অধ্যায় ৪

শিলা ও খনিজ পদার্থ

-------------------------------------


1. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো


1. জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হয়-

(i)  শিলা থেকে

(ii)  জীবাশ্ম থেকে

(iii)  জীবের দেহাবশেষ থেকে

(iv)  কোনোটিই নয়

উত্তর: জীবের দেহাবশেষ থেকে


2. বর্তমানে কয়লা প্রধানত ব্যবহার করা হয়-


(i)  উনুন জ্বালাতে


(ii)  তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে


(iii)   ধাতু নিষ্কাশন করতে


(iv)  রং প্রস্তুতিতে


উত্তর: তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে

3. কয়লার প্রধান উপাদান মৌলটি হল-


(i)  কার্বন


(ii)   হাইড্রোজেন


(iii)  অক্সিজেন


(iv)   নাইট্রোজেন


উত্তর: কার্বন


4. কোন্টি পেট্রোলিয়ামজাত যৌগ নয়?


(i)   প্লাস্টিক


(ii)   আলকাতরা


(iii)   পিচ্ছিলকারক তেল


(iv)   কেরোসিন


উত্তর: আলকাতরা


5. সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের কয়লা হল-


(i)   পিট


(ii)   অ্যানথ্রেসাইট


(iii)   লিগনাইট


(iv)   বিটুমিনাস


উত্তর: অ্যানথেসাইট


6. রেললাইনের কালো পাথর হল-


(i)  পিউমিস


(ii)  ব্যাসল্ট


(iii) গ্র্যানাইট


(iv)  নিস


উত্তর: ব্যাসল্ট


7. কোন্টি পাললিক শিলা নয়?


(i)  বেলেপাথর


(ii)  ব্যাসল্ট


(iii)  চুনাপাথর


(iv)  শেল


উত্তর: ব্যাসল্ট


8. বক্সাইট থেকে পাওয়া যায়-


(i)  লোহা


(ii)  অ্যালুমিনিয়াম


(iii)  তামা


(iv)  আয়রন


উত্তর: অ্যালুমিনিয়াম


9. তামা ও টিন মিশিয়ে পাওয়া যায়-


(i)  কাঁসা


(ii)  ব্রোঞ্জ


(iii)  পিতল


(iv)  সিলভার


উত্তর: ব্রোঞ্জ


10. নিম্নের কোন্টি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?


(i)  কয়লা


(ii)  গোবর


(iii)  প্রাকৃতিক গ্যাস


(iv)  কাঠ


উত্তর: গোবর


11. পিউমিসকে বলা হয়-


(i)  স্লেটপাথর


(ii)  চুনাপাথর


(iii)  ঝামাপাথর


(iv)  বেলেপাথর


উত্তর: ঝামাপাথর


12. সংকর ধাতু হল-


(i)  মিশ্র পদার্থ


(ii)  যৌগিক পদার্থ


(iii)  মৌলিক পদার্থ


(iv)  তেজস্ক্রিয় পদার্থ 


উত্তর: মিশ্র পদার্থ 


2. ঠিক বাক্যের পাশে '' আর ভুল বাক্যের পাশে 'x' দাও


1. গ্র্যানাইট পাথরে অনেক ছিদ্র দেখা যায়।


2. জলের নীচে আগ্নেয়শিলা তৈরি হয়


3. স্লেটপাথর তৈরি হয় শেল নামক আগ্নেয়শিলা থেকে


4. সব আকরিক খনিজ পদার্থ, তবে সব খনিজ পদার্থ আকরিক নয়।


5. অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা প্রভৃতি প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়


6. লোহার আকরিক কপার গ্লান্স।


7. ইস্পাত লোহার চেয়ে শক্ত এবং অনেক বেশি ভার সহ্য করতে পারে


৪. পেট্রোলিয়াম হল গ্যাসীয় জ্বালানি।


9. ধাতু নিষ্কাশনে উত্তপ্ত কয়লার কঠিন অবশেষ কোক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


10. CNG-এর প্রধান উপাদান তরল প্রোপেন

 

3. শূন্যস্থান পূরণ করো  


1. কয়লা, পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসকে বলে —------------------

উত্তর:  জীবাশ্ম জ্বালানি


2. কয়লা হল মানুষের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ------------------

উত্তর:  জীবাশ্ম জ্বালানি


3. পেট্রোলিয়াম শোধনের সময়  ---------------- ও গ্যাসীয় ------------------জ্বালানি পাওয়া যায়। 

উত্তর: প্রোপেন, বিউটেন


4. ---------------হল একটি চটচটে তরল মিশ্রণ

উত্তর: পেট্রোলিয়াম


5. LPG সিলিন্ডারের প্রধান উপাদান —----------------

উত্তর: তরল প্রোপেন


6. শোধিত প্রাকৃতিক গ্যাসকে -----------------------বলে

উত্তর: CNG


7. পৃথিবীর গভীরে তরল অবস্থার পাথরকে বলে -----------------------

উত্তর: ম্যাগমা


8. ম্যাগমা পাথরের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে এলে, তাকে বলে --------------------------

উত্তর: লাভা


9. জমাটবাঁধা লাভা ----------------- ই হল

উত্তর: আগ্নেয়শিলা


10. পিউমিস পাথরে --------------- দেখা যায়

উত্তর: ছিদ্র


11. গ্র্যানাইটের পরিবর্তনে তৈরি হয় ----------------------

উত্তর: নিস


12. প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ধাতুকে ---------------------- বলে

উত্তর: ধাতুর খনিজ বা মিনার‍্যাল


13. যে-খনিজ থেকে ধাতু পাওয়া যায়, তাকে -----------------------বলে

উত্তর: আকরিক বা ওর


14. অ্যালুমিনিয়াম ও অক্সিজেন দিয়ে তৈরি আকরিককে বলে --------------------------

উত্তর:  বক্সাইট


15. তামা ও দস্তা মিশিয়ে --------------- তৈরি হয়

উত্তর: পিতল


16. লোহায় মরচে পড়ে কিন্তু ------------------ এ মরচে পড়ে না

উত্তর: কলঙ্কহীন ইস্পাত


17. ধাতু বা অধাতুর তরল মিশ্রণ ঠান্ডা হলে পাওয়া যায়

উত্তর:  সংকর ধাতু 


18. 'অশ্ম' মানে ---------------------

উত্তর: পাথর


4. একটি বাক্যে উত্তর দাও


1.সৃষ্টির মুহূর্তে পৃথিবী কেমন ছিল?

উত্তর:  গরম আর গলে যাওয়া পাথর দিয়ে তৈরি ছিল


2. দুই বা ততোধিক খনিজ মিলিতভাবে কী গঠন করে?

উত্তর: শিলা


3. পৃথিবীর গভীরে পাথর তরল অবস্থায় থাকে কেন?

উত্তর:  পৃথিবীর গভীরে চাপ ও উন্নতা খুব বেশি থাকার জন্য


4. জমাটবাঁধা লাভাকে কী বলে?

উত্তর: আগ্নেয়শিলা


5. কোন্ পাথরে অনেক ছিদ্র থাকে?

উত্তর: পিউমিস পাথরে


6. পিউমিস পাথরের অপর নাম কী?

উত্তর: ঝামাপাথর


7. সবথেকে নরম শিলা কোন্টি?

উত্তর: পাললিক শিলা


8. কোন্ শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়?

উত্তর: পাললিক শিলায়


9.  মূল্যবান ধাতুগুলি কোন্ শিলাতে খনিজরূপে থাকে?

উত্তর:  আগ্নেয়শিলাতে


10. মুদ্রা ধাতু নামে কোন্ মৌলটি পরিচিত?

উত্তর:  তামা


11. পৃথিবীপৃষ্ঠ কী ধরনের শিলা দিয়ে তৈরি?

উত্তর: আগ্নেয় ও পরিবর্তিত শিলা


12.  মারবেল পাথর কী ধরনের শিলা?

উত্তর:  পরিবর্তিত শিলা


13. ধাতু নিষ্কাশন কী?

উত্তর: খনিজ থেকে ধাতুকে আলাদা করার পদ্ধতি


14. কপার গ্লান্স-এ উপস্থিত প্রধান মৌলগুলি কী কী?

উত্তর: তামা ও সালফার


15.  মিশ্র ধাতুর দুটি উদাহরণ দাও

উত্তর: পিতল ও ব্রোঞ্জ


16. তামা ও দস্তা দিয়ে তৈরি সংকর ধাতুর নাম কী?

উত্তর: পিতল


17. রাংঝাল কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর:  গয়নার সোনা ও বিভিন্ন ধাতু জোড়া দিতে


18. 'অশ্ম' কথার অর্থ কী?

