Lesson 2
MCQs
১. 'বঙ্গ' ও 'সু্যু' নাম দুটির উল্লেখ পাওয়া যায় কালিদাসের-
(ক) 'মেঘদূতম' গ্রন্থে
খ) 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম্' গ্রন্থে
গ) 'মালবিকাগ্নিমিত্রম্' গ্রন্থে
ঘ) 'রঘুবংশম্' গ্রন্থে
উত্তর: ঘ) 'রঘুবংশম্' গ্রন্থে
২. পশ্চিমবঙ্গ হল একটি অঙ্গরাজ্য স্বাধীন-
ক) ভারতের
খ) বাংলাদেশের
গ) পাকিস্তানের
(ঘ) শ্রীলঙ্কার
উত্তর:(ক) ভারতের
৩. বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে-
(ক) ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে
খ) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
গ) ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (খ) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
৪. প্রাচীন বাংলার অঞ্চলগুলির মধ্যে বৃহত্তম ছিল-
(ক) বরেন্দ্র
(গ) পুণ্ড্রবর্ধন
খ) বঙ্গ
ঘ) গৌড়
উত্তর: গ)পুণ্ড্রবর্ধন
৫.শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-
(ক) কর্ণসুবর্ণ
খ) সমতট
(গ) কনৌজ
ঘ বিক্রমপুর
উত্তর: ক) কর্ণসুবর্ণ
৬. সমতটকে বাংলার বাকি অঞ্চলের থেকে আলাদা করে রেখেছিল-
ক) সুবর্ণরেখা নদী
(খ) মেঘনা নদী
গ) ভাগীরথী নদী
(ঘ) রূপনারায়ণ নদী
উত্তর: খ) মেঘনা নদী
৭. সুয়ান জাং (হিউয়েন সাঙ-এর ভ্রমণ বিবরণীতে 'বৌদ্ধবিদ্বেষী') বলা হয়েছে-
(ক) গোপালকে
(খ) ধর্মপালকে
গ) শশাঙ্ককে
(ঘ) হর্ষবর্ধনকে
উত্তর: গ) শশাঙ্ককে
৮. শশাঙ্ক ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলেন-
ক) বৈষুব
খ শৈব
গ) বৌদ্ধ
(ঘ) জৈন
উত্তর: (খ) শৈব
৯. 'হর্ষচরিত'-এর রচয়িতা হলেন-
(ক) কালিদাস
খ) রামপাল
(গ) বাণভট্ট
ঘ) কৌটিল্য
উত্তর: (গ) বাণভট্ট
১0. শশাঙ্কের আমলে প্রচলিত ছিল-
ক তামার মুদ্রা
খ) ব্রোঞ্জের মুদ্রা
গ) রূপার মুদ্রা
(ঘ) সোনার মুদ্রা
উত্তর: ঘ) সোনার মুদ্রা
১১. বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা ছিলেন-
ক) শশাঙ্ক
খ) গোপাল
গ ধর্মপাল
(ঘ) বল্লাল সেন
উত্তর: খ) গোপাল
১২. পাল রাজাদের আদি নিবাস ছিল-
(ক) বঙ্গাল
(গ) হরিকেল
খ সমতট
ঘ) বরেন্দ্র অঞ্চলে
উত্তর: ঘ) বরেন্দ্র অঞ্চলে
১৩. আরবরা সিন্ধুপ্রদেশ আক্রমণ করেন-
(ক) ৭০০ খ্রিস্টাব্দে
খ) ৭১০ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ৭১২ খ্রিস্টাব্দে
ঘ) ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: গ) ৭১২ খ্রিস্টাব্দে
১৪. সুলতান মাহমুদ ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছিলেন-
(ক) ১০ বার
(খ) ১২ বার
(গ) ১৫ বার
(ঘ) ১৭ বার
উত্তর: ঘ) ১৭ বার
১৫. দিল্লিতে সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) সুলতান মাহমুদ
(খ) মহম্মদ বিন কাশিম
(গ) কুতুবউদ্দিন আইবক
(ঘ) মহম্মদ ঘুরি
উত্তর: গ) কুতুবউদ্দিন আইবক
১৬. বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে-
(ক) বিজয় সেনের আমলে
(খ) সামন্ত সেনের আমলে
(গ) বল্লাল সেনের আমলে
(ঘ) লক্ষ্মণ সেনের আমলে
উত্তর: (ঘ) লক্ষ্মণ সেনের আমলে
১.৩৩ সুলতান মামুদের ভারত আক্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল-
(ক) ভারতবর্ষে স্থায়ী সাম্রাজ্য গঠন
(খ) ভারতের ধন সম্পদ লুণ্ঠন
(গ) ভারতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন
ঘ) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক হওয়া
উত্তর: ঘ) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক হওয়া
Very Short Answer Question
১. কোন্ গ্রন্থে বাংলাকে 'সুবা বাংলা' বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: আবুল ফজলের লেখা 'আইন-ই-আকবরি' গ্রন্থে বাংলাকে 'সুবা বাংলা' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২. 'সুবা' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সুবা শব্দের অর্থ প্রদেশ বা রাজ্য।
৩. প্রাচীন বাংলার নাম 'বেঙ্গালা' কারা দিয়েছিলেন?
উত্তর: ষোড়শ, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে ইউরোপীয় ভ্রমণকারী ও বণিকরা প্রাচীন বাংলার নাম 'বেঙ্গালা' দিয়েছিলেন।
৪. স্বাধীনতার আগে প্রাচীন বাংলা কী কী নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর: স্বাধীনতার আগে প্রাচীন বাংলা 'বাংলা' বা 'বাংলাদেশ' বা 'বেঙ্গল' নামে পরিচিত ছিল।
৫. আমাদের রাজ্যের নাম কখন থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়েছে?
উত্তর: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সময় বাংলার পশ্চিম ভাগের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ। যা আমাদের রাজ্যরূপে পরিচিত।
৬. কীভাবে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হয় বাংলাদেশ?
উত্তর: ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মুক্তি যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান আলাদা স্বাধীন দেশ হলে তার নাম হয় বাংলাদেশ।
৭. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলির নাম কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি ছিল পন্ডবর্ধন, বরেন্দ্র, বলা, বঙ্গাল, রাঢ়, সুপ্ন, গৌড়, সমতট ও হরিকেল।
৮. প্রাচীন বাংলার কয়েকটি জনগোষ্ঠীর নাম কী?
উত্তর: প্রাচীন বাংলায় কয়েকটি জনগোষ্ঠীর নাম ছিল বঙ্গ, গৌড়, পুন্ড্র প্রভৃতি।
৯. গুপ্তযুগে পুন্ড্রবর্ধন বলতে কী বোঝাত?
উত্তর: গুপ্তযুগে পুণ্ড্রবর্ধন বলতে একটি ভুক্তি বা শাসন এলাকাকে বোঝাত।
১০. কোন্ অঞ্চলটি বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল?
উত্তর: ভাগীরথী ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী এলাকা বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল।
১১. প্রাচীনকালে কোন্ অঞ্চলটিকে 'বঙ্গ' বলা হয়েছে?
উত্তর: প্রাচীনকালে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে বদ্বীপ এলাকাকে 'বঙ্গ' বলা হত।
১২. কীভাবে বঙ্গের সীমানা বদলে গিয়েছিল?
উত্তর: ভাগীরথীর পশ্চিম দিকে রাঢ় এবং সূক্ষ্ম নামে দুটো আলাদা অঞ্চলের উৎপত্তি ঘটেছিল বলে বঙ্গের সীমানা বদলে গিয়েছিল।
১৩. মহাভারতের গল্পে এবং কালিদাসের কাব্যে রাঢ় অঞ্চলের কোন্ কোন্ নদীর উল্লেখ আছে?
উত্তর: মহাভারতের গল্পে এবং কালিদাসের কাব্যে ভাগীরথী ও কাঁসাই নদীর নাম উল্লেখ আছে।
১৪.কোথায় রামপাল রাজধানী স্থাপন করেন?
উত্তর: বরেন্দ্র অঞ্চলের রামাবতী নগরে রামপাল রাজধানী স্থাপন করেন।
১৫. সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর: সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন।
১৬. সেনবংশের শেষ শক্তিশালী রাজা কে ছিলেন?
উত্তর: লক্ষ্মণ সেন ছিলেন সেন বংশের শেষ শক্তিশালী রাজা।
১৭. হজরত মহম্মদের মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যাওয়াকে আরবি ভাষায় কী বলা হয়?
উত্তর: হজরত মহম্মদের মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে যাওয়াকে আরবি ভাষায় 'হিজরত' বলা হয়।
১৮. কত খ্রিস্টাব্দ থেকে 'হিজরি' নামে ইসলামীয় সাল গণনা শুরু হয়?
উত্তর: ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে 'হিজরি' নামে ইসলামীয় সাল গণনা শুরু হয়।
১৯. 'খলিফা' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: 'খলিফা' হল একটি আরবি শব্দ। 'খলিফা' শব্দের অর্থ হল প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী।
২০. প্রথম খলিফার নাম কী?
উত্তর: প্রথম খলিফার নাম হল 'আবুবকর'।
২১. বখতিয়ার খলজি কোথায় রাজধানী স্থাপন করেন?
উত্তর: বখতিয়ার খলজি 'লক্ষ্মণাবতী' দখল করে রাজধানী স্থাপন করেন। এই শহরকে সমকালীন ঐতিহাসিকরা 'লখনৌতি' বলে উল্লেখ করেছেন।
২২. বখতিয়ার খলজি কত খ্রিস্টাব্দে মারা যান?
উত্তর: ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজি মারা যান।
২৩. কত খ্রিস্টাব্দে, কোথায় লক্ষ্মণ সেন মারা যান?
উত্তর: ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গে লক্ষ্মণ সেন মারা যান।
২৪. বখতিয়ার খলজি বাংলার পর কোথায় রাজ্য বিস্তার করার চেষ্টা করেন?
উত্তর: বখতিয়ার খলজি বাংলার পর তিব্বতে রাজ্যবিস্তার করার চেষ্টা করেন।
Short Answer Question
১. কীভাবে বাংলায় পালশাসন শুরু হয়?
উত্তর: শশাঙ্কের মৃত্যুর পর খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত একশো বছর ধরে বাংলায় কোনো কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না। এই সময় বাংলায় চরম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'মাৎস্যন্যায়' নামে পরিচিত। এই অরাজক অবস্থার অবস্থানের জন্য বাংলার প্রভাবশালী লোকেরা আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে 'গোপাল' নামে একজন সামন্ত রাজাকে বাংলার রাজা নির্বাচন করেন। ফলে ওই সময় থেকে বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়।
২. দেবপালের সময় পাল রাজ্যসীমা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিল?
উত্তর: পাল রাজা ধর্মপালের ছেলে দেবপালের সময়ে পাল রাজ্যসীমা উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে অন্তত বিন্ধ্যপর্বত পর্যন্ত এবং উত্তর-পশ্চিমে কম্বোজ দেশ থেকে পূর্বে প্রাগজ্যোতিষপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
৩. সেন রাজাদের বংশ পরিচয় সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: সেন রাজারা বংশগতভাবে প্রথমে ছিলেন ব্রাহ্মণ, পরে তাঁরা ক্ষত্রিয় হয়ে যান। তাই এই বংশের শিলালেখতে সেন বংশকে 'ব্রহ্ম-ক্ষত্রিয়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, সেনরা ছিলেন বৈদ্য।
৪. 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' নামটি কি তুমি যথার্থ বলে মনে করো? যুক্তি দাও। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: উত্তরাপথের অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কনৌজ দখলকে কেন্দ্র করে পাল, গুর্জর-প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূট-এই তিন রাজশক্তির মধ্যে যে সংগ্রাম চলেছিল, তাই 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' নামে পরিচিত। প্রায় দুশো বছর ধরে চলা এই সংগ্রামে তিনটি বংশেরই শক্তি শেষ হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' নামটি যথার্থ।
৫. রাজপুত কাদের বলা হয়?
উত্তর: খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে হুণদের আক্রমণের পরে বেশ কিছু মধ্য-এশীয় উপজাতির মানুষ উত্তর-পশ্চিম ভারতে বসবাস করতে থাকে। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের বিবাহ হয়। এদের বংশধরদের 'রাজপুত' বলা হয়।
৬.বখতিয়ার খলজি কীভাবে নদিয়া জয় করেন?
উত্তর: ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-সিরাজের লেখা "তবকাত-ই-নাসিরি" গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, বখতিয়ায় খলজি এবং তাঁর তুর্কি বাহিনী ঘোড়া ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে নদিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন।
কথিত আছে যে, বখতিয়ার খলজি মাত্র সতেরো জন সৈন্য নিয়ে নদিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। কারণ সেই সময় উত্তর ভারত থেকে বাংলায় আসার একাধিক রাস্তা ছিল। সাধারণত বিহার থেকে বাংলায় আসার সময়ে রাজমহল পাহাড়ের উত্তর দিকের পথ ধরেই আসা হত। তাই রাজা লক্ষ্মণ সেন ওই পথে তুর্কি আক্রমণ ঠেকানোর জন্য সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন। কিন্তু বখতিয়ার খলজি তাঁর সৈন্যদের অনেকগুলি ছোটো ছোটো দলে ভাগ করে ঝাড়খণ্ডের দুর্গম জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বাংলায় এসেছিলেন।
অরক্ষিত রাজধানীতে তুর্কি সেনারা ঢুকে পড়েছে শুনে বৃদ্ধ লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ফলে বখতিয়ার খলজি বিনা যুদ্ধেই নদিয়া দখল করেন এবং 'লক্ষ্মণাবতীতে' রাজধানী স্থাপন করেন।
৭. সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: ভূমিকা: গজনির সুলতান মাহমুদ আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় সতেরো বার উত্তর ভারত আক্রমণ করেছিলেন।
উদ্দেশ্য: সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা একমত নন।
(i) ধনসম্পদ লুণ্ঠন করা: মাহমুদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় মন্দিরগুলি থেকে ধনসম্পদ লুণ্ঠন করা। এখানে কোনো স্থায়ী সাম্রাজ্য তিনি
প্রতিষ্ঠা করতে চাননি।
(ii) মধ্য এশিয়ায় সাম্রাজ্য স্থাপন: মধ্য এশিয়ায় সুবিস্তৃত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে তিনি ভারতের ধনসম্পদ লুণ্ঠন করেন।
(iii) ধর্মীয় উন্মাদনা: অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, ধর্মীয় উন্মাদনার জন্য তিনি ভারত অভিযানে এসেছিলেন, তাই তিনি হিন্দু
মঠ-মন্দিরগুলির লুণ্ঠন করতেন।
৮.তুমি কি মনে করো যে ত্রিশক্তি সংগ্রাম শুধু রাজনৈতিক কারণেই হয়েছিল? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখাও।
উত্তর: ভূমিকা: উত্তরাপথের কনৌজকে কেন্দ্র করে বাংলার পাল, পশ্চিম ভারতের গুর্জর-প্রতিহার এবং দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে যে সংগ্রাম চলেছিল। তা 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' নামে পরিচিত।
আমার মতামত: আমার মনে হয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণ নয়, অর্থনৈতিক কারণেও 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' হয়েছিল।
(i) কনৌজ অঞ্চলের নদীভিত্তিক বাণিজ্য এবং খনিজ দ্রব্য আর্থিক দিক থেকে লোভনীয় ছিল।
(ii) কনৌজ ছিল গাঙ্গেয় উপত্যকার কৃষি সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল।
২. ঠিক বা ভুল লেখো
১. ইউরোপীয় ভ্রমণকারী ও বণিকরা 'বেঙ্গালা' নামটি দিয়েছিলেন।
উত্তর: ঠিক।
২. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলির নাম সেই অঞ্চলে বসবাসকারী অধিবাসীদের নাম অনুসারে রাখা হত।
উত্তর: ঠিক।
২. পালযুগে 'পুন্ড্রবর্ধন' ছিল একটি ভুক্তি বা শাসন-এলাকা।
উত্তর: ভুল। সঠিক উত্তর: গুপ্তযুগে "পুণ্ড্রবর্ধন” ছিল একটি ভুক্তি বা শাসন-এলাকা।
৩. পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মাঝে ত্রিভুজের মতো দেখতে বদ্বীপ এলাকাকে "বঙ্গ” বলা হত।
উত্তর: ঠিক।
৪.শশাঙ্কের মৃত্যুর পরের সময়কাল বাংলার ইতিহাসে মাৎস্যন্যায়ের যুগ নামে পরিচিত।
উত্তর: ঠিক।
৫.গোপালের উত্তরাধিকারী ধর্মপাল ত্রিশক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উত্তর: ঠিক।
৬. সেনরা বংশগতভাবে প্রথমে ছিলেন ব্রাহ্মণ, পরে তাঁরা ক্ষত্রিয় হয়ে যান
উত্তর: ঠিক।
৭.দাক্ষিণাত্যে কর্ণাটকের চালুক্যশক্তি রাষ্ট্রকূটদের অধীন ছিল।
উত্তর: ভুল।
Paid Answer Link (Membership User)
Editing by- Rita Moni Bora
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন