৩৫। 

দেবতাত্মা হিমালয়

    👉Paid Answer (For Membership User)

    👉Download Books PDF

১. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ, অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ আর পূরণবাচক শব্দগুলি খুঁজে বার করে লেখো:

১. গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হলো মাত্র ছাব্বিশ মাইল।

উত্তর: ছাব্বিশ মাইল।

২. তিনি তেরো বছর সেখানে বাস করেছিলেন।

উত্তর: তেরো বছর।

৩. দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আধুনিক ভারতের কুলগুরু রাজা রামমোহন রায়।

উত্তর: দ্বিতীয়।

৪. শরৎচন্দ্র দাস গিয়েছিলেন উনিশ শতকের শেষ ভাগে।

উত্তর: উনিশ।

৫. অষ্টম শতাব্দীতে রাজপুত্র তিব্বতে যান।

উত্তর: অষ্টম।

৬. বিমানে গেলে কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা, সেই গতিতে গেলে লাসা পৌঁছতে ঘণ্টা তিনেক লাগে কি?

উত্তর: সাড়ে তিন ঘণ্টা, ঘণ্টা।

৭. একটু আধটু দেখে বেড়াতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগল।

উত্তর: ঘণ্টাখানেক।

৮. মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন।

উত্তর: ২৫।

৯. যেখানে বছর চৌদ্দ আগে একটি রাত্রি বাস করে গিয়েছিলাম।

উত্তর: চৌদ্দ, একটি।

১০. কবি মাত্র পনেরো মিনিটকাল তাঁর কবিতা পাঠ করবেন।

উত্তর: পনেরো মিনিট।

১১. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে বদলে লেখো:

উত্তর: শব্দগুলির বিশেষ্য থেকে বিশেষণ করলে হয় এমন-প্রণাম-প্রণম্য। পৃথিবী-পার্থিব। অনুরোধ-অনুরুদ্ধ। উদবোধন-উদরোধিত। পূজা পূজিত। পুলক-পুলকিত। উদবেগ-উদ্বিগ্ন, আশঙ্কা-আশঙ্কিত।

১২. নীচের বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে বদলে লেখো:

উত্তর: শব্দগুলির বিশেষণ থেকে বিশেষ্য করলে হয় এমন- বৈদান্তিক-বেদান্ত। অভিজাত-আভিজাত্য। নবরচিত-নবরচনা। উচ্ছ্বসিত-উচ্ছ্বাস। প্রসিদ্ধ-প্রসিদ্ধ। প্রচুর প্রাচুর্য। প্রচলিত-প্রচলন। প্রধান- প্রাধান্য।

১৩. নীচের শব্দগুলির সন্ধি ভেঙে লেখো:

উত্তর:  শব্দগুলির সন্ধি ভেঙে করলে হয় এমন-শশাঙ্ক- - শশ+অঙ্ক। রথীন্দ্র-রথী+ইন্দ্র। হিমালয় হিম+আলয়। নৃপেন্দ্র-নৃপ+ইন্দ্র। সর্বাপেক্ষা-সর্ব+অপেক্ষা। স্বীকারোক্তি- স্বীকার উক্তি। অন্যান্য অন্য+অন্য। শয়ান-শৈ+অন। রক্তিমাভা-রক্তিম আভা। সম্বর্ধনা-সম+অভ্যর্থনা। যুগান্তর- যুগ+অন্তর। উন্নতি-উৎ+নতি। মায়াচ্ছন্ন- মায়া+আচ্ছন্ন। - অপরিচ্ছন্ন-অ+পরি+ছন্ন। অপরাহ্ন-অপর+হ্ন। দিগ্বলয়- দিক+বলয়। সর্বাধিক- সর্ব+অধিক। বারম্বার-বারংবার। উদ্ববোধন- উৎ+বোধন। উচ্ছ্বসিত-উৎ+শ্বসিত।

২. একটি বাক্যে উত্তর দাও:

১. প্রাচীন পথ ধরে কোন্ তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন?

উত্তর: প্রাচীন পথ ধরে যে তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন-অতীশদীপঙ্কর, রাজা রামমোহন রায়, শরৎচন্দ্র দাস।

২. কোন্ প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন?

উত্তর: গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হলো মাত্র ছাব্বিশ মাইল।

এখান থেকে জেলাপ-লা-এ গিরিসংকট, তারপর তিব্বত সীমানা। এভাবে তারা প্রাচীন পথের রেখা ধরে গিয়েছিলেন।

৩. এখনকার পর্যটকরা এই প্রাচীন পথটি পরিহার করেন কেন?

 উত্তর: পর্যটকদের এই প্রাচীন পথটি পরিহারের কারণ হলো-প্রাচীন পথে দুর্যোগ বেশি ও দুঃসাধ্যও বটে।

৪. কোন্ দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন?

উত্তর: অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ও যশোহর রাজপুত শান্ত রক্ষিত- এই দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন।

৫. ছদ্মবেশে কে গিয়েছিলেন তিব্বতে?

উত্তর: তিব্বতে ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন-শরৎচন্দ্র দাস।

৬. স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল তিব্বত-বিষয়ক কোন্ বইটি?

উত্তর: শরৎচন্দ্র দাসের বইটি।

৭. কালিম্পঙের কোথায় পড়াশোনা করে অ্যাংলা ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা?

উত্তর: কালিম্পঙে গ্রেহামস হোম-এ পড়াশোনা করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা।

৮. গৌরীপুর প্রাসাদে কারা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী?

উত্তর: রথীন্দ্রনাথ, এটর্নি হীরেন দত্ত, প্রতিমাদেবী, অনিলচন্দ্র, মৈত্রেয়ী আর চিত্রিতা-গৌরীপুর প্রাসাদে এঁরা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গী।

৯. লেখকের অনুরোধে কোন পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

উত্তর: লেখকের অনুরোধে 'যুগান্তর' পত্রিকার জন্যে অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১০.    ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি যে ছিল শুক্লপক্ষ, লেখা থেকে সেকথা জানতে পারো কেমন করে?

উত্তর: সেই দিন ছিল জ্যোৎস্না।

৩. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও:

১. কীভাবে গেলে পৌঁছানো যায় কালিম্পঙের গ্রেহামস হোম-এ? এই হোমটির বিশিষ্টতা কী?

উত্তর: কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক হল বড়ো গির্জাটা। তারই পাশ দিয়ে চলে গেছে চড়াই পথ এদিক ওদিক ঘরে অনেক উচুতে গ্রেহামস হোমের দিকে। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এবং সাহেবসুবাদের অনাদ ছেলেমেয়েরা এই হোমে পড়াশোনা করে মানুষ হয়। তবে পরিচালন ব্যবস্থা রয়েছে খাঁটি মেমসাহেবদের হাতে।

২.  ২৫ বৈশাখের 'যুগান্তর' পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল, তার বিষয় জ ছিল? রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবির এই ছবিটি এই বিষয়টি তোমার যথার্থ মনে হয় কিনা, লেখো।

উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেখাচিত্র। এই ছবিটি রবীন্দ্রনাথ জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে 'যথার্থ' একজন দেশবরণ্যে কবির প্রতি এর চেয়ে ভালো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হতে পারে না। হিমালয়ের চেয়ে তিনি বড়ো। তাই তাঁকে তাঁর চিত্র এঁকে দেওয়া খুবইআনন্দজনক এবং গর্বের বিষয়। 

৩. 'কাজটি দুরূহ, অনেকদিন সময় লাগবে।'-কোন্ কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ? কেন সে-কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর? কার সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন ওই কাজে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমগ্র মহাভারতখানা নিজের হাতে লেখার ইচ্ছা লেখক জানিয়েছেন। এতো বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনোকালে কোনো সাহিত্যে নেই। এই কাজে তিনি বৈদান্তিক এটর্নী হীরেন দত্তের সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন।

৪. 'এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায় হে'?-কোন্ প্রসঙ্গে এই পরিহাস রবীন্দ্রনাথের?

উত্তর: লেখক কালিম্পং-এ একটি ঠাকুর বাড়িতে উঠলেন। ২৫ শে বৈশাখের দুপুরবেলায় লেখকের সঙ্গে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখা হল। লেখক কবিকে বললেন তিনি একটি ঠাকুরবাড়িতে           উঠেছেন। তখন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখককে পরিহাস করে বলেছিলেন এছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায়।

৫. 'কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।' 'বাগে পেয়েছিলেন'-এই বিশিষ্ট্য ক্রিয়াপদটির অর্থ কী? তাঁকে কবির 'বাগে পাওয়া'র কী পরিচয় রয়েছে লেখকের সেদিনের বিবরণে?

উত্তর: এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ সামনে পাওয়া বা সুযোগ পাওয়া। লেখক যখন কবিকে বললেন ওখানকার ঠাকুরবাড়িতে উঠেছি, তখন কবি বলেন এছাড়া ঠাকুরবাড়ি কোথায়। এরপর দু চারটি কথার পর তার বাক্যবাণ ছুটতে লাগল। সেই বাণে লেখক বারংবার বিদ্ধ হচ্ছেন এবং এপাশে ওপাশে হাসির রোল উঠেছে।

৬. 'কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষ্যে তার প্রথম উদ্বোধন'-কোন্ বিশেষ উপলক্ষ্যে, কীভাবে এই উদ্বোধন সম্পন্ন হলো?

উত্তর:  ২৫ শে বৈশাখের সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি নবরচিত কবিতা বেতারযোগে পাঠ করবেন। সে জন্য কলকাতায় বেতার কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কলকাতা-কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত করেছিলেন। সে জন্য গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি গোনো হলো। টেলিফোনের কর্তৃপক্ষ এজন্য প্রচুর অর্থব্যয় করেছেন। কবি তার ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন-এই ব্যবস্থা।

৭. "কিন্তু নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ শুনতেই হলো"- নৃপেন্দ্রবাবু কে? কী ছিল তাঁর ফরমাশ? কীভাবে তা শুনেছিলেন লেখক?

উত্তর: নৃপেন্দ্রবাবু একজন বেতার বিশেষজ্ঞ। তিনি লেখককে কবি যে চেয়ারে বসবেন এবং কবিতা পাঠ করবেন সেই চেয়ারে বসে অলকাতাতে একবার ডাকতে বলবেন। যদি লেখকের গলায় যন্ত্রটি না ফাটে তবে আর ভয় নেই।

৮. জন্মদিনে কবির স্বকণ্ঠে বেতার-সম্প্রচারিত কবিতা শোনাবার মুহূর্তটি কীভাবে ধরা দিয়েছিল তাঁর শ্রোতাদের চেতনায়?

উত্তর:  যন্ত্রের সামনে কবি এসে বসলেন। একটি আলোর নিশানা গেয়ে কবির দীর্ঘ কণ্ঠের দীপ্ত মুর্ছনা উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। একটা মাথাচ্ছন্ন স্বপ্নালোকের মধ্যে সবাই যেন হারিয়ে গেল। শ্রোতাদের পায়ের নীচে কালিম্পং থরথর করতে লাগলো কিনা সে কথা তখন আর কারো মনে রইলো না। কবির কণ্ঠ বারংবার যত্নে ফিরে আসবে

৪. দশটি বাক্যের মধ্যে উত্তর দাও:

১. এ-লেখায় একটা হারিয়ে-যাওয়া সময়ের ছবি আছে, ভারতবর্ষ তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ কয়েকজন সন্তানের কথাআছে, যাঁদের সঙ্গে একসময় তিব্বতের নিবিড় যোগ রচিত হয়েছিল। লেখাটি অনুসরণ করে বাংলার ওই শ্রেষ্ঠ মানুষগুলি সম্পর্কে তোমার যে ধারণা হয়েছে, নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: ভারতবর্ষ থেকে যেসব শ্রেষ্ঠ সন্তান তিব্বতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে তিনজন জগৎ বিখ্যাত সন্তান হল-অতীশ দীপঙ্কর, রাজা রামমোহন রায় ও শরৎচন্দ্র দাস। লেখক প্রবোধকুমার সান্যালের ওই তিব্বতের যোগ যে কতটা নিবিড় ছিল তা ধরা পড়েছে। গৌতমবুদ্ধের যার তিব্বতবাসীরা তাঁর মূর্তি আজও বোধিসত্ত্ব জ্ঞানে পূজা করে। এরপরে গেছেন রাজা রামমোহন রায়। তৃতীয় ব্যক্তি ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন তাঁর নাম শরৎচন্দ্র দাস। শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণ বৃত্তান্ত শুনে আমরা তিব্বতের বিষয় জানতে পারি।


বাংলা তথা ভারতবর্ষের গর্ব ওইসব বাঙালিরা তিব্বতে গিয়ে ভরতবর্ষের নাম শ্রেষ্ঠ আসনে বসিয়ে এসেছেন। আর যাঁর কথা না জলেই নয় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ কালিম্পঙে নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর নিজের রচিত একটি কবিতা বেতার সংযোগে গউকরেন। কবির কবিতা পাহাড়ে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ল। কালিম্পঙের এই দুর্গম পথকে অতিক্রম করে তাঁরা সবাই তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন। ভারতবর্ষের এই সব সন্তানরা সবার কাছে নমস্য ও গ্রীদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

২. এই লেখার একটি প্রধান চরিত্র রবীন্দ্রনাথ আর তাঁর ব্যক্তিত্বময় উপস্থিতি। কালিম্পং শহরে অতিবাহিত তাঁর একটি বিশেষ

উত্তর: জন্মদিন উদ্যাপনের সম্পূর্ণ ছবিটি যেভাবে এখানে ফুটে উঠেছে, তার পরিচয় দাও। উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালিম্পং গিয়ে তাঁর নিজের জন্মদিনে


তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর নিজের রচিত একটি কবিতা পাঠ করবেন। এজন্য বেতার কর্তৃপক্ষ কলকাতা কালি পড়ির মতো আর অর্থব্যয় করে টেলিফোনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কবি তাঁর ঘরের সামনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন, এই ছিল ব্যবস্থা। কবি মাঝে মাঝে ভীষণ শব্দে গলা ঝাড়া দেন। কিন্তু কাব্য পাঠ কালে সেই আওয়াজটির দাপটে সূক্ষ্ম যন্ত্রটা বিদীর্ণ হয়ে যাবে কিনা তার জন্য নৃপেনবাবু নিজে পরীক্ষা করতে বসলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা কবি গিয়ে বসলেন যন্ত্রের সামনে কবি মাত্র পনেরো মিনিট কবিতা পাঠ করলেন। কবির দীপ্ত কণ্ঠের মূর্ছনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। সেদিন বাইরে জ্যোৎস্নার আলো চাদরের মতো ছড়িয়ে ছিল। ফলে মায়াচ্ছন্ন স্বপ্নালোকে সেদিন প্রত্যেকে হারিয়ে গেল এবং ভুলে গেলো নিজেদের অস্তিত্ব।


৩. ইতিহাস-ভূগোলের ইতিবৃত্তে জড়ানো কালিম্পং নামে একটা শহরকে নতুন করে চিনতে তোমার কেমন লাগল, একটা অনুচ্ছেদে তা লেখো।

উত্তর: কালিম্পং হলো অসাধারণ একটি শৈল শহর। এখান থেকেই পথ চলে গিয়েছে তিব্বতের দিকে। এর যে পথ উত্তরদিকে এগিয়ে গিয়েছে সেখানে একাধিক পশমের ঘাঁটির কথা উল্লেখ করেছেন লেখক। অসংখ্য তিব্বতী আর মাড়োয়ারীরা ব্যাবসার কারণে পথের দুপাশে বসবাস করেন। এরা এই ব্যাবসা করে লাভবান হয়েছেন।


এখানকার আকাশ মেঘময়। চারিদিকে প্রকৃতির অপূর্ব শোভা দেখা যায়। ভোর থেকেই শীতের কনকনে হাওয়া দিতে থাকে। বড়ো একটি সুন্দর গির্জা আছে। এই গির্জাটি হলো কালিম্পংয়ের ল্যান্ডমার্ক। এখানকার গৌরীপুর প্রাসাদে বাস করেছেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ।


'দেবতাত্মা হিমালয়' নামাঙ্কিত এই ভ্রমণ সাহিত্যের লেখক কালিম্পংয়ের সর্বত্র ঘুরেছেন। তিনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে বিমুগ্ধ হয়েছেন। পাহাড়ি-প্রকৃতির অপূর্ব সেই ছবি দেখে লেখক বিমুগ্ধ হয়েছেন। প্রকৃতির এমন অপরূপ রূপ মনে মনে কল্পনা করে আমরাও অভিভূত হয়ে পড়ি। ইতিহাস-ভূগোলের ইতিবৃত্তে জড়ানো এই কালিম্পংয়ের পথ বেয়ে তিব্বতে গিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা বিশ্ববিশ্রুত ব্যক্তিত্ব। তাঁদের কথা ভাবলে অবাক হতে হয়।


সংযোজিত প্রশ্ন


১. একটি বাক্যে উত্তর দাও।

১. তিব্বতে কে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেছিলেন?

উত্তর: অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান তিব্বতে 'বোধিসত্ত' নামে পুজিত

২. অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান তিব্বতে 'বোধিসত্ত' নামে পুজিত

উত্তর: চলে গিয়েছে সেখানে লেখৎ দেখেছেন অসংখ্য পশমের ঘাঁটি। সেখানে রাস্তার দুপাশে অসংখ্যা তিব্বতি আর মাড়োয়ারীর বাস।

৩. কালিম্পংয়ের যে পথ উত্তরে গিয়েছে সেখানে লেখক উ দেখেছেন?

 উত্তর: ডা. দাশগুপ্তের পাড়া 'অভিজাত পল্লি'।

৪. ডা. দাশগুপ্তের পাড়া কেমন?

উত্তর: শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ড। সাহায্য পেয়েছিলেন।

৫. কার বই থেকে ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ড সাহায্য পেয়েছিলেন?

উত্তর: শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ড। সাহায্য পেয়েছিলেন।

৬. কালিম্পংয়ের ল্যান্ডমার্ক কোন্টি?

 উত্তর: কালিম্পঙয়ের ল্যান্ডমার্ক হল বড়ো গির্জা।

৭. কবির জন্মদিনে লেখক তাঁকে কী উপহার দিয়েছিলেন?

 উত্তর: কবির জন্মদিনে লেখক কবিকে অমল হোমের কলম এবং রজনীগন্ধার গুচ্ছ উপহার দিয়েছিলেন।

৮. প্রবোধকুমার সান্যাল কোন পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন?

উত্তর: প্রবোধকুমার সান্যাল 'যুগান্তর' পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন।

৯. রবীন্দ্রনাথ কোন গ্রন্থটি নিজের হাতে লিখতে চেয়েছিলেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ এপিক স্টোরি 'মহাভারত' নিজের হাতে লিখতে চেয়েছিলেন।

১০. ভারত-তিব্বতের বাণিজ্যকেন্দ্র কোন্টি?

উত্তর: ভারত-তিব্বতের বাণিজ্যকেন্দ্রটি হল গ্যাংটক।

২. স্থূলাক্ষর পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো:

১. গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়া গেল।

উত্তর: কর্মকারক, 'শূন্য' বিভক্তি।

২. তিব্বত সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী।

উত্তর: অধিকরণকারক, 'শূন্য' বিভক্তি।

৩. তিনজন জগৎপ্রসিদ্ধ বাঙালি গিয়েছিলেন।

উত্তর: কর্তৃকারক, 'শূন্য' বিভক্তি।

৪. অষ্টম শতাব্দীতে তিনি তিব্বতে যান।


উত্তর: অধিকরণকারক, 'এ' বিভক্তি।

৫. মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন।

উত্তর: অধিকরণকারক, 'শূন্য' বিভক্তি।


Paid Answer ( For Membership User )

Editing By:- Lipi Medhi

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন