Chapter 7
জলদূষণ
------------
MCQs
1. WHO-এর মতে, দূষিত জলে আর্সেনিকের ন্যূনতম মাত্রাটি হল-
(i) 0.02 মিলিগ্রাম/লিটার,
(ii) 0.05 মিলিগ্রাম/লিটার,
(iii) মিলিগ্রাম/লিটার,
(iv) 4 মিলিগ্রাম/লিটার।
উত্তর: B 0.05 মিলিগ্রাম/লিটার।
2. পৃথিবীর মোট লবণাক্ত জলের পরিমাণ হল-
(i) 21 শতাংশ,
(ii) 42 শতাংশ,
(iii) 97 শতাংশ,
(iv) 87 শতাংশ।
উত্তর: 97 শতাংশ।
3. কোন্টি বেশি মাত্রায় জলদূষণ ঘটায়?
(i) ডিটারজেন্ট,
(ii)শ্যাম্পু,
(iii) গৃহস্থালির বর্জ্য,
(iv) সিসা ও পারদ।
উত্তর: সিসা ও পারদ।
4. মিনামাটা রোগ হয়-
(i)সিসা,
(ii) পারদ,
(iii)ক্যাডমিয়াম,
(iv) আর্সেনিক-এর প্রভাবে।
উত্তর: ৪ পারদ-এর প্রভাবে।
5. একটি জল বাহিত প্রোটোজোয়াঘটিত রোগ হল-
(i) জিয়ার্ডিয়া,
(ii)কলেরা,
(iii) ক্যানসার,
(iv) নিউমোনিয়া।
উত্তর: (B) কলেরা।
6. পানীয় জলে pH-এর অনুমোদিত মান হল-
(i)A3.5-5.5,
(ii) 6.5-8.5,
(iii)11.5-11.5,
(iv)13.5-14.51
উত্তর: B 6.5-8.51
7. ফুরাইড দূষণের ফলে মানুষের ক্ষতি হয়-
(i) দাঁত ও হাড়,
(ii) নখ ও চামড়া,
(iii) ফুসফুস ও যকৃত,
(iv) পাকস্থলী ও অস্ত্র।
উত্তর: ফুসফুস ও যকৃত।
৪. শৈবাল ব্লুম সৃষ্টির কারণ হল-
(i) pH হ্রাস,
(ii) pH বৃদ্ধি,
(iii) BOD বৃদ্ধি,
(iv) ইউট্রোফিকেশান।
উত্তর: ইউট্রোফিকেশন।
9. অদ্রাব্য জল দূষক হল-
(i) হাইড্রোজেন সালফাইড,
(ii) লবণ,
(iii) আর্সেনিক
(iv) প্লস্টিক।
উত্তর: প্লাস্টিক।
10. জলের বেশিরভাগ জীবাণু নষ্ট হয়, জলকে 100° সেন্টিগ্রেড উন্নতায়
(i) 2 মিনিট,
(ii) 5 মিনিট,
(iii) 10 মিনিট
(iv) 15 মিনিট রাখলে।
উত্তর: 10 মিনিট রাখলে।
11. ব্ল্যাকফুট রোগ-
(i) আর্সেনিক,
(ii) ফুওরোসিস,
(iii) ক্যাডমিয়াম,
(iv) ইউট্রোফিকেশনের কারণে ঘটে।
উত্তর: আর্সেনিক-এর কারণে সৃষ্ট।
12. পৃথিবীর মোট জলের- (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন, হাওড়া জেলা স্কুল)
(i) 97 ভাগ,
(ii) 85 ভাগ,
(iii) 5 ভাগ,
(iv) 3 ভাগ স্বাদুজল।
উত্তর: 3 ভাগ স্বাদুজল।
13. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ডায়রিয়া ও অন্যান্য সংক্রমকরোগে প্রতি বছর মারা যায় প্রায়- (সুনীতি অ্যাকাডেমি কোচবিহার)
(i) 30 লক্ষ শিশু,
(ii) 25 লক্ষ শিশু,
(iii)35 লক্ষ শিশু,
(iv) 45 লক্ষ শিশু।
উত্তর: A) 30 লক্ষ শিশু।
Short Answer Question
প্রশ্ন-(1) পানীয় জল কোথা থেকে পাও?
উত্তর: সরকারি জল সরবরাহ ব্যবস্থার (Govt. water supply system) সাহায্যে টাইমকলে এবং জলের ট্যাঙ্ক থেকে সবসময় পানীয় জল পাই। এছাড়া কোনো কোনো জায়গায় ঝরনার জলকে শোধন করে। কুয়ো ও মাটির নীচ থেকে তোলা জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-(2) পানীয় জলে কখনও ঘোলাটে ভাব, নোংরা, দুর্গশি গেয়েছো?
উত্তর: হ্যাঁ, পেয়েছি, তবে খুব কম। যখন কেউ বড়ো পাইপ ছিত্র করে নতুন জলের সংযোগ নেয়, তখনই কেবলমাত্র ঘোলাটে নোংরা জল আসে।
প্রশ্ন-(3) পানীয় জল কি কোনো উপায়ে বিশুদ্ধ করে তবে ব্যবহার করো?
উত্তর: হ্যাঁ, Water Purifier Machine (ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিন)-এ পরিশোধন করে তারপর ব্যবহার করি।
প্রশ্ন-(4) গত তিন মাসে তোমার বাড়িতে পাড়ায় বা তোমার ক্লাসে কি কেউ গেটের অসুখে ভুগেছে?
উত্তর: না, গত তিনমাসে আমার বাড়ির কেউ বা আমার ক্লাসের কোনো বন্ধু পেটের অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়েনি। তবে পাড়ায় কেউ ডাইরিয়া বা অন্য কোনো পেটের অসুখে ভুগেছে কিনা আমি জানি না।
প্রশ্ন-(5) বাড়ির আবর্জনা, জঞ্জাল, কোথায় ফেলা হয়?
উত্তর: বাড়িতে খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলার জন্য একটি ফোল্ডিং ঢাকনা ওয়ালা বালতি আছে এবং সবজি বা আনাজপাতি থেকে সৃষ্ট আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ির এক কোণে একটি ছিদ্রযুক্ত মাটির বড়ো টব আছে। টবে জল জমে না। আবার তা থেকে দুর্গন্ধও বের হয় না।
প্রশ্ন-(6) বাড়ির শৌচাগারের জল কোথায় মেশে?
উত্তর: সেপটিক ট্যাঙ্ক ও নর্দমায় মেশে।
প্রশ্ন-(7) বাড়িতে প্রতি মাসে কতটা সাবান, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: বাড়িতে প্রতি মাসে 3 টি গায়ে মাখার সাবান, 5 টি বাসনমাজার সাবান, 7 টি কাপড়কাচার সাবান, ৪০ পিস শ্যাম্পু পাতা, । কিগ্রা ডিটারজেন্ট পাউডার, 200 মিলিগ্রাম হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-(8) বাড়ির আশপাশের পুকুরে, জলাশয়ে কাপড়কাচা গোরু-মোষ স্নান করানো হয়?
উত্তর: না, এগুলির কোনোটিই হয় না।
প্রশ্ন-(9) আশেপাশের চাষের জমি থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখো সারা বছরে কোন প্রকার রাসায়নিক সার কতটা ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: আমার বাড়ির পাশের কৃষিক্ষেত্রের প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে প্রায় 20 কেজি ইউরিয়া, 15 কেজি পটাশ, 35 কেজি সুপার ফসফেট, 10 কেজি সুফলা, 15 কেজি গ্রোমোর, 10 কেজি ডি এ পি প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-(10) বাড়ি বা স্কুলের আশপাশে কোনো কারখানা থাকলে, জেনে দেখো কারখানার বর্জ্য জলে কি শোধন করার ব্যবস্থা আছে?
উত্তর: আমার বাড়ির কাছে একটি চাল কল আছে। ওই কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য গরম জল শোধন করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
জলই জীবন-
প্রশ্ন-11 রুকুদের এলাকায় দু-দিন ধরে জল আসছে না। রান্নার জল, খাবার জল প্রায় শেষ, অথচ পাশের পুকুরটা, ডোবাটা জলে ভরতি। কিন্তু জলটা পচা, ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এই রকম পরিস্থিতিতে তুমি কী করবে ভেবে দেখো!
উত্তর: এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমার বাড়িতে যেটক জল অবশিষ্ট আছে, তা অপচয় না করে ব্যবহার করব। বাড়ির সঞ্চিত জল শেষ হলে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত জল ও গভীর নলকূপের জল ব্যবহার করবো। আগামী দিনে যাতে এরূপ সমস্যা নাহয়, তার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করবো- বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করব। (ii) জলের অপচয় রোধ করবো। (iii) বাড়ির পাশের বা স্থানীয় পুকুর, ডোবা সংরক্ষণের জন্য প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সেগুলিকে দূষণমুক্ত করব। জল অমূল্য সম্পদ-এই বিষয়ে অন্যদের সচেতন করব। জল ফুটিয়ে পান করব। (vi) বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশের আগাছা পরিষ্কারের জন্য কীটনাশক ব্যবহার কম করতে হবে। (vi) বাড়ির পাশের কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের সুপরামর্শ দেব।
প্রশ্ন-12 এবছর বন্যায় হাসানদের, গ্রামটা জলে থৈ থৈ করছে। যেদিকে তাকানো যায় শুধু জল আর জল। অথচ হাসানদের খাবার মতো একটুকু জল নেই। এইরকম পরিস্থিতিতে তুমি কী করবে ভেবে দেখো।
উত্তর: এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমি যেসব কাজগুলি করব, সেগুলি হল- সরকার ও বন্যাত্রাণকারীদের দলের দেওয়া পানীয় জল ও খাবার হাসানদের পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। (ii) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও NGO সংস্থাগুলিকে এই সংকটের কথা জানাব এবং পৌঁছে অতি দ্রুত ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব। (ii) ORS, পেট খারাপ ভালো হওয়ার ওষুধ, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল প্রভৃতির ব্যবস্থা করব। হাসানদের গ্রামের লোকেরা যাতে নোংরা জল না পান করে তার দিকে নজর রাখব। বিশুদ্ধ জল পাওয়া না গেলে বন্যার জলকে ছেঁকে, থিতিয়ে, ফিল্টার করে ফুটিয়ে এবং সেই জলে জিওলিন জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে পান করার কথা বলব।
প্রশ্ন-13 কতজন কী কারণে পুকুরের জল ব্যবহার করে লিখে ফেলো।
উত্তর: নোংরা জামাকাপড় কাচা ও পরিষ্কার করা। মাজা-ধোয়া। (iii) মাছ ধরা। (iv) জলে নেমে স্নান করা। বাসনপত্র জল ফুটিয়ে পান করা। গাছে জল দেওয়া। vi গবাদি পশু (গোরু ও মোষ) স্নান করানো। প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া। ⅳx পাম্পের সাহায্যে জল নিয়ে সেচ-এর কাজ করা। পুকুর পাড়ে অবচেতন মনে নোংরা বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা প্রভৃতি।
সমীক্ষা করে দেখো-
প্রশ্ন-14 তোমার বাড়ির কাছাকাছি জল পরিশোধন কেন্দ্র থাকলে অথবা জল সরবরাহ কেন্দ্র থাকলে দেখে এসে তোমার অভিজ্ঞতার বর্ণনা লিখে স্কুলের পত্রিকায় দাও।
উত্তর:সমীক্ষা: শিক্ষার্থীর নাম: অলোককুমার বিশ্বাস। বিদ্যালয়ের নাম: কানাইলাল বিদ্যামন্দির (দিবা বিভাগ)। শ্রেণি সপ্তম। বিভাগ-ক। ক্রমিক সংখ্যা-।। বিষয়: ভূগোল। অধ্যায়: সপ্তম (জলদূষণ)। সমীক্ষার বিষয়: জল পরিশোধন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ ও তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা। জেলার নাম: হুগলি। থানা: চন্দননগর। * তারিখ: 05.11.2021। সময়: বিকাল 3 টা।
সমীক্ষার তথ্য সমূহ
আমি অলোককুমারবিশ্বাস। বাড়ি: ফটকগোড়া, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ (উত্তর)। স্কুল: কানাইলাল বিদ্যামন্দির (দিবা বিভাগ)। গত শনিবার আমাদের চন্দননগরের প্রধান পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্র গোন্দল পাড়াতে গিয়েছিলাম। গোন্দলপাড়া জল প্রকল্পের (Gondalpara Water Plant Project) নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রকল্পের ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। সবচেয়ে প্রথমে যেটা লক্ষ করলাম সেটা হল বিশাল বিশাল পাম্পিং মেশিনের সাহায্যে গঙ্গা নদী থেকে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত তথ্যগুলি নিম্নরূপ-
প্রকল্পের নাম: Surface water treatment plant. প্রকল্পের
প্রতিষ্ঠা: 2008 খ্রিস্টাব্দ। তত্ত্বাবধান: চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। স্থান: গোন্দলপাড়া, শ্যামনগর, চন্দননগর, পশ্চিমবঙ্গ। * জলধারণ ক্ষমতা : 6MGD (6 মিলিয়ন গ্যালন প্রতিদিন)। * আয়তন: 1 একরের বেশি জমির উপর ওই জল প্রকল্পটি স্থাপিত হয়েছে। জলসরবরাহ এলাকা: চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের 7-33 নং ওয়ার্ড পর্যন্ত সমস্ত এলাকায় প্রতিদিন জল সরবরাহ করে। জল সরবরাহের সময়: প্রতিদিন সকাল 5 টা থেকে দুপুর 1.30 টা এবং বিকাল 4 টা থেকে রাত 9 টা।
প্রশ্ন-15 'জলদূষণ, জল সংরক্ষণ, জল এর পুনর্ব্যবহার সম্বন্ধে সুন্দর সুন্দর পোস্টার বানিয়ে বা বাড়ির আশপাশের এলাকায় আটকে দিলে জনসচেতনতা বাড়বে'-এ ব্যাপারে তুমি উদ্যোগী হও।
উত্তর:
প্রশ্ন-16 যদি তোমার পরিবারের সবার প্রতিদিন অন্তত 20 লিটার বিশুদ্ধ জল পাওয়ার ব্যবস্থা হয়। তাহলে তুমি কী করবে?
প্রশ্ন-(i) কীভাবে কতটা জল ব্যবহার করবে?
উত্তর: 20 লিটার জল ব্যবহার করবো। (a) পানীয় জল (3) লি.), (b) সকাল-দুপুর-রাত এ খাওয়ার পর হাত মুখ ধোয়া (3) লি.), সকাল ও রাত্রে ব্রাশ করা (2 লি.), রান্না করা (2 লি), বাড়ি মােছা (3 লি), বাসন
মাজা ও ধোয়া (2) (2 লি.)। লি.), স্নান করা (4 লি.), জামা-কাপড় পরিষ্কার ও
প্রশ্ন-(17) কীভাবে কতটা জল বাঁচবে বা সঞ্চয় করবে?
উত্তর: 26 লিটার জল সঞ্চয় করবো। প্রতিটি দৈনন্দিন কা যথেচ্ছভাবে জল ব্যবহার না করে অল্প জল ব্যবহার করবো। কেম সিঙ্ক ও অন্যান্য জলের ট্যাপ অল্প করে খুলে ব্যবহার করবো।হা বেশি জল পড়বে না।
প্রশ্ন-(18) কীভাবে কতটা ব্যবহার করা জল পুনর্ব্যবহার কররে।
উত্তর: 12 লিটার জল পুনর্ব্যবহার করার চেষ্টা করবো যেমন- করা, হাতমুখ ধোয়া, সবজি ধোয়ার জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি ফুল বাগানে অথবা সবজি বাগানে নিয়ে যাবো।
প্রশ্ন-19 জলদূষণ আটকাতে তুমি (বাড়িতে, পাড়ায়, স্কুলে) আ কী কী করতে পারো। ভেবে নিয়ে লিখে ফেলো।
উত্তর: জলদূষণ আটকাতে আমি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যা করা। পারি তা হল-দরকার না থাকলে জলের কল বন্ধ করে রাখব। এয়ে বিশুদ্ধ জলের অপচয় যেমন কমবে তেমনি জলদূষণের পরিমাণ জু পাবে। বাড়ির নোংরা আবর্জনা, তরল বর্জ্য নিষ্কাশণের সময় সেগুলি কোনোভাবেই বিশুদ্ধ জলের সঙ্গে না মেশে। পরিবেশবান্ধব জিনি যেমন, কম ক্ষারযুক্ত বা ক্ষারহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট ব্যকা করব। বাগানে, পুকুরের পাড়ে, কুয়োর চারপাশে, নলকূপের নিকামি নালার ধারে ফুল, ফল, শাকসবজির গাছ লাগাবো। এতে দূষিত ন অনেকটা পরিশুদ্ধ হবে এবং মাটির ক্ষয়ও কমবে।
প্রশ্ন-20 জলের পুনর্ব্যবহার আরও কীভাবে করা যেতে পাও জানার চেষ্টা করো।
উত্তর: নিম্নলিখিত উপায়গুলির দ্বারা জলের পুনর্ব্যবহার কর সম্ভব। যথা-(ক) বাড়িতে দৈনন্দিন ব্যবহৃত (ডিটারজেন্ট মুক্ত) জলবে কৃষিক্ষেত্র ও কলকারখানা মেশিন ঠান্ডা করার কাজে ব্যবহার করা যায় (খ) ড্রেনের দূষিত জলকে পরিস্তুত করে ও সংরক্ষণ করে বিভিন্ন কাজে (কৃষিক্ষেত্রে, যানবাহন ধোয়ার কাজে) ব্যবহার করা সম্ভব। (গ) নোংর জলকে জলাশয়ে ধরে রেখে মাছ চাষ করা যেতে পারে। (ঘ) সবজি ও হাত ধোয়া জলকে পরিস্তুত করে পুনরায় গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার কর 'যায়। (ঙ) নদনদী, জলাশয়, সমুদ্রের জলকে বিশুদ্ধ করে পুনরায় ব্যবহার করা যায়।
B.দু-এক কথায় উত্তর দাও:
1. বিশ্ব জলদিবস কবে পালিত হয়?
উত্তর: 21 মার্চ।
2. সারা বিশ্বে পরিবেশ দিবস কবে পালিত হয়?
উত্তর: 5 জুন।
3. দুটি জলবাহিত রোগের নাম লেখো।
উত্তর: কলেরা ও টাইফয়েড।
4. BOD-এর পুরো নাম কী?
উত্তর: Biological Oxygen Demand (বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড)।
5. পৃথিবীতে মিষ্টি জলের শতকরা পরিমাণ কত?
উত্তর: 3%।
6. ভারতে জলদূষণ নিবারণ আইন কত সালে চালু হয়?
উত্তর: 1974 সালে।
7 অন্ধ্রপ্রদেশের কোথায় কীটনাশক খেয়ে প্রচুর মাছ মারা গেছে?
উত্তর: কোলেবুতে।
C.শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও:
1. পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্বাদু জল পাওয়া যায়। থেকে।
উত্তর: হিমবাহ।
2. পশ্চিমবঙ্গের যায়। জেলায় আর্সেনিকের প্রভাব দেখা
উত্তর: নদিয়া।
3. ও শিল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি জলদূষণ ঘটে।
উত্তর: কাগজ ও চর্ম।
4. প্রভাবে ইটাই ইটাই রোগ হয়।
উত্তর: ক্যাডমিয়ারে।
5. ভাইরাসঘটিত একটি রোগ হলো
উত্তর: পোলিয়ো।
6. প্রকৃতিতে আর্সেনিক হল একটি 1
উত্তর: ধাতুকল্প ও ধাতুকণা।
7. পরিপোষক দূষণ জলে যৌগের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: ফসফেট।
৪. একটি সজীব জলদূষকের নাম হলো
উত্তর: অ্যালগি।
9. নর্দমার জলে মিশে থাকা দূষিত পদার্থগুলিকে -বলে।
উত্তর: সিউয়েজ।
10. GAP (Ganga Action Plan) গৃহীত হয়। সালে।
উত্তর: 1986।
11. কলেরা একটি রোগ। (ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুল)
উত্তর: জলবাহিত।
শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো:D.
1. জল সংকটের প্রধান কারণ অতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলন।
উত্তর: শুদ্ধ
2. স্থলভাগে ইউট্রোফিকেশন ঘটে।
উত্তর: অশুদ্ধ (জলভাগে)
3. আন্ত্রিক ভাইরাস ঘটিত জলবাহিত রোগ।
উত্তর: অশুদ্ধ (প্রোটোজোয়া)
4. ক্যাডমিয়াম দূষণের প্রভাবে উদ্ভিদের পাতায় ক্লোরোসিস রোগ হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ (ফুওরাইড)
5. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সুপিরিয়র হ্রদের জল স্বাদু বা মিষ্টি প্রকৃতির।
উত্তর: শুদ্ধ
6. পানীয় জলে আর্সেনিকের মাত্রা 0.07 মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
উত্তর: অশুদ্ধ (0.05)
7. জলদূষণে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলির প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী।
উত্তর: শুদ্ধ
৪. হেপাটাইটিস-এ একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ।
উত্তর: অশুদ্ধ (ভাইরাস)
বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. ক্লোরিন, আর্সেনিক, ফুরাইড, সিসা।
উত্তর: ক্লোরিন।
2. মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ।
3. আর্সেনিকোসিস, অ্যাকুইফার, মিনামাটা, ইটাই ইটাই।
উত্তর: অ্যাকুইফার।
4. কলেরা, ম্যালেরিয়া, আমাশয়, জন্ডিস।
উত্তর: ম্যালেরিয়া।
Editing by- Rita Moni Bora