অধ্যায় ৯ 

আজকের ভারত


    👉Paid Answer (For Membership User)


শূন্যস্থান পূরণ করো।


(ক) (বাংলাদেশ/জাপান/ফ্রান্স) আছেন। এ এখনও রাজা-রানি


উত্তর: জাপান


(খ) নিজেরা নিজেদের মধ্য থেকে শাসক নির্বাচনের পদ্ধতিকে বলে (গণতন্ত্র/রাজতন্ত্র/যুক্তরাষ্ট্র)।


উত্তর: গণতন্ত্র


(গ) (ভারতের/জাপানের/ইংল্যান্ডের) সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান।


উত্তর: ভারতের


(ঘ) জনগণ যে শাসন ব্যবস্থায় নিজেই নিজের অধীন, তাকে বলে (সংবিধান/সভা ও সমিতি/স্বায়ত্বশাসন)।


উত্তর: স্বায়ত্বশাসন


(ঙ) অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে হয় একটা পৌরসভা)। (ব্লক/জেলা/


উত্তর: ব্লক


বিশদে (১০০-১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও:


(ক) ভারতকে কেন গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বলা হয়? দেশ পরিচালনায় সংবিধানের ভূমিকা কী বলে তুমি মনে করো?


উত্তর: ভারতবর্ষকে গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বলার কারণ-


• গণতান্ত্রিক: যে শাসনব্যবস্থায় জনগণ নিজেদের মধ্যে থেকে শাসক বেছে শাসন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তাকে গণতন্ত্র বলে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ কারণ ভারতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিক গণ ভোট দিয়ে নিজেরাই শাসক নির্বাচন করতে পারে।


• যুক্তরাষ্ট্রীয়: যে দেশে সংবিধান অনুসারে একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে শাসন পরিচালিত হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্র বলে। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা আছে কারণ ভারতে একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতি রাজ্যে একটি করে রাজ্য সরকার আছে।


• দেশ পরিচালনায় সরকারের ভূমিকা: সরকার দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে। সরকার দেশের জনগণকে ভালো রাখার জন্য এবং দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য কাজ করে। আর সরকারকে সংবিধান মেনেই সব কাজ করতে হয়। তাই বলা যায় দেশ পরিচালনায় সংবিধান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


(খ) সরকারের কয়টি ভাগ? ওই ভাগগুলি কোনটি কী কাজ করে? বিচার বিভাগকে কেন আলাদা করে রাখা হয়?


উত্তর: সরকারের কাজ: ভারত সরকারের তিনটি ভাগ-(1) আইন বিভাগ (2) শাসন বিভাগ (3) বিচার বিভাগ


• সরকারের বিভাগগুলির কাজ: ভারত সরকারের তিনটি বিভাগের কাজ হলো-


(1) আইন বিভাগ: আইন বিভাগের কাজ হলো দেশ পরিচালনার জন্য আইন তৈরি করা।


(ii) শাসন বিভাগ: শাসনবিভাগের কাজ হলো আইন অনুসারে দেশ পরিচালনা করা।


(iii) বিচার বিভাগ: বিচার বিভাগের কাজ হলো সংবিধান অনুসারে দেশ শাসন হচ্ছে কিনা দেশের জনগণের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে কিনা তা দেখা এবং এই নিয়ম মেনে না চললে বা নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


• বিচার বিভাগকে আলাদা রাখার কারণ: দেশের বিচার বিভাগকে বাকি দুটো বিভাগ-আইন ও শাসন বিভাগ থেকে আলাদা রাখা হয়। কারণ দেশের সমস্ত নাগরিক যাতে সুবিচার পায়। দেশের আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। দেশের আইন বা শাসনবিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও যদি সংবিধান মেনে না চলেন তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও বিচার বিভাগ ব্যবস্থা নিতে পারে।


(গ) পৌরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কী কী কাজ করে?


উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানগুলিকে


দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-


(i) শহরে বা নগরের ক্ষেত্রে পৌরসভা।


(ii) গ্রামের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত।


• পৌরসভার কাজ:


(ⅰ) পৌরসভার এলাকায় বসবাসকারী জনগণের মধ্যে সেবামূলদ কাজ করা।


(ii) জনগণের স্বাস্থ্য বিষয়ে দায়িত্ব পালন করা।


(iii) শহরের উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা দেখাশোনা করা।


(iv) শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা, রাস্তাঘাট বানানো, দুদ্ধ রোধ করা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রভৃতি।


(v) বিদ্যালয়, হাসপাতাল প্রভৃতি বানিয়ে শিক্ষার প্রসারে ও স্বাম উন্নয়নে পৌরসভাগুলিকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।


• গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ:


(i) গ্রামের সবরকম উন্নতি করা।


(ii) গ্রামে পানীয় জলের সরবরাহ করা, গ্রামকে পরিষ্কার-পরিচ্ছ রাখা, পথঘাট নির্মাণ করা।


(iii) শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয় তৈরি করা, চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করা, বনসৃজন করা প্রভৃতি।


(iv) গ্রামের জনগণের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা।


(ঘ) পশ্চিমবঙ্গের স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা বিষয়ে একটি টীকা লেখে


 উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এই স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা দুই ভাগে বিভক্ত-(i) পৌর (ii) গ্রামীণ।


(i) পৌর: ছোটো ও মাঝারি শহরে পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটি এবং বড়ো বড়ো শহর কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি প্রভৃতিতে পৌরনিগম বা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থাকে।


(ii) গ্রামীন: পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিনটি স্তর হলো-


(a) গ্রামে-গ্রাম পঞ্চায়েত।


(b) ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতি।


(c) জেলায়-জেলা পরিষদ।


• নির্বাচন: পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের নির্বাচনে ওই এলাকার ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স্ক নাগরিকগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।


• পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের কাজ পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের কাজ হলো-


(a) এলাকায় জনগণের সেবামূলক কাজ করা।


(b) এলাকার উন্নয়ন করা ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা।


(c) এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল, পরিচ্ছন্নতা, বনসৃজন • প্রভৃতি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


(ঙ) প্রাচীনকালে ভারতে ও অন্য কোথাও গণতন্ত্রের কথা জানা যায় কী? সেই গণতন্ত্র কেমন ছিল বলে তুমি মনে করো?


উত্তর: প্রাচীন ভারতে গণতন্ত্র: প্রাচীন ভারতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কথা জানা যায়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে বৃজি ও মল্ল রাজ্যে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু ছিল। এছাড়া শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় চূড়ান্ত রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তার থেকে রক্ষা পাবার জন্য বাংলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সর্বসম্মতিক্রমে 'গোপাল' নামে এক সামন্তকে বাংলার রাজা হিসেবে মনোনীত করেন। গোপাল এভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাংলায় সিংহাসনে বসেন।


• প্রাচীনকালে ভারতে বাইরে গণতন্ত্র প্রাচীনকালে গ্রিস দেশের এথেন্সে গণতন্ত্র ছিল। এথেন্স ছিল গণতন্ত্রের জন্মভূমি। এক্ষেত্রে এথেন্সবাসীরা অভিনব পদ্ধতিতে তাদের শাসক নির্বাচন করত। তারা ভাঙা কলসির টুকরোর উপর পছন্দের চিহ্ন এঁকে একটি বড়ো কলসির মধ্যে ফেলে দিত। যার পক্ষে বেশি কলসির টুকরো জমা হতো, তিনিই হতেন শাসক।



(ক) ধরো তুমি একজন পৌর প্রতিনিধি/পঞ্চায়েত সদস্য। তোমার স্থানীয় অঞ্চলের উন্নতি করার জন্য তুমি কী কী কাজ করবে। শ্রেণিকক্ষে যুক্তিসহ একটি বক্তৃতা পেশ করো। 