উত্তর: পাথর


19. সম্প্রতি ব্যবহৃত অজীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ দাও

উত্তর:  কাঠ, খড়, কাগজ, গোবর


20. তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কাঁচামাল কী?

উত্তর: কয়লা


21. বাতাস ছাড়া কয়লা দহন করলে যে-কঠিন অবশেষ পাওয়া যায় তাকে কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: ধাতু নিষ্কাশনে


22.  কয়লার অন্তধূম পাতনে প্রাপ্ত তরল অবশেষের নাম কী?

উত্তর: আলকাতরা


23. LPG কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর:  রান্নার কাজে


24. LPG-এর পুরো নাম কী?

উত্তর: লিকুয়েফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। (Liquefied Pertroleum Gas) |


25. পেট্রোলিয়াম শোধনে প্রাপ্ত গ্যাসীয় জ্বালানির নাম কী?

উত্তর: প্রোপেন ও বিউটেন


26. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কী?

উত্তর:  মিথেন

 

5. দু-এটি বাক্যে উত্তর দাও


1. শিলা কাকে বলে?

উত্তর:  ভূত্বক গঠনের সব রকম উপাদানের সাধারণ নাম শিলা। শিলা বলতে শুধুমাত্র কঠিন পাথরকে বোঝায় না, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা ইত্যাদি ভূপৃষ্ঠের যাবতীয় বস্তুকে একত্রে শিলা বলে


2. শিলা কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর:  শিলা তিন প্রকার, যেমন-আগ্নেয়শিলা, পাললিক শিলা ও পরিবর্তিত শিলা


3. আগ্নেয়শিলা কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: আগ্নেয়শিলা তিন প্রকার, যথা-ব্যাসল্ট, গ্র্যানাইট ও পিউমিস


4. আগ্নেয়শিলা কাকে বলে?

উত্তর:  আগ্নেয় পদার্থ (অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত লাভা) শীতল হয়ে জমাট বেঁধে যে-শক্ত, কঠিন, স্তরবিহীন শিলা গঠন করে, তাকে আগ্নেয়শিলা বলে


5. পাললিক শিলা কাকে বলে?

উত্তর:  সমুদ্রগর্ভে ও বিশাল জলাশয়ের তলদেশে পলি জমাট বেঁধে অত্যধিক চাপ ও তাপের প্রভাবে অপেক্ষাকৃত নরম, স্তরযুক্ত সচ্ছিদ্র যে শিলা গঠিত হয়, তাকে পাললিক শিলা বলে


6 নানান জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম কোন্ শিলাস্তরে দেখা যায় ও কেন?

উত্তর: নানান জলজ প্রাণীর জীবাশ্ম পাললিক শিলাস্তরে পাওয়া যায়। কারণ ওইসব জলজ প্রাণী মারা যাওয়ার পর তাদের নরম অংশগুলি নষ্ট হয়ে তার ওপর পলি জমে জীবাশ্ম তৈরি হয়


7. যে-কোনো দু-রকম পাললিক শিলার উদাহরণ দাও

উত্তর:  বেলেপাথর ও চুনাপাথর। এ ছাড়া জিপসাম, কাদাপাথর, সৈন্ধব লবণ ইত্যাদি পাললিক শিলা


৪. খনিজ পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর:  বিভিন্ন শিলাস্তরে বর্তমান যেসব প্রকৃতিসৃষ্ট বস্তু, যাদের একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি আছে এবং বিভিন্ন ধাতু ও অধাতুর মিলিত যৌগরূপে বালি, মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়, তাদের খনিজ বলে


9. আকরিক কাকে বলে? উদাহরণ দাও

উত্তর:  যেসব ধাতব খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজে ও সস্তায় বিশুদ্ধ ধাতু নিষ্কাশন করা হয়, তাদের আকরিক বলে। উদাহরণ: লোহার আকরিক হেমাটাইট (Fe2O3)


10. সব আকরিকই খনিজ, কিন্তু সব খনিজ আকরিক নয়- উক্তিটি যুক্তি-সহ ব্যাখ্যা করো

উত্তর: প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধাতুর যৌগ শিলাস্তরে বালি-মাটি ইত্যাদির সঙ্গে মিশে থাকে, এদের ধাতুর খনিজ বলে। আবার যেসব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা হয়, তাদের আকরিক বলে। সুতরাং, সব আকরিকই হল খনিজ। যেহেতু সব খনিজ পদার্থ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা সম্ভব নয় সেহেতু সমস্ত খনিজ আকরিক নয়


11. সংকর ধাতু বা মিশ্র ধাতু কী?

উত্তর:  কোনো ধাতুর সঙ্গে অন্য ধাতু বা অধাতু বিশেষ মাত্রায় মিশিয়ে গলিয়ে নিয়ে সেই তরল মিশ্রণকে ঠান্ডা করে যে-মিশ্র পদার্থ বা কঠিন দ্রবণ পাওয়া যায়, তাকে সংকর ধাতু বা মিশ্র ধাতু বলে। উদাহরণ: তামা ও টিনের মিশ্রণে তৈরি ব্রোঞ্জ


12.  প্রাথমিক শিলা কাকে বলে ও কেন?

উত্তর:  আগ্নেয়শিলা-কে প্রাথমিক শিলা বলে। যাবতীয় শিলার মধ্যে এই শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছে প্রায় 300 কোটি বছর আগে অতি প্রাচীন প্রিক্যাম্বিয়ান যুগে। ভূগর্ভের আগ্নেয় পদার্থ, ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে জমাট বেঁধে সর্বপ্রথম পৃথিবীর পৃষ্ঠ বা ভূত্বক গঠন করে, সেজন্য একে প্রাথমিক শিলা বলে


13. জীবাশ্ম বা ফসিল কাকে বলে?

উত্তর: জীবদেহের আংশিক বা সম্পূর্ণ শিলাভূত বা প্রস্তরীভূত অবস্থা বা ছাপ বহু দিন ধরে ভৌত-রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভে বিভিন্ন পাললিক শিলাস্তরে সংরক্ষিত হলে, তাকে জীবাশ্ম বলে


14. সোনার আংটি জল লাগলে বা খোলা হাওয়ায় পড়ে থাকলে কোনো পরিবর্তন হয় না, কিন্তু লোহার জিনিস ওইসব অবস্থায় থাকলে তাতে মরচে ধরে কেন?

উত্তর: সোনা প্রকৃতিতে মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি ভারী, স্থিতিশীল এবং রাসায়নিকভাবে কম সক্রিয় থাকে। কিন্তু লোহা আগ্নেয় শিলাস্তরে বিভিন্ন যৌগের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় আকরিকরূপে পাওয়া যায়। লোহা রাসায়নিকভাবে সক্রিয়। ভিজে বায়ুতে বা জলের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এবং বাদামি রঙের মরচে গঠন করে। তাই লোহাতে জল লাগলে বা খোলা হাওয়ায় পড়ে থাকলে মরচে ধরে


15. লোহার দুটি আকরিকের নাম লেখো

উত্তর: লোহার দুটি আকরিকের নাম:

i.  হেমাটাইট (লাল রংযুক্ত) - Fe2O3

ii. ম্যাগনেটাইট - Fe3O4


 16. কয়লার কয়েকটি উপজাত পদার্থের নাম লেখো

উত্তর: কয়লার কয়েকটি উপেেজাত দ্রব্য হল-ন্যাপথলিন, স্যাকারিন, আলকাতরা, কোক গ্যাস ইত্যাদি


17. দুটি জ্বালানি খনিজের উদাহরণ দাও

উত্তর: দুটি জ্বালানি খনিজের উদাহরণ হল-কয়লা ও তেলশিলা বা অয়েলশেল


18. জৈব শিলা কাকে বলে? উদাহরণ দাও

উত্তর:  জীবজাত পদার্থ (উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ) মাটির নীচে বা জলে দীর্ঘসময় ধরে চাপা পড়ে চাপ, তাপ ও নানান ভৌত- রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে অঙ্গীভূত হয়ে যে-শিলা গঠন করে, তাকে জৈব শিলা বলে। জৈব শিলা এক বিশেষ রকমের পাললিক শিলা। উদাহরণ: কয়লা, তেলশিলা প্রভৃতি


19. পেট্রোলিয়াম কী?

উত্তর: অগভীর সমুদ্রে পাললিক শিলাস্তরে কোটি কোটি বছর ধরে নানান জলজ প্রাণীর মৃতদেহ তাপ, চাপ ও নানান ভৌত- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে-তরল জৈব জ্বালানি সৃষ্টি করে, তাকেই পেট্রোলিয়াম বলে। এটি হল একটি অশুদ্ধ চটচটে তরল মিশ্রণ, যাকে শুদ্ধ করে বিভিন্ন জ্বালানি পাওয়া যায়

 

6. সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

 

1. আগ্নেয়শিলা কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তর:  আগ্নেয়শিলার গঠন পদ্ধতি: মাটির যত গভীরে যাওয়া যায় চাপ ও উন্নতা তত বাড়ে। পৃথিবীর গভীরে চাপ আর উন্নতা এতই বেশি যে, সেখানে পাথর তরল অবস্থায় থাকে, একে বলে ম্যাগমা। এই ম্যাগমা যখন কোনো পাথরের ফাটল বা পাহাড়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন তাকে বলে লাভা। বাইরে এসে লাভা জমাট বেঁধে পৃথিবীর ওপরের পৃষ্ঠে এভাবে আগ্নেয় পদার্থ থেকে কঠিন আগ্নেয়শিলা গঠিত হয়


2. আগ্নেয়শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো

উত্তর:  আগ্নেয়শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ:

i.  আগ্নেয়শিলা খুব ভারী, কঠিন ও শক্ত, তাই এই শিলা সহজে ক্ষয়ে যায় না

ii. আগ্নেয়শিলার মধ্যে কোনো রকম স্তরভাগ থাকে না, তাই একে অস্তরীভূত শিলা বলে

iii. আগ্নেয়শিলার উপাদানগুলি খুব সূক্ষ্ম এবং তারা খুব ঘনভাবে সন্নিবিষ্ট থাকে

iv. আগ্নেয় পদার্থ (লাভা) জমা হয়ে উত্তপ্ত অবস্থায় এই শিলা সৃষ্টি হয় এবং ভূত্বকের ওপর সবার প্রথমে গঠিত হয় বলে একে প্রাথমিক শিলাও বলে

v. আগ্নেয়শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় না, তবে মূল্যবান ধাতুগুলি এই শিলায় পাওয়া যায়

vi. আগ্নেয়শিলা অম্লধর্মী বা ক্ষারকীয় উভয় প্রকার হতে পারে


3. পাললিক শিলা কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তর: পাললিক শিলার গঠন পদ্ধতি:

i. বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় (ভূমিকম্প, ভূ-আলোড়ন, ভূমিধস) কিংবা প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত-প্রতিঘাতে ভূত্বক

চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ওই শিলাচূর্ণ পলিরূপে হ্রদ, নদী-সমুদ্রের জলের নীচে জমা হয়

ii. ধীরে ধীরে সেই পলিস্তর মাটির নীচে চলে যেতে থাকে

iii. বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এবং জৈব উপায়ে মাটির নীচের চাপ ও তাপের প্রভাবে ওই পলিস্তর জমাট বেঁধে কালক্রমে তার থেকে কঠিন পাললিক শিলা গঠিত হয়

এরকমভাবে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে যান্ত্রিক উপায়ে বেলেপাথর, কাদাপাথর, শেল প্রভৃতি পাললিক শিলা, রাসায়নিক উপায়ে ডলোমাইট, সৈন্ধব লবণ প্রভৃতি এবং জৈব উপায়ে চুনাপাথর, কয়লা প্রভৃতি পাললিক শিলা গঠিত হয়


4. পাললিক শিলার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে লেখো

উত্তর: পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য:

i.  সমস্ত শিলার মধ্যে পাললিক শিলা সবথেকে নরম, হালকা ও ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়, সেজন্য সহজেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ক্ষয়ে যায়

ii. সবরকম শিলার মধ্যে একমাত্র পাললিক শিলায় সচ্ছিদ্রতা আছে। তাই এই শিলাস্তরে জল ও খনিজ তেল পাওয়া যায়

iii. পাললিক শিলার মধ্যে কোনো রকম স্ফটিক লক্ষ করা যায় না

iv পাললিক শিলা স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে একে স্তরীভূত শিলা-ও বলে

পাললিক শিলায় জীবাশ্ম, কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া গেলেও কোনো মূল্যবান ধাতু (তামা, সোনা, রুপো) পাওয়া যায় না

 

 

 👉Paid Answer (For Membership User)

    👉Download Books PDF

 

Editing By:- Lipi Medhi