Class 7 History (WBBSE)
Lesson 5
মুঘল সাম্রাজ্য
-------------------------
👉Paid Answer (For Membership User)
১। শূন্যস্থান পূরণ করো:
(ক) ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাবরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন (রানা সঙ্গ/ইব্রাহিম লোদী/নসরৎ শাহ)।
উত্তর: নসরৎ শাহ।
(খ) বিলগ্রামের যুদ্ধ হয়েছিল খ্রিস্টাব্দে। (১৫৩৯/১৫৪০/১৫৪১)
উত্তর: ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।
(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে শিখগুরু- হিমু) কে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। (জয় সিংহ/ অর্জুন/
উত্তর: অর্জুন।
(ঘ) রাজপুত নেতাদের মধ্যে মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে জোট বাঁধেননি রানা (প্রতাপ সিংহ/মানসিংহ/যশোবন্ত সিংহ)।
উত্তর: প্রতাপ সিংহ।
(ঙ) আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মালিক অম্বর/ বৈরাম খান)। (টোডরমল/
উত্তর: মালিকা অম্বর।
কল্পনা করে লেখো (১০০-১৫০টি শব্দের মধ্যে):
ক) যদি তুমি বাদশাহ আকবরের মতো বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের দেশে সম্রাট হতে তাহলে তোমার ধর্মনীতি কী হত?
ভূমিকা: আমি এমন একটি দেশের সম্রাট যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান প্রভৃতি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বসবাস করে। আমি এই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।
আমার ধর্মনীতি:
(1) স্বধর্ম পালন: আমার দেশে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে যেন যে যার নিজের ধর্মপালন করতে পারে। ধর্মীয় ব্যাপারে আমি উদার ও পরধর্মসহিষ্ণু। আমি জোর করে কারুর ওপর নিজস্ব ধর্মমত চাপিয়ে দিতাম না।
(2) ধর্মীয় আলোচনা: আমি আলাদা একটি উপাসনা গৃহ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন ধর্মজ্ঞানী ব্যক্তিদের আহ্বান করতাম। বিভিন্ন ধর্মের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতাম। সাধারণ মানুষদের বোঝাতাম ঈশ্বর এক এবং সকল ধর্মের মূলকথা এক এবং অভিন্ন।
(3) ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা: আমি বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আমার দরবারে বিভিন্ন পদে নিযুক্ত করতাম। এইভাবে আমি এক ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করতাম।
(4) ধর্মনিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা: আমার রাজসভায় সমস্ত ধর্মের মানুষেরা যাতে সঠিক বিচার পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতাম। ধর্মীয় কারণে কোনো দোষী ব্যক্তি যেন ছাড়া না পায়।
(5) শান্তিস্থাপন: সমস্ত রকম ধর্মীয় হানাহানি, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখাই আমার প্রধান কর্তব্য বলে মনে করতাম।
(খ) মনে করো তুমি সম্রাট ঔরঙ্গজেব, তাহলে কেমনভাবে তুমি দাক্ষিণাত্যের সমস্যার মোকাবিলা করতে?
ভূমিকা: আমি যদি ঔরঙ্গজেব হতাম দাক্ষিণাত্য অভিযানে আমার নীতি হত অন্যরকম। প্রথমেই আমার শত্রুরাজ্যগুলিকে চিহ্নিত করতাম। তারপর তাদের বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠাতাম, রাজি না হলে যুদ্ধ করতাম। আমাকে এটাও খেয়াল রাখতে হত যে সুদূর উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণের রাজ্যগুলি শাসন করা সম্ভব নয়। তাই এই রাজ্যগুলিকে করদ রাজ্য হিসেবে রাখতাম।
• শত্রুরাজ্য চিহ্নিতকরণ: দক্ষিণ ভারতে তিনটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব ঘটেছে-(a) বিজাপুর, (b) গোলকোন্ডা ও (c) মারাঠা রাজ্য। এর মধ্যে দুটি মুসলিম রাজ্য ও একটি হিন্দু রাজ্য।
(1) বিজাপুর আক্রমণ: প্রথমেই বিজাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হতাম। কারণ বিজাপুরের সুলতান আমাকে কর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উপরন্তু প্রতিবেশী রাজ্য গোলকোন্ডার সঙ্গে মৈত্রী জোট স্থাপন করেছে। এই দুটি রাজ্যের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দাক্ষিণাত্য থেকে আমাকে বিতাড়ণ করা, বিজাপুর জয় করে পিতা শাহজাহানের আদর্শ অনুসরণ করে উপযুক্ত কর ও ক্ষতিপূরণ আদায় করে আমার অনুগত রাজ্য করে রাখতাম। শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলাম, তার বদলে বিজাপুর রাজ্যও আমাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিত।
2) গোলকোন্ডা: প্রতিশ্রুতিমতো বিজাপুর রাজ্যের সাহায্য নিয়ে (
গোলকোন্ডা আক্রমণ করতাম। গোলকোন্ডা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল। গোলকোন্ডার কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় কর ও ক্ষতিপূরণ আদায় করলাম। প্রয়োজনে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল।
(3) মারাঠা রাজ্য: বিজাপুর ও গোলকোন্ডা রাজ্যের সাহায্য নিয়ে
মারাঠা রাজ্য আক্রমণ করতাম। আমাদের যৌথ আক্রমণের কাছে শিবাজি বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হল। খুব সহজে মারাঠা রাজ্য দখল করে নিলাম। আমার দাক্ষিণাত্য অভিযান সমাপ্ত করে দিল্লিতে ফিরে এসে পুনরায় শান্তিতে দেশ শাসন করতে লাগলাম।
(গ) মনে করো তুমি খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের একজন মারাঠা মনসবদার। তোমার জায়গির থেকে আয় কমে গেছে। এই অবস্থায় মুঘল ও মারাঠাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেছে। তুমি কী করবে? কেন করবে?
