অধ্যায় ১০
আঁকা-লেখা
হাতেকলমে
👉Paid Answer (For Membership User)
২. ঠিক বানানটি বেছে নাও:
২.১ মৎস্য/মৎস/মৎশ্য
উত্তর: মৎস্য।
২.২ দুধের স্বর/দুধের সর/দুধের শর
উত্তর: দুধের সর।
২.৩ কাপন/কাঁপন/কাঁপণ
উত্তর: কাঁপন।
২.৪ ঈশৎ/ইষৎ/ঈষৎ
উত্তর: ঈষৎ।
৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর: সামান্য-ঈষৎ; আনন্দ-খুশি; মীন-মৎস্য, নক্ষত্র-তারা, মূষিক-ইঁদুর।
৪. 'কম্পন' শব্দ থেকে এসেছে 'কাঁপন' শব্দটি অর্থাৎ 'স্প' যুক্তাক্ষরটি ভেঙে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া 'ম' আগের ধ্বনিটিকে অনুনাসিক করে তুলেছে এবং একটি নতুন 'আ' ধ্বনি চলে আসছে। এই নিয়মটি মনে রেখে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো।
উত্তর: চন্দ্র: চন্দ্র > চাঁদ। চম্পা: চম্পা > চাঁপা। ঝাঁপ: ঝম্প > ঝাঁপ। ষণ্ড : ষণ্ড > ষাঁড়। অঙ্ক: অঙ্ক > আঁক।
৫. এক সঙ্গে অনেক প্রজাপতি থাকলে আমরা বলি 'প্রজাপতির ঝাঁক'। এইভাবে আর কী কী শব্দ তৈরি করা যায়। শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পুরণ করে দেখো।
সারি, যূথ, ঝাঁক, দল, বহর, পাল।
উত্তর: ৫.১ ভেড়ার পাল। ৫.২ কইমাছের ঝাঁক।
৫.৩ হস্তী যুথ। ৫.৪ নৌকার বহর। ৫.৫ সুপুরি গাছের সারি। ৫.৬ ছাত্র দল।
৬. নীচের বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ লেখো।
উত্তর: রঙ-রঙিন, চিত্র-চিত্রিত; মাঠ-মেঠো; লেখা-লেখ্য; পুলক- পুলকিত।
৭. নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্য রচনা করো: ঈষৎ, বেজায়, পিটপিটে, পরম, নীল, গোপন
উত্তর: ৭.১ ঈষৎ-ঈষৎ হাওয়ায় গাছ থেকে পাকা আমটি পড়ল। ৭.২ বেজায়-নতুন বই পেয়ে ছাত্ররা বেজায় খুশি। ৭.৩ পিটপিটে-ছেলেটি পিটপিটে চোখে চেয়ে আছে। ৭.৪ পরম-বিপুল মামারবাড়িতে পরম আদরেই দিন কাটাচ্ছে। ৭.৫ নীল-অঞ্জন একদৃষ্টে চেয়ে আছে নীল আকাশের দিকে।
৭.৬ গোপন-গোপন কথা গোপনে বলাই ভালো।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া উত্তর: গোপন-প্রকাশ্য, খোলামেলা। ঈষৎ-বেশি। খুশি- অখুশি। পুরু-পাতলা। ঝগড়া-বন্ধুত্ব/সম্ভাব।
উত্তর: গোপন-প্রকাশ্য, খোলামেলা। ঈষৎ-বেশি। খুশি- অখুশি। পুরু-পাতলা। ঝগড়া-বন্ধুত্ব/সম্ভাব।
৯. নিম্নরেখ অংশগুলির কারকবিভক্তি নির্ণয় করো:
৯.১ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
উত্তর: কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৯.২ গর্ত থেকে ইঁদুর, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।
উত্তর: অপাদানকারকে, 'থেকে' অনুসর্গ।
৯.৩ প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায়।
উত্তর: অধিকরণকারকে 'য়' বিভক্তি।
৯.৪ এবার যেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে।
উত্তর: কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৯.৫ সেই তো আমার পদক পাওয়া।
উত্তর: কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
১০. বাক্য বাড়াও :
১০.১ আমি যখন আঁকি (কী? কীভাবে?)
উত্তর: আমি যখন রঙতুলি দিয়ে ছবি আঁকি।
১০.২ চাঁদের দুধের সর জমে যায়। (কোথায়? কেমন?)
উত্তর: মাঠে চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমে যায়।
১০.৩ পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে। (কে? কোথা থেকে?)
উত্তর: ইঁদুর গর্ত থেকে পিটপিটে চোখে দেখছে চেয়ে।
১০.৪ ছড়া লেখার শুরু। (কার? কখন?)
উত্তর: বাতাস যখন কাঁপন লাগায় তখন আমার ছড়া লেখার শুরু।
১০.৫ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে। (কারা? কোথায়?)
উত্তর: জোনাকিরা বকুল গাছে 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে।
১১. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১১.১ কবি কখন ছবি আঁকেন?
উত্তর: দুপুরবেলায় কবির মন যখন খুশি আর খেয়ালে মেতে ওঠে, তখন আনন্দে-আপ্লুত কবি ছবি আঁকেন।
১১.২ কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, মাঠে চাঁদের জ্যোৎস্না যখন দুধের সরের মতো জমে যায় এবং বাতাস যখন ঈষৎ কাঁপন দেয়, তখন কবির ছড়া লেখার শুরু।
১১.৩ তিনটি শালিক কী করে?
উত্তর: কবির অপূর্ব ছবি আঁকা দেখে তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
১১.৪ কে অবাক তাকায়?
উত্তর: চড়ুই পাখি অবাক তাকায়।
১১.৫ মাছরাঙা কী চায়?
উত্তর: মাছরাঙা তার নীল রংটি শিল্পীকে ধার দিতে চায়।
১১.৬ প্রজাপতিদের ইচ্ছা কী?
উত্তর: প্রজাপতিদের ইচ্ছা হল-তারা ছবিতে থাকতে চায়।
১১.৭ গর্তে কে থাকে?
উত্তর: গর্তে ইঁদুর থাকে।
১১.৮ চাঁদের পুরু দুধের সর কোথায় জমে?
উত্তর: চাঁদের পুরু দুধের সর মাঠের মধ্যে জমে।
১১.৯ কারা, কোথায় অ-আ লিখছে?
উত্তর: জোনাকিরা বকুলগাছে অ, আ লিখছে।
১১.১০ কবি কোন্ বিষয়কে 'পদক পাওয়া' মনে করেছেন?
উত্তর: ছড়ার জন্য কবির অন্যের কাছে পৌঁছে যাওয়াকেই 'পদক পাওয়া' মনে করেছেন।
১২. দু' তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
১২.১ কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন চারপাশের প্রকৃতিতে কী কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন তারার মালা গোপনে কাছে নেমে আসে। বকুল গাছে জোনাকিরা 'অ', 'আ' লেখে।
১২.২ কবি যখন ছবি আঁকেন তখন কী কী ঘটনা ঘটে? উত্তর: কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়, চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায়। মাছরাঙা মাছ ভুলে তার নীল রংটি ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক ছবিতে থাকতে চায়। গর্ত থেকে ইঁদুরও পিটপিটে চোখে তাকায়। রং-তুলিরাও বেজায় খুশি হয়।
উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সহজ পাঠ' গ্রন্থে রান্নাঘরের চালে তিনটি শালিকের ঝগড়া করার কথা আছে।
১২.৩ 'তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়'- কোন্ কবির কোন্ কবিতায় এমন তিন শালিকের প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে?
উত্তর: মাছারাঙা পাখি দেখতে নীল রঙের। সে চিত্রের দিকে মন দেয় বলে মৎস্য ভুলে যায়।
১২.৪ মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে? সে মৎস্য ভুলে যায় কেন?
উত্তর: মাছারাঙা পাখি দেখতে নীল রঙের। সে চিত্রের দিকে মন দেয় বলে মৎস্য ভুলে যায়।
১২.৫ 'রং-তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে।'- কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী?
উত্তর:রং-তুলিরা দুপুরে অলস সময় না কাটিয়ে নতুন ছবি এঁকেছে, আর এটা সম্ভব হয়েছে কবিকে পেয়ে। সেই কারণেই তারা বেজায় খুশি। কবি এই মন্তব্য করেছেন, কারণ তাঁর ও রং-তুলির পারস্পরিক সাহচর্যে ফুটে উঠেছে নতুন ছবি; তারা পেয়েছে অপার্থিব আনন্দ।
১২.৬ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে-কারা কীভাবে এমন লিখছে? তাদের দেখে কী মনে হচ্ছে?
উত্তর: জোনাকিরা, তাদের আলো দিয়ে যেন এরকমটা লিখছে। মনে হচ্ছে তারা প্রচণ্ড আনন্দে আছে।
সংযোজিত প্রশ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১. 'আঁকা, লেখা' কবিতায় কবির ছবি আঁকার প্রসঙ্গে কোন্ কোন্ প্রাণীর নাম এসেছে?
উত্তর:মৃদুল দাশগুপ্ত প্রণীত ছোট্ট, অথচ সুন্দর একটি কবিতা হল 'আঁকা, লেখা'। এই কবিতায় কবি লিখেছেন, তিনি যখন 'খুশ-খেয়ালে' চিত্র আঁকেন তখন প্রাণী জগতে দেখা যায় নানা পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের সূত্রে যে পাখি বা প্রাণীর নাম আসে, তারা হল- ১. শালিক। ২. চড়ুই। ৩. প্রজাপতি। ৪. ইঁদুর।
২. কবির আঁকা ছবি কারা দেখেছে?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, তাঁর আঁকা ছবি দেখেছে তিনটি শালিক, চড়ুই পাখি, মাছরাঙা, প্রজাপতি ও গর্তের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা ইঁদুর।
৩. কারা কীভাবে কবির ছড়া লেখার সময় সন্তর্পণে আসে?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত লিখেছেন, কবি যখন ছবি আঁকেন, আকাশের তারার মালা তখন খুব গোপনে কবির কাছে নেমে আসে।
৪. জোনাকিরা কোথায় কী লিখেছে?
উত্তর: জোনাকিরা বকুল গাছে 'অ', 'আ' লিখেছে।
৫. মাঠে কী পুরু হয়ে আছে বলে কবির মনে হয়েছে?
উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, মাঠে চাঁদের দুধের সর জমে পুরু হয়ে আছে।
৬. 'পুলক' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: 'পুলক' শব্দের অর্থ আনন্দে আপ্লুত হওয়া।
ব্যাকরণের সহজপাঠ
১. বিপরীত শব্দ লেখো:
পুরু, শুরু, খুশি, পেয়ে, গোপনে, পুলক, কাছে।
উত্তর: পুরু-পাতলা, শুরু-শেষ, খুশি-দুঃখী, পেয়ে-হারিয়ে, গোপনে-প্রকাশ্যে, পুলক-দুঃখ, কাছে-দূরে।
২. সমার্থক শব্দ লেখো:
চিত্র, ঝগড়া, মৎস্য, বেজায়, দুপুরে, পাখি, শুরু, গাছে, হাওয়া, চোখ, ধার, পুরু।
উত্তর: চিত্র - ছবি, দৃশ্য, প্রতিকৃতি;
ঝগড়া - বিবাদ, কোন্দল, কলহ;
মৎস্য - মাছ, মীন, মছলি।
বেজায় - খুব, ভীষণ, দারুণ।
দুপুরে - মধ্যাহ্ণে, দ্বিপ্রহরে, ভরদুপুরে;
পাখি - পক্ষী, বিহঙ্গ, বিহগ, বিহঙ্গম, খেচর;
শুরু - সূচনা, আরম্ভ;
গাছে - বৃক্ষে, বনস্পতিতে, তরুতে, পাদপে, অটবীতে;
হাওয়া - সমীরণ, বাতাস, পবন, সমীর, অনীল;
চোখ - নেত্র, নয়ন, চক্ষু;
ধার - ঋণ, বাকি, দেনা;
পুরু - মোটা, স্থূল, পৃথু।
৩. গদ্যে লেখো:
১. রং ছড়িয়ে খুশ-খেয়ালে আমি যখন চিত্র আঁকি।
উত্তর: আমি যখন মনের খুশিতে-খেয়ালে রং ছড়িয়ে ছবি আঁকি।
২. মৎস্য ভুলে মাছরাঙা তার নীল রংটি ধার দিতে চায়।
উত্তর: মাছরাঙা মাছ ভুলে তার নীল রংটি ধার দিতে চায়।
৪. 'আঁকা, লেখা' কবিতার মধ্যে আছে এমন চারটি সম্বন্ধ পদ উল্লেখ করো।
উত্তর:তারার মালা এবার যেন খুব গোপনে কাছে নামছে।
৫. 'আঁকা, লেখা' কবিতায় আছে এমন চারটি তৎসম শব্দ উল্লেখ করো।
উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্ত প্রণীত 'আঁকা, লেখা' কবিতায় দুটি পদের মধ্যে সম্বন্ধ আছে এমন চারটি সম্বন্ধ পদ হল- ১. প্রজাপতির ঝাঁক। ২. দুধের সর। ৩. তারারা মালা। ৪. আমার পদক।
Paid Answer ( For Membership user)
Editing By:- Lipi Medhi
উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন।