Lesson 3 

ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও 
সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা
খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক

    👉Paid Answer (For Membership User)
    
👉Download Books PDF


১. সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো (MCQ):


১. সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল-

(ক) বারাণসী
(খ) কনৌজ
(গ পাটলিপুত্র
(ঘ) গৌড়

উত্তর: খ) কনৌজ।

২. উচ্চ রাজকর্মচারীদের নগদ বেতন না দিয়ে অনেক সময় পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হত-

(ক) সোনা
(খ) ফসল
(গ) জমি
(ঘ) রুপো

উত্তর: গ) জমি।

৩. ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোয় সবথেকে উপরে থাকতেন-

(ক) সামন্ত
(খ) মহাসামন্ত
(গ) জনগণ
(ঘ) রাজা

উত্তর: (ঘ) রাজা।

৪. চোল রাজ্যে বিখ্যাত ছিল-

(ক) ব্রোঞ্জ হস্তশিল্প
(খ) মৃৎশিল্প
(গ) কাষ্ঠশিল্প
(ঘ) তাঁত শিল্প

উত্তর: (ক) ব্রোঞ্জ হস্তশিল্প।

৫. তাঞ্জোরের মন্দির তৈরি করেন-

(ক) বল্লাল সেন
খ) লক্ষ্মণ সেন
গ) রাজরাজ চোল
(ঘ) রাজেন্দ্র চোল

উত্তর: (গ) রাজরাজ চোল।
 
৬. চোল শাসনে রাজ্যকে ভাগ করা হয়েছে কয়েকটি-
 
(ক) মন্ডলমে
(খ) উরে
(গ) নাড়ুতে
(ঘ) নগরমে
 
উত্তর: (ক) মন্ডলমে।
 
৭. নগরম গঠিত হয়েছিল-
 
(ক) যুদ্ধের জন্য
(খ) ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্য
(গ) কৃষির জন্য
(ঘ) রাজাকে সাহায্য করার জন্য
 
উত্তর: (খ) ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্য।
 
৯. দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মণদের জমি দানের ব্যবস্থাকে বলা হত-
 
(ক) অগ্রহার
(খ) ভুক্তি
(গ) মণ্ডলম
(ঘ) ব্রহ্মদেয়
 
উত্তর: (ঘ) ব্রহ্মদেয়।
 
১০. পাল ও সেন যুগে জিনিস কেনা বেচার প্রধান মাধ্যম ছিল-
 
(ক) স্বর্ণমুদ্রা
(খ) কড়ি
গ) রৌপ্যমুদ্রা
ঘ) তাম্রমুদ্রা
 
উত্তর: খ) কড়ি।
 
১১. পাল ও সেন যুগে জমিতে মূল অধিকার ছিল-
 
(ক) রাজার
(গ) সামন্তের
(খ) জমিদারের
(ঘ) কৃষকের
 
উত্তর: (ক) রাজার।
 
১২. পাল ও সেন যুগে রাজারা কৃষকদের কাছ থেকে উৎপন্ন ফসলের যতটা পরিমাণ কর নিতেন, তা হল-
 
(ক) ১২ ভাগ
(খ) ১৬ ভাগ
(গ) ১৭ ভাগ
(ঘ) ১৮ ভাগ
 
উত্তর:  খ) ১৬ ভাগ
 
১৩ .পাল ও সেন যুগে বাংলার প্রধান ফসল ছিল-
 
(ক) গম
(ক) ধান
(গ) যব
(ঘ) ডাল
 
উত্তর: (গ) ধান।
 
১৪. ডাল খাওয়ার শিক্ষা বাঙালিরা পেয়েছিল সম্ভবত-
 
(ক) উত্তর ভারতীয়দের কাছ থেকে
(খ) দক্ষিণ ভারতীয়দের কাছ থেকে
(গ) পূর্ব ভারতীয়দের কাছ থেকে
(ঘ) পশ্চিম ভারতীয়দের কাছ থেকে
 
উত্তর: (ক) উত্তর ভারতীয়দের কাছ থেকে।
 
১৫. বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল-
 
(ক) হাতি, ঘোড়া
(খ) বাঘ, হরিণ
(গ) ঘোড়া, উট
(ঘ) মোষ, বানর

উত্তর: (গ) ঘোড়া, উট।

১৬. পাল আমলে শিল্পীদের সঙ্ঘবদ্ধ গোষ্ঠীকে বলা হত-

(ক) মণ্ডলম
(খ) পট্টনময়ী
(গ) নগরম
(ঘ) নিগম

উত্তর: (ঘ) নিগম।

১৭. চিকিৎসা সংগ্রহ গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন-

(ক) চরক
(খ) চক্রপাণি দত্ত
(গ )সুশ্রুত
(ঘ) শূলপাণি

উত্তর: (খ) চক্রপাণি দত্ত।

১৮. বাংলাভাষার উদ্ভবের সময়কাল-

(ক) মৌর্যযুগ
(খ) কুষাণযুগ
(গ) পালযুগ
(ঘ) সেনযুগ

উত্তর: গ) পালযুগ।

১৯. পাল-সেন যুগে সাহিত্য, ব্যাকরণ, ধর্ম, দর্শন, চিকিৎসা শাস্ত্র লেখা হত-

(ক) হিন্দি ভাষায়
(খ) সংস্কৃত ভাষায়
(গ) বাংলা ভাষায়
(ঘ) পালি ভাষায়

উত্তর: খ) সংস্কৃত ভাষায়।

২০. 'রামচরিত' কাব্যের রচয়িতা হলেন-

(ক) সন্ধ্যাকর নন্দী
(খ) তুলসিদাস
(গ) রামপাল
(ঘ) কালিদাস

উত্তর: ক) সন্ধ্যাকর নন্দী।

২১. 'রামচরিত' কাব্যে যে পাল রাজার কথা বলা হয়েছে, তিনি হলেন-

(ক) গোপাল
(খ) দেবপাল
(গ) দ্বিতীয় মহীপাল
(ঘ) রামপাল

উত্তর: ঘ) রামপাল।

২২. পাল রাজারা ছিলেন-

(ক) ব্রাহ্মণ
(খ ক্ষত্রিয়
(গ) বৈশ্য
(ঘ) শূদ্র

উত্তর: খ) ক্ষত্রিয়।

২৩. আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী 'চর্যাপদ'-এর পুঁথি উদ্ধার করেন-

(ক)ভুটান থেকে
(খ) সিকিম থেকে
(গ) নেপাল থেকে
(ঘ) তিব্বত থেকে

উত্তর: গ) নেপাল থেকে।

২৪. বৌদ্ধ দার্শনিকদের জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র ছিল-

(ক) বৌদ্ধবিহারগুলি
(খ) বিভিন্ন মঠ
(গ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
(ঘ) টোলগুলি

উত্তর: (ক) বৌদ্ধবিহারগুলি।

২৫. নালন্দা বৌদ্ধবিহার তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টীয়-

(ক) চতুর্থ শতকে
(খ) পঞ্চম শতকে
(গ) ষষ্ঠ শতকে
(ঘ) সপ্তম শতকে

উত্তর: (খ) পঞ্চম শতকে।

২৬. নালন্দা বৌদ্ধবিহার অবস্থিত ছিল-

(ক) ভাগলপুরের কাছে
(খ) রাজশাহীর কাছে
(গ) বিহার রাজ্যে
(ঘ) ঢাকা জেলায়

উত্তর: (গ) বিহার রাজ্যে।

২৭. বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন-

(ক) বিক্রমাদিত্য
(খ) অতীশ দীপঙ্কর
(গ) শীলভদ্র
(ঘ) ধর্মপাল

উত্তর: (ঘ) ধর্মপাল।

২৮. বিক্রমশীল মহাবিহার যে বৌদ্ধ মতচর্চার জন্য বিখ্যাত ছিল, সেটি হল-

(ক) বজ্রযান
(খ) হীনযান
(গ) সহজযান
(ঘ) কালচক্রযান

উত্তর: (ক) বজ্রযান।

২৯. পালযুগের শিল্পরীতিকে বলা হয়-

(ক) পাশ্চাত্য শিল্পরীতি
(খ) প্রাচ্য শিল্পরীতি
(গ) বৌদ্ধ শিল্পরীতি
(ঘ) গান্ধার শিল্পরীতি

উত্তর: (খ) প্রাচ্য শিল্পরীতি।

৩০. পাল আমলের উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধবিহারটি হল-

(ক) নালন্দা
(খ) বিক্রমশীল
(গ) সোমপুরী
(ঘ ওদন্তপুরী

উত্তর: গ) সোমপুরী।

 

৩১. সেনযুগে 'সমাজপতি' হিসেবে সুবিধা ভোগ করত-

(ক) জমিদাররা
(খ) ক্ষত্রিয়রা
(গ) ব্রাহ্মণরা
(ঘ) বণিকরা

উত্তর: গ) ব্রাহ্মণরা।

৩২. সেনযুগে অব্রাহ্মণদের সবাইকে ধরা হত-

(ক) শূদ্র
(খ) আদিবাসী
(গ) উপজাতি
(ঘ) নিষাদ

উত্তর: (ক) শূদ্র।

 

৩৩. লক্ষ্মণ সেনের সভাকবির নাম-

(ক) বাণভট্ট
(খ) জয়দেব
(গ) অশ্বঘোষ
(ঘ) হলায়ুধ

উত্তর: খ)  জয়দেব।

 

৩৪. 'গীতগোবিন্দম্' কাব্যের রচয়িতা ছিলেন-

(ক) ধোয়ী
(খ) গোবর্ধন
(গ) শরণ
(ঘ) জয়দেব

উত্তর: (ঘ) জয়দেব।

 