উত্তর: আকবরের সামরিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল মনসবদারি ব্যবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব। আর মনসব পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার। মনসবদারদের দু-ভাবে বেতন দেওয়া হত-নগদে অথবা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হত জায়গির।
• বর্তমান পরিস্থতি: আমি ঔরঙ্গজেবের আমলের একজন মারাঠা মনসবদার। দক্ষিণ ভারতের বিরাট এলাকার জায়গির অর্থাৎ রাজস্ব আদায় করবার অধিকার আমি পেয়েছি, তবে উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতের জমি অত উর্বর নয়। তাই দক্ষিণ ভারতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও কম। সে কারণে দক্ষিণ ভারতের মনসবদাররা একটু ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে শিবাজির রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়। শিবাজির সৈন্যবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধের কাছে ঔরঙ্গজেবের সৈন্যবাহিনী বারবার বাধা পেতে থাকে। দীর্ঘদিন যুদ্ধের ফলে কৃষিকার্য, বনাঞ্চল, তৃণভূমি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমাদের পক্ষে রাজস্ব আদায় করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে আমাদের আয় কমতে থাকে।
• আমার কর্তব্য: আমি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের ইচ্ছায় মনসবদারি পেলেও আমি একজন মারাঠি। তাই আমি কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে রাজস্ব আদায় করব না। প্রজারা যেটুকু দিতে পারবে সেইটুকুই গ্রহণ করব। যে রাজস্ব আদায় করতে পারব তার থেকে আমার প্রাপ্যটুকু রেখে দিয়ে বাকি রাজস্ব মারাঠা রাজ্য ও মারাঠিদের উন্নতির জন্য দান করব।
• আমার জন্মভূমি মারাঠা সাম্রাজ্যের স্বাধীনতা বিপন্ন হলে আমি মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করব।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১. সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো (MCQ):
১.১ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতবর্ষ শাসন করেছিল-
ক) পাঠানরা
খ) আফগানরা
গ) মুঘলরা
ঘ) তুর্কিরা
উত্তর: গ মুঘলরা।
১.২ ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহ ছিলেন-
ক) আকবর
খ) বাবর
গ) হুমায়ুন
ঘ) শের শাহ
উত্তর: (খ) বাবর।
১.৩ তৈমুর লঙ্ উত্তর ভারত আক্রমণ করেন-
(ক) ১৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৩৯৭ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (ঘ) ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
১.৪ মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করত-
(ক) 'বাদশাহ' শব্দটি
খ) 'সুলতান' শব্দটি
(গ) 'রাজা' শব্দটি
(ঘ) 'মহারাজ' শব্দটি।
উত্তর: (ক) 'বাদশাহ' শব্দটি।
১.৫ পানিপতের প্রথম যুদ্ধে বাবর পরাজিত করে-
ক) রাজপুত শক্তিকে
খ) হুন শক্তিকে
গ) আফগান শক্তিকে
ঘ) পাঠান শক্তিকে
উত্তর: গ) আফগান শক্তিকে।
১.৬ বাবর যে লড়াইকে 'ধর্মের লড়াই' বলেছিলেন, সেটি হল-
ক) খানুয়ার যুদ্ধ
খ) ঘর্ঘরার যুদ্ধ
গ) পানিপতের যুদ্ধ
ঘ) চৌসার যুদ্ধ
উত্তর: ক খানুয়ার যুদ্ধ।
১.৭ খানুয়ার যুদ্ধে রাজপুতদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন-
ক) রানা প্রতাপ
খ) জয় সিংহ
গ) মান সিংহ
ঘ) সংগ্রাম সিংহ
উত্তর: (ঘ) সংগ্রাম সিংহ।
১.৮ ঘর্ঘরার যুদ্ধে আফগানদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার শাসক-
ক) হোসেন শাহ
খ) নসরৎ শাহ
গ) ইলিয়াস শাহ
ঘ) মহম্মদ শাহ
উত্তর: (খ) নসরৎ শাহ।
১.৯ উত্তরসূরিদের মধ্যে অঞ্চল ভাগ করার তৈমুরীয় নীতি ভেঙেছিলেন-
ক) বাবর
খ) হুমায়ুন
গ) শের শাহ
ঘ) আকবর
উত্তর: খ হুমায়ুন।
১.১০ মুঘলদের দুই প্রধান বিরোধী শক্তি ছিল-
ক) রাজপুত এবং আফগানরা
খ) রাজপুত এবং শিখরা
গ) আফগান এবং তুর্কিরা
ঘ) পাঠান এবং মোঙ্গলরা
উত্তর: (ক) রাজপুত এবং আফগানরা।
১.১১ শের শাহের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেন-
ক) হুমায়ুন
খ) আকবর
গ) ইসলাম শাহ
ঘ) হিমু
উত্তর: (গ) ইসলাম শাহ।
১.১২ 'পাট্টা' ও 'কবুলিয়ত' চালু করেছিলেন-
(ক) বাবর
(খ) আকবর
(গ) আলাউদ্দিন খলজি
(ঘ) শের শাহ
উত্তর: (ঘ) শের শাহ।
১.১৩ 'দাগ' ও 'হুলিয়া' ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন-
ক) বাবর
খ) হুমায়ুন
গ) শের শাহ
ঘ) আকবর (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: (গ) শের শাহ।
১.১৪ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে আকবর আফগানদের হারিয়েছিলেন-
ক) মান সিংহের সাহায্যে
খ) বৈরাম খানের সাহায্যে
গ) হিমুর সাহায্যে
(ঘ) উদয় সিংহের সাহায্যে
উত্তর: (খ) বৈরাম খানের সাহায্যে।
১.১৫ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে হলদিঘাটের যুদ্ধে আকবর পরাজিত করেছিলেন-
ক) সংগ্রাম সিংহকে
খ) উদয় সিংহকে
গ) মান সিংহকে
ঘ) প্রতাপ সিংহকে
উত্তর: ঘ) প্রতাপ সিংহকে।
১.১৬ আকবর চিতোর দূর্গ জয় করেছিলেন-
(ক) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (গ) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে।
১.১৭ আকবরের শাসনকালে 'ওয়াজির-ই-আজম' বা প্রধানমন্ত্রী হন-
(ক) বীরবল
(খ) টোডরমল
গ) আবুল ফজল
ঘ) বৈরাম খান
উত্তর: (ক) বীরবল।
১.১৮ 'আকবরনামা'র রচয়িতা হলেন-
ক) বদাউনি
খ) আকবর
গ) আবুল ফজল
ঘ) মিনহাজ-ই-সিরাজ।
উত্তর: (গ) আবুল ফজল।
১.১৯ আবদুল কাদির বদাউনির লিখিত গ্রন্থের নাম-
ক) আকবরনামা
খ) আইন-ই-আকবরি
গ) হুমায়ুননামা
ঘ) মুন্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ
উত্তর: ঘ মুন্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ
১.২০ বাংলার 'বারো ভূঁইয়া' বিদ্রোহ হয়েছিল-
(ক) বাবরের আমলে
খ) হুমায়ুনের আমলে
(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে
(ঘ) শাহজাহানের আমলে
উত্তর: জাহাঙ্গিরের আমলে।
১.২১ বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন-
(ক) মালিক অম্বর
(খ) ইশা খান
(গ) তাহমস্প
(ঘ) আদিল শাহ
উত্তর: খ) ইশা খান।
১.২২ নূরজাহান চক্রের সদস্য ছিলেন-
(ক) আদিল শাহ
খ) শের শাহ
(গ) শাহজাদা খুররম
(ঘ) ঔরঙ্গজেব
উত্তর: গ শাহজাদা খুররম।
১.২৩ খান জাহান লোদি বিদ্রোহ করেছিলেন-
ক) হুমায়ুনের সময়
(খ) আকবরের সময়
(গ) জাহাঙ্গিরের সময়
(ঘ) শাহজাহানের সময়
উত্তর: (ঘ) শাহজাহানের সময়।
১.২৪ মধ্য এশিয়ায় মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমি ছিল-
ক) পারস্য
খ) সমরকন্দ
গ) ইরাক
ঘ) ইরান
উত্তর: (খ) সমরকন্দ।
১.২৫ হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থ কর ও জিজিয়া কর তুলে নেন মুঘল সম্রাট-
ক) বাবর
খ) হুমায়ুন
গ) আকবর
ঘ) জাহাঙ্গির
উত্তর: (গ) আকবর।
১.২৬ মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন-
ক) আকবর
খ) জাহাঙ্গির
গ) শাহজাহান
ঘ) ঔরঙ্গজেব
উত্তর: (ক) আকবর।
১.২৭ ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুঘলদের দখলে আসে দাক্ষিণাত্যের-
ক) বিজাপুর
খ) গোলকোন্ডা
(গ) আহমেদনগর
ঘ) খান্দেশ
উত্তর: (গ) আহমেদনগর।
১.২৮ 'সুলহ-ই-কুল' আদর্শের ভিত্তিতে দীন-ই-ইলাহি' মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন-
ক) হুমায়ুন
খ) আকবর
গ) শাহজাহান
ঘ) ঔরঙ্গজেব
উত্তর: খ) আকবর।
১.২৯ আকবরের সামরিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল-
ক) ইকতা ব্যবস্থা
খ) হুলিয়া ব্যবস্থা
গ) দাগ ব্যবস্থা
ঘ) মনসবদারি ব্যবস্থা
উত্তর: ঘ) মনসবদারি ব্যবস্থা।
১.৩০ আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত-
ক) মনসব
খ) জায়গির
গ) ইকতাদার
ঘ) ইজারাদার
উত্তর: ক) মনসব।
২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):
২.১ মুঘলরা নিজেদের (তৈমুরীয়/মোঙ্গলীয়/ইলবারি তুর্কি) বলে ভাবত।
উত্তর: তৈমুরীয়।
২.২ ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাবর মাত্র বারো বছর বয়সে (গজনির/ফরগনা প্রদেশের/তুরস্কের) শাসনভার পান।
উত্তর: ফরগনা প্রদেশের।
২.৩ সফাবিরা ছিল (ইরানের ইরাকের/আরবের) একটি রাজবংশ।
উত্তর: ইরানের।
২.৪ বাবর 'পাদশাহ' উপাধি নিয়েছিল (১৫০৭/১৫২৬/১৫১৪) খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: ১৫০৭ খ্রিস্টাব্দে।
২.৫ বাবর 'পাদশাহ' উপাধি নেন (বেলুচিস্তান/লাহোর/কাবুল)-এ থাকার সময়।
উত্তর: কাবুল।
২.৬ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে হুমায়ুন পরাজিত হয়েছিলেন (ইব্রাহিম লোদি/সংগ্রাম সিংহ/শের খান)-এর কাছে।
উত্তর: শের খান।
২.৭ শের শাহ কৃষককে (পাট্টা/কবুলিয়ত/দাগ) দিতেন।
উত্তর: পাট্টা।
২.৮ কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (কবুলিয়ত/পাট্টা/হুলিয়া)
উত্তর: কবুলিয়ত।
২.৯ শের শাহ বাংলার সোনার গাঁ থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত যে রাস্তা নির্মাণ করেন তার নাম ছিল (পেশোয়া রোড/সড়ক-ই আজম/মুঘল-ই আজম)।
উত্তর: সড়ক-ই-আজম।
২.১০ (হুমায়ুন/আকবর/শের শাহ) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক-যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন।
উত্তর: শের শাহ।
২.১১ রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল (চিতোর/ কুম্ভলগড়/বুন্দেলগড়)।
উত্তর: কুম্ভলগড়।
২.১২ (শের শাহের/আকবরের/শাহজাহানের) দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত 'নবরত্ন'।
উত্তর: আকবরের।
২.১৩ আকবর (গোপাল দাস/কালিদাস/মহেশ দাস)-এর নাম দেন বীরবল।
উত্তর: মহেশ দাস।
২.১৪ মুঘল বিরোধী বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা (বারো ভূঁইয়া/তেরো ভূঁইয়া/চোদ্দ ভূঁইয়া) নামে পরিচিত।
উত্তর: বারো ভূঁইয়া।
২.১৫ (আকবর/জাহাঙ্গির/শাহজাহান)-এর আমলে মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।
উত্তর: শাহজাহান।
২.১৬ (বাবর/আকবর/ঔরঙ্গজেব)-এর শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা মুঘলদের দখলে আসে।
উত্তর: ঔরঙ্গজেব।
২.১৭ মুঘলরা চট্টগ্রাম বন্দর দখল করে বাংলাকে (ফরাসি/ পোর্তুগিজ/ইংরেজ) জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে।
উত্তর: পোর্তুগিজ।
২.১৮ 'ঔরঙ্গজেব মারাঠা নেতা (শিবাজি/শম্ভুজি/শাহজি) -কে স্বাধীন রাজা বলে মেনে নেন।
উত্তর: শিবাজি।
২.১৯ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজাহান (বাবর/হুমায়ুন/আকবর)-এর রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।
উত্তর: আকবর
২.২০ উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত (আমির/অমাত্য/জমিদার)।
উত্তর: আমির।
২.২১ আকবরকে 'দহসালা' ব্যবস্থা প্রচলন করতে সাহায্য করেছিলেন (বীরবল/টোডরমল/আবুল ফজল)।
উত্তর: টোডরমল।
২.২২ বাজারের তথ্য সরকারকে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল (কানুনগো/করোরী/জায়গির)-দের।
উত্তরঃ কানুনগো।
(খ) ঠিক না ভুল লেখো:
২.১ খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতক থেকে মুঘলদের ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছিল।
উত্তর: ঠিক।
২.২ দিল্লির মুঘল শাসকরা 'সুলতান' শব্দটি যুবরাজদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করত।
উত্তর: ঠিক।
২.৩ ভারতবর্ষের ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত ও মৈত্রী দুই-ই ছিল।
উত্তর: ঠিক।
২.৪ বাবরের রণকৌশল ব্যবহার করে তুরস্কের অটোমান তুর্কি সেনাবাহিনী ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে চল্-দিরানের যুদ্ধে সফাবিদের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে।
উত্তর: ঠিক।
২.৫ ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে জামের যুদ্ধে উজবেকরা সফাবিদের হারিয়ে দেয়।
উত্তর: ভুল।
উত্তর: ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে জামের যুদ্ধে সফাবিরা উজবেকদের হারিয়ে দেয়।
২.৬ রানা প্রতাপ সিংহ 'রানা সঙ্গ' নামে পরিচিত।
উত্তর: ভুল।
সঠিক উত্তর: রানা সংগ্রাম সিংহ 'রানা সঙ্গ' নামে পরিচিত।
২.৭ খানুয়ার যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল।
উত্তর: ভুল।
সঠিক উত্তর: খানুয়ার যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না।
২.৮ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রামের যুদ্ধে শের শাহের কাছে পরাজিত হয়ে হুমায়ুনকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল।
উত্তর: ঠিক।
২.৯ 'সড়ক-ই-আজম' পরবর্তীকালে 'গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড' নামে পরিচিত হয়।
উত্তর: ঠিক।
২.১০ শের শাহের আত্মীয় আদিল শাহ দিল্লিতে আফগান শাসন ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলেন।
উত্তর: ঠিক।
২.১১ রাজপুত রাজাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল চিতোর দুর্গ।
উত্তর: ঠিক।
২.১২ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে মুঘল রাষ্ট্রকাঠামোয় জাহাঙ্গির আকবরের নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন।
উত্তর: ঠিক।
২.১৩ মেওয়াড়ের রানা জাহাঙ্গিরের আধিপত্য মেনে নেননি।
উত্তর: ভুল।
সঠিক উত্তর: মেওয়াড়ের রানা জাহাঙ্গিরের আধিপত্য মেনে নেন।
২.১৪ শিখদের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল।
উত্তর: ভুল।
সঠিক উত্তর : শিখদের সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্ক ভালো ছিল না।
২.১৫ মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানায় সৎনামি কৃষকরা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।
উত্তর: ঠিক।
২.১৬ জাহাঙ্গিরের আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
উত্তর: ঠিক।
২.১৭ আকবরের আমলে রাজপুত সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল।
উত্তর: ভুল।
উত্তর: শাহজাহানের আমলে রাজপুত সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিল।
২.১৮ অম্বরের মির্জা রাজা জয়সিংহ ছিলেন ঔরঙ্গজেবের বিশ্বস্ত অভিজাতদের মধ্যে একজন।
উত্তর: ঠিক।
২.১৯ আকবরের প্রশাসনিক আদর্শ 'তৈমুরীয়', পারসিক এবং ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রণ বলা চলে।
উত্তর: ঠিক।
২.২০ মনসবদারি ব্যবস্থায় সবচেয়ে ওপরের পদগুলি কেবল রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য থাকত।
উত্তর: ঠিক।
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Paid Answer Link (Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi