অধ্যায় ১
ইতিহাসের ধারণা
অধ্যায় সংক্ষেপছ:
• ইতিহাসের কথা, মানুষের কথা: ইতিহাসে মানবসমাজের কথাই বেশি করে উল্লেখ করা থাকে। যেমন-মানুষ কী আধুনিক সভ্যতায় বিবর্তিত হল তার বিবরণ থাকে ইতিহাসে। মানুষ কী করে আগুনের ব্যবহার প্রথম জানল, কীভাবে সেই আগুনের ব্যবহার করে রান্না করা শিখল তার সব বিবরণই ইতিহাসে পাবে।
◆ ইতিহাস আর ভূগোল : ইতিহাস ও ভূগোলের বই তোমাদের আলাদা হলেও, এই দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক। কারণ, ইতিহাসে মানুষের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, যানবাহন, ব্যাবসাবাণিজ্য এবং প্রতিদিনের কাজকর্ম আলোচিত হয়। আর এগুলি বুঝতে গেলে ভূগোল জানা অবশ্যই প্রয়োজন।
▶ ভারতীয় উপমহাদেশের ভূগোল-ইতিহাস: উপ- মহাদেশ হল মহাদেশের থেকে আয়তনে ক্ষুদ্র। পাহাড়, নদী, সমতলভূমি, নানা প্রকার রীতিনীতি, নানা ধরনের মানুষ নিয়ে উপমহাদেশ গঠিত। যেমন-ভারতবর্ষ একটি উপমহাদেশ।
'ভরত' ছিল এখানকার একটি পুরোনো জনগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর মানুষেরা এখানে বসবাস করত তাই ভারতীয় উপমহাদেশকে বলা হত ভারতবর্ষ।
• পুরোনো দিনের হিসেবনিকেশ: ইতিহাসে সময় গণনার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। বিভিন্ন সময় ইতিহাসে সময় গণনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন নামের পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে হাজার হাজার বছরের সময়কালকে একসঙ্গে বোঝানোর জন্য 'যুগ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। যেমন-প্রস্তর যুগ, তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগ প্রভৃতি। প্রাচীনকালে রাজাদের শাসন বোঝাতে অব্দ গোনা হত। যেমন-কনিষ্কাব্দ, গুপ্তাব্দ, হর্ষাব্দ ইত্যাদি। বর্তমানে আমরা সময় উল্লেখ করতে সাধারণত খ্রিস্টাব্দ ও তারিখের ব্যবহার করি ।
• বলা, আঁকা, লেখা: প্রথমদিকে মানুষেরা কথা বলতে পারত না। নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের মনের ভার একে অপরের কাছে প্রকাশ করত। এইভাবে তারা একে অপরের মনের ভাব বুঝত।
এরপর গুহার দেয়ালে, পাথরে কিংবা মাটির ওপর লিখতে শিখল মানুষ। এইভাবে ছবি এঁকে তারা মনের ভাব প্রকাশ করত। তারপর ধীরে ধীরে মানুষ ভাষার ব্যবহার শিখল। এই সমস্ত কিছু মানুষের আয়ত্ত করতে হাজার হাজার বছর সময় লেগেছিল।
➤ মাটির ওপরের ইতিহাস, মাটির নীচের ইতিহাস: যে-সমস্ত প্রমাণের দ্বারা ইতিহাস রচনা করা হয় সেগুলিকে ইতিহাসের উপাদান বলে। ইতিহাসের যে-সমস্ত উপাদান মাটি খুঁড়ে বের করা হয় সেগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলে। যাঁরা মাটি খুঁড়ে এইসব উপাদানগুলি উদ্ধার করেন তাঁরা হলেন প্রত্নতাত্ত্বিক এবং খুঁজে পাওয়া পুরোনো জিনিসগুলিকে বলে প্রত্নবস্তু বা পুরাবস্তু।
• টুকরোগুলো জুড়তে জুড়তে: ইতিহাস হল জিগ-স- পাজলের মতো। জিগ-স-পাজল-এ যেমন টুকরো টুকরো অংশ জুড়ে একটি গোটা ছবি তৈরি করা হয়, তেমনি ইতিহাসের টুকরো টুকরো তথ্য জুড়ে দিয়ে ইতিহাস তৈরি হয়। মাঝে মাঝে ইতিহাসের যে-সমস্ত সময় সম্পর্কে জানা যায়নি, সেখানে জিগ-স-পাজল-এর মতো শূন্যস্থান থেকে যায়।
◆ প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান: ইতিহাস রচনার জন্য যে-সমস্ত তথ্য বা প্রমাণের সাহায্য নেওয়া হয় তাকে ইতিহাসের উপাদান বলে।
টুকরো কথা
• প্রাক্-ঐতিহাসিক, প্রায়-ঐতিহাসিক, ঐতিহাসিক যুগ:
আদিমকালের মানুষেরা শুরুতে লিখতে, পড়তে জানত না। সেই সময়কালকে বলে প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগ। মানুষ যখন লিখতে শিখল, সেই সময়কার কিছু লিপি আজও পড়তে পারা যায়নি। সেই সময়কে বলা হয় প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ। যেমন-সিন্ধু সভ্যতা প্রায়- ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা।
প্রাচীনকালের যে-সময়কার লিপি পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাকে বলে ঐতিহাসিক যুগ। যেমন-বৈদিক যুগ।
আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য :
ভারতের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বিস্তৃত বিন্ধ্য পর্বত ভারতকে দু-ভাগে ভাগ করেছে। যথা-আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য।
বিন্ধ্য পর্বতের উত্তর দিকের অংশ আর্যাবর্ত নামে পরিচিত। প্রাচীনকালে এই অঞ্চলে আর্যরা তাদের বসতি গড়ে তুলেছিল। তাই এই অঞ্চলের নাম ছিল আর্যাবর্ত। পূর্বে আর্যাবর্ত বলতে পুরো উত্তর ভারতকেই বোঝাত। বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ দিকের অংশ দাক্ষিণাত্য বা দক্ষিণাবর্ত নামে পরিচিত। এখানে যে-সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তা দ্রাবিড় সভ্যতা নামে পরিচিত ছিল। এই
অঞ্চলের মানুষের ভাষা ছিল দ্রাবিড়। বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত এই অঞ্চল বিস্তৃত ছিল।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান :
ইতিহাস লেখার জন্য যে-সকল প্রমাণপত্র লাগে তাকে ইতিহাসের উপাদান বলে। ইতিহাসের উপাদানগুলিকে মূলত লিখিত এবং অলিখিত-এই দু-ভাগে ভাগ করা যায়।
লিখিত উপাদানগুলিকে দেশীয় ও বৈদেশিক এই দু-ভাগে ভাগ করা যায়। দেশীয় সাহিত্য আবার ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মভিত্তিক প্রভৃতি ভাগে ভাগ করা যায়। অন্যদিকে গ্রিক, রোমান ও চৈনিক পর্যটকদের বিবরণ ছিল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক বিবরণ। এ ছাড়া অন্যান্য লিখিত উপাদানগুলি হল-পাথরের গায়ে বা তামার পাতে
লেখা সরকারি নির্দেশ, রাজার লেখ বা প্রশস্তি, পশুর চামড়া ও গাছের ছালে লেখা বিভিন্ন পুথি। মাটি খুঁড়ে পাওয়া বিভিন্ন নিদর্শন হল অলিখিত বা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। এগুলি চারভাগে ভাগ করা যায়, যথা-স্থাপত্য-ভাস্কর্য, লেখ, মুদ্রা ও ধ্বংসাবশেষ। এ ছাড়া প্রাচীন যুগের হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি, চিত্রকলা, সমাধি প্রভৃতি হল অলিখিত উপাদান।
নদীমাতৃক সভ্যতা:
সুপ্রাচীনকাল থেকে নদীকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবন- জীবিকা গড়ে উঠেছিল। নদীকে নির্ভর করে পুরোনো দিনের বহু সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। নদী ছিল সেইসব সভ্যতার কাছে মায়ের সমান। তাই সেই সভ্যতাগুলিকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
নৈর্ব্যাক্তিক প্রশ্নোত্তর পূর্ণমান : ১
A সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো
1. কোল্টির ব্যবহার আদিম মানুষ আগে শিখেছে-
(i) ধাতুর তৈরি হামানদিস্তা
(ii) পাথরের শিলনোড়া
(iii) মিক্সচার মেশিন
উত্তর: (ii) পাথরের শিলনোড়া
2. আদিমকালে মানুষেরা শস্য পেষাই করত যে যন্ত্র দিয়ে-
(i) হামানদিস্তা
(ii) বর্শা
(iii) তুরপুন
উত্তর: (i) হামানদিস্তা
3. ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল-
(i) মরুভূমি অঞ্চল
(ii) পাহাড়ি অঞ্চল
(iii) মালভূমি অঞ্চল
উত্তর: (ii) পাহাড়ি অঞ্চল
4. ভারতীয় উপমহাদেশকে একসময় বলা হত-
(i) ভারত
(ii) ভারত গোষ্ঠী
(iii) ভারতবর্ষ
উত্তর: (iii) ভারতবর্ষ
5. 'ভারত' শব্দের একটি অর্থ হল-
(i) ভরতের বংশধর
(ii) একটি জনগোষ্ঠী
(iii) পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ
উত্তর: (i) ভরতের বংশধর
6. উপমহাদেশ মানে-
(i) মহাদেশের একটি ছোটো অংশ
(ii) প্রায় একটি মহাদেশের মতো বড়ো অঞ্চল
(iii) মহাদেশের প্রান্ত অঞ্চল
উত্তর: (ii) প্রায় একটি মহাদেশের মতো বড়ো অঞ্চল
7. দ্রাবিড় জাতি বসবাস করত-
(i) দাক্ষিণাত্যে
(ii) উত্তরাঞ্চলে
(iii) উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে
উত্তর: (i) দাক্ষিণাত্যে
৪. ভারতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন যাত্রা শুরু করে-
(i) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে
(ii) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(iii) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (iii) ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে
9. মানুষ প্রথম যে ধাতুর ব্যবহার জানত, তা হল-
(i) তামা
(ii) ব্রোঞ্জ
(iii) লোহা
উত্তর: (i) তামা
10. কনিষ্ক সিংহাসনে বসেন-
(i) ৭৬ খ্রিস্টাব্দে
(ii) ৭৭ খ্রিস্টাব্দে
(iii) ৭৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (iii) ৭৮ খ্রিস্টাব্দে
11. হর্ষাব্দ গণনা চালু হয়-
(i) ৬০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে
(ii) ৬০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে
(iii) ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে
উত্তর: (iii) ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে
12. কনিষ্কাব্দের আর-এক নাম হল-
(i) শকাব্দ
(ii) খ্রিস্টাব্দ
(iii) হর্ষাব্দ
উত্তর: (i) শকাব্দ
13. খ্রিস্টাব্দ শব্দটির সঙ্গে জড়িত-
(i) জিশুখ্রিস্ট
(ii) হজরত মোহম্মদ
(iii) চৈতন্যদেব
উত্তর: (i) জিশুখ্রিস্ট
14. ২০১৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আগের বছর হবে—
(i)২০১৬
(ii) ২০১৫
(iii) ২০১৩
উত্তর: (ii) ২০১৫
15. একশো বছর বোঝাতে ব্যবহৃত হয়-
(i) সহস্রাব্দ
(ii) দশক
(iii) শতক
উত্তর: (iii) শতক
16. প্রত্ন মানে বোঝায়-
(i) পুরোনো
(ii) রত্ন
(iii) যত্ন
উত্তর: (i) পুরোনো
17. মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া উপাদানগুলি খুঁজে বের করেন-
(i) প্রত্নতাত্ত্বিক
(ii) ঐতিহাসিক
(iii) নৃতাত্ত্বিক
উত্তর: (ii) ঐতিহাসিক
18. আজও পাঠোদ্ধার হয়নি যে লিপি, তা হল-
(i) হরপ্পার লিপি
(ii) ও মিশরের লিপি
(iii) সুমেরের লিপি
উত্তর: (i) হরপ্পার লিপি
19. গুপ্তসম্রাট সমুদ্রগুপ্তের গুণগান যে প্রশস্তিতে রয়েছে, তা হল-
(i) আইহোল
(ii) নাসিক
(iii) এলাহাবাদ
উত্তর: (iii) এলাহাবাদ
20. ভীমবেটকা হল একটি-
(i) প্রশস্তি
(ii) গুহা
(iii) চিত্র
উত্তর: (ii) গুহা
21. বাণভট্টের রচিত গ্রন্থের নাম হল-
(i) ইন্ডিকা
(ii) হর্ষচরিত
(iii) গীতগোবিন্দ
উত্তর: (ii) হর্ষচরিত
শূন্যস্থান পূরণ করো
1. মানুষ পরে শিখেছে---------------------এর ব্যবহার।
(i) শিলনোড়া
(ii) মিক্সচার মেশিন
(iii) হামানদিস্তা
উত্তর: (ii) মিক্সচার মেশিন
2. মানুষ প্রথম সভ্যতা গড়ে তুলেছিল------------------।
(i) নদীর ধারে
(ii) পাহাড়ের পাদদেশে
(iii) বড়ো রাস্তার ধারে
উত্তর: (i) নদীর ধারে
3. ইতিহাস জানতে গেলে ---------------- টা ভালোভাবে জানা দরকার।
(i) বিজ্ঞান
(ii) অঙ্ক
(iii) ভূগোল
উত্তর: (iii) ভূগোল
4. আর্যাবর্ত বলা হত ভারতের ---------------দিক-কে।
(i) পূর্ব
(ii) দক্ষিণ
(iii) উত্তর
উত্তর: (iii) উত্তর
5. 'লোহার যুগে' মানুষ------------- ব্যবহার করতে শিখেছিল।
(i) লোহা
(ii) তামা
(iii) পাথর
উত্তর: (i) লোহা
6. প্রাক্-ঐতিহাসিক যুগে লিপির -------------------।
(i) আবিষ্কার হয়নি
(ii) পাঠোদ্ধার হয়নি
(iii) পাঠোদ্ধার হয়েছে
উত্তর: (i) আবিষ্কার হয়নি
7. গুপ্তাব্দ চালু করেন------------------।
(i) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
(ii) সমুদ্রগুপ্ত
(iii) স্কন্দগুপ্ত
উত্তর: (i) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
৪. এলাহাবাদ প্রশস্তি রচনা করেছেন ---------------।
(i) কলহন
(ii) হরিষেণ
(iii) রবিকীর্তি
উত্তর: (ii) হরিষেণ
9. আর্যদের ব্যবহৃত মুদ্রার নাম হল---------------।
(i) নিষ্ক
(ii) পোতিন
(iii) নারায়ণী
উত্তর: (i) নিষ্ক
ঠিক-ভুল নির্ণয় করো:
1. ইতিহাস জানতে গেলে সময় সম্পর্কে কোনো ধারণার প্রয়োজন হয় না।
উত্তর: ভুল
2. ভারতের সিন্ধু সভ্যতা একটি নদীমাতৃক সভ্যতা।
উত্তর: ঠিক
3. ভৌগোলিক এলাকার পার্থক্যে মানুষের পোশাক, খাবার- দাবারের ইতিহাস বদলে যায়।
উত্তর: ঠিক
4. 'ভূগোল' 'ইতিহাস'-কে কোনোভাবেই প্রভাবিত করে না।
উত্তর: ভুল
5. ভারতের পূর্ব উপকূলে মালাবার উপকূল অবস্থিত।
উত্তর: ভুল
6. দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের ভাষাগুলি দ্রাবিড় ভাষা নামে পরিচিত।
উত্তর: ঠিক
7. তুষার যুগে গোটা পৃথিবী বরফে আবৃত হয়ে গিয়েছিল।
উত্তর: ঠিক
৪. কনিষ্কের আর এক নাম শকাব্দ।
উত্তর: ভুল
9. কুষাণ সম্রাটদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ধর্মপাল।
উত্তর: ভুল
10. শতাব্দকে শতাব্দী বা শতকও বলা হয়।
উত্তর: ঠিক
11. প্রত্নক্ষেত্রে কাজ করেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
উত্তর: ঠিক
12. বৈদিক সাহিত্যগুলি ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্য।
উত্তর: ভুল
13. গ্রিক ও রোমান ঐতিহাসিকদের রচনা থেকে ভারতীয় ইতিহাসের নানা তথ্য জানা যায়।
উত্তর: ঠিক
'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও:
উত্তরমালা
বিবৃতির সঙ্গে মানানসই ব্যাখ্যাটি খুঁজে লেখো:
1. বিবৃতি: হরপ্পা সভ্যতা ছিল নদীমাতৃক সভ্যতা।
ব্যাখ্যা: (i) হরপ্পা সভ্যতা যে-স্থানে গড়ে ওঠে সেটি আগে ছিল নদী।
(ii) হরপ্পা সভ্যতার মানুষ নদীকে দেবতা বলে পূজা করত।
(iii) সিন্ধু নদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হরপ্পা সভ্যতা।
উত্তর: (iii) সিন্ধু নদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হরপ্পা সভ্যতা।
2. বিবৃতি: ভারতীয় উপমহাদেশকে একসময় ভারতবর্ষ বলা হত।
ব্যাখ্যা: (i) উপমহাদেশে ভরত নামে এক জনগোষ্ঠী ছিল।
(ii) উপমহাদেশে বহু লোকজনের বসবাস ছিল।
(iii) ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশের নামকরণ করেছিলেন ভারতবর্ষ।
উত্তর: (i) উপমহাদেশে ভরত নামে এক জনগোষ্ঠী ছিল।
3. বিবৃতি: ইতিহাস মানুষেরই কথা বলে।
ব্যাখ্যা: (i) মানুষ ইতিহাস জানতে বেশি পছন্দ করে।
(ii) ইতিহাস জানা দরকার শুধু মানুষের, অন্য কোনো প্রাণীর নয়।
(iii) ইতিহাস মানুষকে ছাড়া হয় না।
উত্তর: (ii) ইতিহাস জানা দরকার শুধু মানুষের, অন্য কোনো প্রাণীর নয়।
উত্তরমালা
F বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. হর্ষচরিত, রামচরিত, বিক্রমাঙ্কদেবচরিত, জাতক
উত্তর: জাতক
2. পক্ষীরাজ ঘোড়া, পরী, একশৃঙ্গ গন্ডার, পুষ্পকরথ
উত্তর: একশৃঙ্গ গন্ডার
3. নদীর তীরে বসতি, আগুন জ্বালানো, চাকার আবিষ্কার, কম্পিউটার আবিষ্কার
উত্তর: কম্পিউটার আবিষ্কার
4. রাজস্থান, উট, নৌকা, রুটি
উত্তর: নৌকা
5. ভারতী, ভরত, ভারত, ভারতবর্ষ
উত্তর: ভারতী
G সঠিক জোড়াটি খুঁজে লেখো:
1. (i) পাথরের হামানদিস্তা—---------আধুনিক যুগ
(ii) মিক্সার মেশিন—-------প্রাচীন যুগ
(iii) পাথরের হাতিয়ার—------প্রস্তর যুগ
(iv) হাতকুঠার—------তুষার যুগ
উত্তর: (iii) পাথরের হাতিয়ার—------প্রস্তর যুগ
2. (i) পক্ষীরাজ ঘোড়া-ইতিহাস
(ii) ঘোড়ার ব্যবহার—------ইতিহাস
(iii) পরীদের রাজ্য—--------ইতিহাস
(iv) স্বর্গীয় রথ—------ইতিহাস
উত্তর: (i) পক্ষীরাজ ঘোড়া-ইতিহাস
3. (i) রাজস্থান—--------ধান
(ii) উপকূল অঞ্চল—-----------নৌকা
(iii) সমতল অঞ্চল—----------গম
(iv) মরুভূমি—-----------ঘোড়া
উত্তর: (ii) উপকূল অঞ্চল—-----------নৌকা
4. (i) উত্তর দিক—--------পাহাড়ি অঞ্চল
(ii) দক্ষিণ দিক—------সমভূমি
(iii) পূর্ব দিক—----------মরুভূমি
(iv) পশ্চিম দিক-সামুদ্রিক অঞ্চল
উত্তর: (i) উত্তর দিক—--------পাহাড়ি অঞ্চল
5. (i) তামার ব্যবহার—------লৌহ যুগ
(i) পাথরের ব্যবহার—----------প্রস্তর যুগ
(iii) লোহার ব্যবহার—--------তাম্র যুগ
(iv) আগুনের ব্যবহার—----------তুষার যুগ
উত্তর: (i) পাথরের ব্যবহার—----------প্রস্তর যুগ
সম্পূর্ণ বাক্যে উত্তর দাও পূর্ণমান : ১
1 ইতিহাস বর্ণনা করার সময় কোন বিষয়গুলির ওপর আপাতভাবে জোর দেওয়া হয়?
উত্তর: ইতিহাস বর্ণনা করার সময় স্থান-কাল-পাত্র প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আপাতভাবে জোর দেওয়া হয়।
2. একটি নদীমাতৃক সভ্যতার নাম করো।
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতা হল একটি নদীমাতৃক সভ্যতা।
3. ভারতবর্ষের নামটি কোন জনগোষ্ঠীর নামানুসারে হয়েছে?
উত্তর: ভারতবর্ষের নামটি 'ভরত' জনগোষ্ঠীর নামানুসারে হয়েছে।
4. ভারতবর্ষকে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ভাগ করেছে কোন পর্বত?
উত্তর: বিন্ধ্য পর্বত ভারতবর্ষকে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ভাগ করেছে।
5. দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের সীমানা বিন্ধ্য পর্বত থেকে কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তর: দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের সীমানা বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
6. যে-কোনো একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন-এর নাম লেখো।
উত্তর: স্থাপত্য ও ভাস্কর্য হল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
7. হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে যখন বরফ জমেছিল, তখন তাকে কী বলা হত?
উত্তর: হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে যখন বরফ জমেছিল, তখন তাকে বলা হত তুষার যুগ।
৪. প্রাক্-ইতিহাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রাক্-ইতিহাস বলতে বোঝায় ইতিহাসের আগের সময় অর্থাৎ, যখন মানুষ লিখতে জানত না।
9. কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে
উত্তর: কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন কনিষ্ক।
10. হর্ষাব্দ গণনা কত খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয়?
উত্তর: খ্রিস্টাব্দ থেকে হর্ষাব্দ গণনা শুরু হয়।
11. কার জন্মসাল থেকে খ্রিস্টাব্দ গণনা চালু হয়?
উত্তর: জিশুখ্রিস্টের জন্মসাল থেকে খ্রিস্টাব্দ গণনা চালু হয়।
12. কবে থেকে গুপ্তাব্দ গণনা শুরু হয়?
উত্তর: ৩১৯-৩২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গুপ্তাব্দ গণনা শুরু হয়।
13. খ্রিস্টাব্দ গোনা হয় কীভাবে?
উত্তর: ছোটো থেকে বড়ো হিসাবে খ্রিস্টাব্দ গোনা হয়।
14. 'প্রশস্তি' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: 'প্রশস্তি' শব্দের অর্থ হল গুণগান করা।
15. খ্রিস্টপূর্বাব্দ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: জিশুখ্রিস্টের জন্মের আগের সময়কালকে খ্রিস্টপূর্বাব্দ বলে।
16. প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাজ কী?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাজ হল ইতিহাসের উপাদান সংগ্রহ করার জন্য বিরাট এলাকা জুড়ে খননকাজ চালানো এবং প্রাপ্ত উপাদানের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে তথ্যসংগ্রহ করা।
17. প্রত্নক্ষেত্র বলতে কী বোঝো?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রত্নবস্তু পাওয়ার জন্য যে অঞ্চলে খননকাজ চালান সেই অঞ্চলকে প্রত্নক্ষেত্র বলে।
18. কোথায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যত্ন করে রাখা থাকে?
উত্তর: জাদুঘরে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যত্ন করে রাখা থাকে।
19. ভারতের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ভারতের সর্বপ্রাচীন গ্রন্থের নাম হল ঋগ্বেদ।
20. প্রাচীন ভারতের একটি ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্যের নাম লেখো।
উত্তর: প্রাচীন ভারতের একটি ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্যের নাম হল অষ্টাধ্যায়ী।
21. শক-কুষাণদের ইতিহাস কোথা থেকে জানা যায়?
উত্তর: শক-কুষাণদের ইতিহাস জানা যায় মুদ্রা থেকে।
22. হর্ষচরিত বইটি কে লেখেন?
