Chapter 6
শিলা ও মাটি
[MCQs]
1. শিলা একটি-
A) মৌলিক পদার্থ
B) যৌগিক পদার্থ
C) মিশ্র পদার্থ
D) কোনোটিই নয়।
উত্তর: B) যৌগিক পদার্থ।
2. ভূত্বকে আগ্নেয় শিলার পরিমাণ প্রায়-
A) 10%
B) 45%
C) 75%
D) 90%
উত্তর: D) 90%
3. গ্রানাইট ও ব্যালস্ট হল-
A) আগ্নেয় শিলা
B) পাললিক শিলা
C) রূপান্তরিত শিলা
D) জৈব শিলা
উত্তর: A) আগ্নেয়
শিলা।
4. শিলাস্তর থাকে-
A) গ্রানাইট,
B) ব্যাসল্ট
C) চুনাপাথর
D) মারবেল শিলা স্তর
উত্তর: D) চুনাপাথর।
5. কয়লা একটি-
A) প্রাথমিক শিলা
B) আগ্নেয় শিলা
C) পাললিক শিলা
D) রূপান্তরিত শিলা
উত্তর: C)পাললিক শিলা
6. সিমেন্ট তৈরির কাজে লাগে-
A) ব্যাসাল্ট
B) গ্রানাইট
C) কোয়ার্টজাইট
D)চুনাপাথর।
উত্তর: D) চুনাপাথর।
7. কয়লা, খনিজ তেল পাওয়া যায়-
A) আগ্নেয়,
B) পাললিক,
C) রূপান্তরিত,
D) সকল শিলায়।
উত্তর: B) পাললিক শিলায়।
8. মাটির উপাদানগুলির মধ্যে জৈব পদার্থের পরিমাণ থাকে
A) 5%
B) 15%
C) 25%
D) 35%
উত্তর: D) 35%
9. মৃত্তিকা সৃষ্টির হার দ্রুততর হয়-
A) উয়-আর্দ্র জলবায়ুতে,
B) উয় মরু জলবায়ুতে,
C) তৈগা জলবায়ুতে,
D) চিরতুষারাবৃত জলবায়ুতে।
উত্তর: A) উয়-আর্দ্র জলবায়ুতে।
10. কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত নয়-
A) পলিমাটি
B) দোআঁশ মাটি
C) বেলেমটি
D) এঁটেল মাটি।
উত্তর: C) বেলেমাটি।
11. সবচেয়ে বেশি জলধারণ ক্ষমতাযুক্ত মাটি-
A) দোআঁশ মাটি,
B) বেলেমাটি,
C) ল্যাটেরাইট মাটি,
D) এঁটেল মাটি।
উত্তর: D) এঁটেল
মাটি।
12. মাটিতে বাতাস থাকে-
A) 10
B) 15
C) 20
D) 25 শতাংশ
উত্তর: D) 25 শতাংশ
প্রশ্ন-1বেশিরভাগ
মানুষের জীবিকা বা পেশা কী?
উত্তর: কৃষিকাজ।
প্রশ্ন-2 তোমার
অঞ্চলে মাটি দিয়ে বানানো কোন্ কোন্ জিনিস তৈরি হয়?
উত্তর: পালপাড়ার কুমোর
সম্প্রদায়ের মানুষরা মাটি দিয়ে হাঁড়ি, কলসি, ভাঁড়, ঘট, সরা, ঘড়া, মালসা, প্রদীপ, ধুনুচি,
পাতকুয়াের পাত, প্রতিমা, পুতুল, মেটে (চাল রাখার পাত্র), চায়ের ভাঁড় প্রভৃতি।
প্রশ্ন-3 তাহলে
তোমার অঞ্চলের মাটি কোন্ ধরনের বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: আমার অঞ্চলের
অধিকাংশ মাটি মূলত এঁটেল মাটি। তবে গ্রামের প্রান্তভাগে বিক্ষিপ্তভাবে দোআঁশ মাটি
লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন-4 তোমার
অঞ্চলটার ভূপ্রকৃতি সমতল/ঢেউ খেলানো/খুব উঁচু নীচু।
উত্তর: সমতল।
প্রশ্ন- 5আশপাশে
কোনো বনভূমি বা জঙ্গল আছে?
উত্তর: না, নেই।
প্রশ্ন-6 জঙ্গল বা
বাড়ির আশপাশের কী কী গাছ দেখতে পাও?
উত্তর: আম, জাম, কাঠাল, বট, অশ্বত্থ, লিচু, শিমুল, নিম, তেঁতুল, তাল, বাঁশ, খেজুর, কলাগাছ প্রভৃতি।
প্রশ্ন-7 মাটি
সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর: মাটি সৃষ্টির
প্রভাব বিস্তারকারী কারণগুলি হলো-(i) আদি শিলা, (ii) জলবায়ু, (iii) ভূপ্রকৃতি,
(iv) জীবজগৎ, (v) সময়।
(i) আদি
শিলা বা জনক: আদি শিলার বৈশিষ্ট্য মাটি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন-
নিস বা গ্রানাইট শিলা গভীরভাবে আবহবিকার প্রাপ্ত হয়ে লাল মাটি সৃষ্টি হয়। ব্যাসল্ট
শিলা থেকে ক্ষারধর্মী, কৃষ্ণমৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। মূল শিলায় লোহা ও
ম্যাঙ্গানিজ যৌগের পরিমাণ বেশি থাকলে মাটি লাল রঙের হয়।
(ii) জলবায়ু
: অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলের মাটিতে নাইট্রোজেন ও অম্লের পরিমাণ
বেশি থাকে। শুষ্ক জলবায়ুতে মাটির উপরের স্তরে চুন জাতীয় ক্যালশিয়াম কার্বোনেট ও
লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। তাপমাত্রা বেশি হলে মাটিতে জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেনের
পরিমাণ কমে যায়।
(iii) ভূপ্রকৃতি: ভূমির ঢালের
উপর মৃত্তিকার গভীরতা নির্ভর করে। যেমন-মৃদু ঢালযুক্ত ভূমিভাগে রেগোলিথ, বা
আদিশিলার পরিমাণ বেশি হওয়ায় মৃত্তিকার গভীরতা বেশি হয় ও স্তরবিভাগ গড়ে ওঠে- মাটি
মাটি হয়। অন্যদিকে অধিক ঢালযুক্ত ভূমিভাগে ওইসব পদার্থগুলি খুব কম থাকায় মৃত্তিকার
গভীরতা কম হয় ও অপরিণত হয়।
(iv) জীবজগৎ: উদ্ভিদের শিকড়
শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে শিলার মধ্যে জল ও বাতাস চলাচলে সাহায্য করে। পিঁপড়ে, কেঁচো,
ইঁদুর প্রভৃতি প্রাণীরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বিভিন্ন স্তরের
উপাদানগুলির মধ্যে মিশ্রণ ঘটায়। মৃত ও প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির পুষ্টি সরবরাহ করে
এবং উর্বর করে তোলে।
(v) সময়: মাটি গঠনে
সময়ের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মৃত্তিকা সৃষ্টি কয়েক হাজার বছর বাক্ষ বছরও লেগে
যায়।
প্রশ্ন-8 আগ্নেয়
শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: আগ্নেয় শিলার
বৈশিষ্ট্যগুলি হল- এই শিলা কেলাসিত হয়। আগ্নেয় শিলায় স্তরভেদ থাকে না। (iii) এই
শিলায় উপাদানগুলি ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় কঠিন, দৃঢ়সংবদ্ধ ও
ভারী হয়। (iv) ভঙ্গুরতা কম হয় বলে সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।
জীবাশ্ম থাকে না। ছিদ্র না থাকায় জলধারণ করতে পারে না। i) আগ্নেয়
শিলায় মূল্যবান খনিজ সম্পদ (স্বর্ণ, রৌপ্য, সিসা, দস্তা ইত্যাদি) পাওয়া যায়। viⅲ) শিলায়
উল্লম্ব দারণ ফাটল থাকায় জলের প্রবেশ্যতা যৌগ।
প্রশ্ন-9
শিলা থেকে কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: নানান
প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা চূর্ণ-বিচূর্ণ বা বিয়োজিত পদার্থ বা রেগোলিথ, জৈব
পদার্থের জল ও বায়ুর মিশ্রণে সৃষ্ট শিথিল ও নরম স্তর ভূত্বকের উপর মাটি রূপে
সৃষ্টি হয়। মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলি নিম্নরূপ-(i) শিলাচূর্ণ
বা রেগোলিথ বিভিন্ন প্রকার জটিল যান্ত্রিক, রাসায়নিক ও জৈবিক
প্রক্রিয়ায় মাটিতে পরিণত হয়। (ii) প্রাথমিক পর্বে সৌরশক্তি,
জল, অক্সিজেন, জৈব
পদার্থ ও খনিজ পদার্থ প্রভৃতি সংযোজন, বর্জন, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়পর্বে হিউমিফিকেশন, খনিজীকরণ, এলুভিয়েশন, ইলুভিয়েশন
প্রভৃতি মৌলিক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে মৃত্তিকার উৎপত্তি ঘটে। (iii) ল্যাটেরাইজেশন, পডজলাইজেশন, অ্যালকালাইজেশন,
স্যালিনাইজেশন, ক্যালসিফিকেশান প্রভৃতি বিশেষ
প্রক্রিয়ায় দ্বারা ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন রকম মৃত্তিকার উদ্ভব ঘটে।
প্রশ্ন-10
রূপান্তরিত শিলা কাকে বলে?
উত্তর: আগ্নেয় শিলা ও
পাললিক শিলা অনেক সময় ভূগর্ভের প্রচন্ড তাপ, উপরের শিলাস্তরের চাপ, রাসায়নিক
বিক্রিয়ায় বৈশিষ্ট্যযুক্ত পরিবর্তিত ও কেলাসিত হয়ে এক শিলা গঠন করে। তাকে
রূপান্তরিত শিলা বলে। উদাহরণ: গ্রানাইট থেকে নিস, ব্যাসল্ট
থেকে অ্যাম্ফিবোলাইট, কাদাপাথর থেকে শ্লেট, বেলেপাথর থেকে কোয়ার্টজাইট, চুনাপাথর থেকে মার্বেল
প্রভৃতি। অনেক ক্ষেত্রে রূপান্তরিত শিলার রূপান্তর ঘটে। যেমন- নিস থেকে শিস্ট।
প্রশ্ন- 11আগ্নেয়
শিলা কাকে বলে?
উত্তর:
পৃথিবী
উত্তপ্ত গ্যাসীয় ও তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময়ে পৃথিবীর
ভূপৃষ্ঠে ও ভুঅভ্যন্তরে বিভিন্ন উপাদান জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে
আগ্নেয়শিলা বলে। এই শিলা পৃথিবীতে প্রথম সৃষ্টি হওয়ার জন্য একে প্রাথমিক শিলা বলে।
ফাটল চ্যুতি পথ দিয়ে নির্গত ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা বা বাইরে লাভারূপে
বেরিয়ে এসে ক্রমাগত তাপ বিকিরণ করে শীতল ও কঠিন হয়ে ভূত্বকের বাইরে বা অভ্যন্তরে
যথাক্রমে নিঃসারী ও উদ্বেধী আগ্নেয়শিলা সৃষ্টি করেছে। এই শিলায় কোনো স্তরায়ণ তল
থাকে না, সেজন্য এই শিলাকে অস্তরীভূত শিলা বলে। উদাহরণ-গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, ডলোরাইট, পরফাইরি
প্রভৃতি।
প্রশ্ন-12
শিলা কাকে বলে?
উত্তর:
ভূবিজ্ঞানীদের
মতে, পৃথিবীর বহিরাবরণ বা ভূত্বক যেসব বস্তুপুঞ্জ বা উপাদান দিয়ে গঠিত, তাদের সাধারণভাবে শিলা বলে। শিলা বলতে শুধুমাত্র শক্ত প্রস্তরখণ্ডকে বোঝায়
না-নুড়ি, বালি, কাঁকর, পলি, কাদা, মাটি, লৌহ, লবণ, স্বর্ণ প্রভৃতিকেও
বোঝায়। শিলা একাধিক খনিজের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ। উদাহরণ- গ্রানাইট,
ব্যাসল্ট, চুনাপাথর, বেলেপাথর,
নিস ইত্যাদি।
প্রশ্ন-13 খনিজ
কাকে বলে?
উত্তর: প্রকৃতিতে
পাওয়া যায় এমন এক বা একাধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ, যার নির্দিষ্ট পারমাণবিক
গঠন আছে, নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি আছে, যা একপ্রকার কেলাসিত মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ ও অজৈব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে
সৃষ্ট তাকে খনিজ বলে। উদাহরণ: মৌলিক খনিজ-হিরে এবং যৌগিক খনিজ-ফেল্ডসপার প্রভৃতি।
প্রশ্ন-14 ভূত্বক
কাকে বলে?
উত্তর: ভূগঠনের
স্তরবিন্যাসের সবচেয়ে উপরের কঠিন ও অপেক্ষাকৃত হালকা সিলিকন ও কার্বনজাত পদার্থ
দিয়ে তৈরি স্তরটিকে অর্থাৎ পৃথিবীর শিলাময় বহিরাবরণকে ভূত্বক বলে। ভূত্বক মহাদেশের
তলদেশে প্রায় 30-35 কিমি এবং মহাসাগরে তলদেশে প্রায় 3-10 কিমি পুরু। ভূত্বকের ঘনত্ব 2.65-3.0 গ্রাম-ঘনসেমি।
ভূত্বকের উন্নত অংশে মহাদেশ এবং অবনত অংশে মহাসাগর সৃষ্টি হয়েছে।
D.শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো:
1. বিট লবণ
এক ধরনের খনিজ পদার্থ।
উত্তর: শুদ্ধ
2. এঁটেল
মাটিতে পলি বা কাদার পরিমাণ থাকে 75-90%।
উত্তর: শুদ্ধ
3. উপক্রান্তীয়
অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ
(নিরক্ষীয়)
4. শিলা
একটি মৌলিক পদার্থ।
উত্তর: অশুদ্ধ
(যৌগিক)
5. পাললিক
শিলা নরম ও সহজেই ভেঙে যায়।
উত্তর: শুদ্ধ
6. শিল ও
নোড়া চুনাপাথর দিয়ে তৈরি হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ
(বেলেপাথর)
7. স্কুলে
ব্যবহৃত চক হল একটি পাললিক শিলা।
উত্তর: শুদ্ধ
C. শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
1. মৃত্তিকা
সৃষ্টির পূর্ব শর্ত হল—।
উত্তর: রেগোলিথ।
2. —-মাটি
কৃষিকাজের পক্ষে বিশেষ উপযোগী।
উত্তর: দোআঁশ
মাটি।
3. মাটিতে
জলের পরিমাণ থাকে —%।
উত্তর: 25।
4. ব্ল্যাকবোর্ড
তৈরি করতে — পাথর ব্যবহার করা হয়।
উত্তর: শ্লেট।
👉Paid Answer ( For Membership User )
Editing by:- Lipi Medhi