Lesson 7
কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি
গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য
---------------------
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১)কুমোরে-পোকা একটি কীট না পতঙ্গ?
উত্তর: কুমোরে-পোকা একটি পতঙ্গ।
২) পতঙ্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: পতঙ্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তারা পাখার সাহায্যে উড়তে পারে।
৩) ইতিপূর্বে কোন্ কোন্ পতঙ্গের কথা তুমি জেনেছ?
উত্তর: ইতিপূর্বে ঘাসফড়িং, মশা, মাছি, আরশোলা, উইপোকা ইত্যাদি পতঙ্গের কথা আমি জেনেছি।
৪) কোন্ পতঙ্গ আমাদের কাছে বেশি বিরক্তিকর?
উত্তর: মশা ও মাছি আমাদের কাছে বেশি বিরক্তিকর।
৫) এমন একটি পতঙ্গের নাম করো, যাকে দেখতে খুব সুন্দর?
উত্তর: প্রজাপতি এমন একটি পতঙ্গ, যাকে দেখতে খুব সুন্দর।
৬) দুটি বিষাক্ত পতঙ্গের নাম করো।
উত্তর: দুটি বিষাক্ত পতঙ্গের নাম বোলতা ও ভিমরুল।
৭)বোলতা ও ভিমরুলের বাসাবাড়ি কেমন?
উত্তর: বোলতার বাসা প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট আর ভিমরুলের বাসা ওলটানো বেতের ঝুড়ির মতো এবং একটি ছিদ্রবিশিষ্ট
• নীচের প্রশ্নগুলি নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:
১) কুমোরে-পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো। শিকারকে সে কীভাবে সংগ্রহ করে?
উত্তর: কুমোরে পোকার শিকার ধরার উদ্দেশ্য হল- বাচ্চাদের জন্য খাবার সঞ্চিত রাখা। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চারা নিজেরা শিকার ধরতে সক্ষম না-হয়, ততদিনের মতো খাবার সঞ্চয় করে রাখা তাদের শিকারের উদ্দেশ্য।
► কুমোরে-পোকার শিকার ধরা ও সংগ্রহ করা বেশ মজাদার। কুমোরে-পোকা ভ্রমণকারী মাকড়সা শিকার করে। এই মাকড়সা জাল বোনে না। কোনোভাবে এই জাতীয় মাকড়সা কুমোরে- পোকার চোখে পড়লেই সে ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। তবে একেবারেই মেরে ফেলে না। মাকড়সার দেহে হুল ফুটিয়ে বিষ ঢালে। প্রয়োজনমতো পাঁচ-সাতবার পর্যন্ত হুল ফোটায়। এতে মাকড়সা মরে না, কিন্তু অসাড় হয়ে যায়। তারপর মাকড়সাটিকে মুখে করে নিয়ে উড়ে গিয়ে কুঠুরির মধ্যে চিত করে শুইয়ে তার উদরের পাশে লম্বাটে ধরনের একটি ডিম পাড়ে। তারপর আবার শিকারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। এরপর দশ-পনেরোটি মাকড়সা শিকার করে, কুঠুরির মধ্যে সঞ্চিত রেখে দু-তিন ঢেলা মাটি এনে কুঠুরির মুখ বন্ধ করে দেয়। এভাবে কুমোরে-পোকা শিকার করে তার বাচ্চার জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে।
২)"বাসার আর কোনো খোঁজখবর নেয় না।"-কখন কুমোরে-পোকা তার বাসার আর কোনো খোঁজখবর নেয় না?
উত্তর: কুমোরে-পোকা যে স্থানে যে-বাসা তৈরি করে, সেই বাসায় তারা চার-পাঁচটি কুঠুরি নির্মাণ করে। প্রত্যেকটি কুঠুরিতে সে একটি করে ডিম পাড়ে এবং দশ-পনেরোটি মাকড়সা শিকার করে বাচ্চার খাদ্য হিসেবে সেগুলিকে কুঠুরির মধ্যে জমা রেখে, তার মুখ বন্ধ করে দেয়। এই কুঠুরি নির্মাণ, শিকার ধরে ডিম পাড়া, ভবিষ্যৎ বাচ্চার জন্য খাদ্য সঞ্চয় করা- এসবের পর এরা কুঠুরির মুখ বন্ধ করে ইচ্ছামতো অন্য স্থানে উড়ে চলে যায়। একবার ডিম পাড়ার প্রক্রিয়া শেষ করে চলে গেলে, তারা আর তাদের বাসার খোঁজ নেয় না।
৩) কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে কেমন?
উত্তর: কুমোরে-পোকার বাসাবাড়িটি দেখতে লম্বাটে, এবড়ো-খেবড়ো একটি শুকনো মাটির ডেলার মতো। বাসাটি লম্বায় প্রায় সওয়া ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। বাসার ভিতরের দিকে লম্বাটে ধরনের কুঠুরি থাকে। নির্মাণকার্য শেষ করার পর কুমোরে পোকা বাসাটিকে দৃঢ়, টেকসই ও ঝকঝকে করার জন্য বাসার ভিতরের দেয়ালে লালা মাখিয়ে রাখে।
একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১)কুমোরে-পোকার গায়ের রং কেমন?
উত্তর: সঞ্চিত
২)কুমোরে-পোকার বাসা তৈরির প্রধান উপকরণ কী?
উত্তর: অবশেষ
৩)কুমোরে-পোকা কোন্ কাজটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?
উত্তর: সংগ্রহ
৪) গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য বাংলা ভাষায় কী ধরনের লেখালিখির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন ?
উত্তর: গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য অনুসন্ধিৎসা এবং পর্যবেক্ষণমূলক রচনার ও বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
• শূন্যস্থান পূরণ করো:
১.১ -----------------জন্যে খাদ্য সঞ্চিত রেখেই সে খালাস।
উত্তর: বাচ্চাদের
১.২ শরীরে হুল ফুটিয়ে একরকম-------------------- ঢেলে দেয়।
উত্তর: বিষ
১.৩ গত প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা হলেই ----------- ক্ষান্ত করে।
উত্তর: গাঁথুনি
১.৪ ------------------দেওয়া শেষ হলে শিকারের অন্বেষণে বের হয়।
উত্তর: প্রলেপ
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi