Chapter 3
বায়ুচাপ
----------------------
[MCQs]
1. বায়ুর ওজনকে বলে বায়ুর-
A) উয়তা,
2. পৃথিবীপৃষ্ঠের স্বাভাবিক বায়ুচাপ
হল প্রতি বর্গসেমিতে প্রায়-
A)1 কেজি
3. অণুগুলো আলগাভাবে ঘুরে বেড়ায়-
A) কঠিন পদার্থে,
B) তরল পদার্থে,
C) গ্যাসীয় পদার্থে,
D) সমস্ত পদার্থে।
4. পদার্থের আয়তন ও অণুগুলির দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক-
A)সমানুপাতিক,
B) ব্যাস্তানুপাতিক,
C) গতানুগতিক,
D) অপরিবর্তিত।
5. বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্র হল-
(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন, মালদা জেলা স্কুল)
A)অ্যানিমোমিটার,
B) ব্যারোমিটার,
C) বাতপতাকা,
D) থার্মোমিটার।
6. উচ্চতা বাড়লে বায়ুর চাপ-
A) বাড়ে,
B) কমে,
C) একই থাকে,
D) প্রথমে কমে, পরে বাড়ে।
7. বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ মাপার
যন্ত্রটির নাম-
A) থার্মোমিটার,
B) ব্যারোমিটার,
C)হাইগ্রোমিটার,
D) অ্যানিমোমিটার।
8. বায়ু প্রসারিত হলে ঘনত্ব-
A) বৃদ্ধি পায়,
B) হ্রাস পায়,
C) অপরিবর্তিত থাকে,
D) হ্রাস ও বৃদ্ধি পায়।
9. সমচাপরেখায় বায়ুর চাপকে দেখানো হয়-
A) সেমি
10. বায়ুর স্বাভাবিক চাপে কাচনলের
মধ্যে পারদ থাকে প্রায়-
11. একই বায়ুচাপযুক্ত স্থানগুলি
সংযোগকারী রেখাকে বলে-
A) সমোন্নতিরেখা,
B) সমপ্রেষরেখা,
C) সমবর্ষণরেখা,
D) সমোয়রেখা।
12. বায়ু শীতল হলে চাপ- (পর্ষদ নমুনা
প্রশ্ন)
A)বাড়ে
13. বায়ু পার্থক্য
বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
Short
Answer Question
► প্রশ্ন-1 বায়ু চাপ দেয় কেন?
উত্তর: বায়ু কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা গঠিত মিশ্র
পদার্থ। প্রধানত গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা গঠিত বায়ুর মধ্যস্থিত বিভিন্ন গ্যাসের
অণুগুলি আলগাভাবে ঘুরে বেড়ানোর সময় পরস্পরের মধ্যে ধাক্কা যায়। এই ধাক্কার কারণেই
চাপের সৃষ্টি হয়। বায়ুর ওজন আছে বলেই বায়ু চাপ দেয়। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ
প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে 14.7 পাউন্ড বা 1013.25 মিলিবার বা 760 মিলিমিটার বা 76 সেন্টিমিটার পারদস্তম্ভের উচ্চতার সমান।
► প্রশ্ন-2 ঝড় ওঠার আগে বাতাস প্রবাহিত হয় না কেন?
উত্তর: ঝড় সৃষ্টির
প্রধান কারণ হল বায়ুর চাপের পার্থক্য। বায়ুচাপের পার্থক্যজনিত ঢাল বেশি হলে
বাতাস দ্রতগতিতে প্রবাহিত হয়ে, ঝড়ের উৎপত্তি ঘটায়। কোনো কারণে বিশাল অঞ্চল জুড়ে উদ্বৃতা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে
বাতাস উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়। ফলে ওই স্থানে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি
হয়। এই সময় বাতাস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বায়ুর কোনোরূপ পার্শ্বপ্রবাহ থাকে না।
স্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহ না থাকায় ঝড়ের পূর্বে বাতাস প্রবাহিত হয় না বা থমথমে
আবহাওয়া বিরাজ করে।
প্রশ্ন-3 উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে মাংস সুসিদ্ধ হয় না কেন?
উত্তর: কোনো
খাদ্যদ্রব্য সুসিদ্ধ করতে গেলে যথেষ্ট বায়ুর চাপ দরকার। উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে
বায়ুর ঘনত্ব কমে যাওয়ায় বায়ুর চাপ কম হয়। ফলে স্ফুটনাংক কমে যায়। অর্থাৎ 100°C কম উষ্ণতায় ফুটতে শুরু করে। তাই কোনো
কিছু ফোটালে তা সিদ্ধ হতে অনেক সময় নেয় বলে মাংস সুসিদ্ধ হয় না।
প্রশ্ন-4প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কী?
উত্তর: সমুদ্রপৃষ্ঠে
45° অক্ষাংশে ০°সে: উয়তায় 76 সেমি উঁচু পারদস্তম্ভের সমান যে চাপ
বায়ু দেয় তাকে প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ বলে। প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মান 1.013.25×10°
পাস্কাল। (100000 বা 105 Pascal = 1
bar, and 1 bar = 1000mb). 1013 × 105 পাস্কাল =1013.25 mb)
5. ও গড় উদ্বৃতা সারাবছরই কম থাকে।
যেমন-মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চল।
উত্তর : ভূপৃষ্ঠ
থেকে উপরে উঠলে বায়ুর চাপ কমে এবং পর্বত থেকে নীচে নামলে বায়ুর চাপ বাড়ে। (iv) পৃথিবীর আবর্তন গতি: থেকে রী আবর্তন গতির
তারতম্যের জন্য কামচা বেগ বেশি হওয়া যেমন পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তনজনিত বেগ
বেশি হওয়ায় সেখানে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, মেরুর
দিকে আবর্তনের বেগ সেখাকেম হওয়ায় সেদিকে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়েছে। (v) জলীয় বাষ্প : বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে বায়ুর চাপ কম হয়।
যেমন-নিরক্ষীয় অঞ্চল। (vi) বায়ুর নিমজ্জন: শীতল অঞ্চলে
বায়ু ঠান্ডা ও ভারী হয়ে ভূপৃষ্ঠের দিকে নেমে আসে বলে বায়ুর ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় ও
বায়ুর চাপ তাই বাড়ে।
6.বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি
আলোচনা করো। অথবা, পৃথিবীর সব জায়গায় বায়ুচাপের পরিমাণ সমান
নয় উদাহরণসহ আলোচনা করো। (তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুল)
উত্তর: পৃথিবীর সর্বত্র বায়ুর চাপ
সমান হয় না। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণগুলি হল-
(i) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার তারতম্য: সমুদ্র সমতল থেকে যত
উপরে ওঠা যায়, ততই
বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব ও ওজন কমে তাই বায়ুর চাপও কমে যায়। অপরদিকে, নীচের বায়ুস্তর ঘন। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতার স্থানের ওপরও চাপ
বেশি হয়। প্রতি 110 মিটার ওপরে উঠলে 1 সেমি
পারদস্তম্ভের সমান বায়ু চাপ কমে যায়। উদাহরণ: পর্বতের উঁচু অংশে বায়ুর চাপ কম হয়
বলে কোনো কিছু সিদ্ধ হতে অনেক দেরি হয়।
(ii) বায়ুর উম্বুতার তারতম্য: বায়ুর চাপ বায়ুর
উয়তার ওপর নির্ভরশীল। বায়ুর উয়তা বেশি হলে বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয় এবং চাপ কমে
যায়। আবার উষ্ণতা হ্রাস পেলে বায়ু সংকুচিত ও শীতল হয় এবং বায়ুচাপ বৃদ্ধি পায়। এই
কারণে শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি ও উয় নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।
(iii) জলীয় বাষ্প : বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প
বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। জলীয় বাষ্প হালকা। তাই বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের
পরিমাণ বেশি হলে বায়ুর চাপ কমে এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে বায়ুর চাপ বেড়ে
যায়।
(iv) পৃথিবীর আবর্তন: পৃথিবীর আবর্তনগতির প্রভাবে
কোনো অঞ্চলের বায়ু বাইরের দিকে বিক্ষিপ্ত হয়, আবার কোনো
অঞ্চলে সেই বায়ু এসে জমা হয়। যেমন-পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে আবর্তন গতির বেগ বেশি
হওয়ায়, সেখানে বায়ু দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ছিটকে যায় এ
ওধ্বগামী হয় ফলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আবার এই বায়ু উপক্রান্তীয় অঞ্চলের 30°
অক্ষাংশ (উভয় গোলার্ধে) সংলগ্ন স্থানে নিম্নগামী হয়ে বায়ুর চাপ
বাড়িয়ে উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। এই কারণে ক্রান্তীয় অঞ্চলে স্থায়ী উচ্চচাপ দেখা যায়।
▶ প্রশ্ন-7. বায়ুর চাপ
কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে প্রতি একক ক্ষেত্রফলের ওপর লম্বভাবে বিস্তৃত বায়ুমণ্ডল যে ওজন দেয় তাকে সেই স্থানের বায়ুর চাপ বলা হয়।
▶ প্রশ্ন-8 উঁচু
পার্বত্য অঞ্চলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন? অথবা, পর্বতারোহীরা সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যান। কেন?
উত্তর: আমরা জানি, সমুদ্র সমতল থেকে প্রতি 110 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে । সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ হ্রাস পায়। পার্বত্য অঞ্চলগুলির সর্বনিম্ন উচ্চতা হয় 1000 মিটার। পর্বতারোহীরা যতই উপরের দিকে উঠতে থাকে, ততই বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই কমার সাথে সাথে বায়ুর মধ্যস্থিত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে পর্বতারোহীরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে যান।
▶ প্রশ্ন-9 বেলুনে বা
সাইকেলের টিউবে হাওয়া ভরার সময় হাওয়া বেশি হয়ে গেলে কী হয়? (অনুরূপ
প্রশ্ন: বেলুন বা সাইকেলের টিউব ফেটে যায় কেন?)
উত্তর: বেলুন বা সাইকেলের টিউবের
একটি নির্দিষ্ট আয়তন আছে। সেই আয়তন অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণ হাওয়া বা
বায়ু ধারণ করতে পারে। যদি তার আয়তন অপেক্ষা বেশি বায়ু বেলুন বা সাইকেলের টিউবে
প্রবেশ করানো হয়, তবে তা
অতিরিক্ত পার্শ্বচাপে বেলুন বা টিউব ফেটে যাবে।
প্রশ্ন-10 বাতাসের বর্ণ নেই, গন্ধ নেই, কিন্তু
আয়তন আছে, ওজন আছে-তা কী করে বুঝবে?
উত্তর: বাতাসের কোনো বর্ণ নেই, গন্ধ নেই বায়ুকে আমরা দেখতে পাই না। তবে বায়ু যে আছে তা
আমরা অনুভব করতে পারি বা বুঝতে পারি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়-ⅰ আমাদের
শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্য বায়ুর প্রয়োজন হয়। ⅱ প্রচণ্ড গরমের সময় বায়ু প্রবাহিত হলে আমরা আরামবোধ করি। (iii)
বাড়িতে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক পাখা চালালে বায়ুপ্রবাহ বোঝা যায়।
প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে গাছের পাতা নড়ে, নৌকার পাল ওড়ে,
ধুলো-বালি শুকনো পাতা উড়ে যায়, বই-এর পাতা
উলটে যায়, ঘুড়ি-কাপড়-পতাকা পতপত করে উড়তে থাকে। প্রবল
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল ভাঙে ও ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
বায়ুর আয়তন ও ওজন-উভয়ই আছে। যেমন-বেলুন, ফুটবল বা ভলিবল, গাড়ির টিউবের একটি
নির্দিষ্ট আয়তন আছে, সেই নির্দিষ্ট অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট
পরিমাণ বায়ুধারণ করতে পারে। তার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সবই ফেটে যাবে। গ্যাসভর্তি
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হওয়া সিলিন্ডার অপেক্ষা ওজন বেশি থাকে।
এথেকে বোঝা যায় বায়ুর ওজন আছে। এর প্রধান কারণ হল পৃথিবী তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির
দ্বারা বায়ুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে সর্বদাই আকর্ষণ করছে, ফলে
বায়ুর ওজন বৃদ্ধি পায়।
• প্রশ্ন-11 বায়ুর
কি চাপ আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বায়ুর সর্বমুখী চাপ আছে। আমি যখন এই বইটি পড়ছি, তখন আমরা চারদিকের বায়ু সর্বদাই আমার উপরে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে চলেছে। সেই
বায়ুচাপের পরিমাণ হল প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে প্রায় 1 কিগ্রা
এবং প্রতি বর্গফুটে প্রায় 1 টন। আসলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ
শক্তি প্রতিটি পদার্থের (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়)
অণুর উপর সর্বদাই ক্রিয়াশীল থাকে। ফলে বায়ুর আত্ম য়তন হ্রাস পেলে বায়ুর ঘনত্ব
বাড়ে। আর বায়ুর ঘনত্ব বাড়লে বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি পেলে
বায়ুর ঘনত্ব কমে। তখন বায়ুর চাপ হ্রাস পায়।
• প্রশ্ন-12তবুও
তুমি এই প্রচণ্ড চাপ বুঝতে পারছো না কেন?
উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ
শক্তির প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রতিটি বস্তুর ওপর বায়ু চাপ দেয়। মানুষসহ সমস্ত
প্রাণী দেহের উপর বায়ু চাপ দেয়, কিন্তু
আমরা সেই বায়ুচাপ অনুভব করতে পারি না। তার কারণ
13. বায়ুর চাপ ঊর্ধ্বমুখী।
উত্তর:
▶ প্রশ্ন-14 উঁচু
পার্বত্য অঞ্চলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন? অথবা, পর্বতারোহীরা সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যান। কেন?
উত্তর: আমরা জানি, সমুদ্র সমতল থেকে প্রতি 110 মিটার
উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে । সেমি পারদস্তম্ভের সমান বায়ুচাপ হ্রাস পায়।
পার্বত্য অঞ্চলগুলির সর্বনিম্ন উচ্চতা হয় 1000 মিটার।
পর্বতারোহীরা যতই উপরের দিকে উঠতে থাকে, ততই বায়ুর ঘনত্ব ও
চাপ উভয়ই কমার সাথে সাথে বায়ুর মধ্যস্থিত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে
পর্বতারোহীরা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব পূরণের জন্য
অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে যান।
▶ প্রশ্ন-15 বেলুনে বা
সাইকেলের টিউবে হাওয়া ভরার সময় হাওয়া বেশি হয়ে গেলে কী হয়? (অনুরূপ
প্রশ্ন: বেলুন বা সাইকেলের টিউব ফেটে যায় কেন?)
উত্তর: বেলুন বা সাইকেলের টিউবের
একটি নির্দিষ্ট আয়তন আছে। সেই আয়তন অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট পরিমাণ হাওয়া বা
বায়ু ধারণ করতে পারে। যদি তার আয়তন অপেক্ষা বেশি বায়ু বেলুন বা সাইকেলের টিউবে
প্রবেশ করানো হয়, তবে তা
অতিরিক্ত পার্শ্বচাপে বেলুন বা টিউব ফেটে যাবে।
প্রশ্ন-16 বাতাসের বর্ণ নেই, গন্ধ নেই, কিন্তু
আয়তন আছে, ওজন আছে-তা কী করে বুঝবে?
উত্তর: বাতাসের কোনো বর্ণ নেই, গন্ধ নেই বায়ুকে আমরা দেখতে পাই না। তবে বায়ু যে আছে তা
আমরা অনুভব করতে পারি বা বুঝতে পারি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়-ⅰ আমাদের
শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বায়ুর প্রয়োজন হয়। ⅱ প্রচণ্ড গরমের সময় বায়ু প্রবাহিত হলে আমরা আরামবোধ করি। (iii)
বাড়িতে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক পাখা চালালে বায়ুপ্রবাহ বোঝা যায়।
প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে গাছের পাতা নড়ে, নৌকার পাল ওড়ে,
ধুলো-বালি শুকনো পাতা উড়ে যায়, বই-এর পাতা
উলটে যায়, ঘুড়ি-কাপড়-পতাকা পতপত করে উড়তে থাকে। প্রবল
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল ভাঙে ও ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
বায়ুর আয়তন ও ওজন-উভয়ই আছে। যেমন-বেলুন, ফুটবল বা ভলিবল, গাড়ির টিউবের একটি
নির্দিষ্ট আয়তন আছে, সেই নির্দিষ্ট অনুসারে সেগুলি নির্দিষ্ট
পরিমাণ বায়ুধারণ করতে পারে। তার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সবই ফেটে যাবে। গ্যাসভর্তি
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হওয়া সিলিন্ডার অপেক্ষা ওজন বেশি থাকে।
এথেকে বোঝা যায় বায়ুর ওজন আছে। এর প্রধান কারণ হল পৃথিবী তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির
দ্বারা বায়ুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে সর্বদাই আকর্ষণ করছে, ফলে
বায়ুর ওজন বৃদ্ধি পায়।
• প্রশ্ন-17 বায়ুর
কি চাপ আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বায়ুর সর্বমুখী চাপ আছে। আমি যখন এই বইটি পড়ছি, তখন আমরা চারদিকের বায়ু সর্বদাই আমার উপরে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে চলেছে। সেই
বায়ুচাপের পরিমাণ হল প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে প্রায় 1 কিগ্রা
এবং প্রতি বর্গফুটে প্রায় 1 টন। আসলে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ
শক্তি প্রতিটি পদার্থের (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়)
অণুর উপর সর্বদাই ক্রিয়াশীল থাকে। ফলে বায়ুর আত্ম য়তন হ্রাস পেলে বায়ুর ঘনত্ব
বাড়ে। আর বায়ুর ঘনত্ব বাড়লে বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি পেলে
বায়ুর ঘনত্ব কমে। তখন বায়ুর চাপ হ্রাস পায়।
• প্রশ্ন-18 তবুও
তুমি এই প্রচণ্ড চাপ বুঝতে পারছো না কেন?
উত্তর: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে
পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রতিটি বস্তুর ওপর বায়ু চাপ দেয়। মানুষসহ সমস্ত প্রাণী দেহের উপর
বায়ু চাপ দেয়, কিন্তু আমরা সেই বায়ুচাপ অনুভব করতে পারি
না। তার কারণ
G.ভুল সংশোধন করে লেখো:
1. ব্যারোমিটারের সাহায্যে বায়ুর
আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।
উত্তর: হাইগ্রোমিটারের
সাহায্যে বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।
2. প্রতি 11 মিটার
উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর চাপ প্রায় 2 মিমি হ্রাস পায়।
উত্তর: প্রতি 11 মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর চাপ প্রায় 1
মিমি হারে হ্রাস পায়।
3. উষু বায়ু প্রসারিত হয়ে ভারী হয়।
উত্তর: উয় বায়ু
প্রসারিত হয়ে হালকা হয়।
4. সমপ্রেষ রেখাগুলি কাছাকাছি থাকলে
বায়ুর চাপের ঢালের পার্থক্য কম হয়।
উত্তর: সমপ্রেষ রেখাগুলি কাছাকাছি থাকলে বায়ুর চাপের ঢালের পার্থক্য বেশি হয়।
5. শীতল ও ভারী বায়ুতে জলীয় বাষ্পের
পরিমাণ খুবই বেশি থাকে।
উত্তর: শীতল ও ভারী বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম হয়।
D.শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো:
1. পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য বায়ুমণ্ডলের বাতাস বাইরের দিকে ছিটকে যায়।
👉 Paid Answer ( For Membership User)
Editing by-Lipi Medhi