Lesson 19.1
চল রে চল সবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
----------------------------------------------------------------
গীতিকার পরিচিতি:
জন্ম: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ও মাতা: পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদা দেবী।
কর্মজীবন: তিনি ছিলেন একাধারে নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী এবং ব্যাবসায়িক।
সাহিত্যজীবন: তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল 'পুরবিক্রম', 'সরোজিনী', 'অশ্রুমতী স্বপ্নময়ী' প্রভৃতি। তাঁর সংগীত সংক্রান্ত গ্রন্থগুলির মধ্যে 'স্বরলিপি' 'গীতিমালা' বিখ্যাত।
জীবনাবসান: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোকগমন করেন।
সংক্ষিপ্তসার:
আলোচ্য গানটির মাধ্যমে গীতিকার জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর সমস্ত ভারতবাসীকে মাতৃভূমির আকুল আহ্বানের কথা শুনিয়েছেন। মায়ের দুঃখদুর্দশা দূর করে তাঁর কল্যাণসাধন একমাত্র সন্তানরাই করতে পারে। তাই সকলে এক সূত্রে, এক মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশমাতৃকার চরণে নিজেদেরকে সঁপে দেবে-এটিই ছিল গীতিকারের আশা। দেশদেশান্তর থেকে নব নব জ্ঞান আহরণ করে এনে নতুন উৎসাহে সকলকে মেতে উঠতে বলেছেন তিনি। তিরস্কার ও গঞ্জনার প্রতি দৃষ্টিপাত না-করে সত্য ও ন্যায়ের ধর্মে দীক্ষিত হয়ে সমস্ত দলাদলি ভুলে এক পথে, এক সঙ্গে একতার পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
বীরদর্পে: বীরত্বসুলভ অহংকারে। পৌরুষ: পুরুষোচিত ভাব বা আচরণ। ভিন্ন: ছাড়া, ব্যতীত। মাতৃদৈন্য: মায়ের দুর্দশা। মোচন: মুক্তিদান, উন্মুক্ত। তব পদে: তোমার চরণে। সঁপিনু: সমর্পণ করিনু (করি)। তন্ত্রে: তারে। তপঃ তপস্যা। মোক্ষ: মুক্তি। দেশান্তে: অন্য দেশে। নবতর: নতুনতর। তান: সুর। রঞ্জন: আনন্দ দান। গঞ্জন: তিরস্কার করা। দৃকপাত: দৃষ্টিপাত, নজর দেওয়া। ধ্রুব: নিশ্চিত, স্থির। ন্যায়: নীতি, যুক্তি, সুবিচার। দলাদলি: দলগত বিভেদ। একতা: একত্রে। নিশান: পতাকা, ধ্বজা।
এখানে কোন প্রশ্ন এবং উত্তর নেই।