৩২।
ভাটিয়ালি গান
👉Paid Answer (For Membership User)
👉Download Books PDF
সং ব যো জি ত প্র শ্ন
একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১ 'ভাটিয়ালি' কী ধরনের গান?
উত্তর: 'ভাটিয়ালি' পল্লিগীতির অন্তর্গত বিশেষ ধরনের গান। একে লোকসংগীতও বলা যায়।
১.২ 'ভাটিয়ালি গান' কোন জেলায় বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে?
উত্তর: ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা ও শ্রীহট্ট জেলায় ভাটিয়ালি গান বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে।
১.৩ ভাটিয়ালি গানে কোনো তাল থাকে কি?
উত্তর: বিশুদ্ধ ভাটিয়ালি গানে কোনো তাল থাকে না।
১.৪ ভাটিয়ালি গানে কোনো ছন্দ থাকে কি?
উত্তর: ভাটিয়ালি গান মূলত সুরপ্রধান, ছন্দপ্রধান নয়।
১.৫ ভাটিয়ালি গান কাদের মুখে শোনা যায়?
উত্তর: সাধারণত খোলা মাঠে রাখালের মুখে কিংবা কখনো নদীর বুকে মাঝি-মাল্লাদের একক বা সমবেত কণ্ঠে এই গান শোনা যায়।
১.৬ কয়েকজন ভাটিয়ালি গায়কের নাম করো।
উত্তর: ভাটিয়ালি গান করেছেন এমন কয়েকজন সুরসাধক হলেন-সিরাজ আলি, রশিদউদ্দিন, জালাল খান, উমিদ আলি প্রমুখ।
১.৭ ভাটিয়ালি গানের একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পীর নাম করো
উত্তর: ভাটিয়ালি গানের একজন উল্লেখযোগ্য শিল্পী হলেন আব্বাসউদ্দিন।
১.৮ 'মাঝ দরিয়া' কথার অর্থ কী?
উত্তর: 'মাঝ দরিয়া' কথাটির অর্থ হল বড়ো নদীর মাঝখানে।
১.৯ 'দূরের পাড়ি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: 'দূরের পাড়ি' বলতে কোনো দূর জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১.১০ 'নবলাখ' কথার অর্থ কী?
উত্তর: 'নবলাখ' কথার অর্থ হলো নয় লাখ।
১.১১ 'দইরা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: 'দইরা' শব্দটি হলো দরিয়ার আঞ্চলিক রূপ। এর অর্থ বড়ো নদী।
১.১২ 'লবঙ্গ লতিকার দেশে'- এখানে 'লবঙ্গ লতিকার দেশে' বলতে কী বোঝনো হয়েছে?
উত্তর: 'লবঙ্গ লতিকা' বলতে কোনো মশলা কিংবা খাবারের কথা বলেননি পল্লিকবি। তিনি 'লবঙ্গ লতিকা' বলতে সুন্দরী ও গুণবতী রমণীর কথা বলেছেন।
১.১৩ ভাটিয়ালি গান ছাড়া আরও কয়েকটি লোকসংগীতের নাম করো।
উত্তর: ভাটিয়ালি গান ছাড়া আরও কয়েকটি লোকসংগীত হলো মুর্শিদ, বাউল, ভাওয়াইয়া।
১.১৪ ময়ূরপঙ্খী নৌকাটি কেমন?
উত্তর: ময়ূরপঙ্খী নৌকাটি হলো বড়ো অপূর্ব। কেননা, তার সোনার দাঁড় ও পবনের বৈঠা রয়েছে।
১.১৫ "কেউ গাঙ পাড়ি দিও না।"- এই নিষেধের কারণ কী ?
উত্তর: যখন প্রবলবেগে ঝড় হয়, তখন দরিয়ায় তুফান ওঠে। ফলে লোককবির সাবধানবাণী এইসময় কেউ যেন গাঙ পাড়ি না দেয়।
১.১৬ "ওরে বিষম দইরার পানি"- কখন 'দইরার পানি' 'বিষম' হয়ে ওঠে?
উত্তর: একসময় বৃষ্টিবাদলে নদীর জল দ্বিগুণ স্রোতে বইতে থাকে। তখন নদীতে তুফান দেখা যায়। সেই সময়কে লোককবি 'বিষম দইরার পানি' বলে চিহ্নিত করেছেন।
১.১৭ "ভয়েতে প্রাণ বাঁচে না।"-এ ভয়ের কারণ কী ?
উত্তর: প্রবল ঝড়ে নদীর জল এমন ভয়ংকর রূপ ধারণ করে যে তখন নৌকায় থাকা রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়। যেকোনো সময় কেননা,নৌকাডুবির আশঙ্কা থেকে যায়।
১.১৮ "যাবার ছিলো বাসনা"-কোথায় যাবার বাসনা ছিল।
উত্তর: লবঙ্গ লতিকার দেশে যাওয়ার বড়ো বাসনা ছিল।
১.১৯ "তুই কেন হলি আজ বিমনা"-কে বিমনা হয়েছিল।
উত্তর: নৌকার মাঝি বিমনা হয়েছিল।ব
১.২০ "নাই বল তবু বল"- দু'বার 'বল' কথাটি প্রয়োগের কার কী?
উত্তর: একই শব্দ ক্রমাগত দু'বার ব্যবহৃত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দুটি অর্থ তৈরি করলে, তাকে যমক অলংকার বলে। এখানে 'বল' শব্দটির দূর অর্থ। যথা-
(ক) শরীরের সক্ষমতা,
(খ) কথা বলা।
১.২১ "ও আমার দরদী"-নামাঙ্কিত গানে ব্যবহৃত হয়েছে এম কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দের নাম লেখো।
উত্তর: 'ও আমার দরদী' নামাঙ্কিত গানে ব্যবহৃত হয়েছে এমন কয়েকটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ হলো-
(ক) শওঁ শওঁ শওঁ শওঁ,
(খ) কলকল,
(গ) খলখল।
১.২২ নৌকার গলুই ভরিয়ে রাখত কারা?
উত্তর: 'ও আমার দরদী' নামাঙ্কিত গানে দেখা যায় নৌকার গলুই ভরিয়ে রাখত চন্দ্র ও সূর্য।
১.২৩ "উপায় কী তার বলো না।"- বক্তা কীসের উপায় খুঁজেছেন।
উত্তর: 'ও আমার দরদী' নামাঙ্কিত গানে বস্তা মাঝদরিয়ায় নিমজ্জিত হলে উদ্ধার পাওয়ার উপায় খুঁজেছেন।
১.২৪ "ও তোর সামনে নাচে"-কার সামনে কে নাচে?
উত্তর: মাঝির সামনে বিজলি নিয়ে অপূর্ব সুন্দরী এক কন্যা নাচে।
১.২৫ "আগে জানলে"- কবি কী করতেন না বলে জানিয়েছেন?
উত্তর: 'আগে জানলে' কবি মাঝির ভাঙা নৌকায় চড়তেন না।
2. কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো :
১. ও আমার দরদী।
উত্তর: সম্বোধন পদ 'শূন্য' বিভক্তি
২. তোর ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না।
উত্তর: কর্মকারক 'শূন্য' বিভক্তি
৩. ভাঙ্গা নৌকায় চড়তাম না।
উত্তর: অধিকরণকারক 'য়' বিভক্তি
৪. ফুল ছড়াতে জোছনা।
উত্তর: কর্মকারক 'শূন্য' বিভক্তি
৫. ভয়েতে প্রাণ বাঁচে না।
উত্তর: অপাদানকারক 'তে' বিভক্তি
৬. মাঝ দরিয়ায় নাও ডুবিল।
উত্তর: অধিকরণকারক 'য়' বিভক্তি
৭. যাবার হলো বাসনা।
উত্তর: কর্মকারক 'শূন্য' বিভক্তি
৮. কেউ গাঙ পাড়ি দিও না।
উত্তর : অধিকরণকারক 'শূন্য' বিভক্তি
৯. কন্যা সোনার বরণা।
উত্তর: কর্তৃকারক 'শূন্য' বিভক্তি
১০. তোর সামনে নাচে।
উত্তর: কর্তৃকারক 'শূন্য' বিভক্তি
উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন।
Editing By:- Lipi Medhi