উত্তর: আমি একজন পৌরপ্রতিনিধি বা পঞ্চায়েত সদস্য হলে আমার এলাকায় উন্নতির জন্য আমি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজ করতাম।


• উন্নতির জন্য বিভিন্ন কাজ:


(i) জনকল্যাণ: আমার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামত করতাম। এছাড়া পুকুর খনন ও সংস্কার, শ্মশানঘাট ও কবরখানা রক্ষণাবেক্ষণ করতাম।


(ii) জল সরবরাহ এলাকার সব জায়গায় যাতে পানীয়জল সরবরাহ করা যায় তার ব্যবস্থা করতাম। এছাড়া জলাধার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতাম।


(iii) জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ আমি ম্যালেরিয়া, গুটি বসন্ত, কলেরা, ডেঙ্গু ইত্যাদি মহামারি হাত থেকে আমার এলাকার মানুষদের রক্ষা করার জন্য হাসপাতালগুলির উন্নতি করার চেষ্টা করতাম। এলাকার সব মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করতাম।


(খ) ধরো তুমি ভারতের একজন সাধারণ মানুষ। তুমি তোমার অঞ্চলের উন্নতি করতে চাও। কী কী ভাবে তুমি সেই উন্নতির পরিকল্পনা করবে। শ্রেণিকক্ষে যুক্তিসহ একটি বিতর্কের আয়োজন করো।


উত্তর: আমি ভারতের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার অঞ্চলের উন্নতি করার জন্য কিছু পরিকল্পনা তৈরি করব। এই পরিকল্পনাগুলি সার্থকভাবে রূপায়িত হলে আশা করি আমার অঞ্চলের উন্নতি হবে।


• উন্নতির পরিকল্পনাসমূহ:


(i) যোগাযোগ ব্যবস্থা সবার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করব। প্রথমেই আমার এলাকায় যে সমস্ত কাঁচা রাস্তাগুলি আছে সেগুলি পাকা করার চেষ্টা করব। সরু রাস্তাগুলিকে আরও চওড়া করব। পুরোনো রাস্তাগুলি মেরামত করার পাশাপাশি আরও নতুন নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেবো।


(ii) শিক্ষাব্যবস্থা: জীবনের উন্নয়নের প্রধান সোপানই হলো শিক্ষা। আমার এলাকার ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত রূপে শিক্ষিত করার জন্য আরও প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেবো। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে এবং এলাকার বিত্তবান মানুষদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানাবো।


(iii) স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: আমার অঞ্চলের সমস্ত মানুষ যাতে সুস্থ থাকে তার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যবিধির প্রচার চালাবো। শিশুরা যাতে টীকাকরণ ও পোলিও কর্মসূচিতে অংশ নেয় সেই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলবো। ডেঙ্গু, কলেরা, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি যেন ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য এলাকার সমস্ত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করবো। সরকারের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার আবেদন রাখবো। পাশাপাশি পুরোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাতে সঠিক পরিসেবা মেলে সেই ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।


(গ) ধরো পাল যুগের বাংলার একজন সাধারণ লোকের সঙ্গে তোমার হঠাৎ দেখা হয়ে গিয়েছে। তোমারা রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এসব নিয়ে গল্প করছ। তোমাদের সেই কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ লেখো।


উত্তর: পালযুগে বাংলার একজন সাধারণ লোকের সঙ্গে আমার কথোপকথন:


• স্থান: প্রাচীন বাংলা।


• সময় পাল রাজা গোপালের আমল।


• আমি: আপনাদের রাজ্যের কি খবর? এতদিন ধরে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছিল তাকি শান্ত হয়েছে।


• প্রাচীন বাংলার লোক আমাদের বাংলার পরিবেশ এখন অনেক শান্ত। বাংলার সকল গণ্যমান্য সামন্ত, প্রজা সবাই মিলে গোপাল নামে এক সামন্তকে বাংলার রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসিয়েছেন। বাংলার সিংহাসনে গোপালের এই নির্বাচন এক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ফল।


• আমি: হ্যাঁ সেটা ঠিক। কারণ এর আগে আমরা দেখেছি যে শাসক নির্ধারণে ক্ষমতা প্রজাদের ছিল না।


• প্রাচীন বাংলার লোক: আপনি ঠিকই বলেছেন, এতদিন পর্যন্ত আমরা রাজতন্ত্রের কথা শুনে এসেছি। অর্থাৎ একজন, রাজা মারা যাবার পর তাঁর বংশধরেরা উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসন লাভ করতেন। এভাবেই চলে এসেছে শাসক নির্বাচন প্রক্রিয়া।


• আমি: আপনার মতে কোন আদর্শটি বেশি গ্রহণযোগ্য-রাজতন্ত্র, না গণতন্ত্র।


• প্রাচীন বাংলার লোক: আমার মতে রাজতন্ত্র অপেক্ষা গণতন্ত্রই অধিক গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত।


• আমি: আপনি কেন গণতন্ত্রকেই অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন?


• প্রাচীন বাংলার লোক আসলে গণতন্ত্রের মাধ্যমে প্রজারা, নিজেরাই নিজেদের মধ্যে থেকে শাসক বেছে নেওয়ার সুযোগ পায়। সমস্ত জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে। তাই রাজতন্ত্র অপেক্ষা গণতন্ত্রই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।


১ সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো (MCQ):


১.১ 'সরকার শব্দটি এসেছে-


(ক) ফারসি থেকে

গ) হিন্দি থেকে

খ) আরবি থেকে

(ঘ) বাংলা থেকে


উত্তর: (খ) ফারসি থেকে।


১.২ 'Govern'-কথাটির অর্থ হলো-


(ক) ব্যবস্থা করা

(খ) শাসন করা

গ) নির্বাচন করা

ঘ) মনোনীত করা


উত্তর: (খ) শাসন করা।


১.৩ প্রত্যেক দেশ যে নিয়মকানুন দ্বারা পরিচালিত হয়, সেই নিয়মকানুনকে বলা হয়-


(ক) ভোট

খ) গণতন্ত্র

(গ) সংবিধান

(ঘ) প্রস্তাবনা


উত্তর: (গ) সংবিধান।


১.৪ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো সংবিধান হলো-


(ক) ইংল্যান্ডের সংবিধান

(খ) ফ্রান্সের সংবিধান

(গ) রাশিয়ার সংবিধান

(ঘ) ভারতের সংবিধান


উত্তর: (ঘ) ভারতের সংবিধান।


১.৫ ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার ছিলেন-


ক) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ

(খ) ড. বি. আর আম্বেদকর

গ) মহাত্মা গান্ধি

(ঘ) জওহরলাল নেহরু


উত্তর: (খ) ড. বি. আর আম্বেদকর।


১.৬ ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হয়-


ক) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট

ঘ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারী

গ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ সেপ্টেম্বর

(ঘ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর


উত্তর: (ঘ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর।


১.৭ ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়-


ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট

খ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর

গ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি

ঘ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি


উত্তর: (খ) ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি


 ১.৮ 'স্বতন্ত্রীকরণ' নীতির কথা বলেন-


(ক) মহাত্মা গান্ধি

(খ) জওহরলাল নেহেরু

(গ) বুশো

(ঘ) মস্তেস্ক


উত্তর: (খ) মন্তেস্কু।


১.৯ সংস্কৃতে 'পুর' শব্দের অর্থ হলো-


(ক) কেল্লা

(খ) দুর্গ

(গ) নগর

(ঘ) প্রাচীর


উত্তর: (গ) নগর।


১.১০ ব্লক তৈরি হয় অনেকগুলি-


(ক) জেলা নিয়ে

(খ) পৌরসভা নিয়ে

(গ) গ্রাম নিয়ে

(ঘ) জেলাপরিষদ নিয়ে


উত্তর: (গ) গ্রাম নিয়ে।



১.১১ শহরে যেমন পৌরসভা রয়েছে, তেমনি গ্রামে রয়েছে-


(ক) গ্রামসভা

(খ) মিউনিসি প্যালিটি

(গ) গ্রাম পঞ্চায়েত

ঘ) সমিতি


উত্তর: (গ) গ্রাম পঞ্চায়েত।


১.১২ গ্রামের সব ধরনের উন্নতির কাজ করে-


(ক) পৌর সভা

(খ) ব্লক

(গ) গ্রাম পঞ্চায়েত

(ঘ) সমিতি


(সরিষা আর কে মিশন শিক্ষামন্দির)


উত্তর: (গ) গ্রাম পঞ্চায়েত


2.(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):


২.১ ভারতের সংবিধান হলো -(লিখিত/অলিখিত/সম্পূর্ণ) সংবিধান।


উত্তর: লিখিত।


২.২ ভারতে নির্বাচন হয় প্রতি (৩/৪/৫) বছর অন্তর।


উত্তর: ৫।


২.৩ দেশের নির্বাচন হওয়াকে চলতি কথায় বলা হয় (ভোট/শাসন/বিধান)।


উত্তর: ভোট।


২.৪ প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ২৩ জানুয়ারি/২৬ জানুয়ারি)। (১৫ আগস্ট/


উত্তর: ২৬ জানুয়ারি।


২.৫ ভারত সরকারের প্রধান বিভাগের সংখ্যা (৩টি) ৫টি/৭টি)।


উত্তর: ৩টি।


২.৬ সব দেশেই -(বিচার/আইন/শাসন) বিভাগকে আলাদা করে রাখা হয়।


উত্তর: বিচার।


২.৭ গ্রামের সব ধরনের উন্নতির কাজ করে পঞ্চায়েত/পঞ্চায়েত সমিতি/জেলা পরিষদ) (গ্রাম


উত্তর: গ্রাম পঞ্চায়েত।


২ (খ) ঠিক না ভুল লেখো:


২.১ মধ্যযুগে ভারতে 'সরকার' শব্দটির মানে শাসনকর্তা বা শাসনব্যবস্থা-দুই হতো।


উত্তর: ঠিক।


২.২ সব স্বাধীন দেশে সরকার থাকে না।


উত্তর: ভুল।


সঠিক উত্তর: সব স্বাধীন দেশে সরকার থাকে


২.৩ কোনো কোনো দেশে লিখিত সংবিধান নেই, সেখানে বহু বছর ধরে চলে আসা নিয়ম গুলোই মেনে নেওয়া হয়।


উত্তর: ঠিক।


২.৪ ভারতীয় সংবিধানের মতো এত ধারা-উপধারা আর কোনো দেশের সংবিধানে নেই।


উত্তর: ঠিক।


২.৫ প্রায় পাঁচ বছর আলোচনা-বিতর্কের পরে ভারতের সংবিধান তৈরি হয়।


উত্তর: ভুল।


সঠিক উত্তর: প্রায় তিনবছর আলোচনা-বিতর্কের পরে ভারতের সংবিধান তৈরি হয়।


২.৬ রাজ্য সরকারকে নির্বাচন করেন দেশের সমস্ত জনগণ।


উত্তর: ভুল।


সঠিক উত্তর: রাজ্য সরকারকে নির্বাচন করেন ঐ রাজ্যের বাসিন্দারা।


২.৭ সংবিধান মেনেই সরকার দেশ শাসন করেন।


উত্তর: ঠিক।


২.৮ শহর বা নগরের আঠারো বছর বা তার বেশি বয়সের বাসিন্দারা ভোট দিয়ে পৌরসভায় সদস্যদের বেছে নেন।


উত্তর: ঠিক।


২.৯ শহরে বা নগরে পৌরসভার মতোই গ্রামে আছে গ্রাম পঞ্চায়েত।


উত্তর: ঠিক।


২.১০ পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় প্রতি চার বছর অন্তর জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।


উত্তর: ভুল।


সঠিক উত্তর: পৌরসভায় এবং পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।




Editing By:- Lipi Medhi