Chapter 2

ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়

---------------------------------


    


[MCQs]

1. কোনো স্থানের দ্রাঘিমার সঙ্গে তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার ব্যবধান-

A)80°,

B) 90°,

C) 180°,

D)360°

উত্তর: C)180°।

2. উত্তর গোলার্ধে অক্ষাংশে নির্ণয় করা হয়-

A)নিরক্ষরেখার মাধ্যমে, 

B)ধ্রুবতারার মাধ্যমে,

C) দ্রাঘিমার মাধ্যমে, 

D) কোনোটিই নয়।

উত্তর: B) ধ্রুবতারার মাধ্যমে।

3. কোনো স্থান ও তার প্রতিপাদস্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য-

A) 12 ঘণ্টা, 

B)  2 ঘণ্টা, 

C)  24 ঘণ্টা, 

D)  14 ঘণ্টা।

উত্তর: A) 12 ঘণ্টা।

4. সবচেয়ে বেশি প্রমাণ দ্রাঘিমা আছে-

A)আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে, 

B)রাশিয়ায়,

C)  জার্মানিতে

D) চিনে।

উত্তর: (B) রাশিয়ায়।

5. পৃথিবীতে মোট তাপমণ্ডল আছে-

 A) 3 টি, 

B) 2 টি, 

C) 4 টি, 

D) 5 টি।

উত্তর: D) 5 টি।

6. সমুদ্রে নাবিকেরা যে যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করে সেটি হল-

A) থিওডোলাইট,

B) ব্যারোমিটার,

C) সেক্সট্যান্ট,

D) ল্যাটিমিটার।

উত্তর C) সেক্সট্যান্ট।

7.GMT এর মাধ্যমে জানা যায়-

A) এলাহাবাদ,

B) গ্রিনিচ,

C) ওয়াশিংটন,

D) মেলবোর্ন-এর সময়।

উত্তর: B) গ্রিনিচ-এর সময়।

8. সর্বোচ্চ অক্ষাংশের মান হল-

A) 50°, 

B) 75°,

C) 90°, 

D) 180° 

উত্তর: D) 90°।

9. এক ডিগ্রি অন্তর মোট দ্রাঘিমারেখার সংখ্যা-

 A) 180টি, 

b)360টি, 

C) 320টি, 

D) 365টি

উত্তর: B) 360টি।

10. সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশের মান হল-

A)23½° উ., 

B) 66½° উ.

C), 23/½° দ. 

D), 6½° দ.।

উত্তর: B) 66½° উ.।

11. অক্ষরেখার পরিধি মেরুর দিকে ক্রমশ-

A) বাড়তে থাকে,

B) কমতে থাকে,

C) একই থাকে,

D) বাঁকতে থাকে।

উত্তর: B) কমতে থাকে।

12. নিরক্ষরেখার মান-

A) 0°, 

B) 90°, 

C) 66½°, 

D) 232°

উত্তর: A) 0°।

13. এর উপর দিয়ে ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা ধরা হয়েছে।

A)দিল্লি, 

B)কলকাতা,

C) এলাহাবাদ 

D), আমেদাবাদ

উত্তর: C) এলাহাবাদ।


সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর


► প্রশ্ন-1 GPS-এর প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার সম্পর্কে কী জানো।


 উত্তর: পৃথিবী থেকে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের ওপর

কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের সর্বাধুনিক পদ্ধতি হল GPS (Global Positioning} System)। প্রাচীনকালে পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো অবস্থান নির্ণয়ের জন্য নানান ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হত। কিন্তু সংকটাপন্ন অবস্থায় (বিশেষত সমুদ্রগামী জাহাজ বা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান) অতি দ্রুত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করা সম্ভব হত না। সেজন্য সামুদ্রিক জাহাজের গতিবিধি, দুর্গম গহন অরণ্যের মূল্যবান বৃক্ষের অবস্থান, সামুদ্রিক মৎস্যের অবস্থান, খনিজ সম্পদের ত্রিমাত্রিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য GPS পদ্ধতি একান্ত প্রয়োজন।

বর্তমানে GPS-এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে। যেমন-উড়োজাহাজ, দুরগামী ট্রেন, দামি ঘড়ি ও গাড়ি, মোবাইল, জাহাজ, প্রভৃতি। উপগ্রহে স্থাপিত রেডিয়ো ওয়েভের সাহায্যে এক স্থান থকে অন্যস্থানের মধ্যে যাতায়াতের সময়ের উপর নির্ভর করে দূরত্ব ও অবস্থান নির্ণয় করা হয়। উল্লেখ্য, আমেরিকাযুক্তরাষ্ট্রের প্রেরিত 24 টি কৃত্রিম উপগ্রহ নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কাজ করে চলেছে, যা ভূপৃষ্ঠের যে কোনো স্থানের অবস্থান অতি সহজে ও নিখুঁতভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে।


প্রশ্ন-2 দ্রাঘিমারেখা ও সময়ের সম্পর্ক কীরূপ-তা লেখো।


উত্তর: দ্রাঘিমারেখা ও সময় পারস্পরিকভাবে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত।


যেমন-

(i) পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তিত হচ্ছে বলে একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত সকল স্থানে একই সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্ত হয়। দ্রাঘিমার পরিবর্তনের ফলে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয় বলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সময় বিভিন্ন হয়।


(ii) পৃথিবী নিজ মেরুরেখার চারদিকে একবার 24 ঘণ্টায় পূর্ণ আবর্তন করতে, 360° কৌণিকদূরত্ব অতিক্রম করে। সুতরাং পৃথিবীর 1° আবর্তিত হতে সময় লাগে 4 মিনিট (24×60 মিনিট 360 = 1440 মিনিট + 360 = 4 মিনিট)। 15° আবর্তন করে 15 × 4 মিনিট = 60 মিনিট বা 1 ঘণ্টা। আবার 1 মিনিট সময়ের পার্থক্যের জন্য দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় '/° = 15' (মিনিট)।


(iii) দ্রাঘিমারেখার সঙ্গে স্থানীয় সময়ের অপর একটি সম্পর্ক হল মূলমধ্যরেখার পূর্বদিকে অবস্থিত দ্রাঘিমাগুলির স্থানীয় সময় অগ্রবর্তী (বেশি) হয় এবং পশ্চিম দিকের স্থানগুলির স্থানীয় সময় পশ্চাদ্বর্তী (কম) হয়।


(iv) মধ্যরাতের (12 টা) পর থেকে নতুন দিনের সূচনা হয়।


(v) একটি দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-প্রভাত, সকাল, পূর্বাহ্ন, মধ্যাহ্ন (দুপুর 12 টা), অপরাহ্ন, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত প্রভৃতি।


▶ প্রশ্ন-3 দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো। তিন থেকে চারটি বৈশিট্যে লেখো


উত্তর: দ্রাঘিমারেখার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো-(i) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত। (ii) দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। (iii) সমস্ত দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান। (iv) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার কোণের সমষ্টি 180°। (v) প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা প্রতিটি অক্ষরেখাকে - সমকোণে ছেদ করে। (vi) দ্রাঘিমারেখার পরিবর্তনে সময়ের পরিবর্তন -} ঘটে। (vii) দ্রাঘিমারেখার মান মূলমধ্যরেখার (0°) পূর্ব বা পশ্চিমে ক্রমশ বেড়ে সর্বাধিক 180° পর্যন্ত হয়। (viii) একই দ্রাঘিমা রেখার উপর অবস্থিত সকল স্থানের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত একই সময়ে হয়। (ix) একই দ্রাঘিমা রেখার উপর বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর পার্থক্য হয়।


► প্রশ্ন-4 GMT কী?


উত্তর: গ্রিনিচ মানমন্দিরের (0°) স্থানীয় সময়কে সমগ্র পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে একাধিক দ্রাঘিমারেখা থাকায় অসংখ্য প্রমাণ সময় আছে বলে আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে সময়গত অসুবিধা হয়। সেই কারণে কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বদিকে বা পশ্চিম দিকে অবস্থিত হলে সেই স্থানের সময় গ্রিনিচের সময় থেকে যথাক্রমে বেশি বা কম হয়। সময়ের এই অসুবিধা সমাধানের জন্য যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের নিকট গ্রিনিচ শহরের মানমন্দিরের ওপর দিয়ে প্রসারিত মূলমধ্যরেখার (0°) সময়কে পৃথিবীর প্রমাণ সময় (Greenwich Mean Time or GM) ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই প্রমাণ সময় গ্রীনিচ সময় (GMT) নামে অভিহিত। গ্রিনিচের উপরে বিস্তৃত মূল মধ্যরেখার সময়কে আদর্শ ধরে 1 ঘন্টা বা 30 মিনিট অন্তর প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়


প্রশ্ন-5 স্থানীয় সময় কাকে বলে?


উত্তর: সংজ্ঞা: কোনো স্থানে আকাশে মধ্যাহ্ন সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থানের ভিত্তিতে যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে সেই স্থানের স্থানীয় সময় বলে।

নির্ণয় পদ্ধতি: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে যখন যে দ্রাঘিমা সূর্যের সামনে আসে, তখন সেই স্থানের স্থানীয় সময় হয় দুপুর 12 টা বা মধ্যাহ্ন। * বৈশিষ্ট্য: (i) কোনো একটি দেশে অসংখ্য স্থানীয় সময় থাকে। (ii) কোনো একটি দেশের সব স্থানের স্থানীয় সময় এক হয় না। (iii) দুটি স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য থেকে স্থান দুটির দ্রাঘিমার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।


▶ প্রশ্ন-6 একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় কি? যদি না হয় তাহলে কেন হয় না?


উত্তর: একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় না। তার কারণ হল-প্রতিটি অক্ষরেখা হল পূর্ণবৃত্ত এবং সবই পূর্ব-পশ্চিম বিস্তৃত। আবার একই অক্ষরেখার উপর 360 টি দ্রাঘিমারেখা অবস্থান করছে। পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য একই অক্ষরেখার ওপরে অবস্থিত পূর্বদিকের দ্রাঘিমারেখাগুলিতে আগে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হবে এবং পশ্চিমদিকের দ্রাঘিমারেখাগুলিতে পরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হবে। সেই অনুসারে দিনরাত্রিরও পরিবর্তন হবে।



F বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো।


• প্রশ্ন-1 দুটো অক্ষরেখার মাঝখানে কোনো স্থানের অবস্থান কীভাবে নির্ণয় করা হবে?


উত্তর:


2. সুমেরু বিন্দু, সুমেরু বৃত্তরেখা, কর্কটক্রান্তিরেখা, মকরক্রান্তিরেখা।


উত্তর: সুমেরু বিন্দু।


3. মহাবৃত্ত, পূর্ণবৃত্ত, কুমেরু বৃত্ত, বৃত্তচাপ।


উত্তর: বৃত্তচাপ।


4. স্থানীয় সময়, প্রমাণ সময়, গ্রিনিচ সময়, ব্যক্তিগত সময়।


উত্তর: ব্যক্তিগত সময়।


5. দ্রাঘিমারেখা, অক্ষরেখা, দেশান্তর রেখা, সময়ান্তর রেখা।


 উত্তর: অক্ষরেখা।


6. উত্তর গোলার্ধ, পূর্ব গোলার্ধ, উত্তর মেরু, পশ্চিম গোলার্ধ।


 উত্তর: উত্তর মেরু।


7. দ্রাঘিমারেখার অপর নাম কী?


উত্তর: দেশান্তররেখা।


8. পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সমাক্ষরেখার নাম কী?


উত্তর: নিরক্ষরেখা।


9. প্রতিটি সমাক্ষরেখার বা পৃথিবীর কৌণিক মান কত?


উত্তর: 360°।


10. 180° দ্রাঘিমারেখার অপর নাম কী?


উত্তর: আন্তর্জাতিক তারিখরেখা।


শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো:


1. প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টিগত মান হল 180°।


উত্তর: অশুদ্ধ (360°)


2. নিরক্ষরেখার দিকে সূর্যরশ্মি সর্বদাই তির্যকভাবে পড়ে।


উত্তর: অশুদ্ধ (লম্বভাবে)।


3. GPS-এর মাধ্যমে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমার মান জানা যায়।


উত্তর: শুদ্ধ।


4. নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা।


উত্তর: শুদ্ধ।


5. প্রত্যেকটি অক্ষরেখার পরিধি সমান।


 উত্তর: অশুদ্ধ (অসমান)


6. পৃথিবীর উভয় মেরু আসলে দুটি বিন্দু।


 উত্তর: শুদ্ধ।



শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :


1. কলকাতার দ্রাঘিমারেখার মান হল—-- পূর্ব।


উত্তর: 88°30′।


2. একটি বৃত্তের কৌণিক মাপ


উত্তর: 360° |


3. গ্রিনিচ শহরের ওপর দিয়ে—---প্রসারিত হয়েছে।


উত্তর:


4. 1°—--- = মিনিট।


উত্তর: 60।


6. মধ্যরেখার সর্বাধিক মান হল—---


উত্তর: 180°।



👉Download Books PDF


Editing by- Lipi Medhi