Lesson 4 পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা
👉Paid Answer (For Membership User)
A. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
1. মানবদেহে ওজনানুপাতিক শতাংশের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে যে মৌলটি-
(a) কার্বন
(b) অক্সিজেন
(c) হাইড্রোজেন
(d) নাইট্রোজেন
2. পৃথিবীপৃষ্ঠে সিলিকনের ওজনানুপাতিক শতাংশ-
(a) 46.6
(b) 27.7
(c) 57.7
(d) 8.12
3.মানবদেহে অক্সিজেনের ওজনানুপাতিক শতাংশ হল-
(a) 46.6
(b) 27.7
(c) 61.42
(d) 52.5
4. মানুষের দেহে জলের পরিমাণ হল প্রায়-
(a) 20 শতাংশ
(b) 40 শতাংশ
(c) 70 শতাংশ
(d) 90 শতাংশ
5. যে মৌলটি ছাড়া জীবকোশ গঠিত হওয়া অসম্ভব-
(a) অ্যালুমিনিয়াম
(b) সিলিকন
(c) সোনা
(d) কার্বন
6. কত সংখ্যক মৌল বিভিন্ন যৌগের আকারে জীবদেহে থাকে?
(a) 11 টি মৌল
(b) 16 টি মৌল
(c) 43 টি মৌল
(d) 108 টি মৌল
7. অস্থি বা হাড়ের প্রধান উপাদান-
(a) Ca, (PO)
(c) গ্লুকোজ
(b) Mg (PO4)2
(d) NaCl.
৪. ঝিনুকের দেহের শক্ত খোলসটি তৈরি হয়-
(a) ক্যালশিয়াম
কার্বনেট দিয়ে
(b) ম্যাগনেশিয়াম
কার্বনেট দিয়ে
(c) ক্যালশিয়াম
সালফেট দিয়ে
(d) ম্যাগনেশিয়াম
সালফেট দিয়ে
9. মানবদেহে ক্যালশিয়ামের ওজনানুপাতিক শতাংশ হল-
(a) 2.57
(c) 9.99
(b) 22.85
(d) 1.43
10. মানবদেহে ক্যালশিয়ামের ওজনানুপাতিক শতাংশ হল-
(a) 1.42
(c) 1.44
(b) 1.43
(d) 0.4
11. সবুজ উদ্ভিদ কার্বন ডাইঅক্সাইড, মূল দ্বারা শোষিত জল ও
সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কোন্ উপাদানটি তৈরি করে?
(a) প্রোটিন
(c) গ্লুকোজ
(b) ভিটামিন
(d) স্টার্চ
12. মানবদেহে পটাশিয়ামের ওজনানুপাতিক শতাংশ হল-
(a) 0.20
(c) 0.14
(b) 0.35
(d) 0.25
13. নখ, চুল, চামড়া ও পেশির অপরিহার্য উপাদান হল-
(a) খনিজ
লবণ
(c) প্রোটিন
(b) কার্বোহাইড্রেট
(d) লিপিড
14. মেটে বা লিভারে থাকে-
(a) সোডিয়ামের
যৌগ
(b) পটাশিয়ামের
যৌগ
(c) আয়রনের
যৌগ
(d) কপারের
যৌগ
15. ছোটো মাছে তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে কোন্ উপাদান?
(a) সোডিয়াম
যৌগ
(b) ক্যালশিয়াম
যৌগ
(c) আয়রন
যৌগ
(d) আয়োডিন
যৌগ
16. কোল্টি ক্যালশিয়ামের কাজ নয়-
(a) পেশি
সংকোচন স্বাভাবিক রাখা
(b) ক্ষতস্থানের
রক্ততঞ্চন ঘটানো
(c) দাঁত
ও হাড় গঠন করা
(d) অক্সিজেন
পরিবহণ করা
17. দেহের সব জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এমন প্রোটিন হল-
(a) হিমোগ্লোবিন
(b) অ্যালবুমিন
(c) গ্লোবিউলিন
(d) প্রোটামিন
18. কোন্ খনিজ মৌলটি দেহে জলের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখে-
(a) সোডিয়াম
(c) আয়রন
(b) ক্যালশিয়াম
(d) আয়োডিন
19. কোন্ আয়রনটি মস্তিষ্ক ও দেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংবেদন আদান-প্রদানে
গুরুত্বপূর্ণ নয়-
(a) K+
(b) Na*
(c) Pb2+
(d) কোনোটিই
নয়
20. কোন্ বিবৃতিটি সঠিক নয়-
(a) মানুষের
রক্ত তৈরিতে আয়রন অপরিহার্য
(b) হাড়ের
প্রধান উপাদান ক্যালশিয়াম ফসফেট যৌগ
(c) জীবদেহ
গঠনের একটি প্রধান উপাদান হল জল
(d) মানবদেহের
অতি প্রয়োজনীয় চারটি ধাতু হল- Tn,
Ni,
Cd ও U
উত্তর: 1 (b) 2, (b) 3, (c) 4, (c) 5 (a) 9 (a) 10 (b) 11 (c) 12 (d) 6 (b)
7 (a) 8 (c) 13 (c) 14 (c) 15 (b) 16 (d) 17 (a) 18 (a) 19 (c) 20 (d).
C. দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও:
1. কোন্ প্রকার খাদ্যে অ্যাসিড পাওয়া যায়?
উত্তর: টক দই।
2. একটি জৈব অ্যাসিডের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তর: অ্যাসিটিক অ্যাসিড, সংকেত CH3COOH
3. চা-এ কোন অ্যাসিড থাকে?
উত্তর: ট্যানিক অ্যাসিড।
4. ফরমিক অ্যাসিড জলীয় দ্রবণে কোন্ কোন্ আয়নে বিয়োজিত হয়?
উত্তর: H₂O+3HCOOO আয়নে
5. সোডাওয়াটারে কী অ্যাসিড থাকে?
উত্তর: কার্বনিক অ্যাসিড।
6. ফল ছাড়াও এমন জিনিস আছে, যাদের স্বাদ টক। সেগুলি কী?
উত্তর: টক দই, ভিনিগার, টকে যাওয়া দুধ।
7. 'রসায়নের রাজা' কোন্ অ্যাসিডকে বলা হয়?
উত্তর: সালফিউরিক অ্যাসিড।
৪. পেশিকোশে কী জমা হলে পেশিতে ব্যথা অনুভূত হয়?
উত্তর: ল্যাকটিক অ্যাসিড।
9. লঘু HCI জলীয়দ্রবণ কী কী আয়নে বিয়োজিত হয়?
উত্তর: H+ও CI- আয়ন।
10. ম্যালিক অ্যাসিড পাওয়া যায় এমন একটি ফলের নাম লেখো।
উত্তর: আপেল
11. চুন জল কী?
উত্তর: ক্যালশিয়াম হাইক্সাইড [Ca(OH₂)] এর জলীয় দ্রবণকে চুনজল বলে।
12. সালফিউরিক অ্যাসিডের সংকেত কী?
উত্তর: H₂SO₄।
13. HNO, এর জলীয়দ্রবণে লিটমাসের বর্ণের কী পরিবর্তন হবে?
উত্তর: নীল লিটমাস লাল হবে।
14. অ্যাসিড দ্রবণে কালোজামের রসের বর্ণ কী হয়?
উত্তর: লালবর্ণ। [পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা নং 106]
15. প্রত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত দুটি ক্ষারজাতীয় পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: কলিচুন [Ca(OH)2], পোড়াচুন (CaO)।
16. একটি জৈব অ্যাসিডের নাম ও সংকেত লেখো।
উত্তর: ফরমিক অ্যাসিড এবং এর সংকেত HCOOH
17. খাবার সোডার সংকেত কী?
উত্তর: NaHCO3 18. আম্লিক মাটিতে চুন
যোগ করে তাকে প্রশম করার পদ্ধতিকে কী বলা হয়?
উত্তর: লাইমিং।
19. ক্ষারীয় দ্রবণে ফেনলপথ্যালিনের রং কী?
উত্তর: গোলাপি
20. ক্ষার ও ক্ষারককে কোন্ ধর্মের জন্য আলাদা করা সম্ভব?
উত্তর: জলে দ্রাব্যতার ধর্মের জন্য।
21. একটি তরলধাতুর নাম লেখো।
উত্তর: পারদ।
22. পৃথিবীপৃষ্ঠে ক্যালশিয়ামের ওজনানুপাতিক শতাংশ কত?