উত্তর: হর্ষচরিত বইটি লেখেন বাণভট্ট।
23. বাণভট্টের হর্ষচরিত কী ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: বাণভট্টের হর্ষচরিত জীবনীমূলক গ্রন্থ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পূর্ণমান : ২
1. নদীমাতৃক সভ্যতা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রাচীনকালে মানুষ নদীর ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল ছিল। তারা নদীর জলকে সেচের কাজে ব্যবহার করে নদী উপত্যকাগুলিতে চাষবাস শুরু করে। সেখানে তারা পশুপালনও শুরু করে। ক্রমে কৃষিকে কেন্দ্র করে ওইসব স্থানে এক একটি মানব সভ্যতা (যেমন-সিন্ধু সভ্যতা) গড়ে ওঠে। যেহেতু সভ্যতাগুলি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল সেজন্য এই ধরনের সভ্যতাকে বলা হয় নদীমাতৃক সভ্যতা।
2 সমতল অঞ্চলের লোকেরা খাদ্য হিসেবে ভাত গ্রহণ করে কেন?
উত্তর: সমতল অঞ্চলে নানা কারণে ধান চাষ বেশি হয়। এর ফলে এই অঞ্চলের লোকেরা ভাত প্রধান খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
3 আর্যাবর্ত বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আর্যদের বাসস্থান এক জায়গায় স্থির ছিল না, নানা সময়ে পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় তারা ভারতে বসবাস করত। ভারতের উত্তর অংশে যেখানে আর্যরা বসবাস করত সেই অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হত।
4 কোন অঞ্চলকে দ্রাবিড় দেশ বলা হত?
উত্তর: দ্রাবিড়রা বসবাস করত ভারতের দক্ষিণ দিকে। এই দক্ষিণ 1 দিককে দাক্ষিণাত্য বলা হয়। কাবেরী নদীর দক্ষিণ অংশকে তাই দ্রাবিড় দেশ বলা হত।
5 তামা ও ব্রোঞ্জের যুগ কাকে বলে?
উত্তর: যে-যুগে মানুষ তামা ও বোঞ্জের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করে। তামা ও ব্রোঞ্জের তৈরি বিভিন্ন পাত্র, যন্ত্রপাতি, অলংকার ও হাতিয়ার ব্যবহার করত। সেই যুগকে বলা হয় তামা ও ব্রোঞ্জের যুগ।
6 প্রায়-ইতিহাস যুগ কাকে বলে?
উত্তর: যে-সময়ে মানুষ লিখতে শিখেছিল এবং যে-সময়ের অনেক লেখা পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলির পাঠোদ্ধার করা যায়নি। সেই সময়কে প্রায়-ইতিহাস যুগ বলা হয়।
7 ইতিহাস কাকে বলে?
উত্তর: মানুষের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রা ও সভ্যতার পরিবর্তন এবং উত্থান-পতনের ধারাবাহিক বিবরণকে ইতিহাস বলে।
8 সময়ের হিসাব কীভাবে করা যায়?
উত্তর: সাল-তারিখ, বছর-অব্দ প্রভৃতি দিয়ে সময়ের হিসাব করা হয়।
9 খ্রিস্টাব্দ কাকে বলে?
উত্তর: জিশুখ্রিস্টের জন্মকে ধরে যে-অব্দ বা সাল গণনা করা হয় তাকে খ্রিস্টাব্দ (AD = Anno Domini) বলা হয়।
10 শতাব্দ ও সহস্রাব্দ কী?
উত্তর: একশো বছরকে শতাব্দ বা শতাব্দী এবং হাজার বছরকে একসঙ্গে সহস্রাব্দ বলা হয়।
11 প্রত্নতাত্ত্বিক কাদের বলে?
উত্তর: দীর্ঘদিন ধরে মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকা পুরোনো দিনের উপাদানগুলিকে যাঁরা খননকার্য চালিয়ে খুঁজে বের করেন এবং ইতিহাস রচনার কাজে সেগুলিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেন তাঁদের প্রত্নতাত্ত্বিক বলে।
12 ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে?
উত্তর: প্রাকৃতিক বা অন্য কোনো কারণে মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া মানুষের ব্যবহার করা নানা জিনিস, মুদ্রা, গয়না, অস্ত্রশস্ত্র, মূর্তি প্রভৃতি ইতিহাস রচনা করতে সাহায্য করে। এগুলিকেই ইতিহাসের উপাদান বলে।
13 প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কাকে বলে?
উত্তর: বহুকাল ধরে মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকা উপাদান (যেমন-মানুষের দেহাবশেষ, ব্যবহৃত সামগ্রী প্রভৃতি) যেগুলি ইতিহাস রচনার কাজে ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলে।
14 শিলালেখ কাকে বলে?
উত্তর: পুরোনো দিনের যে-সকল লেখাগুলি পাথরের গায়ে খোদাই করা আছে, সেই লেখাগুলিকে শিলালেখ বলে। যেমন-অশোকের শিলালেখ।
15 মুদ্রা কীভাবে আমাদের প্রাচীন ইতিহাস রচনায় সাহায্য করে?
উত্তর: মুদ্রা থেকে রাজার নাম, বংশ পরিচয়, মূর্তি, রাজ্যসীমা, রাজত্বকাল, ধর্মবিশ্বাস, শিল্পের প্রতি গভীর অনুরাগ, রাজ্যের উন্নতি, অর্থনৈতিক পরিকাঠামো প্রভৃতি কথা জানা যায়। এই সকল তথ্য ইতিহাস রচনাকালে আমাদের সাহায্য করে।
16 সাহিত্যিক উপাদান বলতে কী বোঝো?
উত্তর: সাহিত্যিক উপাদান বলতে লিখিত উপাদানকে বোঝায়। যেমন-রামায়ন, মহাভারত।
জেনে রাখো
ভারতের তিনদিকে সমুদ্র এবং উত্তরদিকে হিমালয় পর্বত অবস্থান করার ফলে বিদেশিরা খুব সহজে প্রাচীন ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। আবার অন্যদিকে হিমালয় পর্বতের গিরিপথগুলির মধ্যদিয়ে বিদেশিরা ভারতে প্রবেশ করে এখানে মিশ্র সভ্যতার জন্ম দিয়েছে, পরে ভারতে আবার জলপথ আবিষ্কার হওয়ার পর বহু বিদেশি শক্তি ভারতে প্রবেশ করেছিল।
• প্রাক্-ইতিহাস: লিপির আবিষ্কার হয়নি; প্রায়- ইতিহাস = লিপির আবিষ্কার হয়েছে, কিন্তু তার পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি; ইতিহাস = লিপির আবিষ্কার হয়েছে এবং তার পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
• ভারতে প্রাচীনকালের রাজারা সময় গণনার জন্য শকাব্দ, হর্ষাব্দ, গুপ্তাব্দ প্রভৃতি পদ্ধতি চালু করেছিলেন, কিন্তু গোটা পৃথিবীতে সময় গণনার জন্য 'খ্রিস্টাব্দ' গণনাই বেশি জনপ্রিয় ও প্রচলিত।
• প্রাচীনকালে উত্তর ভারতে আর্য সভ্যতার জন্ম হয়েছিল। আর দক্ষিণ ভারতে গড়ে উঠেছিল দ্রাবিড় সভ্যতা।
• বিখ্যাত নৃতাত্ত্বিক ড. বিরজা শঙ্কর গুহ মনে করেন ভারতে ছ-টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে। ভিনসেন্ট স্মিথ ভারতকে 'নৃতত্ত্বের জাদুঘর' বলেছেন।
• মাটির নীচে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি যেমন- মানুষের কঙ্কাল, মানুষের ব্যবহৃত মৃৎপাত্রগুলির বর্ণালি বিশ্লেষণ, কার্বন-১৪, ড্রেনড্রোক্রোনোলজি বিদ্যার সাহায্যে প্রাচীনত্ব নির্ণয় করা হয়।
একনজরে:
➤ভরত ছিল পুরোনো একটি জনগোষ্ঠীর নাম।
➤ ভারত শব্দের অর্থ ভরতের বংশধর।
➤দীর্ঘ সময়কালকে বোঝাতে যুগ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
➤কনিষ্ক সিংহাসনে বসে এক নতুন অব্দ গণনা প্রবর্তন করেন। একেই কনিষ্কাব্দ বা শকাব্দ বলে।
➤ ইতিহাস রচনার জন্য যে-প্রমাণপত্র ব্যবহার হয় তাই হল ইতিহাসের উপাদান।
➤ বহু বছর ধরে মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকা উপাদানগুলি যে-প্রত্নবিদরা খুঁজে বের করেন তাঁদের প্রত্নতাত্ত্বিক বা পুরাতাত্ত্বিক বলে।
➤ ভীমবেটকা ও অজন্তায় গুহাচিত্র আছে।
Editing by : Suman Saikia
0 Comments