৩৫. 'পবনদূত' কাব্য লিখেছিলেন-

(ক) ধোয়ী
(খ) গোবর্ধন
(গ) উমাপতিধর
(ঘ) শরণ

উত্তর: ক) ধোয়ী।

৩৬. 'সমুক্তি কর্ণামৃত' গ্রন্থটি সংকলন করেন-

(ক) জয়দেব
(খ) গোবর্ধন
(গ) শ্রীধর দাস
(ঘ) উমাপতি ধর

উত্তর: (গ) শ্রীধর দাস।

 

৩৭. 'ব্রাহ্মণসর্বস্ব' নামে বইটি লিখেছিলেন-

(ক) বল্লাল সেন
(খ) লক্ষ্মণ সেন
(গ) শরণ
(ঘ) হলায়ুধ

উত্তর: ঘ) হলায়ুধ।

৩৮. লক্ষ্মণ সেনের আমলে একজন অভিধান প্রণেতা ছিলেন-

(ক) গোবর্ধন
(খ) সর্বানন্দ
(গ) ধোয়ী
(ঘ) শরণ

উত্তর: (খ) সর্বনিন্দ।

 

৩৯. বাঙালি বৌদ্ধ আচার্যদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ছিলেন-

(ক) শীলরক্ষিত
(খ) শীলভদ্র
(গ) দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান
(ঘ) কাহ্নপাদ

উত্তর: গ) দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান।

 

৪০. তিব্বতে 'বুদ্ধের অবতার' হিসেবে পূজিত হন-

(ক) অতীশ দীপঙ্কর
(খ) শীলভদ্র
(গ) জ্ঞানপ্রভ
(ঘ) শীলরক্ষিত

উত্তর: (ক) অতীশ দীপঙ্কর।

 

৪১. দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান অনেক সংস্কৃত গ্রন্থ অনুবাদ করেন-

(ক) চিনা ভাষায়
(খ) নেপালি ভাষায়
(গ) বাংলা ভাষায়
(ঘ) ভোট ভাষায়

উত্তর: (ঘ) ভোট ভাষায়।

 

৪২. খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে পৃথিবীর বৃহত্তম বৌদ্ধকেন্দ্র ছিল-

(ক) নালন্দার বৌদ্ধমন্দির
(খ) সাঁচির বৌদ্ধস্তূপ
(গ) বোরোবোদুরের বৌদ্ধমন্দির
(ঘ) সোমপুরী বিহারের মন্দির

উত্তর : গ) বোরোবোদুরের বৌদ্ধমন্দির।

 

৪৩. বোরোবোদুরের বৌদ্ধমন্দির-

(ক) শিব
(খ) বিষু
(গ) বুদ্ধ
(ঘ) রাধা-কৃষ্ণ

উত্তর: খ) বিষু।

 

৪৪. বোরোদুরের বৌদ্ধমন্দিরটি অবস্থিত ছিল-

(ক) কম্বোডিয়ায়
(খ) তিব্বতে
(গ) ইন্দোনেশিয়ায়
(ঘ) থাইল্যান্ডে

উত্তর: (গ) ইন্দোনেশিয়ায়।

 

৪৫. কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাটের বিখ্যাত বিষ্ণুমন্দিরটি তৈরি হয়-

(ক) নবম শতকের প্রথম ভাগে
(খ) দশম শতকের প্রথম ভাগে
(গ) একাদশ শতকের প্রথম ভাগে
(ঘ) দ্বাদশ শতকের প্রথম ভাগে

উত্তর: (ঘ) দ্বাদশ শতকের প্রথম ভাগে।

 

৪৬. আঙ্কোরভাটের বিষ্ণুমন্দিরের গায়ে খোদিত আছে-

(ক) হর-পার্বতীর গল্প গাথা
(খ) রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প গাথা
(গ) রাধা-কৃষ্ণের গল্প গাথা
(ঘ) জাতকের কাহিনি

উত্তর : খ) রামায়ণ ও মহাভারতের গল্প গাথা।

২(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো (SAQ):

১. সামন্ত সমাজের কাঠামো ছিল,------এর মতো। (ত্রিভুজ/চতুর্ভুজ/পঞ্চভুজ)
উত্তর: ত্রিভুজ।

২.—  (ষষ্ঠ/সপ্তম/অষ্টম) শতক থেকে উত্তর ভারতের বেশ কিছু জায়গায় ব্যবসাবাণিজ্যের মন্দা দেখা দিয়েছিল। 
উত্তর: সপ্তম।

৩. —-(ফা হিয়েন/ইৎ সিং/সুয়ান জাং) সপ্তম শতকে থানেশ্বর, কনৌজ ও বারাণসীতে ব্যাবসায়িক কাজকর্মের রমরমার কথা উল্লেখ করেছেন।
উত্তর: সুয়ান জাং।

৪. গঙ্গাইকোল্ডচোল পুরমে চোল শাসক — (বিজয়ালয়/ রাজারাজ/রাজেন্দ্র) একটি সুন্দর মন্দির নির্মাণ করেন।
উত্তর: রাজেন্দ্র।

৫. তামিলনাড়ুর — (কৃষ্ণা/কাবেরী/গোদাবরী) নদী থেকে খাল কেটে সেচব্যবস্থার উন্নতি করা হয়।
উত্তর: কাবেরী।