উত্তর: 3.6।
23. কোনো প্রাণীর বংশধরেরা কেমন দেখতে হবে তা ঠিক করে কোন্ জৈব যৌগ?
উত্তর: নিউক্লিক অ্যাসিড।
24. স্ত্রীলোকের তুলনায় পুরুষদের দেহে কত শতাংশ জল বেশি থাকে?
উত্তর: প্রায় 10 শতাংশ।
25. মানসিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ মৌল?
উত্তর: আয়োডিন।
26. জল মানবদেহের কোন্ কোন্ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে?
উত্তর: খাদ্যসংশ্লেষণ, পরিপাক, শক্তি
উৎপাদন।
27. কোন্ মৌলের পরিমাণ পৃথিবীপৃষ্ঠের থেকে মানবদেহে বেশি?
উত্তর: অক্সিজেন।
28. দুটি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: গরান ও গেঁওয়া।
29. একটি জলজ উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: ক্ল্যামাইডোমোনাস।
30. PVC এর পুরো নাম কী?
উত্তর: পলিভিনাইল ক্লোরাইড।
31. আমরা আঠা বা অ্যাডহেসিভ জাতীয় যে সমস্ত জিনিস ব্যবহার
করি, সেগুলি কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর: নরম পলিমার দিয়ে।
32. দুটি সংশ্লেষিত তন্তুর নাম লেখো।
উত্তর: পলিয়েস্টার ও রেয়ন।
33. বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত দুটি কঠিন বর্জ্য পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: প্লাস্টিকের জলের বোতল ও পলিব্যাগে।
34. আমরা যে চুইংগাম খাই সেটি আসলে কী?
উত্তর: সংশ্লেষিত নরম পলিমারের তৈরি একপ্রকার পদার্থ।
35. একটি জৈবভঙ্গুর পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: কাগজ।
36. একটি প্রাকৃতিক পলিমারের নাম লেখো।
উত্তর: লিগামেন্ট।
37. কোন্ ধরনের প্লাস্টিককে থার্মোপ্লাস্টিক বলা হয়?
উত্তর: এটি এক ধরনের নরম প্লাস্টিক, যা তাপ দিয়ে আকৃতিতে পালটানো যায়।
38. থার্মোসেটিং প্লাস্টিক কী?
উত্তরঃ যে ধরনের প্লাস্টিক একবার শক্ত হয়ে গেলে তাপ দিয়েও তাদের আকৃতি আর পালটানো যায়
না, একেই থার্মোসেটিং প্লাস্টিক বলে।
39. একটি সুতির কাপড় ও একটি টেরিকটের কাপড়-এদের মধ্যে কোল্টির জলধারণ ক্ষমতা বেশি?
উত্তর: সুতির কাপড়টির।
40. প্যারাসুট কোন্ ধরনের তত্ত্ব থেকে তৈরি হয়?
উত্তর: কৃত্রিম সংশ্লেষিত তত্ত্ব।
41. পলিব্যাগের পরিবর্তে কোন্ ব্যাগ ব্যবহার করা ভালো?
উত্তর: চট বা পাটের ব্যাগ।
সত্য অথবা মিথ্যা নির্ণয় করো:
1. জীবদেহে প্রাপ্ত মৌলের সংখ্যা 92টি।
2. জীবদেহ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হল জল।
3. জল দ্রাব্যরূপে ব্যবহৃত হয়।
4. শুকনো ও গরম অঞ্চলে বেড়ে ওঠা দুটি উদ্ভিদের উদাহরণ হল- ফণিমনসা ও শতমূলী।
5. জীবদেহে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকলে জলের পরিমাণ কমে যায়।
6. জীবদেহে আয়রনের সঞ্চয় ভাণ্ডারটি হল লিভার বা মেটে।
7. প্রোটিনকে জ্বালানির খাদ্য বলা হয়।
৪. মানবদেহের ওজনের প্রায় 97 শতাংশ হল চারটি মৌলের মিলিত
ভর।
উত্তর: 1. (মিথ্যা) [তথ্যসূত্র: 16টি
মৌল]; 2. (সত্য);
3. (মিথ্যা) [তথ্যসূত্র: জলে দ্রাবকরূপে]; 4. (সত্য);
5. (সত্য); 6. (সত্য); 7. (মিথ্যা) [তথ্যসূত্র: লিপিড বা শর্করাকে]; ৪.
(সত্য)।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
1. মানবদেহে অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য কোন্ কোন্ বিষয়ের উপর নির্ভর করে? এই ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার দুটি কারণ লেখো।অনুরূপ প্রশ্ন, মানবদেহে অ্যাসিড ক্ষার ভারসাম্য প্রধানত কোন্ দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর: মানবদেহে অ্যাসিড ক্ষারের ভারসাম্য নির্ভর করে
যে বিষয়গুলির উপর: (i) শ্বাসত্যাগ প্রক্রিয়ায় নির্গত হওয়া CO, এর
মাত্রার ওপর। (ii) মানবদেহের নানান শরীরবৃত্তীয় ঘটনা বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার
পরিবর্তনের ওপর। ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার কারণসমূহ: (i) শরীরের
কোনো অংশে চোট পেলে, ব্যথা কমানো ওষুধ খেলে, দেহে অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হয়। (ii) মানসিকচাপ
বৃদ্ধি পেলে দীর্ঘদিন ধূমপান করলে, দেহে অম্ল ক্ষারের ভারসাম্যবিঘ্নিত হবে।
2. কোন্ কোন্ অবস্থায় আমাদের দেহে অম্লের পরিমাণ বেড়ে যায় ?
উত্তর: মানবদেহে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণসমূহ
হল-
(i) বিভিন্ন
জীবাণু যখন আমাদের দেহে রোগ সৃষ্টি করে, তখন আমাদের দেহের কোশে ল্যাকটিক অ্যাসিডের
পরিমাণ বেড়ে যায়।
(ii) আমরা যখন কোনো ভারী কাজ অনেক সময় ধরে করি, তখন
আমাদের পেশিকোশ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন পেশিকোশে গ্লুকোজ ভেঙে ল্যাকটিক অ্যাসিড
উৎপাদন বেড়ে যায়।
(iii) মানবদেহে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে, তা
দেহকোশে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
(iv) মানসিক চাপে থাকলে বা দীর্ঘদিন ধূমপান করলেও দেহে অ্যাসিডের
পরিমাণ বাড়ে।
3. মানবদেহে একটি নির্দিষ্ট অ্যাসিড ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি কেন?
উত্তর: মানবদেহে অ্যাসিড ক্ষার
ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
মানবদেহে দেহকোশ ক্ষারীয় মাধ্যম, 7-8 pH এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি কার্যকরী থাকে, তবে
নানান রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দেহে অম্লত্ব বেড়ে যেতে পারে, তখন
বৃক্কের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন স্থান থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম
বা ম্যাগনেশিয়াম টেনে নেয়, এই প্রক্রিয়া প্রথমে নখ-চুল-ত্বকে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত
হাড়ে পৌঁছায়। দেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বিভিন্ন অঙ্গ যেমন দাঁতের
এনামেল, অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও দ্রুত বার্ধক্য এসে পড়ে।
4. খাদ্যলবণ-এর প্রধান উপাদানটির রাসায়নিক নাম ও সংকেত কী? এর ধর্ম ও ব্যবহার সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: খাদ্যলবণ এর প্রধান উপাদানটি
হল সোডিয়াম ক্লোরাইড যার সংকেত হল- NaCl. খাদ্যলবণের ধর্ম: (i) এটি
গন্ধহীন, বর্ণহীন,
কঠিন পদার্থ। (ii) এটি
একটি অজৈবযৌগ। (iii) জলদ্রবণীয় এবং এদের অণুতে আয়নায়নযোগ্য H+ বা OH- মূলকে
কারোর ধর্মই প্রকাশ পায় না। (iv)
স্যালাইন ওয়াটার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
খাদ্যলবণের ব্যবহার: (i) খাদ্যবস্তুর স্বাদবর্ধনের মুখ্য উপাদান।
(ii) মাছ, মাংস ও অন্যান্য খাদ্যবস্তু সংরক্ষণে লবণ ব্যবহৃত হয়।
(iii) হিমমিশ্ররূপে লবণ ব্যবহৃত হয়। (iv) স্যালাইন
ওয়াটার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
5. কেলাসাকার পদার্থ কাকে বলে? কোন্ কোন্ পদার্থগুলি কেলাসকার
চিহ্নিত করো- (চিনি, চকের গুঁড়ো, চুন, বালি, গায়ে মাখার পাউডার, ফটকিরি, তুঁতে)
উত্তর: কেলাসাকার পদার্থ: নির্দিষ্ট
জ্যামিতিক আকারবিশিষ্ট পদার্থকে বলা হয় কেলাসাকার পদার্থ। যথা- চিনির দানা।
উপরিউক্ত পদার্থগুলির মধ্যে কেলাসাকার পদার্থগুলি হল- চিনি, ফটকিরি, তুঁতে।
6. দেহে খাবার নুনে থাকা সোডিয়াম আয়নের (Na+) পরিমাণ
কমে গেলে কী অসুবিধা হতে পারে?
উত্তর: মানবদেহের শারীরবৃত্তীয়
ক্রিয়া এবং অন্যান্য জৈবিক ক্রিয়াগুলির স্বাভাবিক রাখার জন্য সোডিয়াম অত্যন্ত
জরুরি। মানবদেহে সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়
যেমন- (i) Na+ আয়নের পরিমাণ কমে গেলে দেহের স্বাভাবিক রক্তচাপ বিঘ্নিত হয়।
(ii) Na+ দেহে স্নায়বিক উত্তেজনা পরিবহণে সাহায্য করে, ফলে
দেহের বিভিন্ন অঙ্গে সংবেদন আদান-প্রদান বিঘ্নিত হয়ে দেহে খিঁচুনি দেখা দেয়। (ii) দেহে
স্বাভাবিক জলসাম্য অবস্থা বিঘ্নিত হয়।
7. খাবারের জন্য মূলত আমরা কী কী লবণ ব্যবহার করি?
উত্তর: খাবারের জন্য মূলত তিনধরনের লবণ ব্যবহার করি
যথা- (i) সৈন্ধব বা সামুদ্রিক লবণ (ii) বীট
লবণ বা রকসল্ট ও (iii) টেবিল সল্ট বা খাবার নুন।
৪. কোনো কারণে যদি তোমার ঠোঁট কেটে যায় বা খেতে গিয়ে গালের ভিতর কামড় বসাও।
তখন রক্তের স্বাদ কেমন লাগে? এইরূপ স্বাদের কারণ কী? রক্তের মধ্যে দ্রবীভূত পদার্থ কীভাবে আয়নিত হয়? অথবা, রক্তের স্বাদ নোনতা কেন?
উত্তর: মানুষের রক্তের স্বাদ ঈষৎ নোনতা, অর্থাৎ
কেটে যাওয়া ঠোঁট থেকে গালের ভেতর গড়িয়ে আসা রক্ত নোনতা স্বাদের লাগবে। মানুষের
রক্তে 100 মিলিলিটার-এ 0.9 গ্রাম পরিমাণ সোডিয়াম ক্লোরাইট (NaCl) দ্রবীভূত অবস্থায় থাকায় রক্তের স্বাদ লবণাক্ত হয়। রক্তে
দ্রবীভূত NaCl আয়নিত হয়ে Na' ও CI- আয়নে পরিণত হয়।
9. স্নায়ুর কাজে প্রধান সহায়ক কী? এর পরিমাণ কমে গেলে কী হবে? অনুরূপ প্রশ্ন, স্নায়ুর কাজ কী? এই কাজে তার প্রধান সহায়ক কী?
উত্তর: স্নায়ুতন্ত্রের স্নায়বিক
উত্তেজনা, সংবেদন আদানপ্রদান করার জন্য সহায়ক উপাদানটি হল সোডিয়াম আয়ন
(Na') এছাড়া ক্যালশিয়াম (Ca) পটাশিয়াম (K+) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোডিয়াম আয়নটির
পরিমাণ কমে গেলে সংবেদন আদান-প্রদান ব্যাহত হয় ও দৈহিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
10. থাইরয়েড গ্রন্থি, কোথায় অবস্থিত? এ থেকে কি হরমোন নিঃসৃত হয়? এই হরমোন স্বল্প ও অধিক ক্ষরণে
কী কী রোগ হয়? [পাঠ্যপুস্তক বই পৃষ্ঠা নং 127,অনুরূপ প্রশ্ন, থাইরয়েড গ্রন্থি কী? এর কার্যকারিতা নির্ভর করে কার ওপর?
উত্তর: (i) আমাদের স্বরযন্ত্রের দুপাশে
থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থিত। (ii)
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন নিঃসৃত
হয়। (iii) থাইরক্সিন হরমোন স্বল্পক্ষরণে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বরোগ হতে
পারে এবং অন্যদিকে থাইরক্সিন হরমোন অধিক্ষরণে ব্যক্তির গয়টার বা গলগন্ড রোগ হওয়ার
সম্ভাবনা বাড়ে।
11. গয়টার বা গলগণ্ড কী? এটি কেন হয়? অথবা, গলগণ্ড (গয়টার) রোগ কী?
উত্তর: মানবদেহে আয়োডিন নামক খনিজ মৌলটির অভাবজনিত রোগ
হল গলগণ্ড ও গয়টার। মানবদেহে আয়োডিন পরিমাণ কমে গেলে থাইরয়েড গ্রন্থি দুটি আকারে
বড়ো হয়ে গিয়ে, গলা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়, অর্থাৎ থাইরয়েড গ্রন্থির
অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেই গয়টার বা গলগণ্ড হয়।মনে রেখো: থাইরয়েড স্টিমুলেটিং
হরমোন (TSH) এর সমক্রিয়াসম্পন্ন একধরনের অ্যান্টিবডি (ইমিউনোলোবিউলিন)
রক্তে থাকে, যা ক্রমাগত থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে এবং
সক্রিয়তা TSH-এর চেয়ে বেশি। এই অ্যান্টিবডিগুলিকে বলে থাইরয়েড
স্টিমুলেটিং ইমিউনোগ্লোবিউলিন (TSI)।
12. আমাদের শরীরে আয়োডিন কী ভূমিকা পালন করে? অথবা, আয়োডিন আমাদের শরীরে কী কী কাজ করে?
উত্তর: আয়োডিন আমাদের শরীরের পক্ষ
গুরুত্বপূর্ণ। (ⅰ) মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে আয়োডিন। (ii) মস্তিষ্কের
ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আয়োডিন।। (iii) মানবদেহে স্নায়ুতন্ত্রের দু-পাশে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থির
হরমোন উৎপাদনের ক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখা। (iv) মানবদেহে বিপাকক্রিয়ার মাত্রাকে বৃদ্ধি করা।
13. আয়োডিনের অভাবে আমাদের কী কী সমস্যা হতে পারে?
উত্তর: আয়োডিনের অভাবে শরীরে নানা সমদস্যা হয়। (i) আয়োডিনের
অভাবে গয়টার বা গলগণ্ড হতে পারে। (ii) শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। (iii) মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব হয়। (iv) ব্যক্তির
মানসিক ও শারীরিক অবসাদ হতে দেখা যায়।
14. মাছ ও মাংস সংরক্ষণ করতে নুন ব্যবহার করা হয় কেন? অথবা, খাদ্যসংরক্ষণে লবণ কীভাবে কাজ করে থাকে?
উত্তর: খাদ্যকে নুন দ্বারা সংরক্ষণ
করে রাখলে, নুনের সংস্পর্শে আসা জীবাণু দেহতরল অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়
পচনশীল খাদ্যদ্রব্য থেকে বেরিয়ে আসে, ফলে মাছ বা মাংস দীর্ঘদিন জীবাণুমুক্ত অবস্থায়
থাকে।
15. উচ্চরক্তচাপ যুক্ত লোকেদের কাঁচানুন খেতে নেই কেন? অথবা, বেশি নুন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় কেন?
উত্তর: উচ্চরক্তচাপযুক্ত লোকেদের
দেহকোশে Na' আয়নের পরিমাণ বেশি থাকে, এর ওপর উচ্চরক্তচাপযুক্ত ব্যক্তি খাদ্যের সাথে
বেশি কাঁচানুন খেলে রক্তে Na' এর পরিমাণ আরও বেড়ে যায়, ফলে কোশমধ্যস্থ তরল বেশি পরিমাণ জল বিশ্লেষণ
করে, তরল রক্তে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে রক্তের ঘনত্ব হ্রাস পায়
ফলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃৎপিণ্ড ও বৃক্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।