। লেখক দ্রুত গাড়ির দরজা খুলে নিজেই গাড়িতে চড়ে
বসেছিলেন-কারও কোনো অনুমতি না-নিয়ে। অতটা নির্জন, অন্ধকার পথ বিনা ভাড়ায় কথক এই গাড়িটি চড়ে অতিক্রম করছিলেন।
সুতরাং, গাড়িটি লেখকের কাছে যথেষ্ট
উদারতা নিয়েই আবির্ভূত হয়েছিল।
৬. "এই
হয়ত সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ।”- কোন্ সুযোগের কথা বলা হয়েছে? লেখক কীভাবে সেই সুযোগকে কাজে
লাগালেন?
উত্তরঃ হুডু যাওয়ার পথে মাইল পাঁচেক
জনমানবহীন অন্ধকারময় জংলিপথে যেতে যেতেই কথকের সাইকেলের টায়ার ফেটে যায়। ফলে, বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনো
গাড়ির মাধ্যমে বাকি রাস্তা অতিক্রম করার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
কথক অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে যখন ভাবছেন, কীভাবে সশরীরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছোবেন, ঠিক তখনই একটি বেবি অস্টিন ধীরে
ধীরে এগিয়ে আসতে থাকে কথকের দিকে। তিনি প্রথমে। টর্চের আলো দেখিয়ে থামাতে চেষ্টা
করেন। কিন্তু তাতে সফল না-হয়ে তিনি ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে হাঁকতে থাকেন। তাতেও
গাড়িটির থামার কোনো লক্ষণ না-দেখে আর কালক্ষেপ না-করেই দ্রুত এগিয়ে গিয়ে গাড়ির
দরজা খুলে তাতে চেপে বসেন কথক। অতঃপর বিনা ভাড়ায়, নির্জন রাস্তায় বাঘের হাত থেকে রক্ষা পেতে, দীর্ঘ পথ হেঁটে অতিক্রম না-করে, বাকি পথটুকু তিনি সেই গাড়িতে
অতিক্রম করেন।
৭.
"আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম”-লেখক কেন তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে
রইলেন?
উত্তরঃ কথক তথা লেখক শিবরাম চক্রবর্তী
সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগটিকে গ্রহণ করার জন্য বিনা অনুমতিতে ধীর গতিতে চলন্ত
একটি গাড়ির দরজা নিজে খুলে তার ভিতরে বেশ আরামেই চেপে বসেন। তারপরই ড্রাইভারকে
লক্ষ্য করে তাঁর নামার স্থানটির নাম জানাতে গিয়েই দেখলেন, ড্রাইভারের স্থানটি ফাঁকা। ভয়ে
তাঁর চোখ দুটি ঠিকরে বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়। শীতের ভ রাত্রেও তাঁর গায়ে ঘাম ঝরতে
শুরু করে। হাতের আঙুল পর্যন্ত হয়ে ও যায় অবশ। জিভ তাঁর টাকরায় আটকে থাকায় পুরো
কথাটি বলা হয়ে ওঠে না। তিনি হাঁ করে তাকিয়ে থাকেন ড্রাইভারের বসার জায়গার দিকে।
কথক ভাবতেই পারেননি, এমনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে
হবে তাঁকে।
৮. "বে-ড্রাইভার গাড়ি যেমন চলছিল
তেমনি চলতে লাগল"-'বে-ড্রাইভার
গাড়ি' চলার প্রকৃত কারণটি কীভাবে
গল্পে উন্মোচিত হল?
উত্তরঃ 'বে-ড্রাইভার গাড়ি'-টি চলার প্রকৃত কারণ জানা যায়, গল্পের শেষে। গাড়িটি একটি লেভেল
ক্রসিং-এর কাছে এসে থামলে দেখা যায়, চোখে চশমা পরিহিত এক ভদ্রলোক গাড়িটির পেছন দিক থেকে বেরিয়ে
আসেন কথকের দিকে। কথকও তখন সদ্য গাড়ি থেকে নেমে গাড়িটির ইঞ্জিন ও চালকবিহীন চলার
রহস্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছেন। তখনই সেই চশমা পরিহিত ভদ্রলোক কথককে অনুরোধ
করেন। বলেন, আট মাইল দূরে গাড়িটির যন্ত্রাংশ
বিকল হয়েছে। তিনি সেখান থেকে গাড়িটিকে একাই ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে এসেছেন এই লেভেল
ক্রসিং পর্যন্ত। লেভেল ক্রসিং-এর রাস্তা পেরোলেই তাঁর বাড়ি। সুতরাং, বুঝতে অসুবিধা হয় না যে 'বে-ড্রাইভার' গাড়িটি চলার প্রকৃত কারণটি কী
ছিল।
৯. 'এবারও আমার আলস্যই জয়ী হল
শেষটায়।'- গল্প অনুসরণে লেখকের উৎকণ্ঠা, আলস্য ও কর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত
দাও।
উত্তরঃ সমগ্র পাঠ্যাংশটি জুড়ে কথক তথা
লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার উৎকণ্ঠা, বাকি পথটি হেঁটে না-যাওয়ার
অলসতা এবং সামনে হঠাৎ একটি গাড়ি পেয়ে যাওয়ায়, তাতে দ্রুত উঠে পড়ার ঘটনায় তাঁর কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।
কথকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ায় তিনি জনমানবহীন জংলিপথে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে
আত্মরক্ষার ব্যাপারে ভাবছিলেন। ভাবছিলেন, কীভাবে বাকি পথটা তিনি অতিক্রম করবেন। আশাবাদীও ছিলেন
কোনো-না-কোনো ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে ভেবে। কিন্তু কোনো অবলম্বন না-পেয়ে তিনি ভাবতে
বাধ্য হন, বাকি পথটা হয়তো তাঁকে সাইকেল
ঘাড়ে করে হেঁটেই যেতে হবে! এমন সময় একটি লরি দ্রুত গতিতে তাঁর সামনে দিয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পরে আর-একটি ছোটো গাড়ি ধীরগতিতে আসায় লেখক কালক্ষেপ না-করে বিনা
অনুমতিতেই অতি দ্রুত তাতে উঠে পড়েন এবং কিছুটা পথ এগিয়ে যান।
১০. শেষ
পর্যন্ত লেখক সেই 'বেবি অস্টিন' থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন? এরপরে তিনি কোন্ পরিস্থিতির
মুখোমুখি হলেন?
উত্তরঃ 'বেবি-অস্টিন' গাড়িতে উঠে বসার পর যখন কথক
দেখলেন, ড্রাইভারের জায়গাতে কেউ বসে নেই, এমনকি ইঞ্জিনও চলছে না, অথচ গাড়িটি একই গতিতে এগিয়ে
চলেছে, তখন তিনি খুব ভয় পেয়েছিলেন।
তবুও কথক হেঁটে যাওয়ার চেয়ে আরামে বসে যাওয়াকে বেশি জরুরি বিবেচনা করে প্রাণের
মায়া ছেড়ে দিয়ে সেই ভূতুড়ে গাড়িতেই আশ্রয় নিয়ে চুপ করে বসে রইলেন। শেষে, একটি লেভেল ক্রসিং-এর সামনে
গিয়ে উপস্থিত হলে দ্রুত গতিতে একটি ট্রেনকে আসতে দেখে লেখক ভয় পেয়ে গিয়ে হঠাৎ গাড়ি
থেকে বেরিয়ে পড়েন।
লেখক গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন, গাড়িটিও
যথারীতি থেমে গিয়েছে। তিনি যখন গাড়িটির এমনভাবে চলাচলের রহস্য অনুসন্ধান করার
চেষ্টা করছিলেন, তখন গাড়ির পিছন থেকে চশমা
পরিহিত এক ভদ্রলোক বেরিয়ে এসে সেই রহস্যের সমাধান করেছিলেন। তিনি জানান, বহুদূর থেকে গাড়িটি ঠেলতে ঠেলতে
তিনি এতদূর এসেছেন। রেলের লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে সামনেই তাঁর বাড়ি।
১ সঠিক
উত্তরটি নির্বাচন করো:
১. তার চেয়ে
(সিংহের / বাঘের / ভাল্লুকের) পেটের মধ্যে দিয়ে স্বর্গে যাওয়া ঢের শর্টকাট।
উত্তরঃ বাঘের
২. গাড়িতে
বসে (কনডাক্টর / ড্রাইভার / পাইলট)-কে লক্ষ্য করে বলতে গেছি।
উত্তরঃ ড্রাইভার
৩.
জনমানবহীন পথ, জায়গাটাও (ভূতুড়ে / জংলি/
অন্ধকার)।
উত্তরঃ জংলি
৪.
(গ্রীষ্মের রাত / শীতের রাত / শরতের রাত) ফিকে চাঁদের আলো, তার ওপর কুয়াশার পর্দা পড়েছে।
উত্তরঃ শীতের রাত
৫.
(ট্রামগাড়ির / রেলগাড়ির / বাসগাড়ির) আগমনি কানে আসতেই আমি চমকে উঠলাম।
উত্তরঃ রেলগাড়ির
৬.
"তাঁর দয়া, এবং আমার ধন্যবাদ।" -বক্তা
কার উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন? (ভূত/দৈত্য / পিশাচ)।
উত্তরঃ ভূত
৭. 'এক ভূতুড়ে কান্ড' গল্পে বক্তা কোন্ জায়গায় এসে
মৃত্যুদূতের কথা বলেছেন? (ভাঙা বাড়ি /
পুরোনো রাজপ্রসাদ / লেভেল ক্রসিং)।
উত্তরঃ লেভেল ক্রসিং
৮. 'এক ভূতুড়ে কান্ড' গল্পের বক্তা কোন্ গাড়িতে উঠে
ভয় পেয়েছিলেন? (মারুতি / অস্টিন / জিপ)।
উত্তরঃ অস্টিন
৯. 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে ভূতুড়ে গাড়ির চালক কোথায়
ছিল? (গাড়ির পিছনে / গাড়ির ছাদে /
গাড়ির থেকে দু-হাত দূরে)।
উত্তরঃ গাড়ির পিছনে
১০. 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে বক্তার যেখানে সাইকেল
খারাপ হয়ে যায়, সেখান থেকে তাঁর গন্তব্য কত দূর? (চার মাইল / পাঁচ মাইল / আট
মাইল)।
উত্তরঃ পাঁচ মাইল
১১.
"দেখেছিলাম রাঁচিতে।"-বক্তা কী দেখেছিলেন? (ভূত / অদ্ভুত একটা কিছু / বাঘ)।
উত্তরঃ অদ্ভুত একটা কিছু
১২.
"সাইকেল হাতে পেয়ে হুডুর দিকে পাড়ি জমিয়ে- ছিলাম।" -'সাইকেলটি' কীরূপ? (মোটর / তিন চাকার / পরস্মৈপদী /
পড়শিদের)।
উত্তরঃ পরস্মৈপদী
১৩.
"একটা কথা আছে না?" কথাটি কী? (যেখানে সন্ধে হয় সেইখানেই
সাইকেলের টায়ার ফাঁসে / যেখানে সন্ধে হয় সেইখানেই বাঘের ভয়/ যেখানে বাঘের ভয়
সেইখানেই সন্ধে হয়)।
উত্তরঃ যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে
হয়
১৪.
"কখন হালুম শুনব কে জানে!"-এটি কোন্ রচনা থেকে গৃহীত? (পাখির ভাষা / এক ভূতুড়ে কান্ড /
হাবুর বিপদ)।
উত্তরঃ এক ভূতুড়ে কান্ড
১৫. 'এক ভূতুড়ে কান্ড' গল্পে বক্তা টর্চ নিয়ে কী
করেছিলেন? (সাপ দেখছিলেন / চোর দেখছিলেন /
রাস্তায় লরি থামাবার চেষ্টা করছিলেন)।
উত্তরঃ রাস্তায় লরি থামাবার চেষ্টা
করছিলেন
১৬. "কাল সকালে উদ্ধার করা
যাবে।" -কী উদ্ধার করা যাবে? (মৃতদেহ / সাইকেল / হারানো টাকাপয়সা)।
উত্তরঃ সাইকেল
১৭. গল্পে
কোন্ সময়ের কথা বলা আছে? (শীতকাল /
গ্রীষ্মকাল / শরৎকাল)।
উত্তরঃ শীতকাল
১৮.
"থাকগে, কী করা যাবে?" -কী থাকবে? (রাস্তায় ধরাশায়ী হয়ে পড়ে থাকবে
/ রাস্তায় মালপত্র পড়ে থাকবে / জঙ্গলে বাঘ-সিংহ থাকবে)।
উত্তরঃ রাস্তায় ধরাশায়ী হয়ে পড়ে থাকবে
১৯.
"দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে ঢুকে পড়লাম ভেতরে।"-কীসের দরজা? (গাড়ির / স্নানঘরের / গুদামঘরের)।
উত্তরঃ গাড়ির
২০. 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে বক্তা কার বাড়ি যেতে চান? (ডাক্তার মধুগোপাল / ডাক্তার
যদুগোপাল / শিক্ষক যদুগোপাল)।
উত্তরঃ ডাক্তার যদুগোপাল
২১.
"বক্তব্যের বাকিটা উচ্চারিত হল না।” -কেন? (গলায় ব্যথা / ভূতের ভয় / পরের
কথা ভুলে গেছেন)।
উত্তরঃ ভূতের ভয়
২২. 'এক ভুতুড়ে কাণ্ড' গল্পে বক্তার ভূতের ভয়ে কী অবশ
হয়ে গেছিল? (হাত / আঙুলগুলো / পিঠ)।
উত্তরঃ আঙুলগুলো
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
১.'এক ভূতুড়ে কান্ড' গল্পটির লেখক কে?
উত্তরঃ 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পটির লেখক শিবরাম চক্রবর্তী।
২. লেখক
কোথায় যাচ্ছিলেন?
উত্তরঃ গল্পের কথক তথা লেখক হুডুর দিকে
যাচ্ছিলেন।
৩. তিনি
কীসে করে যাচ্ছিলেন?
উত্তরঃ তিনি সাইকেল করে যাচ্ছিলেন।
৪. লরিটি
কোন্ দিকে যাচ্ছিল?
উত্তরঃ লরিটি রাঁচির দিকে যাচ্ছিল।
৫. কতটা
দূরে গাড়িটির কল বিগড়েছে?
উত্তরঃ আট মাইল দূরে গাড়িটির কল
বিগড়েছে।
৬
."অদ্ভুত একটা কিছু একবার আমি দেখেছিলাম। লেখকের দেখা সেই 'অদ্ভুত' জিনিসটি কী?
উত্তরঃ লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর লেখা 'এক ভূতুড়ে কান্ড' গ তাঁর দেখা সেই অদ্ভুত জিনিসটি
হল একটি চালকবিহীন গতিতে চলা গাড়ি।
৭.
"শুনেছি যে ওরা ভারি উইকেড"-কে শুনেছেন? 'ওরা' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি লেখক
শুনেছেন।
▶ 'ওরা' বলতে ভূতদের কথা বলা হয়েছে।
৮. "ওই
যে, দেখা যাচ্ছে-" কী দেখা
যাচ্ছে?
উত্তরঃ অস্টিন-গাড়ির চালকের বাড়ি দেখা
যাচ্ছে।
৯.
"যদি আমার গাড়িটা একটু ঠেলে দেন মশাই।”- কোন্ গাড়ির কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ছোট্ট বেবি অস্টিন গাড়ির কথা
বলা হয়েছে।
১০.
"হুঁশিয়ার হয়ে দেখলাম" -বক্তা কী দেখলেন?
উত্তরঃ বক্তা দেখলেন, তিনি না-মরে জলজ্যান্ত বেঁচে
আছেন এবং তাঁর মোটরগাড়িও অক্ষত। তাঁর পাশে ছবির মতো সেটা দাঁড়িয়ে রয়েছে।
১১.
"কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার সম্বিত ছিল না।" -কেন?
উত্তরঃ কথকের সামনে একটা রেল ইঞ্জিন
ছুটে আসছিল বলে ভয় পেয়ে তাঁর কোনো সম্বিত ছিল না।
১২.
"এমন সময় চোখে চশমা-লাগানো একটা লোক বেরিয়ে এল"-লোকটি কে?
উত্তরঃ লোকটি একটি ছোটো বেবি অস্টিন
গাড়ির মালিক। যিনি গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হওয়ার
জন্য দীর্ঘ আট মাইল পথ গাড়িটিকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে আনছিলেন।
১৩.
"বসে ড্রাইভারকে লক্ষ্য করে বলতে গেছি”-বক্তা কী বলতে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ তিনি বলতে গিয়েছিলেন, ড্রাইভার যেন তাঁকে লালপুরার
মোড়ে নামিয়ে দেন।
১৪.
"খবর দেওয়ামাত্র তিনি নিজেই এসে নিয়ে যাবেন।" -কে, কী নিয়ে যাবেন?
উত্তরঃ 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পের কথককে যে ব্যক্তি সাইকেল
দিয়েছিলেন, তিনিই এসে সাইকেলটি নিয়ে যাবেন।
১৫.
"শেষটা কি হাঁটাই আছে কপালে?" -কেন এমন ভাবনা?
উত্তরঃ কথকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে
গিয়েছে এবং শীতের রাতে মাঝপথে অন্য কোনো গাড়িকেও তিনি দাঁড় করাতে পারছেন না-বলে
তাঁর এমন ভাবনা।
১৬.
"তবে একজন গল্পলেখকই বা কোন্ দুঃখে যাবে শুনি?" -কোথায় যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশে বাঘের পেটে যাওয়ার
কথা বলা হয়েছে।
১৭.
"এরকমটা ঘটেই থাকে।" -এই কথার মাধ্যমে বক্তা কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ গল্পের নায়করা কোনো বিপদে পড়লে
অভাবনীয় কোনো সাহায্য আসে এবং তার ফলে বিপদগ্রস্ত নায়ক ঠিক সে জায়গা থেকে উদ্ধার
পায়-এ কথাই বলতে চেয়েছেন বক্তা।
১৮.
"জনমানবহীন পথ। জায়গাটাও জংলি" -লেখক কোথাকার কথা বলেছেন?
উত্তরঃ রাঁচির একটি প্রশস্ত পথ, যে-পথ ধরে গেলে হুডুর দিকে
যাওয়া যায়- সেই পথের কথাই এখানে বলেছেন কথক তথা লেখক।
১৯.
"যদি থাকে তো তিনি আমাকে কখনও দেখা দেননি।" -এখানে কার কথা বলা হয়েছে? 'আমাকে' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে ভূতের কথা বলা হয়েছে।
► 'আমাকে' বলতে 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পের কথককে বোঝানো হয়েছে।
২০.
"ভাবতেই আমার বুকটা দুর দুর করতে থাকে।" বক্তার কেন এমন মনে হয়েছে?
উত্তরঃ বিকল সাইকেল নিয়ে ঝাপসা চাঁদের
আলো আর কুয়াশার মধ্যে দিয়ে কথক প্রায় সাত মাইল এগিয়ে যেতে হবে- তবেই তিনি তাঁর
গন্তব্যে পৌঁছোবেন। এ কথা ভেবেই কথক বুক দুরদুর করার কথা বলেছেন।
২১.
"যদি একটু আমার সঙ্গে হাত লাগান।"-কে, কাকে, কী কাজে হাত লাগাতে বললেন?
উত্তরঃ 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে বর্ণিত বেবি অস্টিন গাড়ির
মালিক গল্পের কথককে তাঁর বিগড়ে-যাওয়া-গাড়ি ঠেলার কাজে হাত লাগাতে অনুরোধ করলেন।
প্রস্তুতিকালীন
মূল্যায়ন
১. অতি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. লেখক
কাদের 'ভারি উইকেড' বলেছেন?
উত্তরঃ লেখক ভূতেদের 'ভারি উইকেড' বলেছেন।
২.
ড্রাইভারহীন গাড়িটিকে লেখক কী বলে সম্বোধন করেছেন?
উত্তরঃ ড্রাইভারহীন গাড়িটিকে লেখক 'ছোট্ট একটা বেবি অস্টিন' বলে সম্বোধন করেছেন।
৩. 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে কথক কী দিয়ে আলোর আন্দোলন
করেছিলেন?
উত্তরঃ 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে কথক টর্চ দিয়ে আলোর
আন্দোলন করেছিলেন।
৪. কথক
রাঁচি থেকে হুডু যেতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কোথায় গেলেন?
উত্তরঃ কথক রাঁচি থেকে হুডু যেতে গিয়ে
শেষ পর্যন্ত রাঁচিই ফিরে গেলেন।
৫. গাড়ির
মালিকের বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ গাড়ির মালিকের বাড়ি রেললাইন
পেরিয়ে এক মিনিটের দূরত্বে।
৬. শিবরাম
চক্রবর্তী ছাড়া হাস্যরসের শিল্পী হিসেবে পরিচিত একন সাহিত্যের নাম বলো।
উত্তরঃ শিবরাম চক্রবর্তী ছাড়া
হাস্যরসের শিল্পী হিসেবে পরিচিত একজন সাহিত্যিকের নাম রাজশেখর বসু।
৭. জান
রেলগাড়ি কিরকম আওয়াজ করে আসছিল?
উত্তরঃ রেলগাড়ি হুস হুস আওয়াজ করে
আসছিল।
৮. রাঁচির
একটি বিখ্যাত জলপ্রপাতের নাম কী?
উত্তরঃ রাঁচির একটি বিখ্যাত জলপ্রপাতের
নাম হুডু।
৯. 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে আশাবাদী কে?
উত্তরঃ 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে আশাবাদী স্বয়ং কথক।
১০. লেখক
হাঁ করে কোন্ দিকে তাকিয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ লেখক হাঁ করে চলন্ত মোটরগাড়ির
ড্রাইভারহীন সিটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
২.
শূন্যস্থান পূরণ করো:
১. ফেলে, শুধু পায়ে হেঁটে যেতেও পারব
কিনা আমার সন্দেহ ছিল।
উত্তরঃ সাইকেল,
২.
জনপথ না হলেও সেটা বেশ দরাজ পথ।
উত্তরঃ রাঁচির
৩. 'আমায়
মোড়টায়
নামিয়ে দেবেন।'
উত্তরঃ লালপুরার
৪. ডাক্তার বাড়ির।
উত্তরঃ যদুগোপালের
৫.
কি সাইকেল খেতে ভালোবাসে?
উত্তরঃ বাঘেরা।
👉Paid Answer (For Membership User)
👉Download Books PDF
Editing By-
Lipi Medhi