৬. চোল রাজ্যের প্রধান ছিলেন—- (রাজা/মন্ত্রী/গ্রামণী)
উত্তর: রাজা।

৭. চোলদের গ্রাম পরিষদকে বলা হত — (উর/নাড়ু মণ্ডলম)।
উত্তর: উর।

৮. 'নাড়ু' গঠিত হতো কয়েকটি নিয়ে/পরিবারকে নিয়ে)। (শহরকে নিয়ে/গ্রামকে
উত্তর: গ্রামকে নিয়ে।

৯. কাবেরী উপত্যকায় (ব্রাহ্মণ/ক্ষত্রিয়/বণিক) সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে বহু নতুন নতুন গ্রামের পত্তন হয়েছিল।
উত্তর: ব্রাহ্মণ।

১০. বণিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন মন্দিরকে জমি দান করতেন। তার বর্ণনা দক্ষিণ ভারতে (শিলালেখগুলিতে/তাম্রলেখ গুলিতে/বিভিন্ন গ্রন্থে) পাওয়া যায়।
উত্তর: তাম্রলেখগুলিতে।

১১. বাঙালিরা আলু খেতে শিখেছে।— (ইংরেজ/ফরাসি/ পোর্তুগিজদের) কাছ থেকে।
উত্তর: পোর্তুগিজদের।

১২. রামচরিতের কাহিনি,----- গল্প অনুসারে লেখা। (রামায়ণের/মহাভারতের/পুরাণের)
উত্তর: রামায়ণের।

 

১৩. রামচরিতের ভাষা ছিল,----- (বাংলা/পালি/সংস্কৃত)।
উত্তর: সংস্কৃত।

১৪. পাল রাজারা ছিলেন,-----(জৈন/বৌদ্ধ/হিন্দু) ধর্মের অনুরাগী।
উত্তর: বৌদ্ধ।

১৫. বজ্রযান মতের নেতাদের বলা হত — (সিদ্ধাচার্য/ তীর্থঙ্কর/খলিফা)।
উত্তর: সিদ্ধাচার্য।

১৬. বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যরা চর্যাপদ লিখতেন — (সংস্কৃত ভাষায়/স্থানীয় ভাষায়/বাংলা ভাষায়)।
উত্তর: স্থানীয় ভাষায়।

১৭. বৌদ্ধ ধর্মমতে 'নির্বাণ' শব্দের অর্থ হল — (ভক্তি/মুক্তি/ শক্তি)।
উত্তর: মুক্তি।

১৮. — (মৌর্য/পাল/গুপ্ত) তৈরি হয়েছিল। রাজাদের আমলে নালন্দা বৌদ্ধবিহার
উত্তর: গুপ্ত।

১৯. সুদূর সুমাত্রা দ্বীপের শাসক — (নালন্দা/বিক্রমশীল/ সোমপুরী) মহাবিহারের জন্য সম্পদ দান করেছিলেন।
উত্তর: নালন্দা।

২০. — (তিব্বত/চিন/কোরিয়া) দেশের ছাত্রদের শিক্ষাদানের জন্য নালন্দা বৌদ্ধবিহারে বিশেষ তহবিলের বন্দোবস্ত করাছিল।
উত্তর: চিন।

২১. বিক্রমশীল মহাবিহারের একজন অন্যতম মহাচার্য ছিলেন —(শীলরক্ষিত/শান্তরক্ষিত/দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান)।
উত্তর: দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।

২২. পাল রাজত্বে তৈরি স্তূপগুলি দেখতে ছিল — (শিখরের মতো/গোলকের মতো/চতুর্ভুজের মতো) 
উত্তর: শিখরের মতো।

২৩. পাল যুগের বিখ্যাত শিল্পীরা হলেন — (চরক ও সুশ্রুত/ধীমান ও বীটপাল/জয়দেব ও ধোয়ী)।
উত্তর: ধীমান ও বীটপাল।

২৪. সেন যুগের রাজারা — (ব্রাহ্মণ্য/বৌদ্ধ/জৈন) ধর্মকেই প্রাধান দিতেন।
উত্তর: ব্রাহ্মণ্য।

২৫. 'দানসাগর' 'অদ্ভুতসাগর' বই দুটি লেখেন — (বল্লাল সেন/লক্ষ্মণ সেন/হলায়ুধ)।
উত্তর: বল্লাল সেন।

২৬. — (শীলরক্ষিত/শান্তরক্ষিত/অতীশ দীপঙ্কর)-এর বাড়ি 'নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা' নামে পরিচিত।
উত্তর: অতীশ দীপঙ্কর।

২৭. অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতে — বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন। (হীনযান/মহাযান/বজ্রযান)
উত্তর: মহাযান।

২৮. — (ভারত মহাসাগরকে/বঙ্গোপসাগরকে/আরব সাগরকে) কেন্দ্র করে বাণিজ্য ও ধর্মপ্রচারের মাধ্যমে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল।
উত্তর: ভারত মহাসাগরকে।

২(খ) ঠিক বা ভুল লেখো:

১. খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকে উত্তর ভারতে ভালো মানের সোনা বা রুপোর মুদ্রার অভাব ছিল।
উত্তর: ঠিক।

২. অষ্টম-নবম শতকে যুদ্ধপটু উপজাতি নেতারা কোনো কোনো অঞ্চলে কর্তৃত্ব করত।
উত্তর: ঠিক।

৩. দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি শুধুমাত্র পুজোর জন্যই ব্যবহৃত হত।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলি শুধুমাত্র পুজোর জন্যই ব্যবহৃত হত না।

৪. দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির জল ধরে রাখার জন্য পুকুর, বিল কাটা হতো।
উত্তর: ঠিক।

৫. দক্ষিণ ভারতে স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবারগুলোর হাতে খাজনা- সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হত।
উত্তর: ঠিক।

৬. পাল-সেন যুগে কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
উত্তর: ঠিক।

৭. পাল-সেন যুগে বাংলার সূক্ষ্ম সুতির কাপড়ের খ্যাতি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
উত্তর: ঠিক।

৮. চক্রপাণিদত্তের চিকিৎসা-বিজ্ঞানের বইগুলো বাংলা ভাষায় লেখো।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: চক্রপাণি দত্তের চিকিৎসা-বিজ্ঞানের বইগুলো সংস্কৃত ভাষায় লেখা।

৯. সন্ধ্যাকর নন্দীর লেখা 'রামচরিত' কাব্যটি শুধুই বাল্মীকি-রামায়ণের পুনরাবৃত্তি।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: সন্ধ্যাকর নন্দীর লেখা 'রামচরিত' কাব্যটি শুধুই বাল্মীকি-রামায়ণের পুনরাবৃত্তি নয়।

১০. তান্ত্রিক বৌদ্ধমতে বিশ্বাসীরা গুরু এবং শিষ্যের মধ্যে গভীর যোগাযোগে বিশ্বাস করত।
উত্তর: ঠিক।

১১. পাল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা এবং বিহারে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবনতি ঘটেছিল।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: পাল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা এবং বিহারে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছিল।

১২. পাল রাজাদের সমর্থনে ও বৌদ্ধ আচার্য এবং ছাত্রদের উৎসাহে বৌদ্ধবিহারগুলি শিক্ষাদীক্ষায় বড়ো ভূমিকা নিয়েছিল।
উত্তর: ঠিক।

১৩. মুঘলদের আক্রমণে নালন্দা মহাবিহারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: তুর্কি অভিযানকারীদের আক্রমণে নালন্দা মহাবিহারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

১৪. পাল আমলে নির্মিত পোড়ামাটির শিল্প সামগ্রীগুলি ছিল স্থানীয় লোকায়ত শিল্পের প্রতীক।
উত্তর: ঠিক।

১৫. সেন রাজাদের আমলে স্থানীয় গ্রাম শাসনব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিল।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: সেন রাজাদের আমলে স্থানীয় গ্রাম শাসনব্যবস্থার অবনতি হয়েছিল।

১৬. সেন আমলে রাজপরিবারে মহিলাদের গুরুত্ব বেড়েছিল।
উত্তর: ঠিক।

১৭. চারশো বছরেরও বেশি বাংলায় পাল শাসন স্থায়ী হয়েছিল।
উত্তর: ঠিক।

১৮. ইসলামীয় সংস্কৃতি ভারতবর্ষে আসার ফলে ভারতে জ্ঞানচর্চার লাভ হয়েছিল বেশি।
উত্তর: ঠিক।

১৯. তিব্বতের রাজা জ্ঞানপ্রভের অনুরোধে অতীশ দীপঙ্কর দুর্গম হিমালয় অতিক্রম করে তিব্বতে যান।
উত্তর: ঠিক।

২০. কম্বোডিয়ায় মহাভারতের ঘটনাবলি নিয়ে নৃত্য-সংগীত খুবই জনপ্রিয় ছিল।
উত্তর: ভুল।

সঠিক উত্তর: কম্বোডিয়ায় রামায়ণের ঘটনাবলি নিয়ে নৃত্য-সংগীত

(চ) একটি বাক্যে উত্তর দাও:

১. খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে সুয়ান জাং কোন্ কোন্ ব্যবসায়িক কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করেছেন।
উত্তর: খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে সুয়ান জাং থানেশ্বর, কনৌজ ও বারাণসী এই তিনটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করেছেন।

২. খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্রের নাম লেখো।
উত্তর: খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের দুটি প্রশাসনিক কেন্দ্রের নাম ছিল থানেশ্বর ও কনৌজ।

৩. খ্রিস্টীয়, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে সমাজের কয়েকটি গোষ্ঠীর নাম লেখো।
উত্তর: খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে সমাজের কয়েকটি গোষ্ঠীর নাম ছিল সামন্ত, রাজা, রৌণক প্রভৃতি।

৪. চোল রাজ্যে কোন্ হস্তশিল্প খুব বিখ্যাত ছিল?
উত্তর: চোল রাজ্যে ব্রোঞ্জ হস্তশিল্প খুব বিখ্যাত ছিল।

৫. চোল রাজ্যের রাজারা কোন কোন উপাধিতে নিজেদেরকে ভূষিত করতেন?
উত্তর: চোল রাজ্যের রাজারা নিজেদেরকে 'মহারাজা-অধিরাজ', 'ত্রিভুবন-চক্রবর্তীন' প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করতেন।

৬. চোল রাজ্যে ব্রাহ্মণদের যে জমি দান করা হত সেই জমিকে
উত্তর: চোল রাজ্যে ব্রাহ্মণদের যে জমি দান করা হত, সেই জমিকে ব্রহ্মদেয় জমি বলা হত।

৭. কাবেরী উপত্যকায় নতুন নতুন গ্রামের পত্তন হয়েছিল কেন?
উত্তর: চোল শাসনকালে দক্ষিণ ভারতে ব্রাহ্মণদের ব্রহ্মদেয় জমি দেওয়ার ফলে কাবেরী উপত্যকার ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে নতুন নতুন গ্রামের পত্তন হয়েছিল।

৮. পাল ও সেন যুগে বাংলার রাজারা উৎপন্ন ফসলের কত অংশ কৃষকদের কাছ থেকে কর 
উত্তর:  পাল ও সেন যুগে বাংলার রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ (১/৬ ভাগ) কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন।

৯. পাল-সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর: পাল-সেন যুগে বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি-শিল্প এবং বাণিজ্য।

১০. বাংলার লোকেরা কোন যুগে আলু খেতে শিখেছে?
উত্তর: বাংলার লোকেরা মধ্যযুগে আলু খেতে শিখেছে।

১১. বাংলার লোকেরা কাদের কাছ থেকে আলু খেতে শিখেছে?
উত্তর: বাংলার লোকেরা পোর্তুগিজদের কাছ থেকে আলু খেতে শিখেছে।

১২. বাঙালি সমাজে কী ধরনের পানীয় চালু ছিল?
উত্তর: মহুয়া এবং আখ থেকে তৈরি পানীয় বাঙালি সমাজে চালু ছিল।

১৩. বাংলার শিল্পদ্রব্যের মধ্যে কোন্ শিল্প প্রধান ছিল?
উত্তর: বাংলার শিল্পদ্রব্যের মধ্যে কার্পাস বস্ত্র ছিল প্রধান।

১৪. কোন যুগ বাংলা ভাষার উৎপত্তির সময়কাল হিসেবে পরিচিত?
 উত্তর: পালযুগ বাংলা ভাষার উৎপত্তির সময়কাল হিসেবে পরিচিত।

১৫. প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
উত্তর: আনুমানিক ৮০০-১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয়।

১৬. প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয় কীভাবে?
উত্তর: মাগধী অপভ্রংশ ভাষার গৌড়-বঙ্গীয় রূপ থেকে ধীরে ধীরে প্রাচীন বাংলা ভাষার জন্ম হয়।

১৭. চক্রপাণি দত্ত কোন্ যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন?
 উত্তর: পালযুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন চক্রপাণি দত্ত।

১৮. 'চিকিৎসা সংগ্রহ' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
উত্তর: চক্রপাণি দত্ত 'চিকিৎসা সংগ্রহ' গ্রন্থটি রচনা করেন।

১৯. 'রামচরিত' কাব্য কার লেখা?
উত্তর: 'রামচরিত' কাব্য সন্ধ্যাকর নন্দীর লেখা।

২০. পালযুগে কীভাবে 'বজ্রযান' বা 'তন্ত্রযান' বা 'তান্ত্রিক' বৌদ্ধমতের জন্ম হয়েছিল?
উত্তর: পালযুগে মহাযান বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে অন্যান্য দার্শনিক চিন্তাধারা মিলে গিয়ে 'বজ্রযান' বা 'তন্ত্রযান' বা 'তান্ত্রিক' বৌদ্ধমতের জন্ম হয়েছিল।

২১. সিদ্ধাচার্য কাদের বলা হত?
উত্তর: 'বজ্রযান' বা 'তন্ত্রযান' বৌদ্ধমতের নেতাদের বলা হতো সিদ্ধাচার্য।

২২. পালযুগের কয়েকজন সিদ্ধাচার্যের নাম লেখো।
উত্তর: পালযুগের কয়েকজন সিদ্ধাচার্য হলেন লুইপাদ, সরহপাদ, কাহুপাদ, ভুসুকুপাদ প্রমুখ।

২৩. কাহুপাদ কে ছিলেন
উত্তর: কাহ্নপাদ ছিলেন পালযুগের একজন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য।

২৪. চর্যাপদের মধ্য দিয়ে কোন্ কোন্ ছবি ফুটে ওঠে?
উত্তর: চর্যাপদের মধ্য দিয়ে পালযুগের বাংলার পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছবি ফুটে ওঠে।

২৫. কাদের হাত ধরে আদি বাংলাভাষার বিকাশ ঘটেছিল?
উত্তর: বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের হাত ধরে আদি বাংলাভাষার বিকাশ ঘটেছিল।

২৬. চর্যাপদ কী?
উত্তর: চর্যাপদ হল খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন।

২৭. কে, কোথা থেকে চর্যাপদ'-এর পুঁথি উদ্ধার করেন?
উত্তর: আচার্য হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল থেকে 'চর্যাপদ'-এর পুঁথি উদ্ধার করেন।

২৮. 'সহজিয়া' কী?
উত্তর: পালযুগে সহজযান বৌদ্ধ মতকে সহজিয়া বলা হয়।

২৯. বাইরের কোন্ কোন্ দেশ থেকে ছাত্ররা পড়াশোনার জন্য নালন্দা বৌদ্ধবিহারে আসত?
উত্তর: তিব্বত, চিন, কোরিয়া এবং মোঙ্গলিয়া থেকে ছাত্ররা পড়াশোনার জন্য নালন্দা বৌদ্ধবিহারে আসত।

৩০. নালন্দা বৌদ্ধবিহার তৈরি হয়েছিল কোন্ সম্রাটদের আমলে?
উত্তর: গুপ্ত সম্রাটদের আমলে নালন্দা বৌদ্ধবিহার তৈরি হয়েছিল।

৩১. নালন্দা বৌদ্ধবিহারে কতজন শিক্ষক এবং কতজন ছাত্র ছিল?
উত্তর: নালন্দা বৌদ্ধবিহারে ১৫০০ জন শিক্ষক এবং ৮৫০০ জন ছাত্র ছিল।

৩২. নালন্দা বৌদ্ধবিহারটি বর্তমান ভারতের কোন্ রাজ্যে অবস্থিত?
উত্তর: নালন্দা বৌদ্ধবিহারটি বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত।

৩৩. জগদ্দল বৌদ্ধবিহারটি কোথায় অবস্থিত ছিল?
উত্তর: জগদ্দল বৌদ্ধবিহারটি উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছিল।

৩৪. পাল আমলে কেন বেশি স্তূপ বানানো হয়েছিল?
উত্তর: পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের অনুরাগী ছিলেন এবং সেই জন্যই পাল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বেশি স্তূপ বানানো হয়েছিল।

৩৫. বিক্রমশীল মহাবিহার কোথায় অবস্থিত ছিল?
উত্তর: মগধের উত্তরভাগে গঙ্গার তীরে আধুনিক ভাগলপুর শহরের কাছে বিক্রমশীল মহাবিহার অবস্থিত ছিল।

৩৬. বিক্রমশীল মহাবিহার কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: পাল সম্রাট ধর্মপাল খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে বিক্রমশীল মহাবিজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

৩৭. বিক্রমশীল মহাবিহারের মহাচার্য কে ছিলেন?
উত্তর:  দীপঙ্কর-শ্রীজ্ঞান ছিলেন বিক্রমশীল মহাবিহারের অন্যজ একজন মহাচার্য।

৩৮. পালযুগের শিল্পরীতিকে কী বলা হয়?
উত্তর: পালযুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিল্পরীতি বলা হয়।

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

দুই তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

১. সামন্ততন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজে এক বিশেষ গোষ্ঠীর রাজকর্মচারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় তাদের নগদ বেতন না দিয়ে জমি দেওয়া হত। সেই জমির রাজস্বই ছিল ওই কর্মচারীদের আয়। এছাড়া তারা গ্রামের শাসন এবং বিচারকার্যের দেখাশোনাও করত। রাজা, গোষ্ঠীর শাসক এবং জনগণকে নিয়ে এর ফলে একটি স্তরভেদ তৈরি হয়েছিল সমাজে। এই ধরনের গড়ে ওঠা ব্যবস্থাই 'সামন্ততন্ত্র' নামে পরিচিত।

২. ইউরোপের সামন্ততন্ত্রের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর : ইউরোপের সামন্ততন্ত্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল- 1. সামন্তসমাজের কাঠামো ছিল ত্রিভুজের মতো। তার নানা স্তরে ছিলেন রাজা, বিভিন্ন সামন্ত এবং উপসামন্ত। সর্বনিম্নস্তরে থাকত কৃষকদের মতো সাধারণ মানুষ। 2. সামন্তপ্রভুদের ম্যানর বা খামারে ভূমিদাস বা সার্ফদের খাটিয়ে উৎপাদন করা হতো।

৩. 'নগরম' পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর : চোল শাসনকালে 'নগরম' নামে একটি পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল-.

1. ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা করা।

2. বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা করা।

৪. ব্রহ্মদেয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দক্ষিণ ভারতে, মূলত চোল শাসনকালে কৃষিজমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মণদের অনেক সময় জমি দান করা হত। তারা অনাবাদী জমি এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি তৈরি করতেন। ব্রাহ্মণদের কিছু জমি দেওয়া হত, যার কর নেওয়া হত না। এই জমি দানের ব্যবস্থাকে ব্রহ্মদেয় ব্যবস্থা বলা হতো।

৫. পাল-সেন যুগে বাংলার গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীর নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: পাল-সেন যুগে বাংলার গৃহপালিত ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে ছিল গোরু, বলদ, ছাগল, হাঁস, মুরগি, পায়রা, কাক, কোকিল, নানা জলচর পাখি, ঘোড়া, উট, হাতি, বাঘ, বুনো মোষ, বানর, হরিণ, শূকর, সাপ ইত্যাদি। ঘোড়া এবং উট বাংলার বাইরে থেকে এসেছিল।

৬. পাল-সেন যুগে বাংলায় কী কী শিল্প গড়ে উঠেছিল?
উত্তর: পাল-সেনযুগে বাংলায় যে যে শিল্প গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

1. কার্পাস বস্ত্র শিল্প: শিল্পদ্রব্যের মধ্যে কার্পাস বস্ত্র ছিল প্রধান সামগ্রী। বাংলার সূক্ষ্ম সুতির কাপড়ের খ্যাতি দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

2. হস্তশিল্প : হস্তশিল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কাঠ এবং ধাতুর তৈরি দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস ও বিভিন্ন ধরনের গয়না। ঘর-বাড়ি মন্দির, পালকি, গোরুর গাড়ি, নৌকা ইত্যাদি তৈরিতে কাঠের ব্যাপক ব্যবহার ছিল। যা থেকে বোঝা যায় এই যুগে কাষ্ঠশিল্পীরাও সমাজে বিশেষ গুরুত্ব পেতেন।

৭. নির্বাণ কী?
উত্তর: 'নির্বাণ' হল মুক্তিলাভ। বৌদ্ধ ধর্মমতে নির্বাণ বা মুক্তিলাভ করলে মানুষকে বারবার জন্মাতে হবে না।

হীনযান পন্থী অশ্বঘোষের মতে, প্রদীপের তেল ফুরিয়ে গেলে যেমন তার শিখা নিভে যায়, তেমনি জীবনে ক্লেশ বা দুঃখের অবসান হলে চিরতরে মুক্তি বা নির্বাণ লাভ হয়।

মহাযানপন্থীরা মনে করেন যে, নির্বাণ হল এমন একটা অবস্থা যেখানে কোনো কিছুই নেই।

৮. চর্যাপদ কেন পাল আমলের বাংলার সামাজিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর: চর্যাপদ হল খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক থেকে দ্বাদশ শতকে লেখা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের কবিতা ও গানের সংকলন। এই চর্যাপদগুলি স্থানীয় ভাষায় লেখা হত।

চর্যাপদের মধ্য দিয়ে পাল আমলের বাংলার পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছবি ফুটে ওঠে। তাই চর্যাপদগুলিকে পাল আমলের বাংলার সামাজিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৯. পাল রাজাদের বৌদ্ধধর্মের প্রতি অনুরাগের প্রভাব বাংলার সংস্কৃতিতে কীভাবে পড়েছিল বলে তোমার মনে হয়, তা বিশ্লেষণ করো। (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। বাংলার শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে তার বিশেষ প্রভাব পড়েছিল।

এই যুগে স্থানীয় ভাষায় সিদ্ধাচার্যরা চর্যাপদ লিখতে শুরু করেছিলেন।

বৌদ্ধ দার্শনিকদের জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল একাধিক বৌদ্ধবিহার যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নালন্দা, বিক্রমশীল, সোমপুরী ইত্যাদি। পালরাজাদের সমর্থনে ও বৌদ্ধ
আচার্য এবং ছাত্রদের উৎসাহে এই বিহারগুলি সেকালের শিক্ষা-দীক্ষায় বড়ো ভূমিকা নিয়েছিল।

এই যুগের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বৌদ্ধ প্রভাব লক্ষ করা যায়। পাল রাজত্বকালে বহু বৌদ্ধ স্তূপ নির্মিত হয়েছিল।

১০. পালযুগের প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র কোনগুলি? এখানে কারা শিক্ষা প্রদান করতেন?
উত্তর: পালযুগের প্রধান শিক্ষাকেন্দ্রগুলি ছিল আজকের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা বৌদ্ধবিহারগুলি। নালন্দা, ওদন্তপুরী (নালন্দার কাছে), বিক্রমশীল (ভাগলপুরের কাছে), সোমপুরী (রাজশাহী জেলায় পাহাড়পুরে), জগদ্দল (উত্তরবঙ্গে), বিক্রমপুরী (ঢাকা জেলা) প্রভৃতি বিহারগুলি ছিল উল্লেখযোগ্য।

খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকে শান্তরক্ষিত, শান্তিদেব, কম্বলপাদ ও শবরীপাদ এবং দশম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান (অতীশ), গোরক্ষনাথ ও কাহ্নপাদ প্রমুখ আচার্যরা এখানে শিক্ষাদান করতেন।

 

 

উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন

 

 

Editing By:- Lipi Medhi