অধ্য়ায় ১ 
       
ছন্দে শুধু কান রাখো
----------------------------

Short Answer Question    

১. 'দ্বন্দ্ব ভুলে মন না দিলে/ছন্দ শোনা যায় নাকো।কবির একথা বলার কারণ কী?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত মনে করেনআমাদের এই পৃথিবী ছন্দময়। সেই চলমান ছন্দকে উপলব্ধি করতে হলে কানকে সদাসতর্ক রাখতে হয়। এই প্রসঙ্গে কবির বক্তব্য হল-

১. ছন্দহীন কুকথায় কান দিতে নেই।

২. পৃথিবীতে রয়েছে অসংখ্য মতান্তর-মনান্তর। রয়েছে কলহ- কোন্দল। এ সবে মন দিতে নেই।
পারস্পরিক বিবাদ-বিতর্ক থেকে দূরে না থাকলে ছন্দের সহজ সুর উপলব্ধি করা যায় না। এ জন্যে কবি অজিত দত্ত
 'দ্বন্দু ভুলে' 'ছন্দ শোনা'র কথা বলেছেন।

পারস্পরিক বিবাদ-বিতর্ক থেকে দূরে না থাকলে ছন্দের সহজ সুর উপলব্ধি করা যায় না। এ জন্যে কবি অজিত দত্ত 'দ্বন্দু ভুলে' 'ছন্দ শোনা'র কথা বলেছেন।
 
২. 'ছন্দে শুধু কান রাখোকবিতায় কবি ছন্দ বলতে কীসের কথা বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ছন্দ হল শৃঙ্খলিত নিয়ম। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। অর্থাৎ ছন্দ পতন হয়। প্রাণী জগতের মতো জড় জগতেও ছন্দের অস্তিত্ব রয়েছে। এই ছন্দ উপলব্ধি করার মন চাই। যাদের সেই মন আছে তারাই পারে দৃশ্যময় জগতের ছন্দকে চিহ্নিত করতে। এই ছন্দ হল সবকিছুর মধ্যে চলমানতার ধ্বনি উপলব্ধি করা।
 
৩. 'নয় ছন্দহীন'-কী ছন্দহীন নয়?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত 'ছন্দে শুধু কান রাখোকবিতায় পৃথিবীকে ছন্দময় দেখেছেন। তাঁর মনে হয়েছেপ্রাথমিক পর্যায়ে যাকে দেখে মনে হয় এর মধ্যে কোনো ছন্দ নেইতার মধ্যেও অসাধারণ ছন্দের দোলা আছে। ঘড়ির কাঁটা ছন্দ মেনে চলে। দিন-রাত্রি বাঁধা আছে আবর্তনের ছন্দে। কান পেতে আমরা কত কী অনুভব করিসে সব ছন্দের কারসাজি।

৪. কবির কেন মনে হয়েছে সব সময় ছন্দ উপলব্ধি করা যায় না?
উত্তর: কবি অজিত দত্তের মনে হয়েছে-সমস্ত দ্বন্দুবিবাদহিংসাদ্বেষ ভুলে না গেলে মন দিয়ে ছন্দ শোনা যায় না।

৫. 'কান পেতে আর মন পেতে'-কবি কান পেতে ও মন পেতে কী শুনতে বলেছেন?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত বলেছেনকান পেতে ও মন পেতে সব রকম ছন্দ শুনতে হবে। যারা তা পারে তারাই ভুবনটাকে চিনতে পারে। প্রকৃত আনন্দ উপলব্ধি করতে পারে।

৬. 'জীবন হবে পদ্যময়'- কীভাবে জীবন পদ্যময় হবে?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত বলেছেনছন্দের সুর প্রবাহে মনের মধ্যে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। তখনই জীবন ছন্দময় হয়ে ওঠে। অর্থাৎ জীবন হয়ে ওঠে পদ্যময়।
 
৭. কবি কেন বলেছেন পদ্য লেখা সহজ নয়?
উত্তর: কবি অজিত দত্ত 'ছন্দে শুধু কান রাখোনামাঙ্কিত কবিতায় জানিয়েছেনসকলেই পদ্য লিখতে পারে না। গদ্য লেখা সহজ। কিন্তু অসাধারণ পদ্য লেখা বেশ কঠিন। কেননাতার জন্যে ছন্দ সম্পর্কে সহজ অনুভূতি থাকা দরকার। ছন্দের তাল সম্পর্কে বোধ দরকার। আর সেই জন্যে পদ্য লেখা সহজ নয়।
 
৮. 'চিনবে এরা ভুবনটাকে'- তারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?
উত্তর: রবীন্দ্র-পরবর্তী কবি অজিত দত্ত 'ছন্দে শুধু কান রাখোনামাঙ্কিত কবিতায় দেখিয়েছেনসমগ্র বিশ্বভুবন ছন্দের দোলায় দোলায়িত। অর্থাৎ কোনো কিছু ছন্দহীন নয়। পৃথিবীর সমস্ত কিছুর মধ্যে রয়েছে প্রাণময় ছন্দের স্পন্দন। এই ছন্দকে মন দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়। মন্দ কথা ভুলে ছন্দে কান রাখলে জগতের প্রকৃত সত্যকে চেনা যায়। এই ছন্দে যারা মন দিতে পারেতারাই ছন্দের তাল ও দোলকে ঠিক মতো অনুভব করতে পারে। আর তখন তারা এই ভুবনটাকে ঠিক মতো চিনতে পারে।
 
৯. 'পদ্য লেখা সহজ নয়'-পদ্য লেখা কখন সহজ হবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর: আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম অজিত দত্ত 'ছন্দে শুধু কান রাখোকবিতায় জানিয়েছেনজীবনের সবকিছুর মধ্যে ছন্দের চলন রয়েছে। শুধু কবিতার মধ্যে নয়আমাদের জীবনের সর্বত্র রয়েছে অদৃশ্য ছন্দের বন্ধন। যারা সেই ছন্দকে উপলব্ধি করতে পারেনতাঁরাই শুধুমাত্র পদ্য বা কবিতা লিখতে সক্ষম হন। যখন ছন্দ ও সুরের সংকেতে ভুবনটাকে ঠিকমতো চিনে নেওয়া সম্ভব হবেতখনই পদ্য লেখা সহজ হবে।
 
১. দিন-দুপুরে পাখির ডাকে।
উত্তর:অধিকরণকারকে''বিভক্তি।   
                                                                                                
২. ছন্দে চলে রেলগাড়ি।
উত্তর: কর্মকারকে 'শূন্যবিভক্তি।
 
৩. চিনবে তারা ভুবনটাকে।
উত্তর: কর্তৃকারকে 'শূন্যবিভক্তি।
 
৪.দেখবে তখন তেমন ছড়া/কেউ লেখেনি আর কোথাও।
উত্তর: উদ্দেশ্য-তেমন ছড়া বিধেয়-দেখবে তখন কেউ লেখেনি আর কোথাও।
 
৫. জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে/নৌকো জাহাজ দেয় পাড়ি। 
উত্তর: উদ্দেশ্য-নৌকা জাহাজ বিধেয়-জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে/দেয় পাড়ি।
 
৬. 'যারা-তারা'র মতো তিনটি সাপেক্ষ শব্দজোড় তৈরি করো।
উত্তর: আমরা-ওরাযা-তাযেমন-তেমন।
 
৭. কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে তিনটি সর্বনাম লেখো।
উত্তর: কেউযারাতারা।
 
৮. কবিতায় রয়েছে এমন চারটি 'সম্বন্ধ পদ' 'উল্লেখ করো।
উত্তর: নদীরস্রোতেরঝিঁঝিরজলের।
 
৬. 'কানশব্দটিকে পাঁচটি বিশেষ অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো।

কান : কান কাটা লোকেদের লজ্জা থাকে না। (নির্লজ্জ)

কান : কান টানলে মাথা আসে। (গৌণ)

কান : চোখ-কান খোলা রেখে রাস্তায় চলা উচিত। (সতর্ক)

কান : সুব্রত বাড়ির কোনো কিছুতেই কান দেয় না। (দৃষ্টি)

কান : কানের সাহায্যে আমরা শুনতে পাই। (অঙ্গ)
 
👉Download Books PDF
 Paid Answer (For Membership User)

Editing by- Lipi Medhi