অধ্যায় ৯


আত্মকথা


হাতেকলমে

    👉Paid Answer (For Membership User)

    👉Download Books PDF


১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো।


১.১ রামকিঙ্করের প্রথম শিল্পের ইস্কুল বাড়ির পাশের-কামার পাড়া/কুমোরপাড়া/পটুয়াপাড়া।


উত্তর: রামকিঙ্করের প্রথম শিল্পের ইস্কুল বাড়ির পাশের- কুমোরপাড়া।


১.২ 'পোট্রেট' শব্দটির অর্থ হল-প্রতিকৃতি/আত্ম-প্রতিকৃতি/ প্রকৃতির ছবি।


উত্তর: 'পোর্ট্রেট' শব্দটির অর্থ হল-প্রতিকৃতি।


১.৩ 'অয়েল পেন্টিং' বলতে বোঝায়-জলরঙে আঁকা ছবি/ মোমরঙে আঁকা ছবি/তেলরঙে আঁকা ছবি।


উত্তর: 'অয়েল পেন্টিং' বলতে বোঝায়-তেলরঙে আঁকা ছবি।


১.৪ রামকিত্বরের ছবি বা মূর্তির অধিকাংশ ক্যারেকটারই যে খুব- অসাধারণ/সাধারণ/নগণ্য।


উত্তর: রামকিঙ্করের ছবি বা মূর্তির অধিকাংশ ক্যারেকটারই যে খুব-সাধারণ।


২. একটি বাক্যে উত্তর দাও :


২.১ কী কী দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন?


উত্তর: রামকিঙ্কর বেইজ গাছের পাতার রস, বাটনা বাটা শিলের হলুদ, আলতা, ভুসোকালি দিয়ে রঙের প্রয়োজন মেটাতেন। অর্থাৎ সরাসরি চারপাশের জগৎ থেকে পাওয়া উপকরণ নিয়ে তিনি রঙের প্রয়োজন মেটাতেন।


২.২ কার সৌজন্যে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনে যোগাযোগ হয়?


উত্তর: রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে রামকিঙ্করের সাথে শান্তিনিকেতনে যোগাযোগ হয়।


২.৩ শান্তিনিকেতনে আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে কেমন মনোভাব দেখাতেন?


উত্তর: শান্তিনিকেতনে আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে খুব উদারতা দেখাতেন।


২.৪ নন্দলাল বসুর কাজের কোন দিকটা শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল?


উত্তর: নন্দলাল বসুর সাদামাটা সুরটা রামকিঙ্কর বেইজকে বেশি প্রভাবিত করেছিল।


৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো। 


৩.১ "ভিসুয়াল আর্টে আমার প্রথম বর্ণপরিচয়।"-শিল্পী রামকিঙ্করের ছবির সঙ্গে প্রথম বর্ণপরিচয় হয়েছিলো কীভাবে?


উত্তর: শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ বাড়ির দেয়ালে নানা দেবদেবীর ছবি দেখে সেগুলো কপি করতেন-এভাবে রামকিঙ্করের ছবির সঙ্গে বর্ণপরিচয় হয়েছিল।


৩.২ 'জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে নিয়ে গেলেন।' -কে, কাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তারপর কী ঘটেছিল?


উত্তর: কে, কাকে: রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় শিল্পী রামকিঙ্করকে নিয়ে গিয়েছিলেন।


৩.৩ 'যতদূর মনে হচ্ছে-গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ'-কার উক্তি? 'গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ' কীসের নাম? তিনি কীভাবে এ ধরনের কাজ শিখেছিলেন?


উত্তর: ১. 'গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ'-উক্তিটি রামকিঙ্কর বেজের। ২. 'গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ'-একটি তৈল চিত্রের নাম। ৩. তিনি একজন দোকানির কথা শুনে এ ধরনের কাজ শিখেছিলেন।


৪. একটি বাক্যে উত্তর দাও:


১. রামকিঙ্কর বেইজকে কে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন?


উত্তর: রামকিঙ্কর বেইজকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়।


২. রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কে ছিলেন?


উত্তর: রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন 'প্রবাসী' পত্রিকার সম্পাদক।


৩. বাবা লিখতে দিলে রামকিঙ্কর কী করতেন?


উত্তর: বাবা লিখতে দিলে রামকিঙ্কর ছবি আঁকা শুরু করতেন।


৪. নন্দলাল বসু কোন্ ধরনের আর্টের প্রবর্তক ছিলেন?


উত্তর: নন্দলাল বসু ওরিয়েন্টাল আর্টের প্রবর্তক ছিলেন।


৫. রামকিঙ্কর বেইজের সঙ্গে নন্দলাল বসুর কোথায় আলাপ হয়েছিল?


উত্তর: ১৯২৫ সালে শান্তিনিকেতনের জেনারেল লাইব্রেরির উপর তলায় কলাভবনে রামকিঙ্করের সঙ্গে নন্দলাল বসুর আলাপ হয়েছিল।


৬ .কোন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে ছিল?


উত্তর: একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনই ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে ছিল।


৭. নন্দলাল কী ধরনের আর্ট পছন্দ করতেন না?


উত্তর: নন্দলাল ওয়েস্টার্ন আর্ট পছন্দ করতেন না।


৮. নন্দলালের পোশাক কেমন ছিল?


উত্তর: নন্দলালের গায়ে সিল্কের পাঞ্জাবি এবং পরনে ধুতি ছিল।


৯. 'আচ্ছা, দু-তিন বছর থাক তো।'-বক্তা কে?


উত্তর: বস্তা হলেন নন্দলাল বসু।


১০. নন্দলাল শিক্ষক হিসাবে কেমন ছিলেন?


উত্তর: নন্দলাল বসু শিল্পী হিসেবে ছিলেন মর্যাদাবান, শিক্ষক হিসেবেও তেমন শ্রদ্ধেয় ছিলেন।


৫. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


১. "মূর্তি গড়ার ইতিহাসও খুব মজার।"-রামকিঙ্কর যে মজার কথা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।


উত্তর: রামকিঙ্কর বেইজ তাঁর 'আত্মকথা' জানাতে গিয়ে মজার মজার

কথা শুনিয়েছেন। তাঁর বাড়ির সামনে রাস্তাটি ছিল লাল মোরামে আবৃত।

একদিন হঠাৎ করে বেশ জোরে বৃষ্টি এসেছিল। মোরাম ধুয়ে বেরিয়ে পড়েছিল নীল রঙের মাটি। এই দৃশ্য দেখে অবাক রামকিঙ্কর কিছুটা


মাটি তুলে নিয়ে নানারকম পুতুল তৈরি করেছিলেন। রামকিঙ্কর বেইজের ভাষায়, "সেই মাটি খাবলে তুলে নিয়ে নানারকম পুতুল তৈরিও করতে লাগলাম।" এভাবে মজার ভিতর দিয়ে শুরু হয়েছিল রামকিঙ্করের পুতুল গড়ার কাজ।


২. ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে কোন্ জায়গাটি সেদিন ছিল? 'সেদিন' বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?


উত্তর: ব্রিটিশ কর্তৃত্বের বাইরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ছিল। • অসহযোগ এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কালকে 'সেদিন শব্দের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রিটিশরা রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনকে সশ্রদ্ধ চিত্তে গ্রহণ করেছিলেন। ফলে শান্তিনিকেতন অক্ষত ছিল।


৩. 'আচার্য নন্দলালকে দেখতে কেমন ছিল? কেমন ছিল তাঁর পোশাক?


উত্তর: আচার্য নন্দলাল দেখতে ছিলেন বলিষ্ঠ চেহারার মানুষ।


• নন্দলালের গায়ে ছিল সিল্কের পাঞ্জাবি এবং পরনে ছিল শ্বেতশুভ্র ধুতি।


৪. নন্-কোঅপারেশন আন্দোলনে রামকিঙ্কর বেইজের ভূমিকা কী ছিল?


উত্তর: প্রাক্-স্বাধীন পর্বে সারা দেশ ছিল উত্তাল। চারিদিকে চলেছিল বিদ্রোহ, বিপ্লব, অগ্নিসংযোগ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে রামকিঙ্কর অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ন্যাশানাল স্কুলে ভরতি হন। গান্ধিজির আন্দোলনের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন। এইসময় তাঁর কাজ ছিল-


ক।। মহাপুরুষদের বাণী থেকে উদ্ধৃতি লিখে ঝুলিয়ে দেওয়া।


খ।। প্রসেশনের সময় লিডারদের পোর্ট্রেট বা প্রতিকৃতি এঁকে দেওয়া।


৫. কেন রামকিঙ্কর স্কুলে অবৈতনিক ছাত্র হিসাবে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন? সেই সময় স্কুলে তাঁর কাজ কী ছিল?


উত্তর: রামকিঙ্কর অবৈতনিক ছাত্র হিসাবে পড়াশোনার সুযোগ


পেয়েছিলেন। এর কারণ- প্রথমত । রামকিঙ্করের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না।


দ্বিতীয়ত । তাঁর ছবি আঁকার হাত ছিল অসামান্য। এজন্যে তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকলেও অঙ্কন-গুণটির জন্যে তিনি অবৈতনিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন।


৬. 'এটাই ছিল মূল ধারণা'। -ধারণাটি কী ছিল? এর ফলে কী হয়েছিল?


উত্তর: চিত্রকলাকে হতে হবে বাস্তবের রেখা চিত্র। চিত্রের মধ্যে যদি বাস্তবতার ছোঁয়া না থাকে, তাহলে তা সার্থক হবে না। এটাই ছিল নন্দলাল বসুর ধারণা।


• এরফলে পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতনের চিত্রকলায় প্রাকৃতিক


বাস্তবতার সূচনা হয়েছে। সেই ঘরানা দীর্ঘকাল ধরে চলে এসেছে। বাস্তবতার বোধকে মান্যতা দেওয়ার জন্যে ছাত্রদের অ্যানাটমি এবং মাস্ল সম্বন্ধেও শিক্ষা দেওয়া হয়। 


৭. "আমার সৌভাগ্য”- কোন্ বিষয়কে লেখক তাঁর সৌভাগ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন?


উত্তর: রামকিঙ্কর বেইজ ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসে এক অনবদ্য নাম। তিনি তাঁর 'আত্মকথা'য় লিখেছেন, নন্দলাল বসুর কাছে শিক্ষালাভ করা তাঁর কাছে রীতিমতো সৌভাগ্যের বিষয়। নিখুঁত তুলির টানে সাদামাটা প্রেক্ষাপটে অতিসাধারণ চরিত্র নন্দলাল বসু অসাধারণ করে তুলতেন। যে ছবি দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যেত না। নন্দলাল বসুর সেই গুণের কথা স্মরণ করে রামকিঙ্কর লিখেছেন-


আমার ছবি বা মূর্তির অধিকাংশ ক্যারেকটারই যে খুব সাধারণ, তা অনেকটা নন্দলালবাবুর পরোক্ষ প্রভাবে।


এভাবে শিল্পী রামকিঙ্করের জীবনে নন্দলালের মতো শিক্ষক পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে উঠেছিল।



Paid Answer ( For Membership User)

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন।

Editing By:- Lipi Medhi